Home > হিজবুত তাওহীদ > ফিরিস্তাদের ব্যাপারে কটুক্তি:

ফিরিস্তাদের ব্যাপারে কটুক্তি:

ফিরিস্তারা আল্লাহপাকের সৃষ্টি সম্মানিত বান্দা। যাঁদেরকে পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তাঁর সৈনিক হিশাবে আখ্যায়িত করেছেন। কিন্তু এই ফিরিস্তাদের সম্পর্কেও কটুক্তি করতে পিছপা হয় নি হেযবুত তওহীদ। তাদের দাবি হলো,
১. ফিরিস্তারা কী শুধু প্রাকৃতিক শক্তি।
২. ফিরিস্তা এবং দেবতা কী একই জিনিষ।

এক. ফিরিস্তারা কী শুধু প্রাকৃতিক শক্তি?

হেযবুত তওহীদ কী বলে?
হেযবুত তওহীদের কাছে ফিরিস্তারা শুধু প্রাকৃতিক শক্তি মাত্র। ফিরিস্তাদের সম্পর্কে হেযবুত তওহীদ  লিখেছে,
মানুষকে বিজ্ঞান শেখানোর পর তিনি (আল্লাহ) তার মালায়েকদের ডেকে সব জিনিষের নাম জিজ্ঞেস কোরলেন, তারা বোলতে পারলেন না। কারণ আগেই বোলেছি মালায়েকরা প্রাকৃতিক শক্তি মাত্র। [এ ইসলাম ইসলামই নয় : পৃ. ১৯]

সংখ্যায় এরা অগণ্য এবং এরা আসলে প্রাকৃতিক শক্তি- যে শক্তি দিয়ে আল্লাহ তার সমস্ত সৃষ্টিকে শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে পরিচালনা করেন এবং এদের কোন ইচ্ছা শক্তি নেই। আল্লাহ যাকে যে নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন, যাকে যে কর্তব্য নির্ধারণ কোরে দিয়েছেন সে ফেরেশতা সামান্যতম বিচ্যুতি না কোরে তা যথাযথ কোরে যাচ্ছেন। আসলে কোন বিচ্যুতি হোতে পারে না- কারণ প্রাকৃতিক শক্তিগুলির কোন স্বাধীন ইচ্ছাই নেই। যেমন মধ্যাকর্ষণ শক্তি একটি মালায়েক। [এ ইসলাম ইসলামই নয় : পৃ. ১৬]

সুতরাং বুঝা গেলো, হেযবুত তওহীদের কাছে ফিরিস্তারা আলাদা কোনো সৃষ্টি নয় বরং শুধুমাত্র প্রাকৃতিক শক্তি মাত্র।

ইসলাম কী বলে?
ফিরিস্তা হলেন মানুষের মত আল্লাহ পাকের আরেক সৃষ্টির নাম। তাঁদেরকে আল্লাহ পাক সৃষ্টি করেছেন, আবার তাঁদেরকে মানুষের মত মৃত্যুও দেবেন। তাঁরা আল্লাহর ইবাদত করেন, কেউ সিজদায়, কেউ রুকুতে। তারা আল্লাহর কাছে তাঁর সম্মানিত ও অনুগত বান্দা এবং তাঁর সৈনিক। চলুন নিন্মে ফিরিস্তাদের সম্পর্কে কিছু আয়াত ও হাদিস দেখি-
এক. তাঁরা নূর দ্বারা সৃষ্টি।
হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাঃ বলেন, বলেছেন,
خُلِقَتِ الْمَلاَئِكَةُ مِنْ نُورٍ وَخُلِقَ الْجَانُّ مِنْ مَارِجٍ مِنْ نَارٍ وَخُلِقَ آدَمُ مِمَّا وُصِفَ لَكُمْ
ফিরিস্তাদেরকে নূর দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে আর জিন জাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে নির্ধুম অগ্নিশিখা হতে এবং আদমকে (মানুষকে) সৃষ্টি করা হয়েছে ঐ বস্তু হতে যে সম্পর্কে তোমাদেরকে বর্ণনা করা হয়েছে। (অর্থাৎ মাটি থেকে)। [সহিহ মুসলিম : হাদিস নং : ২৯৯৬]

দুই. ফিরিস্তার আল্লাহর সৈনিক:
মহান আল্লাহ ফিরিস্তাদেরকে নিজের সৈনিক হিসাবে উল্লেখ্য করেছেন,
وَمَا يَعْلَمُ جُنُودَ رَبِّكَ إِلَّا هُوَ
আপনার পালনকর্তার বাহিনী সম্পর্কে একমাত্র তিনিই জানেন। [সূরা মুদ্দাস্সির : ৩১]

তিন. ফিরিস্তারা আল্লাহর অনুগত বান্দা:
আরবের কাফেররা ফিরিশতাদেরকে আল্লাহ তা’আলার কন্যা বলে আখ্যায়িত করলে মহান আল্লাহ  পবিত্র কোরআনে ফেরেশতাদেরকে ‘নিজের অনুগত ও সম্মানিত বান্দা’ হিসেবেই পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। মহান রব বলেন,
وَقَالُوا اتَّخَذَ الرَّحْمَنُ وَلَدًا سُبْحَانَهُ بَلْ عِبَادٌ مُّكْرَمُونَ
তারা বলে, রহমান (আল্লাহ) সন্তান গ্রহণ করেছেন (আর তাঁর সন্তান হল ফিরিশতাগণ)। আল্লাহ এ থেকে পূতপবিত্র! তারা তো তাঁর সম্মানিত বান্দা। [সুরা আম্বিয়া : ২৬]

চার. ফিরিস্তারা মানুষের প্রহরী হিসেবে কাজ করেন:
ফেরেশতাদের অন্যতম একটি কাজ হলো তারা আল্লাহর হুকুমে তাঁরই মর্জিমতো মানুষের রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকেন। আল্লাহ বলেন,
لَهُ مُعَقِّبَاتٌ مِّن بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ يَحْفَظُونَهُ مِنْ أَمْرِ اللّهِ
মানুষের জন্য তার সামনে ও পেছনে একের পর এক প্রহরী থাকে। তারা আল্লাহর আদেশে তার রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। [সুরা রাদ : ১১]

পাঁচ. ফিরিস্তারা আল্লাহর তাসবীহ পড়েন:
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন,
وَالْمَلَائِكَةُ يُسَبِّحُونَ بِحَمْدِ رَبِّهِمْ وَيَسْتَغْفِرُونَ لِمَن فِي الْأَرْضِ
ফেরেশতাগণ তাদের পালনকর্তার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করে এবং পৃথিবীবাসীদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে। শুনে রাখ, আল্লাহই ক্ষমাশীল, পরম করুনাময়। [সুরা শুরা : ৫]

অপর আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন,
يُسَبِّحُونَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ لَا يَفْتُرُونَ
তারা রাত্রিদিন তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করে এবং ক্লান্ত হয় না। [সূরা আম্বিয়া : ২০]

ছয়. ফিরিস্তারা সব সময় আল্লাহর অনুগত থাকেন:
মহান রব বলেন,
وَلِلّهِ يَسْجُدُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ مِن دَآبَّةٍ وَالْمَلآئِكَةُ وَهُمْ لاَ يَسْتَكْبِرُونَ يَخَافُونَ رَبَّهُم مِّن فَوْقِهِمْ وَيَفْعَلُونَ مَا يُؤْمَرُونَ
আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যত প্রাণী আছে তারা এবং সমস্ত ফেরেশতা আল্লাহকেই সিজদা করে এবং তারা মোটেই অহংকার করে না। তারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে, যিনি তাদের উপরে এবং তারা সেই কাজই করে, যার আদেশ তাদেরকে করা হয়। [সুরা নাহল : ৪৯-৫০]

এ ছাড়াও ফিরিস্তাদের ক্ষেত্রে অসংখ্য আয়াত ও হাদিস রয়েছে। যা থেকে প্রমাণ হয়, ফেরেশতারা আল্লাহর সম্মানিত বান্দা। তাঁদের মর্যাদা সমুন্নত ও উচ্চ। কথা ও কাজে তাঁরা আল্লাহর পরিপূর্ণ অনুগত। তাঁরা আল্লাহর আদেশ অমান্য করেন না। আল্লাহর আদেশ মান্য করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকেন। বরং আল্লাহর নির্দেশই তাঁদের ক্রিয়াশীল করে এবং তাঁদের কাজের সুযোগ করে দেয়। সৃষ্টিজগতের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন ছাড়াও আল্লাহর ইবাদতে নিমগ্ন থাকা ফেরেশেতাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এ ছাড়াও ফিরিস্তারা আল্লাহ তা’আলার কাছ থেকে নবী-রাসুলগণেরর কাছে ওহী আনতেন। আর কোনো প্রাকৃতিক শক্তির পক্ষে ওহী সরবরাহ করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। এ ছাড়াও ফিরিস্তাদের ব্যাপারে কয়েকজনের নাম বর্ণিত হয়েছে। যেমন-রুহ, জিবরাঈল, মিকাইল, ইসরাফিল, রিজওয়ান, মালেক প্রমুখ। তাঁদের পাখা আছে, তাঁরা আকৃতি পরিবর্তন করতে পারেন, তাঁরা নূরের সৃষ্টি ইত্যাদী। সুতরাং ফিরিস্তাদেরকে শুধু প্রাকৃতিক সৃষ্টি বলা চরম অন্যায় ও মারাত্মক ধৃষ্টতা।

মনে রাখতে হবে, ফিরিস্তাদের উপর ঈমান আনয়ন করা একজন মুসলমানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মহান রব বলেন,
آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ آمَنَ بِاللّهِ وَمَلآئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ
রাসুল (অর্থাৎ হযরত মুহাম্মাদ সাঃ) তাতে ঈমান এনেছে, যা তাঁর উপর তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ হতে নাযিল করা হয়েছে এবং (তাঁর সাথে) মুমিনগণও। তাঁরা সকলে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফিরিশতাদের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান এনেছে। [সূরা বাকারা : ২৮৮]

সুতরাং ফিরিস্তাদের মত এতবড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে কিভাবে হেযবুত তওহীদ শুধুমাত্র প্রাকৃতিক সৃষ্টি বলে অভিহিত করে? শুধু কী তাই? এই ফিরিস্তাদেরকে চরমভাবে অপমান করেছে হেযবুত তওহীদ। তাদের দাবি হলো, হিন্দুদের দেবতা বা ঈশ্বর ও ফিরিস্তা একই। নাউযুবিল্লাহ।

দুই. ফিরিস্তা এবং দেবতা কী একই জিনিষ?

হেযবুত তওহীদ কী বলে?
তাদের দাবি হলো, মূলত মুশরিকদের দেবতা ও ফিরিস্তা একই জিনিষ। তারা লিখেছে,
ভারতীয়, রোমান এবং গ্রীকরা যে দেব-দেবী God goddess বিশ্বাস করে সেগুলো এবং মালায়েক বা ফেরেশতা একই জিনিষ’। [এ ইসলাম ইসলামই নয় : পৃ. ১৬]

অর্থাৎ হেযবুত তওহীদ বলতে চায়, অমুসলিমরা যেগুলোকে দেবতা, গড বা ঈশ্বর হিসাবে বিশ্বাস করে, সেগুলো আর ফিরিস্তারা একই জিনিষ।

ইসলাম কী বলে?
নাউযুবিল্লাহ। অথচ আমরা হিন্দুশাস্ত্র পড়লে দেখতে পাই, হিন্দুরা যাদেরকে দেবতা বা ঈশ্বর হিসাবে বিশ্বাস করে তারা সবাই শিরক ও নষ্টামীর রাজত্ব তৈরি করেছিলেন। মুশরিকদের সম্পর্কে মহান রব বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ إِنَّمَا الْمُشْرِكُونَ نَجَسٌ فَلاَ يَقْرَبُواْ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ بَعْدَ عَامِهِمْ هَـذَا
হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা তো অপবিত্র। সুতরাং এ বছরের পর তারা যেন মসজিদুল-হারামের নিকট না আসে। [সূরা তাওবা : ২৮]

পক্ষান্তরে ফিরিস্তারা আল্লাহ পাকের ঘোষণা অনুযায়ী সম্মানিত বান্দা। মহান রব বলেন,
وَقَالُوا اتَّخَذَ الرَّحْمَنُ وَلَدًا سُبْحَانَهُ بَلْ عِبَادٌ مُّكْرَمُونَ
তারা বলে, রহমান (আল্লাহ) সন্তান গ্রহণ করেছেন (আর তাঁর সন্তান হল ফিরিশতাগণ)। আল্লাহ এ থেকে পূতপবিত্র! তারা তো তাঁর সম্মানিত বান্দা। [সূরা আম্বিয়া : ২৬]

সুতরাং ফিরিস্তা আর দেবতা বা ঈশ্বর কখনও কী এক হতে পারে? উপরন্তু অমুসলিমরা যেগুলোকে দেবতা বলে বিশ্বাস করে, সেগুলোকে তারা আল্লাহ পাকের সমান মর্যাদা ও ক্ষমতাবান বলে বিশ্বাস করে। যেমন হিন্দুদের সৃৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা, পালনকর্তা বিষ্ণুু, বিনাশকর্তা শিব ঠাকুর। মুসলিমদের সবকিছুর কর্তাই আল্লাহ। হিন্দুরা তাদের দেবতা বা ঈশ্বর সবাইকে পুজা করে। কিন্তু মুসলিমরা কোনো ফিরিস্তাকে পুজা করেন না। হিন্দু শাস্ত্র মতে যিনি সর্বত্র সমভাবে বিরাজমান তিনিই বিষ্ণু। ইসলাম ধর্মে সর্বত্র বিরাজমান হওয়ার শক্তি একমাত্র আল্লাহর। কোনো ফিরিস্তা সর্বত্র বিরাজমান নন। হিন্দুরা যাদেরকে দেবতা অথবা ঈশ্বর হিসাবে বিশ্বাস করেন, তাদের স্ত্রী, সন্তান, বাবা-মা সবই আছে।  কিন্তু ফিরিস্তাদের এসবের সাথে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাঁরা আল্লাহর নির্দেশে সৃষ্টি হন। হিন্দুরা যাদেরকে দেবতা বা ঈশ্বর হিসাবে বিশ্বাস করেন, তাদের তাদের শাস্ত্রমতে প্রায় সবার জিবনেই কিছু না কিছু নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। এমনকি তাদের কাছে সৃষ্টি দেবতা ব্রহ্মা নিজের মেয়ের সাথেও যৌনারচার করেন। তাদের ধর্মগ্রন্থেই এটা লেখা আছে,
শতরুপা, প্রথমা নারী। তিনি ব্রহ্মার কন্যা। মৎসপুরানে আছে, নয় জন মানসপুত্র সৃষ্টি করার পর ব্রম্মা এক কন্যা সৃষ্টি । এই কন্যাই শতরূপা, সাবিত্রী, গায়ত্রী, স্বরস্বতী, ও ব্রাহ্মণী নামে খ্যাতা। শতরূপার রূপে মুগ্ধ হয়ে সৃষ্টিকর্তা ব্রম্মা তার কন্যা শতরূপাকে গ্রহণ করেন। ব্রহ্মা তার কন্যার সঙ্গে অজাচারের ফলে প্রথম মনু সায়ম্ভুব-এর জন্ম হয়। [পৌরাণিক অভিধান : পৃ. ৪৯৫]

উপরন্তু হিন্দুদের দেবতাদের স্ত্রী, সন্তান সবই আছে। দেখুন তারা কী লিখেছে-
সরস্বতী ব্রহ্মার স্ত্রী, দেবসেনা ও দৈত্যসেনা এঁর দুই কন্যা। ব্রহ্মা চতুর্ভুজ চতুরানন ও রক্তবর্ণ। প্রথমে তাঁর পাঁচটি মস্তক ছিলো; কিন্তু একদা শিবের প্রতি অসম্মানসূচক বাক্য উচ্চারণ করায় শিবের তৃতীয় নয়নের অগ্নীতে ব্রহ্মার একটি মস্তক দগ্ধ হয়। ব্রহ্মার বাহন হংস। [পৌরনিক অবিধান : পৃ. ৩৮৩]

এ ছাড়াও আরও অসংখ্য বিষয় আছে, যা থেকে প্রতিয়মান হয় যে, হিন্দুদের দেবতা বা ঈশ্বর আর ফিরিস্তা কখনও, কোন ভাবেই, কোনো ক্রমেই এক হতে পারে না। কিন্তু হেযবুত তওহীদ হিন্দুদের দেবতার সাথে ফিরিস্তাদের তুলনা করে চরম অপমান করেছে। যা ফিরিস্তাদের সাথে শত্রুতার প্রমাণ বহন করে। এদের ব্যাপারে মহান রব বলেন,
مَن كَانَ عَدُوًّا لِّلّهِ وَمَلآئِكَتِهِ وَرُسُلِهِ وَجِبْرِيلَ وَمِيكَالَ فَإِنَّ اللّهَ عَدُوٌّ لِّلْكَافِرِينَ
যে ব্যক্তি আল্লাহ তাঁর ফেরেশতা ও রসূলগণ এবং জিবরাঈল ও মিকাঈলের শত্রু হয়, নিশ্চিতই আল্লাহ সেসব কাফেরের শত্রু। [সূরা বাকারা : ৯৮]

Check Also

মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা:

আল্লাহ’র দ্বীনের একমাত্র হিফাযতকারী শিক্ষাব্যবস্থা হলো, মাদরাসা। যেখানে দিবানিশি আল্লাহ তাআলার কুরআন ও তাঁর রাসুল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.