সাবলুকে নিয়ে একদিন সন্ধা রাতে হাটতে বের হলাম। ভাবলাম রাতের বালাগটা সেরে নিই। চলছি পথে হঠাৎ সাবলু চিৎকার করে বলে উঠলো, আপনারা আসলে বোকা।
: কেন রে ভাই?
: না তেখে জিনিষ কেমনে যে আপনারা বিশ্বাস করেন? ন্যুনতম জ্ঞান কী আপনাদের নেই?
: কী বুঝাতে চাস?
: না। মানে আমি না দেখে আল্লাহকে বিশ্বাস কীভাবে বিশ্বাস করতে পারি?
: কেন?
: বড়বড় স্কলারা এতো বড় শিক্ষিত হয়েও তো তারা না দেখে বিশ্বাস করে না। তারা কী বোঝে না?
: আচ্ছা, সাবলু বলতো, দুয়েকটা স্কলারের নাম।
: এই যে ধরেন হুমায়ুন আজাদ।
: আচ্ছা! তাহলে এই কথা? তো তোর কাছে কী হুমায়ুন আজাদ আদর্শ মনে হয়?
: কেন নয়? তিনি তো অনেক বড় সাহিত্যিক।
: আচ্ছা সাবলু, যদি হুমায়ুন আজাদ না দেখা জিনিষ বিশ্বাস করে তাহলে তুই কী বলবি?
: না না কশ্চিনকালেও তিনি এমন বোকামি করতে পারেন না।
: আচ্ছা, তুই কী তার সব বই পড়েছিস?
: মোটামুটি সব পড়া হয়েছে।
: তাও এমন কিছু পাস নি?
: না।
: আচ্ছা তাহলে দুয়েকটা বইয়ের নাম বলতে।
: এই যে ধরুন ‘আমার অবিশ্বাস’ বই।
: তবুও পাস নি?
: না।
তাহলে একটা কাজ কর। হুমায়ুন আজাদের ‘আমার অবিশ্বাস বইটার ১৭ নং পৃষ্ঠাটা খোল।
: খুলেছি।
: পুরোটা পড়।
এবার তো সাবলু পুরোই থ বনে গেলো। এ কী?
: কী হলো?
: না মানে এখানে এটা কী দেখলাম?
: কী দেখলি বল।
: না মানে তিনি এখানে লিখছেন, ‘ইন্দ্রিয়গুলোকে আমি ভালোবাসি, যেমন ভালোবাসি আমার মগজকে, যা আমি দেখি নি, যার ক্রিয়াকলাপ বুঝি না আমি, যা আমার কাছে কিংবদন্তির মতো। -আমার অবিশ্বাস, পৃ. ১৭
: এখন কী বলবি? তোদের গুরুরাও না দেখাে জিনিষও বিশ্বাস করে? হা হা হা।
: দুলাভাই, আপনি মজা লন নাকী?
: না। মানে তোর কথায় তো তোর গুরুরাও বোকা পাবলিক। তাই একটু হাসি আসলো।
মাশাআল্লাহ