হানাফী মাযহাব:
السنة فى التراويح إنما هو الختم مرة، فلا يترك لكسل القوم
অর্থাৎ তারাবীহের নামাজে অন্তত একবার কুরআন মাজীদ খতম করা সুন্নাত। অতএব মুসল্লীদের অলসতার কারণে এটা পরিত্যাগ করা উচিৎ নয়।
সূত্র: বাহরুর রায়েক খ. ২ পৃ. ১২০ ফাতাওয়া আলমগিরিয়া খ. ১ পৃ. ১৩০ তাতারখানিয়া খ. ১ পৃ. ৪১৪
সালাফীদের ফাতাওয়া।
শায়খ বিন বায রহ. এর ফাতাওয়া।
ختم القرآن في التراويح والتهجد عمل حسن
অর্থাৎ তারাবীহ এবং তাহাজ্জুদ নামাজে কুরআন মাজীদ খতম করা একটি ভালো (মুস্তাহাব) আমল।
সূত্র: মাজমুউ ফাতাওয়া (বিন বায) খ. ১১ পৃ. ৩৩৩
তাবেয়ীদের ফাতাওয়া:
হযরত হাসান বসরী রহ. বলেন:
عَنِ الْحَسَنِ قَالَ مَنْ أَمَّ النَّاسَ فِي رَمَضَانَ فَلْيَأْخُذْ بِهِمُ الْيُسْرَ فَإِنْ كَانَ بَطِيءَ الْقِرَاءَةِ فَلْيَخْتِمِ الْقُرْآنَ خَتْمَةً وَإِنْ كَانَ قِرَاءَتُهُ بَيْنَ ذَلِكَ فَخَتْمَةٌ وَنِصْفٌ فَإِنْ كَانَ سَرِيعَ الْقِرَاءَةِ فَمَرَّتَيْنِ
অর্থ: হযরত হাসান বসরী রহ. বলেন, যে ব্যক্তি রমজানে লোকদের (তারাবীর) ইমামতী করে, সে যেন সহজতা অবলম্বন করে। যদি তার কিরাত ধীরে ধীরে হয়, তাহলে যেন এক খতম কুরআন পড়ে। যদি মধ্যম ধরণের হয়, তাহলে দেড় খতম। আর যদি দ্রুত হয়, তাহলে দুই খতম করবে।
সূত্র: মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা হাদীস: ৭৭৬১
ইমাম বুখারী রহ. এর আমল:
كَانَ مُحَمَّد بن إِسْمَاعِيل البُخَارِيّ إِذَا كَانَ أَوَّلُ لَيْلَةٍ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ يجْتَمع إِلَيْهِ أَصْحَابه فيصلى بهم وَيقْرَأ فِي كل رَكْعَة عشْرين آيَة وَكَذَلِكَ إِلَى أَن يخْتم الْقُرْآن وَكَانَ يقْرَأ فِي السحر مَا بَين النّصْف إِلَى الثُّلُث من الْقُرْآن فيختم عِنْد السحر فِي كل ثَلَاث لَيَال
যখন রমজানের প্রথম রাত আসতো তখন মুহাম্মদ বিন ইসমাঈল বুখারী রহঃ এর বন্ধুরা তার কাছে একত্র হয়ে যেতো। তারপর তিনি তাদের নিয়ে [তারাবী] নামায পড়তেন। আর প্রতি রাকাতে তিনি বিশ আয়াত তিলাওয়াত করতেন। আর এভাবে তিনি খতম করতেন। আর যখন সেহরীর সময় হতো, তখন তিনি অর্ধেক থেকে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করতেন। এভাবে সেহরীতে তিন দিনে খতম করতেন।
সূত্র: তাগলীকুত তা’লীক খ. ৫ পৃ. ৩৯৯ হাদয়ুস সারী মুকাদ্দিমা ফাতহুল বারী খ. ১ পৃ. ৪৫৫
তারিখে দিমাশক খ. ৫২ পৃ. ৭৯