নাস্তিকদের জন্য ধর্ম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া যুক্তিসঙ্গত
আমরা দেখেছি বাম আদর্শের অনুসারীরা মূলত ধর্মীয় গোঁড়ামি ও অন্ধত্ব থেকে নিজেদের মননকে মুক্ত করতে সচেষ্ট। বর্তমানে পৃথিবীতে বিরাজিত সবগুলো ধর্মই যখন বিকৃত হয়ে ধর্মব্যবসায়ীদের পণ্যে পরিণত হয়েছে, সেগুলো সাম্প্রদায়িক উগ্রপন্থীদের দ্বারাই এবং তথাকথিত ডানপন্থীদের দ্বারা ভুলভাবে ব্যবহৃত হয়ে মানুষের সমাজকে পশুর সমাজে পরিণত করছে, সেই বিকৃত ধর্ম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়াই প্রতিটি বোধসম্পন্ন মানুষের অবশ্যকর্তব্য। সে দিক থেকে ডানপন্থী রাজনীতির দাবিদারদের থেকে মানুষ হিসেবে বামপন্থীরা এগিয়ে আছেন।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃষ্ঠা-৯
ধর্ম জাতীয় উন্নতি অগ্রগতির পরিবর্তে ধ্বংসের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে করে ধর্মের প্রতি মানুষের ঘৃণা, বিতৃষ্ণা সৃষ্টি হওয়া খুবই স্বাভাবিক।
সূত্র: ধর্ম বিশ্বাস পৃষ্ঠা-৯
বিকৃত ধর্মের আঘাতে জর্জরিত ক্লান্ত মানুষ এমন স্বপ্ন দেখতে বাধ্য হচ্ছে।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃ:১৬১
নাস্তিকরাও ধার্মিক
আমরা তাদেরকে ধর্মহীন মনে করি না। কারণ মানুষের পরম ধর্ম ‘মানবতা’ যা তাদের মধ্যে পুরোমাত্রায়ই আছে।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃষ্ঠা-১১
নাস্তিকদের প্রশ্ন করতে দেয়া উচিৎ:
অন্য কোন আদর্শের অনুসারীরা ইসলামের সমালোচনা করতেই পারেন….. আল্লাহ স্বয়ং যেখানে তার কোরআন সম্পর্কে সৃষ্টি সম্পর্কে, আয়াত এমনকি তার নিজের সম্পর্কে ভুল সন্ধান করার জন্য আহবান করছেন সেখানে কেউ যদি ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো সমালোচনা করে, তার দৃষ্টিতে ধরা পড়া কোন অসঙ্গতি তুলে ধরে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আক্রোশ প্রদর্শন করা, তাকে আক্রমণ করা, তাকে হত্যা করা ইত্যাদি অবশ্যই অন্যায্য ও প্রগতিশীল, ক্ষুদ্রতা,অযৌক্তিক, আল্লাহর অভিপ্রায় বহির্ভূত কাজ ইত্যাদি।
সূত্র: আদর্শিক লড়াই পৃষ্ঠা-১২
ধর্মব্যবসায়ীরা ফতোয়াবাজি করে প্রগতি ও মুক্তচিন্তার সকল পথ রুদ্ধ করেছে। শিল্প সংস্কৃতির চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
সূত্র: আদর্শিক লড়াই পৃষ্ঠা-৩
নাস্তিক বা আস্তিক যেকোনো টি হওয়ার স্বাধীনতা আল্লাহই মানুষকে দিয়েছেন, তাই যারা বিশ্বাস করেন যে নিখুত সৃষ্টি আছে, কিন্তু তার কোনো স্রষ্টা নেই, তাদের এই বিশ্বাস করার স্বাধীনতা সংরক্ষণ করা ও একজন প্রকৃত ধার্মিক এর কর্তব্য।
সূত্র: আদর্শিক লড়াই পৃষ্ঠা-১৪
নাস্তিকদের নাস্তিকতার জন্য মুসলিমরা দায়ী:
তোমরা এই মুক্তির বাণী নিয়ে, এই সাম্যের বাণী এই মুক্তির গান নিয়ে তোমরা কেন সেখানে গেলে না? যখন তোমরা যেতে ব্যর্থ হয়েছে তখন তোমাদের ধর্ম তাদের কাছে আবেদন হারিয়েছে। এই দোষ কি লেলিন, কালমার্কস মাও সেতুংদের। কাজেই শত্রুতা করে কোন লাভ নেই।
সূত্র: সূত্রাপুরে এমামের ভাষণ পৃষ্ঠা-২০
কমিউনিস্টরা যখন জাতির মধ্যে বিশেষ করে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে তাদের চিন্তাধারা পরিবর্তন আনছে তখন ইসলামের ধারক বাহকেরা কোরান হাদিস নিয়ে গবেষণা করে জ্ঞানগর্ভ বই কেতাব প্রবন্ধ লিখেছেন মনে করছেন ইসলামের খেদমত করেছেন আল্লাহ রাসুল কত খুশি হচ্ছেন। তারপর হঠাৎ একদিন ঘুম ভাঙলো কিন্তু তখন আর সময় নাই হাজারে-হাজারে প্রাণ দিয়েও আর ইসলামকে রক্ষা করতে পারলে না। তখন বেশি দেরি হয়ে গেছে আজ রাশিয়ার বিখ্যাত ঐ সব বিখ্যাত উলামায়ে দিনের বংশধররা কট্রর নাস্তিক কমিউনিস্ট। সেই পাক্কা দ্বীনদার সাধারণ মুসলিম ওলামায়ে দীনের বংশধররা তারা নাস্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার ফলে আল্লাহ রাসুলের ইসলামের কথা শুনলে বিদ্রুপের হাসি হাসে।
সূত্র: শিক্ষাব্যবস্থা পৃষ্ঠা-৬৪
অনেক যুক্তিশীল মানুষ ধর্মের নামে চলা এই কুপমন্ডুকতাকে মেনে নিতে না পেরে পুরোপুরি ধর্মবিদ্বেষী হয়েছেন।
সূত্র: গণমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৫৯
উম্মতে মোহাম্মদী তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় মানুষকে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার একটা বিকল্প ব্যবস্থা উদ্ভাবন করতে হলে এবং সেটা করা হলো এবং স্বভাবতই সেটা ঐ পুঁজিবাদের মতোই হল মানুষ দ্বারা সৃষ্ট এবং সেটার স্রষ্টা হলেন কার্লমার্কস।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃষ্ঠা-৩১
মানুষের সমস্যা সমাধানে ধর্মের ধারক-বাহকরা সমাধান না নিয়ে আসায় মুক্তির বাণী নিয়ে আসলেন লিংকন আসলেন জেফারসন আসলেন ওয়াশিংটন তাদেরকে ইসলামের পন্ডিত আলেম-ওলামারা কাফের নাস্তিক বলে গালিগালাজ করেন।
সূত্র: ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে পৃষ্ঠা-১১
প্রচলিত ধর্মগুলোর অসারতা ধর্মের ধারক-বাহকদের অন্ধত্ব দেখেই ধর্মকেই অবাঞ্চিত ঘোষণা করলেন মার্কস। বললেন জনগণের সুখলাভের প্রথম শর্ত হল ধর্মের বিলোপ সাধন করতে হবে। মানুষ ধর্মের বিকৃতরুপের অসারতা ও কুফল বুঝতো তাই এই বক্তব্যের যুক্তি খুঁজে পেল।
সূত্র: ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে পৃষ্ঠা-১১
নাস্তিকরা ইসলাম ধর্মকে গালিগালাজ করেন এর কারণ তারা যে ইসলাম দেখেছে সেটা মসজিদে মাদ্রাসা, খানকার চার দেয়ালের ভেতরে দাড়িওয়ালা, টুপিওয়ালা, লম্বা পাগড়ীওয়ালা লেবাসধারী মাওলানা পীর সাহেবকে দেখে মনে করেন এটাই বুঝি ইসলাম। কিন্তু না। এটা প্রকৃত ইসলাম নয়। প্রকৃত ইসলাম তুলে ধরেছেন বায়াজীদ খান পন্নী।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃ:৪৭-৪৮
নাস্তিকরাও মুত্তাকি:
অন্যান্য ধর্মে, এমন কি আল্লাহকে অবিশ্বাসকারী নাস্তিক কমিউনিস্টদের মধ্যেও বহু মানুষ আছেন যারা ন্যায়-অন্যায়, ঠিক-অঠিক দেখে জীবনের পথ চলতে চেষ্টা করেন। তারা মিথ্যা বলেন না, মানুষকে ঠকান না, অন্যের ক্ষতি করেন না, যতটুকু পারেন অন্যের ভালো করেন, গরিবকে সাহায্য করেন ইত্যাদি। তারা মুত্তাকী কিন্তু তারা হেদায়েতে নেই।
সূত্র: তাকওয়া ও হেদায়াহ পৃ:৭
হুমায়ুন আজাদের মন্তব্য ঠিক
যে ধর্মের উত্থান দেখে হুমায়ুন আজাদ আতঙ্কিত। সেটা আতঙ্কিত হওয়ারই মতো। কারণ সেটা ধর্ম নয়, ধর্মের উল্টোটা।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃ:১৬৪
নাস্তিকদের প্রতি শ্রদ্ধা
মানবতার কল্যাণে যারা নিজেদের জীবনকে তুচ্ছ করে বিপ্লবের অগ্নিময় পথকে সঙ্গী করে জীবন কাটিয়ে গেছেন, আমরা হৃদয়ের অন্তস্তল থেকে তাদেরকে শ্রদ্ধা জানাই, যদিও তারা অনেকেই হয়তো নাস্তিক ছিলেন।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃষ্ঠা-১১
ধর্মগুলো বহু আগেই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল
সকল ধর্ম গুলো বহু আগেই মানবকল্যাণের উপযোগিতা হারিয়েছিল কল এই শূন্যতা পূরণ করতে যুগের চাহিদায় এসকল দার্শনিকদের সৃষ্টি করেছিল। যদি পন্নীর সাথে লেনিনের সাক্ষাৎ হতো তাহলে কমিউনিজমের যাঁতাকলে পড়ে সাধারণ মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত হওয়া যে দুর্বিষহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা হওয়া সম্ভব হতো না। রাশিয়ার অবস্থা হতো অন্যরকম।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃ:৫১।
কাল মার্কস নাস্তিক ছিলেন না
কালমার্সের অবস্থান ছিল মূলত পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে, অর্থনৈতিক অবিচারের বিরুদ্ধে নাস্তিকতার প্রতিষ্ঠা তার মূল বাণীর অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃ:১৬২
সুন্নাহ মানে জেহাদ
আমার সুন্নাহ বলে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত খাওয়া,শোয়া,ওঠা,বসা অভ্যাস, পছন্দ-অপছন্দ পোশাক-পরিচ্ছদ বোঝাননি। এ গুলোর সাথে এসলামের কোন সম্পর্কই নেই
সূত্র: আকীদা পৃ:১৬ এসলামের প্রকৃত রুপরেখা-৩৮
‘আল্লাহর দেওয়া জীবন ব্যবস্থা ‘দীনুল কাইয়্যেমা’কে সমস্ত পৃথিবীকে কার্যকরী করে মানব জাতির মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম (জেহাদ) ও সশস্ত্র সংগ্রাম (কিতাল) করার যে সুন্নাহ বিশ্বনবী ও তাঁর সঙ্গীরা (রা.) রেখে গেছেন সেই সুন্নাহকে বুঝিয়েছিলেন যখন তিনি বলেছিলেন যার উপর আমি ও আমার সঙ্গীরা আছি এবং এও বলেছেন যে যারা এই সুন্নাহ ছেড়ে দেবে তারা আমাদের কেউ নয় অর্থাৎ উম্মতে মুহাম্মদী নয়।’
‘সূত্র: আকীদা-১৭।তাকওয়া ও হেদায়াহ-১১
জেহাদ ছেড়ে দেবার পর নবীর সুন্নাহর বিকল্প হিসাবে নেয়া হোল তাঁর ব্যক্তিগত অভ্যাস অভ্যাস-অনভ্যাস পছন্দ-অপছন্দ ইত্যাদি যে গুলোর সাথে তাঁর জীবনের মুখ্য উদ্দেশ্য, তাঁর উপর আল্লাহর দেয়া দায়িত্বের কোন সম্বন্ধই নেই; যেগুলো নেহায়েৎ ব্যক্তিগত ব্যাপার।’
সূত্র: ‘এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:১০৫
আসল জান্নাতি ফেরকার সুন্নাহর সাথে বাকি বাহাত্তর ফেরকার সুন্নাহর আসমান-জমিন তফাৎ। বাহাত্তর ফেরকার কাছে সুন্নাহ হল দাঁত মেসওয়াক করা ; জান্নাতি ফেরকার কাছে সুন্নাহ হল রাসূলুল্লাহ ও আবু ওবায়দার (রা:) মত সশস্ত্র সংগ্রামের দাঁত ভেঙে ফেলা। বাহাত্তর ফেরকার কাছে সুন্নাহ হলো নিজেদের ঘরে বা হুজরায় মাথার কাছে তসবি রেখে ডান পাশে শোয়া; জান্নাতি ফেরকার কাছে সুন্নাহ হলো মাথার কাছে অস্ত্র রেখে যুদ্ধক্ষেত্রে শোয়া। বাহাত্তর ফেরকার কাছে সুন্নাহ হলো টুপি, পাগড়ি পড়া; জান্নাতি ফেরকার কাছে সুন্নাহ হলো শিরস্ত্রাণ পরা। বাহাত্তর ফেরকার কাছে সুন্নাক হলো, লম্বা জোব্বা পড়া; জান্নাতি ফেরকার কাছে সুন্নাহ হলো যোদ্ধার কাপড় ও বর্ম পরা। বাহাত্তর ফেরকার কাছে সুন্নাহ হল খাবার পর মিঠাই খাওয়া ; জান্নাতি ফেরকার কাছে সুন্নাহ হলো অনাহারে থেকে পেটে পাথর বেঁধে যুদ্ধ করা। আরো বহু আছে দরকার নেই। বাহাত্তর ফেরকার সুন্নাহ পালন করতে রসূলুল্লাহ ও তাঁর সাহাবাদের মত কোরবানির প্রয়োজন হয়না, আহত হতে হয়না, নিগৃহীত অপমানিত হতে হয় না, বিপদের সম্মুখীন হতে হয় না। কাজেই তারা অতি নিষ্ঠার সাথে ঐ অতি নিরাপদ সুন্নাহগুলি পালন করেন এবং নবীর ও আল্লাহর সন্তুষ্টি আশা করেন। শুধু আশা করেন না ও সম্বন্ধে তারা অতি নিশ্চিত। যদিও তারা জান্নাতের সুগন্ধ পর্যন্ত পাবেন না। কারণ বিশ্বনবী বলেছেন তারা নারী অর্থাৎ আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে। বাহাত্তর ফেরকা যে সুন্নাহগুলি পালন করেন সেগুলো শুধু বিশ্ব নবীর সুন্নাহ নয়, লক্ষ-কোটি খ্রিস্টান ইহুদী হিন্দু বৌদ্ধদের সুন্নাহও।জান্নাতি ফেরকা সুন্নাহ হলো শেষ জীবন ব্যবস্থা দীনকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অপরিসীম দুঃখ কষ্টের মধ্য দিয়ে সংগ্রাম করা।
সূত্র: আকীদা পৃ:১৭
ঘটনা হয়েছে কি পূর্ববর্তী যুগের ফকীহ,ইমাম,মুফাসসিরগণ রাসুলুল্লাহ সমস্ত আচরণকে ইসলামের মাসলা-মাসায়েল এর মধ্যে বিধি-বিধানের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছেন। তাদের যুক্তি হলো, আল্লাহ রাসূলকে অনুসরণ করার হুকুম দিয়েছেন, আলেম-ওলামারা এই অনুসরণের মানে করেছেন যে, রসুলের দাঁড়ি ছিল, তিনি খেজুর খেতেন,পাগড়ি পরিধান করতেন, তাই এগুলোকেও সুন্নাত। এগুলোকেউ তারা শরীয়তের অন্তর্ভুক্ত করে দিয়েছেন। এখন অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, আরবের খাদ্যাভ্যাস পোশাক-আশাক ইত্যাদি ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে গেছে। ঐ লেবাস না থাকলে এখনকার ইসলামে কথা বলার অধিকার থাকে না। এই যে শরীয়ত বা প্রথা প্রচলন করা হলো এটা কিন্তু কোরআনের শিক্ষা নয়, ইসলামের শিক্ষা নয়, এটা আলেম-উলামা বিভিন্ন মাজহাবের ইমামদের ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তৈরি করা শরীয়ত। এমন আরও বহু উদাহরণ দেওয়া যাবে। এই জন্য জাতির ঐক্য গঠনের গুরুত্বের চেয়ে লেবাসের গুরুত্ব বেশি। এই অপ্রাকৃতিক বিধান গুলোকে আল্লাহর বিধান বলে প্রচার করছেন ইসলামের ধারক-বাহক এক শ্রেণীর আলেমগণ। অথচ ইসলাম কোন নির্দিষ্ট এলাকার সংস্কৃতিকে অন্য এলাকার মানুষের উপর জোর করে আরোপ করার পক্ষে নয়। সাংস্কৃতিক বিবর্তন একটি প্রক্রিয়ায,এটিকে ঘটানো যায় না, এটি কালক্রমে ঘটে। এই মহাসত্যটি ইসলামের এই অনন্য সৌন্দর্য নষ্ট করে ফেলার কারণে ইসলাম তার আবেদন সৃষ্টি করতে পারছে না।
সূত্র: ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে পৃ:২৪
খ্রিস্টান পণ্ডিতরা তাদের প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাগুলিতে শিখিয়েছেন তাদের তৈরি করা এমন একটি ইসলাম যেটা তৈরি করে মৃত্যুভয়ে ভীতু কাপুরুষ, যারা দাড়ি, মোচ,টুপি, পাগড়ি, মেসওয়াক,কুলুখ, হায়েজ-নেফাস, জিকির-আসকার আর বিবি তালাককেই ইসলাম মনে করে তাই নিয়ে ব্যস্ত থাকে, তাই নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি করতে থাকে যাতে খ্রিস্টানরা নিশ্চিন্ত মনে তাদের দাসদের ওপর রাজত্ব করতে পারে।
সূত্র: যুগসন্ধিক্ষণে আমরা পৃ:১৮
কুরআনের আত্মা হারিয়ে গেছে
কোরআনের শিক্ষা নেই কোথাও। কোরআনের আত্মা আজ হারিয়ে গেছে, তা কেবল অক্ষরই রয়ে গেছে।
সূত্র: সূত্রাপুরে এমামের ভাষণ পৃষ্ঠা-১৯
পূর্ববর্তী কেতাবগুলো ধর্মব্যবসায়ীদের দ্বারা বিকৃত হয়ে গিয়েছিল, এবং শেষ ইসলামও তাদের অতি বিশ্লেষণের ভারে বিকৃত হতে হতে বিপরীতমুখী হয়ে গেছে। কেবল অক্ষত আছে কোরআনের বর্ণগুলো। তার ব্যাখ্যা পাল্টে বহু রকম হয়ে গেছে।
সূত্র: ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে পৃষ্ঠা-৬
কুরআন ঠিকই আছে
এই যে কোর’আন চৌদ্দশ’ বছর আগে যা ছিল আজও ঠিক তাই -ই আছে, এর একটা শব্দ নয় একটা অক্ষরও কেউ বদলাতে বা বাদ দিতে পারে নাই, কারণ এর রক্ষা ব্যবস্থা আল্লাহ তার নিজের হাতে রেখেছেন।
সূত্র: ধর্ম ব্যবসার ফাঁদে পৃষ্ঠা-৫৯।
সম্মানিত আলেমদের প্রতি পৃ:১১
দীনের মূলনীতি কুরআনে
দীনের মূলনীতিগুলো বিধৃত হয়েছে কোরআনে।
সূত্র: গঠনতন্ত্র পৃষ্ঠা-৫২
দাজ্জাল
‘এতদিন তো মানুষ বোসে আছে এক চোখ কানা দাজ্জাল আসবে বিরাট ঘোড়ায় চোড়ে। কিন্তু ওটা তো কোনদিনই হবেনা, দাজ্জাল যে এসে গেছে এটা আল্লাহর রহমে আমি প্রমাণ কোরেছি দাজ্জাল বইয়ে, সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ কোরছি,।কেউ যুক্তি প্রমাণ দিয়ে এটা কাটতে পারে নাই। তারমানে দাজ্জাল এসে গেছে এবং এখন সে একদম পূর্ণ শক্তিমান। এখন আমার মতে, এই হিসাব মোতাবেক যেকোনো সময়ই ঈসা (আ:) আসার সময় হোয়ে গেছে।’
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-৬৭
অন্যান্য নবিদের ব্যাপারে মন্তব্য-
আদমের আ: ভেতর আল্লাহর সব গুন অাছে।
‘আদমের মধ্যে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি,যা আল্লাহহ ছাড়া কারও নেই,তা এবং আল্লাহর অন্যান্য সকল সিফত বা গুন প্রবেশ করিয়ে দিলেন।কাজেই এই নতুন অসাধারণ সৃষ্টির নাম দিলেন আল্লাহর খলিফা অর্থাৎ প্রতিনিধি।’
সূত্র: আকিদা পৃ:৫ তওহীদ জান্নাতের চাবি-৩
এসলামের প্রকৃত রুপরেখা-২৬ তাকওয়া ও হেদায়াহ-২/৩
সকল নবীরা ব্যার্থ হয়েছিলেন
‘একদম মহাসত্য পেয়েও যেখানে নবী রাসূলদের মধ্যে অনেকে ব্যর্থ হোয়েছেন, পারেন নি, সেখানে আমি কে। আমি তো কেউ না, কিছুই না। কি হবে, কি হবে না – এই সংশয় আমার ২০০৮ সনের ফেব্রুয়ারীরর ২ তারিখ পর্যন্ত, পূর্ণভাবে ছিলো। যদিও সেটা আমাকে দমাতে পারেনি, এজন্য যে আমি চেষ্টা কোরে যাবো, নবী রাসূলরা পারেন নি, আর আমি কে?
আমি চেষ্টা কোরে যাবো, মো’জেজার দিনটায় আল্লাহ আমার সব সংশয় অবসান কোরেছেন, জানিয়ে দিলেন নিজে যে- হবে, উনি কোরবেন, আমি না। তোমরাও না, আমিও না, কোরবেন আল্লাহ নিজে, He Himself, সবকিছুই আল্লাহর নিজের করা Actually, সব কিছুই.
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-৬৮
নবীদের চেয়ে পন্নীর এরিয়া বেশী
‘নবির এলাকা ছিল সীমিত আর আমাদের সমস্ত।
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-৫৮
শ্রীকৃষ্ণ, রামচন্দ্র, যুধিষ্ঠির, মনু আল্লাহর নবী ছিলেন
ধর্মকে পুনঃস্থাপন করে মানুষের সফল সাধনের জন্যই ভারতবর্ষে এসেছেন শ্রীকৃষ্ণ, রামচন্দ্র, যুধিষ্ঠির, মধ্য এশিয়ায় এসেছেন ইব্রাহীম (আ.) ইহুদীদের মধ্যে এসেছেন মুসা (আ.), দাউদ (আ.), ঈসা (আ.), ইয়াহিয়া (আ.) ইয়াকুব (আ.) এমনই আরো বহু নবী-রসূল অবতার।
সূত্র: সবার উর্ধ্বে মানবতা-৫
অনেক গবেষক মনে করেন বৈবস্বতঃ মনুই হচ্ছেন বৈদিক ধর্মের মূল প্রবর্তক, যাঁকে কোর’আনে ও বাইবেলে বলা হয়েছে নূহ (আ.), ভবিষ্যপুরাণে বলা হয়েছে রাজা ন্যূহ। তাঁর উপরেই নাজিল হয় বেদের মূল অংশ।
সূত্র: সবার উর্ধ্বে মানবতা-৪
মনু নুহের আ: নামান্তর, যুধিষ্ঠির ইদ্রীস আ: এর নামান্তর
শ্রেণীহীন সমাজ পৃ:৬৫
গীতা,বেদ,ত্রিপিটক আল্লাহর কিতাব
গীতা,বেদ,ত্রিপিটক আল্লাহর কিতাব
সূত্র: গণমাধ্যমের করণীয় পৃ:৫৯
আমাদের স্রষ্টা এক,নবী-অবতারগণও এসেছেন একই স্রষ্টার পক্ষ হতে তাদের আনীত গ্রন্থাবলীকেও আল্লাহর কেতাব বলে জানতে হবে।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃ:১০৫
অমুসলিমদের অপবিত্র বলা মূর্খতা
এটা চরম মূর্খতার পরিচয় যে আমরা এক স্রষ্টা থেকে আগত এক জাতি, এক বাবা-মায়ের সন্তান হয়েও এভাবে একে অপরকে বিধর্মী মনে করে নিজেদের পায়ে নিজেরা কুড়াল মেরে চলেছি। আমরা এক ভাই আরেক ভাইকে অশুচি অপবিত্র মনে করি। আচারের নামে এই সব অনাচার ধর্মের সৃষ্টি নয় ধর্মব্যবসায়ীদের সৃষ্টি।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃষ্ঠা-১০৪
সকল ধর্ম সত্য:
আমাদের স্রষ্টা এক, নবী অবতরণও এসেছেন একই স্রষ্টার পক্ষ থেকে। তাদের আনীত গ্রন্থাবলীকেউ আল্লাহর কেতাব বলে জানতে হবে।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃষ্ঠা-১০৫
কিন্তু ধর্মব্যবসায়ীরা ধর্মকেই বিভেদের প্রাচীর বানিয়ে রেখেছে। তারা অন্য ধর্মগুলোকে মিথ্যা এবং সেই ধর্মের অনুসারীদেরকে জাহান্নামী, কাফের বলে গালিগালাজ করে। অথচ সকল ধর্মই আল্লাহর প্রেরিত ধর্মপ্রবর্তকগণও তাই।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃষ্ঠা-৮৩
‘আল্লাহ সেদিন আমাকে জানিয়ে দিলেন করো হবে।
সূত্র:ভিডিও বক্তব্য।
সকল ধর্ম শান্তি দিতে পারছে:
আল্লাহর নাজেলকৃত ধর্মগ্রন্থগুলো এখনো মানুষের কাছে আছে যেগুলো স্রষ্টার অস্তিত্বের স্বাক্ষর বহন করছে। মানুষ সেগুলো ভক্তির সঙ্গে পড়ছে, জানছে, বিচার-বিশ্লেষণ করছে। সেগুলোর মধ্যে সত্য খুঁজে পাচ্ছে, যা তাদের হৃদয়কে প্রশান্তিতে ভরে তুলছে তাদের আত্মার গভীরে প্রভাব ফেলছে।
সূত্র: আক্রান্ত দেশ আক্রান্ত ইসলাম পৃ:১৯
সব ধর্মের লোকেরা ভাই ভাই:
সকল ধর্মের অনুসারীরাই একে অপরের ভাই হতে বাধা কোথায়?
সূত্র: সবার ঊর্ধ্বে মানবতা পৃষ্ঠা-৪
হেযবুত তৌহিদী আন্দোলনের উপদেষ্টা হিসেবে যারা বেশি অগ্রাধিকার পাবেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, বিভিন্ন ধর্মের ধর্মগুরু।
সূত্র: গঠনতন্ত্র পৃষ্ঠা-৪৩
কোন ধর্মের ভিত্তি বদলায়নি:
(সকল ধর্মের) স্থান-কাল ও পাত্রের বিভিন্নতার কারণে দীনের অর্থাৎ জীবনব্যবস্থার আইন-কানুন দন্ডবিধি এবাদতের পদ্ধতি ইত্যাদি বিভিন্ন হয়েছে কিন্তু ভিত্তি,মূলমন্ত্র একচুলও বদলায়নি। সেটা সবসময় একই থেকেছে।আল্লাহর সার্বভৌমত্ব তাওহীদ।
সূত্র: বর্তমানের বিকৃত সুফিবাদ পৃষ্ঠা-৯
সকল ধর্মের অনুসারীরা ঐক্যবদ্ধ হওয়া:
সমস্ত মানবজাতিকে জাতপাত বর্ণ গোত্রহীন এক অখণ্ড জাতিতে পরিণত করার পর সূত্র বা ফরমুলা কারো জানা নেই। কেউ এই বিরাট চিন্তাও করে না এটা সম্ভব বলে বিশ্বাসও করবেন না। কিন্তু এটা সম্ভব এবং সেই বিরাট মত মূল্যবান সূত্র মহান আল্লাহ হেযবুত তওহীদকে দিয়েছেন দিয়েছেন।
সূত্র: শোষণের হাতিয়ার পৃষ্ঠা-৪৬
মুসলিম-সনাতন-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সকল ধর্মের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন এ যামানার এমাম এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী। তিনি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের মানুষকে তাদের ধর্মের মৌলিক শিক্ষা “নিঃস্বার্থ মানবকল্যাণই ধর্ম” এই মহাসত্যের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান করেছেন।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃ:৮৪
সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী জাতি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছে হেযবুত তৌহিদ।
সূত্র:গণমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৪৬
সমস্ত মানব জাতি এসেছে এক বাবা-মা আদম হাওয়া থেকে। সুতরাং সমস্ত মানবজাতি প্রকৃতপক্ষে এক জাতি।
সূত্র: আসুন সিস্টেমটাকে পাল্টাই পৃষ্ঠা-১৬
সকল ধর্মের মাজলুমদের সাহায্য করা:
নিপীড়িত সেই মানুষ হিন্দু নাকি বৌদ্ধ নাকি খ্রিস্টান নাকি নাস্তিক তাও উম্মতে মোহাম্মদী দেখবে না, দেখবে ওই লোকটা মানুষ কিনা। তাকে রক্ষা করা আমার ইবাদত।
সূত্র: সূত্রাপুরে এমামের ভাষণ পৃষ্ঠা-১১
ধর্ম পরিবর্তন করানো ইসলামের কাজ না:
মানুষের ব্যক্তিগত ধর্ম পরিবর্তন করা এসলামের উদ্দেশ্য নয়, এসলামের মূল উদ্দেশ্য সামষ্টিক জীবনে ন্যায়-সুবিচার শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
আসুন সিস্টেমটাকেই পাল্টাই-১৮।
আমরা কাউকে ইসলাম হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান বা ইহুদী ইত্যাদি কোন বিশেষ ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট করছি না। আমাদের কথা হচ্ছে যার যার ধর্ম বিশ্বাস তার তার কাছে। আমরা যদি শান্তিতে জীবন যাপন করতে চাই, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি শান্তিময় জীবন উপহার দিতে চাই তার জন্য আমাদেরকে সকল প্রকার কলহ-বিবাদ ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃষ্ঠা-১০৫
মানবজাতির বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা কাউকে কোন বিশেষ ধর্মের দিকে আকৃষ্ট করাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি না।
সূত্র: সবার উর্ধ্বে মানবতা পৃ:১০
ধর্ম চাই মানুষের সঙ্গে মানুষের ঐক্য। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকল ধর্মাবলম্বীদের আজ হৃদয় দিয়ে বুঝতে হবে যে সকল মানুষ একই স্রষ্টার সৃষ্টি। তেমনি সকল ধর্ম একই স্রষ্টা থেকে আগত। স্রষ্টার অভিপ্রায় হচ্ছে মানব জাতি একতাবদ্ধ হয়ে তার বিধান মেনে শান্তিতে জীবন যাপন করুক। ঠিক যেমনভাবে একজন বাবা চান তার সন্তানরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুক। স্রষ্টার এ অভিপ্রায় পূরণের জন্য আমরা কি ঐক্যবদ্ধ হতে পারি না।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃষ্ঠা-১০০
আমরা সকল সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে এক স্রষ্টার বান্দা হিসাবে তাঁর বিধানের দিকে ফিরে যাওয়ার কথা বলছি।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃষ্ঠা-৭৫
সমস্ত মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান সকলকে লক্ষ্য করে হেযবুত তাওহীদের বর্তমান এমাম হোসাইন সেলিম বলেন,
”আজ সারা দুনিয়াময় মানবতা বিপর্যস্ত। এই মানুষকে রক্ষার জন্য আপনারা এগিয়ে আসুন।তাহলে আপনারা হবেন ধার্মিক, আপনার হবেন মো’মেন। আপনারা হবেন আল্লাহর প্রিয় বান্দা, আপনাদের জন্য জান্নাত -স্বর্গ রয়েছে।
সূত্র: সূত্রাপুরে এমামের ভাষণ পৃ:২১
শেষ প্রেরিত গ্রন্থ আল-কোরআনকে আল্লাহ পাঠিয়েছেন ছন্দ বদ্ধ করে। কেবল কোর’আন নয়, যবুর, গিতা,বেদ, ত্রিপিটক ইত্যাদি ধর্মগ্রন্থও আল্লাহ পাঠিয়েছেন কাব্যময় করে?
সূত্র: গনমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৫৯।
সকল মানুষ একই স্রষ্টার সৃষ্টি, তারা সবাই একই পিতা-মাতা-সন্তান। সুতরাং তারা সকলে ভাই -ভাই। সকল ধর্মও একই স্রষ্টার থেকে আগত। তাই মানবজাতির মধ্যে কোন প্রকার ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, ভৌগোলিক বিভক্তি স্রষ্টার কাম্য নয়। বরং স্রষ্টা একে লুপ্ত করার জন্য শেষ রসূলকে প্রেরণ করেছিলেন। তিনি চান সমগ্র মানবজাতি এক জাতিতে পরিণত হোক। স্রষ্টার এ অভিপ্রায়কে উপলব্ধি করে নিজেদের মধ্যে বিরাজিত সকল বিভক্তির প্রাচীর কে ধুলিস্যাৎ করে বিশ্বমানবকে ন্যায়ের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করাই এখন সময়ের দাবি, এটাই ধর্মের কাজ, এটাই উপাসনা এটাই প্রকৃত এবাদত।
সূত্র: গনমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৬০
আল্লাহর প্রতি ঈমান আনানো আমাদের উদ্দেশ্য নয়:
আমরা বলি না যে, আপনারা আল্লাহ বিশ্বাসী হয়ে যান, মো’মেন হয়ে যান, পরকালে বিশ্বাসী হয়ে যান, আল্লাহর প্রতি কে ঈমান আনবে না আনবে সেটা তারা আল্লাহ সঙ্গে বুঝবে। সুতরাং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করানো আমাদের কাজ নয়,
আমাদের কাজ আল্লাহর শেষ রসুলের আনীত আকাশের মত উদার, সমুদ্রের মতো বিশাল, দুর্দান্ত গতিশীল ইসলামকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিা করে মানবজাতিকে শান্তিময়, নিরাপদ, ন্যায়, ও সুবিচারে পূর্ণ একটি জীবন উপহার দেওয়া। দল-মত পথ,ধর্ম,বর্ণ, গোত্র,আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে সকল মনুষ্য সন্তানের প্রতি আমাদের একটি প্রশ্ন, আপনি মানব জাতির সার্বিক জীবনের সুখ-শান্তি উন্নতি প্রগতি ও ন্যায় চান কি না। যদি চান তাহলে একটিই পথ- সেই অপার শান্তিময় জীবনব্যবস্থার রূপরেখা আল্লাহ যামানার এমামকে দান করেছেন। আমরা তার পক্ষ থেকে সেটা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃ:৫২
ডান-বাম যা-ই হোন না কেন, মানুষের অশ্রুতে যার হৃদয় সিক্ত হয়, ঘুঁনে ধরা সমাজটিকে যারা পুনঃ নির্মাণ করতে চান, সর্বপ্রকার অবিচার অত্যাচার ও শোষণের প্রতিবাদে যার হাত মুষ্টিবদ্ধ করে ওঠে, সেই মানবধর্মের অনুসারীদের প্রতি আমাদের আহ্বান- আসুন পাওয়া গেছে।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃষ্ঠা-১২
ইসলাম না মানলেও জান্নাতে যাওয়া যাবে:
কাজেই এই আদর্শের লড়াইয়ে বা আদর্শের সৈনিকদের কেউ এগিয়ে আসতে হবে আমরা বলছি না যে আপনাকে বিশেষ কোন ধর্মে বিশ্বাসী হতে হবে সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার।মানুষকে বাঁচানোর জন্য জঙ্গিবাদ ধর্মব্যবসা স্বার্থের রাজনীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করা দরকার মোটিভেশন করা দরকার সেটা ত্যাগী মানুষদেরকে দিয়েই। আমাদের ইহকালের সমস্যা তাই সমাধানটাও ইহকালের হিসেবেই করতে চাই।পবিত্র কোর’আনে আছে যার ইহকাল ভালো তার পরকালও ভালো।
সূত্র: আদর্শিক লড়াই পৃষ্ঠা-১৪
হেযবুত তওহীদের তাদের মুখপাত্র ’দৈনিক বজ্রশক্তি’ ২/২/২০১৬ ঈ: তারিখে “মানবসমাজে ধর্ম-অধর্ম ও শান্তি-অশান্তির চিরন্তন দ্বন্দ্ব” শিরোনামে একটি একটি লম্বা লেখার শেষ দিকে গিয়ে লেখেন,
“মানবসমাজে একটি ধারণা ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে যে, ‘পৃথিবীতে এতগুলো ধর্মের মধ্যে মাত্র একটি ধর্ম সত্য হতে পারে (!) অন্য সকল ধর্ম মিথ্যা এবং ঐ সত্য ধর্মই কেবল মানুষকে মুক্তি দিতে সক্ষম।’ এ ধারণা প্রচলিত থাকায় সকল ধর্মের অনুসারীরাই দাবি করে যে, কেবল তাদের ধর্মই সত্যধর্ম। এটা ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম মেনে চলে স্বর্গে যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো- স্রষ্টা প্রদত্ত সকল ধর্মই সত্যধর্ম। এগুলোর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এর যে কোনোটি মানুষ মেনে চলতে পারে। তবে মানতে হবে পূর্ণাঙ্গভাবে।”
ধর্মগ্রন্থের চেয়ে মোমেন দামি:
সকল ধর্মগ্রন্থ, কাবাসমেত সকল উপসনালয় মানুষের কল্যাণের জন্য এসেছে, মানবতার জন্য এসেছে। তাদের কারো সম্মান মোমেনের ঊর্ধ্বে নয়।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃ:১১২
এসলামের কোন কাজ করে বিনিময় নেয়া হারাম।
ধর্ম যেন বিকৃত না হতে পারে সে জন্য আল্লাহ সর্বকালেই ধর্মের বিনিময় গ্রহণকে হারাম করেছেন।
সূত্র: সবার ঊর্ধ্বে মানবতা পৃষ্ঠা-৭
তারা এসলামের বিভিন্ন কাজ যেমন নামাজ পড়িয়ে,কোর’আন খতম দিয়ে,মিলাদ পড়িয়ে,ওয়াজ কোরে অর্থ উপার্জন করেন,তাদের এই জিবিকার পথটি আল্লাহ হারাম কোরেছেন।’
সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:৭০
পবিত্র কোরআনে ধর্মের কাজ করে বিনিময় গ্রহণ করাকে পথভ্রষ্টতা ও জাহান্নামের কারণ বলা হয়েছে।’
সূত্র: হলি আর্টিজেনের পর-৮
ধর্মের কাজ করে কেউ কোন অর্থ গ্রহণ করবেন না। কারণ আল্লাহ তা হারাম করেছেন। ধর্মের বিনিময় নিলে সেটা বিকৃত হয়, ফলে ধর্মের নামে অধর্ম প্রচলিত হয়। ধর্ম মানুষের কল্যাণে চেয়েও অকল্যাণে বেশি ব্যবহৃত হয়। ধর্ম দ্বারা স্বার্থ সিদ্ধি করা জন্যই ধর্মব্যবসায়ীরা মানুষের ধর্ম বিশ্বাসকে ভুল পথে পরিচালিত করার সুযোগ পায় যার পরিণামে সৃষ্ট হয় সহিংসতা ও বিদ্বেষ।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃ:১৭৬
পবিত্র কোরআনে ধর্মের কাজ করে বিনিময় গ্রহণ করাকে পথভ্রষ্টতা ও জাহান্নামের কারণ বলা হয়েছে।
সূত্র: হলি আর্টিজানের পর পৃ:৮
অনন্যপায় হলেও দীনের বিনিময় গ্রহণ করে খাওয়া বৈধ নয়। এমনকি মরে গেলেও আল্লাহর দ্বীনের বিনিময়ের স্বার্থ হাসিল করা, অর্থ রোজগার করে একে জীবিকার মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না।
সূত্র: ধর্মব্যবসার ফাঁদে পৃ:২৭
আযান ও ইমামতির বিনিময় নেয়া নিষেধ:
‘আযানের বিনিময় যদি মজুরি নেওয়া নিষিদ্ধ হয়, নামাজের এমামতির বিনিময় কিভাবে সিদ্ধ হোতে পারে?
সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:৪৭
পরনির্ভরশীল ব্যক্তি ইমামতি করবেন না। মোমেনও পরনির্ভরশীল হতে পারবে না।
সূত্র: ধরব্যবসার ফাঁদে পৃ:৭১
আল্লাহর সমস্ত হুকুম অমান্য করে নিজেরা চাঁদা দিয়ে পেশাদার ইমাম নিয়োগ করা কখন ইসলামসম্মত নয়।
সূত্র: ধরব্যবসার ফাঁদে পৃ:৭১
যারা দীনের বিনিময় নেন তারা আলেম নন।
‘এখন আপনারাই বলুন, যারা বিভিন্ন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন উপায়ে দীনের বিনিময় নিচ্ছেন তারা কি প্রকৃত আলেম হোতে পারেন? অসম্ভব।’
সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:২৩
যারা দীনের বিনিময় নেন তারা পথভ্রষ্ট আলেম।
যে সকল আলেমগণ ধর্মের কাজের বিনিময় অর্থ স্বার্থ গ্রহণ করে তারা নিজেরাই পথচ্যুত। একজন পথ ভ্রষ্ট মানুষ কি করে আরেক ব্যক্তিকে সঠিক পথের সন্ধান দিতে পারে? একি সম্ভব? সুতরাং ধর্মজীবী পেশাদার আলেমদের কাছে যারা মুক্তি পথের সন্ধান করবে, তারাও পথভ্রষ্ট হবে, তারাও জাহান্নামে যাবে।
সূত্র: প্রিয় দেশবাসী পৃ:৮১ ধর্মব্যবসার ফাঁদে পৃ:২৬
ধর্মের বিনিময় সংক্রান্ত আয়াতের অপব্যাখ্যা করে ধর্মব্যবসায়ীরা তাদের এ অবৈধ ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেন, হাজারো অপব্যাখ্যা,মিথ্যা ফতোয়া দেন।তাদের এই সত্য গোপনের ফলে মুসলিম জাতি বহু আগেই পথ হারিয়ে ফেলেছে।
সূত্র: ধর্মব্যবসার ফাঁদে পৃ:৩৩
ধর্মের বিনিময় নিলে তার পেছনে নামাজ হয় না।
‘আল্লাহর পরিষ্কার ঘোষণা অনুযায়ী যারা ধর্মের বিনিময় নেন, তাদের পেছনে নামাজও হয় না। আল্লাহ মুমিনদেরকে তাদের অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন, যাতে কোনোভাবেই এই দীনে কোন পুরোহিত শ্রেণীর আবির্ভাব হোতে না পারে। (ইয়াসিন-২১) সুতরাং যারা তাদের পেছনে নামাজে দাঁড়াবেন তারা আল্লাহর হুকুম অমান্য করছেন।
সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:৪২
নিষেধাজ্ঞা সত্বেও যদি কোন ব্যক্তি বিনিময় গ্রহণকারীর, বিনিময় কামনাকরীর পেছনে উপাসনায় অংশ নেয় তাহলে সে আল্লাহরই নাফরমানী করলো।
সূত্র: প্রিয় দেশবাসী পৃ:৮১
হেযবুত তওহীদের কর্মীদের মুসলিম সমাজ থেকে আলাদা হতে হবে।
সেদিন আল্লাহর রাসূল ও তাঁর আসহাবরা যেমন দীনের ব্যাপারে ঐ সমাজ থেকে হেজরত করেছিলেন, তাদের সাথে এবাদত করা ছেড়ে দিয়েছিলেন, আজ ঠিক তেমনিভাবে প্রকৃত উম্মতে মোহাম্মদী হবার প্রচেষ্টারত হেযবুত তওহীদকেও বর্তমান মুসলিম সমাজ থেকে হেজরত করতে হবে।
সূত্র: এসলামের প্রকৃত রুপরেখা-৫৯
ওয়াজের বিনিময় নেয়া
ওয়াজ নসিহতের সাথে স্বার্থের মিশ্রণ থাকলে তাদের ওয়াজ-নসিহতের কোন প্রভাব মানুষের আত্মায় পড়ে না অর্থাৎ কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আসে না এটা প্রাকৃতিক নিয়ম।
সূত্র: আক্রান্ত দেশ আক্রান্ত ইসলাম পৃ:৮
ওয়াজ করে, নামাজ পড়িয়ে, মূর্দা দাফন করে অর্থ গ্রহণ করা যেমন নিষিদ্ধ, তেমনি রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ধর্মকে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। ৭১ সালেও ধর্মের ব্যাপক অপব্যবহার করা হয়েছে। তাই ধর্মব্যবসা ও জঙ্গিবাদ একই বৃক্ষের দুটি শাখা। ধর্মব্যবসায়ীরাই ইসলামের প্রধান শত্রু। এদের দ্বারাই ধর্মগুলো বিকৃত হয়ে মানবজাতির সবচেয়ে বড় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তাই এদেরকে রসুলুল্লাহ আসমানের নিচে নিকৃষ্টতম জীব হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃ:৮২
খিলাফত ও ভাতা
ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা (ভৌগোলিক রাষ্ট্র নয়) রাষ্ট্রপ্রধান অর্থাৎ খলিফা রাষ্ট্র থেকে ভাতা পাবেন একজন সাধারন মানুষের প্রয়োজন মোতাবেক। অর্থাৎ জীবনের মৌলিক প্রয়োজন, খাবার, কাপড়, বাসস্থান ইত্যাদি।কোনো বিলাসিতা,আড়ম্বর, কোনো জাঁকজমকের জন্য রাস্ট্র খরচ বহন করবে না। প্রকৃত ইসলামের খলিফারা এর বেশি পান নি। মৌলিক প্রয়োজনের মধ্যে বাসস্থানটাও তারা পান নি।
সূত্র: শিক্ষাব্যবস্থা পৃ:৬১
আল্লাহ রাসুল স্বয়ং প্রশাসনিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য বায়তুলমাল থেকে বেতন নির্ধারণ করার নির্দেশ প্রদান করেছেন তিনি আরাফাতের ময়দানে বিদায় হজের ভাষণের সমাবেত সাহাবাীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যাকে আমরা শাসনকার্যে নিযুক্ত করি আমরা তার ভরণ পোষণ করি। এরপরও সে যদি কিছু গ্রহণ করে তা বিশ্বাস ভঙ্গ বা ঘুশ হিসেবে গণ্য হবে। আর ঘুশ মহাপাপ।
সূত্র: ধরব্যবসার ফাঁদে পৃ:৭৪
প্রশাসনিক কাজ করে ভাতা নেয়া যেকোন জীবন ব্যবস্থাতেই এই নিয়ম থাকা যুক্তিযুক্ত। আল্লাহর কালাম শিক্ষা দেওয়া, মানুষকে জান্নাতের পথ প্রদর্শন করা, সালাতে ইমামতি করা ইত্যাদি তো প্রশাসনিক কাজ নয়।মোমেনদের এ সকল কাজের বিনিময় আল্লাহ দিবেন। এক বস্তু যেমন দুইজনের কাছে বিক্রি করা দুর্নীতি, তেমনি ধর্মীয় কাজের বিনিময় মুসল্লিদের কাছ থেকে নেওয়া আবার আল্লাহর কাছেও আশা করা দুর্নীতি।
সূত্র: ধরব্যবসার ফাঁদে পৃ:৭৪
বিনিময় ও সাহাবা রা:
এটা ইতিহাস যে ইসলামের প্রাথমিক যুগে শিক্ষকগণ বিনা পারিশ্রমিকে শিক্ষাদান করতেন। পরবর্তীতে ইসলাম কিছুটা বিকৃত হয়ে গেলে শিক্ষকগণকে তাদের সাংসারিক খরচ বাবদ বায়তুল মাল থেকে ভাতা দেওয়া হতো।
সূত্র: শিক্ষাব্যবস্থা পৃ:৬
আল্লাহ দীনের কাজের বিনিময় নেওয়া হারাম করেছেন। তাই রসুলের একজন সাহাবীকেউ ইতিহাসে দীনের কাজের বিনিময় নিতে দেখা যায় না।
সূত্র: প্রিয় দেশবাসী পৃ:১১০
এ জাতির আলেমদের যে অংশটি দীনের বিনিময় নিতে শুরু করলো, তাঁরা আর ন্যায়ের উপর দন্ডায়মান থাকতে পারলেন না।
সূত্র: ধরব্যবসার ফাঁদে পৃ:৪১
নবীজির জামানায় কোন একটি ধর্মীয় কাজেও অর্থের লেনদেন হতো না।
সূত্র: ধর্মব্যবসার ফাঁদে পৃ:৮৬
রাসুলুল্লাহ সাহাবীরা কখোনই কোরআন পাঠ বা শিক্ষাদানের বিনিময় গ্রহণ করতে না।
একে আগুনের মত ভয় করতেন।
সূত্র: ধর্মব্যবসার ফাঁদে পৃ:১০৪
আবু বকর রা ও ভাতা গ্রহণ:
ওমর রা: এবং মুসলমানদের পিড়াপীড়ির কারণেই বাইতুলমাল থেকে আবু বকর সিদ্দিক রা: বায়তুল মাল থেকে ভাতা গ্রহণ করেছেন।
সূত্র: ধরব্যবসার ফাঁদে পৃ:৭৪
আবু বকর সিদ্দিক রা: বায়তুল মাল থেকে যত অর্থ গ্রহণ করেছেন, সমুদয় অর্থ আয়েশা সিদ্দিকাকে রা: ইন্তেকালের সময় ওসিয়ত করে গেছেন যেন তিনি সেটা জমি বিক্রি করে ফেরত দেন।
সূত্র: ধরব্যবসার ফাঁদে পৃ:৭৫
ওমর রা: ও ভাতা:
একবার খলিফা ওমর কে জিজ্ঞেস করা হলো আল্লাহর মাল থেকে আপনি কতটুকু গ্রহণ করা নিজের পক্ষে বৈধ মনে করেন? তিনি উত্তরে বলেন শীত-গ্রীষ্মের জন্য দুখানা কাপড় হজ্ব ওমর্ করার জন্য সাওয়ারি জন্তু এবং আমার পরিবারের জন্য কোরেশদের কোন মাঝারি পরিবারের সমমানের খাদ্য। এরপর আমি সাধারন মুসলমানদের মতই একজন মুসলমান। তারা যা পাবে আমিও তাই পাবো।
সূত্র: ধরব্যবসার ফাঁদে পৃ:৭৫
ওমরের হাদিসের মধ্যে মুসলিমদের জাতীয় কর্মকাণ্ডে প্রশাসক কর্তৃক নিয়োজিত ব্যক্তি তার ঐ কর্মের পারিশ্রমিক গ্রহণ করতে পারবে এটা স্পষ্ট বলা হয়েছে। যেমন শাসক, বিচারক, কর বা ট্যাক্স আদায়কারী, যাকাত আদায়কারী ইত্যাদি। কারণে রসুল স: উমরকে রা: তার এতদসংক্রান্ত কর্মের মজুরি প্রদান করেছিলেন।
সূত্র: ধর্মব্যবসার ফাঁদে পৃ:৭৬
ওমর রা: বিভিন্ন দেশের প্রশাসক সাহাবীদের বেতন নির্ধারণ করেছিলেন।
সূত্র: ধর্মব্যবসার ফাঁদে পৃ:৭৬
ফকীহ ও বিনিময়
পরবর্তীকালে দীনের বিনিময় নেয়া জায়েজ বলে যারা ফতোয়া দিয়েছেন তারা আল্লাহর আয়াত মোতাবেক অবশ্যই মোমেন পুরুষ এবং নারী নন। আল্লাহ ও রসূলের অবাধ্যতা করে তারা স্পষ্ট পথভ্রষ্টতায় নিমজ্জিত।
সূত্র: ধর্মব্যবসার ফাঁদে পৃ:৮১
বিনিময় ও দোয়া
বিনিময় নিলে দোয়া কবুল হয় না।
সূত্র: ধরব্যবসার ফাঁদে পৃ:৭০
সকল সমস্যার কারণ ধর্ম:
চলমান দুনিয়ায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে বড় বড় সমস্যাগুলো বিরাজ করছে সেগুলোর উৎপত্তি ধর্মকে কেন্দ্র করেই। ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনের প্রসঙ্গে এখানে আসছি না, তবে সেখানেও যাবতীয় সংকটের প্রধান কারণ যে ধর্ম একটু ভেবে দেখলে সকলে তা বুঝতে সক্ষম হবেন।
সূত্র: জঙ্গিবাদ সংকট পৃষ্ঠা-৬৬
প্রচলিত ধর্ম গুলোই মানুষের জীবনে অনেকাংশে অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র: ধর্মবিশ্বাস পৃষ্ঠা-৫
ধর্মের নামে যে পরিমাণ রক্তপাত হয়েছে তেমনটা আর কোনো কারণে হয়নি।
সূত্র: ধর্ম ব্যবসার ফাঁদে পৃষ্ঠা-৭২
সকল ধর্ম নষ্ট হয়ে গেছে
আর সারা বিশ্বে যে ধর্মগুলো চালু আছে সেগুলো সবই সনাতন ধর্মের প্রাণহীন লাশ
মাত্র।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃষ্ঠা-১০৪
যে ধর্ম মানুষকে শান্তি দিতে পারে না সেটা আত্মাহীন ধর্মের লাশ।
সূক্র: সবার ঊর্ধ্বে মানবতা পৃষ্ঠা-৯
ধর্মব্যবসায়ীদের কবলে পড়ে ধর্মের প্রকৃত রূপ হারিয়ে যাওয়ায় বিকৃত ধর্মগুলো মানুষের জন্য শান্তিদায়ক নয়।
সূত্র: ধর্ম বিশ্বাস পৃষ্ঠা-৪
মরিচিকা যেমন তৃষিতকে তৃপ্ত করতে পারে না আরো ক্লিষ্ট করে তেমনি ১৩০০ বছর ধরে বহু ভাবে বিকৃত হওয়া ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মগুলো মানুষকে কেবল সুখস্বপ্নে বিভোর করে প্রতারিতই করে এবং করবে। সেগুলো আর মানুষের ধর্ম নয় কল্যাণে ধর্ম নয়, সেগুলো পুরোহিত-আলেম,পীর, রাজনীতিক স্বার্থান্বেষী ডানপন্থী, রক্ষণশীল আর উগ্রপন্থী জঙ্গিদের ধর্ম।
সূত্র: আদর্শিক লড়াই পৃষ্ঠা-৫
প্রচলিত ধর্ম গুলোই মানুষের জীবনে অনেকাংশে অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর কারণ এগুলো শত সহস্র বছর ধরে বিকৃত হতে হতে বর্তমানের রুপ ধারণ করেছে।
সূত্র: জঙ্গিবাদ সংকট পৃষ্ঠা-৬৭
প্রতিটি ধর্মই বিকৃত হয়ে গেছে এবং সেগুলো আত্মাহীন বিধিনিষেধ চাপিয়ে দিয়ে মানুষের মনের স্বাভাবিক বিকাশসাধন ও জীবনযাপনের জন্য সুস্থ পরিবেশ সৃষ্টিতে ব্যার্থ হচ্ছে।
সূত্র: ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে পৃষ্ঠা-১৫
পূর্ববর্তী কেতাবগুলো ধর্মব্যবসায়ীদের দ্বারা বিকৃত হয়ে গিয়েছিল, এবং শেষ ইসলামও তাদের অতি বিশ্লেষণের ভারে বিকৃত হতে হতে বিপরীতমুখী হয়ে গেছে। কেবল অক্ষত আছে কোরআনের বর্ণগুলো। তার ব্যাখ্যা পাল্টে বহু রকম হয়ে গেছে।
সূত্র: ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে পৃষ্ঠা-৬
পৃথিবীতে এসলাম ধর্ম ছাড়া অন্যান্য যে ধর্মগুলি রয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশই কোন না কোন নবীর (আ:) অনুসারী। তারা তাদের নবীর দেখানো পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে। মোসলেম নামধারী এ জাতিও তাদের নবীর দেখানো, রেখে যাওয়া পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে। যতখানি পথভ্রষ্টতা বিবৃতি আসলে পূর্বে আল্লাহ নতুন নবী পাঠিয়েছেন, এই জাতিতে ততখানি বিকৃত বহু পূর্বেই এসে গেছে। এরপরও নতুন নবী আসেননি, কারণ নবুয়াত শেষ হয়ে গেছে এবং শেষ রসূলের (দ:) প্রতিষ্ঠিত পথে প্রকৃত এসলামে আবার ফিরে যাওয়ার জন্য অবিকৃত কোর’আন ও রাসুলের হাদিস আছে যা অন্যান্য ধর্মে নেই।
সূত্র: শোষণের হাতিয়ার পৃ:৮৪
অন্যান্য ধর্মগুলো হাজার হাজার বছরে এমনিতেই এতখানি বিকৃত হয়ে গেছে যে, তা দিয়ে কোনো জাতির সমষ্টিগত জীবন পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
হলি আর্টিজেনের পর-১৭
আত্মার উন্নতির প্রক্রিয়া পূর্ববর্তি সমস্ত দীনেই ছিল, বিকৃত অবস্থায় আজও আছে এবং ওই পূর্ববর্তী ধর্মগুলোর প্রক্রিয়ায় সাধনা করলে আজও ফল পাওয়া যায়। আজও অন্যান্য ধর্মে অতি শক্তিশালী মহাসাধকরা আছেন যাদের কেরামত অলৌকিক ক্ষমতা মুসলিম অলি-আউলিয়াদের চেয়ে কম নয়। যে কেউ নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় সাধনা করলে তার ফল পাবে, তার আত্মার শক্তি বৃদ্ধি পাবে, অদৃশ্যের গায়েবের অনেক খবর তার কাছে আসবে, সাধারণ মানুষ যা পারে না তেমন কাজ করার ক্ষমতা জন্মাবে এককথায় তাসাউফের বই-কেতাবে যেসব উন্নতির কথা লেখা আছে সবই হবে। কিন্তু এগুলো শেখাতে বিশ্বনবী সা: আসেননি।
সূত্র: বিকৃত সুফিবাদ পৃষ্ঠা-২৫
পূর্ববর্তী সব নবীদের (আ:) উপর অবতীর্ণ দীনগুলো ছিল স্থান ও কালের প্রয়োজনের মধ্যে সীমিত এবং ওগুলোর ভারসাম্য ছিল ওই পটভূমির প্রেক্ষিতে সীমিত। কিন্তু ওই দীনগুলোর ভারসাম্যও মানুষ নষ্ট করে ফেলেছে।
সূত্র: বর্তমানের বিকৃত সুফিবাদ পৃষ্ঠা-১১
সকল ধর্ম বিষে পরিনত হয়েছে
ধর্ম থেকে ধর্ম ব্যবসার মাধ্যমে এর প্রাণকে নিংড়িয়ে নিয়ে বের করে নেওয়া হয়েছে, ফলে বর্তমানে প্রতিটি ধর্মই বিষে পরিণত হয়েছে। খাদ্য হিসেবে মানুষকে সেই বিষাক্ত বর্জ্যই গেলানো হচ্ছে। এর কারণ এই ধর্ম থেকে জন্ম নিচ্ছে জঙ্গিবাদ ফতোয়াবাজি সাম্প্রদায়িকতা হুজুগে উম্মাদনা, ধর্ম নিয়ে অপরাজনীতি ইত্যাদি বহুবিধ ক্ষতিকারক রোগজীবাণু, প্যারাসাইট।
সূত্র: ধর্ম ব্যবসার ফাঁদে পৃষ্ঠা-১৩৯
প্রাচ্যের ধর্মাবলম্বীরা পশু
প্রাচ্যের জাতিগুলির ধর্মবিশ্বাস, কুসংস্কার, মানুষগুলি পশু পর্যায়ের।
সূত্র: ইসলাম শুধু নাম থাকবে পৃষ্ঠা-১২০
সমস্যার সমাধান কোন ধর্মে নেই:
মানুষের আত্মিক এবং মানসিক পরিশুদ্ধির এই প্রশিক্ষণ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা গুলির মধ্যে নেই, ধর্ম গুলির মধ্যে অনুপস্থিত, শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কৃতি সবই তো সম্পূর্ণ বস্তুবাদ ও ভোগবাদী। এ বিষয়গুলো যদি মানুষকে শিক্ষা দেওয়া যায় তাহলে মানুষের মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হবে এবং সামাজিক অপরাধ অনেকাংশেই বন্ধ হবে।
সূত্র: ধর্ম বিশ্বাস পৃষ্ঠা-১৫
সকল ধর্ম আফিম:
কাল মার্চ সকল ধর্মকে আফিম বলেছেন। সেজন্য তাকে কিছুমাত্র দোষ দেই না, তিনি একেবারে সত্য কথা বলেছিলেন। কারন পৃথিবীতে কোন ধর্ম অবিকৃত ছিল না
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃষ্ঠা-৬০
ব্যতিক্রম তিনি (কালমার্কস) দেখতে পেতেন এই শেষ ধর্মের দিকে চাইলে কিন্তু তা পারলেন না কারণ মার্কস যখন চিন্তা করছেন অর্থাৎ গত উনিশ শতাব্দী (খ্রীষ্টীয়) ততদিনে সামান্য কিছু লোকের মধ্যে ছাড়া মোহাম্মদের (দ:) পরবর্তী ‘ধর্ম’ পৃথিবীতে নেই। মার্কস দেখলেন অন্যান্য আর দশটা ধর্মের মতই আরেকটি সেই অন্তর্মুখী ধর্ম যার অনুসারীরা ইউরোপিয়ানদের জুতার তলায় গড়াগড়ি দিচ্ছে, ‘ধর্মের বিধান নিয়ে নিজেদের মধ্যে দলাদলি করছে, হাতে তসবিহ নিয়ে মসজিদে দৌড়াচ্ছে, খানকায় বসে পীর-মুরিদী করছে- সমাজের হর্তাকর্তারা শোষক, অন্যায়কারী। কাজেই মার্কস পৃথিবীর দিকে চেয়ে যে ধর্ম’গুলো তখন দেখলেন সে গুলোকে তিনি আফিম আখ্যা দিয়েছিলেন সে জন্য তাকে কিছুমাত্র দোষ দেই না। তিনি একেবারে সত্য কথা বলেছিলেন।
সূত্র: ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে পৃষ্ঠা- ১৭
কাল মার্কস ধর্মকে আফিম বলেছেন। তাকে একদিক দিয়ে দোষ দেই না তিনি ধর্ম বলতে যা দেখেছিলেন তা অবশ্যই আফিম।
সূত্র: ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে পৃষ্ঠা-১৭
সব ধর্মের অনুসারীরা দাজ্জালের অনুসারী:
আজকে হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম, ইহুদী, খ্রিস্টান কেউই তাদের ধর্মগ্রন্থের অনুসরণ করছে না। সকলেই স্ব ধর্মের বিধান থেকে সরে গেছে এবং দাজ্জালের (জড়বাদী বস্তুতান্ত্রিক সভ্যতা) অনুসরণ করছে।
সূত্র: সবার উর্ধ্বে মানবতা পৃ:১১
দাজ্জালের পত্র-পত্রিকায়, রেডিও-টেলিভিশনে, আলোচনা-বক্তৃতায় এবং শিক্ষাব্যবস্থায় অবিশ্রান্তভাবে প্রচারের ফলে প্রায় সমস্ত মানবজাতির মিথ্যাকে, একুফরকে সত্য বোলে গ্রহণ কোরেছে।
সূত্র:মহাসত্যের আহ্বান (ছোট) পৃ:১০
সবাইকে এখন বলতে হবে যে, মুসলিমরা আপনারা আপনাদের কোরআন থেকে সরে গেছেন, খ্রিস্টান বাইবেল থেকে সরে গেছেন, হিন্দুরা বেদ থেকে, ইহুদীরা তওরাত থেকে সরে গেছেন, কাজেই আপনাদের কারো এখন কোন ধর্ম নেই। আপনারা সবাই এখন পশ্চিমা বস্তুবাদী সভ্যতা দাজ্জালের অনুসারী।
সূত্র: গণমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৯০
জাতীয় জীবনে মানুষের তৈরি, ইউরোপের তৈরি আইন-কানুন গ্রহণ করে জাতি কার্যত কাফের মুশরেক হয়ে গেল এবং সেই যে কাফের মোশরেক হলো তা থেকে আজও প্রত্যাবর্তন করে নি আজও সেই মোশরেকই আছে?
সূত্র: শিক্ষাব্যবস্থার পৃষ্ঠা-১৭
আল্লাহর জীবন ব্যবস্থা প্রত্যাখ্যান করায় দুনিয়াতে তাদের উপর অশান্তি নেমে এসেছে এবং আল্লাহর দ্বীন প্রত্যাখ্যান করায় শাস্তিস্বরূপ আখেরাতেও তারা অনন্তকাল জাহান্নামে অবস্থান করবে।
সূত্র: সম্মানিত আলেমদের প্রতি পৃ:২