ধর্ম কখনো গান-বাদ্য নৃত্যকে না জায়েজ করতে পারেনা। সনাতন ধর্ম সহ অনেক ধর্মেই এগুলি ঈশ্বরের সান্নিধ্য প্রাপ্তির মাধ্যম ছিল প্রকৃতপক্ষে স্বয়ং স্রষ্টাই সুর ও নৃত্য সৃষ্টি করেছেন।
সূত্রঃ গনমাধ্যমের করণীয় পৃ:৫৯
মানুষের কণ্ঠনিঃসৃত সুর, বিভিন্ন তার যন্ত্রের ওপর আঘাত বা ঘর্ষণজনিত আওয়াজ,দফ, তবলা বা অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ ও হারাম নয়।
সূত্র: গনমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৬০
নবী করিম স: আরবে প্রচলিত সাংস্কৃতিক বিষয়গুলোকে উৎসাহিত করেছেন, মদিনায় থাকা অবস্থায় তিনি নিজে গান শুনেছেন, গানের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। বর্তমানে একটা ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে যে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড গুলো যেমন নাচ-গান, চিত্রকলা, ভাস্কর্য নির্মাণ ইত্যাদি ধর্মে অনুমোদিত নয়। মূলত অশ্লীলতার অনুপ্রবেশের কারণেই বিভিন্ন ধর্মবেত্তা আলেমরা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড গান, নাটক,বাদ্য,অভিনয়, নৃত্য এগুলোকে হারাম বলে রায় দিয়েছেন। এটা সম্পূর্ণ অনুচিত।
সূত্র: গঠনতন্ত্র পৃ:৩৩-৩৪
সেমিনারগুলিতে হেযবুত তওহীদের সদস্য সদস্যারা যন্ত্রানুসঙ্গ সহযোগে সংগীত পরিবেশন করে।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃ:১২৩
মুসলিম শিল্পীরা অনেক বাদ্যযন্ত্র শুরলহরী উদ্ভাবন ও রচনা করেছেন একথা সকলেই অবহিত আছেন।
সূত্র: গনমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৬০
নবীগৃহে গান-বাজনা দেখে আবু বকর রা: কন্যা আয়েশাকে তিরস্কার করতে আরম্ভ করলেন। তখন মহানবী বলেলেন: আবু বকর! ওদেরকে বিরক্ত করো না। আজ ওদের উৎসবের দিন বুখারী-মুসলিম।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃ:৯৭
মদিনা জীবনের প্রতি ৩২ দিনে তাকে একটি করে যুদ্ধ সংগঠন করতে হয়েছিল। তাঁর পক্ষে সঙ্গীত, অভিনয় ইত্যাদি শিল্পচর্চা নিয়ে মেতে থাকা সম্ভব ছিল না। কিন্তু তাই বলে কি তিনি এগুলো নিষিদ্ধ করেছেন? কখনোই নয়। এত ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি বাদ্য সহযোগে গান শুনেছেন এমন ভুরি ভুরি উদাহরন তার পবিত্র জীবনে রয়েছে। আরবের বিভিন্ন জাতীয় দিবসগুলোতে, বিবাহে, যুদ্ধে সর্বত্র গানের চর্চা ছিল। অথচ বর্তমানে কেবল হামদ-নাত জাতীয় সংগীত গাওয়াকেই আলেম কোন বৈধ বলে মনে করে থাকেন। তাদের পক্ষে স্বাধীনতা দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি বা পহেলা বৈশাখের গান দূরে থাক, জাতীয় সংগীত গাওয়া ও কাম্য নয়।
সূত্র: গনমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৬০
নতুন নতুন গান নাটক ইত্যাদি তৈরি করা। আমাদের সদস্যদের মধ্যে যেন শিল্প প্রতিভা বিকশিত হয় সে জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবস বা বিষয় উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা।
সূত্র: গঠনতন্ত্র পৃ-৩৪
পন্নী নিজেও ছিলেন শুদ্ধ সংস্কৃতির একজন অনুরাগী ও পৃষ্ঠপোষক। রাগ সঙ্গীতে তার ছিল অগাধ জ্ঞান ও দখল?
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃ:৫২
যদি শিল্পীর গান মানুষকে মানবতার কল্যাণে আত্মদান করতে উদ্বুদ্ধ করে সেই গান এবাদত।
সূত্র: গনমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৬০
আল্লাহর পবিত্র কোরান কাব্যময়। সুতরাং মানব কল্যাণে যতরকম সুর-সংগীত মানুষ আবিষ্কার করতে পারে কোরুক। কেউ বাধা দিতে পারে না।
সূত্র: এ জাতির পায়ে লুটিয়ে পড়বে বিশ্ব পৃ:৫৭
আযান
আজান ইসলামের এক অনন্য সংগীত।
সূত্র: গনমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৫৯।
নাচ,গান হারাম নয়
আলেম দাবিদার একটি শ্রেণী ফতোয়া দিয়ে থাকেন যে নাচ-গান চিত্রাঙ্কন ইত্যাদি ইসলামে নিষিদ্ধ। তাদের এ ধারণা সত্য নয়, আল্লাহ পবিত্র কোর’আনে নাচ, গান-বাজনা চিত্রাঙ্কন, ভাস্কর্য নির্মাণ কিছুই নিষিদ্ধ করেন নি। আল্লাহ কেবল নিষিদ্ধ করেছেন অশ্লীলতা, কারণ অশ্লীলতা থেকে সমাজে অশান্তি বিস্তার লাভ করে থাকে।
সূত্রঃ গনমাধ্যমের করণীয় পৃ:৫৯
যুদ্ধ বিয়েসহ যেকোনো আনন্দ-উৎসবে মদিনায় নাচ ও গানের অনুষ্ঠান করা হতো।
সূত্র: গনমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৫৯।
আল্লাহ নাচকে হারাম করতে পারেন না এবং তিনি এগুলো হারাম করেনও নি।
সূত্র: গঠনতন্ত্র পৃ-৩৪
নাচ-গান ভাস্কর্য নির্মাণ নিষিদ্ধ করা জঙ্গিদের ইসলাম।
সূত্র: গনমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৭৭
নাটক,সিনেমা,চিত্রাঙ্কন, ভাষ্কর্য হারাম নয়
‘কোর’আনে যা কিছু নিষিদ্ধ করা হোয়েছে সেগুলি ছাড়া আর সবই বৈধ। এখন কোর’আনের দেখুন গান বাদ্যযন্ত্র, কবিতা, চলচ্চিত্র, নাট্যকলা, অভিনয়, চিত্রাংকন, ভাস্কর্য নির্মাণ ইত্যাদি আল্লাহ হারাম কোরেছেন কিনা? যদি না কোরে থাকেন তাহোলে এগুলি নিয়ে বাড়াবাড়ি করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আল্লাহ যেটিকে বৈধ কোরেছেন, সেটিকে কোন আলেম, মুফতি ফকীহ, মোফাসসের হারাম করার অধিকার রাখেন না। এ তো গেল সংস্কৃতির কথা। যে শিল্প মানুষের কল্যাণে আসে, মানুষের মেধার ইতিবাচক বিকাশ ঘটায়ে সেই শিল্পচর্চার পথ এসলাম রুদ্ধ তো করেই না বরং উৎসাহিত করে।’
আসুন সিস্টেমটাকেই পাল্টাই-১২।
আজ রাষ্ট্রীয় জীবনে ইসলাম মানেই হচ্ছে দোররা মারা, চুরি করলে হাত কেটে দেওয়া, নারী নেতৃত্ব হারাম করে দেওয়া, গান গাওয়া, ছবি আঁকা, ভাস্কর্য নির্মাণ, সিনেমা, মূর্তিপূজা ইত্যাদি বন্ধ করে দেওয়া। ইসলাম সম্পর্কে মানুষের মনে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য এই কু-ধারণা প্রচার করা হয়েছে। এর পেছনে কট্টরপন্থী কিছু মোল্লাতন্ত্রিক রাষ্ট্র ও অতি বিশ্লেষণকারী ওলামা শ্রেণি দায়ী।
সূত্র: গনমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৯২
লেখক, কবি, নাট্যকারদের অংশগ্রহণ এ সংগ্রামকে নিঃসন্দেহে অনেক ব্যবহার করতে পারে।
সূত্র: গঠনতন্ত্র পৃ:৩০
নাটক, গান, অভিনয় ইত্যাদির মাধ্যমে সত্যটি জনগণের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে জেহাদ।
সূত্র: গণমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৪৭
প্রগতি,মুক্তচিন্তা উতসব ও সংস্কৃতি
আমাদের দেশে আবহমানকাল থেকে চলে আসা নবান্ন উৎসব চৈত্রসংক্রান্তি বা পহেলা বৈশাখ ইত্যাদি কোনো উৎসবই শরিয়ত পরিপনরতী হতে পারেনা। তবে উৎসবের নামে যদি অশ্লীলতা,অপচয় ও অন্যায়ের বিস্তার ঘটানো হয় সেটা অবশ্যই নিষিদ্ধ।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃ:৯৪
ধর্মব্যবসায়ীরা ফতোয়াবাজি করে প্রগতি ও মুক্তচিন্তার সকল পথ রুদ্ধ করেছে। শিল্প সংস্কৃতির চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
সূত্র: আদর্শিক লড়াই পৃষ্ঠা-৩
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কোন আঞ্চলিক নৃগোষ্ঠীর নিজস্ব সংস্কৃতিকে নিষিদ্ধ করেন নি, কারো সংস্কৃতিকেই অবজ্ঞা করে নি।
সূত্র: গঠনতন্ত্র পৃ:৩৩
যে স্রষ্টা এত বড় শিল্পী তিনি কি করে মানবজাতির জন্য শিল্পকে হারাম করতে পারেন। সুতরাং অশ্লীলতা না করে বা কারো সম্মানহানি না করে, স্রষ্টার নাফরমানী না করে যে কোনো শিল্পকর্মই ইসলামের দৃষ্টিতে কেবল বৈধই নয় আল্লাহর সকল নবী-রাসুল, অবতার এমনকি শেষ রসুল মোহাম্মদও (দ.) একে উৎসাহিত করেছেন।
সূত্র: গনমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৫৯।
উৎসব আর ঈদ আসলে একই কথা।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃ:৯৬
আল্লাহর হুকুম মোতাবেকই বিভিন্ন জনপদে বিভিন্ন আঞ্চলিক উৎসব প্রচলিত হয়েছে।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃ:৯৬
যদি আল্লাহর হুকুম মোতাবেক গরিব দুঃখী মানুষকে তাদের অধিকার প্রদান করা হতো তাহলে এ আনন্দ পূর্ণতা পেত আর এই উৎসবগুলো এবাদত এ পরিণত হতো।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃ:৯৭
খেলাধুলা
আল্লাহ রাসুল স: স্বয়ং মসজিদে নববীর সামনে খেলাধুলার আয়োজন করতেন। কুস্তি, তীর বা বর্শা নিক্ষেপ, ঘোড়দৌঁড় ইত্যাদিতে নিজে অংশ নিতেন এবং সাহাবাদেরকে এ ব্যাপারে উৎসাহিত করতেন।
সূত্র: প্রিয় দেশবাসী পৃ:১২৬
পন্নী জীবদ্দশায় ‘তাওহীদ কাবাডি’ দল প্রতিষ্ঠা করেন এবং হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমও তাওহীদ ফুটবল ক্লাব গঠন করেছেন।
সূত্র: প্রিয় দেশবাসী পৃ:১২৬
হেযবুত তওহীদ আন্দোলনের সদস্যদের মধ্যে শারীরিক সুস্থতা, ক্ষিপ্রতা, গতিশীলতা, সাহসিকতা ইত্যাদি বৃদ্ধির জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা থাকবে। এক্ষেত্রে দেশীয় বা আন্তর্জাতিক বহিরঙ্গনের (আউটডোর) খেলা যেমন কাবাডি,হা-ডু-ডু, ফুটবল দৌড়,সাঁতার,ব্যডমিন্টন ইত্যাদিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
কাবাডি আবার জনপ্রিয় করে তোলার জন্য তিনি (পন্নী) তার জীবদ্দশায় “তাওহীদ কাবাডি দল” প্রতিষ্ঠা করেন যার মাধ্যমে হেযবুত তওহীদের সদস্যরা সারাদেশে অসংখ্য কাবাডি টুর্নামেন্টের আয়োজন করে আসছেন।
মহামান্য এমামুয্যামানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে মাননীয় ইমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমও ‘তওহীদ ফুটবল ক্লাব’ গঠন করেছেন। কাজেই হেযবুত তওহীদের সকল নারী-পুরুষকে খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করার জন্য আন্দোলনের সব শাখায় একটি ক্রীড়া বিভাগ থাকবে যার দায়িত্ব পালন করবেন একজন ক্রীড়া সম্পাদক।
জাতীয়ভাবে পরিচালিত বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা এবং তাদের আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের চেষ্টা করা।
সূত্র: গঠনতন্ত্র পৃ:৩২