নবিজি স: কি দিয়ে ইফতার করতেন?

খেজুর দিয়ে ইফতার করা মুস্তাহাব। যদি খেজুর না থাকে,তাহলে পানি দ্বারা ইফতার করবে। কারণ হাদিস শরীফে এসেছে,

عن أنس بن مالك رضي الله عنه قال قال النبي صلي الله عليه. وسلم مَنْ وجدَ تمرًا فلْيُفطِرْ عليهِ ومَنْ لا فلْيُفطِرْعلى الماءِ فإنَّه طَهورٌ
সূত্র: জামে সগীর হাদিস-৯০৫৫ তিরমিযী-৬৫৮ আহমাদ-১৬২৪২

নেবুলাইজারে রোযা নষ্ট হবে?

মূলত নেবুলাইজারের মাধ্যমে শ্বাষকষ্ট দূর করার জন্য ঔষধ তরল বা বাষ্প আকারে ভিতরে প্রবেশ করানো হয়ে থাকে। ফলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। (তবে যদি শুধু বাতাস ভিতরে প্রবেশ করায় তাহলে রোযা নষ্ট হবে না।) কারণ হাদিসে এসেছে,

عنِ ابنِ عبّاسٍ رَضِي اللَّهُ عنهُما قال إنما الفِطرُ مما دخلَ وليسَ مما خرجَ
সূত্র: বায়হাকী হাদিস-৮৫১২ আল মাজমু (নববী) খ:৬ পৃ:৩১৭ রদ্দুল মুহতার খ:২ পৃ: ৪০২ ফাতাওয়া হিন্দিয়া খ: ১ পৃ: ২০৪

 ما دخل فى الجوف إن غاب فيه فسد
সূত্র: রদ্দুল মুহতার খ. ৩ পৃ. ৩৬৯

রোযাদার ভুলে কিছু খেলে রোযা হবে।

من نسي وهو صائم فأكل أو شرب فليتم صومه، فإنما أطعمه الله وسقاه
সূত্র: সহীহ মুসলিম: ১১৫৫

তবে সে যে রোযা এ কথা স্মরণ হওয়ার সাথে সাথেই খাওয়া বন্ধ করতে হবে।

রোযা রেখে আলট্রাসনোগ্রাম করা যাবে।

আলট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষায় যে ঔষধ বা যন্ত্র ব্যবহার করা হয়, তার সবই চামড়া বা স্কীনের উপরে থাকে, ভেতরে প্রবেশ করে না। তাই আলট্রাসনোগ্রাম করলে রোযা নষ্ট হবে না।কারণ হাদিসে এসেছে,

عنِ ابنِ عبّاسٍ رَضِي اللَّهُ عنهُما قال إنما الفِطرُ مما دخلَ وليسَ مما خرجَ
সূত্র: বায়হাকী হাদিস-৮৫১২ আল মাজমু (নববী) খ:৬ পৃ:৩১৭

لايفسد لانه لم يصل الى الجوف ولا الى الدماغ
সূত্র: বাদায়েউস সানায়ে খ. ২ পৃ. ৯৩

ইনহিলারে রোযা নষ্ট হবে।

যেহেতু ইনহিলারের মাধ্যমে ঔষধ সে রাস্তা দিয়েই প্রবেশ করে,যে রাস্তা দিয়ে খাদ্য গ্রহণ করা হয় ফলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। যদি কেউ এমন অসুস্থ হয় যে, তাকে ইনহেলার ব্যবহার করতে হয়,তার জন্য রোযা না রাখার অনুমতি রয়েছে। তবে যদি কেউ রোযা থেকে ইনহেলার নেয়,তাহলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। পরে কাযা করতে হবে।কারণ হাদিসে এসেছে,

عنِ ابنِ عبّاسٍ رَضِي اللَّهُ عنهُما قال إنما الفِطرُ مما دخلَ وليسَ مما خرجَ
সূত্র: বায়হাকী হাদিস-৮৫১২ আল মাজমু (নববী) খ:৬ পৃ:৩১৭ রদ্দুল মুহতার খ:২ পৃ: ৪০২ ফাতাওয়া হিন্দিয়া খ: ১ পৃ: ২০৪

 ما دخل فى الجوف إن غاب فيه فسد
সূত্র: রদ্দুল মুহতার খ. ৩ পৃ. ৩৬৯

রোযা অবস্থায় টুথব্রাশ করা মাকরুহ।

রোযাদারের জন্য টুথব্রাশ করা মাকরুহ। কারণ টুথব্রাশ করলে পেস্ট বা মাজনের কিছু গলার ভেতরে চলে যাওয়াটা স্বাভাবিক। আর যদি গলার ভেতর চলে যায়, তাহলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। কারণ হাদিসে এসেছে,

عنِ ابنِ عبّاسٍ رَضِي اللَّهُ عنهُما قال إنما الفِطرُ مما دخلَ وليسَ مما خرجَ

সূত্র: বায়হাকী হাদিস-৮৫১২ আল মাজমু (নববী) খ:৬ পৃ:৩১৭ রদ্দুল মুহতার খ:২ পৃ: ৪০২ ফাতাওয়া হিন্দিয়া খ: ১ পৃ: ২০৪ ইমদাদুল ফাতাওয়া খ: ২ পৃ:১৪১ জাওয়াহিরুল ফিকহ খ: ৩ পৃ:৫১৮

এ ক্ষেত্রে দাঁত পরিস্কার রাখতে ইফতারের সময় থেকে নিয়ে সাহরীর শেষ সময় পর্যন্ত দীর্ঘ এ সময়টিতে দাঁত ব্রাশ করে নেবো এবং দিনের বেলায় মিসওয়াক করে নেবো।

প্রেগন্যান্ট মহিলার বমি হলে রোযা হবে।

প্রেগন্যান্ট মহিলা হোক আর সাধারণ মহিলা বা অন্য যে কেউ হোক, অনিচ্ছায় মুখ ভরে বমি হলে রোযা ভাঙ্গবে না।

ثلاثٌ لا يُفَطِّرْنَ الصائِمَ الحِجامةُ والقَيْءُ والاحِتِلامُ
সূত্র: জামে তিরমিযি হাদিস: ৭১৯

তবে ইচ্ছেকৃত বমি করলে মুখ ভরে হলে ভেঙ্গে যাবে। মুখ ভরে না হলে ভাঙ্গবে না।
সূত্র: ফতোয়ায়ে আলমগীরী ১/২০৪)

পায়খানার সাথে রক্ত গেলে রোযা হবে।

রোজা অবস্থায় পায়খানার সাথে তাজা রক্ত বেরিয়ে গেলে রোযা ভঙ্গ হবে না।

হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ

إِنَّمَا الْإِفْطَارُ مِمَّا دَخَلَ وَلَيْسَ مِمَّا خَرَجَ
সূত্র: মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৪৬০২

স্বপ্নে কিছু খেলে রোযা হবে।

ঘুমের মাঝে মানুষ কত কিছুই করে। এর দ্বারা যেমন দুনিয়ার কোন কিছু অর্জিত হয় না। তেমনি শরয়ী কোন বিধানও আরোপিত  হয় না। সেই হিসেবে ঘুমের মাঝে আপনি যত ইচ্ছে খানা খান এর দ্বারা যেমন আপনার পেট ভরে না, তেমনি রোযাও ভাঙ্গবে না।

عن عائشة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال رُفِع القلمُ عن ثلاثةٍ عن النّائمِ حتّى يستيقظَ وعن الغلامِ حتّى يحتلِمَ وعن المجنونِ حتّى يُفيقَ
সূত্র: সহিহ ইবনে হিব্বান হাদিস: ১৪২

لايفسد لانه لم يصل الى الجوف ولا الى الدماغ
সূত্র: বাদায়েউস সানায়ে খ. ২ পৃ. ৯৩

অক্সিজেন মাস্ক ব্যবহারে রোযা নষ্ট হবে?

অক্সিজেন মাস্কে যদি কোন ঔষধ বা অন্য কিছু ব্যবহ্নত না করা হয় এবং শুধু বাতাস ভিতরে প্রবেশ করে, তাহলে এর দ্বারা রোযা ভঙ্গ হবে না। কারণ হযরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত,

وإنما الفطر مما دخل وليس مما خرج
সূত্র: মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক হাদীস নং-৬৫৮

أن ما دخل فى الجوف إن غاب فيه فسد
সূত্র: রদ্দুল মুহতার খ. ৩ পৃ. ৩৬৯

রোযা অবস্থায় চোখে সুরমা, মেকাপ, আইলানা-মাশকারা বা মেহেদী ইত্যাদী দেয়া যাবে।

রোযা অবস্থায় চোখে সুরমা ব্যবহার করতে কোন সম্যা নেই। হাদীস শরীফে এসেছে যে,

عن عائشة أم المؤمنين اكتَحلَ رَسولُ اللَّهِ صلّى اللَّهُ عليهِ وسلَّمَ وَهوَ صائمٌ
সূত্র: ইবনে মাজা হাদিস-১৬৭৮ (হাদিস সহীহ) ফাতাওয়া হিন্দিয়া খ: ১ পৃ: ২০৩ রদ্দুল মুহতার খ:২ পৃ:৩৯৫

لايفسد لانه لم يصل الى الجوف ولا الى الدماغ
সূত্র: বাদায়েউস সানায়ে খ. ২ পৃ. ৯৩

পায়ুপথে ডুশ দিলে রোযা নষ্ট হবে?

পায়ুপথে বা মলদ্বারের ভেতর ওষুধ বা পানি ইত্যাদি প্রবেশ করলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে এবং পরে সেটা কাযা করতে হবে। কারণ হাদিসে এসেছে,

عنِ ابنِ عبّاسٍ رَضِي اللَّهُ عنهُما قال إنما الفِطرُ مما دخلَ وليسَ مما خرجَ
সূত্র: বায়হাকী হাদিস-৮৫১২ আল মাজমু (নববী) খ:৬ পৃ:৩১৭ রদ্দুল মুহতার খ:২ পৃ: ৪০২ ফাতাওয়া হিন্দিয়া খ: ১ পৃ: ২০৪

 ما دخل فى الجوف إن غاب فيه فسد
সূত্র: রদ্দুল মুহতার খ. ৩ পৃ. ৩৬৯

স্বপ্নদোষ হলে রোযা হবে।

عن أبي سعيد الخدري قال قال النبي صلي الله عليه وسلم ثلاثٌ لا يُفطرْنَ الصائمَ الحجامةُ والقيءُ والاحتلامُ
সূত্র: তিরমিযি হাদিস-৭১৯ নাসবুর রায়াহ খ:২ পৃ:৪৪৬ দারেকুতনী খ:২ পৃ:১৮৩

সুতরাং স্বপ্নদোষ হলে বীর্যপাত হোক বা না হোক রোযা নষ্ট হবে না।

لايفسد لانه لم يصل الى الجوف ولا الى الدماغ
সূত্র: বাদায়েউস সানায়ে খ. ২ পৃ. ৯৩

গর্ভবতী ও দুগ্ধপানকারিনী নারীর জন্য রোযা:

নবিজি স: বলেন,

إن اللهَ وضع عن المسافرِ الصوم وشطرَ الصلاةِ وعن الحامل أو المرضع الصومَ أو الصيامَ
সূত্র: তিরমিযী হাদিস-৭১৫ ইবনে মাজা-১৬৬৭ মুসনাদে আহমাদ-১৯০৬৯ (হাদিস: হাসান)
ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া খ:৩ পৃ:৪০৪

গোসল ফরজ অবস্থায় সাহরী করা যাবে।

কারণ নবিজি স: দু’জন সহধর্মিণী আম্মাজান আয়েশা রা: ও উম্মে সালামা রা: থেকে বর্ণিত,

أنَّ رَسولَ اللَّهِ ﷺ كانَ يُدْرِكُهُ الفَجْرُ وهو جُنُبٌ مِن أهْلِهِ ثُمَّ يَغْتَسِلُ ويَصُومُ
সূত্র: বুখারী হাদিস-১৯২৫ ইবনে হিব্বান-৩৪৯৬

বি:দ্র: তবে গোসল না করে যেহেতু পবিত্র হওয়া যায় না, অতএব ফজরের ওয়াক্ত চলে যাবার আগেই গোসল করে নামাজ পড়ে নিতে হবে।

আসমানের দরজা খোলা

إذا كان أولُ ليلةٍ من رمضانَ فُتحت أبوابُ السماءِ فلا يغلقُ منها بابٌ حتى تكونَ آخرُ ليلةٍ من رمضانَ
সূত্র: শুয়াবুল ঈমান (বাইহাকী) হাদিস: ৩৬৩৫

রিজিক বৃদ্ধি
وشَهْرٌ يزدادُ فيهِ رزقُ المؤمنِ،
সূত্র: সহিহ ইবনে খুযাইমা খ. ৩ পৃ. ৩৪১

এ মাস ইনকামের, তবে নেকির।

সাহাবায়ে কেরাম রমজান আসলে তিন মাস আগ থেকে প্রস্তুতি নিতেন।
….আর আমরা মাল স্টক করি

ألا مَن ظلَم مُعاهَدًا أو انتقَصه أو كلَّفه فوق طاقتِهِ أو أخَذ منه شيئًا بغَيرِ طِيبِ نَفْسٍ، فأنا حَجيجُهُ يومَ القِيامةِ
সূত্র: সুনান আবু দাউদ হাদিস: ৩০৫২

কোনো গরীবের সন্তান যদি ইফতারী না পেয়ে কাঁদে

...আমার শায়খের ব্যাঙ্গল সফরের ঘটনা।
…আমি কোন পর্যায়ের মুসলমান।

অধিনস্তদের কাজ কমিয়ে দেয়া

مَن خفَّفَ عن مَملوكِهِ غَفرَ اللَّهُ لَهُ، وأعتقَهُ منَ النّارِ،
সূত্র: সহিহ ইবনে খুযাইমা খ. ৩ পৃ. ৩৪১

الرزق مقسوم والحرص محروم

নেকীর হিসাব

جزاء من ربك عطاء حسابا
সুরা নাবা: ৩৬

واللَّهُ يُضاعِفُ لِمَنْ يَشاءُ واللَّهُ واسِعٌ عَلِيمٌ
বাকারা: ২৬১

يقولُ اللَّهُ عزَّ وجلَّ: الصَّوْمُ لي وأنا أجْزِي به، يَدَعُ شَهْوَتَهُ وأَكْلَهُ وشُرْبَهُ مِن أجْلِي،
সূত্র: সহিহ বুখারী: ৭৪৯২

الا ان اولياء الله لا خوف عليهم
সুরা ইউনুস: ৬২

কোরআনের তিলাওয়াতকারী আল্লাহর পরিজন:

عن أنس بن مالك قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إنَّ للهِ أَهْلينَ منَ النّاسِ، فقيل: مَن أهلُ اللهِ منهم؟ قال: أهلُ القُرآنِ هم أهلُ اللهِ وخاصَّتُه.
ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২১৫ মুসনাদে আহমাদ: ১২২৭৯

হযরত আবু যার গিফারী রা. বলেন,

قلتُ يا رسولَ اللهِ أوصني قال عليك بتقوى اللهِ فإنَّه رأسُ الأمرِ كلِّه قلتُ يا رسولَ اللهِ زِدني قال عليك بتلاوةِ القرآنِ فإنَّه نورٌ لك في الأرضِ وذُخرٌ لك في السَّماءِ
আত-তারগীব ওয়াত তারহীব খ. ২ পৃ. ২৯৮

১. নুর হবে।

فَمَنِ اتَّبَعَ هُدَايَ فَلا يَضِلُّ وَلا يَشْقَى 
সুরা ত্বহা আয়াত: ১২৩

عن ابن عباس، قال: تضمن الله لمن قرأ القرآن، واتبع ما فيه أن لا يضل في الدنيا ولا يشقى في الآخرة
সূত্র: তাফসীরে তাবারী খ. ৮ পৃ. ৪৬৯

২. আসমানে আলোচনা হবে।

খতমে তারাবীহ কি বিদআত?

হানাফী মাযহাব:

السنة فى التراويح إنما هو الختم مرة، فلا يترك لكسل القوم
সূত্র: বাহরুর রায়েক খ. ২ পৃ. ১২০ ফাতাওয়া আলমগিরিয়া খ. ১ পৃ. ১৩০ তাতারখানিয়া খ. ১ পৃ. ৪১৪

সালাফীদের ফাতাওয়া।

শায়খ বিন বায রহ. এর ফাতাওয়া।

ختم القرآن في التراويح والتهجد عمل حسن
সূত্র: মাজমুউ ফাতাওয়া (বিন বায) খ. ১১ পৃ. ৩৩৩

তাবেয়ীদের ফাতাওয়া:

হযরত হাসান বসরী রহ. বলেন:

عَنِ الْحَسَنِ قَالَ مَنْ أَمَّ النَّاسَ فِي رَمَضَانَ فَلْيَأْخُذْ بِهِمُ الْيُسْرَ فَإِنْ كَانَ بَطِيءَ الْقِرَاءَةِ فَلْيَخْتِمِ الْقُرْآنَ خَتْمَةً وَإِنْ كَانَ قِرَاءَتُهُ بَيْنَ ذَلِكَ فَخَتْمَةٌ وَنِصْفٌ فَإِنْ كَانَ سَرِيعَ الْقِرَاءَةِ فَمَرَّتَيْنِ
সূত্র: মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা হাদীস: ৭৭৬১

ইমাম বুখারী রহ. এর আমল:

كَانَ مُحَمَّد بن إِسْمَاعِيل البُخَارِيّ إِذَا كَانَ أَوَّلُ لَيْلَةٍ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ يجْتَمع إِلَيْهِ أَصْحَابه فيصلى بهم وَيقْرَأ فِي كل رَكْعَة عشْرين آيَة وَكَذَلِكَ إِلَى أَن يخْتم الْقُرْآن
সূত্র: তাগলীকুত তা’লীক খ. ৫ পৃ. ৩৯৯ হাদয়ুস সারী মুকাদ্দিমা ফাতহুল বারী খ. ১ পৃ. ৪৫৫
তারিখে দিমাশক খ. ৫২ পৃ. ৭৯

খৃষ্টানদের ষড়যন্ত্র

খৃষ্টানরা কুরআন থেকে দুরে রাখতে চেয়েছিলো। আর আজ তাদের চামচারা দুরে রাখতে মিথ্যা বানোয়াট ফতাওয়া দেয়।

অযু ছাড়া কুরআন শরীফ ধরা।

হাকিম ইবনে হিযাম রা. কে নবীজি সা. বলেন,

لا تَمَسَّ القرآنُ إلا وأنتَ طاهرٌ
সূত্র: জামে সগীর হাদিস: ৯৮৪৭ (সহিহ)

ইমাম দারাকুতনী রহ. বলেন,

رواته كلُهم ثقات
সূত্র: তানকীহুত তাহকীক খ. ১ পৃ. ২৩২

ফিরিস্তাদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,

لَّا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ
সুরা ওয়াকিয়া আয়াত: ৭৯

…ফিরিস্তারা নাপাক হন না।
…ফিরিস্তারা মাসুম এরপরও ধরেন না।

হালুয়াঘাটে টর্নেডোর পরও দেয়াল উড়ায়া নেয়নাই।
…আইয়ুবী সাহেব

কুরআন শোনার ফযিলত:

واذا قرأ القران فاستمعوا له …ترحمون
রহমতের অর্থ
توفيق طاعت
فراخي معيشة
بے حساب مغفرت
دخول جنت

চেষ্টা করতে করতে মারা গেলে

ফেসবুকে নারী দেখলে গুনাহ

হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন,

خَمسٌ مِن العِبادَةِ قِلَّةُ الطعام والقَعُودِ في المساجِدِ والنَّظرُ إلى الكَعبَةِ والنَّظرُ في المُصحَفِ والنَّظرُ إلى وجهِ العالِمِ
সূত্র: আল ইলালুল মুতানাহিয়া (ইবনে জাওযী) ১৩৮৭

শুদ্ধ করার চেষ্টায় ঠেকে ঠেকে তিলাওয়াতকারীর

عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْمَاهِرُ بِالْقُرْآنِ مَعَ السَّفَرَةِ الْكِرَامِ الْبَرَرَةِ وَالَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَيَتَتَعْتَعُ فِيهِ وَهُوَ عَلَيْهِ شَاقٌّ لَهُ أَجْرَانِ
সূত্র: সহিহ মুসলিম: ৭৯৮

কুরআন ওয়ালাদের জন্য

বাবার লাশ কবরে নেয় না সন্তান।
…করোনা- বিদেশ- সম্পদ

إذا وضع الميت في قبره
جاءه القرآن فكان عند رأسه
সূত্র: তাফসীরে ইবনে কাসীর খ. ২ পৃ. ৩৩৯

কিয়ামতে কেউ কাউকে চিনবে না।

الصيامُ والقرآنُ يشفعانِ للعبدِ يومَ القيامةِ، يقولُ الصيامُ: أيْ ربِّ إنِّي منعتُه الطعامَ والشهواتِ بالنهارِ فشفعْنِي فيهِ، يقولُ القرآنُ ربِّ منعتُهُ النومَ بالليلِ فشفعْنِي فيهِ، فيُشَفَّعانِ
সূত্র: জামে সগীর হাদিস: ৫১৮৫

Check Also

…৫১ নাম্বারে আমার নাম। …করোনাকালীন সময়ে কোথায় ছিলে ما يلفظ من قول الا الخ তোমাদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.