Home > ওয়াজ > স্বামী-স্ত্রীর অধিকার

স্বামী-স্ত্রীর অধিকার

বিবাহ করা

وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ خَلَقَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِّتَسْكُنُوا إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُم مَّوَدَّةً وَرَحْمَةً إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ

অর্থ: আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।
সুরাঃ রুম, আয়াত: ২১

হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত নবীজি সা. বলেন,

ثلاثةٌ حقٌّ على اللهِ عونهم: المجاهدُ في سبيلِ اللهِ، والْمُكاتَبُ الذي يريدُ الأداءَ، والناكحُ الذي يُرِيدُ العفافَ
সূত্র: জামে তিরমিযি হাদিস: ১৬৫৫ নাসাঈ: ৩২১৮

নবীদের সুন্নাত:

وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا رُسُلاً مِّن قَبْلِكَ وَجَعَلْنَا لَهُمْ أَزْوَاجًا وَذُرِّيَّةً وَمَا كَانَ لِرَسُولٍ أَن يَأْتِيَ بِآيَةٍ إِلاَّ بِإِذْنِ اللّهِ لِكُلِّ أَجَلٍ كِتَابٌ

আপনার পূর্বে আমি অনেক রসূল প্রেরণ করেছি এবং তাঁদেরকে পত্নী ও সন্তান-সন্ততি দিয়েছি। কোন রসূলের এমন সাধ্য ছিল না যে আল্লাহর নির্দেশ ছাড়া কোন নিদর্শন উপস্থিত করে। প্রত্যেকটি ওয়াদা লিখিত আছে।
সুরাঃ রা’দ, আয়াত: ৩৮

عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَرْبَعٌ مِنْ سُنَنِ الْمُرْسَلِينَ الْحَيَاءُ وَالتَّعَطُّرُ وَالسِّوَاكُ وَالنِّكَاحُ

অর্থ: হযরত আবূ আয়্যুব আল-আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ চারটি জিনিস নবীদের চিরাচরিত সুন্নাত। লজ্জা-শরম, সুগন্ধি ব্যবহার, মিসওয়াক করা এবং বিয়ে করা।
সূত্র: জামে তিরমিযি হাদিস: ১০৮০

নবীজির সা. সুন্নাহ:

হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত নবীজি সা. বলেন,

حُبِّب إليَّ النِّساءُ والطِّيبُ وجُعِلَتْ قُرَّةُ عَيني في الصَّلاةِ
সূত্র: তবরানী খ. ৬ পৃ. ৫৩

আম্মাজান আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত নবীজি সা. বলেন,

النِّكاحُ من سُنَّتِي فمَنْ لمْ يَعْمَلْ بِسُنَّتِي فَليسَ مِنِّي، وتَزَوَّجُوا؛ فإني مُكاثِرٌ بِكُمُ الأُمَمَ، ومَنْ كان ذا طَوْلٍ فَلْيَنْكِحْ، ومَنْ لمْ يَجِدْ فَعليهِ بِالصِّيامِ، فإنَّ الصَّوْمَ لهُ وِجاءٌ
সূত্র: ইবনে মাজা হাদিস: ১৮৪৬

আল্লাহ তা’য়ালা বলেন,

هُنَّ لِبَاسٌ لَكُمْ وَأَنْتُمْ لِبَاسٌ لَهُنّ

মানে চামড়া তুলে গায়ে দেয়া নয়,

وَقَالَ الرَّبِيعُ بْنُ أَنَسٍ: هُنَّ فِرَاشٌ لَكُمْ وَأَنْتُمْ لِحَافٌ لَهُنَّ،
সূত্র: তাফসীরে বগবী

স্বামী স্ত্রী একে অপরকে জড়িয়ে ঘুমাবে। কিন্তু এখন স্বামী একদিকে স্ত্রী আরেকদিকে। স্বামী শুয়ে গেমস খেলে, আর স্ত্রী হিন্দি সিরিয়াল দেখে। শুধু চ্যানেল পাল্টায়।

১. প্রশান্তির ছোয়া:

وكذلك زوجة الرجل سَكنه يسكن إليها، كما قال تعالى ذكره: ﴿وَجَعَلَ مِنْهَا زَوْجَهَا لِيَسْكُنَ إِلَيْهَا﴾ [سورة الأعراف: ١٨٩] فيكون كل واحد منهما”لباسًا” لصاحبه، بمعنى سكونه إليه. وبذلك كان مجاهد وغيره يقولون في ذلك.

২. গুনাহ থেকে বাঁচানোর পর্দার মত:

فَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا سِتْرًا لِصَاحِبِهِ عَمَّا لَا يَحِلُّ

অর্থাৎ এ কথাও বলা যায় যে, স্বামী-স্ত্রী তাদের উভয়ের অবৈধ কাজে লিপ্ত হওয়ার মাঝে পর্দা।

কারণ হাদিস শরীফে এসেছে,

مَن تزوَّج فقدِ استكمَل نِصفَ الإيمانِ فلْيتَّقِ اللهَ في النِّصفِ الباقي
সূত্র: তবরানী খ. ৮ পৃ. ৩৩৫

ঈমানের পূর্ণতা:

হযরত মুয়াজ ইবনে আনাস থেকে বর্ণিত নবীজি সা. বলেন,

من أعطى للهِ، ومنع للهِ، وأحبَّ لله، وأبغضَ للهِ، وأنكح للهِ، فقد استكمل إيمانَه
সূত্র: জামে তিরমিযি হাদিস: ২৫২১

قُل لِّلۡمُؤۡمِنِينَ يَغُضُّواْ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِمۡ وَيَحۡفَظُواْ فُرُوجَهُمۡۚ ذَٰلِكَ أَزۡكَىٰ لَهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ خَبِيرُۢ بِمَا يَصۡنَعُونَ

অর্থ: মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জা স্থানের হিফাজত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত।
সুরাঃ নূর আয়াত: ৩০

ইবনে মাসউদ রা. বলেন,

كُنّا مع النبيِّ ﷺ، فَقالَ: مَنِ اسْتَطاعَ الباءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ، فإنَّه أغَضُّ لِلْبَصَرِ، وأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ، ومَن لَمْ يَسْتَطِعْ فَعليه بالصَّوْمِ، فإنَّه له وِجاءٌ
সূত্র: সহিহ বুখারী হাদিস: ১৯০৫

وما حق الطريق يا رسول الله؟ قال: غض البصر، وكف الأذى ، ورد السلام، والأمر بالمعروف، والنهي عن المنكر”.

দৃষ্টি হেফাজতের ফলে মহাবিজয়

হজরত উবায়দা ইবনে জাররাহ (রা.) একবার সাহাবাদের নিয়ে অমুসলিদের দুর্গে হামলা করলেন। দুর্গ অবারোধ করে রাখলেন। অবরোধ দীর্ঘ হয়ে গেল। বিজয় হচ্ছিল না। যখন অমুসলিমরা দেখল, মুসলমানরা অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে দুর্গ অবরোধ করে রেখেছেন। তখন তারা একটি ষড়যন্ত্র করল যে, আমরা মুসলমানদের বলব—আমরা দুর্গের দরজা তোমাদের জন্য খুলে দিচ্ছি। তোমরা শহরে প্রবেশ করো। ষড়যন্ত্র হলো, শহরের দরজা যে দিক দিয়ে খুলছিল, সে দিকে লম্বা বাজার ছিল। যার দুই পাশে দোকান ছিল। সেই বাজার শাহি মহলে গিয়ে শেষ হয়েছিল। তারা বাজারের দুই পাশে সুন্দরী নারীদের সাজিয়ে প্রত্যেক দোকানে একজন একজন বসিয়ে দিল। তাদের বলে দিল, যদি মুজাহিদরা তোমাদের সঙ্গে কোনো কিছু করতে চায় তাহলে তোমরা অস্বীকৃতি জানাবে না। যেহেতু তাঁরা কয়েক মাস যাবৎ নিজ বাড়ি থেকে দূরে। ভেতরে প্রবেশের পর হঠাৎ যখন সুদর্শন এবং সুসজ্জিত নারী দেখবে, তখন তাঁরা তাদের প্রতি আকৃষ্ট হবে, তাদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাবে। আর আমরা পেছন দিক থেকে আক্রমণ করব।

তাঁদের যখন এ প্রস্তাব দেওয়া হলো, তখন উদায়বা ইবনে জাররাহ (রা.) ভাবলেন, এতক্ষণ পর্যন্ত এ লোকগুলো মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত ছিল। দরজা খুলছিল না। এখন হঠাৎ কী হলো যে তারা দরজা খোলার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেল এবং সৈন্যদের প্রবেশের অনুমতি দিয়ে দিল! এতে নিশ্চয়ই কোনো ষড়যন্ত্র আছে।

সুতরাং তিনি সৈন্যবাহিনীকে একত্রিত করে বয়ান দিলেন। বললেন, মহান আল্লাহর কৃতজ্ঞতা। তারা হাতিয়ার নামিয়ে ফেলেছে। আমাদের প্রবেশের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে। আপনারা অবশ্যই প্রবেশ করবেন। কিন্তু আমি আপনাদের সামনে কোরআনে কারিমের একটি আয়াত তিলাওয়াত করছি। আপনারা এ আয়াত পড়তে পড়তে এবং এর ওপর আমল করতে করতে প্রবেশ করবেন। সে সময় তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন, ‘কুল লিল-মুমিনা ইয়াগুদ্দু মিন আবছারিহিম ওয়া ইয়াহফাজূ ফুজূরাহুম, জালিকা আজকা লাহুম’ অর্থাৎ মুমিনদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ৩০)

সুতরাং তাঁরা দুর্গে এভাবে প্রবেশ করলেন যে তাঁদের দৃষ্টি ছিল নিচু। তাঁরা পুরো বাজার অতিক্রম করলেন। শাহি মহল পর্যন্ত পৌঁছে গেলেন। কেউ ডানে বাঁয়ে চোখ উঠিয়ে দেখলেন না যে কী ফেতনা ওই দোকানগুলোতে তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে।

শুধু তাঁদের এ দৃশ্য দেখে অগণিত শহরবাসী মুসলমান হয়ে গেলেন। সুবহানাল্লাহ। (ইসলাহী খুতুবাত : ১৫/৯৮)

عن عبادة بن الصامت:] اضْمَنُوا لِيَ ستًّا منْ أَنْفُسِكُمْ أَضْمَن لَّكُمُ الجنَّةَ اصدُقُوا إِذا حَدَّثْتُم وأَوْفُوا إِذا وَعَدتُّم وأَدُّوا إِذا ائْتُمِنْتُمْ واحْفَظُوا فُروجَكُمْ وغُضُّوا أبصارَكم وكُفُّوا أيدِيَكُم
সূত্র: মাজমাউয যাওয়ায়েদ খ. ৪ পৃ. ১৪৮

সা’লাবাতুল আনসারী রা.

তুমি কোনো গাড়ি একাসিডেন্টের সম্মুখিন। এমন সময় যদি কেউ তোমাকে এসে বাঁচিয়ে দেয়, তাহলে তুমি তার প্রতি কতটুকু আবেগী হন। তার কত ভুল মাফ করেন, তাহলে স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচায়। তাহলে কেন sacrifice করেন না।

বিবাহ দেরি করে করা হয়:

এ দেশের সংস্কৃতি হলো, কর্মস্থীর করে পরে, টাকা-পয়সা জোগাড় করে পরে বিয়ে করতে হয়, না হলে খেতে দেবো কি?
বলুন রিজিকের যিম্মাদার কে?

মহান রব বলেন,

وَمَا مِن دَآبَّةٍ فِي الأَرْضِ إِلاَّ عَلَى اللّهِ رِزْقُهَا وَيَعْلَمُ مُسْتَقَرَّهَا وَمُسْتَوْدَعَهَا كُلٌّ فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ

অর্থ: আর পৃথিবীতে কোন বিচরণশীল নেই, তবে সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহ নিয়েছেন তিনি জানেন তারা কোথায় থাকে এবং কোথায় সমাপিত হয়। সবকিছুই এক সুবিন্যস্ত কিতাবে রয়েছে।
সুরা: হুদ, আয়াত: ৬

وَمَا مِن دَآبَّةٍ فِي الأَرْضِ وَلاَ طَائِرٍ يَطِيرُ بِجَنَاحَيْهِ إِلاَّ أُمَمٌ أَمْثَالُكُم مَّا فَرَّطْنَا فِي الكِتَابِ مِن شَيْءٍ ثُمَّ إِلَى رَبِّهِمْ يُحْشَرُونَ

অর্থ: আর যত প্রকার প্রাণী পৃথিবীতে বিচরণশীল রয়েছে এবং যত প্রকার পাখী দু’ ডানাযোগে উড়ে বেড়ায় তারা সবাই তোমাদের মতই একেকটি শ্রেণী। আমি কোন কিছু লিখতে ছাড়িনি। অতঃপর সবাই স্বীয় প্রতিপালকের কাছে সমবেত হবে।
সুরা: আনআম, আয়াত: ৩৮

১. ব্যবসা যদি খাওযায়, তাহলে লস হয় কেন?
২. চাকরি যদি খাওয়ায়, তাহলে বড় বড় ডিগ্রি নিয়ে বেকার ঘোরে কেন?
৩. গাড়ি যদি তো আমারে খাওয়ায়, রোড এক্সিডেন্টে মূহুর্তে সব ধ্বংস হয়ে যায় কেন?
৪. বাড়ি যদি তোমারে খাওয়ায় ভূমিকম্পে সব ধ্বংস হয়ে যায় কেন?
৫. রাজনিতি যদি খাওয়ায়, ক্ষমতা চলে যায় কেন? শুধু চলে যায় না, ৫ বছরের রাজা, ১০ বছরের সাজা।
৬. বাবা-মা খাওয়ায়। বাবা-মাকে খাওয়ান কে? যে হাত দিয়ে চাকরি করে সে হাত-পা বানালেন কে?

এরপরও যদি মেনে নিই, এ ব্যবসা,চাকরি,গাড়ি,বাড়ি,রাজনিতি তোমাকে খাওয়ায়, তাহলে আমার প্রশ্নের জবাব দাও, এগুলো তুমি যে হাত দিয়ে ব্যবহার ব্যবহার করো
যে মেধা দিয়ে তুমি চাকরি করো বলো সে মেধা দিলেন কে?

আল্লাহই যেহেতু দিয়েছেন, অতএব যিনি পেট আর মুখ দিতে পারেন, তিনি খাবারেরও ব্যবস্থা করতে পারেন।

তবে তিনি দেন কিভাবে?

একজন মহিলা একজন আলেমকে দাওয়াত দিলেন দুপুরের খাবারের জন্য। আলেম সাহেব তিনি এক ছাত্রকে নিয়ে মহিলার বাড়িতে গেলেন। মহিলা যেহেতু পর্দা করেন, সেহেতু সামনে না এসে একটি পর্দা টানিয়ে অপর পাশ থেকে পর্দার নিচ দিয়ে খাবার গুলো ঠেলে দিচ্ছেন। বাচ্চাটা না খেয়ে শুধু সেই দৃশ্যটা দেখছে। কিছুক্ষণ পর আলম সাহেব তাকে বললেন, কিরে, তুমি খাও না কেন? তাকিয়ে কি দেখছো? তখন বাচ্চা বলল, হুজুর, পর্দা ভেতর থেকে শুধু খাবার আসে, কত যাদুর পর্দা। এটা আমাদের মাদ্রাসায় নিয়ে গেলে তাহলে তো এখান থেকে শুধু খাবার আসতেই থাকতো। তখন হুজুর বলেছেন, আরে গাধা, এটা পর্দার যাদু নয়, পর্দার ওপার থেকে একজন খাবার দেন, তিনি না থাকলে খাবার আসতো না। ঠিক তেমনি ভাবে চাকরি, ব্যবসা সবকিছুই আমাদের কাছে একটি পর্দার মতো, এর মাধ্যম দিয়ে খাবার আসে, কিন্তু রিজিক পরিবেশন করেন আরেকজন তিনি কে? নিশ্চয় আল্লাহ।

আকাশ তোমায় কে দিলো রে এমন নিলিমা?
খুটিবিহীন কেমনে তুমি দাঁড়িয়ে রইলা?
কে দিলো রে কোকিল তোমার কণ্ঠ চমৎকার,
হরিণ তোমার নাভি ভরা মেশক আম্বর।
কোন চিনিতে মিষ্টি বলো বনের মধু,
সুগন্ধে ভরা বকুল তোমার স্রষ্টা মহান প্রভু।
টিয়া তুমি সুন্দর এত কে দিলো ঐ কালার
কোন কলেজে পড়লে বাবুই বাসা চমৎকার,
তিমি তোমার হাজার টন খাবার দিলেন কে?
ঝিনুক তোমার মাঝে দামি মুক্তা কোথায় পেলে
কোন অফিসে চাকরি করো ওহে বনের পাখি,
খাবার নিয়ে বাসায় ফেরো কই পাও রে টাকাকড়ি
বিরাট হাতি না খেয়ে তো মরে না ভবে,
বেহুশ মানুষ ছুটছে দেখো টাকার পিছে পিছে।
অবুঝ প্রাণী রবের উপর করছে ভরসা,
চোখ থাকিতে অন্ধ মানুষ আসলেই গাধা।

اسباب دنیا تو ہمہ پردے کے مانند
در حقیقت سب کے فاعل ایک خداوند
لمن الملک تو گوئے کے سزاوار خدائی
احدا لیس کمثلہ صمدا لیس کفضلہ
تو حکیمی تو عظیمی تو کریمی تو رحیمیتو نمایندهٔ فضلی تو سزاوار ثنایی

আম্মজান আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত নবীজি সা. বলেন,

تَزَوَّجُوا النساءَ يَأْتِينَكُمْ بالأموالِ
সূত্র: মাজমাউয যাওয়ায়েদ খ. ৪ পৃ. ২৫৮

وَأَنْكِحُوا الأَيَامَى مِنْكُمْ وَالصَّالِحِينَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَائِكُمْ إِنْ يَكُونُوا فُقَرَاءَ يُغْنِهِمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
সূরাঃ নূর, আয়াত: ৩২

বাল্য বিবাহ:

আজ বিভিন্ন অযুহাতে বাল্যবিবাহকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে, ফলে অবৈধ আকাম-কুকাম সমাজে ছড়িয়ে যাচ্ছে। তারাই আবার আকাম-কুকাম, ধর্ষণ বন্ধ করার জন্য আইন পাশ করছে। মনে রাখুন, সমাজকে অবৈধ ও কলুষমুক্ত একটি সমাজ গঠণ কেদে হলে বাল্য বিবাহ বন্ধ না করে অবৈধ সম্পর্কের বিরুদ্ধে এ্যাকশন নিন সমাজ বদলে যাবে।

আজ যারা বাল্য বিয়েকে অবৈধ প্রমাণ করতে চায়, তারা মূলত বিশ্বনবীর সাথে আম্মাজান আয়েশার রা. সম্পর্ক অবৈধ প্রমাণ করতে চায়, কিন্তু বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন বিয়ে করেন তখন মৃণালিনী দেবির বয়স মাত্র ১০ বছর।

আব্বার বয়স যখন দশ বছর তখন তার বিয়ে হয়, আমার মায়ের বয়স তিন মাত্র বছর।
সূত্র: শেখ মুজিব আমার পিতা (শেখ হাসিনা) পৃ: ২৭

বাল্যবিবাহ করলে কাজের গতি কমে যায়, যোগ্য হয়ে গড়ে ওঠে না।
আমিও তাই বলি যোগ্য হয়ে গড়ে না উঠলে স্বাধীনতার স্থপতি গড়ে ওঠে।

বাল্যবিবাহতে প্রজন্ম নষ্ট হয় বা সন্তান ভাল হয় না।
তাহলে বাল্যবিবাহতে জন্মগ্রহণ করা শেখ হাসিনার পেছনে দৌড়াস কেন? বুঝা গেল বাল্যবিবাহতে প্রজন্ম নষ্ট করে না, যদি করতো তাহলে বঙ্গবন্ধুর ঔরশ থেকে প্রধানমন্ত্রী আসতে পারতো না।

বাল্যবিবাহতে সংসার বেশিদিন টিকে না।
বাল্যবিবাহতে সংসার নষ্ট করলে, বঙ্গবন্ধুর সংসার টিকতো না। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় তিরিশ বছর বয়সে গিয়ে বিয়ে করে কদিন পর টাকলু বুদ্ধিজিবিদের বউ থাকে না।

মূলত যারা এ স্লোগান তুলেছে তারা বিশ্বনবি সা. এমনকি বিশ্বকবি এবং বঙ্গবন্ধুর বিয়ে অবৈধ প্রমাণ করে ফেলতে চায়। শুধু তাই নয়, তাদের টার্গেট আরো বড় কিছু বঙ্গবন্ধুর বিবাহ যদি অবৈধ প্রমাণ করা যায়, তাহলে তাদের সন্তানদের জন্ম নিয়েও প্রশ্ন তোলা যাবে। কোনো মুসলমান, কোন বাঙ্গালী মেনে নিতে পারে না।

হাসি আসে, বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে আইন করে তারাই, যাদের বাপ-মায়ের বিয়ে ১৮-২১ এর আগে।
বলুন বাপের চেয়ে যারা বেশি বোঝে, সু-সন্তান না কুলাঙ্গার?

দ্বীন দেখে বিবাহ করা:

[عن أبي هريرة:]  تُنْكَحُ المَرْأَةُ لأرْبَعٍ: لِمالِها، ولِحَسَبِها، وجَمالِها، ولِدِينِها، فاظْفَرْ بذاتِ الدِّينِ، تَرِبَتْ يَداكَ
সূত্র: সহিহ বুখারী হাদিস: ৫০৯০

عن أبي هريرة:] إذا خَطَبَ إليكم من ترضونَ دينَهُ وخلقهُ، فزوّجوهُ. إلا تفعلوا تكن فتنةٌ في الأرضِ وفسادٌ عريضٌ
সূত্র: জামে তিরমিযি হাদিস: ১০৮৪

নেককার স্ত্রী আখেরাতের সাহায্যকারী:

١- [عن عبدالله بن عمرو:] الدُّنْيا مَتاعٌ، وَخَيْرُ مَتاعِ الدُّنْيا المَرْأَةُ الصّالِحَةُ
সূত্র: সহিহ মুসলিম হাদিস: ১৪৬৭

٣- [عن ثوبان مولى رسول الله صلى الله عليه وسلم:] ليتخذَ أحدُكمْ قلبًا شاكرًا، ولسانًا ذاكرًا، وزوجةً مؤمنةً، تعينُهُ على أمرِ الآخرةِ
সূত্র: জামে সগীর হাদিস: ৭৫২৬

স্ত্রী যদি ওযুর পানি যদি দেয়, আল্লাহর আরশ খুশি হয় যায়। কিন্তু এখন ঘুম থেকে উঠে আগে মোবাইল অথবা রিমোট হাতে নেয়।

স্বামী:

…অনেকে বলে হুজুর, আমার জন্য দুআ করবেন। কেন? বলে, আমার স্ত্রী আমার জিবনকে অতিষ্ট করে ফেলেছে।
…অনেকে আবার স্ত্রীর যন্ত্রনায় ঘরে থাকতে না পেরে মাসের পর মাস বাহিরে ভ্রমনে যায়। এ ভ্রমণ আনন্দের ভ্রমণ নয়, এটা যন্ত্রণার ভ্রমন।
…২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি ভোরে নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার নিজ বাসায় ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে বিষ প্রয়োগ করে আত্মহত্যা করেন চিকিৎসক আকাশ। আত্মহত্যার আগে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে। লিখেছে, প্রিয়তমা, তোমার প্রেমিকদের নিয়ে সুখে থেকো আমি গেলাম গা।

মিডিয়া এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুমছে তাদের জ্ঞান ঝাড়ছে সব দোষ স্ত্রী মিতুর।
আমি বলছি, না দোষ মিতুর না। কারণ

٣- [عن أبي هريرة:] تُنْكَحُ المَرْأَةُ لأَرْبَعٍ: لِمالِها، وَلِحَسَبِها، وَلِجَمالِها، وَلِدِينِها، فاظْفَرْ بذاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَداكَ.
مسلم (ت ٢٦١)، صحيح مسلم ١٤٦٦ • [صحيح] • أخرجه البخاري (٥٠٩٠)، ومسلم (١٤٦٦) • شرح رواية أخرى

বিয়ের আগে একজন দ্বীনদার নারী বিয়ে করার কথা আমার নবী সা. বলেছিলেন। সেটা করোনি, বরং বিয়ে করবা বেপর্দাশীল খোলা খাচার পাখি, কদিন পরে এ পাখি তোর দেবে ফাকি।

এখন পত্রিকা খুললেই শুধু নায়ক-নায়িকাদের সংসার ভাঙ্গার খবর পাওয়া যায়, কেন?
তিন শ্রেণির মেয়েদেরকে বিবাহ করা যাবে না।
১. নায়িকা, ২. গায়িকা, ৩. প্রেমিকা।

১. নায়িকা বিয়ে করা যাবে না ২ কারণে।
এক. অভিনয়ের মাঝে বিয়ে আগেই হয়ে যায়।

٥- [عن أبي هريرة:] ثَلاثٌ جِدُّهنَّ جِدٌّ، وهَزْلُهنَّ جِدٌّ؛ النِّكاحُ، والطَّلاقُ، والرَّجْعةُ.
أبو داود (ت ٢٧٥)، سنن أبي داود ٢١٩٤ • سكت عنه [وقد قال في رسالته لأهل مكة كل ما سكت عنه فهو صالح] • أخرجه أبو داود (٢١٩٤)، والترمذي (١١٨٤)، وابن ماجه (٢٠٣٩). • شرح رواية أخرى

দুই. যারা ফিল্মে বারবার সংসার পাল্টানোর অভিনয় শিখেছে, তারা বাস্তব জিবনেও প্যাক্টিস করবে, সংসার টিকবে না।

২. গায়িকাদের সংসার টেকে না। কারণ যারা গানে গানে নিজেদের বুক ফাটায়, তাদের দিয়ে শুধু ফাটাফাটি হয়, সংসার হয় না।

৩. প্রেমিকা বিয়ে করবেন না, কারণ যারা বিয়ের আগে তোমার সাথে প্রেম করতে পারে, তারা বিয়ের পরেও অন্য ছেলের সাথে পরকীয়াও করতে পারে।

তিনটি জিনিষের প্রতি বিশ্বাস করা যায় না, নদীর পাশে বাড়ি, ব্রেক ছাড়া গাড়ি, আর পর্দা ছাড়া নারী। কারণ যে নারীর মাঝে আল্লাহর ভয় নাই, সে নারী স্বামী বাহিরে থাকলে পরপুরুষের সাথে সম্পর্ক করতেও তার দ্বীধা লাগবে না।

কাটাওয়ালা মান্দার গাছ থেকে যেমন আম পাওয়া যায় না, তেমনি বেপর্দা নারী হলো জাহান্নামী, তাদের থেকে সংসারের জিবনে জান্নাতের সুখ কামনা করা ঠিক না।

কিন্তু যদি একটা দ্বীনদার দেখে বিয়ে করতে পারো, তারা স্বামী ঘরে থাক বা বাহিরে আল্লাহর ভয়ে কারো সাথে পরকীয়ায় জড়াতে পারে না।

এজন্য দেখা যায়, হুজুররা দেখেশুনে দ্বীনদার বিয়ে করে তাদের সংসার ভাঙ্গে না। তাদের সংসার বড় সুখের হয়। কিন্তু এটা কিছু লোকে সহ্য করতে পারে না।
কারণ, কোনো মহিলা যদি সুখি হয়, তাহলে পাশের বাড়ির মহিলার যেমন সহ্য হয় না, তেমনি হুজুরদের শান্তির জিবন দেখে পাশের নাস্তিকদের আর সহ্য হয় না।
নাস্তিকরা বলে হুজুররা বোঝে কিছু?
না। আসলেই আমরা বুঝি না। তোমরা বেশি বোঝো হাজার হাজার টাকার হারবাল খেয়েও ঘরে বউ টেকে না।
আর হুজুরদের আয়-ইনকাম কম, কোনোদিন হারবালের দোকানেও যায় না, এরপরও হুজুরদের বউ ভাগে না। আসলেই হুজুররা ভালো না।

মহিলারা স্বামী কর্তৃক শান্তিতে নেই কেন?
বিয়ের আগে তো দেখছে টাকা।

স্বার্থবাদের এ দুনিয়ায় না থাকিলে তেল,
তেল ছাড়া তো রয় ভরে, কারো কোনো বেইল।
হাদিয়া বিনে মুরিদ পীরের নজরও পায় না।
নেতার চেয়ার না থাকিলে চামচা থাকে না,
চামচা তোমার নেতা আপন জানো কতদিন,
ভোট গেলে আর নেয় না খবর,আসে না কোনোদিন।
টাকা ছাড়া উকিল বাবু কলম ধরে না,
অফিস-আদালতেও নাকি ওড়ে শুধু টাকা।
ও যুবক, তোর পকেট ফাকা, মাইয়া পাইবা না,
টাকাই প্রেমিক, টাকাই স্বামী, টাকাই ভালোবাসা।
প্রেমের সময় যে মেয়ে তোর বলেছিল জান,
বিয়ের সময় সেই খুজে নেয় টাকার কালাচান।
সাবধানে থাকিও স্বামী, পকেট হয়রে যদি ফাকা,
বউটা তোমার রয় না ঘরে, প্রেমে পড়ে ঠাডা।
টাকাই নেশা, টাকাই পেশা, টাকাই চলে খেলা,
টাকা ছাড়া নাইকো ভবে, কারো কোনো বেইল।

তুমি টাকার জন্য বিয়ে করেছিলে, সে যুবকের টাকা দেখে এভন অন্য মেয়েরাও পিছু পিছু ঘোরে। তুমি বউ তোমারে সময় দেওয়া সুযোগ হয় না তার।

অনেক মহিলারা বলে, হুজুর, দুআ করবেন। কেন? আমার স্বামী আমাকে ভালোবাসে না।
আমি বললাম, দাড়ি আছে স্বামীর? বলে না? কেন? বলে চাচা চাচা লাগে। আমি বললাম বয়স কত স্বামীর? বলে ৪০। দাড়ি কাটলে কেমন বয়সের লাগে। বলে, মোটামুটি ২৫। তো আপনার বয়স কত? বলে ৩২। আমি বললাম, ৪০ বছরের বুড়োটারে ২৫ বছর বানিয়ে রাখছো। এখন তার তো মনে হয়, সে ২৫ বছরের যুবক, তার কাছে তোমার মত বুড়ি পছন্দ হওয়ার কথা না।

♦প্রশংসা করা, খবিস বলো না আরো আবাকা হবে

মারা:

আম্মাজান আয়েশা রা. বলেন,

ما ضرب رسول اللهِ صلّى اللهُ عليه وسلَّم خادِمًا ولا امرأةً قَطُّ
সূত্র: সুনান আবু দাউদ হাদিস: ৪৭৮৬

যৌতুক ছাড়া তো বিয়ে নাই।।
যৌতুকের চশমা, যৌতুকের ঘড়ি, যৌতুকের মোবাইল, যৌতুকের গাড়ি, যৌতুকের রিক্সা, যৌতুকের ভ্যান,যৌতুকের জামা, যৌতুকের জুতা, যৌতুকের মোজা, যৌতুকের জাইঙ্গা, যৌতুকের এক প্যাকেট আকিজ বিড়ি।
…যৌতুকের গজবে সংসারগুলো আগুনে পুড়ছে।
মনে রাখবেন, যারা যৌতুক নেয় তারা সমাজের সবচে নিচু জাত।
…একজন বাবা ৪ টা মেয়েকে নিয়ে অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করেন। গভীর রাতে কাঁদে মাওলা কিভাবে ৪ টা মেয়েকে বিয়ে দেবো? একটা মেয়েকে বিয়ে দিতেই তো ১০ বছরের সঞ্চয় শেষ হয়ে গেল।
…মেয়ে গুলো গভীর রাতে কাঁদে, মালিক; কেন মেয়ে বানাইলা? যদি হিজড়াও বানাইতা ২৫ বছর বাবার ঘরের খুঁটি হয়ে থাকতে হতো না। অনেক মেয়েরা আত্মহত্যা পর্যন্ত করে।
…আপনি কেমন মা? নারী হয়ে আরেক নারীর কাছ থেকে যৌতুক দাবি করেন। না আনলে ভালো ব্যবহার করেন না। আপনি মা নামের কলঙ্ক।
…মনে রাখবেন, যৌতুক নিলে দুটি গজব। যথা-
১. মেয়েটা যদি ধনী পরিবারের হয়। আর যৌতুকের টাকায় সংসার সাজাও। তাহলে কর্তৃত্ব থাকবে না স্ত্রীর উপর। ঘরে এসে দেখবা যৌতুকের খাট,ফ্রীজ সব আছে মাগার বউ ঘরে নাই।
হুজুরের কাছে গিয়ে বলবা হুজুর তাবিজ দেন? কেন? বলে বউ কথা শোনে না। বললাম কেন? বলে জানি না। করে কি? বলে নাইট ক্লাবে যায়। কি করে সেখানে? বলে এটা আপনারা হুজুর মানুষ বুঝবেন না।
বললাম, তাহলে তালাক দিয়ে দাও। বলে হুজুর সেটা তো পারি না। কেন? বলে সব তো তার বাপের টাকায় কেনা। বললাম ও তার মানে যৌতুক নিছো? বলে হ হুজুর, যৌতুকের সব। আমি বললাম, হারামে আরাম পাবা না। তুমি আল্লাহর কথা শোনো নাই, বউ তোমার কথা শুনবে না। যা করে করুক।
বলে হুজুর বলেন কি? একটা তাবিজ দেন না। বললাম যৌতুক সব ফেরত দিয়ে তওবা করো।এটাই তাবিজ। বলে, হুজুর সব পারবো মাগার যৌতুকের জন্যই তো বিয়ে করছিলাম ওটা ফেরত দিতে পারবো না। আমি বললাম যৌতুকের সব যদি পেয়েই থাকো তাহলে বউ কি করবা?
বলে, হুজুর তারপরও যদি কোনো আমল বলে দিতেন, আমি বললাম নদীর পাড়ে গিয়ে গাও ও টুনির মা তোর টুনি কথা শোনে না।

সবার খাওয়ার পর মেয়েরা খায়।
সবাইকে ছেড়ে তোমার হাত ধরে আসছে, সেই হাত দিয়ে কেমনে মারো?

স্ত্রীদের করণীয়:

নবীজি সা. বলেন,

لو كنتُ آمِرٌ أحدًا أن يسجُدَ لأمرتُ المرأةَ أن تسجُدَ لزوجِها
সূত্র: আততারগীব: খ. ৩ পৃ. ১০০

নবীজি সা. বলেন,

إذا صلَّتِ المرأةُ خمسَها، وصامتْ شهرَها، وحفظتْ فرجَها، وأطاعتْ زوجَها، دخلتِ الجنةَ
সূত্র: জামে সগীর হাদিস: ৭২০

১. আনুগত্যতা: তথা নারী পুরুষের অধিনস্তে থাকবে:

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

ٱلرِّجَالُ قَوَّ ٰ⁠مُونَ عَلَى ٱلنِّسَاۤءِ بِمَا فَضَّلَ ٱللَّهُ بَعۡضَهُمۡ عَلَىٰ بَعۡضࣲ وَبِمَاۤ أَنفَقُوا۟ مِنۡ أَمۡوَ ٰ⁠لِهِمۡۚ

নবীজি সা. বলেন,

إذا اتُّخِذَ الفَيْءُ دُوَلًا والأمانةُ مَغْنَمًا والزكاةُ مَغْرَمًا وتُعُلِّمَ لغيرِ الدِّينِ وأطاع الرجلُ امرأتَه وعَقَّ أُمَّه وأَدْنى صديقَه وأَقْصى أباه وظَهَرَتِ الأصواتُ في المساجدِ وساد القبيلةَ فاسِقُهُم وكان زعيمُ القومِ أَرْذَلَهم وأُكْرِمَ الرجلُ مَخافةَ شرِّه وظَهَرَتِ القِيانُ والمعازفُ وشُرِبَتِ الخُمورُ ولَعَن آخِرُ هذه الأمةِ أولَها فلْيَرْتَقِبُوا عند ذلك رِيحًا حمراءَ وزَلْزَلَةً وخَسْفًا ومَسْخًا وقَذْفًا وآياتٍ تُتابَعُ كنِظامٍ بالٍ قُطِعَ سِلْكُه فتتابع بعضُه بعضًا
সূত্র: জামে তিরমিযি হাদিস: ২২১১

নবীজি সা. বলেন,

لن يُفلِحَ قومٌ ولَّوا أمرَهمُ امرأةً
সূত্র: মুখতাসারুল মাকাসিদ হাদিস: ৮১৩

এজন্য দেখা যায় যে ঘরের মাতবার মহিলা সে ঘরে জিবনের সুখের ছায়া পড়ে না। কোনো ছেলেও সে ঘরে বিয়ে করতে চায় না।

মুসলমান, মনে রাখবেন, যদি ছোট্র একটা সংসার নারীর মাদবারীতে অশান্তি চলে ১৬ কোটি মানুষের বিশাল সংসার বাংলাদেশে যতদিন নারীর ক্ষমতা থাকবে দেশটা হবে ডিজিটাল তবে সব কিছুতে হবে ভেজাল, কদিন পরপর শুনবেন হরতাল আর হরতাল।

তিনমাসের হরতাল

২. উপভোগের সুযোগ দেয়

নবীজি সা. বলেন,

إِذا دَعا الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ إلى فِراشِهِ فأبَتْ فَباتَ غَضْبانَ عَلَيْها لَعَنَتْها المَلائِكَةُ حتّى تُصْبِحَ
সূত্র: বুখারী: ৩২৩৭

١١- [عن أم سلمة أم المؤمنين:] أَيُّما امرأةٍ ماتت وزوجُها عنها راضٍ دَخَلَتِ الجنةَ
জামে সগীর হাদিস: ২৯৩০

৩. ঘর থেকে বের না হওয়া:
ইবনে ওমর রা. বলেন,

روى ابن عمر رضي الله عنهما قال: أتت امرأة إلى النبي صلى الله عليه وسلم وقالت يا رسول الله ما حق الزوج على زوجته؟ قال: حقه عليها ألا تخرج من بيتها إلا بإذنه، فإن فعلت لعنها الله وملائكة الرحمة وملائكة الغضب حتى تتوب أو ترجع
সূত্র: মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা হাদিস: ১৭৪০৯
ফাতহুল বারী (ইবনে রজব হাম্বলী) খ. ৫ পৃ. ৩১৭

৪. স্বামীর অপছন্দ এমন কাউকে ঘরে ঢুকতে না দেয়া,

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ يَحِلُّ لِلْمَرْأَةِ أَنْ تَصُومَ وَزَوْجُهَا شَاهِدٌ إِلاَّ بِإِذْنِه وَلاَ تَأْذَنَ فِي بَيْتِه إِلاَّ بِإِذْنِه

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন স্বামী উপস্থিত থাকবে, তখন স্বামীর অনুমতি ব্যতীত মহিলার জন্য সওম পালন বৈধ নয় এবং স্বামীর অনুমতি ব্যতীত অন্য কাউকে তার গৃহে প্রবেশ করতে দেবে না।
সূত্র: সহিহ বুখারী হাদিস: ৫১৯৫

৫. সাজসজ্জা করা:

خَيْرُ النِّساءِ الَّتِي إذا نَظَرْتَ إلَيْها سَرَّتْكَ، وإذا أمَرْتَها أطاعَتْكَ، وإذا غِبْتَ عَنْها حَفِظَتْكَ في مالِكَ ونَفْسِها»

মহিলারা স্বামীর জন্য সাজবে। স্বামীর রুচির প্রতি খেয়াল রেখে সাজসজ্জা করবে। স্বামী যখন দেখবে, তার স্ত্রী তার জন্য সাধ্যমত সাজে তখন অন্য দিকে মন যাবে না।

মনে রাখবেন, স্বামীর জন্য সাজলে নেকি, অন্যের জন্য সাজলে হারাম। কিন্তু এখন মহিলারা সাজে বাহিরের লোকের জন্য। স্বামীর জন্য ছেড়া কাপড় পরে থাকে, আর বাচ্চার স্কুলে যেতে সময় একেবারে আলকাতরা মেখে আপেলের মত হয়ে বাহির হয়। মনে হয় এটা বাজারের গরু। গরু বিক্রি করার আগে যেমন ত্যানাতুনা লাগিয়ে বাজারে নেয়, তেমনি মহিলারা নিজেদেরকে গরুর মত বানিয়ে নিয়েছে। কোনো অনুষ্ঠানে গেলে মেকাপ করে এমনভাবে যায়, যেন সেখানে সৌন্দর্যের প্রথিযোগিতা হচ্ছে। এতে স্বামীরও সায় থাকে। ফলাফল কদিন পরে জরিনা অন্য পুরুষের সাথে ভেগে যায়, এখন চান্দু বসে বসে জিকির করে, আমি তো ভালা না ভালা লইয়া থাইকো।

৬. কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা:

فَقالَ يا مَعْشَرَ النِّساءِ تَصَدَّقْنَ فإنِّي أُرِيتُكُنَّ أكْثَرَ أهْلِ النّارِ

হে মহিলা সমাজ! তোমার সদাক্বাহ করতে থাক। কারণ আমি দেখেছি জাহান্নামের অধিবাসীদের মধ্যে তোমরাই অধিক। তাঁরা জিজ্ঞেস করলেনঃ কী কারণে, হে আল্লাহ্‌র রাসূল? তিনি বললেনঃ তোমরা অধিক পরিমানে অভিশাপ দিয়ে থাক আর স্বামীর অকৃতজ্ঞ হও।
সূত্র: সহিহ বুখারী হাদিস: ৩০৪

৭. স্বামীর সম্পদ খরচ করা:

وَمَا أَنْفَقَتْ مِنْ نَفَقَةٍ عَنْ غَيْرِ أَمْرِه„ فَإِنَّه“ يُؤَدّ‘ى إِلَيْهِ شَطْرُهُ

যদি কোন স্ত্রী স্বামীর নির্দেশ ব্যতীত তার সম্পদ থেকে খরচ করে, তাহলে স্বামী তার অর্ধেক সওয়াব পাবে।
সূত্র: সহিহ বুখারী হাদিস: ৫১৯৫

وَلَهُنَّ مِثْلُ الَّذِي عَلَيْهِنَّ بِالْمَعْرُوفِ وَلِلرِّجَالِ عَلَيْهِنَّ دَرَجَةٌ وَاللّهُ عَزِيزٌ حَكُيمٌ

অর্থ: আর পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের উপর অধিকার রয়েছে, তেমনি ভাবে স্ত্রীদেরও অধিকার রয়েছে পুরুষদের উপর নিয়ম অনুযায়ী।
সুরাঃ বাকারা, আয়াত: ২২৮

أيها الناسُ إنَّ لكمْ على نسائِكم حقًّا ولنسائِكم عليكُم حقًّا
সূত্র: আহকামুল কুরআন (ইবনে আরাবী) খ. ১ পৃ. ৫৩৫

خيركم خيركم لأهله، وأنا خيركم لأهلي

মহিলাদের হক:

মহরানা

মোহর দেওয়া ফরজ:

وَآتُواْ النَّسَاء صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً فَإِن طِبْنَ لَكُمْ عَن شَيْءٍ مِّنْهُ نَفْسًا فَكُلُوهُ هَنِيئًا مَّرِيئًا

অর্থ: আর তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহর দিয়ে দাও খুশীমনে। তারা যদি খুশী হয়ে তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয়, তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর।
সুরা: নিসা, আয়াত: ৪

মোহর কম হওয়া সুন্নাহ:

উকবা বিন আমের রা. থেকে বর্ণিত, নবীজি সা. বলেন,

خيرُ النِّكاحِ أيسَرُه
সূত্র: তবরানী খ. ১ পৃ. ২২১

এখন মোহর নির্ধারণ করা হয় ১০ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭ শত ৬৫ টাকা ১৩ পয়সা।

বাসস্থান:

أسكنوهنَّ من حيث سكنتم مِن وُجدكم

ভরন-পোষণ:

ولهن عليكم رزقهن وكسوتهن بالمعروف
সূত্র: সহিহ মুসলিম হাদিস: ১২১৮

স্ত্রীদের উপর খরচ করা সাদাকার নেকি:

٢- [عن أبي هريرة:] دِينارٌ أنْفَقْتَهُ في سَبيلِ اللهِ ودِينارٌ أنْفَقْتَهُ في رَقَبَةٍ، ودِينارٌ تَصَدَّقْتَ به على مِسْكِينٍ، ودِينارٌ أنْفَقْتَهُ على أهْلِكَ، أعْظَمُها أجْرًا الذي أنْفَقْتَهُ على أهْلِكَ
সূত্র: সহিহ মুসলিম হাদিস: ৯৯৫

মুখে খাবার তুলে দেয়া:

وإنَّكَ مَهْما أنْفَقْتَ مِن نَفَقَةٍ، فإنَّها صَدَقَةٌ، حتّى اللُّقْمَةُ الَّتي تَرْفَعُها إلى في امْرَأَتِكَ
সূত্র: সহিহ বুখারী হাদিস: ২৭৪২

স্বামীর উপর সকল কিছুর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব।

সুশিল সমাজের নারীবাদীরা আজ মহিলাদের ঘর থেকে বের করেছে। এয়ারপোর্টের ক্লিনার, বিমানের চাকর, ট্যাম্পুর ড্রাইভার আর বসের সহকারী বানিয়েছে।
কিন্তু রবের দয়া হুজুরদের বউ এত সস্তা না। মরে গেলেও মানুষের করুনার পাত্র বানায় না। অতএব নারীবাদীদের একথা জানা উচিৎ মহিলাদের সম্মান যদি করে থাকে একমাদ্র হুজুররাই করে।

যদি বলেন, তারা কি চাকরি করতে পারে না? অবশ্যই পর্দার মধ্যে থেকে সব পারে, তবে মনে রাখা উচিৎ তারা সবচে দামি সম্পদ সন্তানের দায়িত্ব পালন করবে, তোমার ভবিষ্যত সুন্দর করে গুছিয়ে তুলবে।

যদি এটা না করে, সন্তানকে বুয়ার কাছে ররেখে যাও কদিন পরে এই সন্তান মদখোর জুয়াড়ি হবে। হচ্ছেও তাই।

আর যখন মহিলা টাকার মুখ দেখে, তখন স্বামীর বাধ্য গত থাকে না।কারণ টাকার একটা গরম আছে না?

সালাম দেওয়া:

فَإِذَا دَخَلْتُم بُيُوتًا فَسَلِّمُوا عَلَى أَنفُسِكُمْ تَحِيَّةً مِّنْ عِندِ اللَّهِ مُبَارَكَةً طَيِّبَةً كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمُ الْآيَاتِ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُون

অতঃপর যখন তোমরা গৃহে প্রবেশ কর, তখন তোমাদের স্বজনদের প্রতি সালাম বলবে। এটা আল্লাহর কাছ থেকে কল্যাণময় ও পবিত্র দোয়া। এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্যে আয়াতসমূহ বিশদভাবে বর্ননা করেন, যাতে তোমরা বুঝে নাও।
সুরাঃ নূর আয়াত: ৬১

কষ্ট চাপিয়ে না দেওয়া:

فَاتَّقُوا اللَّهَ فِي النِّسَاءِ فَإِنَّكُمْ أَخَذْتُمُوهُنَّ بِأَمَانِ اللَّهِ وَاسْتَحْلَلْتُمْ فُرُوجَهُنَّ بِكَلِمَةِ اللَّهِ

তোমরা স্ত্রীলোকদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা তাদেরকে আল্লাহর আমানাত হিসেবে গ্রহণ করেছ এবং আল্লাহর কালিমার মাধ্যমে তাদের লজ্জাস্থান নিজেদের জন্য হালাল করেছ।
সূত্র: সহিহ মুসলিম হাদিস : ১২১৮

গৃহে কাজ করা:

আম্মাজান আয়েশা রা. বলেন,

كان يُرَقِّعُ الثَّوبَ،
وَيَحْلُبُ شَاتَهُ
ويَخصِفُ النَّعلَ
وَيَخْدُمُ نَفْسَهُ

রান্নার কাজে সাহায্য করা:

قَالَتْ: كَانَ يَكُونُ فِي مِهْنَةِ أَهْلِهِ تَعْنِي خِدْمَةَ أَهْلِهِ

খাবারের দোষ না ধরা:

হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন,

ما عابَ النبيُّ ﷺ طَعامًا قَطُّ، إنِ اشْتَهاهُ أكَلَهُ، وإنْ كَرِهَهُ تَرَكَهُ
সূত্র: সহিহ বুখারী হাদিস: ৫৪০৯

পানি ও গোশত:

عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أَتَعَرَّقُ الْعَظْمَ وَأَنَا حَائِضٌ، فَأُعْطِيهِ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم فَيَضَعُ فَمَهُ فِي الْمَوْضِعِ الَّذِي فِيهِ وَضَعْتُهُ وَأَشْرَبُ الشَّرَابَ فَأُنَاوِلُهُ فَيَضَعُ فَمَهُ فِي الْمَوْضِعِ الَّذِي كُنْتُ أَشْرَبُ مِنْهُ

আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হায়িয অবস্থায় হাড় চুষে খেয়ে তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দিতাম। তিনিও তাঁর মুখ হাড়ের ঐ স্থানে লাগাতেন, যেখানে আমি লাগিয়েছি। আবার পানীয় দ্রব্য পান করে তাঁকে দিতাম। তিনি তখনও ঐ স্থান থেকে পান করতেন যেখানে মুখ লাগিয়ে আমি পান করেছি।
সূত্র: সুনান আবু দাউদ হাদিস: ২৫৯

একই পাত্র থেকে গোসল করা:

আম্মাজান আয়েশা রা. বলেন,

كُنْتُ أغتَسِلُ أنا ورسولُ اللهِ ﷺ من إناءٍ واحدٍ، يُبادِرُني وأُبادِرُه، وأقولُ دَعْ لي دَعْ لي
সূত্র: মুসনাদে ইসহাক: ১৩৮১

দৌড় প্রতিযোগিতা:

عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّهَا كَانَتْ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ قَالَتْ: فَسَابَقْتُهُ فَسَبَقْتُهُ عَلَى رِجْلَيَّ، فَلَمَّا حَمَلْتُ اللَّحْمَ سَابَقْتُهُ فَسَبَقَنِي فَقَالَ: هَذِهِ بِتِلْكَ السَّبْقَةِ

আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি এক সফরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি তাঁর সাথে দৌড় প্রতিযোগিতা করে তাঁর আগে চলে গেলাম। অতঃপর আমি মোটা হয়ে যাওয়ার পর তাঁর সাথে আবারো দৌড় প্রতিযোগিতা করলাম, এবার তিনি আমাকে পিছে ফেলে দিলেন বিজয়ী হলেন। তিনি বলেনঃ এ বিজয় সেই বিজয়ের বদলা।
সূত্র: সুনান আবু দাউদ: ২৩৭৮

উভয়ের করণীয়

১. একে অপরের মেজাজ বুঝা।
…বসের, কমিটির, মেজাজ বুঝতে হবে।

২. সুন্দর ব্যবহার:

وَعَاشِرُوهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ

নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন কর।
সুরাঃ নিসা, আয়াত: ১৯

ويجب على الزوج تحسين خلقه مع زوجته والرفق بها

وفي السنَّة : عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم : ” استوصوا بالنساء ” . رواه البخاري ( 3153 ) ومسلم ( 1468 ) .

সবার সাথে আপনি আপনি আর স্ত্রীর সাথে তুই
…সে সবাইকে ছেড়ে আপনার কাছে আসছে,
…তোমার সকল সম্পদ মে আগলে রাখে
…বাহিরে বিড়াল ঘরে ওসি। না হও বাহিরে ওসি ঘরে বিড়াল।

৪. দোষ গোপন রাখা:

كُلَّ واحِدٍ مِنهُما يَسْتُرُ صاحِبَهُ

অর্থাৎ একে অপরের দোষ গোপন রাখে।
সূত্র: তাফসীরে আলুসী

নির্বোধ স্ত্রী সেই যে তার স্বামীকে মানুষের চোখে বানায় ফকির, ফলে সে হয় ফহিন্নী।
বুদ্ধিমান স্ত্রী সেই যে, তার স্বামী মানুষের কাছে রাজা বানিয়ে রাখে, ফলে স্বামী যদি হয় রাজা স্ত্রী হয় রাজরানী।

অর্থাৎ দোষ চাপিয়ে রাখা
কিয়ামতেও রব ঢেকে রাখবেন।

مَن سَتَر مُسلِمًا ستَرَه اللهُ في الدُّنيا والآخِرةِ
সূত্র: ফাতহুল গাফফার খ. ৩ পৃ. ১৬৯৩

من سترَ حرمةً مؤمنةً ستره اللهُ من النارِِ
সূত্র: মাজমাউয যাওয়ায়েদ খ. ৬ পৃ. ২৪৯

৫. ঘরে তালিমের ব্যবস্থা করা:

এখন তো এগুলো নেই। আছে শুধু চ্যানেল পাল্টানো।

সংসার নষ্ট হচ্ছে সিনেমা দিয়ে, কারণ যত ঝগড়া সব শিখিয়েছে সিনেমায়।
নাম কি? দুই সতিনের যুদ্ধ, বউ শাশুড়ির ঝগড়া, স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঠাডা।

ছেলে থাকে অফিসে। ঘরে আছে টিভি। বউ-আর শাশুড়ি দুজন মিলে দেখে কিরোনমালা। সিনিয়ালে যখন ঝগড়া গুলো দেখে, তখন বউমা মনে মনে কয় শাশুড়ি আম্মা কি ভাবছেন, শুধু বাড়াবাড়ি করে দেখেন আমি কিন্তু বউমার পার্টটা দেখছি, শাশুড়িও মনে মনে কয়, তুমি শুধু দেখছো না আমিও কিন্তু শাশুড়ির পার্ট পুরোটা মুখস্ত করেছি। দুজন অভিনয় দেখো এখন বাস্তবে ঝগড়ার প্যাক্টিস করে। স্বামী বেচারা অফিস থেকে বাসায় যেতেই বউ গুনগুন করে কাঁদে। বিবি তুমি কাদো কেন? বলে আপনার মা থাকলে আমি থাকবো না, আস্তা একটা ডাইনি। সন্তানের মেজাজ গরম। মায়ের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে, মা কেঁদে বলে বাবা, ১০ মাস পেটে ধারণ করে বড় করেছি, তোর বউ এত খারাপ ব্যবহার করবে কখনও ভাবিনি। ছেলে এখন একদিকে মা আরেকদিকে বউ। উপায় নাই বসে বসে কাদে আমি ফাইসা গেছি মাইনকার চিপায়।

কিন্তু যদি ঘরে তালিমের ব্যবস্থা করতে, বউমা শাশুড়িকে জাহান্নামের ভয়ের হাদিস পড়তো, আবার শাশুড়ি জান্নাতের আলোচনা পড়তো। ঘরটা জান্নাতের বাগান হয়ে যেতো। সেটা তো নেই। যত আছে যুদ্ধ।

ঘরের বউ মা বয়স ২০ বছর। যদি কোন দিন সকালে উঠতে একটু দেরি হয়ে যায়, শাশুড়ি ধমকানো শুরু করে দেয়, কিগো, এতক্ষণ ঘুমানো লাগে? রান্নাবান্না করা লাগবেনা? কি পাইছো কি তুমি?
একদিন বৌমা বলেই ফেলছে, আপনার ২৭ বছরের মেয়ে যে সকাল এগারোটা পর্যন্ত ঘুমায় আপনি কি তাকে বলতে পারেন না? মা তখন বলে, ও তো এখনো বেবি।

মহিলাদেরকে বলছি, মাগো, তোমার শাশুড়িকে যদি মায়ের মত আপন করে নাও। তাহলে শাশুড়ি তোমাকে মেয়ের মত আদর করবে, আবার শাশুড়িরা যদি পূত্র বধুবে মেয়ের মত দেখে, তাহলে শাশুড়িও মায়ের মত আদর পাবে।

جيسي كرني ويسي بھرنی نہ منے تو مرنے دیکھ
جنت بھی ہے دوزخ بھی ہے نہ منے تو مرکے دیکھ

যারা ঘরের বউমা তাদেরকে বলছি,
এক শাশুড়ি তার বৌমাকে বলছে, বৌমা, আমার পিঠটা একটু চুলকিয় দাও তো। দীর্ঘক্ষণ পরে যখন চুলকিয়ে দেয় না, তখন শাশুড়ি জিজ্ঞেস করছে, কিগো বৌমা, তুমি চুলকিয়য়ে দাও না কেন? তখন বৌমা বলছে, আসলে মা, আপনার পিঠটা চুলকানোর জন্য যতই হাত তুলি, ততোই পা উঠে যায়, এটা কি করবো আমি? তখন শাশুড়ি বলছে, মা তোমার পা দিয়ে আমার চুলকিয়ে দাও, এটা তোমার অপরাধ নয়, এটা আমার পাপের শাস্তি। কারন আমি আমার শাশুড়িকে এমনভাবেই একদিন পা দিয়ে চুলকিয়ে বেয়াদবি করেছিলাম।

একদিন জনৈক স্ত্রী তার স্বামীকে বলল, তোমার বুড়িমা বড় যন্ত্রণা, তাকে চলো এখান থেকে বাহির করে দিয়ে আসি। স্বামী স্ত্রীর কথা অনুযায়ী বাধ্য হয়ে মাকে নিয়ে নৌকা পার হয়ে নদীর ওপারে গিয়ে ফেলে দিয়ে আসতে সময় মা বলছে মালিক, আমার বাচ্চাকে তুমি দেখে রেখো। ও তো ছোট বোঝে নাই, তুমি ওকে গজব দিয়ো না। সন্তানের মনে হঠাৎ ধাক্কা দেওয়ার কারণে বলল, যে আজকের মত মাকে নিয়ে যাযই, পরে আরেকদিন দেখব। যখন নিয়ে চলে আসলো, কয়েকদিন যাওয়ার পর স্ত্রী আবার তাকে ফুসলিয়ে বলল, চলো। আজকে রাত্র অন্ধকার আছে, মাকে ফেলে দিয়ে আসি। তখন সন্তান বলল, ঠিক আছে। রাত্রে স্বামী তার শ্বাশুড়ীর ঘরে মাকে আর মায়ের ঘরে শাশুড়িকে রেখে চলে আসলো। অন্ধকার রাত যখন দুজন মিলে স্বামী মায়ের ঘর থেকে নিয়ে যখন রওনা হলো, নিয়ে যখন ফেলে দিয়ে ফিরে আসলো, আসার সময় স্ত্রী নৌকার মধ্যে উঠে বলে
” কি মজা!
স্বামীর মাকে ফেলে যাই, নৌকা দিয়া বাইয়া যাই,
স্বামী বলে, ঘরে গিয়ে দেখ কে আছে আর কে নাই।

মনে রাখবেন, শাশুড়ির সাথে যত যুদ্ধ করবেন, তত ভালোবাসাং গোপন দুরত্ব সৃষ্টি হবে সন্দেহ নাই।

বলছিলাম, ঘরে একে অপরকে তালিম শুনাও, সংসারে শান্তি আসবে।

Check Also

সুরা ফাতিহার তাফসীর

الحمد لله رب العالمين সর্বদা নিয়ামত দেন: সর্বদার প্রশংসা: উক্ত আয়াত جملة اسمية কেন? কারণ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.