Home > লালন মতবাদ > লালশাহ সেতু

লালশাহ সেতু

লালনশাহ সেতু! একটি চেপে থাকা বিষয়:

জামালপুর মাদারগঞ্জ মাহফিল শেষ করে সাতক্ষিরার মাহফিলের উদ্দেশ্যে যাচ্ছি। এখন পার হচ্ছি লালনশাহ সেতু। যার নামটা সৃতিচারণে এই সেতুর নামকরণ, সেই লালন ছিলো একজন ঈমান চো*র। ‘পীরই আল্লাহ, পীরই রাসুল’ এই কথার আবিস্কারক ছিলেন এই লালন। তিনি গানে লিখেছেন,
‘যেহি মুরশিদ সেই তো রসুল,
ইহাতে নাই কোনো ভুল, খোদাও সে হয়।
এমন কথা লালন কয় না কোরানে কয়। -অখণ্ড লালনসঙ্গীত : পৃ. ৩৯

নাউযুবিল্লাহ। কতো শিরক ভাবা যায়? উপরন্তু সম্রাট আকবরের দ্বীনে এলাহীর প্রকাশ্যে প্রচারক ছিলো এই লালন। লালনভক্ত আবদেল মাননান লিখেছে,
‘ ফকির লালন শাহ’র ইসলাম তথা দ্বীনে এলাহী প্রতিষ্ঠিত না হলে সাধুগুরুগণের অখণ্ড ‘ভারতপংথ’ নবপ্রাণশক্তিকে উদ্ভাসিত হবে না বিশ্ব মানচিত্র।’ -অখণ্ড লালনসঙ্গীত : পৃ. ৮১

লালন ভক্তরা এই আন্তধর্মীয় মতবাদটা পেয়েছে লালন থেকেই। কারণ লালন নিজেও কোনো ধর্মের অনুসারী ছিলো না। দেখুন লালণ কী লিখেছে,
ভক্তের দ্বারে বাঁধা আছেন গো শাঁই ।
হিন্দু কি যবন বলে তার জাতের বিচার নাই ॥
সবাই শাঁইজির, শাঁইজি সবার ।-অণ্ড লালনসঙ্গীত : পৃ. ৬৪

লালন নিজে তো কোনো ধর্ম পালন করেনি, বরং অন্যদেরও না করার মিশনে উৎসাহ যুগিয়েছে। সে লিখেছে,
সবে বলে লালন ফকির কোন জাতের ছেলে।
কারে বা কি বলি আমি দিশে না মেলে।
একদণ্ড জরায়ু ধরে এক একেশ্বর সৃষ্টি করে
আগমনিগম চরাচরে তাইতে জাত ভিন্ন বলে।
জাত বলিতে কি হয় বিধান হিন্দু বৌদ্ধ যবন খ্রিস্টান
জাতের কিবা আছে প্ৰমাণ শাস্ত্ৰ খুঁজিলে।
মানুষের নাই জাতের বিচার এক এক দেশে এক এক আচার
লালন বলে জাত ব্যবহার গিয়াছি ভুলে।-অখণ্ড লালনসঙ্গীত : পৃ. ২৫৫

এ ছাড়াও অসংখ্য কুফরি ও শিরকি মতবাদ লালনকারী এই ফকির লালনকে আমাদের দেশের সম্পদ মনে করা হয়। এমন লোকের সৃতিচারণে সেতুর নামকরণ করা হয়। যারা এসব কাজে যুক্ত ছিলো, আল্লাহপাক তাদের প্রাপ্য ফলাফল দান করুন। আমীন!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.