সুন্নাত
টাকা সফলতার মানদনণ্ড
ক্ষমতা সফলতার চুড়ান্ত পর্যায়
স্বাস্থ সফলতার মূল এজন্য মানুষ ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঔষধ খায়।
কিন্তু ডাক্তারদের পরামর্শ তো মানেন, কিন্তু শ্রেষ্ট ডাক্তার মুহাম্মাদ সা. এর প্রেসক্রিপশন মানো এর মধ্যেই সফলতা।
চোর অস্থায়ী সফলতা পায় চুরির মাধ্যমে, ডাকাত অস্থায়ী সফলতা পায় ডাকাতির ভেতরে, রাজনীতির কর্মীরা অস্থায়ী সফলতা পায় নেতার চামচামির মাধ্যমে, নেতারা অস্থায়ী সফলতা পায় রাজনীতির মাধ্যমে, ডাক্তাররা অস্থায়ী সফলতা পায় ডাক্তারি পেশার ভেতরে। ব্যবসায়ীরা অস্থায়ী সফলতা পায় দোকানের মাধ্যমে। কিন্তু মুসলমানেরা সফলতা স্থায়ী সফলতা পাবে সুন্নাতের মধ্যে।
সফলতা কোথায়?
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
قَدْ أَفْلَحَ مَن زَكَّاهَا وَقَدْ خَابَ مَن دَسَّاهَا
অর্থ: যে নিজেকে শুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয় এবং যে নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ মনোরথ হয়।
সুরাঃ শামস আয়াত: ৯-১০
সফলতা পেতে কি করতে হবে?
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانتَهُوا وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
অর্থ: রসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।
সুরাঃ হাশর, আয়াত: ৭
أَيْ مَهْمَا أَمَرَكُمْ بِهِ فَافْعَلُوهُ وَمَهْمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَاجْتَنِبُوهُ فَإِنَّهُ إِنَّمَا يَأْمُرُ بِخَيْرٍ وَإِنَّمَا يَنْهَى عَنْ شَرٍّ
সূত্র: তাফসীরে ইবনে কাসীর
ছাত্ররা শিক্ষকের আপন হতে পারলে নিজেকে সফল মনে করে,
কর্মচারী মালিকের কাছে আপন হতে পারলে সফল ভাবে,
কর্মীরা নেতার কাছে আপন হওয়াতে নিজেকে সফল ভাবে,
নেতারা ভোটারদের কাছে আপন হওয়াতে নিজেকে সফল ভাবে,
প্রেমিক প্রেমিকার প্রিয় হতে পারলে নিজেকে খুব স্মার্ট মনে শান্তি লাভ করে,
কিন্তু এসব সফলতা ক্ষণস্থায়ী। চিরস্থায়ী সফলতা হলো আল্লাহ তা’আলার কাছে বান্দা যদি আপন হতে পারে।
অন্যদের আপন হওয়ায় সফল ভাবে কেন?
কারণ শিক্ষকের আপন হতে পারলে, চাকরি ভাল হবে,
মালিকের আপন হতে পারলে, বেতন বাড়বে,
নেতার আপন হতে পারলে, নমিনেশন পাবে,
মালিকের আপন হতে পারলে, বেতন বাড়বে,
ভোটারদের আপন হতে পারলে, নির্বাচিত হতে পারবে,
প্রেমিকার আপন হতে পারলে, আদর বাড়বে,
কিন্তু আমরা বলি, আল্লাহর আপন হতে পারলে আমাদের উভয় জাহানে জান্নাতের নিয়ামত মিলবে।
শিবশক্তি মহারাজ
গত ১০ ই মে (১৯৮৬) ভারতের সাম্প্রতিক কালের এক মহাত্মা ধর্মগুরু ডঃ শিবশক্তি স্বরূপ মহারাজ উদাসেন। যিনি ১২ টি ভাষা এবং ১০ ধর্মের উপর পান্ডিত্য অর্জন করেন।তিনি সাক্ষাৎকারে বলেছেন,
“ইসলাম গ্রহণের মাধ্যমে যে তৃপ্তি আমি পেয়েছি সাত রাজ্যের ধন সম্পদ লাভ করেও তা পাওয়া সম্ভব নয়।”
সূত্র: সাপ্তাহিক শাহীন ১ লা মার্চ ১৯৮৭ ঈ:।
যারা আল্লাহর কথা বলে, আল্লাহর পথে চলে, আল্লাহকে ভালোবেসে সঁপেছে জিবন, তাদের কিসের ভয়? কে করে পরাজয়? শহীদি তামান্নাতে নাচে তার মন।
লালসার কাছে কভু, হয় না সে পরাজয়,
জীবন বিলিয়ে সে তো, জান্নাত করে ক্রয়,
মৃত্যুর মুখোমুখি, দাঁড়িয়েও যারা সুখী,
এসো আজ তাদের দলে।
میں ڈھونڈ رہا کہا ہے دربار الہی
محبت میں تیرے دمبدم رکھنا ہے مولی
محبت میں تیرے دمبدم رکھنا ہے مولی
تیرے عشق میں جینا ہے تیرے نام میں مرنا
ہمے تم دوست بنا لے ہمے تم مستی بنانے
ہمارے پیار بنانے ہمارے یار بنالے
বান্দা আল্লাহর আপন হয় কখন?
আমার ছেলের মত দেখতে.
বাবা একজন ছেলেকে দেখে খুব আদর করছে। লোকজন জিজ্ঞাসা করলো, কেন ছেলেকে আদর করছেন? তখন বাবা বলল, ছেলেটা আমার ছেলের মত দেখতে। ঠিক তেমনিভাবে, আল্লাহ তা’আলা যখন দেখেন, কোনো বান্দা তার প্রিয় হাবিবের মত হতে চায়, তখন আল্লাহ তা’আলা তাকেও ভালোবাসেন।
আল্লাত তা’আলা বলেন,
قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
অর্থ: বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।
সুরাঃ আলে-ইমরান, আয়াত: ৩১
আর কি পুরস্কার?
وَمَن يُطِعِ اللّهَ وَالرَّسُولَ فَأُوْلَئِكَ مَعَ الَّذِينَ أَنْعَمَ اللّهُ عَلَيْهِم مِّنَ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاء وَالصَّالِحِينَ وَحَسُنَ أُولَئِكَ رَفِيقًا
অর্থ: আর যে কেউ আল্লাহর হুকুম এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য করবে, তাহলে যাঁদের প্রতি আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, সে তাঁদের সঙ্গী হবে। তাঁরা হলেন নবী, ছিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীল ব্যক্তিবর্গ। আর তাদের সান্নিধ্যই হল উত্তম।
সুরাঃ নিসা, আয়াত: ৬৯
নবীজি সা. বলেন,
كُلُّ أُمَّتي يَدْخُلُونَ الجَنَّةَ إِلّا مَن أَبى، قالوا: يا رَسُولَ اللَّهِ، وَمَن يَأْبى؟ قالَ: مَن أَطاعَنِي دَخَلَ الجَنَّةَ، وَمَن عَصانِي فقَدْ أَبى
সূত্র: সহিহ বুখারী হাদিস: ৭২৮০
সুন্নাতের অনুসারীদের চেহারা উজ্জল হবে কিয়ামতে।
يَوْمَ تَبْيَضُّ وُجُوهٌ وَتَسْوَدُّ وُجُوهٌ فَأَمَّا الَّذِينَ اسْوَدَّتْ وُجُوهُهُمْ أَكْفَرْتُم بَعْدَ إِيمَانِكُمْ فَذُوقُواْ الْعَذَابَ بِمَا كُنْتُمْ تَكْفُرُونَ
وَأَمَّا الَّذِينَ ابْيَضَّتْ وُجُوهُهُمْ فَفِي رَحْمَةِ اللّهِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
অর্থ: সেদিন কোন কোন মুখ উজ্জ্বল হবে, আর কোন কোন মুখ হবে কালো। বস্তুতঃ যাদের মুখ কালো হবে, তাদের বলা হবে, তোমরা কি ঈমান আনার পর কাফের হয়ে গিয়েছিলে? এবার সে কুফরীর বিনিময়ে আযাবের আস্বাদ গ্রহণ কর।
আর যাদের মুখ উজ্জ্বল হবে, তারা থাকবে রহমতের মাঝে। তাতে তারা অনন্তকাল অবস্থান করবে।
সুরাঃ আলে-ইমরান, আয়াত: ১০৭-১০৮
ইবনে আব্বাস রা. বলেন,
وَقَوْلُهُ تَعَالَى: ﴿يَوْمَ تَبْيَضُّ وُجُوهٌ وَتَسْوَدُّ وُجُوهٌ﴾ يَعْنِي: يَوْمَ الْقِيَامَةِ، حِينَ تَبْيَضُّ وُجُوهُ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ، وَتَسْوَدُّ وُجُوهُ أَهْلِ البِدْعَة وَالْفُرْقَةِ، قَالَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا
সূত্র: তাফসীরে ইবনে কাসীর
আন্তর্জাতিক গাদ্দারী:
বাংলাদেশের মানুষ হয়ে যারা পাকিস্থানের দালালী করেছে, তাদেরকে বলা হয় গাদ্দারী, রাজাকার।
তেমনি মুসলিম নাম দিয়ে বিধর্মীদের মত ফ্যাশন যারা করে, তাদেরকে বলা হয় আন্তর্জাতিক গাদ্দার।
নবীজির ইন্তেকালের খবর শুনে জনৈক কৃষক:
রাসুলুল্লাহ সাঃ যখন ইন্তেকাল করলেন, একজন গ্রাম্য সাহাবীর কাছে একজন এসে বললেন যে, রাসূলুল্লাহ সা. ইন্তেকাল করেছেন। তিনি বলেন, ক নবী ইন্তেকাল করেছেন তিনি সব হালচাষ ছেড়ে দিয়ে দুই হাত উঠিয়ে আল্লাহকে বললেন হে আল্লাহ আমার এই চোখ ছিল তোমার রাসুলকে দেখার জন্য আমারিকান ছিল তোমার কথা শোনার জন্য যেহেতু তিনি নেই আমারও চোখ কান দিয়ে কি করব তুমি আমাকে এটা নিয়ে যাও একবার চোখ কান বন্ধ হয়ে যায় যেহেতু তিনি ছিলেন।
সূত্র: খুতবাতুল ইসলাম খন্ড খ. 5 পৃ. 32
ساحل سے لگے گا کبھی میرا بھی سفینہ
دیکھیں گے کبھی شوق سے مکہ و مدینہ
উস্তুনে হান্নানাহ:
আপনি আমি কেন নবীজির সুন্নাত শরীরে জড়াইলাম না?
সুন্নাত বোকার আলামত!
সচিব আর বাচ্চার মাদরাসা
খাবার তুলে খাওয়া।
إنَّ المسلمَ يُؤجَرُ في كلِّ شيءٍ حتّى في اللُّقمةِ يرفعُها إلى فيهِ
সূত্র: জামে সগীর হাদিস: ৫৩৭২
তাদের দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা ছিলো-
أأترك سنة حبيبي لهؤلاء الحمقاء
অর্থ: আমি কি আমার হাবীবের সুন্নাত ছেড়ে দেবো এই মূর্খদের জন্য?
সুন্নাত মানলে বউ, চাকরি কিছু থাকবে না।
সুন্নাত মানলে যদি কোন মেয়ে তোমার সাথে বিয়ে বসতে না চায়, তাকে যেতে দাও। কারণ যে মহিলা নবীকে মানে না, সে মহিলা তার স্কামীকেও মানবে না।
বউ যদি পছন্দ না করে নবীজির সা. সুন্নাহ, সে বউ নিয়ে সুখের ঘর করার চিন্তা বাদ দাও, কারণ যে বউ নবীর ষ্টাইল পছন্দ করে না, তার রুচি নষ্ট হয়ে গেছে, সে হিরো আলমের প্রস্তাব পেলেই তোমাকে ছেড়ে চলে যাবে।
যে বন্ধু তোমার নবীকে মানে না, তার সাথে বন্ধুত্ব করো না, কারণ যে মায়ার নবী উম্মতের বন্য এত কষ্ট করার পরও তাকে যে বন্ধু মানে না, সে বন্ধু তোমার বিপদেও গাদ্দারী করতে হাত কাঁপবে না।
নবীজির সুন্নাত মানলে যে চাকরি থাকে না, চাকরির মুখে লাথি মারেন নবীর কলিজায় আঘাত করে চাকরি করে ঐ টাকায় জিবনে সুখের সংসার হবে না।
নবীর সা. সুন্নাতের জন্য যদি বন্ধু, বউ, চাকরি চলে যায়, যেতে দাও আল্লাহ বলেন, আমি তোমার অন্তরে চলে আসবো।
যে নেতা নবীর সুন্নাত মানে না, সে নেতারে ভোট দিও না। কারন যে লোকটা নবীর সা. সুন্নাত দিয়ে নিজেকে সাজাইনি, সে সরকারের থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে তোমার সমাজ গড়ে দেবে না।
প্লেট চেটে খাওয়া:
জনৈক মুরুব্বী হোটেলে প্লেট চেটে খাচ্ছিলেন, এমন সময় এক মডার্ণ যুবক এসে মুরুব্বীকে হিট করে বলছেন, হুজুর আপনারা খাওয়ার সিস্টেমটাও জানেনা। তখন মুরুব্বী বললেন, কেন বাবা? যুবক বলল, এভাবে চেটে চেটে ভদ্র মানুষে খায়? মুরুব্বী বললেন, আচ্ছা বাবা, তাহলে খাওয়া সিস্টেম টা কি একটু শিখিয়ে দাও। তখন যুবক ৪ টি পরোটা অর্ডার দিলেন। চারটার ভেতর দুটো খেয়ে ভাজিসহ বাকি দুটো রেখে প্লেটে পানি ঢেলে দিয়ে বললেন, এই যে এটা মর্ডান স্টাইল ও ভদ্রতার খাবার। তখন মুরুব্বী বললেন, যে এটা ভদ্রতা তো দূরের কথা এটা মানুষের খাওয়ার সিস্টেম না। যুবক রেগে গিয়ে বললেন কেন? কি বলতে চান আপনি? এটা আমি এমেরিকা থেকে শিখেছি। তখন মুরুব্বী বললেন, তোমাদের বাড়ি গরু আছে? বলল, হ্যাঁ আছে কেন?বললেন, তোমাদের গরু খড়কুটা কেমনে খায়? বলল, কিছু খায়, বাতিগুলো রেখে দেয়। মুরুব্বী বললেন, তুমি যেভাবে খেয়েছি এটা তোমাদের গরুর ভদ্রতা মানুষের না।
আর মনে রেখো, আমেরিকা গেলে যে ভদ্রতা শেখা যায়, সেটা তোমার গরুর গোয়ালেই পাওয়া যায়, কিন্তু মানুষের খাওয়ার সিস্টেম জানতে চীন, জাপান, ইউরোপ, আমেরিকা নয়, মুহাম্মাদের কাছেই যেতে হয়।
রাষ্ট্রের অর্ধেক
জনৈক রাজা বলল, যে নতুন কিছু শুনাতে পারবে, তাকে রাষ্ট্রের অর্ধেকটা দিয়ে দেওয়া হবে। সবাই আসে আজিব আজিব কথা শুনায়, কিন্তু রাজা কয়, আমি সব জানি, এগুলো পুরোনো কথা। আসলে মূলত রাজা সবাইকে বোকা বানাতে চেয়েছিলো। না জানলেও বলতো, আমি জানি।
অবশেষে দাঁড়ি-টুপি পরা মৌলবী এসে বললেন, আমি জানি একটা নতুন কথা। বলে কি বলো। বললেন, আপনার বাবা আমার বাবার ঘরে শিং কেটে ১০০ কোটি টাকার চুরি করছিল, সেটা জানেন? এখন বাদশা পড়লেন, বিপদে যদি শিকার করি হ্যাঁ জানি, তাহলে তো ১০০ কোটি টাকা পাশাপাশি ইজ্জত শেষ। আর যদি বলি না জানি না, তাহলে শুধু অর্ধেক রাষ্ট্র যাবে। যাক বাবা মেহমানের দরকার নেই কুত্তা খেদাই। তখন তিনি হুজুরের সামনে হেরে গিয়ে অর্ধেক রাষ্ট্র হারালেন।
অতএব যারা বলো, মোল্লা দৌড় মসজিদ পর্যন্ত শুনে রাখো, মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত, তোমাদের দৌড় গোয়ালন্দের পতিতালয় পর্যন্ত, মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত, আর তোমাদের দৌড় পরীমনি আর পাপিয়াদের ঘর পর্যন্ত। আর মোল্লাদের দৌড় শুধু মসজিদ নয়, মোল্লারা মাঠে, ঘাটে, দোকানে, রাজপথে এমন কি দাঁড়ি-টুপি পাগড়িওয়ালারা কি পারে আজ দেখো মানচিত্রের দিকে তাকিয়ে। দেখো আজ তাকিয়ে পৃথিবীর সুপ্রিম পাওয়ার আমেরিকাকে নাকানি-চুবানি খাইয়ে আফগানের মুক্তিযোদ্ধারা রাজ শিংহাসনে আসীন হয়েছে। এমনকি শুধু রাজ শিংহাসন নয়, মোল্লার দৌড় বাসা থেকে মসজিদ,মসজিদ থেকে দোকান, দোকান থেকে রাজপথ, রাজপথ থেকে রাষ্ট্রভবন এমনকি মোল্লার শেষ দৌড় আল্লাহর জান্নাত পর্যন্ত।
বাম হাতে খাওয়া ভদ্রতা নয়:
খতিবে আযম ও আধুনিক যুবক:
খতিবে আজম আল্লামা সিদ্দিক আহমদ রহ.। তিনি একদিন কোন এক হোটেলে খানা খাচ্ছিলেন। তখন তিন যুবক হুজুরকে দেখে ভাবলো যে, চল হুজুর কে একটু অপমান করি। তখন তারা দেখলো, হুজুর মুরগির হাড্ডি চিবিয়ে চিবিয়ে খাচ্ছেন। তখন যুবকরা এসে বললো, হুজুর, আসলে আপনাদের এলাকায় কি কোনো কুকুর-টুকুর নেই? তিনি বললেন, হ্যাঁ আছে। কিন্তু কেন? তখন তারা বলল, আচ্ছা হুজুর, তাহলে আপনাদের এলাকার কুকুরে কি খায়? খতিবে আজম রহ. দেখলেন, যুবক তিন জনের ডান হাতে সিগারেট আর বাম হাতে চা খাচ্ছিলো। তখন হুজুর দেখে বললেন, আসলে আমাদের এলাকার কুকুরগুলো ডান হাতে সিগারেট আর বাম হাতে চা খায়।
ইবনু উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ فَلْيَأْكُلْ بِيَمِينِهِ وَإِذَا شَرِبَ فَلْيَشْرَبْ بِيَمِينِهِ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَأْكُلُ بِشِمَالِهِ وَيَشْرَبُ بِشِمَالِهِ
অর্থ: যখন তোমাদের কেউ খাদ্য খায়, তখন সে যেন ডান হাতে খায় আর যখন পান করে, সে যেন ডান হাতে পান করে। কারণ শাইতান বাম হাতে খায় ও পান করে।
সূত্র: সহিহ মুসলিম হাদিস: ২০২০
ভদ্রতা কোথায়.
ভদ্র সাজতে গিয়ে দাঁড়িয়ে পেশাব করে। একজনকে জিজ্ঞাসা করা হলো, এমনভাবে পেশাব করে কেন? সে তো মুন্সি বাড়ির ছেলে ছিল। তো একজন জবাব দিল, সে আমেরিকায় গিয়ে এ কালচার শিখে এসেছে, এখন আমেরিকার সাথে পাল্লা দিয়ে দাঁড়িয়ে পেশাব করে।
তখন হুজুর বললেন, সে তো আমেরিকার সাথে পাল্লা দেয় না, বরং সে গরু আর কুত্তার সাথে পাল্লা দিয়ে পেশাব করছে।
দাঁড়িয়ে পেশাব করা যদি ফ্যাশন বা মডার্ণ হয়, তাহলে গরু কুত্তা সবচে বড় আপডেট আর মডার্ণ।
সুন্নাতের বিষয়ে আমাদের আনমনা:
সাহাবায়ে কেরাম রা. যদি কোন সময় নবীজির সা. নতুন কোন সুন্নাতের বিষয় জানতেন যে, এটা নবীর সা. সুন্নাত, তখন তারা সাথে সাথে আশ্চর্য হয়ে বলতেন, কী? এটা নবীর সুন্নাত? সুবহানাল্লাহ! তাহলে তো অবশ্যই মানতে হবে। ছাড়ার সুযোগ নেই। কিন্তু আমাদের অবস্থা কী? সুন্নাত? ওয়াজিব তো না, ফরজও তো না। তাহলে এত গুরুত্ব দিয়ে লাভ কি?
সুন্নাত তরীকা জঙ্গীবাদের আলামত:
দাঁড়ি রাখা, টাখনুন উপর কাপড় পরা, শরীয়াহ আইন চাওয়া ইত্যাদী জঙ্গীবাদের আলেমত।
সূত্র: সম্প্রীতির বাংলাদেশ।
কালু মাস্তান, রানা মাস্তান।
জঙ্গি নিয়ে ভঙ্গি করার সময় এখন শেষ,
সত্তিকারের জঙ্গি কোথায় দেখছে বাংলাদেশ,
আরে ও দেশের মানুষ, হইছেনি হুশ? পাইছোনি ভাই টের,
জঙ্গি বলে আর ডেকোনা মোল্লা মুনশিদের।
মাদ্রাসাতে জঙ্গি থাকে এই কথা ঠিক নয়,
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েও জঙ্গি এখন হয়,
জঙ্গি জুজুর ভয় দেখিয়ে ভিনদেশিরা খেলে
একদিকে নয় সব দিকে তাই চোখটি রাখো মেলে।
জঙ্গি ধরো জঙ্গি মারো জঙ্গি ভরো জেলে,
নিজের ঘরে খুইজা দেখো জঙ্গি তোমার ছেলে।
ভুল ঠিকানায় জঙ্গি খুঁজে কাঁদতে হবে পরে, সত্তিকারের জঙ্গি দিয়ে দেশটা যাবে ভরে।
মাদ্রাসাকে জঙ্গিবাদের কারখানা কয় যারা,
লাথি মেরে সবগুলারে দেশ থেকে আজ তাড়া
বলতো যারা মাদ্রাসাতেই অস্ত্র থাকে জমা,
জাতির কাছে ওই রামদের চাইতে হবে ক্ষমা।
ওরে চাইতো ওরা জঙ্গী নামে মাদ্রাসা হোক শেষ
নাস্তিকতার আস্তানা হোক সোনার বাংলাদেশ।
জঙ্গি ডরে বিশ্বকাপে এই আমাদের ভয়,
আমরা জানি জঙ্গি কারা কোন কারণে হয়।
জঙ্গী রোধে কাজ হবে না লৌহ প্রাচীর ঢেলে,
কাজ হবে দেশ রাষ্ট্র নিয়ে নবীর পথে এলে।
আখোরাতে সুন্নাতের ফযিলত:
তিন জায়গায় বড় ভয়ানক:
عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا ذَكَرَتِ النَّارَ فَبَكَتْ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا يُبْكِيكِ؟ قَالَتْ: ذَكَرْتُ النَّارَ فَبَكَيْتُ، فَهَلْ تَذْكُرُونَ أَهْلِيكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَمَّا فِي ثَلَاثَةِ مَوَاطِنَ فَلَا يَذْكُرُ أَحَدٌ أَحَدًا: عِنْدَ الْمِيزَانِ حَتَّى يَعْلَمَ أَيَخِفُّ مِيزَانُهُ أَوْ يَثْقُلُ، وَعِنْدَ الْكِتَابِ حِينَ يُقَالُ (هَاؤُمُ اقْرَءُوا كِتَابِيَهْ) حَتَّى يَعْلَمَ أَيْنَ يَقَعُ كِتَابُهُ أَفِي يَمِينِهِ أَمْ فِي شِمَالِهِ أَمْ مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِهِ، وَعِنْدَ الصِّرَاطِ إِذَا وُضِعَ بَيْنَ ظَهْرَيْ جَهَنَّمَ
অর্থ: হযরত আয়েশা রা. সূত্রে বর্ণিত, একদা তিনি জাহান্নামের কথা স্মরণ করে কাঁদলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি কাঁদছো কেন? তিনি বললেন, জাহান্নামের কথা স্মরণ হওয়ায় কাঁদছি। আপনি কিয়ামতের দিন আপনার পরিবারের কথা মনে রাখবেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ অবশ্য তিনটি স্থান যেখানে কেউ কারো কথা স্মরণ রাখবে না। মিযানের নিকট, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে জানতে পারবে তার আমলের পরিমাণ কম হবে না কি বেশী; আমলনামা প্রাপ্তির স্থান যখন বলা হবে, ‘‘তোমার আমলনামা পাঠ করো’’ (সূরা আল-হাক্কাহঃ ১৯); কেননা তখন সবাই পেরেশান থাকবে যে, তার আমলনামা ডান হাতে পাচ্ছে নাকি বাম হাবে পাচ্ছে নাকি পিছন দিক থেকে পাচ্ছে; আর পুলসিরাতের নিকট, যখন তা জাহান্নামের উপর প্রতিষ্ঠিত করা হবে।
সূত্র: সুনান আবু দাউদ হাদিস: ৪৭৫৫
উক্ত তিন জায়গায় নবীজি সা. থাকবেন।
হযরত আনাস ইবনু মালিক রা. হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি নবীজি সা. কে বললাম,
قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَأَيْنَ أَطْلُبُكَ قَالَ ” اطْلُبْنِي أَوَّلَ مَا تَطْلُبُنِي عَلَى الصِّرَاطِ ” . قَالَ قُلْتُ فَإِنْ لَمْ أَلْقَكَ عَلَى الصِّرَاطِ قَالَ ” فَاطْلُبْنِي عِنْدَ الْمِيزَانِ ” . قُلْتُ فَإِنْ لَمْ أَلْقَكَ عِنْدَ الْمِيزَانِ قَالَ ” فَاطْلُبْنِي عِنْدَ الْحَوْضِ فَإِنِّي لاَ أُخْطِئُ هَذِهِ الثَّلاَثَ الْمَوَاطِنَ
অর্থ’ হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমি আপনাকে কোথায় খোঁজ করব? তিনি বললেন, তুমি সর্বপ্রথম আমাকে পুলসিরাতের সামনে খোঁজ করবে। আমি বললাম, পুলসিরাতে যদি আপনাকে না পাই? তিনি বললেন, তাহলে মীযানের ঐখানে খুঁজবে। আমি আবার বললাম, মীযানের ঐখানেও যদি আপনাকে না পাই? তিনি বললেন, তাহলে হাওযে কাওসারের সামনে খুঁজবে। আমি এ তিনটি জায়গার যে কোন একটিতে অবশ্যই উপস্থিত থাকব।
সূ্ত্র: জামে তিরমিযি হাদিস: ২৪৩৩
উম্মাতকে নবীজি সা. কেমনে চিনবেন?
হযরত আবূ হুরাইরাহ রা. হতে বর্ণিত, নবীজি সা. বললেন,
وَدِدْتُ أَنَّا قَدْ رَأَيْنَا إِخْوَانَنَا ” . قَالُوا أَوَلَسْنَا إِخْوَانَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ” أَنْتُمْ أَصْحَابِي وَإِخْوَانُنَا الَّذِينَ لَمْ يَأْتُوا بَعْدُ ” . فَقَالُوا كَيْفَ تَعْرِفُ مَنْ لَمْ يَأْتِ بَعْدُ مِنْ أُمَّتِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ ” أَرَأَيْتَ لَوْ أَنَّ رَجُلاً لَهُ خَيْلٌ غُرٌّ مُحَجَّلَةٌ بَيْنَ ظَهْرَىْ خَيْلٍ دُهْمٍ بُهْمٍ أَلاَ يَعْرِفُ خَيْلَهُ ” . قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ ” فَإِنَّهُمْ يَأْتُونَ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنَ الْوُضُوءِ وَأَنَا فَرَطُهُمْ عَلَى الْحَوْضِ أَلاَ لَيُذَادَنَّ رِجَالٌ عَنْ حَوْضِي كَمَا يُذَادُ الْبَعِيرُ الضَّالُّ أُنَادِيهِمْ أَلاَ هَلُمَّ . فَيُقَالُ إِنَّهُمْ قَدْ بَدَّلُوا بَعْدَكَ . فَأَقُولُ سُحْقًا سُحْقًا
অর্থ: আমার বড় ইচ্ছা হয় আমাদের ভাইদেরকে দেখি। সাহাবায়ে কিরাম আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কি আপনার ভাই নই? তিনি বললেন, তোমরা তো আমার সাহাবা। আর যারা এখনো (পৃথিবীতে) আসেনি তারা আমাদের ভাই। সাহাবায়ে কিরাম আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আপনার উম্মতের মধ্যে যারা এখনো (পৃথিবীতে) আসেনি তাদেরকে আপনি কিভাবে চিনবেন?
তিনি বললেন, “কেন, যদি কোন ব্যক্তি সাদা রঙের কপাল ও সাদা রঙের হাত-পা বিশিষ্ট ঘোড়া অনেকগুলো কালো ঘোড়ার মধ্যে মিশে যায় তবে সে কি তার ঘোড়াকে চিনে নিতে পারবে না? তারা বললেন, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বললেন, তারা (আমার উম্মত) সেদিন এমন অবস্থা আসবে যে, ওযুর ফলে তাদের মুখমণ্ডল, হাত-পা জ্যোতির্ময় হবে। আর হাওযের পাড়ে আমি হব তাদের অগ্রনায়ক। জেনে রাখ, কিছু সংখ্যক লোককে সেদিন আমার হাওয থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে যেমনিভাবে বেওয়ারিশ উটকে তাড়িয়ে দেয়া হবে। আমি তাদেরকে ডাকব, এসো এসো। তখন বলা হবে, “এরা আপনার পরে (আপনার দীনকে) পরিবর্তন করে দিয়েছিল”। তখন আমি বলব, “দূর হও, দূর হও”।
সূত্র: সহিহ মুসলিম হাদিস: ২৪৯
مومن جو فدا نقش كف پائے نبی ہو
ہو زیر قدم آج بھی عالم کا خزینہ
گر سنت نبوی کی کرے پیروی امت
طوفاں سے نکل جائے گا پھر اسکا سفینہ
ইবনে আব্বাস রা. বলেন,
وَتَسْوَدُّ وُجُوهُ أَهْلِ البِدْعَة وَالْفُرْقَةِ، قَالَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا
সূত্র: তাফসীরে ইবনে কাসীর
আমি কার লাগি সাজাইলাম কুঞ্জ যতনও করে আইলানা আইলানা মুর্শিদ আমার ভাঙ্গা গোরে,
পিরিতি শিখাইয়া কেন গেলা ছাড়িয়া,
কোথায় আছি, কেমন আছি, দেখলাই না ফিরিয়া,
আমি যারে ভালোবাসি পাইলাম না তারে…
مَن تَقرَّبَ إلى اللهِ شِبرًا، تَقرَّبَ إليه ذِراعًا، ومَن تَقرَّبَ إلى اللهِ ذِراعًا، تَقرَّبَ إليه باعًا، ومَن أقبَلَ على اللهِ ماشيًا، أقبَلَ اللهُ إليه مُهَروِلًا
সূত্র: মুসনাদে আহমাদ হাদিস: ২১৩৭৪ তাবরানী: ১৬৪৬
হযরত যিন্নিরা রা.
زنيرة الرومية. كانت من السابقات إلى الإسلام، أسلمت في أول الإسلام، وعذّبها المشركون. قيل: كانت مولاة بني مخزوم، فكان أبو جهل يعذبها. وقيل: كانت مولاة بني عبد الدار، فلما أسلمت عميت، فقال المشركون: أعمتها اللات والعزى لكفرها بهما! فقالت: وما يدري اللات والعزى من يعبدهما، إنما هذا من السماء، وربي قادر على رد بصري، فأصبحت من الغد وقد رد الله بصرها، فقالت قريش: هذا من سحر محمد. ولما رأى أبو بكر رضي الله عنه ما ينالها من العذاب، اشتراها فأعتقها، وهي أحد السبعة الذين أعتقهم أبو بكر.
সূত্র: আসাদুল গায়াহ খ. ৬ পৃ. ১২৩
عذبت في الله تعالى حتى عميت وفي رواية فكان أبو جهل يعذبها قال لها يوما أب جهل إن اللات والعزى فعلا بك ما ترين فقالت له كلا والله لا تملك اللات والعزى نفعا ولا ضرا هذا أمر من السماء وربي قادر على أن يرد علي بصري فأصبحت تلك الليلة وقد رد الله تعالى عليها بصرها فقالت قريش إن هذا من سحر محمد صلى الله عليه وسلم فاشتراها أبو بكر رضي الله تعالى عنه وأعتقها
সূত্র: সিরাতে হালবিয়্যাহ খ. ১ পৃ. ৪২৪
বেড়ার উদহরণ:
জনৈক মুরুব্বী কৃষক তার আলুক্ষেতে চতুর্দিক থেকে বেড়া দিচ্ছিলেন। জনৈক যুবক গিয়ে বললেন, চাচা আপনি এই জমিতে বেড়া দিচ্ছেন কেন? তিনি বললেন, মাত্র আলু থেকে ছোট চারা বের হয়েছে, এলাকায় কিছু গরু ছাগল আছে, তারা যদি এখানে আসে, তাহলে আমার আলু গাছের পাতাগুলো খেয়ে ফেলবে। তখন যুবক বললেন, চাচা, পাতা যদি খায়, তাহলে আপনার অসুবিধা কি? আপনার দরকার তো আলু। আপনি পাতা কি করবেন? তখন তিনি বললেন, আরে গরু ছাগল না এসে যদি তুমি আসো তাহলে তো আরও সমস্যা। যখন গরু-ছাগল আসবে, তখন প্রথম পাতা খাবে, পরে লতা খাবে, তারপরে মূল বা গোড়ায় ধরে টান দিয়ে ভেতর থেকে আলু বের করে সেটাও খাবে। অতএব আমার আলু বাঁচাতে হলে, আগে পাতা বাঁচাতে হবে।
ঠিক তেমনিভাবে শয়তান প্রথম সুন্নাত খায়, এরপরে ওয়াজিব খায়, এর পরে ফরয খায়, এরপর ঈমান ধরে টান দেয়। অতএব ঈমান বাঁচাতে হলে, আগে সুন্নাত বাঁচাতে হবে।
তুমি খোদা (?) তুমি নবী (?), তুমি ভান্ডারী বাবা তেল ছাড়া চলে না রেলগাড়ি।
খাজা মূঈনুদ্দীন চিশতী রহ.
ল্যাংকটা বাবার লোক
مومن جو فدا نقش كف پائے نبی ہو
ہو زیر قدم آج بھی عالم کا خزینہ
گر سنت نبوی کی کرے پیروی امت
طوفاں سے نکل جائے گا پھر اسکا سفینہ
মুসা আ. ও যাদুগর
ও জনৈক ব্যক্তি
নুহ আ. ও উম্মাত
নবীজি সা. বলেন,
تُوضَعُ المَوازينُ يومَ القيامةِ، فيؤتى بالرَّجُلِ، فيوضَعُ في كِفَّةٍ، فيوضَعُ ما أُحصيَ عليه، فتمايَلَ به الميزانُ، قال: فيُبعَثُ به إلى النّارِ، فإذا أُدبِرَ به، إذا صائحٌ يصيحُ مِن عندِ الرَّحمنِ، يقولُ: لا تَعجَلوا، لا تَعجَلوا؛ فإنَّه قد بَقيَ له، فيؤتى ببِطاقةٍ فيها: لا إلهَ إلّا اللهُ، فتوضَعُ مع الرَّجُلِ في كِفَّةٍ، حتى يميلَ به الميزانُ
সূত্র: মুসনাদে আহমাদ হাদিস: ৭০৬৬
আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি,
إِنَّ اللَّهَ سَيُخَلِّصُ رَجُلاً مِنْ أُمَّتِي عَلَى رُءُوسِ الْخَلاَئِقِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَنْشُرُ عَلَيْهِ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ سِجِلاًّ كُلُّ سِجِلٍّ مِثْلُ مَدِّ الْبَصَرِ ثُمَّ يَقُولُ أَتُنْكِرُ مِنْ هَذَا شَيْئًا أَظَلَمَكَ كَتَبَتِي الْحَافِظُونَ فَيَقُولُ لاَ يَا رَبِّ . فَيَقُولُ أَفَلَكَ عُذْرٌ فَيَقُولُ لاَ يَا رَبِّ . فَيَقُولُ بَلَى إِنَّ لَكَ عِنْدَنَا حَسَنَةً فَإِنَّهُ لاَ ظُلْمَ عَلَيْكَ الْيَوْمَ فَتَخْرُجُ بِطَاقَةٌ فِيهَا أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ فَيَقُولُ احْضُرْ وَزْنَكَ فَيَقُولُ يَا رَبِّ مَا هَذِهِ الْبِطَاقَةُ مَعَ هَذِهِ السِّجِلاَّتِ فَقَالَ إِنَّكَ لاَ تُظْلَمُ . قَالَ فَتُوضَعُ السِّجِلاَّتُ فِي كِفَّةٍ وَالْبِطَاقَةُ فِي كِفَّةٍ فَطَاشَتِ السِّجِلاَّتُ وَثَقُلَتِ الْبِطَاقَةُ فَلاَ يَثْقُلُ مَعَ اسْمِ اللَّهِ شَيْءٌ
আল্লাহ তা’আলা কিয়ামত দিবসে আমার উম্মতের একজনকে সমস্ত সৃষ্টির সামনে আলাদা করে এনে উপস্থিত করবেন। তিনি তার সামনে নিরানব্বইটি আমলনামার খাতা খুলে ধরবেন। প্রতিটি খাতা দৃষ্টির সীমা পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। তারপর তিনি প্রশ্ন করবেন, তুমি কি এগুলো হতে কোন একটি (গুনাহ) অস্বীকার করতে পার? আমার লেখক ফেরেশতারা কি তোমার উপর যুলুম করেছে? সে বলবে, না, হে প্ৰভু!
তিনি আবার প্রশ্ন করবেনঃ তোমার কোন অভিযোগ আছে কি? সে বলবে, না, হে আমার প্রভু! তিনি বলবেনঃ আমার নিকট তোমার একটি সাওয়াব আছে। আজ তোমার উপর এতটুকু যুলুমও করা হবে না। তখন ছোট একটি কাগজের টুকরা বের করা হবে। তাতে লিখা থাকবেঃ “আমি সাক্ষ্য প্রদান করে যে, আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আর কোন প্রভু নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দেই যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও তার রাসূল”।
তিনি তাকে বলবেনঃ দাড়িপাল্লার সামনে যাও। সে বলবে, হে প্ৰভু! এতগুলো খাতার বিপরীতে এই সামান্য কাগজটুকুর কি আর ওজন হবে? তিনি বলবেনঃ তোমার উপর কোন রকম যুলুম করা হবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তারপর খাতাগুলো এক পাল্লায় রাখা হবে এবং উক্ত টুকরাটি আরেক পাল্লায় রাখা হবে। ওজনে খাতাগুলোর পাল্লা হালকা হবে এবং কাগজের টুকরার পাল্লা ভারী হবে। আর আল্লাহ তা’আলার নামের বিপরীতে কোন কিছুই ভারী হতে পারে না।
সূত্র: জামে তিরমিযি হাদিস: ২৬৩৯
رگ رگ میں محبت ہو رسول عربی کی
جنت کے خزائن کی یہی بیع سلم ہے
ساحل سے لگے گا کبھی میرا بھی سفینہ
دیکھیں گے کبھی شوق سے مکہ و مدینہ
বাংলাদেশের মানুষ হয়ে যারা পাকিস্থানের কালচারের উদ্ভুদ্ধ হয়, তাদেরকে বলা হয় পাকিস্থানে চলে যাও। তেমনি কিয়ামতে সুন্নাতহীন মানুষকে বলা হবে জাহান্নামে যাও।
পক্ষান্তরে বিমান আবিস্কার হওয়ায় মানুষ উড়ে উড়ে বিভিন্ন দিকে চলে যেতে পারে, তেমনি সুন্নাতের বিমানে মানুষ মূহুর্তেই পুলসিরাত পার হয়ে যাবে।
আবু মুসলিম খাওলানী রহ.
حدثني شراحيل بن مسلم الخولاني أن الأسود بن قيس بن ذي الحمار العنسي تنبأ باليمن، فأرسل إلى أبي مسلم الخولاني فأتي به، فلما جاء به قال أتشهد أني رسول الله؟ قال: ما أسمع، قال: أتشهد أن محمدا رسول الله؟ قال: نعم، قال:
أتشهد أني رسول الله قال: ما أسمع، قال: أتشهد أن محمدا رسول الله؟ قال: نعم، قال:
فردد عليه ذلك مرارا ثم أمر بنار عظيمة فأججت فألقي فيها فلم تضره، فقيل للأسود: انفه عنك وإلا أفسد عليك من اتبعك، فأمره فأرتحل، فأتى المدينة وقد قبض رسول الله صلى الله عليه وسلم، واستخلف أبو بكر، فأناخ أبو مسلم راحلته بباب المسجد، ثم دخل المسجد وقام يصلي إلى سارية، فبصر به عمر بن الخطاب فأتاه فقال: ممن الرجل؟ فقال: من أهل اليمن، قال: ما فعل الرجل الذي حرقه الكذاب بالنار؟ قال: ذاك عبد الله بن أيوب، قال: فأنشدك بالله أنت هو؟ قال: اللهم نعم، قال: فاعتنقه ثم ذهب به حتى أجلسه بينه وبين أبي بكر الصديق، فقال: الحمد الله الذي لم يمتني حتى أراني من أمة محمد صلى الله عليه وسلم من فعل به كما فعل بإبراهيم خليل الرحمن
সূত্র: তারিখে দিমাশক খ. ২৭ পৃ. ২০১ কানযুল উম্মাল খ. ১ পৃ. ২৯৯
সুন্নাত
টাকা সফলতার মানদনণ্ড
ক্ষমতা সফলতার চুড়ান্ত পর্যায়
স্বাস্থ সফলতার মূল
নবীজিকে কেন না?
অস্থায়ী সফলতা
চোর
ডাকাত
কর্মীরা
নেতারা
ডাক্তার
ব্যবসায়ী
মুসলমান + সুন্নাত
সফলতা কোথায়?
قَدْ أَفْلَحَ مَن زَكَّاهَا وَقَدْ خَابَ مَن دَسَّاهَا
সফলতা পেতে কি করতে হবে?
وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانتَهُوا وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
أَيْ مَهْمَا أَمَرَكُمْ بِهِ فَافْعَلُوهُ وَمَهْمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَاجْتَنِبُوهُ فَإِنَّهُ إِنَّمَا يَأْمُرُ بِخَيْرٍ وَإِنَّمَا يَنْهَى عَنْ شَرٍّ
সফল মনে করে,
ছাত্ররা
কর্মচারী
কর্মীরা
নেতারা
প্রেমিক
বান্দা রবের আপন হলে।
অন্যদের আপন হওয়ায় সফল ভাবে কেন?
ছাত্ররা……..চাকরি
কর্মচারী……বেতন
কর্মী………..নোমিনেশন
নেতা……….নির্বাচিত
প্রেমিক…….আদর
আল্লাহর আপন হলে সব হবে।