কুরবানীর গোশত তিন ভাগ করা মুস্তাহাব। এক তৃতীয়াংশ গরীব-মিসকিনকে সাদাকা করে দেবে, আর এক অংশ আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুবান্ধবের জন্য রাখবো আর এক অংশ নিজেদের রাখবে। ফাতাওয়ায়ে শামীতে এসেছে,
وَالْأَفْضَلُ أَنْ يَتَصَدَّقَ بِالثُّلُثِ وَيَتَّخِذَ الثُّلُثَ ضِيَافَةً لِأَقْرِبَائِهِ وَأَصْدِقَائِهِ وَيَدَّخِرَ الثُّلُثَ
অর্থাৎ উত্তম হলো, এক তৃতীয়াংশ গরীব-মিসকিনকে সাদাকা করে দেবে, আর এক অংশ আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুবান্ধবের জন্য রাখবো আর এক অংশ নিজেদের রাখবে।
সূত্র: রদ্দুল মুহতার খ. ৯ পৃ. ৪৭৪ ফাতাওয়া আলমগিরি খ. ৫ পৃ. ৩৭০-৩৭১ বাদায়েউস সানায়ে খ. ৪ পৃ. ২২৪ ই’লাউস সুনান খ. ১৭ পৃ. ২৬২
তবে যদি কেউ চায়, গরীবদের না দিয়ে আত্মীয়-স্বজনকে দিবে, তাহলে সেটাও জায়েয আছে। কারন সালমান ইবনু আমির রা. হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
الصَّدَقَةُ عَلَى الْمِسْكِينِ صَدَقَةٌ وَهِيَ عَلَى ذِي الرَّحِمِ ثِنْتَانِ صَدَقَةٌ وَصِلَةٌ
অর্থ: গরীবদের দান-খায়রাত করা শুধু দান বলেই গণ্য হয়; কিন্তু আত্মীয়-স্বজনকে দান করলে তা দানও হয় এবং আত্মীয়তাও রক্ষা করা হয়।
সূত্র: জামে তিরমিযি হাদিস: ৬৫৮
তবে যেহেতু একভাগ আত্মীয়-স্বজনের জন্য রাখা মুস্তাহাব, সেহেতু তাদের অংশটুকু রাখা এবং গরীবদেরও বঞ্চিত না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা।