সমাজে একটি বহুল প্রচলিত শিরক রয়েছে। সেটা হলো, অনেকে দোকানের কাষ্টোমার, ঘরের নতুন বউ বা সন্তান ইত্যাদীকে লক্ষ্মী বলে আখ্যায়ীত করে থাকে। অতচ আমরা সবাই জানি লক্ষ্মী একজন হিন্দু দেবী। বাঙালি হিন্দুরা প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপূজা করে থাকে। হিন্দুদের দাবি অনুসারে লক্ষ্মী হলো ধনসম্পদ, আধ্যাত্মিক সম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী। এজন্য হিন্দুরা ধনসম্পদ আসার সকল মাধ্যমগুলোকে লক্ষ্মী বলে আখ্যায়ীত করে থাকে। দুর্ভাগ্যবশত এ হিন্দুয়ানী শিরকি শব্দটি মুসলিমদের মধ্যেও প্রবেশ করেছে।
অথচ সকল সৃষ্টিজীবের রিজিকের ব্যবস্থা করে থাকেন একমাত্র মহান আল্লাহ। কোনো দেব-দেবী নয়। মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَمَن يَرْزُقُكُم مِّنَ السَّمَاء وَالْأَرْضِ أَإِلَهٌ مَّعَ اللَّ
অর্থ: এবং কে তোমাদেরকে আকাশ ও যমীন থেকে রিযিক দান করেন। সুতরাং আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য আছে কি?
সুরা নামল, আয়াত: ৬৪
অপর আয়াতে আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَمَا مِن دَآبَّةٍ فِي الأَرْضِ إِلاَّ عَلَى اللّهِ رِزْقُهَا وَيَعْلَمُ مُسْتَقَرَّهَا وَمُسْتَوْدَعَهَا كُلٌّ فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ
অর্থ: আর পৃথিবীতে কোন বিচরণশীল নেই, তবে সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহ নিয়েছেন। তিনি জানেন তারা কোথায় থাকে এবং কোথায় সমাপিত হয়। সবকিছুই এক সুবিন্যস্ত কিতাবে রয়েছে।
সুরা হুদ, আয়াত: ৬
সুতরাং সৃষ্টিকে বলা মানেই আল্লাহর ‘রাযযাক’ সিফাতের সাথে সরাসরি শিরক করা। আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে হিফাযত করুন। আমীন!