Home > ওয়াজ > ঈমানদার ও কাফেরের মাঝে পার্থক্য

ঈমানদার ও কাফেরের মাঝে পার্থক্য

এই পৃথিবীতে সবচে দামি হলো, মানবজাতী। পবিত্র কুরআনে পাকে আল্লাহ তা’য়ালা বলেছেন,

وَ لَقَدۡ کَرَّمۡنَا بَنِیۡۤ اٰدَمَ وَ حَمَلۡنٰهُمۡ فِی الۡبَرِّ وَ الۡبَحۡرِ وَ رَزَقۡنٰهُمۡ مِّنَ الطَّیِّبٰتِ وَ فَضَّلۡنٰهُمۡ عَلٰی کَثِیۡرٍ مِّمَّنۡ خَلَقۡنَا تَفۡضِیۡلًا

অর্থ: আর আমি তো আদম সন্তানদের সম্মানিত করেছি এবং আমি তাদেরকে স্থলে ও সমুদ্রে বাহন দিয়েছি এবং তাদেরকে দিয়েছি উত্তম রিয্ক। আর আমি যা সৃষ্টি করেছি তাদের থেকে অনেকের উপর আমি তাদেরকে অনেক মর্যাদা দিয়েছি।
সুরা ইসরা আয়াত: ৭৯

অপর আয়াতে রব বলেন,

لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ فِي أَحْسَنِ تَقْوِيمٍ

অর্থ: আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে।
সুরা ত্বীন আয়াত: ৪-৫

প্রশ্ন হলো, মানবজাতী যদি সবচে দামি হয়, তাহলে তো মুসলিম ও বেঈমান সবার মর্যাদা সমান হওয়ার কথা। এ প্রশ্নের জবাব আল্লাহ তা’য়ালা নিজেই দিয়েছেন,

يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ

অর্থ: তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার এবং যারা জ্ঞানপ্রাপ্ত, আল্লাহ তাদের মর্যাদা উচ্চ করে দিবেন। আল্লাহ খবর রাখেন যা কিছু তোমরা কর।
সুরা মুজাদালাহ আয়াত: ১১

কেমন মর্যাদা?

১. মহান রব নিজেই অপর আয়াতে বলেন,

إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ أُوْلَئِكَ هُمْ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ

অর্থ: যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তারাই সৃষ্টির সেরা।
সুরা বাইয়িনাহ আয়াত: ৭

২. হাদিসে নবীজি সা. বলেছেন,

رَوى أبُو هُرَيْرَةَ أنَّهُ عَلَيْهِ السَّلامُ قالَ أتَعْجَبُونَ مِن مَنزِلَةِ المَلائِكَةِ مِنَ اللَّهِ تَعالى والَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَمَنزِلَةُ العَبْدِ المُؤْمِنِ عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ القِيامَةِ أعْظَمُ مِن ذَلِكَ

অর্থাৎ হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, নবীজি সা. বলেছেন, তোমরা আল্লাহর নিকট ফিরিস্তাদের মর্যাদা দেখে আশ্চর্য হচ্ছো? অথচ কসম আল্লাহর কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে একজন ঈমানদারে মর্যাদা ফিরিস্তাদের চেয়েও বেশি।
সূত্র: তাফসীরে রাযী খ: ৩২ পৃ: ৫১ দুরের মানসুর খ: ১৫ পৃ: ৫৭৭ কাশশাফ

প্রশ্ন হলো,
যদি ঈমানদারের এত মর্যাদা হয়, তাহলে বাস্তবে তো আমরা পাই না। কত বেঈমান তো দুনিয়াতে এত সম্মানিত যে, তারা রাস্তায় বের হলে সামনে পেছনে সিকিউরিটি থাকে। প্রশাসনের লোকজন প্রোটেকশন দিয়ে নিয়ে চলে। কিন্তু অনেক মুসলমানের তো কোনো সিকিউরিটি নেই।

জবাব,
দুনিয়ার প্রশাসন টাকার বিনিময়ে ওদেরকে সিকিউরিটি দেয়। সরকার পাল্টালে তারাই আবার প্রোটেকশন না দিয়ে পিটানী দেয়। ঈমানদারদের জন্য মহান আল্লাহ কি রেখেছেন দেখুন-

له مُعَقِّبَاتٌ مِّن بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ يَحْفَظُونَهُ مِنْ أَمْرِ اللّهِ

তাঁর পক্ষ থেকে অনুসরণকারী রয়েছে তাদের অগ্রে এবং পশ্চাতে, আল্লাহর নির্দেশে তারা ওদের হেফাযত করে।
সুরা রা’দ আয়াত: ১১

অত্র আয়াতের তাফসীরে এসেছে,

يحتمل أن يكون توكيل الملائكة بهم لحفظهم من الوحوش والهوام والأشياء المضرة، لطفاً منه به

অর্থাৎ তাদের সাথে ফিরিস্তাদের নিযুক্ত করা হয় এজন্য যেন, তারা তাদেরকে কষ্টদায়ক জীবজন্তু এবং কষ্টদায়ক সকল বিষয় থেকে হিফাযত করতে পারে। এটা আল্লাহর তরফ থেকে দয়া হিসাবে।
তাফসীরে কুরতুবী খ: ৫ পৃ: ১৯২

ঈমানদার কা’বার চেয়েও দামি।
ঈমানদারের মর্যাদা কা’বার চেয়ে বেশি। পবিত্র হাদিসে এসেছে,

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللّه صلى الله عليه وسلم يَطُوفُ بِالْكَعْبَةِ وَيَقُولُ مَا أَطْيَبَكِ وَأَطْيَبَ رِيحَكِ مَا أَعْظَمَكِ وَأَعْظَمَ حُرْمَتَكِ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَحُرْمَةُ الْمُؤْمِنِ أَعْظَمُ عِنْدَ اللَّهِ حُرْمَةً مِنْكِ مَالِهِ وَدَمِهِ وَأَنْ نَظُنَّ بِهِ إِلاَّ خَيْرًا

অর্থ: হযরত আবদুল্লাহ ‘ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কাবা ঘর তাওয়াফ করতে দেখলাম এবং তিনি বলছিলেনঃ কত উত্তম তুমি হে কাবা! আর্কষীয় তোমার খোশবু, কত উচ্চ মর্যাদা তোমার! কত মহান সম্মান তোমার! তবে সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! আল্লাহর নিকট মুমিন ব্যক্তির জান-মাল ও ইজ্জতের মর্যাদা তোমার চেয়ে অনেক বেশী। আমরা মুমিন ব্যক্তি সম্পর্কে সুধারণাই পোষণ করি।
সূত্র: সুনানে ইবনে মাজা হাদিস: ৩৯৩২ আত তারগীব:

বেঈমানদের মর্যাদা পশুর মত:

ثُمَّ رَدَدْنَاهُ أَسْفَلَ سَافِلِينَ

অর্থ: অতঃপর তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি নীচ থেকে নীচে।
সুরা ত্বীন আয়াত: ৪-৫

কত নিচে?

আল্লাহ তা’য়ালা বলেন,

وَلَقَدْ ذَرَأْنَا لِجَهَنَّمَ كَثِيرًا مِّنَ الْجِنِّ وَالإِنسِ لَهُمْ قُلُوبٌ لاَّ يَفْقَهُونَ بِهَا وَلَهُمْ أَعْيُنٌ لاَّ يُبْصِرُونَ بِهَا وَلَهُمْ آذَانٌ لاَّ يَسْمَعُونَ بِهَا أُوْلَئِكَ كَالأَنْعَامِ بَلْ هُمْ أَضَلُّ أُوْلَئِكَ هُمُ الْغَافِلُونَ

অর্থ: আর আমি সৃষ্টি করেছি দোযখের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর। তারাই হল গাফেল, শৈথিল্যপরায়ণ।
সুরা আ’রাফ আয়াত: ১৭৯

মানুষ কেন কুকুরের মত হয়?

এক.
কুকুর নিকৃষ্ট প্রাণী এজন্য উৎকৃষ্ট ধর্ম ইসলাম আল্লাহ তা’য়ালা তার কপালে রাখেননি। এজন্য কুকুরের নির্দিষ্ট কোনো ধর্ম ফলো করা লাগে না, বরং সে তার মন চায় জিবন চালায়। ঠিক তেমনি কিছু মানুষ যারা মুক্তমনা দাবি করে নিজের মন মত জিবন চায়। তার মানে নাস্তিকদেরও ধর্ম ইসলাম নয়, সুৎরাং সেই নাস্তিক তসলিমাদের সাথে কুকুরের কোনো তফাৎ নাই।

দুই.
মানুষকে আল্লাহ তা’য়ালা সর্ব উৎকৃষ্ট রুপে বানিয়েছেন। সুতরাং উৎকৃষ্ট মানুষের জন্য খাবার হলো,

وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَآئِثَ

তাদের জন্য যাবতীয় পবিত্র বস্তু হালাল ঘোষনা করেন ও নিষিদ্ধ করেন হারাম বস্তুসমূহ।
সুরা আরাফ আয়াত: ১৫৭

পক্ষান্তরে কুকুর হলো নিকৃষ্ট প্রাণী তার খাবারও নিকৃষ্ট ময়লা নাপাক। মানুষ উৎকৃষ্ট হয়ে হারাম খেতে পারবে না, কারণ হারাম সম্পদও নাপাক। আল্লাহ তা’য়ালা বলেন,

وَلاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُم بَيْنَكُم بِالْبَاطِلِ وَتُدْلُواْ بِهَا إِلَى الْحُكَّامِ لِتَأْكُلُواْ فَرِيقًا مِّنْ أَمْوَالِ النَّاسِ بِالإِثْمِ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ

অর্থ: তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। এবং জনগণের সম্পদের কিয়দংশ জেনে-শুনে পাপ পন্থায় আত্নসাৎ করার উদ্দেশে শাসন কতৃপক্ষের হাতেও তুলে দিও না।
সুরা বাকারা আয়াত: ১৮৮

অতএব সুদের টাকা হারাম নাপাক, ঘুশের টাকা হারাম নাপাক, পতিতাবৃত্তির টাকা হারাম নাপাক, মানুষের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে, বুকে ছুরি চালিয়ে ছিনতাইকৃত টাকা হারাম নাপাক, জনগণের প্রতিনিধিরা রাস্তার টাকা, বৃদ্ধ ভাতার টাকা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতার টাকা আর গম চুরি চাল চুরির টাকা যারা আত্মসাৎ করে নাপাক খায় কুত্তার খাবারও নাপাক এই লোকদের খাবারও নাপাক হারাম খোর জনগন আর নেতাদের ভেতরে থাকে না কোনো তফাৎ।

চেহারাটা দেখতে ভাল পোষাকটাও চমৎকার,
অন্তরে তার কালি ভরা আস্তা একটা জানোয়ার,
রাস্তাঘাটে যায় না চলা এই মানুষের ভিড়ে,
ঐ ভিড়ের মাঝে আবার কেহ অন্যের পকেট মারে
এই মানুষের ভিড়ে আজই আসল মানুষ নাই রে নাই,
মানুষ দেখতে চলো এবার যাদু ঘরে যাই সবাই।
সত্য কথা বলে যাই, মন দিয়ে শোনেন সবাই,
কোটি কোটি মানুষ আছে আসল মানুষ নাইরে নাই।

তিন.
ভাদ্র মাসে কুকুর কুত্তির সাথে যখন আকাম করে, তখন কি আকামের আগে বিয়ে করে? কবুল কয়? কেন বিয়ে করে না? কারণ কুকুর নিকৃষ্ট প্রাণী, তাদের জন্য বিয়ের দরকার নাই। সুতরাং যারা বিয়েশাদী ছাড়া অবৈধভাবে পরকীয়ায় লিপ্ত হয় ওদের মাঝে আর কুত্তার মাঝে কোনো তফাৎ নাই।

চার.
ধর্ষণ কেন বেশি হয়? এটা বুঝতে একটু কুকুরের দিকে ভাবতে হবে। কুকুর কুত্তির সাথে রাস্তাঘাটে আকাম করে। কোনো পর্দা লাগে না। কেন? কারণ কুকুর হলো নিকৃষ্ট জাতি। তাদের জন্য এত সেফটির প্রয়োজন নেই। সৃষ্টিগতভাবে মহিলারা এই কুকুরের মতই, দুটি চোখ,দুটি কান,চারটা হাত-পা, একটি মাথা সবই আছে, কুকুর যেমন খায়, মহিলারাও তেমন খায়, কুকুর ঘুমায়, মহিলারাও ঘুমায়, কুকুর বাচ্চা দেয় মহিলাও দেয়, কুকুরের লজ্জাস্থান আছে মহিলারও আছে। কিন্তু পার্থক্য আকাশ আর যমীনের। কুুকুর সবচে নিকৃষ্ট মহিলা সবচে উৎকৃষ্ট জাতি। কুকুরের যেমন দাম নেই, তার লজ্জাস্থানেরও কোনো দাম নেই, অতএব সেটা ঢাকার দরকার নেই। কিন্তু মহিলারা দামি, তাদের বডিটাও দামি। আর দামি জিনিষ ঢেকে রাখতে হয়। এজন্য মহান রব বলেছেন,

وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى

অর্থ: তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না।
সুরা আহযাব আয়াত: ৩৩

অর্থাৎ হে নারী, তুমি কুকুরের মত নও, অতএব কুকুরের মত উলঙ্গ হয়ে চলো না, যদি চলো তাহলে মনে রেখো কুকুর যেমন উলঙ্গ হয়ে চলার কারণে রাস্তাঘাটে ধর্ষণের স্বীকার হয় তোমরাও কুত্তার মত ধর্ষণের স্বীকার হয়ে যাবে।

আরও নিকৃষ্ট কেন?

এক.
কুকুরের স্বভাব হলো, সে কারো থেকে একটা হাড্ডি পেলেও তাকে ভুলে যায় না,তাকে অস্বীকার করে না। যারা আল্লাহ দুনিয়ায় চলে আল্লাহকে অস্বীকার করে চেনে না, ওদের চেয়ে কুকুর হাজার গুনে উত্তম।

দুই.
কুকুর তার মুনীবের ঘর সারা রাত পাহারা দেয়।
আর আমরা সারারাত জিনা,ব্যভিচার,গুনাহে কাটিয়ে দেই। আমাদের চেয়ে কুকুর ভালো না খারাপ?

তিন.
কুকুরের একটা স্বভাব হলো, কোন কুত্তা একবার কোন কুত্তির সাথে সহবাস করলে সাথে সাথেই আরেকবার অন্য কুত্তা সহবাস করে না, কারণ এটা তাদের রুচিতে লাগে না। সুতরাং সুবর্ণচরের চার সন্তানের জননীকে যারা পালাক্রমে ধর্ষন করেছে ওরা কুকুরের চেয়েও জঘন্য।

চার.
বলেন তো, মর্যাদার দিক থেকে বাবা বড় না সন্তান বড়? নিশ্চয় বাবা। কপাল খারাপ, আমাদের সমাজে কিছু মানুষ কুত্তাকে বাবা ডাকে। চট্রগ্রামে একটা মাজারের নাম “কুত্তাশাহ মাজার”। কিরে কুত্তাশাহ কেন? জবাব দিল আমাদের পীর বাবা একটা কুকুর পুষতো সেটা মারা যাবার পর আমরা কবর দিয়ে মাজার বানিয়ে নাম দিয়েছি কুত্তাশাহ মাজার রহ.। কুত্তাশাহ মাজারের গিয়ে কুত্তাবাবার কাছে সন্তান চায়!
ক. বলুন তো, কুত্তা বছরে একটা জন্ম দেয় না হালি হালি? এই কুত্তা এত সন্তান পায় কোন বাবার কাছে কি চায়? দেয় কে? আল্লাহ। এই মানবজাতি যখন কুত্তার কাছে সন্তান চায়, তখন কুত্তাও লজ্জা পায় যে আমি কুকুর হয়ে মাখলুকের কাছে না চেয়েও আল্লাহ আমাকে দেয় হালি হালি। আর তোরা আমার কাছে চাস। তোরা তো আমি কুত্তার চেয়েও জঘন্য।
খ. কত মানুষ বাবার মাজারে গিয়ে বলে বাবা, সন্তান দাও। খোঁজ নিয়ে দেখলাম বাবারই সন্তান নাই।
গ. কুত্তাকে যখন কেউ বলে, বাবা! বলুন তো কুকুরকে কেউ বাবা বললে, সে কিসের বাচ্চা? এবার বলেন, সন্তান বড় হয় না বাবা? সুতরাং যারা কুত্তাকে বাবা বলে ডাকে ওরা কুত্তার চেয়েও নিকৃষ্ট এতে সন্দেহ নাই।

পাঁচ.

হযরত আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, নবীজি সা. বলেন,

العلماءُ ورثةُ الأنبياءِ، يحبُّهم أهلُ السماءِ، وتستغفرُ لهم الحيتانُ في البحرِ إذا ماتوا إلى يومِ القيامةِ

অর্থ: আলেমগণ নবীজির সা. ওয়ারিস, আসমানের বাসিন্দা ফিরিস্তারা তাদেরকে মহব্বত করেন, সমুদ্রের মাছসহ সবাই তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকেন।
সূত্র: জামে সগীর হাদিস: ৫৬৮৭

হযরত আবূ উমামাহ্ আল-বাহিলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

إِنَّ اللَّهَ وَمَلاَئِكَتَهُ وَأَهْلَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ حَتَّى النَّمْلَةَ فِي جُحْرِهَا وَحَتَّى الْحُوتَ لَيُصَلُّونَ عَلَى مُعَلِّمِ النَّاسِ الْخَيْرَ ‏

অর্থ: নিশ্চয়ই আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেন, তার ফেরেশতাগণ এবং আসমান-যমীনের অধিবাসীরা, এমনকি গর্তের পিপড়া এবং পানির মাছ পর্যন্ত সেই ব্যক্তির জন্য দু’আ করে যে মানুষকে কল্যাণকর জ্ঞান শিক্ষা দেয়।
সূত্র: সুনানে তিরিমযি হাদিস: ২৬৮৫

আলেমদের উপর আল্লাহ সদাসর্বদা রহমত বর্ষণ করতে থাকেন, ফিরিস্তারা তাদেরকে ভালবাসেন,
গরু,ঝছাগল,তেঁসি,মুরগী,কুুকুর,শুকর,বিড়াল, নদীর মাছ,গর্তের পিপিলিকা এমনকি গাছ-গাছালী তরুলতাসহ এমনকি ফিনিস্তারাসহ সাত তবক যমীন আসমান সবাই আলেমদের জন্য দুআ করতে থাকে, আর কিছু মানুষ আলেমদের নিয়ে ২৪ ঘন্টা ষড়যন্ত্রের ছক আগ, আলেমদের জঙ্গী,রাজাকার, পাকিস্থানী বলে গালী দেয় ওদের চেয়ে অবশ্যই কুকুর শুকর ভালো।

♦ মানুষ আগে বানর ছিল

ছয়.
আমাদের পৃথিবীর হিন্দুরা গরুকে মা ডাকে।
তার মানে ওরা কিসের বাচ্চা। গরুর বাচ্চা। বলেন মর্যাদার দিক থেকে মা বড় না সন্তান? বুঝা গেল যারা গরুকে মা ডাকে ওদেরকে আল্লাহ যে বলেছেন, ওরা নিকৃষ্ট প্রাণীর চেয়েও জঘন্য এটাই সত্য কথা।

গোমাতা

দুনিয়াতে মহান আল্লাহ মুসলমানদের অনেক সম্মান দিয়েছেন। যা বাস্তবে পরিলক্ষিত হয়। যেমন,
১. কোনো গরীব মুসলমানও মারা গেলে তাদের কত যত্ন করে কবরে নামানো হয়, শরীরে কোনো টোকা পর্যন্ত না লাগে সেজন্য সবাই প্রাণপন চেষ্টা করেন। কিন্তু হিন্দুদের ঈমান নাই, কপালে মরার পর থেকেই শশানে কাঠ আর আগুনে দিয়ে তাকে বরণ করা হয়।

একটি সংশয়

কুরআনে পাকে আসছে,

وَمَا مِن دَآبَّةٍ فِي الأَرْضِ إِلاَّ عَلَى اللّهِ رِزْقُهَا

অর্থ: আর পৃথিবীতে কোন বিচরণশীল নেই, তবে সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহ নিয়েছেন।
সুরা হুদ আয়াত: ৬

আয়াতটি থেকে বুঝা যায়, আল্লাহ তা’য়ালা মুসলমানকে যেমন খাওয়ান হিন্দুদেরকেও তেমন খাওয়ান। প্রশ্ন হলো, উভয়কে যেহেতু আল্লাহ খাওয়ান, তাহলে হিন্দু মুসলিমের মাঝে তফাৎ কোথায়?

জবাব:

তফাৎটি বোঝার জন্য একটি উদহরণ পেশ করছি,
এ দেশে ৭১ সালে যুদ্ধ হয়েছিল, যুদ্ধে এ দেশের মানুষের দুটি গ্রুপ ছিল, পাকিস্থানের শান্তি কমিটি এবং বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী। এক কথায় বুঝুন রাজাকার এবং মুক্তিযোদ্ধা। এ দুটি শ্রেণীকেই কিন্তু সরকার খাওয়ান। পার্থক্য হলো, সরকার রাজাকারদের খাবার দেয় অপমানের সাথে জেলখানায় পোড়া রুটি, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের দেয় সম্মানের ভাতা। ঠিক তেমনি আল্লাহ মুসলমানদের খাওয়ান সম্মানের সাথে গরুর দুধ, আর হিন্দুদের খাওয়ান অপমানের গরুর মুত।

গরুর মুত কেন খায়?

তারা কেন গরুর পেশাব খায়? কারণ গরু নাকি তাদের মা।

জবাব-১ যদি গরু মা-ই হয়, তাহলে যারা বানানো মা তথা গরুর দুধ খায়, কিন্তু নিজের জন্মদাত্রী মায়ের মুত খায় না। বোঝা গেল, ওরা নিজের মায়ের কদর না করে মাসির সম্মান করে, তারা কোনো দিন সু-সন্তান হতে পারে না।

জবাব-২ আমরা তো জানি একজন সু-সন্তানের পরিচয় হলো, মাকে খুব আদর যত্ন করে দামি পালঙ্কের উপর রাখবে, দামি দামি খাবার খাওয়াবে, দামি দামি কাপড় কিনে পরাবে। কিন্তু যারা মাকে অবহেলা করে নিজে ভাল খাটপালঙ্কে ঘুমায়, মাকে ভাল খাবার না দিয়ে নিজেরা মোরগ পোলাও খায়, মাকে উলঙ্গ রেখে নিজেরা দামি দামি কাপড় পরে ওরা যেমন কুলাঙ্গার সন্তান, ঠিক তেমনিভাবে গরুকে মা বানিয়ে নাপাক গোয়াল ঘরে ল্যাংকটা রেখে খড়কুটা খেতে দেয়, ওরা আর যাই হোক সন্তান নামের কুলাঙ্গার।

জবাব-৩ একটা গান শুনেছিলাম অনেক আগে “মায়ের একধার দুধের দাম,কাটিয়া গায়ের চাম পাপোশ বানাইলেও ঋণের শোধ হবে না, এমন দরদী হবে কেউ হবে না আমার মা গো”। তার মানে কি? সু-সন্তান যারা হয়, তারা নিজের শরীরের চামড়া কেটে জুতা বানিয়ে মা কে পরাতে চায় যেন মায়ের ঋণ কিছুটা হলেও শোধ করতে পারে। কিন্তু আমরা কি দেখলাম? গরুর চামড়া কেটে যেই জুতা বানানো হয়, সেটা পরে হিন্দু দাদারা দাপিয়ে বেড়ান। সুৎরাং যারা গোমাতার চামড়ার জুতা পায়ে দেয় ওরা আর যাই হোক সন্তান নামের কলঙ্ক।

জবাব-৩ গরু যদি মা হয়, তাহলে এর ফলাফল দাড়ায় তারা গরুর বাচ্চা। বলেন, শ্রেষ্টত্বের দিক থেকে সন্তান উত্তম নাকি মা? নিশ্চয় মা। তার মানে দাড়ালো এই যে, যদি গরু তাদের মা হয়, তাহলে নিশ্চয় তাদের থেকে এই গোমাতা বেশি মর্যাদাবান, আর ওরা গরুর চেয়েও অনুত্তম। ঠিক এ কথাটি মহান আল্লাহ তা’য়ালা কুরআনে হাকিমে বলেছেন,
اولئك كالانعام

গোহত্যা মহাপাপ?

তারা আরও বলে, গরু দুধ দেয় বলে গো হত্যা মহাপাপ।

জবাব-১

তাহলে আমার কথা হলো, রিপোর্টে বলা হচ্ছে,

“ভারতের মোট দুধের ৬০-৬৫ শতাংশই আসে মহিষ থেকে।”
সূত্র: দৈনিক দেশ তেপান্তর: ১৮ জুলাই, ২০১৯ ঈ.

পাশাপাশি আন্ততর্জাতিক গবেষণায় উঠে এসেছে,
“ভারতের মহিষকে দুধ উৎপাদনের মেশিন বলা হয়।”
সূ্ত্র: ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি)।

গরু দুধ দেয়ার কারণে যদি গোহত্যা মহাপাপ হয়, তাহলে বেশী দুধ দেওয়ার মহিষ হত্যা বৈধ। কিন্তু তারা মহিষ জবেহ করা দোষনীয় মনে করেন না। এটা তো মুর্খতার চরমসীমা। আসল বিষয়টি হলো, গরুর গোস্তে সত্যিই অনেক এলার্জি!
কারণ খাই মুসলিমরা আর চুলকায় ইস্কন ও হিন্দু দাদাদের।

সম্রাটের দ্বীনে ইলাহিতে গরু জবাই বন্ধ ছিল।

জীবহত্যা মহাপাপ

তারা গোহত্যা বন্ধ করতে একটা স্লোগান বের করেছে, তারা বলে, “জীব হত্যা মহাপাপ”।

তাহলে আমার কথা হলো,

১. জীব বলতে তো শুধু গরু নয়, ছাগল,ভেড়া,দুম্বা,হাস মুরগী এসবই তো জীব। ওগুলো তোমাদের যুক্তিতে বৈধ হলো কেমনে? এ ক্ষেত্রে অনেক বলতে পারে, এজন্যই তো আমরা নিরামিষ খাই। শুধু শাক সবজী ইত্যাদী। তাহলে আমার কথা হচ্ছে, উদ্ভিদ কোনো কিছু জিবন না থাকলে বাঁচতে পারে না, যেহেতু লতা-পাতা,শাক-সবজি, ধান ইত্যাদীতেও জীবন আছে সেটাও কাটা বন্ধ করো, আর যদি না করো, তাহলে বুঝে নেবো এ পৃথিবীর সবচে বড় পাপী তোমরা।

২. “জীব হত্যা মাহাপাপ” মুখে মুখে যারা জপে, তারাই কিন্তু আবার পাঠা ধরে বলি দেয়, ঘরে ঘরে শুকরের মাংস রান্না হয়। তার মানে হিন্দু দাদারা আমাদের ভুগল পড়ায়, কৃষ্ণ করলে কুরু কুরু মুসলমান করলে মাকরুহ।

৩. “জীব হত্যা মহা পাপ” তাই যদি মানতে হয়, তাহলে এ পৃথিবীর সবচে শ্রেষ্ট জীব হলো, মানুষ। এই মানুষকে ধরে ধরে গুজরাটে যিনি গনহত্যা চালিয়েছিলেন, দিল্লিতে মুসলমানের রক্তে যার হাত রঞ্জিত, গো-হত্যার অপরাধে মুসলমানদের জিবন্ত হত্যা যারাই করেছে, পৃথিবীর ইতিহাসে সবচে বড় পাপী নরাধমের নাম হলো নরেন্দ্র মোদী।

তোরা গরুর মুত খাও আমরা প্রতিবাদ করিনা। কারণ এটা তোমাদের ধর্মীয় ব্যাপার। আমরা গরুর গোশত খেলে তোদের জ্বলে ক্যান? আমার ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করা তোমার ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদের সাথে সাংঘর্ষিক।

তোমরা শুকর খাও, যা ইসলাম ধর্মে নিষিদ্ধ, এরপরও আমরা বাধা দিই না, কারণ সেটা তোমাদের ধর্মে বৈধ। আমাদের ধর্মে বৈধ গরুর গোশত খাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে সমাজে বিশৃংখলা লাগাতে চাও কেন? কারণ তোমরা ধর্মীয় সহিংসতা বাধিয়ে সমাজে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা লাগাতে চাও।

এই গোহত্যা দেশে বন্ধ করার জন্য হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা দাবি তুলেছিলেন। আমাদের পরিস্কার কথা গরু জবাই করার আইন বন্ধ হলে, মুসলিমদের ধর্মীয় চেতনায় আঘাত করলে গরু জবাই করার পরিবর্তে হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতাদের জবাই করা শুরু করে দেবে। তখন আবার আমাদের দোষ দেবেন না।

তবে এর একটা সমাধান হওয়া দরকার। সমাধানটা কি?

গরু জবাই করে গরুর গোশত মুসলমানদের জন্য রাখা হোক, আর ভুড়ির ভেতর থাকা গোবর হিন্দুদের জন্য রাখা হোক। তাহলে আর কামড়াকামড়ি থাকবে না, সম্পৃতির রাষ্ট্র তৈরি হবে।

 

মৃত্যুর সময় ঈমানদার ও কাফের।

কাফেরের অবস্থা:

وَلَوْ تَرَى إِذِ الظَّالِمُونَ فِي غَمَرَاتِ الْمَوْتِ وَالْمَلآئِكَةُ بَاسِطُواْ أَيْدِيهِمْ أَخْرِجُواْ أَنفُسَكُمُ الْيَوْمَ تُجْزَوْنَ عَذَابَ الْهُونِ

অর্থ: যদি আপনি দেখেন যখন জালেমরা মৃত্যু যন্ত্রণায় থাকে এবং ফেরেশতারা স্বীয় হস্ত প্রসারিত করে বলে, বের কর স্বীয় আত্মা! অদ্য তোমাদেরকে অবমাননাকর শাস্তি প্রদান করা হবে
সুরা আনআম আয়াত: ৯৩

وَلَوْ تَرَى إِذْ يَتَوَفَّى الَّذِينَ كَفَرُواْ الْمَلآئِكَةُ يَضْرِبُونَ وُجُوهَهُمْ وَأَدْبَارَهُمْ وَذُوقُواْ عَذَابَ الْحَرِيقِ

অর্থ: আর যদি তুমি দেখ, যখন ফেরেশতারা কাফেরদের জান কবজ করে; প্রহার করে, তাদের মুখে এবং তাদের পশ্চাদদেশে আর বলে, জ্বলন্ত আযাবের স্বাদ গ্রহণ কর।
সুরা আনফাল আয়াত: ৫০

تَضْرِبُ الْمَلَائِكَةُ وُجُوهَ الْكُفَّارِ وَأَدْبَارَهُمْ بِسِيَاطِ النَّارِ

অর্থাৎ (মৃত্যুর সময়) ফিরিস্তারা কাফেরদের মুখে ও নিতম্বে জাহান্নামের চাবুক দিয়ে প্রহার করতে থাকে।
সূত্র: তাফসীরে বগবী খ: ৩ পৃ: ৩৬৭

إِنَّ رَجُلًا قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ ﷺ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي رَأَيْتُ بِظَهْرِ أَبِي جَهْلٍ مِثْلَ الشِّرَاكِ قَالَ ذَلِكَ ضَرْبُ الْمَلَائِكَةِ

অর্থাৎ জনৈক ব্যক্তি নবীজি সা. কে বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ, আমি আবু জেহেলের (মৃত্যুর পর) তার পেছনে রশির মত দাগ দেখেছিলাম। নবীজি সা. বললেন, সেটা ফিরিস্তাদের প্রহারের দাগ।
সূত্র: তাফসীরে ইবনে কাসীর খ: ৪ পৃ: ২০ কুরতুবী খ: ৭ পৃ: ৩৮৭

ঈমানদারের জান কবজ

عن البراء بن عازب:] خرجنا مع رسولِ اللهِ صلَّى اللهُ عليْهِ وسلَّمَ في جنازةِ رجلٍ من الأنصارِ ، فانتهينا إلى القبرِ ، ولما يُلْحَدْ ، فجلس رسولُ اللهِ صلَّى اللهُ عليْهِ وسلَّمَ وجلسنا حولَه ، وكأنَّ على رؤوسنا الطيرُ ، وفي يدِه عودٌ ينكتُ به في الأرضِ ، فرفع رأسَه فقال : استعيذوا باللهِ من عذابِ القبرِ ، مرتيْنِ أو ثلاثًا ، ثم قال : إنَّ العبدَ المؤمنَ ، إذا كان في انقطاعٍ من الدنيا ، وإقبالٍ من الآخرةِ ، نزل إليه ملائكةٌ من السماءِ ، بيضُ الوجوهِ ، كأنَّ وجوههم الشمسُ ، معهم أكفانٌ من الجنةِ ، وحنوطٌ من حنوطِ الجنةِ ، حتى يجلسوا منه مدَّ البصرِ ، ثم يجيءُ مَلَكُ الموتِ حتى يجلسَ عند رأسِه فيقولُ : أيتها النفسُ المطمئنةُ ، اخرجي إلى مغفرةٍ من اللهِ ورضوانٍ ، قال : فتخرجُ تسيلُ كما تسيلُ القطرةُ من في السقاءِ ، وإن كنتم تروْنَ غيرَ ذلك ، فيأخذها ، فإذا أخذها لم يدعوها في يدِه طرفةَ عينٍ ، حتى يأخذوها فيجعلوها في ذلك الكفنِ ، وفي ذلك الحَنوطِ ، فيخرجُ منها كأطيبِ نفحِة مسكٍ وُجِدَتْ على وجهِ الأرضِ ، فيصعدون بها ، فلا يمرون على ملأٍ من الملائكةِ إلا قالوا : ما هذا الروحُ الطيبُ ؟ فيقولون : فلانُ بنُ فلانٍ ، بأحسنِ أسمائِه التي كانوا يُسمُّونَه بها في الدنيا ، حتى ينتهوا بها إلى سماءِ الدنيا ، فيستفتحون له ، فيُفْتَحُ لهم ، فيُشيِّعُه من كلِّ سماءٍ مقرِّبوها إلى السماءِ التي تليها ، حتى ينتهي بها إلى السماءِ السابعةِ ، فيقولُ اللهُ تعالى اكتُبوا كتابَ عبدي في عِلِّيِّينَ ، وأعيدوهُ إلى الأرضِ ، فإني منها خلقتُهم وفيها أُعيدُهم ، ومنها أُخرجهم تارةً أخرى ، فتُعادُ روحُه في جسدِه

অর্থ: হযরত বারা ইবনু আযেব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমরা রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সঙ্গে জনৈক আনসারীর জানাযায় বের হলাম। আমরা তার কবরে পৌঁছলাম, তখনো কবর খোঁড়া হয়নি। রাসূলুল্লাহ (সা.) বসলেন আমরা তার চারপাশে বসলাম, যেন আমাদের মাথার ওপর পাখি বসে আছে, তার হাতে একটি কাঠের খড়ি ছিল, যা দিয়ে তিনি মাটি খুড়ছিলেন। অতঃপর মাথা উঠিয়ে বললেন, ‘তোমরা আল্লাহর নিকটে কবরের আজাব থেকে পানাহ চাও, দু’বার অথবা তিনবার (বললেন)’।

অতঃপর বললেন, ‘নিশ্চয় মুমিন বান্দা যখন দুনিয়া থেকে প্রস্থান ও আখেরাতে পা রাখার সন্ধিক্ষণে উপস্থিত হয় তার নিকট আসমান থেকে সাদা চেহারার ফেরেশতারা অবতরণ করেন, যেন তাদের চেহারা সূর্য। তাদের সঙ্গে জান্নাতের কাফন ও জান্নাতের সুগন্ধি থাকে, অবশেষে তারা তার দৃষ্টির সীমা পর্যন্ত বসে যায়।

অতঃপর মালাকুল মউত এসে তার মাথার নিকট বসেন, তিনি বলেন, হে পবিত্র রূহ তুমি আল্লাহর মাগফেরাত ও সন্তুষ্টির প্রতি বের হও’।

তিনি বললেন, ‘ফলে রূহ বের হয় যেমন কলসি থেকে পানি গড়িয়ে পড়ে। তিনি তা গ্রহণ করেন, যখন গ্রহণ করেন চোখের পলক পরিমাণ তিনি নিজ হাতে না রেখে তৎক্ষণাৎ তা সঙ্গে নিয়ে আসা কাফন ও সুগন্ধির মধ্যে রাখেন, তার থেকে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ঘ্রাণ বের হয় যা দুনিয়াতে পাওয়া যায়’।

তিনি বললেন, ‘অতঃপর তাকে নিয়ে তারা ওপরে ওঠে, তারা যখনই অতিক্রম করে তাকে সহ ফেরেশতাদের কোনো দলের কাছ দিয়ে তখনই তারা বলে, এ পবিত্র রূহ কে? তারা বলে, অমুকের সন্তান অমুক, সবচেয়ে সুন্দর নামে ডাকে যে নামে দুনিয়াতে তাকে ডাকা হতো, তাকে নিয়ে তারা দুনিয়ার আসমানে পৌঁছে যায়।

তার জন্য তারা আসমানের দরজা খোলার অনুরোধ করেন, তাদের জন্য দরজা খুলে দেয়া হয়, তাকে প্রত্যেক আসমানের নিকটবর্তীরা পরবর্তী আসমানে অভ্যর্থনা জানিয়ে পৌঁছে দেয়। এভাবে তাকে সপ্তম আসমানে নিয়ে যাওয়া হয়।

অতঃপর আল্লাহ বলেন, আমার বান্দার দফতর ইল্লিয়্যীনে লিখ এবং তাকে জমিনে ফিরিয়ে দাও। কারণ আমি তা (মাটি) থেকে তাদেরকে সৃষ্টি করেছি, সেখানে তাদেরকে ফেরৎ দেব এবং সেখান থেকেই তাদেরকে পুনরায় উঠাব। তিনি বলেন, অতঃপর তার রূহ তার শরীরে ফিরিয়ে দেয়া হয়,।
সূত্র: শরহুস সুদুর হাদিস: ৯১ আবু দাউদ: ৪৭৫৩ আহমাদ: ১৮৫৫৭ নাসাঈ: ২০০১ ইবনে মাজা: ১৫৪৯ হাকেম: ১০৭ মিশকাত:১৬৩০ (হাদিছ সহিহ)।

কাফেরের জান কবজ

وإنَّ العبدَ الكافرَ إذا كان في انقطاعٍ من الدنيا ، وإقبالٍ من الآخرةِ ، نزل إليه من السماءِ ملائكةٌ سودُ الوجوهِ ، معهم المسوحُ ، فيجلسون منه مدَّ البصرِ ، ثم يجيءُ مَلَكُ الموتِ ، حتى يجلسَ عند رأسِه فيقولُ : أيتها النفسُ الخبيثةُ ، اخرجي إلى سخطٍ من اللهِ وغضبٍ ، فتتفرقُ في جسدِه ، فينتزعُها كما يُنتزعُ السَّفودُ من الصوفِ المبلولِ ، فيأخُذها ، فإذا أخذها لم يَدَعوها في يدِه طرفةَ عينٍ ، حتى يجعلوها في تلك المسوحِ ، ويخرجُ منها كأنتنِ ريحِ جيفةٍ وُجِدَتْ على وجهِ الأرضِ ، فيصعدون بها ، فلا يمرون بها على ملأٍ من الملائكةِ إلا قالوا : ما هذا الروحُ الخبيثُ ؟ فيقولون : فلانُ بنُ فلانٍ ، بأقبحِ أسمائِه التي كان يُسمَّى بها في الدنيا ، حتى ينتهي بها إلى السماءِ الدنيا ، فيستفتحُ فلا يُفتحُ له ، ثم قرأ رسولُ اللهِ صلَّى اللهُ عليْهِ وسلَّمَ : لَا تُفْتَحُ لَهُمْ أَبْوَابُ السَّمَاءِ [ الأعراف : ٣٩ ] فيقول اللهُ عزَّ وجلَّ : اكتبوا كتابَه في سِجِّينٍ ، في الأرضِ السفلى ، فتُطرحُ روحُه طرحًا ، ثم قرأ رسولُ اللهِ صلَّى اللهُ عليْهِ وسلَّمَ وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَكَأَنَّمَا خَرَّ مِنَ السَّمَاءِ فَتَخْطَفُهُ الطَّيْرُ أَوْ تَهْوِي بِهِ الرِّيحُ فِي مَكَانٍ سَحِيقٍ [ الحج : ٣١ ] فتُعادُ روحُه في جسدِه

আর কাফের বান্দা যখন দুনিয়া থেকে প্রস্থান ও আখেরাতে যাত্রার সন্ধিক্ষণে উপনীত হয়। তার নিকট আসমান থেকে কালো চেহারার ফেরেশতারা অবতরণ করে, তাদের সঙ্গে থাকে মোটা-পুরু কাপড়।

অতঃপর তারা তার নিকটে বসে তার দৃষ্টির সীমা পর্যন্ত। অতঃপর মালাকুল মউত আসেন ও তার মাথার কাছে বসেন।

অতঃপর বলেন, হে খবীস নফস! আল্লাহর ক্রোধ ও গজবের জন্য বের হও। তিনি বলেন, ফলে সে তার শরীরে ছড়িয়ে যায়, অতঃপর সে তাকে টেনে বের করে যেমন ভেজা উল থেকে (লোহার) সিক বের করা হয়।

অতঃপর সে তা গ্রহণ করে, আর যখন সে তা গ্রহণ করে চোখের পলকের মুহূর্ত পরিমাণ হাতে না রেখে ফেরেশতারা তা ওই মোটা-পুরু কাপড়ে রাখে। তার থেকে মৃতদেহের যত কঠিন দুর্গন্ধ দুনিয়াতে হতে পারে সে রকমের দুর্গন্ধ বের হয়।

অতঃপর তাকে নিয়ে তারা ওপরে উঠে, তাকে সহ তারা যখনই ফেরেশতাদের কোনো দলের পাশ দিয়ে অতিক্রম করে তখনই তারা বলে, এ খবীস রূহ কে? তারা বলে, অমুকের সন্তান অমুক, সবচেয়ে নিকৃষ্ট নাম ধরে ডাকে, যার মাধ্যমে তাকে দুনিয়াতে ডাকা হতো।

এভাবে তাকে দুনিয়ার আসমানে নিয়ে যাওয়া হয়, তার জন্য দরজা খুলতে বলা হয়, কিন্তু তার জন্য দরজা খোলা হবে না। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) তেলাওয়াত করেন,

لَا تُفَتَّحُ لَهُمْ أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَلَا يَدْخُلُوْنَ الْجَنَّةَ حَتَّى يَلِجَ الْجَمَلُ فِيْ سَمِّ الْخِيَاطِ

তাদের জন্য আকাশের দরজা সমূহ উন্মুক্ত করা হবে না এবং তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যে পর্যন্ত না সূঁচের ছিদ্রপথে উষ্ট্র প্রবেশ করে’ (সূরা: আ‘রাফ ৭/৪০)।‎

‎অতঃপর আল্লাহ তায়ালা বলবেন, তার আমলনামা জমিনে সর্বনিম্নে সিজ্জীনে লিখ। অতঃপর তার রূহ সজোরে নিক্ষেপ করা হবে। অতঃপর তিনি তেলাওয়াত করেন,

وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللهِ فَكَأَنَّمَا خَرَّ مِنَ السَّمَاءِ فَتَخْطَفُهُ الطَّيْرُ أَوْ تَهْوِي بِهِ الرِّيحُ فِي مَكَانٍ سَحِيقٍ

‘কেননা যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে শরিক করে সে যেন আকাশ থেকে ছিটকে পড়ল। অতঃপর (মৃতভোজী) পক্ষী তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল অথবা বায়ু প্রবাহ তাকে উড়িয়ে নিয়ে কোনো দূরবর্তী স্থানে নিক্ষেপ করল।’ (সূরা: হজ্জ ২২/৩১)।অতঃপর তার রূহ তার শরীরে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
সূত্র: শরহুস সুদুর হাদিস: ৯১ আবু দাউদ: ৪৭৫৩ আহমাদ: ১৮৫৫৭ নাসাঈ: ২০০১ ইবনে মাজা: ১৫৪৯ হাকেম: ১০৭ মিশকাত:১৬৩০ (হাদিছ সহিহ)।

ইবরাহীম আ. এর সামনে আজরাইল আ. এর দৃশ্য!

 

 

মানবজাতী
وَ لَقَدۡ کَرَّمۡنَا بَنِیۡۤ اٰدَمَ وَ حَمَلۡنٰهُمۡ فِی الۡبَرِّ وَ الۡبَحۡرِ وَ رَزَقۡنٰهُمۡ مِّنَ الطَّیِّبٰتِ وَ فَضَّلۡنٰهُمۡ عَلٰی کَثِیۡرٍ مِّمَّنۡ خَلَقۡنَا تَفۡضِیۡلًا

لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ فِي أَحْسَنِ تَقْوِيمٍ

ঈমানদার
يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ

إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ أُوْلَئِكَ هُمْ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ

أتَعْجَبُونَ مِن مَنزِلَةِ المَلائِكَةِ مِنَ اللَّهِ تَعالى والَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَمَنزِلَةُ العَبْدِ المُؤْمِنِ عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ القِيامَةِ أعْظَمُ مِن ذَلِكَ

সিকিউরিটি
مُعَقِّبَاتٌ مِّن بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ يَحْفَظُونَهُ مِنْ أَمْرِ اللّهِ

يحتمل أن يكون توكيل الملائكة بهم لحفظهم من الوحوش والهوام والأشياء المضرة، لطفاً منه به

কাবার চেয়েও দামি
 أَطْيَبَكِ وَأَطْيَبَ رِيحَكِ مَا أَعْظَمَكِ وَأَعْظَمَ حُرْمَتَكِ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَحُرْمَةُ الْمُؤْمِنِ أَعْظَمُ عِنْدَ اللَّهِ حُرْمَةً مِنْكِ مَالِهِ وَدَمِهِ 

বেঈমানদের অবস্থা

ثُمَّ رَدَدْنَاهُ أَسْفَلَ سَافِلِينَ

وَلَقَدْ ذَرَأْنَا لِجَهَنَّمَ كَثِيرًا مِّنَ الْجِنِّ وَالإِنسِ لَهُمْ قُلُوبٌ لاَّ يَفْقَهُونَ بِهَا وَلَهُمْ أَعْيُنٌ لاَّ يُبْصِرُونَ بِهَا وَلَهُمْ آذَانٌ لاَّ يَسْمَعُونَ بِهَا أُوْلَئِكَ كَالأَنْعَامِ بَلْ هُمْ أَضَلُّ أُوْلَئِكَ هُمُ الْغَافِلُونَ

কেন কুকুরের মত হয়?
১.অবিস্বাস করা
২.হারাম খাবার

…وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَآئِثَ

…وَلاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُم بَيْنَكُم بِالْبَاطِلِ وَتُدْلُواْ بِهَا إِلَى الْحُكَّامِ لِتَأْكُلُواْ فَرِيقًا مِّنْ أَمْوَالِ النَّاسِ بِالإِثْمِ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ

চেহারাটা দেখতে ভাল

৩. যিনা-ব্যাভিচার যারা করে
৪. মহিলারা ধর্ষণ কেন হয়?

আরও জঘণ্য
১. কুকুর মুনিবকে অস্বীকার
২. কুকুর সারা রাত পাহারা

৩. পালাক্রমে কুকুর ধর্ষণ 

৪. কুত্তাশাহ মাজারের   
… কুকুর হালি হালি জন্ম
…বাবারই সন্তান নাই।   

…কিসের বাচ্চা।            

গোমাতা
…গরুর বাচ্চা

…اولئك كالانعام
…শশান।        

রিযিক তো সমান
…وَمَا مِن دَآبَّةٍ فِي الأَرْضِ إِلاَّ عَلَى اللّهِ رِزْقُهَا
…রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধা।

কেন মুত খায়?                   
১. নিজের মায়ের মুত আগে
২. কাপড়,খাবার, পালঙ্ক।    
৩. চামড়ার জুতা।                 

গোহত্যা মহাপাপ কেন?
১. দুধ দেয়।             

ক. দৈনিক দেশ তেপান্তর পত্রিকায় ১৮ জুলাই, ২০১৯ ঈ. 
“ভারতের মোট দুধের ৬০-৬৫ শতাংশই আসে মহিষ থেকে।”

খ. আর এজন্যই, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) এর গবেষষায় বলা আছে,
“ভারতের মহিষকে দুধ উৎপাদনের মেশিন বলা হয়।”

সম্রাটের দ্বীনে ইলাহিতে গরু জবাই বন্ধ ছিল।

জিব হত্যা মহাপাপ।            
ক. ছাগল ভেড়া ও নিরামিষ।
খ. গুজরাট,দিল্লিতে গণহত্যা
গ. শুকর ও পাঠা বলি।         
…আমরা বলি না।
…এলার্জি।
…দাঙ্গা।
…হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ।
…সমাধান।

মৃত্যুর সময় বেঈমান

وَلَوْ تَرَى إِذِ الظَّالِمُونَ فِي غَمَرَاتِ الْمَوْتِ وَالْمَلآئِكَةُ بَاسِطُواْ أَيْدِيهِمْ أَخْرِجُواْ أَنفُسَكُمُ الْيَوْمَ تُجْزَوْنَ عَذَابَ الْهُونِ

وَلَوْ تَرَى إِذْ يَتَوَفَّى الَّذِينَ كَفَرُواْ الْمَلآئِكَةُ يَضْرِبُونَ وُجُوهَهُمْ وَأَدْبَارَهُمْ وَذُوقُواْ عَذَابَ الْحَرِيقِ

تَضْرِبُ الْمَلَائِكَةُ وُجُوهَ الْكُفَّارِ وَأَدْبَارَهُمْ بِسِيَاطِ النَّارِ

إِنَّ رَجُلًا قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ ﷺ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي رَأَيْتُ بِظَهْرِ أَبِي جَهْلٍ مِثْلَ الشِّرَاكِ قَالَ ذَلِكَ ضَرْبُ الْمَلَائِكَةِ

ঈমানদারের জান কবজ

إنَّ العبدَ المؤمنَ إذا كان في انقطاعٍ من الدنيا وإقبالٍ من الآخرةِ نزل إليه ملائكةٌ من السماءِ 

بيضُ الوجوهِ كأنَّ وجوههم الشمسُ

معهم أكفانٌ من الجنةِ

وحنوطٌ من حنوطِ الجنة

حتى يجلسوا منه مدَّ البصرِ

ثم يجيءُ مَلَكُ الموتِ حتى يجلسَ عند رأسِه

فيقولُ أيتها النفسُ المطمئنةُاخرجي إلى مغفرةٍ من اللهِ ورضوانٍ

قال فتخرجُ تسيلُ كما تسيلُ القطرةُ من في السقاءِ ،

وإن كنتم تروْنَ غيرَ ذلك ، فيأخذها ، فإذا أخذها لم يدعوها في يدِه طرفةَ عينٍ ، حتى يأخذوها فيجعلوها في ذلك الكفنِ ، وفي ذلك الحَنوطِ ، فيخرجُ منها كأطيبِ نفحِة مسكٍ وُجِدَتْ على وجهِ الأرضِ ، فيصعدون بها ، فلا يمرون على ملأٍ من الملائكةِ إلا قالوا : ما هذا الروحُ الطيبُ ؟ فيقولون : فلانُ بنُ فلانٍ ، بأحسنِ أسمائِه التي كانوا يُسمُّونَه بها في الدنيا ، حتى ينتهوا بها إلى سماءِ الدنيا ، فيستفتحون له ، فيُفْتَحُ لهم ، فيُشيِّعُه من كلِّ سماءٍ مقرِّبوها إلى السماءِ التي تليها ، حتى ينتهي بها إلى السماءِ السابعةِ ، فيقولُ اللهُ تعالى اكتُبوا كتابَ عبدي في عِلِّيِّينَ ، وأعيدوهُ إلى الأرضِ ، فإني منها خلقتُهم وفيها أُعيدُهم ، ومنها أُخرجهم تارةً أخرى ، فتُعادُ روحُه في جسدِه

কাফেরের জান কবজ

وإنَّ العبدَ الكافرَ إذا كان في انقطاعٍ من الدنيا ، وإقبالٍ من الآخرةِ ، نزل إليه من السماءِ ملائكةٌ سودُ الوجوهِ ، معهم المسوحُ ، فيجلسون منه مدَّ البصرِ ، ثم يجيءُ مَلَكُ الموتِ ، حتى يجلسَ عند رأسِه فيقولُ : أيتها النفسُ الخبيثةُ ، اخرجي إلى سخطٍ من اللهِ وغضبٍ ، فتتفرقُ في جسدِه ، فينتزعُها كما يُنتزعُ السَّفودُ من الصوفِ المبلولِ ، فيأخُذها ، فإذا أخذها لم يَدَعوها في يدِه طرفةَ عينٍ ، حتى يجعلوها في تلك المسوحِ ، ويخرجُ منها كأنتنِ ريحِ جيفةٍ وُجِدَتْ على وجهِ الأرضِ ، فيصعدون بها ، فلا يمرون بها على ملأٍ من الملائكةِ إلا قالوا : ما هذا الروحُ الخبيثُ ؟ فيقولون : فلانُ بنُ فلانٍ ، بأقبحِ أسمائِه التي كان يُسمَّى بها في الدنيا ، حتى ينتهي بها إلى السماءِ الدنيا ، فيستفتحُ فلا يُفتحُ له ، ثم قرأ رسولُ اللهِ صلَّى اللهُ عليْهِ وسلَّمَ : لَا تُفْتَحُ لَهُمْ أَبْوَابُ السَّمَاءِ [ الأعراف : ٣٩ ] فيقول اللهُ عزَّ وجلَّ : اكتبوا كتابَه في سِجِّينٍ ، في الأرضِ السفلى ، فتُطرحُ روحُه طرحًا ، ثم قرأ رسولُ اللهِ صلَّى اللهُ عليْهِ وسلَّمَ وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَكَأَنَّمَا خَرَّ مِنَ السَّمَاءِ فَتَخْطَفُهُ الطَّيْرُ أَوْ تَهْوِي بِهِ الرِّيحُ فِي مَكَانٍ سَحِيقٍ [ الحج : ٣١ ] فتُعادُ روحُه في جسدِه

Check Also

মহররম

إِنَّ عِدَّةَ الشُّهُورِ عِندَ اللّهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِي كِتَابِ اللّهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَات وَالأَرْضَ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.