প্রত্যেকটা ধর্ম ও দেশে কিছু পালনীয় দিবস থাকে। যেখানে বিভিন্ন ধরণের কুসংস্কার, নোংড়াম ও অশ্লীলতায় ভরপুর থাকে। কিন্তু ইসলালেও দুটি দিবস রয়েছে, যা অন্য সবার দিবস থেকে আলাদা এবং মার্জিত। হযরত আনাস ইবনু মালিক রা. সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন
قَدِمَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ وَلَهُمْ يَوْمَانِ يَلْعَبُونَ فِيهِمَا فَقَالَ” مَا هَذَانِ الْيَوْمَانِ. قَالُوا كُنَّا نَلْعَبُ فِيهِمَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ . فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم” إِنَّ اللهَ قَدْ أَبْدَلَكُمْ بِهِمَا خَيْرًا مِنْهُمَا يَوْمَ الأَضْحَى وَيَوْمَ الْفِطْرِ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনাতে এসে দেখেন, মদীনাহবাসীরা নির্দিষ্ট দু’টি দিনে খেলাধুলা ও আনন্দ করে থাকে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দু’টি দিন কীসের? সকলেই বললেন, জাহিলী যুগে আমরা এ দুদিন খেলাধুলা করতাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মহান আল্লাহ তোমাদের এ দুদিনের পরিবর্তে উত্তম দু’টি দিন দান করেছেন। তা হলো, ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের দিন। –সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং : ১১৩৪
মুসলমানদের জন্য এই দুটি ঈদ আনন্দের ও খুশির। কিন্তু সে খুশিটাও আমাদের রব্বকে পাওয়ার অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারণ দুই ঈদের রাতে গুরুত্বসহ ইবাদত করলে গুনাহ মাফ হয়। হযরত আবু উমামা বাহিলি রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন,
مَنْ قَامَ لَيْلَتَيِ الْعِيدَيْنِ مُحْتَسِبًا لِلَّهِ , لَمْ يَمُتْ قَلْبُهُ يَوْمَ تَمُوتُ الْقُلُوبُ
যে ব্যক্তি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার রাতে জাগ্রত থেকে আল্লাহ’র ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকবে, তার অন্তর কেয়ামতের দিন মরবে না। -সুনানে ইবন মাজাহ, হাদিস নং : ১৭৮২
অর্থাৎ কেয়ামতের দিবসের আতঙ্কের কারণে অন্যান্য লোকের অন্তর ঘাবড়ে গিয়ে মৃতপ্রায় হয়ে যাবে। কিন্তু দুই ঈদের রাতে ইবাদতকারীর অন্তর তখন ঠিক থাকবে, ঘাবড়াবে না। অতএব ঈদের রাতে ইবাদতে সচেষ্ট হওয়া এবং ভোরে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে ঈদের কর্মগুলো পালনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।
ঈদের সুন্নাতসমূহ : ঈদের দিন সম্পর্কিত কিছু সুন্নাহ নিন্মে তুলে ধরা হলো।
এক. মিসওয়াক করা। হযরত ইবনুল মুসাইয়াব রহি. বলেন,
السواك في يوم العيد سنة
ঈদের দিন মিসওয়াক করা সুন্নাত। -মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, বর্ণনা নং : ৪৭৪৫
দুই. উত্তমরুপে গোসল করা। ইবনে আব্বাস রা. বলেন,
أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يغتسل يوم الفطر والأضحى
আল্লাহর রাসূল সা. ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার দিন গোসল করতেন। -ইবনে মাজা, হাদিস নং : ১৩১৫
হযরত নাফে রহি. বলেন ,
أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَغْتَسِلُ يَوْمَ الْفِطْرِ قَبْلَ أَنْ يَغْدُوَ إِلَى الْمُصَلَّى
ইবনে উমর রা. ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে গোসল করতেন। -মুয়াত্তা ইমাম মালেক, বর্ণনা নং : ৬০৯
হযরত ইবনে মুসাইয়্যিব রহি. বলেন,
الغسل في يوم العيدين سنة
দুই ঈদের দিন গোসল করা সুন্নাত। -মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, বর্ণনা নং : ৪৭৪৫
তিন. শরীয়তসম্মত সাজসজ্জা ও উত্তম পোষাক পরিধান করা। হযরত জাবের রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন
كانت للنبيِّ ﷺ جُبَّةٌ يَلْبَسُها في العِيدَيْنِ ويومَ الجُمُعةِ
নবীজি সা.-এর এমন একটি জুব্বা ছিল যেটা তিনি দুই ঈদের সময় ও জুমার দিন পরতেন। -সহিহ ইবনে খুযাইমা, হাদিস নং : ১৭৬৫
হযরত মালেক ইবনে আনাস রহি. বলেন,
سمعتُ أهلَ العلم يستحبُّون الطِّيبَ والزينةَ في كلِّ عيد
আমি আহলে ইলমদের থেকে ঈদে সুগন্ধি এবং সাজসজ্জার পরামর্শ দিতে শুনেছি। -আল মাউসুআতুল ফিকহিয়্যাহ, খ. ৩১ পৃ. ১১৬
চার. সুগন্ধি ব্যবহার করা। হযরত হাসান ইবনে আলী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
أمَرَنا رسولُ اللهِ ﷺ في العِيدَيْنِ أنْ نَلْبَسَ أجودَ ما نَجِدُ، وأنْ نَتطَيَّبَ بأجودِ ما نَجِدُ
আল্লাহর রাসূল সা. আমাদেরকে দুই ঈদে যথাসাধ্য উত্তম পোষাক পরিধান করার এবং সর্বোত্তম সুগন্ধি ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন। -মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস নং : ৭৭৬৮
পাঁচ. ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাবার আগে মিষ্টিজাতীয় যেমন খেজুর ইত্যাদি বেজোড় সংখ্যায় খাওয়া। হযরত আনাস ইবনে মালিক রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يَغْدُو يَوْمَ الْفِطْرِ حَتَّى يَأْكُلَ تَمَرَاتٍ…وَيَأْكُلُهُنَّ وِتْرًا
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ঈদুল ফিত্রের দিন কিছু খেজুর না খেয়ে বের হতেন না….তবে তিনি তা বেজোড় সংখ্যায় খেতেন। -সহিহ বুখারী, হাদিস নং : ৯৫৩
ছয়. ঈদুল আযহাতে কিছু না খেয়ে ঈদের নামাযের পর নিজের কুরবানীর গোশত আহার করা উত্তম। হযরত বুরাইদা রা. বলেন,
كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ لَا يَغْدُو يَوْمَ الْفِطْرِ حَتّى يَأْكُلَ وَلَا يَأْكُلُ يَوْمَ الْأَضْحَى حَتّى يَرْجِعَ فَيَأْكُلَ مِنْ أُضْحِيّتِهِ
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের জন্য না খেয়ে বের হতেন না। আর ঈদুল আযহাতে নামায থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত কিছু খেতেন না। এরপর প্রথমে তাঁর কুরবানীর গোশত খেতেন। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং : ২২৯৮৪
সাত. সকাল সকাল ঈদগাহে যাওয়া। হযরত বারা ইবনে আযেব রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন,
إِنَّ أَوَّلَ مَا نَبْدَأُ بِهِ فِي يَوْمِنَا هَذَا أَنْ نُصَلِّيَ، ثُمَّ نَرْجِعَ فَنَنْحَرَ، مَنْ فَعَلَهُ فَقَدْ أَصَابَ سُنَّتَنَا
আমাদের এ দিনে আমরা সর্ব প্রথম যে কাজটি করবো তা হল (ঈদের) নামাজ আদায় করবো। এরপর ফিরে এসে আমরা কুরবানী করবো। যে ব্যাক্তি এভাবে তা আদায় করল সে আমাদের নীতি অনুসরণ করল। -সহিহ বুখারী, হাদিস নং : ৫৫৪৫
আট. ঈদুল ফিতরের ঈদগাহতে যাওয়ার পূর্বে সদকায়ে ফিতর আদায় করা।হযরত ইবনে উমার রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,,
أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِزَكَاةِ الْفِطْرِ قَبْلَ خُرُوجِ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদেরকে ঈদের নামাজের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পূর্বেই সাদকাতুল ফিত্র আদায় করার নির্দেশ দেন। -সহিহ বুখারী, হাদিস নং : ১৪২১
নয়. পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া, পায়ে হেটে ফেরা। হযরত ইবনে উমার রা. বলেন,
كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يخرج إلى العيد ماشيا ويرجع ماشيا
আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ঈদের নামাজে পায়ে হেঁটে যেতেন এবং পায়ে হেঁটে ফিরে আসতেন। -সুনানে ইবনে মাজা, হাদিস নং : ১২৯৫
হযরত আলী রা. বলেন,
إن من السنة أن تأتي العيد ماشيا
সুন্নাত হলো, ঈদগাহে পায়ে হেঁটে যাওয়া। -জামে তিরমিযী, বর্ণনা নং : ৫৩০
দশ. ঈদের নামায ঈদগাহে আদায় করা। হযরত বাকার ইবনে মুবাশশির আল-আনসারী রহি. বলেন,
كُنْتُ أَغْدُو مَعَ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْمُصَلَّى يَوْمَ الْفِطْرِ وَيَوْمَ الأَضْحَى فَنَسْلُكُ بَطْنَ بَطْحَانَ حَتَّى نَأْتِيَ الْمُصَلَّى فَنُصَلِّيَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ نَرْجِعُ مِنْ بَطْنِ بَطْحَانَ إِلَى بُيُوتِنَا
আমি সকাল বেলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীদের সাথে ঈদুল ফিতর অথবা ঈদুল আযহার নামায আদায়ের জন্য ঈদগাহে যেতাম। আমরা ’বাতনে বাত্হা’ নামক স্থান অতিক্রম করে ঈদগাহে পৌঁছার পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ঈদের নামায আদায় করতাম। অতঃপর ’বাতনে বাত্হা’ হয়ে আমাদের ঘরে ফিরে আসতাম। -সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং : ১১৫৮
তবে অপরাগতায় ঈদগাহের পরিবর্তে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করা যাবে। হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
أنَّهم أصابَهُم مَطَرٌ في يَومِ عيدٍ؛ فصَلّى بِهِمُ النَّبيُّ ﷺ العيدَ في المَسجِدِ
এক ঈদের দিন বৃষ্টি হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাদের নিয়ে মসজিদে ঈদের নামায পড়ালেন। –মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস নং : ১১০৮
এগারো. ঈদগাহে গিয়ে ঈদের নামাযের পূর্বে বা পরে কোন নফল নামায না পড়া। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
خرج رسول الله صلى الله عليه وسلم يوم عيد فصلى بالناس فلم يصل قبلها ولا بعدها
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিন বের হয়ে লোকদের নিয়ে নামায পড়লেন, কিন্তু তিনি এর আগে বা পরে কোনো নামাজ আদায় করেননি। –মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদিস নং : ৫৭৮৫
এমনকি আজকের দিন ঈদগাহে ইশরাক নামায পড়াও মাকরূহ। অবশ্য কারো ইচ্ছে হলে ঈদের নামাযের পর বাসায় ফিরে ইশরাক পড়তে পারবে।
বারো. যে রাস্তায় ঈদগাহে যাবে, সম্ভব হলে ফিরার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে ফেরা। হযরত জাবির রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
كان النبي صلى الله عليه وسلم إذا كان يوم عيد خالف الطريق
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ঈদের দিন (বাড়ী ফেরার পথে) ভিন্ন পথে আসতেন। -সহিহ বুখারী, হাদিস নং : ৯৮৬
তেরো. কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে تَقَبَّلَ اللّٰهُ مِنَّا وَ مِنْك (তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ও মিনকা) বলে ঈদের শুভেচ্ছা জানানো। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরাম এই শব্দ দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতেন। হাদিসে এসেছে, হযরত ওয়াসিলা রা. বলেন,
لقيت رسول الله صلى الله عليه و سلم يوم عيد فقلت تَقَبَّلَ اللّٰهُ مِنَّا وَ مِنْك قال نعم تَقَبَّلَ اللّٰهُ مِنَّا وَ مِنْك
আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে ঈদের দিন সাক্ষাৎ করে বললাম, تَقَبَّلَ اللّٰهُ مِنَّا وَ مِنْك (তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ও মিনকা) অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা আমাদের ও আপনার পক্ষ থেকে (সমস্ত নেক আমল) কবুল করুন। রাসুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হ্যাঁ, বললাম, تَقَبَّلَ اللّٰهُ مِنَّا وَ مِنْك (তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ও মিনকা) অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা আমাদের তোমারর পক্ষ থেকে (সমস্ত নেক আমল) কবুল করুন। –সুনানে কুবরা লিলবাইহাকী, হাদিস নং : ৬২৯৪
চৌদ্দ. ঈদের দিনে তাকবীর দেওয়া। এটি ঈদের দিনের মহান একটি সুন্নাত। হযরত যুহরী রহি. বলেন,
كان الناس يكبرون في العيد حين يخرجون من منازلهم حتى يأتوا المصلى، وحتى يخرج الإمام، فإذا خرج الإمام سكتوا، فإذا كبر كبروا
ঈদের দিন লোকেরা (সাহাবা ও তাবেয়ীগণ) ঘর থেকে বের হওয়ার সময় নামাজের জায়গায় পৌঁছানো পর্যন্ত এবং ইমাম বের হওয়া পর্যন্ত তাকবীর বলতেন। ইমাম বের হওয়ার পর তারা চুপ থাকতেন, আর ইমাম তাকবীর বললে, তারাও তাকবীর বলতেন। –মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, বর্ণনা নং : ৫৬৭৫
বি. দ্র. ঈদগাহে যাওয়ার সময় এই তাকবীর বলতে বলতে যাওয়া–
الله اكبر الله اكبر لا اله الا الله والله اكبر الله اكبر ولله الحمد
আল্লহু আকবার, আল্লহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লহু আকবার আল্লহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ। –মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, বর্ণনা নং : ৫৬৭৯
তবে এ তাকবীর বলার ক্ষেত্রে ইমামে আজম আবু হানিফা রহি. আরও কিছু হাদিসকে সামনে রেখে বলেছেন,
و يوم الفطر لا يجهر به عنده
ইমাম আবু হানিফা রহি.-এর নিকট ঈদুল ফিতরের দিন তাকবীর উচ্চস্বরে পড়বে না। –রদ্দুল মুহতার, খ. ৩ পৃ. ৫১
অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের দিন তাকবীর নীরবে বলতে বলতে পথ চলবে। আর ঈদুল আযহার দিন উচ্চস্বরে পড়বে।