হায়েয হলে কি করবে?
রোযা অবস্থায় হায়েয বা নেফাস শুরু হলে রোযা রাখতে পারবে না।হাদিস শরীফে হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা: থেকে একটি দীর্ঘ হাদীসে আসছে যে, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর বা ঈদুল আযহায় মহিলাদের লক্ষ্য করে বললেন-
أليسَ إذا حاضَتْ لَمْ تُصَلِّ ولَمْ تَصُمْ قُلْنَ بَلى قالَ فَذَلِكِ مِن نُقْصانِ دِينِها
অর্থ: মহিলারা তো ঋতুস্রাবের সময় রোযা রাখতে পারে না এবং নামাযও পড়তে পারে না। এটা তোমাদের দ্বীনের অসম্পূর্ণতা।
সূত্র: বুখারী হাদিস- ৩০৪
তবে পরে তা অবশ্যই কাযা করতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন,
فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ
অর্থ: অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে নিতে হবে।
সুরা বাকারা আয়াত- ১৮৪
হায়েয সেরে গেলে:
যদি রমজান মাসে দিনের বেলা মেন্স সেরে যায়, তাহলে বাকি সময়টুকু রোযাদারের মত কাটাতে হবে।
عن الحسن في المرأة أصبحت حائضا فطهرت بعد طلوع الفجر قال لا تأكل بقية يومها
অর্থ: যে হায়েযা মহিলা সুবহে সাদিকের পর পবিত্র হয়েছে তার সম্পর্কে হাসান বসরী রাহ. বলেন, সে অবশিষ্ট দিন আহার করা থেকে বিরত থাকবে। (অর্থাৎ রোযার মর্যাদা রক্ষার্থে সাদৃশ্য অবলম্বন করবে।
সূত্র: মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদীস- ৯৪৩২
عن إبرايهم في الحائض تطهر فلا تأكل شيئا كراهة أن تشبه المشركين إلى الليل
অর্থ: ইবরাহীম নাখায়ী র: বলেছেন, যে মহিলার মেন্স সেরে যাবে, সে আহার করা থেকে বিরত থাকবে। যাতে (রমযানের দিবসে পানাহারের কারণে) অমুসলিমদের সাথে সাদৃশ্য সৃষ্টি না হয়।
সূত্র: মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদীস- ৯৪৩৪
লেখক:
মুফতী রিজওয়ান রফিকী
পরিচালক- মাদরাসা মারকাযুন নূর বোর্ড বাজার, গাজীপুর।