স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙ্গবে কি না?
স্বপ্নদোষ হলে বীর্যপাত হোক বা না হোক রোযা নষ্ট হবে না। কারণ ঘুম,স্বপ্ন এগুলো মানুষের কন্ট্রোলের বাহিরের বিষয়।আর সাধ্যের বাহিরে কোন কিছুর জন্য বান্দা পাকড়াও হবে না।
لَا یُكَلِّفُ ٱللَّهُ نَفۡسًا إِلَّا وُسۡعَهَاۚ
অর্থ: আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার চাপিয়ে দেন না। সুরা বাকারা আয়াত-২৮৬
উপরন্তু বিশ্বনবী স: বলেছেন,
عن عائشة أم المؤمنين رضي الله عنها قالت قال النبي صلي الله عليه وسلم رُفِعَ القلَمُ عن ثلاثةٍ عن النائمِ حتّى يستيقِظَ وعن المُبتلى حتّى يبرَأَ وعن الصَّبيِّ حتّى يكبَرَ
অর্থ: আম্মাজান আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত নবিজি স: বলেন, ‘তিন ব্যক্তির জন্য কলমের লিখন বন্ধ রাখা হয়েছে। (অর্থাৎ শর‘ঈ বিধানের বাধ্য-বাধকতার আওতামুক্ত রাখা হয়েছে) (১) ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না জাগ্রত হবে, (২) পাগল যতক্ষণ না তার জ্ঞান ফিরে আসবে। (৩) নাবালেগ যতক্ষণ না সে বালেগ হবে।
সূত্র: আবু দাউদ হাদিস-৪৩৯৮ নাসাঈ-৩৪৩২ ইবসে মাজা-২০৪১ আহমাদ-২৪৭৩৮ (হাদিস: সহীহ)।
সুতরাং কারো ঘুমে কোন কিছু ঘটলে এর জন্য সে দায়ী হবে না। সে হিসাবে যদি কারো স্বপ্নদোষ হয়, তাহলে তার রোযা নষ্ট হবে না। এ কথাটি হাদিস শরীফে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে,
عن أبي سعيد الخدري قال قال النبي صلي الله عليه وسلم ثلاثٌ لا يُفطرْنَ الصائمَ الحجامةُ والقيءُ والاحتلامُ
অর্থাৎ হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা: বলেন, নবিজি স: বলেছেন, তিনটি বস্তুর কারণে রোযা পালনকারীর রোযা ভঙ্গ হবে না। (১) শিঙা লাগালে (২) (অনিচ্ছাকৃতভাবে) বমি হলে (৩) স্বপ্ন দোষ হলে।
সূত্র: তিরমিযি হাদিস-৭১৯ নাসবুর রায়াহ খ:২ পৃ:৪৪৬ দারেকুতনী খ:২ পৃ:১৮৩
সুতরাং স্বপ্নদোষ হলে বীর্যপাত হোক বা না হোক রোযা নষ্ট হবে না।
উত্তর প্রদানে-
মুফতী রিজওয়ান রফিকী
পরিচালক- মাদরাসা মারকাযুন নূর বোর্ডবাজার,গাজীপুর)