যারা প্রকাশ্যে গুনাহে লিপ্ত তাদের সাথে কথা বলাও মাকরুহ।
أنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ كَعْبٍ قَالَ سَمِعْتُ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ يُحَدِّثُ حِينَ تَخَلَّفَ عَنْ تَبُوكَ وَنَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ كَلاَمِنَا وَآتِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأُسَلِّمُ عَلَيْهِ فَأَقُولُ فِي نَفْسِي هَلْ حَرَّكَ شَفَتَيْهِ بِرَدِّ السَّلاَمِ أَمْ لاَ حَتَّى كَمَلَتْ خَمْسُونَ لَيْلَةً وَآذَنَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِتَوْبَةِ اللَّهِ عَلَيْنَا حِينَ صَلَّى الْفَجْرَ
অর্থ: হযরত আবদুল্লাহ ইবনু কা’ব রহি. বলেন, যখন কা’ব ইবনু মালিক তাবূকের যুদ্ধে যোগদান না করে পিছনে রয়ে যান, আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাথে সালাম কালাম করতে সকলকে নিষেধ করে দেন। (তখনকার ঘটনা) আমি কা’ব ইবনু মালিক (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আসতাম এবং তাঁকে সালাম করতাম আর মনে মনে বলতাম যে, আমার সালামের জবাবে তাঁর ঠোঁট দু’টি নড়ছে কিনা। পঞ্চাশ দিন পূর্ণ হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সালাতের সময় ঘোষণা দিলেন যে, আল্লাহ তা’আলা আমাদের তওবা কবূল করেছেন।
সূত্র: সহিহ বুখারী, হাদিস: ৬২৫৫
সুতরাং বুঝা গেলো, প্রকাশ্যে গুনাহ জড়িত ব্যক্তিদের সালাম দেওয়াটাও নবীজির সা. কাছে পছন্দ ছিলো না। এজন্য মাযহাবের উলামায়ে কেরাম বলেন, প্রকাশ্যে গুনাহকারী কে সালাম দেওয়াও মাকরুহ। ইবনে আবিদীন শামী আল হানাফী রহি. বলেন,
يكره السلام علي الفاسق لو معلنا والا لا
অর্থাৎ প্রকাশ্যে গুনাহকারী কে সালাম দেওয়া মাকরুহ। প্রকাশ্যে না করলে দেয়া যাবে।
সূত্র: রদ্দুল মুহতার খ. ২ পৃ. ৩৭৪