এন্ডোস্কপি আসলে কি?
শরীরের ভেতরের কোনো গহ্বর (লুমেন বা কেভিটি) নিজ চোখে দেখার ব্যবস্থাকে এন্ডোস্কোপি বলে।
এক সময় ছিল শরীরের ভেতরের রোগ দেখার জন্য কেটে খুলে দেখা ও চিকিৎসা একসঙ্গেই করা হত। পরবর্তী সময়ে শরীরের ভেতর দেখার জন্য মেটালিক রিজিড শক্ত কিছু স্কোপ তৈরি হয়েছিল। পরে ধীরে ধীরে Fibro optic এন্ডোস্কোপ আবিষ্কৃত হয়।ডাক্তার, রোগী ও রোগীর আপনজন সবাই স্বচক্ষে পুরো পরীক্ষা অবলোকন করতে পারেন।
চোখ দেখার জন্য অপথালমোস্কোপ, গলা দেখার জন্য লেরিঙ্গোস্কোপ, ফুসফুসের নালি দেখার জন্য ব্রঙ্কোস্কোপ, সাইনাসের ভেতর দেখার জন্য সাইনোস্কোপ, কানের গহ্বর দেখার জন্য অরোস্কোপ, খাদ্যনালি দেখার জন্য ইসোফেগোস্কোপ, পাকস্থলি দেখার জন্য গ্যাস্ট্রোস্কোপ, ক্ষুদ্রান্ত্র দেখার জন্য এন্টারোস্কোপ, বৃহদান্ত্র দেখার জন্য কলোনোস্কোপ, পায়ুপথ দেখার জন্য প্রক্টোস্কোপ ইত্যাদি নানা এন্ডোস্কোপ ব্যবহার করা হয়।
সূত্র: দৈনিক যুগান্তর ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩
রোযা অবস্থায় এন্ডোস্কপি করার বিধান:
রোযা রেখে এন্ডোস্কপি করানো করার সময় যদি নলের ভিতর দিয়ে পানি বা কোনো ঔষধ ভিতরে প্রবেশ করানো হয়, তাহলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। পরে কাযা করতে হবে। আর ঔষধ বা পানি যদি না যায়,তাহলে নষ্ট হবে না। কারণ হাদিসে এসেছে,
عنِ ابنِ عبّاسٍ رَضِي اللَّهُ عنهُما قال إنما الفِطرُ مما دخلَ وليسَ مما خرجَ
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রোযা নষ্ট হয় শরীরে কিছু প্রবেশ করলে, শরীর থেকে কিছু বের হলে নয়।
সূত্র: বায়হাকী হাদিস-৮৫১২ আল মাজমু (নববী) খ:৬ পৃ:৩১৭ রদ্দুল মুহতার খ:২ পৃ: ৪০২ ফাতাওয়া হিন্দিয়া খ: ১ পৃ: ২০৪
লেখক:
মুফতী রিজওয়ান রফিকী
পরিচালক- মাদরাসা মারকাযুন নূর বোর্ড বাজার,গাজীপুর।