Home > বই > আমার মডেল মুহাম্মাদ সা.

আমার মডেল মুহাম্মাদ সা.

 

সৃষ্টির সেরাভাগে নবীজি
إن الله خلق الخلق فجعلني من خير فرقهم ،

জন্মস্থান: আরব সেরা জায়গা:

أحبوا العرب وبقاءهم فإن بقاءهم نور الإسلام، وإن فناءهم فناء الإسلام، إذا ذل العرب ذل الإسلام، لا يبغض العرب إلا منافق، حب العرب إيمان، وبغضهم نفاق لا يبغض العرب مؤمن

ال شيخ الإسلام (19|29): «وجمهور العلماء على أن جنس العرب خير من غيرهم

শ্রেষ্ট জায়গা….আরব
فقالَ النَّبيُّ ﷺ: إنَّ اللَّهَ خلقَ الخلقَ، فجعَلَني مِن خَيرِ فِرَقِهِم، وخَيرِ الفريقَينِ
সূত্র: জামে তিরমিযি হাদিস: ৩৬০৭

শ্রেষ্ট শহর…মক্কা

إِنَّ مَكَّةَ حَرَّمَهَا اللَّهُ
لا اقسم بهذا البلد
ان اول بيت وضع الناس
: أَنَّ النَّبِيَّ صلى اللهُ عليه وسلم قال: “وَاللَّهِ إِنَّكِ لَخَيْرُ أَرْضِ اللهِ، وَأَحَبُّ أَرْضِ اللهِ إِلَى اللهِ، وَلَوْلَا أَنِّي أُخْرِجْتُ مِنْكِ مَا خَرَجْتُ

وَصَلَاةٌ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ أَفْضَلُ مِنْ مِئَةِ أَلْفِ صَلَاةٍ

ইবরাহীম আ. এর সন্তানদের মধ্যে দুই ভাগ:
১. ইসমাঈল আ.।
২. ইসহাক আ.।

এ দু সন্তানের মধ্যে শ্রেষ্ট সন্তান হলেন ইসমাঈল আ.
…যেহেতু তাঁকেই আল্লাহ ذبيح الله বানিয়েছেন।

إنَّ اللَّهَ خلقَ الخلقَ، فجعَلَني مِن خَيرِ فِرَقِهِم، وخَيرِ الفريقَينِ،
সূত্র; তিরমিযি হাদিস: ৩৬০৭

ইসমাঈল আ. এর সন্তানদের মধ্যে কিনানা শ্রেষ্ট

إنَّ اللَّهَ اصْطَفى كِنانَةَ مِن ولَدِ إسْماعِيلَ،
সূত্র: সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২২৭৬

কিনানার মধ্যে কুরাইশ
واصْطَفى قُرَيْشًا مِن كِنانَةَ،
সূত্র: সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২২৭৬

ثمَّ خيَّرَ القبائلَ، فجَعلَني مِن خَيرِ القبيلةِ
সূত্র; তিরমিযি হাদিস: ৩৬০৭

কুরাইশদের মধ্যে বনু হাশেমী:

واصْطَفى مِن قُرَيْشٍ بَنِي هاشِمٍ، واصْطَفانِي مِن بَنِي هاشِمٍ
সূত্র: সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২২৭৬

قال جبريلُ  السلامُ قلّبْتُ مشارقَ الأرضِ ومغاربَها فلم أجدْ رجلا أفضلَ من محمدٍ وقلّبْتُ مشارقَ الأرضِ ومغاربَها فلم أجدْ بيتا أفضلَ من بَنِي هاشمٍ

অর্থ :উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুল (সা.) বলেছেন, ‘একদিন ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) এসে বললেন, হে মুহাম্মদ! পূর্ব থেকে পশ্চিম, সমগ্র ভূখণ্ড আমি তন্ন তন্ন করে খুঁজেছি কিন্তু আপনার মতো মর্যাদাসম্পন্ন আর কাউকে পাইনি। আপনার সম্মানে আপনার বংশ হাশিমকে এত মর্যাদা দেওয়া হয়েছে যে, হাশিম বংশের পিতার চেয়ে কোনো মর্যাদামণ্ডিত পিতা আমি পৃথিবীর বুকে পাইনি।
সূত্র: মু’জামে আওসাত (তাবরানী) হাদিস: ৫৮২৬

বনু হাশেমের মধ্যে শ্রেষ্ট পরিবার আব্দুল মুত্তালিবে

রাসূলুল্লাহ ﷺ ছিলেন আরবের সবচাইতে সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশের সবচাইতে সম্মানিত ও লিজেন্ডারি ব্যক্তিত্ব আব্দুল মুত্তালিব এর সবচেয়ে প্রিয় নাতি।

زعيم قريش في الجاهلية وأحد سادات العرب و مقدميهم
كان عاقلا ذا اناة ونجدة فصيح اللسان حاضر القلب
সূত্র: সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ খ. ১ পৃ. ১২৫

…কাবার দায়িত্বশীল
فقالَ: أنا النبيُّ لا كَذِبْ، أنا ابنُ عبدِ المُطَّلِبْ
সূত্র: সহিহ বুখারী হাদিস: ৪৩১৬

ثمَّ خيَّرَ البيوتَ فجعَلَني مِن خَيرِ بيوتِهِم، فأَنا خيرُهُم نفسًا، وخيرُهُم بَيتًا
সূত্র: জামে তিরমিযি হাদিস: ৩৬০৭

শ্রেষ্ট সন্তান…আব্দুল্লাহ

ثُمَّ تَزَوَّجَ عَبْدُ المُطَّلِبِ النِّساءَ فَوُلِدَ لَهُ عَشَرَةُ رَهْطٍ، فَقالَ: اللَّهُمَّ إنِّي كُنْتُ نَذَرْتُ لَكَ نَحْرَ أحَدِهِمْ، وإنِّي أُقْرِعُ بَيْنَهُمْ، فَأصِبْ بِذَلِكَ مَن شِئْتَ. فَأقْرَعَ بَيْنَهم فَطارَتِ القُرْعَةُ عَلى عَبْدِ اللَّهِ، وكانَ أحَبَّ ولَدِهِ إلَيْهِ، فَقالَ عَبْدُ المُطَّلِبِ: اللَّهُمَّ أهُوَ أحَبُّ إلَيْكَ أمْ مِائَةٌ مِنَ الإبِلِ؟ ثُمَّ أقْرَعُ بَيْنَهُ وبَيْنَ المِائَةِ مِنَ الإبِلِ فَطارَتِ القُرْعَةُ عَلى المِائَةِ مِنَ الإبِلِ، فَنَحَرَها عَبْدُ المُطَّلِبِ.
সূত্র: দুররে মানসুর খ. ৪ পৃ. ১১২ তাবাকাতে ইবনে সা’দ খ. ১ পৃ. ৭১-৭২

٦- [عن معاوية بن أبي سفيان:] ابنُ الذَّبيحَينِ: صحَّ أنَّ أعرابيًّا قالَ للنَّبيِّ ﷺ: يا ابنَ الذَّبيحَينِ، فتبسَّمَ ولَم يُنكرْ عليهِ. وأمّا أنا ابنُ الذَّبيحَينِ
الزرقاني (ت ١١٢٢)، مختصر المقاصد ١١  •  [صحيح]

 

আব্দুল মুত্তালিবের সন্তানগণের মধ্যে আব্দুল্লাহ ছিলেন সব চাইতে সুন্দর এবং সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। তিনি ছিলেন পিতার অত্যন্ত প্রিয়পাত্র। তাঁর লকব বা উপাধি ছিল যবীহ। যে কারণে তাঁকে যবীহ বলা হতো তা হচ্ছে আব্দুল মুত্তালিবের প্রার্থিত পুত্র সংখ্যা যখন ১০ জন হল এবং তাঁরা সকলেই আত্মরক্ষা করার যোগ্যতা অর্জন করলেন তখন আব্দুল মুত্তালিব তাঁদের নিজ মানত সম্পর্কে অবহিত করেন (তাঁদের পক্ষ থেকে এক জনকে আল্লাহর নামে উৎসর্গ করার ব্যাপারে) তাঁরা সকলেই এ প্রস্তাবে স্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন।

কথিত আছে, আব্দুল মুত্তালিব ছেলেদের মধ্যে কাকে কুরবানী করা যায় এ ব্যাপারে লটারি করলেন। লটারিতে আব্দুল্লাহর নাম উঠল অথচ তিনি ছিলেন তার সবচেয়ে প্রিয়পাত্র। এমতাবস্থায় আব্দুল্লাহ মুত্তালিব বললেন, হে আল্লাহ! সে-ই নাকি একশত উট? অতঃপর আবার আবদুল্লাহ ও একশতক উটের মধ্যে লটারী করলে একশত উটের নাম উঠে। আবার এও কথিত আছে যে, আব্দুল মুত্তালিব ভাগ্য-নির্ণায়ক তীরের উপর তাঁদের সকলের নাম লিখেন এবং হুবাল মূর্তির সেবায়েত বা তদারককারীগণের পন্থায় চক্রাকারে ঘোরানো ফেরানোর পর নির্বাচনগুটিকা বা লটারীর গুটি বের করেন। লটারীতে আব্দুল্লাহর নাম উঠে যায়। আব্দুল মুত্তালিব আব্দুল্লাহর হাত ধরে তাঁকে নিয়ে যান ক্বাবা’হ গৃহের নিকট। তাঁর হাতে ছিল যবেহ কাজে ব্যবহারোপযোগী একটি ধারালো অস্ত্র। কিন্তু কুরাইশগণের মধ্যে বনু মাখযুম অর্থাৎ আব্দুল্লাহর নানা গোষ্ঠীর লোকজন এবং আব্দুল্লাহর ভাই আবূ ত্বালিব এ ব্যাপারে তাঁকে বাধা প্রদান করেন। তাঁর মানত পূরণে বাধাপ্রাপ্ত আব্দুল মুত্তালিব বললেন তাহলে মানতের ব্যাপারে তাঁর করণীয় কাজ কী হতে পারে? এতদ্বিষয়ে বিশেষ জ্ঞানের অধিকারিনী বা তত্ত্ব বিশারদ কোন মহিলার নিকট থেকে এ ব্যাপারে পরামর্শ গ্রহণের জন্য তাঁরা তাঁকে উপদেশ প্রদান করেন। আব্দুল মুত্তালিব জনৈক তত্ত্ববিশারদের নিকট গিয়ে এ ব্যাপারে তাঁর পরামর্শ চাইলে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আব্দুল্লাহ এবং ১০ টি উটের মধ্যে লটারী বা নির্বাচনগুটিকা ব্যবহারের পরামর্শ দেন। নির্বাচনী গুটিকায় যদি আব্দুল্লাহর নাম উঠে যায় তাহলে ১০টি উটের সঙ্গে আরও ১০টি উট যোগ করে নির্বাচনী গুটিকা ব্যবহার করতে হবে যে পর্যন্ত না আব্দুল্লাহর নামের স্থানে ‘উট’ কথাটি প্রকাশিত হয় সে পর্যন্ত একই ধারায় নির্বাচনী গুটিকা ব্যবহার করে যেতে হবে যতক্ষণ না আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়ে যান। তারপর উটের যে সংখ্যা নির্ধারক নির্বাচনী গুটিকা ব্যবহার করা হবে সেই সংখ্যক উট আল্লাহর নামে উৎসর্গ করতে হবে।

সেখান থেকে প্রত্যাবর্তনের পর আব্দুল মুত্তালিব, আব্দুল্লাহ ও ১০টি উটের মধ্যে নির্বাচনী গুটিকা ব্যবহার করেন। কিন্তু এতে আব্দুল্লাহর নামই প্রকাশিত হয়। তত্ত্ববিশারদের নির্দেশ মুতাবেক দ্বিতীয় দফায় উটের সংখ্যা আরও বেশী বৃদ্ধি করে তিনি নির্বাচনী গুটিকা ব্যবহার করেন। কিন্তু এতেও আব্দুল্লাহর নামই উঠে যায়। কাজেই পরবর্তী প্রত্যেক দফায় ১০টি উটের সং্যখা বৃদ্ধি করে তিনি নির্বাচনী গুটিকা ব্যবহার করে যেতে থাকেন। এ ধারায় চলতে চলতে যখন একশত উট এবং আব্দুল্লাহর নাম নির্বাচনী গুটিকায় ব্যবহার করা হয় তখন উট কথাটি প্রকাশিত হয়। এ প্রেক্ষিতে আব্দুল মুত্তালিব আব্দুল্লাহর পরিবর্তে ১০০ টি উট আল্লাহর নামে উৎসর্গ করেন। উৎসর্গীকৃত পশুর গোশত্ কোন মানুষ কিংবা জীবজন্তুর খাওয়ার ব্যাপারে কোন বাধা-নিষেধ ছিল না। উল্লে­খিত ঘটনার পূর্বে আরব এবং কুরাইশগণের মধ্যে শোনিতপাতের খেসারত বা মূল্য ছিল ১০টি উট। কিন্তু এ ঘটনার পর এর বর্ধিত সংখ্যা নির্ধারিত হয় ১০০টি উট। ইসলামও এ সংখ্যাকে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। প্রিয় নাবী (ﷺ) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন যে, ‘আমি দু’ যবীহর সন্তান’, ‘একজন ইসমাঈল (আঃ) এবং অন্য জন হচ্ছেন আমার পিতা আব্দুল্লাহ।

https://www.hadithbd.com/books/link/?id=6065

শ্রেষ্ট মা…আমেনা।

وهب بن عبد مناف بن زهرة – ووهب يومئذ سيد بني زهرة … آمنة بنت وهب بن عبد مناف بن زهرة ، وهي يومئذ أفضل امرأة في ” قريش نسباً وموضعاً
সূত্র: দালায়েলুন নাবুওয়াহ (বাইহাকী) খ. ১ পৃ. ১০২
নবীজির সা. জন্মের পর এক ইহুদী পন্ডিত আমেনার কাছে দেখতে গেলেন, নবীজিকে সা.

عن عائشة رضي الله عنها قالت : ” كان يهودي قد سكن مكة يتجر بها فلما كانت الليلة التي ولد فيها رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم قال في مجلس من قريش : يا معشر قريش ، هل ولد فيكم الليلة مولود ؟ فقالوا : والله ما نعلمه قال : الله أكبر أما إذا أخطأكم فلا بأس ، [ ص: 498 ] فانظروا واحفظوا ما أقول لكم ، ولد هذه الليلة نبي هذه الأمة الأخيرة بين كتفيه علامة فيها شعرات متواترات كأنهن عرف فرس ، لا يرضع ليلتين ، وذلك أن عفريتا من الجن أدخل أصبعيه في فمه ، فمنعه الرضاع ، فتصدع القوم من مجلسهم وهم متعجبون من قوله وحديثه ، فلما صاروا إلى منازلهم أخبر كل إنسان منهم أهله فقالوا : قد ولد لعبد الله بن عبد المطلب غلام سموه محمدا فالتقى القوم فقالوا : هل سمعتم حديث اليهودي وهل بلغكم مولد هذا الغلام فانطلقوا حتى جاءوا اليهودي فأخبروه الخبر قال : فاذهبوا معي حتى أنظر إليه فخرجوا حتى أدخلوه على آمنة فقال : أخرجي إلينا ابنك فأخرجته ، وكشفوا له عن ظهره فرأى تلك الشامة فوقع اليهودي مغشيا عليه فلما أفاق قالوا : ويلك ما لك ؟ قال : ذهبت والله النبوة من بني إسرائيل فرحتم به يا معشر قريش ، أما والله ليسطون بكم سطوة يخرج خبرها من المشرق والمغرب وكان في النفر يومئذ الذين قال لهم اليهودي ما قال : هشام بن الوليد بن المغيرة ومسافر بن أبي عمرو وعبيدة بن الحارث بن عبد المطلب وعتبة بن ربيعة شاب فوق المحتلم في نفر من بني مناف وغيرهم من قريش ”

এক কথায়

শ্রেষ্ট জায়গা….আরব
শ্রেষ্ট শহর…মক্কা
শ্রেষ্ট বংশ…কুরাইশ
শ্রেষ্ট গোত্র…বনু হাশেম
শ্রেষ্ট পরিবার…আব্দুল মুত্তালিব
শ্রেষ্ট সন্তান…আব্দুল্লাহ
শ্রেষ্ট মা…আমেনা।
নবীজির সা. মা

ভাষা

[لفظه نفس لفظ الحديث ٢ مع اختلاف في الحركات أو علامات الترقيم] ٥- [عن عبدالله بن عباس:] أحِبُّوا العَرَبَ لِثلاثٍ: لأنِّي عَرَبِيٌّ، والقرآنُ عَرَبيٌّ، وكَلامُ أهلِ الجَنَّةِ عَرَبيٌّ.
الحاكم (ت ٤٠٥)، المستدرك على الصحيحين ٧١٩٤ • صحيح

 

لسانا عربيا

 

জন্মের সময় ঘরে আলো:

নবীজির মা আমেনা বলেন, নবীজির সা. জন্মের সময় আমি চন্দ্রের দিকে তাকিয়ে দেখি যে, আমার উপর চন্দ্র এসে পড়ে যাচ্ছে।
فلما ولدت خرج منها نور أضاء له البيت والدار
সূত্র: ফাতহুল বারী খ. ৮ পৃ. ৭২৩

পুরো দুনিয়া আলোকিত:

فلما فصل مني خرج معه نور أضاء له ما بين المشرق إلى المغرب
সূত্র: তাবাকাতে ইবনে সা’দ খ. ১ পৃ. ৮১

হযরত উসমান ইবনে আবিল আছ আসসাক্বাফী রা. এর মা নবীজির সা. জন্মের সময় আমেনার পাশে ছিলেন, তিনি বলেন,

فما شيء أنظر إليه في البيت إلا نور
حتى جعلت لا أرى إلا نورا
সূত্র: আর খাসায়িসুল কুবরা খ. ১ পৃ. ৭৮

আল্লাহর কাছে নবীজি সা.

– أنَّ رسولَ اللهِ صلّى اللهُ عليه وسلَّمَ قال: لمّا اقترَفَ آدمُ الخطيئةَ قال: يا ربِّ، أسألُك بحقِّ محمَّدٍ لَما غفَرتَ لي، قال اللهُ تعالى: يا آدمُ، وكيف عرَفتَ محمَّدًا ولم أخلُقْه؟ قال: يا ربِّ، إنَّك لمّا خلَقتَني بيدِك ونفَختَ فيَّ مِن رُوحِك، رفَعتُ رأسي فرأيتُ قوائمَ العرشِ مكتوبًا عليها: لا إلهَ إلّا اللهُ محمَّدٌ رسولُ اللهِ، فعرَفتُ أنَّك لا تُضيفُ إلى اسمِك إلّا أحَبَّ الخلْقِ إليك، فقال اللهُ تعالى: صدَقتَ يا آدمُ، إنَّه لَأَحَبُّ الخلقِ إليَّ، وإذ سألتَني بحقِّه فقد غفَرتُ لك، ولولا محمَّدٌ ما خلَقتُك.
القسطلاني (ت ٨٢٣)، المواهب اللدنية ٣‏/٦٠٥  •  [صحيح] :

ورفعنا لك ذكرك

عن أبي سعيد الخدريّ، عن رسول الله ﷺ، أنه قال: “أتانِي جِبْرِيلُ فَقالَ إنَّ رَبِّي وَرَبكَ يَقُولُ: كَيْفَ رَفَعْتُ لَكَ ذِكْرَكَ؟ قال: الله أعْلَمُ، قال: إذَا ذُكِرْتُ ذُكرتَ مَعِي”.

ইবনে আব্বাস রা. বললেন, অন্যসব নবী আ. সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, “আমি কোনো রসুলকেই তাঁর স্বজাতির ভাষা ছাড়া প্রেরণ করিনি”। ’ (সূরা ইবরাহিম : ৪)। আর হুজুর (সা.) সম্পর্কে বলেছেন, ‘আপনাকে সব মানুষ ও জাতির জন্যই রসুল করে পাঠিয়েছি। ’ (সূরা সাবা : ২৮)।

বাচ্চারা খেলাধুলা করে
নবীজি সা. চাঁদ দিখন্ডিত করেছেন।

বাচ্চারা বাবার সাথে ঘোরে
নবীজি সা. আরশে ঘুরেছেন

فخر موسي صعقا
মিরাজে

সব নবীর নাম ধরে ডেকেছেন, তবে  নবীজিকে সা.

يا آدم اسكن انت وزوجك الجنة
يا نوح اهبت
يا ابراهيم قد صدقت الرؤيا
يا موسي لا تخف
يا يحي خذ الكتاب بقوة
يا زكريا انا نبشرك

يا ايها النبي ربك ينادي
يا ايها النبي اتق الله
يا ايها المزمل
يا ايها المدثر

মুসলিম হতে গেলে কালেমার সময়,

আজানের সময় নবীজির নাম।
নামাজেও নবীজির সা. নাম

কবরে রাখার সময়ও নবীজির নাম

[لفظه نفس لفظ الحديث ٤ مع اختلاف في الحركات أو علامات الترقيم] ٥- [عن عبدالله بن عمر:] إذا وضعتم موتاكم في القبورِ فقولوا بسمِ اللهِ وعلى ملةِ رسولِ اللهِ صلّى اللهُ عليه وسلَّم
أحمد شاكر (ت ١٣٧٧)، تخريج المسند لشاكر ٧‏/٨٤  •  إسناده صحيح  •  أخرجه أحمد (٤٩٩٠)، والطبراني في «المعجم الأوسط» (٧٣٤٧)

কবরে রাখার সময়

কিয়ামতে সর্বশেষ

মিজানের পাশে

পুলসিরাতের পাশে

হাউজে কাউসারের পাশে

জান্নাতে যাবার মিছিলের আগে

জান্নাতের দরজায় প্রথম

সকল নবীদের নবী,
আসমানের
যমীনের
আরশ,
কুরসী,
লৌহ,
কলমের
জান্নাত
জাহান্নামের
হুর
গিলমান
মানুষের
জ্বীনের
ফিরিস্তার
পোকা-মাকড়ের
জন্তু-জানোয়ারর
গাছ-গাছালীর
আগুনের
পানির
আলোর
বাতাসের
দিনের
রাতের
চাদের
সূর্যের
নদীর
সমুদ্রের নবী
কুল কায়েনাতের জাররাহ জাররাহ মাটির
আওয়ালের
আখেরের

জিয়ার আলোচনা জন্ম থেকে শুরু মৃত্যুকে শেষ
বঙ্গবন্ধুর আলোচনা জন্ম থেকে শুরু মৃত্যুকে শেষ
এরশাদের আলোচনা জন্ম থেকে শুরু মৃত্যুকে শেষ
লেলিন আলোচনা জন্ম থেকে শুরু মৃত্যুকে শেষ
নবীজির সা. আলোচনা সৃষ্টির আগ থেকে শুরু জান্নাতে গিয়েও চলতে থাকবে।

সবাই আল্লাহকে খুশি করতে চান, আর আল্লাহ নবীজিকে সা. খুশি করতে চান।

ولسوف يعطيك ربك فترضي
অর্থাৎ আল্লাহ নিজে নবীজিকে সা. খুশি করতে চান।

اللهُمَّ أُمَّتِي أُمَّتِي  ، وَبَكَى، فَقَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: (يَا جِبْرِيلُ اذْهَبْ إِلَى مُحَمَّدٍ، وَرَبُّكَ أَعْلَمُ، فَسَلْهُ مَا يُبْكِيكَ؟) فَأَتَاهُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، فَسَأَلَهُ فَأَخْبَرَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَا قَالَ، وَهُوَ أَعْلَمُ، فَقَالَ اللهُ : ( يَا جِبْرِيلُ، اذْهَبْ إِلَى مُحَمَّدٍ، فَقُلْ: إِنَّا سَنُرْضِيكَ فِي أُمَّتِكَ، وَلَا نَسُوءُكَ

সবাই আল্লাহকে ডাকেন, আর আল্লাহ নবীকে স্বরণ করেন।
ان الله وماائكته الخ

মুসা কালিমুল্লাহ কিন্তু দেখতে চাইলে পড়ে গেছেন।

মুসা আ. দেখতে পাননি, নবীজি সা. আরশে দেখেছেন।
وفي صحيح مسلم عن أبي ذر  قال: سألت النبي ﷺ: هل رأيت ربك؟ فقال عليه الصلاة والسلام: رأيت نورًا

সন্তানকে বাবা বলেন কি চাও বলো,
আল্লাহ মেরাজে নবীজিকে বলেন কি চাও?
নবীজি সা. বলেন আমার উম্মতকে চাইতে আসছি।
৫০ ওয়াক্ত নামাজ দিলাম। এটা দিয়ে আপনার উম্মতের মেরাজ হবে।

وقد ذكروا أن الصلاة معراج المؤمن
তাফসীরে রুহুল মা’আনী.

আসমানের চাদে দাগ আছে, নবীজির দাগ নাই।

 

ঢেকি

انا كفيناك المستهزئين
ان شانئك هو الابتر
টাকলা মুরাদের মত তারাই নির্বংশ হয়ে যাবে।

من كذَّب عليّ متعمداً فليتبوأ مقعده من النار

عَنْ أَنَسٍ رضى الله عنه قَالَ كَانَ رَجُلٌ نَصْرَانِيًّا فَأَسْلَمَ وَقَرَأَ الْبَقَرَةَ وَآلَ عِمْرَانَ، فَكَانَ يَكْتُبُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَعَادَ نَصْرَانِيًّا فَكَانَ يَقُولُ مَا يَدْرِي مُحَمَّدٌ إِلاَّ مَا كَتَبْتُ لَهُ، فَأَمَاتَهُ اللَّهُ فَدَفَنُوهُ، فَأَصْبَحَ وَقَدْ لَفَظَتْهُ الأَرْضُ فَقَالُوا هَذَا فِعْلُ مُحَمَّدٍ وَأَصْحَابِهِ، لَمَّا هَرَبَ مِنْهُمْ نَبَشُوا عَنْ صَاحِبِنَا‏.‏ فَأَلْقُوهُ فَحَفَرُوا لَهُ فَأَعْمَقُوا، فَأَصْبَحَ وَقَدْ لَفَظَتْهُ الأَرْضُ، فَقَالُوا هَذَا فِعْلُ مُحَمَّدٍ وَأَصْحَابِهِ نَبَشُوا عَنْ صَاحِبِنَا لَمَّا هَرَبَ مِنْهُمْ‏.‏ فَأَلْقَوْهُ فَحَفَرُوا لَهُ، وَأَعْمَقُوا لَهُ فِي الأَرْضِ مَا اسْتَطَاعُوا، فَأَصْبَحَ قَدْ لَفَظَتْهُ الأَرْضُ، فَعَلِمُوا أَنَّهُ لَيْسَ مِنَ النَّاسِ فَأَلْقَوْهُ‏.‏

অর্থাৎ হহযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক খৃস্টান ব্যাক্তি মুসলিম হল এবং সুরা বাকারা ও সুরা আলে ইমরান শিখে নিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য সে অহী লিপিবদ্ধ করত। তারপর সে পুনরায় খৃস্টান হয়ে গেল। সে বলতে লাগল, আমি মুহাম্মদ কে যা লিখে দিতাম তার চেয়ে অধিক কিছু তিনি জানেন না। (নাউযুবিল্লাহ) কিছুদিন পর আল্লাহ তাঁকে মৃত্যু দিলেন। খৃস্টানরা তাকে যথারীতি দাফন করল। কিন্তু পরদিন সকালে দেখা গেল, কবরের মাটি তাকে বাইরে নিক্ষেপ করে দিয়েছে। তা দেখে খৃস্টানরা বলতে লাগল – এটা মুহাম্মদসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীদের কাজ।

যেহেতু আমাদের এ সাথী তাদের থেকে পালিয়ে এসেছিল। এ জন্যই তারা আমাদের সাথীকে কবর থেকে উঠিয়ে বাইরে ফেলে দিয়েছে। তাই যতদুর সম্ভব গভীর করে কবর খুঁড়ে তাতে তাকে দাফন করা হল। কিন্তু পরদিন সকালে দেখা গেল, কবরের মাটি তাঁকে (গ্রহণ না করে) আবার বাইরে ফেলে দিয়েছে। এবারও তারা বলল, এটা মুহাম্মদ ও তাঁর সাহাবীদের কাণ্ড। তাদের নিকট থেকে পালিয়ে আসার কারণে তারা আমাদের সাথীকে কবর থেকে উঠিয়ে বাইরে ফেলে দিয়েছে। এবার আরো গভীর করে কবর খনন করে সমাহিত করল। পরদিন ভোরে দেখা গেল কবরের মাটি এবারও তাঁকে বাইরে নিক্ষেপ করেছে। তখন তারাও বুঝতে পারল, এটা মানুষের কাজ নয়। কাজেই তারা শবদেহটি বাইরেই ফেলে রাখল।
সূত্র: সহিহ বুখারী, হাদিস: ৩৬১৭

আজকের এদেরও কবর হবে না, শসানঘাটে পোড়ানো হবে

Check Also

অল্পবয়সী আয়েশা রা. ও নবীজির সা. বিবাহ পর্যালোচনা।

অল্পবয়সী আয়েশা রা. ও নবীজির সা. বিবাহ পর্যালোচনা। প্রিয় পাঠক, নাস্তিক্যবাদীরা রাসুলুল্লাহকে সা. সবচে চারিত্রিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.