হজ্ব
নামাজ রোজা হজ্ব পূজা প্রার্থনা তীর্থযাত্রা মানুষের মূল এবাদত নয়। মানবজাতী যেন সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারে এ লক্ষ্যে নিজেকে উৎসর্গ করাই হচ্ছে প্রকৃত ধর্ম, প্রকৃত এবাদত।
সূত্র: জঙ্গিবাদ সংকট পৃ:৫৬
‘মনে রাখতে হবে সেই হজ্ব কিন্তু বিকৃত আকীদার আধ্যাত্মিক সফর বা তীর্থযাত্রা ছিল না, সেটা ছিল উম্মাহর বাৎসরিক মহাসম্মেলন।’
সূত্র: আসুন সিস্টেমটাকেই পাল্টাই-১৪
ইবনে উমার থেকে বর্ণিত, নবীজি সা. বলেন,
بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَإِقَامِ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَالْحَجِّ، وَصَوْمِ رَمَضَانَ
সূত্র: সহিহ বুখারী, হাদিস: ৮
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَلِلّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً وَمَن كَفَرَ فَإِنَّ الله غَنِيٌّ عَنِ الْعَالَمِينَ
সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৯৭
পাথেয় ও বাহন যোগাড়ে সক্ষম হলে।
ইবনে উমার রা. বলেন,
جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا يُوجِبُ الْحَجَّ قَالَ الزَّادُ وَالرَّاحِلَةُ
সূত্র: জামে তিরমিযি, হাদিস: ৮১১
আবু ঈসা ইমাম তিরিমিযি রহি. বলেন,
وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا مَلَكَ زَادًا وَرَاحِلَةً وَجَبَ عَلَيْهِ الْحَجُّ
উপরোক্ত আয়াতকে বুঝাতে গিয়ে হযরত আলী রা. রাসুলুল্লাহ সা. থেকে একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। নবীজি সা. বলেন,
مَنْ مَلَكَ زَادًا وَرَاحِلَةً تُبَلِّغُهُ إِلَى بَيْتِ اللَّهِ وَلَمْ يَحُجَّ فَلاَ عَلَيْهِ أَنْ يَمُوتَ يَهُودِيًّا أَوْ نَصْرَانِيًّا
সূত্র: জামে তিরমিযি, হাদিস: ৮১২ মুসনাদে বাযযার: ৮৬১
উমার ইবনে খাত্তাব রা. এর ফাতাওয়া:
لقد هَمَمْتُ أن أَبعَثَ رِجالًا إلى هذِهِ الأمصارِ فلينظُروا كلَّ من كان له جِدَةٌ ولم يَحُجَّ فيضربوا عليهِمُ الجزيَةَ ما هم بِمسلِمينَ ما هم بِمسلِمينَ
সূত্র: দুররে মানসুর (সুয়ুতী রহ.) খ. ৩ পৃ. ৬৯৩
হযরত আবু উমামা বাহিলী রা. থেকে বর্ণিত, নবীজি সা. বলেন,
من لم تحبِسْه حاجةٌ ظاهرةٌ أو مرضٌ حابسٌ أو سلطانٌ جائرٌ ولم يحُجَّ فلْيمُتْ إن شاء يهوديًّا وإن شاء نصرانيًّا
সূত্র: আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব খ. ২ পৃ. ২২ দারেমী: ১৮৭১ সুনানে কুবরা (বাইহাকী) খ. ৪ পৃ. ৪৩৩ মু’জামে আবি ইয়া’লা: ১৩২
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবীজি সা. বলেন,
مَن ماتَ ولم يَحُجَّ حجةَ الإسلامِ في غيرِ وجعٍ حابسٍ أو حاجةٍ ظاهرةٍ،أو سلطانٍ جائرٍ، فلْيَمُتْ أيَّ المِيتَتَيْنِ شاءَ إما يهوديًّا أو نصرانيًّا
সূত্র: আত-তালখীসুল হাবির (ইবনে হাজার) খ. ৩ পৃ. ৮৩৬
তাখরীজুল কাশশাফ, খ. ১ পৃ. ২০৩
পৃথিবীর সবাই ঈমান আনার পর
কি নবীজি সা. হজ্বে গিয়েছিলেন?
এই বিশাল দায়িত্ব পৃথিবীময় এই শেষ জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা এক জীবনে অসম্ভব। বিশ্বনবি স: তার নবীজীবনের তেইশ বছরে সমস্ত আরব উপদ্বীপে এই শেষ জীবনবিধান প্রতিষ্ঠা করলেন। ইসলামের শেষ সংস্করণ মানব জীবনের একটি অংশে প্রতিষ্ঠিত হলো। কিন্তু তাঁর দায়ীত্ব সমস্ত পৃথিবী, সমস্ত মানব জাতি।
সূত্র: বিকৃত সুফিবাদ-৯
ফযিলত:
আমর ইবনু আস রা. থেকে বর্ণিত, নবীজি সা. বলেন,
وَأَنَّ الْحَجَّ يَهْدِمُ مَا كَانَ قَبْلَهُ
অর্থাৎ হজ্জ পূর্ববর্তী সকল অন্যায় মিটিয়ে দেয়।
সূত্র: সহিহ মুসলিমম, হাদিস: ১২১
হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন,
سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مَنْ حَجَّ للهِ÷ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ
সূত্র: সহিহ বুখারী, হাদিস: ১৫২১ মুসলিম: ১৩৫০
জয়-পরাজয়
এই দীনের, জীবনব্যবস্থার একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে, পৃথিবীতে সব রকম অন্যায়, অবিচার, শোষণ, অশান্তি, রক্তপাত বন্ধ করে শান্তি ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা। এটাই হলো আল্লাহর প্রতি এবলিসের চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ আল্লাহ গ্রহণ করেছেন।
সূত্র: শোষণের হাতিয়ার পৃ:৫৭
মানব সৃষ্টির সূচনা লগ্নে মহান আল্লাহর সঙ্গে ইবলিশের একটি চ্যালেঞ্জ হয়। সেই চ্যালেঞ্জের বিষয়বস্তু ছিল, মানবজাতি পৃথিবীতে শান্তিতে বসবাস করবে নাকি মারামারি কাটাকাটি হানাহানি রক্তপাতে লিপ্ত থাকবে? মানুষ যদি শান্তিতে থাকে তাহলে চ্যালেঞ্জ আল্লাহ বিজয়ী হবেন, আর যদি অশান্তি অরাজকতা মধ্যে বাস করে তাহলে ইবলিশ বিজয়ী হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ নবী রাসূলদের মাধ্যমে জীবনবিধান পাঠালেন মানুষের সামগ্রিক জীবনে প্রতিষ্ঠা করলে সমাজে শান্তি আসবে আর অন্য জীবনব্যবস্থা দিয়ে জীবন চালালে অশান্তি বিরাজ করবে। নবী-রাসূলগণ এভাবে আল্লাহকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে গেছেন।
সূত্র: প্রিয় দেশবাসী পৃষ্ঠা-৯৭
মানুষ অশান্তিতে পতিত হলেই ইবলিশের জয় এবং আল্লাহর পরাজয়।
সূত্র: প্রিয় দেশবাসী পৃষ্ঠা-৫৯ দাজ্জাল পৃ:১৬
আজ সর্বত্র ঘোর অশান্তি, যার অর্থ আজ ইবলিশ বিজয়ী হয়ে আছে।
সূত্র: ধর্মব্যবসার ফাঁদে পৃ:১৩১
(উম্মতে মোহাম্মাদীর সৃষ্টির মুল উদ্দেশ্য হলো) ‘ইবলিসের চ্যালেঞ্জকে পরাজিত করে এ বিজয়ের মালা আল্লাহ ও তাঁর রসুলের গলায় পরিয়ে দেওয়া।’
সূত্র: আকিদা পৃ:৯। সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-৫৪ তওহীদ জান্নাতের চাবি-৪-৫/৬
টুইষ্ট কোথায় করলাম?
আমলের দরকার নেই:
আল্লাহ ঘোষণা দিয়ে দিলেন- আমার তাওহীদকে, আমার সার্বভৌমত্বকে যে বা যারা স্বীকার কোরে নেবে, তা থেকে বিচ্যুত হবে না তারা কত এবাদত কোরেছে, তারা কত গোনাহ কোরেছে, কিছুই আমি দেখবো না, তাদের জান্নাতে প্রবেশ করাবো, তারা ব্যভিচার ও চুরি করলেও।’
সূত্র: দাজ্জাল পৃষ্ঠা-১৫
“শত নির্যাতন নিপীড়ন বিদ্রূপ অপমান উপেক্ষা করে, খেয়ে না খেয়ে, গাছের লতা-পাতা খেয়ে, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে। এই সময় যেসব সাহাবী ইন্তেকাল করেন তারা ইসলাম বলতে কি পেয়েছিলেন? তার নামায-রোযা হজ্ব-যাকাত ঈদ কোরবানি কিছুই পেয়েছিলেন কি? তারা পেয়েছেন শুধুমাত্র তাওহীদ এবং বলার অপেক্ষা রাখেনা তাওহীদই তাদের সফলকাম হয়ে জান্নাতে প্রবেশের জন্য যথেষ্ট ছিল।”
সূত্র: তওহীদ জান্নাতের চাবি-১০
‘নবীজি কোন আমলের দাওয়াত দেন নি।’
সূত্র: প্রিয় দেশবাসী পৃ:৬৬
‘বিকৃত এসলামে নামায-রোযা হজ্ব-যাকাত আত্মার পরিচ্ছন্নতার জন্য নানারকম ঘষামাজা আধ্যাত্মিক উন্নতির উপর গুরুত্ব প্রাধান্য দেওয়া হলো। কারণ এরা ঐ এবাদত উপাসনা নিয়ে যত বেশি ব্যস্ত থাকবে ব্রিটিশরা তত নিরাপদ থাকবে।’
সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে, পৃষ্ঠা: ১১২
ঈমানের সাথে আমল লাগবেঃ
وَالَّذِينَ آمَنُواْ وَعَمِلُواْ الصَّالِحَاتِ أُولَـئِكَ أَصْحَابُ الْجَنَّةِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
সুরা বাকারা, আয়াত: ৮২
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُواْ وَعَمِلُواْ الصَّالِحَاتِ وَأَقَامُواْ الصَّلاَةَ وَآتَوُاْ الزَّكَاةَ لَهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ وَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ
সুরা বাকারা, আয়াত: ২৭৭
…হরফে আতফ
সুরা আলে-ইমরান, আয়াত: ৫৭
সুরা নিসা: ৫৭/১২২/১৭৩
সুরা মায়িদা, আয়াত: ৯/৯৩
সুরা আ’রাফ, আয়াত: ৪২
সুরা ইউনুস, আয়াত: ৪/৯
সুরা হুদ, আয়াত: ২৩
সুরা রা’দ, আয়াত: ২৩
সুরা ইবরাহীম, আয়াত: ২৩
সুরা কাহাফ, আয়াত: ৩০/১০৭
সুরা ইারাহীম, আয়াত: ৯৬
সুরা হাজ্জ্ব, আয়াত: ১৪/২৩/৫০/৫৬
সুরা শুআরা, আয়াত: ২২৭
সুরা আনকাবুত, আয়াত: ৭/৯/৫৮
সুরা রুম, আয়াত: ১৫/৪৫
সুরা লোকমান, আয়াত: ৮
সুরা আলিফ লাম মিম সিজদা, , আয়াত: ১৯
সুরা সাবা, আয়াত: ৪
সুরা ফাতির, আয়াত: ৭
সুরা ছোয়াদ, আয়াত: ২৪/২৮
সুরা মুমিন, আয়াত: ৫৮
সুরা হা-মি-ম সিজদা, আয়াত: ৮
সুরা শু’রা, আয়াত: ২২/২৩/২৬
সুরা জাসিয়া, আয়াত: ২১/৩০
সুরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ২/১২
সুরা ফাত্হ, আয়াত: ২৯
সুরা ত্বলাক, আয়াত: ১১
সুরা ইনশিক্বাক, আয়াত: ২৫
সুরা বুরূজ, আয়াত: ১১
সুরা ত্বীন, আয়াত: ৬
সুরা বায়্যিনাহ, আয়াত: ৭
সুরা আছর ১-৪
আমল না করায় জাহান্নামঃ
وَهُمْ يَصْطَرِخُونَ فِيهَا رَبَّنَا أَخْرِجْنَا نَعْمَلْ صَالِحًا غَيْرَ الَّذِي كُنَّا نَعْمَلُ أَوَلَمْ نُعَمِّرْكُم مَّا يَتَذَكَّرُ فِيهِ مَن تَذَكَّرَ وَجَاءكُمُ النَّذِيرُ فَذُوقُوا فَمَا لِلظَّالِمِينَ مِن نَّصِيرٍ
সুরা ফাত্বির, আয়াত: ৩৭
জাহান্নামীদেরকে যখন জিজ্ঞাসা করা হবে,
مَا سَلَكَكُمْ فِي سَقَرَ قَالُوا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّينَ وَلَمْ نَكُ نُطْعِمُ الْمِسْكِينَ وَكُنَّا نَخُوضُ مَعَ الْخَائِضِينَ وَكُنَّا نُكَذِّبُ بِيَوْمِ الدِّين
অর্থাৎ তোমাদেরকে কিসে জাহান্নামে নীত করেছে? তারা বলবে, আমরা নামায পড়তাম না। অভাবগ্রস্তকে আহার্য্য দিতাম না। আমরা সমালোচকদের সাথে সমালোচনা করতাম এবং আমরা প্রতিফল দিবসকে অস্বীকার করতাম।
সুরা মুদ্দাসসির, আয়াত: ৪২-৪৩
সুন্নাত না মানায়:
হযরত আবূ হুরাইরাহ রা. হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
كُلُّ أُمَّتِي يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ إِلاَّ مَنْ أَبَى قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ يَأْبَى قَالَ مَنْ أَطَاعَنِي دَخَلَ الْجَنَّةَ وَمَنْ عَصَانِي فَقَدْ أَبَى
সূত্র: সহিহ বুখারী, হাদিস: ৭২৮০
‘নবীজি কোন আমলের দাওয়াত দেন নি।’
সূত্র: প্রিয় দেশবাসী পৃ:৬৬
مَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ
অর্থাৎ যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার উপর মিথ্যা আরোপ করে, সে যেন জাহান্নামে তার ঠিকানা বানিয়ে নেয়।
সূত্র: সহিহ বুখারী, হাদিস: ৩৪৬১
সঙ্গীতে মিউজিক
ইসলামী সঙ্গীত এডিট করার সময় এক ধরণের instrument তথা বাজনা দিয়ে তাল ঠিক রেখে রেখে অডিওর কাজ করা হয়। এবং ইসলামী সঙ্গীতে মিউজিক ব্যবহার জায়েয কি না?
আল্লাহ বলেন,
وَلاَ تَلْبِسُواْ الْحَقَّ بِالْبَاطِلِ وَتَكْتُمُواْ الْحَقَّ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ
সূরা বাকারা, আয়াত: ৪২
উক্ত আয়াতের তাফসীর করতে গিয়ে ইবনে আব্বাস রা. বলেন,
لَا تَخْلِطُوا الْحَقَّ بِالْبَاطِلِ وَالصِّدْقَ بِالْكَذِبِ
সূত্র: তাফসীরে ইবনে কাসীর খ. ১ পৃ. ১৩৪
আবু উমামা বাহিলী রা. থেকে বর্ণিত, নবীজি সা. বলেন,
إنَّ اللهَ بَعَثَني رَحمةً للعالمينَ وهُدًى للعالمينَ وأمَرَني ربِّي بمَحقِ المَعازفِ والمَزاميرِ والأَوْثانِ والصُّلُبِ وأمْرِ الجاهليَّةِ
সূত্রঃ মুসনাদে আহমাদ হাদিস-২২৩০৭ তয়ালিসি হাদিস-১২৩০ তবরানী হাদিস-৭৮০৩
নবীজি সা. বলেন,
سيكونُ في آخرِ الزَّمانِ خسفٌ وقذفٌ ومسخٌ قيل ومتى ذلك يا رسولَ اللهِ قال إذا ظهَرَتِ المعازفُ والقَيْناتُ واستُحِلَّتِ الخمرُ
সূত্রঃ মাজমাউয যাওয়ায়েদ খঃ৮ পৃঃ১৩
সুতরাং বাজনা দিয়ে তাল ঠিক রেখে এডিট করা জিনিষ শুধু ইসলামী সংগীত কেন পবিত্র কুরআনের তিলাওয়াতও যদি এডিট করা হয়, সেটাও হারাম।
যদি কেউ এটা জায়েয মনে করে
করে তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।
পুরুষের জন্য টাখনুর নিচে কাপড়
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضى الله عنه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَا أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ مِنَ الإِزَارِ فَفِي النَّارِ
সূত্র: সহিহ বুখারী হাদিস: ৫৭৮৭
ইবনে উমার থকে বর্নিত, নবীজি সা. বলেন,
لاَ يَنْظُرُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلَى مَنْ جَرَّ ثَوْبَهُ خُيَلاَءَ
সূত্র: সহিহ বুখারী হাদিস: ৫৭৮৩
সেটা জুব্বা, আবাকাবা,শেরওয়ানী যেটাই হোক।
মৃতের দাফনে বিলম্ব করা।
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত নবীজি সা. বলেন,
أَسْرِعُوا بِالْجَنَازَةِ فَإِنْ كَانَتْ صَالِحَةً قَرَّبْتُمُوهَا إِلَى الْخَيْرِ وَإِنْ كَانَتْ غَيْرَ ذَلِكَ كَانَ شَرًّا تَضَعُونَهُ عَنْ رِقَابِكُمْ
সূত্র: সহিহ বুখারী হাদিস: ২০৭৭
স্বামী-স্ত্রীকে ভাই-বোন বলা:
মহব্বত করে স্ত্রীকে বোন,স্বামীকে ভাই বলে সম্বোধন করা মাকরুহ।
أَنَّ قَوْلَهُ لِزَوْجَتِهِ يَا أُخَيَّةُ مَكْرُوهٌ
সূত্র: আদ্দুররুল মুখতার খ. ৩ পৃ. ৪৭০
হাদীস শরীফে এসেছে,
عَنْ أَبِي تَمِيمَةَ الْهُجَيْمِيِّ، أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِامْرَأَتِهِ: يَا أُخَيَّةُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أُخْتُكَ هِيَ؟، فَكَرِهَ ذَلِكَ وَنَهَى عَنْهُ
সূত্র: সুনানে আবু দাউদ হাদীস: ২২১০
সুতরাং এমন সম্বোধন থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে এ কারণে বৈবাহিক সম্পর্কের কোনো ক্ষতি হবে না।