কোনো গরীবকে কুরবানীর গোশত দেওয়ার পর তিন সেটার মালিক হয়ে যান। সুতরাং সে উক্ত গোশত খাবে না বিক্রি করবে, সেটা একান্তই তার ইচ্ছা। যদি বিক্রি করে তাহলে যে কেউ ক্রয় করতে অসুবিধা নেই। হানাফী মাযহাবের প্রশিদ্ধ গ্রন্থ বাদায়েউস সানায়ে-তে এসেছে,
ولو وهب لرجل شاة فضحى بها الموهوب له أجزأته عن الاضحية لأنه ملكها بالهبة والقبض، فصار كما لو ملكها بالشراء
যদি কোন ব্যক্তি কাউকে একটি বকরি উপহার হিসেবে দান করে এবং গ্রহীতা তা কুরবানী করে, তাহলে কুরবানী হিসেবে এটি তার জন্য যথেষ্ট হবে। কারণ দান এবং মালিকানার মাধ্যমে সে এটির মালিক হয়েছে, এটা যেন ক্রয় করে মালিক হওয়ার মতোই। -বাদায়েউস সানায়ে, খ. ৬ পৃ. ৩১৯
حكم الملك ولاية التصرف للمالك في المملوك باختياره ليس لأحد ولاية الجبر عليه إلا لضرورة ، ولا لأحد ولاية المنع عنه
মালিকানার নিয়ম হলো, মালিকের নিজের পছন্দ অনুসারে সম্পত্তির হস্তক্ষেপ করার অধিকার রয়েছে। প্রয়োজনীয় প্রয়োজন ছাড়া কাউকে তাকে মালিকানাধীন বস্তুতে জোর করার অধিকার নেই এবং তাকে তা করতে বাধা দেওয়ার অধিকারও কারো নেই। -বাদায়েউস সানায়ে খ. ৮ পৃ. ৫০২