ইশার বৈধ ওয়াক্ত:
ইশার ওয়াক্ত ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত অর্থাৎ সাহরীর ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত থাকে। কারণ হাদিসে এসেছে,
عن أبي قتادة رضي الله عنه قَالَ قَالَ النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ليس في النَّومِ تفريطٌ إنَّما التَّفريطُ على مَن لم يُصَلِّ الصَّلاةَ حتّى يجيءَ وقتُ صلاةٍ أخرى
অর্থ: হযরত আবূ কাতাদা রা: থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ ঘুমের কারণে নামায কাযা হলে অন্যায় নয়, বরং জগ্রত অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে নামায এত বিলম্বে আদায় করা অন্যায়, যাতে অন্য ওয়াক্ত উপনীত হয়।
সূ্ত্র: সহিহ মুসলিম হাদিস: ৬৮১ আবু দাউদ: ৪৪১ তিরমিযি: ১৭৭ নাসাঈ:৬১৫ ইবনে মাজা: ৬৯৮
ইশার মাকরুহ ওয়াক্ত:
তবে ইশার নামাজের উত্তম সময় হলো মধ্যরাত পর্যন্ত। বিশেষ কোনো ওযর ছাড়া মধ্যরাতের পরে ইশা পড়া মাকরূহ। অর্থাৎ, যদি কোনো ব্যক্তি বিশেষ কারণে ইশার নামাজ না পড়ে থাকেন তাহলে সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত তিনি ইশার নামাজ পড়তে পারবেন। তখন তার নামাজ আদায় হয়ে যাবে তবে মাকরুহের সঙ্গে। কারণ হাদিস শরীফে এসেছে,
عن عبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بن العاصِ رَضِيَ اللهُ عَنْهما أنَّه قال سُئِلَ رسولُ اللهِ صلَّى اللهُ عليه وسلَّم عن وقتِ الصلواتِ فقال….وَوَقْتُ صَلاةِ الْعِشَاءِ إِلَى نِصْفِ اللَّيْلِ الأَوْسَطِ
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা: থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ স: কে নামাজের ওয়াক্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বললেন…আর ইশার ওয়াক্ত মধ্যরাত পর্যন্ত বিদ্যমান থাকে।
সূত্র: সহিহ মুসলিম হাদিস: ৬১২
সহিহ মুসলিমের প্রখ্যাত ভাষ্যকার ইমাম নববী রহ. বলেন,
معناه وقت لأدائها اختيارا أما وقت الجواز فيمتد إلى طلوع الفجر الثاني لحديث أبي قتادة
অর্থ: এটা ইশার পছন্দনীয় ওয়াক্ত। বাকী রইল বৈধ ওয়াক্ত। তা ফজর পর্যন্ত প্রলম্বিত; আবূ কাতাদাহর হাদিসের কারণে।
সূ্ত্র: আলমিনহাজ শরহু মুসলিম খ: ৫ পৃ: ১১১ ফতহুল বারী খ: ২ পৃ: ৬২
লেখক
মুফতী রিজওয়ান রফিকী
পরিচালক: মাদরাসা মারকাযুন নূর বোর্ড বাজার,গাজীপুর সদর।
আমি প্রতিদিন ৯২ কি:মি দূরে কাজ করতে যাই। তাহলে কি আমার প্রতিদিন যোহর/আসর কসর পড়তে হবে?দয়া করে জানাবেন হজরত।