**বয়ান নাম্বার (২)***
স্থান:- “কোরআন পথের পথিক” সংগঠনের  আয়োজনে
আলোচক:
হযরতুল আল্লাম শাহ মুফতী আব্দুল ওয়াহীদ কাসেমী দা.বা.।
মুহতামিম: জামিয়া ইমদাদিয়া দারুল উলূম মুসলিম বাজার মাদরাসা মিরপুর-১২ ঢাকা।
اعوذ بالله من الشيطان الرجيم بسم الله الرحمن الرحيم .
الرحمن °علم القران °خلق الانسان °علمه البيان °
وقال تعالى في موضع اخر
الر°كتاب انزلناه اليك لتخرج الناس من الظلمات الى النور.
وقال رسول الله صلى الله تعالى عليه وسلم خيركم من تعلم القران وعلمه أو كما قال النبي صلى الله تعالى عليه وسلم.
صدق الله المولانا العظيم وصدق رسوله النبي الكريم ونحن على ذلك لا من الشاهدين والشاكرين والحمد لله رب العالمين.
سبحانك لا علم لنا الا ما علمتنا انك انت العليم الحكيم سبحان الله وبحمده سبحان الله العظيم
আমরা সকলেই সামনে আগায় আসি পরে কেউ আসলে যেন পিছনে বসতে পারে।
আলহামদুলিল্লাহ সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের লাখো কোটি শুকুর যিনি”কোরআন পথের পথিক” এ সংগঠনের পক্ষ থেকে আজকের এই মোবারক মজলিসে আমাদের সকলকে আসার বাসার তৌফিক দিয়েছেন এজন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে গভীর মহব্বতের সাথে শুকরিয়া আদায় করি আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহ পাকের কাছে দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদেরকে মাফ করে দেন এবং আমাদের সকলকে ছিরাতে মুস্তাকিমের উপরে চলার এবং ওঠার তৌফিক দান করেন।
পবিত্র কুরআনুল কারীমে সুরাতুল ফাতেহা প্রথম সুরা।
ফাতেহা মানে শুরু।যেটা দিয়ে পবিত্র কুরআনুল কারীম শুরু হয়েছে এই সূরার মধ্যে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের জন্য যে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন এবং আমাদের জন্য যেটা শিখিয়েছেন এবং এই সূরাকে সূরাতুল মাসআলাউ বলা হয় এটার মাধ্যমে যেটা শিখতে পারি আমরা যখন বললাম একথা
اياك نعبد واياك نستعين
আমরা আপনারই ইবাদত করি আপনার কাছেই সাহায্য চাই ।
ইবাদত করার জন্য আল্লাহর থেকে সাহায্য জরুরি কেউ এই ব্যাপারে গর্ব করে বলতে পারবে না যে আমি এবাদত করতে পারবই।
আল্লাহ পাকের হুকুম মানা আল্লাহ পাকের বন্দেগী করা এটার জন্য আল্লাহর মেহেরবানী জরুর।
এজন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআনুল কারীমের অন্যত্রে বলেছেন
ولولا فضل الله عليكم ورحمته ما زكى منكم من احد ابدا
(ভাই কেউ ছবি না তুলি)
অর্থ:- তোমাদের উপরে যদি আল্লাহর মেহেরবানী না হতো
ما زكى منكم من احد ابدا
তোমরা কেউ আল্লাহ তায়ালার নাফরমানি থেকে বাঁচতে পারতে না।
আর নাফরমানি থেকে বাঁচা সেটা তো আল্লাহ তায়ালার বন্ধু হওয়ার অন্যতম মাধ্যম।

👉আল্লাহ পাক বলেছেন আমার বন্ধু কারা?
ان اولياؤه الا المتقون
আমার বন্ধু তারাই যারা আমার নাফরমানি থেকে বেঁচে থাকে যারা আমার নাফরমানি করে না। এটা আল্লাহ কোথাও বলেননি
ان اولياؤه الا المصلون
ان اولياؤه الا الصائمون
ان اوليائه الا المعتمرون
ان أوليائه الا الحاجون
যারা নামাজ পড়ে তারা আমার বন্ধু
যারা রোজা রাখে তারা আমার বন্ধু
যারা ওমরা করে তারা আমার বন্ধু
যারা হজ করে তারা আমার বন্ধু
বন্ধু বললেছেন ওই সমস্ত ব্যক্তিদেরকে যারা আল্লাহ তাআলার নাফরমানি থেকে বেঁচে থাকে।
ان اولياؤه الا المتقون
একেবারে দৃঢ়তার সাথে তাকিদের সাথে বলেছেন।আমার একমাত্র বন্ধু হল যারা মুত্তাকী।
*”মুত্তাকীর সংজ্ঞা…*””
কাজী বাইজাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাফসীরে বাইজাবীর মধ্যে تقوى এর যে স্তর বর্ণনা করেছেন
١.التقوى عن الشرك والكفر
এক. তাকওয়া হলো কুকুর এবং শিরিক কে ছেড়ে দেওয়া।
٢. التقوى عن الكبائر
দুই. আল্লাহ তায়ালার বড় বড় নাফরমানি কে ছেড়ে দেওয়া।
তিন. আল্লাহ তায়ালা যে সমস্ত কাজ করলে অখুশি হন সেগুলা যাই হোক না কেন সেগুলোকে ছেড়ে দেওয়া।

👉আল্লাহ পাকের নাফরমানি ছেড়ে দেওয়া আল্লাহ তায়ালার বন্ধুত্বের লক্ষণ।

যারা আল্লাহপাকের বন্ধু হবে তারা অবশ্যই আল্লাহ তাআলার নাফরমানি থেকে বেঁচে থাকবে।
এজন্য আল্লাহ তাআলা বলছেন..যে কেউ আমার নাফরমানী থেকে বেঁচ হলে
আমার মেহেরবানী লাগবে আমি আল্লাহ তাআলা যার উপরে মেহেরবানী,দয়া করবো সেই আমার নাফরমানি থেকে বেঁচে থাকতে পারবে।

👉আল্লাহ তাআলার নাফরমানি থেকে বাঁচা সবথেকে বড় এবাদত।

আমরা তো মনে করি শুধু নামাজ পড়া, রোজা রাখা,হজ করা ইবাদত কিন্তু এই চোখকে হারাম জিনিস থেকে বাঁচিয়ে রাখা কোন হারাম জিনিস না দেখা এটা যে অনেক বড় ইবাদাত এটা আমরা অনেকে জানিও না।

এজন্য আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
لعن الله الناظر والمنظور اليه
এই চোখ দিয়ে যে দেখবে এবং যে মহিলা তাকে দেখার জন্য নিজেকে আকর্ষণ করে উপস্থাপন করবে তার উপরে আল্লাহ তায়ালার অভিশাপ।
এখানে দেখার বিষয় হল রহমাতুল্লিল আলামিন বদ দোয়া করতেছেন।
কত বড় মারাত্মক গুনাহ এই চোখ দিয়ে হারাম জিনিসকে দেখা অথচ এটা আমাদের কাছে কোন বিষয়ই না।

কুতুবে আলম আআরেফ বিল্লাহ রুমে জামানা হযরত মাওলানা শাহ হাকিম মোহাম্মদ আখতার সাহেব(نور الله مرقده)
উনার কিতাবের ভিতরে লিখেন
যে ভাই নিজের সন্তান যখন কোন বড় অপরাধ করে যে অপরাধের কথা লজ্জায় সন্তানকে বাবা ডাইরেক্ট বলতে পারেনা  আরে আমার ছেলে হয়ে আবার এই কাজ কিভাবে করতে পারলো!?
তখন সে তার বন্ধুকে বলে যে ভাই আমার ছেলেকে একটু বুঝাও সে এটা কি ভাবে করে আর যেন না করে।
(আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকলকে বুঝার তৌফিক দান করেন)
ঠিক তেমনিভাবে পবিত্র কোরআনে সুরা নূরের মধ্যে আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় হাবিব মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু সালামকে দিয়ে বলাচ্ছেন ও আমার হাবিব আপনি আমার বান্দাদেরকে একটু বলে দেন [আন নূরঃ আয়াত নং ৩০] قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصٰرِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذٰلِكَ أَزْكٰى لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌۢ بِمَا يَصْنَعُونَ

অর্থঃ মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।
[আন নূরঃ আয়াত নং ৩১]

وَقُل لِّلْمُؤْمِنٰتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصٰرِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلٰى جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ ءَابَآئِهِنَّ أَوْ ءَابَآءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَآئِهِنَّ أَوْ أَبْنَآءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوٰنِهِنَّ أَوْ بَنِىٓ إِخْوٰنِهِنَّ أَوْ بَنِىٓ أَخَوٰتِهِنَّ أَوْ نِسَآئِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمٰنُهُنَّ أَوِ التّٰبِعِينَ غَيْرِ أُولِى الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلٰى عَوْرٰتِ النِّسَآءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِن زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوٓا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
অর্থঃ ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।

আল্লাহ তাআলা তার প্রিয় বন্ধুকে দিয়ে বলাচ্ছেন বন্ধু আপনি একটু বলে দেন আমার প্রিয় ঈমানদার বান্দা-বান্দীদেরকে আমি বলতে পারতেছি না।
আমার বান্দা হয়ে এবং এটা ঈমানের অংশটাও.. যে বান্দা এটা মনে করবে আল্লাহ আমাকে দেখছেন আমি যেখানেই থাকি না কেন وهو معكم اين معكم انتم
তুমি যেখানেই থাকো না কেন আমি আছি তোমার সাথে আছে!
কোন জায়গায় আল্লাহ ছাড়া কেউ নাই। আল্লাহ পাক বলেন
الم تر ان الله يعلم مافي السماوات وما في الارض
আসমান জমিনে যা কিছু আছে তোমরা কি মনে কর আল্লাহ কিছু দেখে না যেখানে যা কিছু আছে সব কিছু আল্লাহ তায়ালা জানে
الم تر ان الله يعلم مافي السماوات وما في الارض ما يكون من نجوى من ثلاثه الى رابعهم
অর্থ:- যদি তিনজন কথা বলে ওখানে (দেখা না গেলেও) চতুর্থ আরেকজন তোমাদের সাথে আছেন। তিনিই আল্লাহ।

এ কথা আল্লাহ পাক বলতেছেন আমরা তো মনে করি আমরা তো তিনজন আর তো কেউ নাই।(আল্লাহু আকবার)
আল্লাহ পাক বলেন যদি তোমরা চারজন থাকো সেখানে পঞ্চম আরেকজন তোমাদের সাথে আছেন। তিনিই আল্লাহ। যদি পাঁচজন কোথাও থাকো ষষ্ঠ আরেকজন তোমাদের সাথে আছেন। তিনিই আল্লাহ।
এটা তো ঈমানের অংশ আল্লাহ পাকের উপরে এতটুক একিন রাখা আপনার আমার জন্য জরুরী যে আল্লাহ তায়ালা আমাকে দেখছেন।
واسروا قولكم او اجهروا به أنه عليم بذاة الصدور
তোমরা যা কিছু গোপনে বলো আর উচু করে বলো নিশ্চয়ই তিনি অন্তর জানি।

আমার উপরে এতটুকু আস্থা বিশ্বাস রাখার দরকার যে আমি আল্লাহ তো তাকে দেখতেছি সে কিভাবে এই চোখ দিয়ে হারাম জিনিস দেখবে আমি তো এই চোখ হারাম জিনিস দেখার জন্য বানাইনি  বানিয়েছি হালাল জিনিস দেখার জন্য। আমার বান্দা তারই চোখ দিয়ে আমার কুদরতকে দেখবে আমার কুদরতকে দেখে আমার শক্তিকে বুঝবে আমার সৃষ্টিকে দেখে আমার শক্তি,সামর্থ্ উপলব্ধি করবে উপলব্ধি করার পর যখন তার অন্তরে আমার বড়ত্ব প্রকাশ পাবে তখন তার কাছে দুনিয়া তুচ্ছ হয়ে যাবে তখন তো সে আমার দিকে ধাবিত হবে।

ان في خلق السماوات والارض واختلاف الليل والنهار لايات لاولي الالباب
অর্থ:-আসমান এবং জমিনের ভিতরে যা কিছু সৃষ্টি করেছেন এবং রাত্র দিনের পরিবর্তনের মাঝে জ্ঞানীদের জন্য শিক্ষনীয় করে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন।

ও আমার ভাই যে ঈমান আনবে এটা তো তার ঈমানের অংশ যে আল্লাহ আমাকে দেখছেন আল্লাহ আমাকে দেখছেন তো সে বান্দা দুনিয়ার কেউ না দেখুক
جو کرتا ہے تو چھپ کے  اہل جہاں سے
کوئی دیکھتا ہے تجھے آسماں سے
তুমি দুনিয়ার মানুষ থেকে লুকিয়ে দরজা জানালা বন্ধ করে যা কিছু কর না কেন তো আসমানওয়ালা তোমাকে দেখতেছেন।
(হা এটাই তো ঈমানের অংশ)
কুতুবে আলম আরিফ বিবিল্লা শাহ হাকিম মোহাম্মদ আখতার (نور الله مرقده) বলেনঃ
چوریا آنکھوں کی اور سینے کراز
جانتا ہے سب کو تو آے ہےنیاز
তুমি মোবাইল দিয়ে দেখতেছো এভাবে দেখলে তুমি মনে করতেছ কেউ দেখবে না তোমাকে? ওহহো
আমার সামনে কেউ নাই কেউ তো আমাকে দেখে না তুমি যে চুরি করে চোখ দিয়ে যা কিছু দেখছো
چوریا آنکھوں کی اور سینے کراز
আর তোমার দিলের ভিতরে যা কিছু গোপন করে রেখেছো তুমি অমুকের সাথে এই এই অপকর্ম করবে এটা করবে সেটা করবে তুমি যত প্লানিং করছো কেউ না জানলেও একজন জানেন তিনিই তো আল্লাহ।
হযরত ওয়ালা করাচি রহ: বলেছেন
جوانی کر اس پر فدا جس نے دی جوانی کو
তোমাকে যিনি যৌবন দান করেছেন তোমার এই যৌবন তার জন্যই তুমি কোরবানি করো।

(আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার) হাদীস শরীফে এসেছে..
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন..একজন পয়গম্বর তওবা করলে যে মাকাম হাসিল হয় যাওনির সময় একবার তওবা করলে সেই মাকাম হাসিল হয়। তওবার দ্বারা তো মর্যাদা বৃদ্ধি হয়।
ভাই একজন পয়গম্বরের তওবার দ্বারা  মর্যাদা কত উঁচু হয়? জবাব হবে পয়গম্বর যত উঁচু ওনার তওবার মাকাম ততো উঁচু।
در جوانی توبہ کردں شیوائے پیغمبریست
ওহহো
জোয়ানকালের তওবা এটা তো পয়গম্বরানা একটা সিফাত একটা বৈশিষ্ট্য এজন্য হযরত বলেন
جوانی کر اس پر فدا جس نے دی جوانی کو
نہ کھا کی پے مت کر کھاک اپنی زندگانی کو
হযরত বলেন যে ভাই একটা মাটির জিনিসের উপরে তুমি তোমার জীবনকে উৎসর্গ করো না যখন সে কবরে চলে যাবে তখন তোমার আফসোস হবে।
(আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার)

একজন সুন্দরী রমণী উনি কিসের তৈরি মাটির না বলেন ভাই মাটির না ?

তো এই জন্যই আল্লাহ তায়ালা ঈমানদারদের ব্যাপারে বলেন আমার বান্দা হয়ে আমার উপরে এটা বিশ্বাস থাকা উচিত কারণ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন
لا يزني الزاني حين يزني وهو مؤمن
কখনো কেউ যদি যিনা করে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন ওই সময়ই তার ভিতরে আমি আল্লাহর উপরে বিশ্বাস থাকে না,বিশ্বাস থাকার কথা না।
হ্যা ভাই কারো দিলের ভিতর যদি এই বিশ্বাস থাকে যে আল্লাহ আমাকে দেখেন সেই মানুষ অপরাধ করতেই পারে না।
ولا يسرق السارق حين يسرق وهو مؤمن
চোর যখন চুরি করে তখন তার ভিতরে ঈমান থাকে না
সেজন্য আল্লাহপাক বলেন ও হাবিব আমার বান্দারা ঈমান এনে তারা অনেকে বলে ঈমান এনেছে ঈমান এনে সে তার এই চোখ দিয়ে হারাম জিনিস কিভাবে দেখে!?
বলেন আপনি তাদেরকে একটু তারা যেন তাদের চোখটাকে নিম্নগামী করে।
সুইচ টিপা লাগবেনা আমি চোখের পাপড়ি এমন ভাবে বানিয়েছি ইচ্ছা করলেই এই পাপড়ি নিচে নেমে যাবে।
সুইচ টিপা লাগবে না এক ঘন্টা সময় লাগবে না। ইচ্ছা করলেই হবে,
এটার সাথে অটো ইচ্ছার সম্পর্ক ইচ্ছার সাথে এটা অটো সম্পর্ক মনে চাইলেই চোখ নিচে নেমে যাবে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বুঝা-শোনার তৌফিক দান করেন।

👉কুদৃষ্টির ক্ষতি কি কি?

হুজুর সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন
النظر سهم من سهام ابليس مسموم
অর্থ:-কুদৃষ্টি হলো ইবলিশের বিষাক্ত তীর।

এই কুদৃষ্টি এ উম্মতকে ধ্বংস করে দিল।
অনেক ইবাদত হচ্ছে,নামাজ হচ্ছে,রোজা হচ্ছে,হজ হচ্ছে, অনেক জিকির আজকার অনেক কিছু হচ্ছে কিন্তু আমরা গুনাহ থেকে বাঁচতেছি না

👉গোনাহের শুরু মাধ্যম কুদৃষ্টি..

গুনাহর উৎস হলো চোখ এই গুনার উৎস কে বন্ধ করার জন্য আল্লাহ তাআলা বলেছেন আমার ঈমানদার বান্দাদেরকে বলেন তারা চোখটাকে যেন একটু নামিয়ে রাখে।
কেন এই চোখ দিয়ে কেউ হারাম জিনিস একবার দেখলে ওটা থেকে সে বাঁচতে পারবে না।চোখ দিয়ে কোনকিছু দেখার পরে তার দিলের ভিতরে এটার ছবি হয়ে যাবে।
আরে ভাই কেউ মোবাইল দিয়ে যদি ছবি তোললে যদি সেটা মেমোরির ভিতরে ছবি হয়ে যায়।
তো এই চোখ তো আপনার আমার ভিডিও ক্যামেরা এটা দিয়ে দেখার সাথে সাথেই দিলের ভিতরে ছবি হয়ে যাবে আকা লাগবে না অটো হয়ে যাবে আর ওই ছবি ৫০ বছরেও দূর করা যাবে না।
দুইদিন পরে পরে নফস ওই ছবিটা আবার উঠায় দিবে দেখো ওই দৃশ্য।

👉কুদৃষ্টির না করার উপকারিতা কি কি?

আল্লাহপাক বলেছেন এই চোখ দিয়ে তুমি হারাম বস্তু দেখো না।
ذلك ازكى لكم
অর্থ:-এটা তোমার জন্য পবিত্রতার উপায়।
অর্থাৎ যদি হারাম বস্তু না দেখো তাহলে তুমি নাফরমানী থেকে বাঁচতে পারবে এটা তোমার বাঁচার অন্যতম একটা উপায়।

হযরত হাকিমুল উম্মত শাহ আশরাফ আলী থানবী রহ: বলেছেন কেউ কোন হারাম জিনিস দেখার পরে সে সহজে তার থেকে বাঁচতে পারবেই না।দেখবেনা বেঁচে যাবে দেখবে তো আর বাঁচতে পারবে না।

এ জন্য আল্লাহ পাক বলেছেন তুমি এ গুলো দেখো না।
আর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন…
النظر سهم من سهام ابليس مسموم
অর্থ:- কুদৃষ্টি এটা শয়তানের বিষাক্ত তীর।
আচ্ছা তীরের ভিতর কি বিষ থাকে না?
আরে ভাই বিষ থাকে না থাকে না?
(আল্লাহু আকবার)
হাদিস শরীফের ভিতরে এসেছে আল্লাহ রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন হাদীসে কুদসী এটা।
من تركه مخافتي أبدلته ايمانا يجد حلاوه في قلبه.
যে ব্যক্তি সেটা(কুদৃষ্টি)কে আমার ভয়ে ছেড়ে দিবে আমি তাকে এমন আমলের তৌফিক দিব যে আমলের স্বাদ সে অন্তরে অনুভব করবে।
যদি একবার সেটা ছেড়ে দেয় আল্লাহ পাক ওয়াদা করেছেন তাকে ঈমানের স্বাদ দান করবেন।
তুমি ইলিশ মাছের মজা পেয়েছো গরুর গোশতের মজা পেয়েছো ফলের মজা পেয়েছ আরে ভাই ঝাল মুড়ির মধ্যেও তো মজা আছে পানেরও মজা আছে আবার পানটা যদি জর্দা দিয়ে হয়। আরে সুবহানাল্লাহ!!
যারা পান খায় ওদেরকে জিজ্ঞাসা করেন আরে আপনি পলোয়া,বিরানি দেন তারপরও তারা জিজ্ঞাসা করবে পান আছে ভাই?
হজের সফরেও এগুলো এভেলেবেল আছে। ওখানে তো পান সচরাচর পাওয়া যায় না আমাদের দেশে তো মোড়ে মোড়ে পানের খিলি পাওয়া যায় কিন্তু ওদেশে লুকিয়ে লুকিয়ে প্রকাশ্যে বিক্রি করা নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধও বটে এই চিপায় চিপায় গোপনে বিক্রি করে।
তো এক মুরুব্বীকে একবার দেখি খুব ঘুরতেছে জিজ্ঞাসা করলাম চাচা কি খোঁজেন?
বলে.. বাবা! পান দরকার!
আমি বললাম চাচা হজের সফরে এসোও পানের কথা ভুলতে পারলেন না!?
কয়… বাবা এটা কি ভুলা যায়!?
তাহলে পানের মধ্যেও তো কত মজা যারা খায় এরা বুঝবে যারা খায় না তারা তো আর বুঝবে না।
আমাদের বাঙ্গালীদেরকে যদি ভাত না দিয়ে অন্য হাজারো জিনিস খাওয়ান!

ভাত দেন নাই তো কিছুই দেন নাই কিছুই খাইলাম না।
সুতরাং সব জিনিসের তো মজা আছে তাহলে কি ঈমানের মজা নাই!?
হায়! হায়!!ঈমানের মজা অবশ্যই রয়েছে!!?ঈমানের এই স্বাদ এই দৌলত যারা পেয়েছেন
উনাদের নামাজ জীবন্ত হয়
উনাদের তেলাওয়াত জীবন্ত হয়
উনাদের জিকির জীবন্ত হয়
উনারা যখন নামাজে দাঁড়ান দুনিয়ার সব স্বাদ যেন ঐ নামাজের ভিতরে পেয়ে যান।

কোথায় যে সময় কেটে যায়!
এক মে’রাজ যেখানে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তাআলার সান্নিধ্যে গিয়েছিলেন কয়েক সেকেন্ড বা কয়েক মিনিট ছিল কিন্তু দুনিয়ার হিসেবে কোন কোন মুফাসসিরিন কেরাম বলেন আল্লাহ পাকের ওখানে 27 বছর কাটিয়ে দিয়েছেন।এটার নাম মেরাজ।
কোন আসেক যখন তার মাশুকের সাথে থাকে সময় কাটায় তখন কোথায় যে সময় চলে যায় বলতেই পারে না
میاں عاشق و معشوق رمزیست
کراماً کاتبیں را ہم خبر نیست
আশেক মাশুক যখন এক জায়গায় থাকে কেরামান কাতিবিন ফেরেশতাদের তখন খবর থাকে না।
নতুন স্বামী বাসর রাতে যখন তার স্ত্রীর কাছে যায় কখন যে ফজর হয়ে যায় তার খবরই থাকে না।এটা তার জিন্দেগির এক প্রত্যাশীত রাত ছিল। যে রাতে স্বামী তার স্ত্রীর সাথে প্রথম দেখা করবে।

আরে ভাই নামাজও তো ঈমানদারের জন্য রাসূলুল্লাহ সা:মেরাজ বলেছেন।

👉মেরাজ মানে কি?
মেরাজ মানে-বান্দা তথা আশেক তার মাসুকের সাথে তার মাওলার সামনে এশকো মহব্বতের এক দরিয়ার ভিতর ঝাপ দিবে যেখানে তার কোন কিছুর খেয়াল থাকার কথা না।
যেমন কোন স্বামী তার স্ত্রীর কাছে প্রথম রাতে গেলে কোন কিছু খেয়াল থাকে না ঠিক তেমনিভাবে বান্দা যখন আল্লাহু আকবার বলে নামাজে দাঁড়ায় তখন তার দুনিয়ার কোন কিছুই খেয়াল থাকে না।

👉আল্লাহু আকবার অর্থ কি?
আল্লাহ ছাড়া সবকিছু তুচ্ছ আল্লাহ সব থেকে বড় এটাই তো অর্থ।
আল্লাহর বান্দা যখন নামাজে দাঁড়ায় তো ডাইরেক আল্লাহর সাথে কথা হয়।
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে রেওয়ায়েত এসেছে
اذا قال العبد الحمد لله رب العالمين قال الله تبارك وتعالى حمدني عبدي
যখন কোন বান্দা বলে আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন তখন আল্লাহ তাআলা এই শব্দের উত্তর দিয়ে থাকেন-আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে।
তাহলে নামাজ জীবন্ত হবে তখন যখন ঈমান জীবন্ত হবে ঈমানের মজা পেলেই নামাজের মজা আসবে ঈমানের মজা থাকবে না তো নামাজের মজাও থাকবে না।
হযরত ফাতেমা রা: এশার নামাজের পরে দুই রাকাত নামাজে হাত বেধেছেন একটু পরে মোয়াজ্জিন বলে
الصلاه خير من النوم
এটা কোন আজানে বলা হয়?
আরে ভাই এশার পরে দুই রাকাত নামাজের নিয়ত বেধেছেন ফজরের আজান হয়ে গেল!?
ফাতেমার রা: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গিয়ে বলেন আব্বাজান কি হলো মুয়াজ্জিনের এত তাড়াতাড়ি আযান দিয়ে দিল?
আরে ভাই এত তাড়াতাড়ি কোথায় হলো ছয় ঘন্টা কেটে গেছে?
عشق کی لذت کو ان سے پوچھیں ہے
جن کو سینے عشق سے زخمی ہوئی
এক বুজুর্গ বলেন…
আল্লাহ তাআলার মহব্বতের কথা ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করো যে ব্যক্তির দিল আল্লাহ তায়ালার মহব্বতে চুরচুর হয়ে গেছে।
সে বলতে পারবে আল্লাহ তাআলার ভালবাসার কত দাম।
আল্লাহ আল্লাহর কোন আশেক যখন নামাজে দাঁড়ায় কখন যে আজান হয়ে যাবে তার খবরই থাকবে না।
আরেকটা ঘটনা আপনারা পড়েছেন। হযরত আলী রা: নামাজে দাঁড়িয়েছেন তীর লেগেছে রক্ত বের হয়েছে অথচ তার কোন খবরই নাই।
(আল্লাহু আকবার!আল্লাহু আকবার!!)

তো সত্যিকারে ঈমানের মজা যখন পাবে তখন ইবাদতে মজা লাগবে জিকিরে মজা লাগবে নামাজ রোজা লাগবে সেজদাই মজা লাগবে রুকুতে মজা লাগবে সবকিছুতে মজা লাগবে।
এখন তো আমাদের কাছে টিভি দেখতে ভালো লাগে গুনাহ করতে ভালো লাগে নামাজে ভালো লাগতেছে না কেন বুঝতে হবে আমাদের ঈমানের স্বাদ নষ্ট হয়ে গেছে আচ্ছা ভাই কারো যদি জ্বর হয় সেই জ্বরের সময় যদি কাউকে কোনো ভালো জিনিস খাওয়ায় তবুও সে বলে এটা তিতা।
বাস্তবে ওই জিনিস তো তিতা নয়।
কেন তিতা? তার রুচি নষ্ট হয়ে গেছে।

ও আমার ভাই ঈমানের স্বাদ যার নষ্ট হয়ে গেছে তার কাছে নামাজের মজা লাগে না তেলাওয়াত মজা লাগে না রুকু মজা লাগেনা সেজদা মজা লাগে না মসজিদে ঢুকতে মজা লাগেনা ঢুকলে তো বের হবে কতক্ষণে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশজন সাহাবীকে জান্নাতের সুসংবাদ শুনিয়েছেন এর ভিতরে একজন সাহাবী আল্লাহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেন জান্নাতের সুসংবাদ যখন পেয়েই গেছি তাহলে নামাজ না পড়লেই তো হয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন তাহলে নামাজ পড়ো না তুমি সুসংবাদ পেয়েছ তো পড়ো না।
যে আল্লাহর দেওয়ানা জান্নাতের সুসংবাদ পেলে কি হবে আল্লাহর ঘর থেকে আল্লাহর ডাক আসলে সে তো টিকতেই পারবে না ?
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদের সময় যখন মসজিদে প্রবেশ করেছেন গিয়ে দেখে কি ব্যাপার সামনের কাতারে এক আল্লাহর বান্দা বসা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম গিয়ে দেখেন সে ওই ব্যক্তি যে ব্যক্তি গতরাতে বলেছিল জান্নাতের সুসংবাদ এসে গিয়েছে আবার নামাজ পড়ার দরকার কি?
রাসুল সাঃ তাকে জিজ্ঞাসা করলেন তুমি তো গত রাতে জিজ্ঞাসা করলে নামাজ পড়ার দরকার কি তাহলে এখন সবার আগে নামাজের কাতারে কেনো?
ঐ সাহাবী বলে ইয়া রাসুল আল্লাহ শেষ রাত হলে আমি আর বিছানায় শুয়ে থাকতে পারি নাই।
[সূরা সাজদাহ্‌ঃ আয়াত নং ১৬]

تَتَجَافٰى جُنُوبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ خَوْفًا وَطَمَعًا وَمِمَّا رَزَقْنٰهُمْ يُنفِقُونَ
অর্থঃ তাদের পার্শ্ব শয্যা থেকে আলাদা থাকে। তারা তাদের পালনকর্তাকে ডাকে ভয়ে ও আশায় এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় করে।
আচ্ছা সাহাবায়ে কেরাম রা: কি আমাদের মত ছিলেন? ওহহো!!
والذين امنوا أشد حبا لله
যে ঈমানদার সে তো আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি মহব্বত করে।
এক বুজুর্গ তো বলেই দিয়েছেন
جنت و دوزخ کے یا رب کیا کروں
عرض یہ ہے میں تجھے دیکھا کرو
জান্নাত,দোজখ দিয়ে আমি কে করবো আমি তো আপনাকে চাই।
জান্নাত দিয়ে আমার কি হবে জান্নাত কি জিনিস!?
আচ্ছা বলেন তো খাটপালঙ্গ যদি না থাকে স্বামী তার স্ত্রীর সাথে রাত কাটাতে পারেনা স্বামী স্ত্রীর সাথে রাত কাটাতে কি স্বর্ণের পালঙ্গ লাগে মাটিতেও রাত কাটানো যায়।
যারা আল্লাহর আশেক তারা জান্নাতের আশায় থাকে না তারা আল্লাহকে পেতে চায় তারা আল্লাহর জন্য নামাজ পড়ে আল্লাহর জন্য বন্দেগী করে জান্নাতের জন্য বন্দেগী করে না তারা বলে আল্লাহ আমি আপনাকে চাই।

হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি কাবার গিলাব ধরে বলতেছিলেন
الہی کوئی تجھ سے کچھ مانگتا ہے
الہی میں تجھ سے طلبگار تیرا
হে আল্লাহ মানুষ তো আপনার কাছে এটা চায় সেটা চায় কেউ বাড়ি চাই কেউ গাড়ি চাই কেউ টাকা চায় হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে শুধু আপনাকেই চাই
আর কাউকে চাই না কি করবো আমি অন্য কিছু দিয়ে।
এজন্য আল্লাহওয়ালা বুজুর্গ যারা যারা আল্লাহর আশেক আল্লার দেওয়ানা তারা তো জান্নাতের জন্য আমল করে না তারা তো আল্লাহর জন্য আমল করে।
কুরআনে বলেছেন যারা আল্লাহর আশেক বান্দা আল্লাহর দেওয়ানা
ہر شب شب قدر است اگر تمی دانی
এক বুজুর্গ বলেন তুমি যদি আল্লাহর থেকে নিতে জানো তাহলে প্রতিটা রাতই শবে কদর আমরা তো মনে করি শুধু মাহে রমজানের ২৭ তারিখই শবে কদর।
আল্লাহর দেওয়ানা যারা তারা রাত্রে শুয়ে থাকতে পারে না।
যত রাতেই ঘুমাক না কেন তারা শেষ রাত হলে বিছানায় শুয়ে থাকতে পারে না উঠে যায়।
কারণ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন শেষ রাত্রে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার আসমানে এসে বান্দাদেরকে ডাকতে থাকেন
الا من مستغفر فاغفر له الا من مسترزق فارزق له
কারো গুনাহ মাফের দরকার আমি তাকে গুনাহ মাফ করে দিব কার রিজিকের দরকার আমি তাকে রিজিক দান করব তো আল্লাহ যখন শেষ রাত্রে এসে তার দেওয়ানাদেরকে ডাকে তখন তারা আর বিছানায় শুয়ে থাকতে পারে না। আচ্ছা ভাই! আপনারা বলেন তো একেবারে দিলের থেকে বলবেন কোন সন্তান যদি দরজায় এসে বাবা-মাকে বলে দরজাটা একটু খোলো তো তখন কোন বাবা-মা কেমন আছে যে দরজা না খুলে থাকতে পারবে আরে ভাই দুশমন ডাক দিলেও তো দরজা খুলে দেয়
سبز زندہ بے خبر زندہ نیا
شبز سلطاں بے خبر سلطانیہ
হযরত রুমী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন আরে মিয়া আল্লাহর আশেক যারা আল্লাহর দেওয়ানা যারা আল্লাহ পাকের সান্নিধ্যে যাওয়ার যখন সময় হয় তখন তারা বিছানায় শুয়ে থাকতে পারে না উঠে যায়।
তো এই মজা কোত্থেকে পাইলেন?
এগুলো সব ঈমানের মজা ঈমানের মজা যখন পায় তখন নামাজ,রোজা,হজ, তেলাওয়াত,জিকির, সবকিছুই মজা লাগে এমনকি আল্লাহর নাম শুনলেও মজা লাগে।
কারোর কাছে তো গান মজা লাগে কানের ভিতর হেডফোন লাগাইয়া গান শুনতেছে তো সমস্যাটা কোথায় ?
সমস্যাটা হলো ঈমানের ভিতরে জং পড়ছে।আরে ভাই
اللہ اللہ کیسا پیارا نام ہے
عاشقوں کا میناوے اور جام ہے
আল্লাহ শব্দ কত পিয়ারা নাম যারা আশেক যারা আল্লাহর দিওয়ানা তাদের জন্য তো আল্লাহ পাকের এই নামের শব্দের মধ্যে তো মধু আছে। আরে ভাই মধু আছে এটার মধ্যে।
اللہ اللہ اے سے شیریں نست نام
شیر شکر میں کو ند جانام تمام
এই মধুর আর মজা কোথায় চিনির মিষ্টি আর কোথায় এর চেয়েও বেশি মিষ্টি আল্লাহপাকের নামের ভিতর আল্লাহ পাক রেখেছেন কিন্তু আমার তো মজা লাগছে না
জ্বর হলে যেমন মিষ্টি জিনিস তিতা লাগে আমার রুচি নষ্ট হয়ে গেছে ঈমানের রুচি নষ্ট হয়ে গেছে যার কারণে আল্লাহ পাকের নাম শুনলেও মজা লাগেনা জিহ্বার ভিতরে পানি আসে না আমাদের তো তেতুল দেখলে জিব্বায় পানি এসে যায় কিন্তু আল্লাহর নাম শুনলে আমার জিব্বায় কেন পানি আসছে না বুঝতে হবে আমার ঈমান ধ্বংস করে দিয়েছি আমার ঈমানকে আমি ছুরি দিয়ে কেটে দিয়েছি।

👉বলতে পারেন হুজুর কোথায় কিভাবে যাবেহ করলাম ?
জবাব ঐ যে চক্ষু দিয়ে আমি আর আপনি ঈমানকে ধ্বংস করে দিয়েছি যে যত বেশি এই চোখ দিয়ে হারাম জিনিস দেখবে সে তত বেশি তার ঈমানকে জবাই করে দিল আর এই নজরকে যে যত বেশি হেফাজত করবে  হোক সেটা মোবাইলে হোক সেটা টিভির পর্দায় হোক সেটা পত্রিকার মধ্যে হোক সেটা রাস্তায় বেগানা নারী থেকে সে তার ঈমানের স্বাদ তত বেশি পাবে।
من تركه مخافتي أبدلته ايمانا يجد حلاوه في قلبه.
হযরত মাওলানা মোল্লা আলী কারী রহমতুল্লাহি আলাইহি মিশকাতের মধ্যে লিখেছে
ان النور اذا دخل قلبه انفسح
কারোর ঈমানের নূর যদি একবার অন্তরের মধ্যে ঢুকে যায় তার দিল বড় হয়ে যায়।
তিনি লিখেছেন এর দ্বারা ইশারা হলো
الى حسن الخاتمة
অর্থাৎ কেউ যদি একবার ঈমানের স্বাদ পেয়ে যায় তাহলে এই স্বাদ তার মৃত্যু পর্যন্ত থাকবে আর তার মৃত্যুটা ঈমানের সাথে হবে।
যেমন কেউ যদি একবার ইলিশ মাছ খায় ৪০ বছর পরেও সে বলতে পারে আমি ৪০ বছর আগে এমন এক স্বাদের ইলিশ মাছ খেয়েছিলাম তার স্বাদ সে ভুলিনি।

সারসংক্ষেপ কথা হলো চক্ষুকে হেফাজত করলে তাকে আল্লাহ তায়ালা মৃত্যু পর্যন্ত ঈমানের স্বাদ দান করবেন আর যার ঈমান এর স্বাদ মৃত্যু পর্যন্ত থাকবে তার মৃত্যু ঈমানের সাথে হবে।

কথা অনেক দূরে চলে গেছে আমি বলতেছিলাম আল্লাহ পাকের বন্ধু কারা
যারা গোনা থেকে বেঁচে থাকে আর গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার জন্য আল্লাহ পাকের সাহায্য লাগে
اياك نعبد واياك نستعين
ইবাদতের জন্য যদি আল্লাহর সাহায্য জরুরী হয় তাহলে এটার জন্য তো একটা সহজ রাস্তা দরকার।
হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ: এর আজাল্লে খলিফা ডাক্তার আব্দুল হাই রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন…
ان سے ملنے کی ہے یہی یک راہ
ملنے والوں سے راہ پیدا کر
আল্লাহকে পাওয়ার একমাত্র রাস্তা যারা আল্লাহকে পেয়েছে তাদের সহবাত উঠানো।

খাজা আজিজুল হাসান আল মাজজুব রহ: একজন ডেপুটি কালেক্টর ছিলেন কিন্তু একজন আল্লাহওয়ালার সাথে নিজেকে লাগিয়ে জগত বিখ্যাত আল্লাহওয়ালা হয়ে গেছেন উনি বলেন
قریب جلتے ہوئے دل کو اپنا دل کر دے
آگ لگتا نہیں لگائی جاتی ہے
جو آپ کی خاصیت وہ عشق کی خاصیت
یک کھانا بکھانا ہے یک سینہ بسینہ ہے
অর্থ:-দ্রুত আল্লাহর মহব্বতে জ্বলন্ত দিলের কাছে তোমার দিলটাকে লাগিয়ে দাও আগুন নিজে নিজে লাগেনা আগুন লাগাইতে হয়।আগুনের যে বৈশিষ্ট্য মোহাব্বতেরও সেই একই বৈশিষ্ট্য আগুন যেমন এক ঘর থেকে আরেক ঘরে লেগে যায় এশক তেমন একসিনা থেকে আরেক সিনায় লেগে চলে যায়।
আরে ভাই!
এক জ্বলন্ত মোমবাতি থেকে হাজারো নিভানো মোমবাতির ভিতর আগুন লাগানো যাবে।তবে শর্ত হলো নিভানো মোমবাতি গুলোর শলতাকে জ্বলন্ত মোমবাতির শলতার কাছে নিয়ে আগুন লাগাইতে হবে।

এজন্য আল্লাহ তাআলা বলেছেন
প্রথম সূরা থেকে আপনার আমার প্রথম শিক্ষা।
হে আমার বান্দারা! যদি তুমি আমার বন্দেগী করতে চাও যদি তুমি সিরাতে মুস্তাকিম এর পথে চলতে চাও তাহলে তুমি আমার কাছে আমার কাছে দোয়া করো
اهدنا الصراط المستقيم
অর্থ:-হে আল্লাহ আপনি আমাকে সিরাত মুস্তাকিম দেখান।

আল্লাহ নিজেই বলে দিয়েছেন সীরাতে মুস্তাকিম হলো..
صراط الذين انعمت عليهم
আমি যাদের উপরে অনুগ্রহ করেছি যারা আমার পক্ষ থেকে পুরস্কারপ্রাপ্ত আমার ওই সকল বান্দাদের পথে চলো তাহলে তুমি সঠিক পথ পেয়ে যাইবা।
واتبع سبيل من اناب الى
অর্থ:-যারা সর্বদা আমার দিকে ধাবিত হয় আমার দিকে মমতাজ থাকে তোমরা ওই সকল বান্দাদেরকে অনুসরণ করো।
তারা হলো صاحب القران
তাদের মাঝে আল্লাহ তা’আলা কুরআনে এলেম রেখেছেন যাদের ভিতর আল্লাহ তায়ালার কুরআন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতের অগাধ জ্ঞান রেখেছেন ওই জাতীয় আল্লাহওয়ালার সোহবত এখতিয়ার করা।
যখন আপনি আমি ওনাদেরকে উনাদের সহবাতকে এখতিয়ার করব তো উনারা আপনাকে আমাকে পরিচালনা করবেন কোরআন এবং সুন্নতের মেজাজ মোতাবেক।
এজন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
ان لكل شيء شرفا يتباهون به وان بهاء امتي القرآن
অর্থ:- প্রত্যেকটা জিনিসের একটি গৌরবের দিক থাকে যেটা দিয়ে সে গর্ববোধ করে আমার উম্মতের গর্বের বিষয় হলো আল-কুরআন।
যার কারনে কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহ তায়ালা কোরআন ওয়ালাকে বলবে..
يا صاحب القران اقرأ وارتق ورتل كما كنت ترتل في الدنيا فان منزلتك عند اخر اية تقرأها
অর্থ:-হে পরানওলা তুমি পড়ো এবং জান্নাতে উটতে থাকো এবং সুন্দর করে তেলাওয়াত করো যেমনিভাবে তুমি দুনিয়াতে সুন্দর করে তেলাওয়াত করতে নিশ্চয়ই তোমার স্থান তোমার পঠিত শেষ আয়াত সমপরিমাণ।

হাদিসে আরও আসছে কিয়ামতে
কোরআন ওয়ালার বাবা-মাকে নূরের তাজ পোরানো হবে সেই টুপির নূরের জ্যোতি সূর্যের আলো মিলান করে দিবে।

কোরআন ওয়ালার বাবা-মাকে যদি এত সম্মান করে তাহলে আল্লাহ তায়ালা কোরআন ওয়ালাকে কি পরিমাণ সম্মান করবেন!?
আল্লাহ পাক বলেছেন
الرحمن علم القران خلق الانسان علمه البيان
আপনার আমার সকল সুখের মূলে এই কোরআন আমি আর আপনি যদি সত্যিকারের মানুষ হতে চাই
اگر بہ صورت آدمی انساں بدے
احمد و ابو جہل ہم یک سابدے
হাত-পা নাক কান চোখ থাকলেই মানুষ হবে না।মানুষ তো তাকেই বলা হয় যার ভিতর মনুষ্যত্ব আছে আপনার আমার ভিতরে মনুষ্যত্ব আসার জন্য একমাত্র রাস্তা হলো কোরআনের শিক্ষা,জ্ঞান।

আল্লাহপাক সূরা ইব্রাহীমের ভিতরে বলেছেন…
الر.كتاب انزلناه اليك لتخرج الناس من الظلمات الى النور
অর্থ:-হে মোহাম্মদ আমি আপনার উপরে কোরআন নাজিল করেছি যাতে করে আপনি মানুষদেরকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর পথ দেখাতে পারেন।

এই কোরআন যাদের মধ্যে থাকবে এবং যারা এ প্রাণ অনুযায়ী চলবে
من قرا القران واستحفظه فاحل حلاله وحرم حرامه ادخله الله الجنه وشفعه بعشر كل قد وجبت له النار
অর্থ:- যে কোরআন পড়বে এবং তা সংরক্ষণ করবে এবং কোরআনের হালাল কে হালাল জানবে,মানবে হারামকে হারাম হিসেবে জানবে মানবে আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তার পরিবারের মধ্য থেকে ১০ জন ব্যক্তিকে যাদের প্রত্যেকের উপরেই জাহান্নাম ওয়াজিব হয়েছিলো তাদের ব্যাপারে তার সুপারিশকে কবুল করবেন।

কোরআন কত বড় দৌলত কত বড় গর্বের এজন্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
ان بهاء امتي القرآن
আমার উম্মতের গর্বের একমাত্র বস্তু আল কোরআন।
তো আপনাদের এলাকায় কুরআন পথের পথিক যে সংগঠন অরাজনৈতিক এক সংগঠন আল্লাহর রাসূল সা: যে মিশন নিয়ে দুনিয়াতে এসেছেন-কোরআনের আলোকে ছড়িয়ে দেওয়া।
সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রত্যেক মুসলমান নারী-পুরুষ ছেলে মেয়ে সবাই কুরআন পথের পথিক হতে পারে।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
ليس في جوف شيء من القران كانه كالبيت الخرب.
অর্থ:- যে ব্যক্তির অন্তরে কোরআনের কোন অংশ নেই সেই ব্যক্তি কেমন যেন বিধ্বস্ত একটি ঘরের মতো তথা ধ্বংসপ্রাপ্ত।
আপনি আমি ধ্বংস থেকে বাঁচতে হলে আপনার আমার মধ্যে কোরআন লাগবে কোরআন শেখা লাগবে কোরআন পরিশুদ্ধভাবে পড়া লাগবে কারণ নামাজ পড়তে গেলে নামাজের মধ্যে কেরাত পড়া ফরজ। নামাজের ফরজ তরক হয়ে গেলে নামাজ আবার পড়া লাগবে ওয়াজিব তরক হয়ে গেলে সহজ সেজদা দিলে নামাজ হয়ে যায় কিন্তু ফরজ তরক হয়ে গেলে আবার খরচ পড়া লাগে তাহলে কারো যদি কুরআন শুদ্ধ না হয় তাহলে তো তার নামাজি হবে না ফরজ তরফ হয়ে গেল তাহলে নামাজকে শুদ্ধ করার জন্য কোরআনকে শুদ্ধ করা লাগবে।

তাহলে এই “কোরআন পথের পথিক” মাশাল্লাহ তারা যতটুক চেষ্টা করতেছে আপনার আমার সন্তানগুলো কিভাবে সহীহ শুদ্ধভাবে কোরআন পড়তে পারে তাহলে আমরা যদি সবাই সহযোগিতা করি তাহলে এদের জন্য সহজ হবে।

বড় আশ্চর্যের বিষয় ইহুদী-খ্রিস্টানের স্কুলের রুটিন রেখেছে এমন সময় যাতে করে মুসলমান বাচ্চারা মসজিদে যেতেই না পারে।আমরা যখন ছোট ছিলাম মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার আগে আমরা মহল্লার মসজিদে কায়দা,কোরআন পড়েছি।

এখন যেমন গার্মেন্টসে যাওয়ার জন্য সকাল বেলা লাইন ধরে আগের দিনে সকালবেলায় মসজিদের মক্তবে যাওয়ার জন্য বাচ্চারা লাইন ধরত প্রত্যেকটা বাসা থেকে বাচ্চারা নুরানী কায়দা বুকে নিয়ে মসজিদের দিকে রওনা হতো।
ওই মসজিদের মক্তবের মেহনতের কারণে আজ অনেক মুসলমানেরা মসজিদে যাচ্ছে।
এজন্য আমাদের বাচ্চাদের প্রথম শিক্ষা যেন হয় কোরআনের। প্রথম অক্ষর যেন কোরআনের হরফ দিয়েই হয়।
আমরা যদি সন্তানদেরকে মক্তবে প্রথম কোরআন শিক্ষা দিয়ে তাকে স্কুল,কলেজ ইউনিভারসিটিতে পাঠায় তাহলে কোন সমস্যা নেই।
তাই আমার আপনার বাচ্চার প্রথম শিক্ষাটা যেন কোরআনের শিক্ষা হয়।

কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন
خيركم من تعلم القران وعلمه
অর্থ:- তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ঐ ব্যক্তি যিনি নিজে কোরআন শেখে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়।
তো আমরা নিজেরাও কোরআন শিখব আমাদের বাচ্চাদেরকেও কোরআন শিখাবো ইনশা-আল্লাহ।
অনেকে বলবেন হুজুর আমার তো অনেক বয়স হয়ে গেছে?
আরে ভাই গত কিছুদিন আগে আমাদের মুসলিম বাজার মাদ্রাসার এক তলেবে এলেম তার নাম হুজাইফা সে তো মারা গেল।
হাদিসের মধ্যে আসছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
من سلك طريقا يلتمس فيه علما سهل الله له طريقا الى الجنه
যে ব্যক্তি এলমে দিন তলব করতে বের হলো আর এমন অবস্থায় সে মারা গেল আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতের রাস্তা সহজ করে দিবেন।

সুতরাং আপনি আমি কুরআন শিক্ষা অবস্থায় যদি ইন্তেকাল করি আল্লাহ তা’আলা আপনাকে আমাকে জান্নাতের রাস্তা সহজ করে দিবেন।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে বুঝে কথাগুলি আমল করার তৌফিক দান করেন।
واخر دعوانا ان الحمد لله رب العالمين.

আব্দুল্লাহ সালেহী:

 

Check Also

আব্দুল্লাহ সালেহী: **বয়ান নাম্বার (৫)*** ১৮/১২/২০১৯ ঈসায়ী স্থান: নবাবগঞ্জ, মানিকগঞ্জ। আলোচক: হযরতুল আল্লাম শাহ মুফতী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.