Home > ওয়াজ > আল্লাহ ভয়ের পুরস্কার

আল্লাহ ভয়ের পুরস্কার

 

আল্লাহ তা’য়ালা বলেন :

وَمَنْ يَتَّقِ اللهَ يُكَفِّرْ عَنْهُ سَيِّئَاتِه وَيُعْظِمْ لَه أَجْرًا

অর্থ: আর যে আল্লাহকে ভয় করে তিনি তার গুনাহসমূহ মোচন করে দেন এবং তার প্রতিদানকে বিশাল করে দেন।
সুরা তালাক আয়াত: ৫

হাদিসের ভেতর এসেছে,

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَقُولُ اللهُ إِذَا أَرَادَ عَبْدِي أَنْ يَعْمَلَ سَيِّئَةً فَلاَ تَكْتُبُوهَا عَلَيْهِ حَتَّى يَعْمَلَهَا…..وَإِنْ تَرَكَهَا مِنْ أَجْلِي فَاكْتُبُوهَا لَهُ حَسَنَةً

অর্থ: হযরত আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ্ বলেন, (হে ফিরিস্তা,) আমার বান্দা কোন গুনাহর কাজ করতে চাইলে তা না করা পর্যন্ত তার গুনাহ্ লেখো না……আর যদি আমার (মাহাত্ম্যের) কারণে তা ত্যাগ করে, তাহলে তার পক্ষে একটি নেকী লেখো।
সূত্র: সহিহ বুখারী হাদিস: ৭৫০১

অত্র আয়াত ও হাদিসে বলা হয়েছে, আল্লাহর ভয়ে গুনাহ ছেড়ে দিলে আল্লাহ অন্য গুনাহ মাফ করে দেবেন। পাশাপাশি

وَيُعْظِمْ لَه أَجْرًا

অর্থাৎ তার প্রতিদানকে বিশাল করে দেন।
সুরা তালাক আয়াত: ৫

১. দুনিয়া-আখেরাত দুটোই মুত্তাকির।

أَلا إِنَّ أَوْلِيَاء اللّهِ لاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ
الَّذِينَ آمَنُواْ وَكَانُواْ يَتَّقُونَ لَهُمُ الْبُشْرَى فِي الْحَياةِ الدُّنْيَا وَفِي الآخِرَةِ لاَ تَبْدِيلَ لِكَلِمَاتِ اللّهِ ذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ

মনে রেখো যারা আল্লাহর বন্ধু, তাদের না কোন ভয় ভীতি আছে, না তারা চিন্তান্বিত হবে। যারা ঈমান এনেছে এবং ভয় করতে রয়েছে। তাদের জন্য সুসংবাদ পার্থিব জীবনে ও পরকালীন জীবনে। আল্লাহর কথার কখনো হের-ফের হয় না। এটাই হল মহা সফলতা।
সুরা ইউনুস আয়াত: ৬২-৬৪

২. দুটি জান্নাত প্রদান

আল্লাহ তা’য়ালা অপর আয়াতে বলেন,

وَلِمَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ جَنَّتَانِ

অর্থ: যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে পেশ হওয়ার ভয় রাখে, তার জন্যে রয়েছে দু’টি উদ্যান।
সুরাঃ রহমান আয়াত: ৪৬

তাফসীর..

হযরত মুজাহিদ রহ. বলেন,

الرجل يهمّ بالذنب فيذكر مقامه بين يدي الله فيتركه فله جنتان

অর্থাৎ কেউ গুনাহ করার ইচ্ছা পোষণ করল, অতপর আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোর কথা স্বরণ করে গুনাহ ছেড়ে দিল। তার জন্য দুটি জান্নাত।
সূত্র: তাফসীরে তাবারী খ: ২৩ পৃ: ৫৬

হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন রা. বলতেন,

يا ليتني رمادا تذريني الريح

অর্থাৎ হায়! আমি যদি ছাই হতাম, তাহলে বাতাসে আমাকে উড়িয়ে ভস্ম করে দিত।
সূত্র: কিতাবুয যুহদ (আহমাদ ইবনে হাম্বল) খ: ২ পৃ: ৮৩ শুয়াবুল ঈমান (বায়হাকী) হাদিস: ৭৯০

হযরত আবু যর গিফারী রা. বলতেন,

وددت أن الله عز و جل خلقني يوم خلقني شجرة تعضد

অর্থাৎ আমার মন চায় যে, যেদিন আল্লাহ আমাকে সৃষ্টি করেছিলেন, সেদিন যদি গাছ বানিয়ে সৃষ্টি করতেন তাহলে
সূত্র: জামে তিরমিযি হাদিস: ২৩১২ শুয়াবুল ঈমান (বায়হাকী) হাদিস: ৭৮৩

হযরত আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ রা. বলতেন,

يا ليتني كبشا فذبحني أهلي فأكلوا لحمي وحسوا مرقي

অর্থাৎ হায়, যদি আমি ভেড়া হতাম, তাহলে আমার পরিবার যবেহ করে আমার গোশত ঝোল করে খেয়ে নিত।
সূত্র: কিতাবুয যুহদ (আহমাদ ইবনে হাম্বল) খ: ২ পৃ: ১৪১ শুয়াবুল ঈমান (বায়হাকী) হাদিস: ৭৯০

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলতেন,

وددت أني إذا أنا مت لم أبعث

অর্থাৎ আমার চাহিদা, যদি আমি মারা যাওয়ার পর পূনরায় উঠানো না হতো।
সূত্র: কিতাবুয যুহদ (আহমাদ ইবনে হাম্বল) খ: ২ পৃ: ১০৪

আম্মাজান আয়েশা রা. বলতেন,

يا ليتني إذا مت كنت نسيا منسيا

অর্থাৎ হায়, আমি যদি নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতাম।
সূত্র: মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক হাদিস: ২০৬১৫

হযরত উমর রা. বলতেন,

أخذ عمر بن الخطاب رضي الله عنه تبنة فقال يا ليتني مثل هذه التبنة ليت أمي لم تلدني ليتني لم أك شيئا ليتني كنت نسيا منسيا

অর্থাৎ হযরত উমর রা. খড় হাতে নিয়ে বললেন, হায়, যদি আমি খড়ের মত হতাম, হায়, যদি আমার মা আমাকে জন্ম না দিতেন, আমি যদি কিছুই না হতাম, হায়, আমি যদি নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতাম।
সূত্র: তাবাকাতে ইবনে সা’আদ: ৩৬১

শানে নুযুল

হযরত আবু বকর সিদ্দিক রা. একদিন কোনো এক বনে গিয়ে কিয়ামতের দিনে আসমান খাতার মত ভাজ করে নেয়া, মিযান,জান্নাত, জাহান্নাম, ফিরিস্তাদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো ইত্যাদী নিয়ে ভাবতে সময় বলছিলেন,

ودِدْتُ أنِّي كُنْتُ خُضَرًا مِن هَذِهِ الخُضَرِ تَأْتِي عَلَيَّ بَهِيمَةٌ فَتَأْكُلَنِي وأنِّي لَمْ أُخْلَقْ فَنَزَلَتْ

অর্থাৎ আহ্! আমি যদি এই উদ্ভিদ লতাপাতার মত হতাম! গবাদী পশুরা এসে আমাকে খেয়ে ফেলতো। (তাহলে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হতো না) আহ্ যদি আমাকে সৃষ্টিই না করা হতো! অতপর আয়াত নাযিল হয়।
সূত্র: তাফসীরে রুহুল মাআনী খ: ২৭ পৃ: ১১৭

أن أبا بكر الصديق رضي الله عنه وهو في داره جاء طير وهو عنده فوقع على شجرة حمام أو عصفور فنظر إليه أبو بكر الصديق رضي الله عنه فقال طوبى لك يا طير ما أنعمك على هذه الشجرة تأكل من هذه الثمرة ثم تموت ثم لا تكون شيئا ليتني مكانك

অর্থাৎ আবু বকর রা. তাঁর ঘরে ছিলেন, এমতাবস্থায় একটি কবুতর বা চড়ুই পাখি এসে একটি গাছে পড়ল। অত:পর আবু বকর রা. পাখিটির দিকে তাকিয়ে বললেন, হে পাখি, তুমি কতই না ভাগ্যবান, এই গাছের উপরে তোমার কতই না নেয়ামত দেয়া হয়েছে, তুমি এ গাছের ফল খাবে অতপর (একদিন) মরে যাবে, এরপর আর তোমার কোনো অস্তিত্বই থাকবে না। হায়, যদি আমি তোমার অবস্থানেও থাকতাম।
সূত্র: বায়হাকী হাদিস: ৭৮৭ মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ: ১৬২৭৯

খোদাভিতু এক যুবকের ঘটনা

হযরত হাসান বসরী রহ. থেকে বর্ণিত,

عَنِ الحَسَنِ أنَّهُ كانَ شابٌّ عَلى عَهْدِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ تَعالى عَنْهُ مُلازِمٌ لِلْمَسْجِدِ والعِبادَةِ فَعَشِقَتْهُ جارِيَةٌ فَأتَتْهُ في خَلْوَةٍ فَكَلَّمَتْهُ فَحَدَّثَتْهُ نَفْسُهُ بِذَلِكَ فَشَهِقَ شَهْقَةً فَغُشِيَ عَلَيْهِ فَجاءَ عَمٌّ لَهُ فَحَمَلَهُ إلى بَيْتِهِ فَلَمّا أفاقَ قالَ: يا عَمُّ انْطَلِقْ إلى عُمَرَ فَأقْرِئْهُ مِنِّي السَّلامَ وقُلْ لَهُ ما جَزاءُ مَن خافَ مَقامَ رَبِّهِ ؟ فانْطَلَقَ فَأخْبَرَ عُمَرَ وقَدْ شَهِقَ الفَتى شَهْقَةً أُخْرى فَماتَ فَوَقَفَ عَلَيْهِ عَمَّرُ رَضِيَ اللَّهُ تَعالى عَنْهُ فَقالَ: لَكَ جَنَّتانِ لَكَ جَنَّتانِ

অর্থাৎ হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু যুগে জনৈক যুবক মসজিদে পড়ে থাকতেন এবং ইবাদত করতেন। হঠাৎ একটি মেয়ে তার প্রেমে পড়ে গেল এবং নির্জনে কথা বলে তার সাথে দৈহিক চাহিদা পূরণের প্রস্তাব দিল। ফলে যুবক চিৎকার দিয়ে পড়ে গেলেন। অতঃপর তারা চাচা এসে তাকে বাড়িতে নিয়ে গেলেন। যখন তার জ্ঞান ফিরল, তখন তিনি তার চাচাকে বললেন, হে চাচা, আপনি ওমর ফারুকের রা. কাছে যান এবং আমার পক্ষ থেকে সালাম দেন এবং তাকে জিজ্ঞেস করেন যে, ব্যক্তি আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে ভয় পায়, তার প্রতিদান কি। তিনি ওমর রা. এর কাছে গেলেন। ইতিমধ্যে যুবক দ্বিতীয়বার আবার চিৎকার দিয়ে বেহুশ হয়ো গেলেন এবং মৃত্যুবরণ করলেন। ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু তার লাশের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, তোমার জন্য দুটি জান্নাত, তোমার জন্য দুটি জান্নাত।
সূত্র: কানযুল উম্মাল হাদিস: ৪৬৩৫
তাফসীরে আলুসী খ: ২৭ পৃ: ১১৬

আল্লাহভিরু এক মৃত্যুপথযাত্রীর আবদার

অপর একটি হাদিসে এসেছে,

إنَّ رَجُلًا ممَّن كان قبلَكم رَغَسَه اللهُ مالًا ووَلدًا حتى ذَهَبَ عَصرٌ وجاء آخَرُ فلمّا احتُضِرَ قال لوَلدِه أيَّ أبٍ كنتُ لكم قالوا خيرَ أبٍ فقال هل أنتم مُطيعيَّ وإلّا أخَذتُ مالي منكم انظُروا إذا أنا مُتُّ أنْ تَحرِقوني حتى تَدَعوني حُمَمًا ثُمَّ اهرُسوني بالمِهراسِ فَذَرُّونِي فِي الْبَحْرِ فِي يَوْمٍ صَائِفٍ وفي رواية في يومٍ راحٍ لعلِّي أضِلُّ اللهَ قال رسولُ اللهِ صلّى اللهُ عليه وسلَّمَ ففَعَلوا واللهِ ذلك فَجَمَعَهُ اللَّهُ ثُمَّ قَالَ مَا حَمَلَكَ عَلَى الَّذِي صَنَعْتَ قَالَ مَا حَمَلَنِي إِلاَّ مَخَافَتُكَ‏ فَغَفَرَ لَهُ

অর্থ: পূর্ব যুগের জনৈক ব্যক্তিকে আল্লাহ তা’য়ালা অনেক ধনসম্পদ ও সন্তানাদি দিয়েছিলেন। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর যখন তাঁর অন্তিমসময় এলো, তখন তিনি তাঁর সন্তানদেরকে ডেকে বললেন, আমি তোমাদের কেমন পিতা ছিলাম? তারা বলল, উত্তম পিতা। তিনি বললেন, তোমরা আমার অনুগত্য স্বীকার করবে? অন্যথায় আমি তোমাদের দেওয়া সমস্ত সম্পত্তি কেড়ে নিল দেখো আমি যখন মারা যাব তোমরা আমাকে জ্বালিয়ে দিও এবং আমাকে কয়লা বানিয়ে ফেলবে এবং হামানদিস্তা দিয়ে আমাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলবে। অতঃপর প্রচন্ড গরমের দিনে আমার ছাই সমুদ্রে ছিটিয়ে দেবে। অপর বর্ণনায় আসছে, প্রচন্ড বাতাসে দিনে আমাকে সমুদ্রে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেবে, যেন আল্লাহ আমাকে খুঁজে না পান। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহর কসম সন্তানেরা তাই করল। অতঃপর আল্লাহ্ সেই ছাই জমা করে তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাকে এ কাজে কিসে প্ররোচিত করল? সে বললো, একমাত্র আপনার ভয়ই আমাকে এ কাজ করতে বাধ্য করেছে। তখন আল্লাহ্ তাকে মাফ করে দিলেন।
সূত্র’ সহীহ বুখারী হাদীস: ৬৪৮০ মুসনাদে আহমাদ হাদিস: ২০০২৪ তবরানী: ১০৩৭

সা’লাবাহ আনসারী রা. এর ঘটনা

فتى من الأنصار يقال له ثعلبة بن عبد الرحمن أسلم وكان يخدم النبي صلى الله عليه وسلم وأن رسول الله صلى الله عليه وسلم بعثه في حاجة فمر بباب رجل من الأنصار فرأى امرأة الأنصاري تغتسل فكرر إليها النظر وخاف أن ينزل الوحي على رسول الله صلى الله عليه وسلم فخرج هاربا على وجهه فأتى جبالا بين مكة والمدنية فولجها ففقده رسول الله صلى الله عليه وسلم أربعين يوما وهي الأيام التي قالوا ودعه ربه وقلى وأن جبريل نزل على رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال يا محمد إن ربك يقرئك السلام ويقول إن الهارب من أمتك بين هذه الجبال يتعوذ بي من ناري فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم يا عمر ويا سلمان انطلقا فأتياني بثعلبة بن عبد الرحمن فخرجا في أبعاد المدينة فلقيهما راع من رعاة المدينة يقال له دفافة فقال له عمر يا دفافة هل لك على بشاب بين هذه الجبال فقال له دفافة لعلك تريد الهارب من جهنم فقال عمر وما علمك أنه هارب من جهنم قال لأنه إذا كان في جوف الليل خرج علينا من هذه الجبال واضعا يده على أم رأسه وهو يقول ليتك قبضت روحي في الأرواح وجسدي في الأجساد ولم تجردني لفصل القضاء قال فغدا عليه عمر فاحتضنه فقال الأمان الأمان الخلاص من النار فقال له عمر أنا عمر بن الخطاب فقال يا عمر هل علم رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا علم لي إلا أنه ذكرك بالأمس فبكى رسول الله صلى الله عليه وسلم فأرسلني أنا وسلمان في طلبك فقال يا عمر لا تدخلني عليه إلا وهو يصلى أو بلال يقول قد قامت الصلاة قال أفعل فأقبلوا به إلى المدينة فوافقوا رسول الله صلى الله علية وسلم وهو في صلاة الغداة فبدر عمر وسلمان الصف فما سمع قراءة رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى خر مغشيا عليه فلما سلم رسول الله صلى الله عليه وسلم قال يا عمر ويا سلمان ما فعل ثعلبة بن عبد الرحمن قالا هاهو ذا يا رسول الله ( وفي رواية.. فقام رسولُ اللهِ قائمًا فحرَّكه فانتَبَه فقال له يا ثعلبةُ ما غيَّبَك عنِّي قال ذنبي يا رسولَ اللهِ ) قال أفلا أدلك على أنه يمحو الذنوب والخطايا قال بلى يا رسول الله قال قل اللهم آتنا في الدنيا حسنة وفى الآخرة حسنة وقنا عذاب النار قال ذنبي أعظم يا رسول الله فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم بل كلام الله أعظم ثم أمره رسول الله صلى الله عليه وسلم بالانصراف إلى منزله فمرض ثمانية أيام فجاء سلمان إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله هل لك في ثعلبة فإنه لما به فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم قوموا بنا إليه فلما دخل عليه أخذ رسول الله صلى الله عليه وسلم رأسه فوضعه في حجره فأزال رأسه عن حجر رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم لم أزلت رأسك عن حجري فقال إنه من الذنوب ملآن قال ما تجد قال أجد مثل دبيب النمل بين جلدي وعظمي قال فما تشتهى قال مغفرة ربى قال فنزل جبريل على رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال إن ربك يقرأ عليك السلام يقول لو أن عبدي هذا لقيني بقراب الأرض خطيئة لقيته بقرابها مغفرة فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم أفلا أعلمه ذلك قال بلى فأعلمه رسول الله صلى الله عليه وسلم ذلك فصاح صيحة فمات فأمر رسول الله صلى الله عليه وسلم بغسله وكفنه وصلى عليه فجعل رسول الله صلى الله عليه وسلم يمشي على أطراف أنامله فقالوا
يا رسول الله رأيناك تمشى على أطراف أناملك قال والذي بعثني بالحق ما قدرت أن أضع رجلي على الأرض من كثرة أجنحة لتشييعه من الملائكة

অর্থাৎ জনৈক আনসারী যুবক যার নাম সা’লাবা ইবনে আব্দুর রহমান। মুসলমান হয়েছিলেন এবং তিনি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খেদমত করতেন। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে কোন একটা প্রয়োজনে কোথাও পাঠালেন। তিনি একজন আনসার এর ঘরের পাশদিয়ে অতিক্রম করতেছিলেন। হঠাৎ সেই ঘরের আনসারী মহিলাকে গোসল করতে দেখতে পেলেন। তখন তিনি বারবার সেই মহিলার দিকে তাকাতে লাগলেন। এমতাবস্থায় আশংকা করলেন যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর ওহী নাজিল হতে পারে। আর সে কারণেই তিনি তার সম্মুখে চলতে লাগলেন, চলতে চলতে মক্কা এবং মদিনায় মাঝে একটি পাহাড়ের কাছে আসলেন এবং সেখানেই করলেন। অতঃপর নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে 40 দিন পর্যন্ত খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এবং সেটা ঐ সময় ছিল যখন মক্কার কাফেররা “মোহাম্মদকে তার প্রভু ভুলে গিয়েছে এবং ছেড়ে দিয়েছে।” বলতো। (অর্থাৎ আইয়ামে ফাতরাতে ওহী” বলা হতো। তথা ওহী বন্ধের সময়)।
অতঃপর জিবরাইল আমীন আলাইহিস সালাম আসলেন এবং নবীকে বললেন,

ان الله يقرئك السلام

অর্থাৎ আল্লাহ তা’য়ালা আপনাকে সালাম জানিয়েছেন এবং আল্লাহ বললেন আপনার উম্মতের মাঝে পালায়ন কারী ব্যক্তি এই পাহাড়ের মাঝে অবস্থানরত সে আমার কাছে আমার আগুন থেকে পানাহ চায়।
অতপর রসুল সাঃ বললেন, হে ওমর, হে সালমান, তোমরা দুইজন যাও এবং সা’লাবাকে নিয়ে আসো।অতপর তারা দুজন মদিনার পার্শে (খুঁজতে)বের হলেন। অতপর মদিনার একজন রাখালের সাথে তাদের সাক্ষাৎ হলো যার নাম, “দাফাফাহ”। অতপর ওমর রা. বললেন, হে দাফাফাহ, তুমি কি এই পাহাড়ে মাঝে অবস্থানরত কোন যুবকের খবর বলতে পারবে!?
অতঃপর দাফাফাহ ওমর রা. কে বললেনন, সম্ভবত তুমি ঐযুবকের কথা বলতেছো যে জাহান্নাম থেকে পালায়নকারী!
ওমর রা. তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি ভাবে জানেন সে জাহান্নাম থেকে পালায়নকারী?
তিনি বললেনন, কেননা সে প্রতিদিন রাত গভীর হলে পাহাড় থেকে বের হয়ে আসে এবং তাঁর মাথার উপর হাত রেখে একথা বলতে থাকে, “হায় আফসোস! হে আল্লাহ যদি আপনি আমার রুহ কবজ করে রুহের সাথে মিলিয়ে দিতেন আর শরিরকে যদি শরিরের মাঝে মিশে যেত, তাহলে তো আপনি আর আমাকে বিচারের জন্য টেনে হিঁচড়ে হাজির করতেন না।”

অতঃপর ওমর রাঃ প্রত্যুষে তার কাছে হাজির হলেন এবং তার সাথে আলিঙ্গন করলেন এবং বলতে লাগলেন,

الأمان، الأمان، الخلاص من النار

অর্থাৎ নিরাপত্তা, নিরাপত্তা, জাহান্নাম থেকে মুক্তি!
ওমর রা. তাঁকে বললেন, আমি ওমর ইবনে খাত্তাব।
অতপর তিনি বললেন.. হে ওমর! রাসুলুল্লাহ সা. দ কি (আমার বিষয়) জেনে গেছেন?
ওমর রাঃ বললেন, আমি সেটা জানি না, তবে গতকাল তিনি তোমাকে নিয়ে আলোচনা করছিলেন এবং কেঁদে ফেলেছিলেন। অতঃপর আমাকে আর সালমানকে তোমার তালাশে পাঠিয়েছেন।
অতপর তিনি ওমর রা. কে বললেন, (হে উমর) আমাকে নবীজির সা. সামনে এমন সময় হাজির করবেন, যখন তিনি নামাজরত থাকবেন অথবা বেলাল রা. ইকামাত দিবেন। ওমর রাঃ বললেন হ্যাঁ আমি সেটাই করবো।
অতঃপর তাঁরা তাকে নিয়ে মদিনার দিকে চললেন এবং রাসুলুল্লাহ সা. কে ফজরের নামাজরত অবস্থায় পেলেন।

হযরত ওমর রাঃ এবং সালমান ফারসি রাঃ দ্রুত কাতারে শামিল হয়ে গেলেন, তবে সা’লাবা রাঃ রাসুল সাঃএর কিরাত শুনতে না শুনতেই বেহুশ হয়ে পড়ে গেলেন। নবী সা. নামাজের সালাম শেষে বললেন, হে ওমর, হে সালমান, সা’লাবা ইবনে আব্দুর রহমান কি করছে (দেখো তো)।
তাঁরা জবাব দিলেন হে আল্লাহর রাসুল, এই সেই সা’লাবা। অতঃপর রাসুল সা. সা’লাবা রা. কে বললেন, হে সা’লাবা, আমি কি তোমাকে এমন বস্তু শিখিয়ে দেবো,যা সকল গোনাহ এবং ত্রুটিকে মিটিয়ে দেবে?
তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, হ্যাঁ। অবশ্যই।
রাসুল সাঃ বললেন.. তুমি বলো..

اللهم آتِنَا فِى الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِى الْءَاخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

অর্থঃ হে পরওয়ারদেগার! আমাদিগকে দুনয়াতেও কল্যাণ দান কর এবং আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাদিগকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা কর।
সুরাঃ বাকারা আয়াত: ২০১

তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, আমার গোনাহ তো আরও অনেক বড়! নবিজি সা. বললেন, বরং আল্লাহর কালাম সব চেয়ে বড়। অতঃপর তাঁকে বাড়ি নিয়ে যেতে নির্দেশ করলেন।(তিনি বাড়িতে যাওয়ার পর) ৮দিন যাবত অসুস্থ হলেন।
অতঃপর হযরত সালমান রা. নবীজি সা. এর কাছে আসলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, আপনি সা’লাবা সম্পর্কে কিছু জেনেছেন? তিনি তো অসুস্থ হয়ে গেছে। ফলে রাসুল সা. তাঁকে বললেন, সা’লাবার কাছে আমাকে নিয়ে চলো।
অতঃপর নবীজি সা. তাঁর নিকট গেলেন এবং তাঁর মাথা ধরে নিজের কোলের ভিতর রাখলেন।কিন্তু সা’লাবা রা. তাঁর মাথাকে নবীজি সা. এর কোল থেকে সরিয়ে নিলেন!
নবীজি সা. তাঁকে বললেন, তুমি তোমার মাথা আমার কোল থেকে সরিয়ে নিলে কেন?
তিনি জবাব দিলেন, আমি গোনাহে ভর্তি(জর্জরিত)। রাসুল সা. তাঁকে বললেন, তুমি কি অনুভব করছো ?
তিনি বললেন, আমি অনুভব করছি, আমার চাঁমড়া এবং হাড্ডির মাঝে কেমন যেন পিঁপড়া বিড়বিড় করছে। রাসুল সাঃ বললেন, তুমি কি চাও?(তোমার আকাংখা কি)? তিনি বললেনন, আমি আমার প্রভুর পক্ষ থেকে মাগফিরাত তথা ক্ষমা চাই।
বর্ণনাকারী বলেন, অতপর রাসুল সাঃএর উপর জিব্রাইল আ. অবতারণ করলেন এবং বললেন,

إن الله يقرأك السلام ويقول

অর্থাৎ আল্লাহ তা’য়ালা আপনাকে সালাম জানিয়েছেন এবং বলেছেন, যদি আমার এই বান্দা দুনিয়া পরিমান গোনাহ নিয়ে আমার সাক্ষাতে আসে, আমি সেই সমপরিমাণ ক্ষমা নিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করবো।
অতঃপর নবীজি সা. জিব্রাইলকে আ. বললেন, আমি কি এটা তাঁকে জানিয়ে দেবো? জিব্রাঈল আ. বললেন, অবশ্যই। তারপর নবীজি সা. তাঁকে বিষয়টি জানিয়ে দিলেন। শুনেই হঠাৎ তিনি একটা চিৎকার দিয়ে ইন্তেকাল করলেন।
অতপর নবীজি সা. তার গোসল আর কাফনের জন্য নির্দেশ দিলেন। নবীজি সা. তাঁর আংগুলের উপরে ভর দিয়ে হাঁটতে লাগলেন, যার কারণে সাহাবায়ে কেরাম রা. জিজ্ঞাসা করলেন হে আল্লাহর রাসুল, আমরা তো আপনাকে আঙ্গুলের মাথায় ভর দিয়েই হাটতে দেখছি। (কারণে কি)?
নবীজি সা. বললেন, ঐ আল্লাহর কসম, যিনি আমাকে সত্য দ্বীন দিয়ে পাঠিয়েছেন!
ফেরেস্তারা এতপরিমাণ ছড়িয়ে আছে যে, তাদের ডানার আধিক্যতার কারণে আমি আমার পা (পরিপূর্ণ ভাবে) ফেলতে সক্ষম হচ্ছি না।
সূত্র: তানযীহুশ শরীয়াহ খ: ২ পৃ: ২৮৩ কিতাবুত তাওয়াবীন ইবনে কুদামা পৃ: ১০৫-১০৮

 

আল্লাহ ভয়ের পুরস্কার

১. গুনাহ মাফ করা হয়।
وَمَنْ يَتَّقِ اللهَ يُكَفِّرْ عَنْهُ سَيِّئَاتِه وَيُعْظِمْ لَه أَجْرًا
সুরা তালাক আয়াত: ৫

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَقُولُ اللهُ إِذَا أَرَادَ عَبْدِي أَنْ يَعْمَلَ سَيِّئَةً فَلاَ تَكْتُبُوهَا عَلَيْهِ حَتَّى يَعْمَلَهَا…..وَإِنْ تَرَكَهَا مِنْ أَجْلِي فَاكْتُبُوهَا لَهُ حَسَنَةً
সূত্র: সহিহ বুখারী হাদিস: ৭৫০১

২. মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়া হয়।

وَيُعْظِمْ لَه أَجْرًا
সুরা তালাক আয়াত: ৫

১. দুনিয়া-আখেরাত দুটোই মুত্তাকির।

أَلا إِنَّ أَوْلِيَاء اللّهِ لاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ
الَّذِينَ آمَنُواْ وَكَانُواْ يَتَّقُونَ لَهُمُ الْبُشْرَى فِي الْحَياةِ الدُّنْيَا وَفِي الآخِرَةِ لاَ تَبْدِيلَ لِكَلِمَاتِ اللّهِ ذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
সুরা ইউনুস আয়াত: ৬২-৬৪

. দুটি জান্নাত।

وَلِمَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ جَنَّتَانِ
সুরাঃ রহমান আয়াত: ৪৬

الرجل يهمّ بالذنب فيذكر مقامه بين يدي الله فيتركه فله جنتان
সূত্র: তাফসীরে তাবারী খ: ২৩ পৃ: ৫৬

হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন রা. বলতেন,

يا ليتني رمادا تذريني الريح
সূত্র: কিতাবুয যুহদ (আহমাদ ইবনে হাম্বল) খ: ২ পৃ: ৮৩ শুয়াবুল ঈমান (বায়হাকী) হাদিস: ৭৯০

হযরত আবু যর গিফারী রা. বলতেন,

وددت أن الله عز و جل خلقني يوم خلقني شجرة تعضد
সূত্র: জামে তিরমিযি হাদিস: ২৩১২ শুয়াবুল ঈমান (বায়হাকী) হাদিস: ৭৮৩

হযরত আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ রা. বলতেন,

يا ليتني كبشا فذبحني أهلي فأكلوا لحمي وحسوا مرقي
সূত্র: কিতাবুয যুহদ (আহমাদ ইবনে হাম্বল) খ: ২ পৃ: ১৪১ শুয়াবুল ঈমান (বায়হাকী) হাদিস: ৭৯০

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলতেন,

وددت أني إذا أنا مت لم أبعث
সূত্র: কিতাবুয যুহদ (আহমাদ ইবনে হাম্বল) খ: ২ পৃ: ১০৪

আম্মাজান আয়েশা রা. বলতেন,

يا ليتني إذا مت كنت نسيا منسيا
সূত্র: মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক হাদিস: ২০৬১৫

হযরত উমর রা. বলতেন,

أخذ عمر بن الخطاب رضي الله عنه تبنة فقال يا ليتني مثل هذه التبنة ليت أمي لم تلدني ليتني لم أك شيئا ليتني كنت نسيا منسيا
সূত্র: তাবাকাতে ইবনে সা’আদ: ৩৬১

সূত্র: তাফসীরে রুহুল মাআনী খ: ২৭ পৃ: ১১৭

أن أبا بكر الصديق رضي الله عنه وهو في داره جاء طير وهو عنده فوقع على شجرة حمام أو عصفور فنظر إليه أبو بكر الصديق رضي الله عنه فقال طوبى لك يا طير ما أنعمك على هذه الشجرة تأكل من هذه الثمرة ثم تموت ثم لا تكون شيئا ليتني مكانك
সূত্র: বায়হাকী হাদিস: ৭৮৭ মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ: ১৬২৭৯

শানে নুযুল
হযরত আবু বকর সিদ্দিক রা.

ودِدْتُ أنِّي كُنْتُ خُضَرًا مِن هَذِهِ الخُضَرِ تَأْتِي عَلَيَّ بَهِيمَةٌ فَتَأْكُلَنِي وأنِّي لَمْ أُخْلَقْ فَنَزَلَتْ
সূত্র: তাফসীরে রুহুল মাআনী খ: ২৭ পৃ: ১১৭

যুবকের ঘটনা

হযরত হাসান বসরী রহ. থেকে বর্ণিত,

فَعَشِقَتْهُ جارِيَةٌ فَأتَتْهُ في خَلْوَةٍ فَكَلَّمَتْهُ فَحَدَّثَتْهُ نَفْسُهُ بِذَلِكَ

فَشَهِقَ شَهْقَةً فَغُشِيَ عَلَيْهِ

يا عَمُّ انْطَلِقْ إلى عُمَرَ فَأقْرِئْهُ مِنِّي السَّلامَ وقُلْ لَهُ ما جَزاءُ مَن خافَ مَقامَ رَبِّهِ

فَوَقَفَ عَلَيْهِ عَمَّرُ رَضِيَ اللَّهُ تَعالى عَنْهُ فَقالَ لَكَ جَنَّتانِ لَكَ جَنَّتانِ
সূত্র: কানযুল উম্মাল হাদিস: ৪৬৩৫
তাফসীরে আলুসী খ: ২৭ পৃ: ১১৬

জ্বালিয়ে দিও

أيَّ أبٍ كنتُ لكم

قالوا خيرَ أبٍ

فقال هل أنتم مُطيعيَّ وإلّا أخَذتُ مالي منكم

انظُروا إذا أنا مُتُّ أنْ تَحرِقوني حتى تَدَعوني حُمَمًا ثُمَّ اهرُسوني بالمِهراسِ فَذَرُّونِي فِي الْبَحْرِ فِي يَوْمٍ صَائِفٍ وفي رواية في يومٍ راحٍ لعلِّي أضِلُّ اللهَ

فَجَمَعَهُ اللَّهُ ثُمَّ قَالَ مَا حَمَلَكَ عَلَى الَّذِي صَنَعْتَ قَالَ مَا حَمَلَنِي إِلاَّ مَخَافَتُكَ‏ فَغَفَرَ لَهُ

সূত্র’ সহীহ বুখারী হাদীস: ৬৪৮০

সা’লাবাহ আনসারী রা. এর ঘটনা

فخرج هاربا على وجهه فأتى جبالا بين مكة والمدنية فولجها

ففقده رسول الله صلى الله عليه وسلم أربعين يوما وهي الأيام التي قالوا ودعه ربه وقلى

وأن جبريل نزل على رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال يا محمد إن ربك يقرئك السلام ويقول إن الهارب من أمتك بين هذه الجبال يتعوذ بي من ناري

فقال له دفافة لعلك تريد الهارب من جهنم

فقال عمر وما علمك أنه هارب من جهنم

قال لأنه إذا كان في جوف الليل خرج علينا من هذه الجبال واضعا يده على أم رأسه وهو يقول ليتك قبضت روحي في الأرواح وجسدي في الأجساد ولم تجردني لفصل القضاء

فقال يا عمر لا تدخلني عليه إلا وهو يصلى أو بلال يقول قد قامت الصلاة

فما سمع قراءة رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى خر مغشيا عليه

فقال له يا ثعلبةُ ما غيَّبَك عنِّي قال ذنبي يا رسولَ اللهِ )

قال أفلا أدلك على أنه يمحو الذنوب والخطايا قال بلى يا رسول الله قال قل اللهم آتنا في الدنيا حسنة وفى الآخرة حسنة وقنا عذاب النار

قال ذنبي أعظم يا رسول الله فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم بل كلام الله أعظم

فلما دخل عليه أخذ رسول الله صلى الله عليه وسلم رأسه فوضعه في حجره

فأزال رأسه عن حجر رسول الله صلى الله عليه وسلم

فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم لم أزلت رأسك عن حجري فقال إنه من الذنوب ملآن

فنزل جبريل على رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال إن ربك يقرأ عليك السلام يقول لو أن عبدي هذا لقيني بقراب الأرض خطيئة لقيته بقرابها مغفرة

فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم أفلا أعلمه ذلك قال بلى فأعلمه رسول الله صلى الله عليه وسلم ذلك فصاح صيحة فمات فأمر رسول الله صلى الله عليه وسلم بغسله وكفنه وصلى عليه

فجعل رسول الله صلى الله عليه وسلم يمشي على أطراف أنامله

والذي بعثني بالحق ما قدرت أن أضع رجلي على الأرض من كثرة أجنحة لتشييعه من الملائكة
সূত্র: তানযীহুশ শরীয়াহ খ: ২ পৃ: ২৮৩ কিতাবুত তাওয়াবীন ইবনে কুদামা পৃ: ১০৫-১০৮

Check Also

মহররম

إِنَّ عِدَّةَ الشُّهُورِ عِندَ اللّهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِي كِتَابِ اللّهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَات وَالأَرْضَ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.