Home > রোযা > ইমামদের মতে তারাবীহের রাকাত সংখ্যা

ইমামদের মতে তারাবীহের রাকাত সংখ্যা

হানাফী মাযহাব:

হানাফী মাযহাবে তারাবীহের নামাজ ২০ রাকাত। ইমাম শামসুদ্দীন সারাখসী হানাফী রহ. বলেন,

فإنها عشرون ركعة سوى الوتر عندنا

অর্থাৎ বিতর ব্যাতিত তারাবীহের নামাজ ২০ রাকাত। এটাই আমাদের মত।
সূত্র: আল মাবসুত খ. ২ পৃ. ১৪৪

মালেকী মাযহাব:

তারাবীর রাকআত সংখ্যা নিয়ে তারাবীহের রাকাত সংখ্যা নিয়ে তাদের মাঝে কিছুটা মতপার্থক্য আছে, কিন্তু ২০ রাকআত থেকে কম হবে এনিয়ে নয়, বরং কারো বর্ণনায় আছে তারাবীহ ৩৬ রাকআত । তবে মালেকী মাযহাবের গ্রহণযোগ্য মুহাদ্দিস ইবনে আব্দুল বার রহ: সহ অনেকে তারাবীর নামায ২০ বিশ রাকআত পড়াকেই উত্তম ও গ্রহযোগ্য মনে করেন। তারা বলেন,

عن علي انه امر رجلا يصلي بهم في رمضان عشرين ركعة

অর্থাৎ হযরত আলী রা. জনৈক ব্যক্তিকে নির্দেশ দিলেন যে তিনি যেন রমজানের মুসল্লিদের নিয়ে ২০ রাকাত নামাজ পড়ান।

এ হাদিস উল্লেখ্য করে ইবনে আব্দীল বার মালেকী রহ. বলেন,

وهذا هو الاختيار عندنا

অর্থাৎ এটাই আমাদের পছন্দনীয় মত।
সূত্র: আল ইসতেযকার খ. ৫ পৃ. ১৫৮

শাফেয়ী মাযহাব:

ইমাম নববী শাফেয়ী রহ. বলেন,

ومذهبنا أنها عشرون ركعة بعشر تسليمات

অর্থাৎ আমাদের মতে তারাবীহের নামাজ ১০ সালামে ২০ রাকাত।
সূ্ত্র: আল মাজমু খ. ৩ পৃ. ৫২৬

হাম্বলী মাযহাব:

ইবনে কুদামাহ আল মাকদিসী হাম্বলী রহ. বলেন,

والمختار عند أبي عبد الله رحمه الله فيها عشرون ركعة

অর্থাৎ তারাবীহের ব্যাপারে আবু আব্দুল্লাহ (ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহ.) এর মত হলো, ২০ রাকাত।
সূত্র: আল মুগনী খ. ১ পৃ. ৪৫৬

একটি প্রশ্ন

যদি প্রশ্ন করেন যে, কেন আমি মাযহাবের ইমামদের মতামত পেশ করলাম? কারণ আহলে হাদিসরা তো মাযহাব মানে না? তাহলে মাযহাবের মতবাদ পেশ করা কি বোকামী নয়?

জবাব

আহলে হাদিসদের মান্যবর ব্যক্তি আব্দুল ওয়াহহাব নজদী স্বীয় কিতাবে লিখেছেন?

ونحن أيضاً في الفروع على مذهب الإمام أحمد بن حنبل ولا ننكر على من قلد أحد الأئمة الأربعة دون غيرهم لعدم ضبط مذاهب الغير الرافضة والزيدية والإمامية ونحوهم ولا نقرهم ظاهراً على شيء من مذاهبهم الفاسدة بل نجبرهم على تقليد أحد الأئمة الأربعة

অর্থাৎ ফিকহী বিষয়ে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল রাহ.-এর মাযহাবের অনুসারী। যারা চার ইমামের কোনো একজনের তাকলীদ করে আমরা তাদের উপর কোনো আপত্তি করি না। কারণ (চার ইমামের মাযহাব সংকলিতরূপে বিদ্যমান। পক্ষান্তরে) অন্যদের মাযহাব সংকলিত আকারে বিদ্যমান নেই। তবে রাফেযী, যাইদিয়া, ইমামিয়্যাহ ইত্যাদি বাতিল মাযহাব-মতবাদের অনুসরণকে আমরা স্বীকৃতি দিই না। বরং তাদেরকে চার ইমামের কোনো একজনের তাকলীদ করতে বাধ্য করি।
সূত্র: আদ দুরারুস সানিয়্যা খ. ১ পৃ. ২২৭

Check Also

ইমাম সাহেবের হুজরায় যেতে পারবে কি না?

إن خرج من غير عذر ساعة فسد اعتكافه অর্থাৎ কোনো প্রয়োজন ছাড়া যদি ইতিকাফকারী ব্যক্তি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.