Home > ডকুমেন্টারি > হেযবুত তওহীদ : ১

হেযবুত তওহীদ : ১

গান-বাজনা জায়েয

ধর্ম কখনো গান-বাদ্য নৃত্যকে না জায়েজ করতে পারেনা। সনাতন ধর্ম সহ অনেক ধর্মেই এগুলি ঈশ্বরের সান্নিধ্য প্রাপ্তির মাধ্যম ছিল প্রকৃতপক্ষে স্বয়ং স্রষ্টাই সুর ও নৃত্য সৃষ্টি করেছেন।
সূত্রঃ গনমাধ্যমের করণীয় পৃ:৫৯
মানুষের কণ্ঠনিঃসৃত সুর, বিভিন্ন তার যন্ত্রের ওপর আঘাত বা ঘর্ষণজনিত আওয়াজ,দফ, তবলা বা অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ ও হারাম নয়।
 সূত্র: গনমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৬০
নবী করিম স: আরবে প্রচলিত সাংস্কৃতিক বিষয়গুলোকে উৎসাহিত করেছেন, মদিনায় থাকা অবস্থায় তিনি নিজে গান শুনেছেন, গানের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। বর্তমানে একটা ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে যে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড গুলো যেমন নাচ-গান, চিত্রকলা, ভাস্কর্য নির্মাণ ইত্যাদি ধর্মে অনুমোদিত নয়। মূলত অশ্লীলতার অনুপ্রবেশের কারণেই বিভিন্ন ধর্মবেত্তা আলেমরা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড গান, নাটক,বাদ্য,অভিনয়, নৃত্য এগুলোকে হারাম বলে রায় দিয়েছেন। এটা সম্পূর্ণ অনুচিত।
সূত্র: গঠনতন্ত্র পৃ:৩৩-৩৪
সেমিনারগুলিতে হেযবুত তওহীদের সদস্য সদস্যারা যন্ত্রানুসঙ্গ সহযোগে সংগীত পরিবেশন করে।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃ:১২৩
মুসলিম শিল্পীরা অনেক বাদ্যযন্ত্র শুরলহরী উদ্ভাবন ও রচনা করেছেন একথা সকলেই অবহিত আছেন।
সূত্র: গনমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৬০
নবীগৃহে গান-বাজনা দেখে আবু বকর রা: কন্যা আয়েশাকে তিরস্কার করতে আরম্ভ করলেন। তখন মহানবী বলেলেন: আবু বকর! ওদেরকে বিরক্ত করো না। আজ ওদের উৎসবের দিন বুখারী-মুসলিম।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃ:৯৭
মদিনা জীবনের প্রতি ৩২ দিনে তাকে একটি করে যুদ্ধ সংগঠন করতে হয়েছিল। তাঁর পক্ষে সঙ্গীত, অভিনয় ইত্যাদি শিল্পচর্চা নিয়ে মেতে থাকা সম্ভব ছিল না। কিন্তু তাই বলে কি তিনি এগুলো নিষিদ্ধ করেছেন? কখনোই নয়। এত ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি বাদ্য সহযোগে গান শুনেছেন এমন ভুরি ভুরি উদাহরন তার পবিত্র জীবনে রয়েছে। আরবের বিভিন্ন জাতীয় দিবসগুলোতে, বিবাহে, যুদ্ধে সর্বত্র গানের চর্চা ছিল। অথচ বর্তমানে কেবল হামদ-নাত জাতীয় সংগীত গাওয়াকেই আলেম কোন বৈধ বলে মনে করে থাকেন। তাদের পক্ষে স্বাধীনতা দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি বা পহেলা বৈশাখের গান দূরে থাক, জাতীয় সংগীত গাওয়া ও কাম্য নয়।
সূত্র: গনমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৬০
নতুন নতুন গান নাটক ইত্যাদি তৈরি করা। আমাদের সদস্যদের মধ্যে যেন শিল্প প্রতিভা বিকশিত হয় সে জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবস বা বিষয় উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা।
সূত্র: গঠনতন্ত্র পৃ-৩৪
পন্নী নিজেও ছিলেন শুদ্ধ সংস্কৃতির একজন অনুরাগী ও পৃষ্ঠপোষক। রাগ সঙ্গীতে তার ছিল অগাধ জ্ঞান ও দখল?
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃ:৫২
যদি শিল্পীর গান মানুষকে মানবতার কল্যাণে আত্মদান করতে উদ্বুদ্ধ করে সেই গান এবাদত।
সূত্র: গনমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৬০
আল্লাহর পবিত্র কোরান কাব্যময়। সুতরাং মানব কল্যাণে যতরকম সুর-সংগীত মানুষ আবিষ্কার করতে পারে কোরুক। কেউ বাধা দিতে পারে না।
সূত্র: এ জাতির পায়ে লুটিয়ে পড়বে বিশ্ব পৃ:৫৭

আযান

আজান ইসলামের এক অনন্য সংগীত।
সূত্র: গনমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৫৯।

নাচ,গান হারাম নয়

আলেম দাবিদার একটি শ্রেণী ফতোয়া দিয়ে থাকেন যে নাচ-গান চিত্রাঙ্কন ইত্যাদি ইসলামে নিষিদ্ধ। তাদের এ ধারণা সত্য নয়, আল্লাহ পবিত্র কোর’আনে নাচ, গান-বাজনা চিত্রাঙ্কন, ভাস্কর্য নির্মাণ কিছুই নিষিদ্ধ করেন নি। আল্লাহ কেবল নিষিদ্ধ করেছেন অশ্লীলতা, কারণ অশ্লীলতা থেকে সমাজে অশান্তি বিস্তার লাভ করে থাকে।
সূত্রঃ গনমাধ্যমের করণীয় পৃ:৫৯
যুদ্ধ বিয়েসহ যেকোনো আনন্দ-উৎসবে মদিনায় নাচ ও গানের অনুষ্ঠান করা হতো।
সূত্র: গনমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৫৯।
আল্লাহ নাচকে হারাম করতে পারেন না এবং তিনি এগুলো হারাম করেনও নি।
সূত্র: গঠনতন্ত্র পৃ-৩৪
নাচ-গান ভাস্কর্য নির্মাণ নিষিদ্ধ করা জঙ্গিদের ইসলাম।
সূত্র: গনমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৭৭

নাটক,সিনেমা,চিত্রাঙ্কন, ভাষ্কর্য হারাম নয়

   ‘কোর’আনে যা কিছু নিষিদ্ধ করা হোয়েছে সেগুলি ছাড়া আর সবই বৈধ। এখন কোর’আনের দেখুন গান বাদ্যযন্ত্র, কবিতা, চলচ্চিত্র, নাট্যকলা, অভিনয়, চিত্রাংকন, ভাস্কর্য নির্মাণ ইত্যাদি আল্লাহ হারাম কোরেছেন কিনা? যদি না কোরে থাকেন তাহোলে এগুলি নিয়ে বাড়াবাড়ি করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আল্লাহ যেটিকে বৈধ কোরেছেন, সেটিকে কোন আলেম, মুফতি ফকীহ, মোফাসসের হারাম করার অধিকার রাখেন না। এ তো গেল সংস্কৃতির কথা। যে শিল্প মানুষের কল্যাণে আসে, মানুষের মেধার ইতিবাচক বিকাশ ঘটায়ে সেই শিল্পচর্চার পথ এসলাম রুদ্ধ তো করেই না বরং উৎসাহিত করে।’
আসুন সিস্টেমটাকেই পাল্টাই-১২।
আজ রাষ্ট্রীয় জীবনে ইসলাম মানেই হচ্ছে দোররা মারা, চুরি করলে হাত কেটে দেওয়া, নারী নেতৃত্ব হারাম করে দেওয়া, গান গাওয়া, ছবি আঁকা, ভাস্কর্য নির্মাণ, সিনেমা, মূর্তিপূজা ইত্যাদি বন্ধ করে দেওয়া। ইসলাম সম্পর্কে মানুষের মনে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য এই কু-ধারণা প্রচার করা হয়েছে। এর পেছনে কট্টরপন্থী কিছু মোল্লাতন্ত্রিক রাষ্ট্র ও অতি বিশ্লেষণকারী ওলামা শ্রেণি দায়ী।
সূত্র: গনমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৯২
লেখক, কবি, নাট্যকারদের অংশগ্রহণ এ সংগ্রামকে নিঃসন্দেহে অনেক ব্যবহার করতে পারে।
সূত্র: গঠনতন্ত্র পৃ:৩০
নাটক, গান, অভিনয় ইত্যাদির মাধ্যমে সত্যটি জনগণের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে জেহাদ।
সূত্র: গণমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৪৭

প্রগতি,মুক্তচিন্তা উতসব ও সংস্কৃতি

আমাদের দেশে আবহমানকাল থেকে চলে আসা নবান্ন উৎসব চৈত্রসংক্রান্তি বা পহেলা বৈশাখ ইত্যাদি কোনো উৎসবই শরিয়ত পরিপনরতী হতে পারেনা। তবে উৎসবের নামে যদি অশ্লীলতা,অপচয় ও অন্যায়ের বিস্তার ঘটানো হয় সেটা অবশ্যই নিষিদ্ধ।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃ:৯৪
ধর্মব্যবসায়ীরা ফতোয়াবাজি করে প্রগতি ও মুক্তচিন্তার সকল পথ রুদ্ধ করেছে। শিল্প সংস্কৃতির চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
সূত্র: আদর্শিক লড়াই পৃষ্ঠা-৩
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কোন আঞ্চলিক নৃগোষ্ঠীর নিজস্ব সংস্কৃতিকে নিষিদ্ধ করেন নি, কারো সংস্কৃতিকেই অবজ্ঞা করে নি।
সূত্র: গঠনতন্ত্র পৃ:৩৩
যে স্রষ্টা এত বড় শিল্পী তিনি কি করে মানবজাতির জন্য শিল্পকে হারাম করতে পারেন। সুতরাং অশ্লীলতা না করে বা কারো সম্মানহানি না করে, স্রষ্টার নাফরমানী না করে যে কোনো শিল্পকর্মই ইসলামের দৃষ্টিতে কেবল বৈধই নয় আল্লাহর সকল নবী-রাসুল, অবতার এমনকি শেষ রসুল মোহাম্মদও (দ.) একে উৎসাহিত করেছেন।
সূত্র: গনমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৫৯।
উৎসব আর ঈদ আসলে একই কথা।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃ:৯৬
আল্লাহর হুকুম মোতাবেকই বিভিন্ন জনপদে বিভিন্ন আঞ্চলিক উৎসব প্রচলিত হয়েছে।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃ:৯৬
যদি আল্লাহর হুকুম মোতাবেক গরিব দুঃখী মানুষকে তাদের অধিকার প্রদান করা হতো তাহলে এ আনন্দ পূর্ণতা পেত আর এই উৎসবগুলো এবাদত এ পরিণত হতো।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃ:৯৭

খেলাধুলা

আল্লাহ রাসুল স: স্বয়ং মসজিদে নববীর সামনে খেলাধুলার আয়োজন করতেন। কুস্তি, তীর বা বর্শা নিক্ষেপ, ঘোড়দৌঁড় ইত্যাদিতে নিজে অংশ নিতেন এবং সাহাবাদেরকে এ ব্যাপারে উৎসাহিত করতেন।
সূত্র: প্রিয় দেশবাসী পৃ:১২৬
পন্নী জীবদ্দশায় ‘তাওহীদ কাবাডি’ দল প্রতিষ্ঠা করেন এবং হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমও তাওহীদ ফুটবল ক্লাব গঠন করেছেন।
সূত্র: প্রিয় দেশবাসী পৃ:১২৬
হেযবুত তওহীদ আন্দোলনের সদস্যদের মধ্যে শারীরিক সুস্থতা, ক্ষিপ্রতা, গতিশীলতা, সাহসিকতা ইত্যাদি বৃদ্ধির জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা থাকবে। এক্ষেত্রে দেশীয় বা আন্তর্জাতিক বহিরঙ্গনের (আউটডোর) খেলা যেমন কাবাডি,হা-ডু-ডু, ফুটবল দৌড়,সাঁতার,ব্যডমিন্টন ইত্যাদিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
কাবাডি আবার জনপ্রিয় করে তোলার জন্য তিনি (পন্নী) তার জীবদ্দশায় “তাওহীদ কাবাডি দল” প্রতিষ্ঠা করেন যার মাধ্যমে হেযবুত তওহীদের সদস্যরা সারাদেশে অসংখ্য কাবাডি টুর্নামেন্টের আয়োজন করে আসছেন।
মহামান্য এমামুয্যামানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে মাননীয় ইমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমও ‘তওহীদ ফুটবল ক্লাব’ গঠন করেছেন। কাজেই হেযবুত তওহীদের সকল নারী-পুরুষকে খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করার জন্য আন্দোলনের সব শাখায় একটি ক্রীড়া বিভাগ থাকবে যার দায়িত্ব পালন করবেন একজন ক্রীড়া সম্পাদক।
জাতীয়ভাবে পরিচালিত বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা এবং তাদের আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের চেষ্টা করা।
সূত্র: গঠনতন্ত্র পৃ:৩২

মানবতাই ধর্ম!

মানুষের ধর্ম কি? মানুষের ধর্ম হচ্ছে মানবতা। অর্থাৎ যে ব্যক্তি অন্যের দুঃখ কষ্ট হৃদয়ে অনুভব করে এবং সেটা দূর করার জন্য আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালায় সে-ই ধার্মিক। অথচ প্রচলিত ধারণা হচ্ছে যে ব্যক্তি নির্দিষ্ট লেবাস ধারণ করে সুরা কালাম, শাস্ত্র মুখস্থ বলতে পারে, নামাজ-রোযা,পূজা, প্রার্থনা করে সে-ই ধার্মিক।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃষ্ঠা-৪৫
প্রচলিত ধারণা হচ্ছে- যে ব্যক্তি নির্দিষ্ট লেবাস ধারণ করে সুরা কালাম শাস্ত্র মুখস্থ বলতে পারে, নামাজ-রোজা প্রার্থনা করে সে-ই ধার্মিক। এটা সঠিক ধারণা নয়। মানুষের প্রকৃত ধর্ম আসলে কি? মানুষের ধর্ম হচ্ছে মানবতা। অর্থাৎ যে ব্যক্তি অন্যের দুঃখ কষ্ট হৃদয় অনুভব করে এবং সেটা দূর করার জন্য আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালায় সে-ই ধার্মিক।
সূত্র: গণমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৪৩
নামাজ রোযা, হজ্ব, পূজা, প্রার্থনা, তীর্থযাত্রা মানুষের মূল এবাদত নয়। মানবজাতি যেন সুখে শান্তিতে জীবনযাপন করতে পারে এ লক্ষ্যে নিজেকে উৎসর্গ করাই হচ্ছে প্রকৃত ধর্ম, প্রকৃত এবাদত।
সূত্র: জঙ্গিবাদ সংকট পৃষ্ঠা-৫৬
মানুষের ধর্ম হচ্ছে মানবতাবোধ, মনুষত্ব। মানুষ যদি স্বার্থপর হয়, ন্যায়-অন্যায়ের বোধ হারিয়ে ফেলে, অপরের প্রতি দয়া ও করুণার অনুভূতি হারায় তখন মানুষও তার ধর্ম হারায় এবং বিধর্মী হয়ে যায়।
সূত্র: জঙ্গিবাদ সংকট পৃষ্ঠা-৫৫
সকল ধর্মের মর্মকথা, সবার ঊর্ধ্বে মানবতা।
সূত্র: সোনাইমুড়ীতে হামলার নেপথ্যে পৃ:১
যেমন আগুনের ধর্ম পরানো ঠিক একইভাবে মানুষের ধর্ম হলো মানবতা।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃষ্ঠা-৩৬
দেশরক্ষার জন্য প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করাকে আমরা ধর্ম মনে করি।
সূত্র: প্রিয় দেশবাসী পৃ:৪১

সকল ধর্মের উদ্দেশ্য মানবতার কল্যান:

স্রষ্টার প্রেরিত সকল ধর্মের প্রতিটি কাজের উদ্দেশ্য হবে মানবতার কল্যাণ। যে ধর্মের উদ্দেশ্য মানবতার কল্যাণ নয়, সেটা আল্লাহর ধর্মই নয়।
সূত্র: জঙ্গিবাদ সংকট পৃষ্ঠা-১০
ধর্মের আগমনের প্রধান উদ্দেশ্য মানবতার কল্যাণ।
সূত্রঃ আদর্শিক লড়াই পৃষ্ঠা-৮
মানুষের কল্যাণের জন্য সংগ্রাম ব্যতিরেকে এসলামই অসম্পূর্ণ।
সূত্র: জঙ্গিবাদ সংকট পৃষ্ঠা-৫৪
সকল ধর্মের অবতার ও মহামানবদের জীবনে রয়েছে শান্তিময় সমাজ বিনির্মাণে নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস অথচ আজকের সমাজের মানুষের ধর্মীয় জীবনের নেতৃত্ব প্রদানকারী ধর্মব্যবসা আলেম পুরোহিতরা মানুষকে কেবল পরকালমুখী হতে শিক্ষা দেন।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃষ্ঠা-৪৬

প্রকৃত মুমিন হলো মানবতাবাদীরা:

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মানেই হচ্ছে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া। যারা এই অঙ্গীকার করবে তাদের চরিত্র অর্জনের জন্য আল্লাহ নামাজ রোজা হজ্ব যাকাত এর হুকুম দিয়েছেন।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃষ্ঠা-১০৯
নিজেদের জীবন ও সম্পদ উৎসর্গ করে সংগ্রাম করার মধ্যে দিয়েই মোমেন হতে হবে, অন্য কোন পন্থা আল্লাহ দেননি। এই মুমিনের জন্য নামাজ রোজা, হজ্ব, যাকাতসহ ইসলামের অন্যান্য সব আমল।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃষ্ঠা-১১৩

প্রকৃত মুমিন কে?

আমানতদার, সত্যবাদী এবং হালাল উপায়ে রেজেক হাসিলকারী  নিশ্চয়ই কামেল মোমেন।
সূত্র: ধর্ম ব্যবসার ফাঁদে পৃষ্ঠা-১৩০

মানবকার কল্যানই ইবাদত, এতেই জান্নাত:

এখন মানুষকে বোঝাতে হবে- মানবতার কল্যাণে কাজ করাই তোমার প্রকৃত এবাদত, এই এবাদতই আল্লাহর কাম্য, এটা করলেই জান্নাত সুনিশ্চিত।
সূত্র: জঙ্গীবাদ সংকট পৃ:৭৬
ধর্মবিস্বাস পৃ:১২
সকল ধর্ম, ধর্মগ্রন্থ এবং ধর্মপ্রবর্তক নবী-রসূল অবতারগণ এসেছেন এক স্রষ্টার পক্ষ থেকে, তারা সবাই মানুষকে স্বার্থহীনভাবে মানবকল্যাণে ব্রতী হবার শিক্ষা প্রদান করেছেন।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃষ্ঠা-৩৮
মানবতার কল্যাণে ভূমিকা রাখাযই মানুষের প্রকৃত এবাদত। মোমেন হওয়ার প্রথম শর্তই হলো কালেমায়ে তাওহীদে ঈমান আনা অর্থাৎ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ আল্লাহ ছাড়া কোনো হুকুমদাতা নেই। মোহাম্মদ স: আল্লাহর রসুল। আল্লাহকে হুকুমদাতা হিসাবে মানার অর্থ হলো- যাবতীয় অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া।
এ তাওহীদের ভিত্তিতে অক্ষ বদ্ধ হলে তারা হবে মোমেন। এই মোমেনদের সঙ্গে আল্লাহ ওয়াদা করেছেন যে তিনি তাদেরকে শ্রেষ্ঠত্ব দিবেন, রক্ষা করবেন, দুনিয়ার জীবনের শান্তি ও নিরাপত্তা এবং পরকালে জান্নাত দিবেন।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃষ্ঠা-১০৯/১১৪
মানুষ যদি বুঝতে সক্ষম হতো যে মানুষের উপকার করাই ধর্মের শিক্ষা, এটাই তার জান্নাতে যাওয়ার পথ, তাহলে মানবসমাজ কি এত দুঃখ দারিদ্র্য, বৈষম্য, অবিচার আর অশান্তিতে পূর্ণ হতো?
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃষ্ঠা-৩৭
প্রকৃতপক্ষে এবাদত হচ্ছে মানুষের শান্তির লক্ষ্যে কাজ করা।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃষ্ঠা-৩৭
এখন মানুষকে বোঝাতে হবে মানবতার কল্যাণে কাজ করাযই তোমার প্রকৃত এবাদত, এই এবাদতই আল্লাহর কাম্য এটা করলেই জান্নাত সুনিশ্চিত।
সূত্র: ধর্মবিশ্বাস পৃ:১২
কেবল তাদের উপাসনাই আল্লাহ কবুল করেন যারা নিরন্তর মানুষের কল্যাণে কাজ করে যায়।
সূত্র: সবার ঊর্ধ্বে মানবতা পৃ:৯
মানুষের ক্ষতি হয় এমন সব কথা ও কাজই গুনাহ-এর কাজ, আর মানুষের উপকার,কল্যান হয় এমন সব কাজই সওয়াবের কাজ।
সূত্র: সবার ঊর্ধ্বে মানবতা পৃষ্ঠা-১০।
মানুষ তার সমগ্র জীবনকালকে যদি অন্য মানুষের কল্যাণে, জগতের কল্যাণে উৎসর্গ করতে পারে তবেই তার মানবজনম পূর্ণরূপে সার্থক হলো।
সূত্র: সবার ঊর্ধ্বে মানবতা পৃষ্ঠা-১৭।
মানুষকে ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করে সুখী-সমৃদ্ধ করতে পারার মধ্যে আমাদের পরকালীন জান্নাত এবং মানবজনমের সার্থকতা নিহিত আছে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
সূত্র: জঙ্গিবাদ সংকট পৃষ্ঠা-৫৭
এক কথায় মানুষকে সুখ-শান্তি নিরপত্তার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোই মানুষের প্রকৃত এবাদত। এই এবাদত করলে সে পরকালে জান্নাত পাবে।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃষ্ঠা-৫১
অন্যায়ের বিরুদ্ধে যারা জীবন দেয়, মানবতার কল্যাণে যারা জীবন দেয়, মানুষের মুক্তির জন্য যারা জীবন দেয় তারাই হচ্ছে শহীদ।
সূত্র: সূত্রাপুরে এমামের ভাষন পৃ:১৫
এখন জাতির এই সঙ্কটকালে সকল আত্মকেন্দ্রিকতা ত্যাগ করে প্রকৃত এবাদতে ফিরে আসুন, সে এবাদত করার জন্য আল্লাহ আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন অর্থাৎ মানবতার কল্যাণ।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃষ্ঠা-৭৫
আর এ ধর্ম পালন করা অর্থাৎ মানুষের শান্তির লক্ষ্যে কাজ করাই মানুষের প্রকৃত এবাদত।
নবী-রাসূল অবতারগণ এ লক্ষ্যেই সংগ্রাম করে গেছেন। এ কাক যারা করবে তারাই স্রষ্টার সান্নিধ্য ও সন্তুষ্টি পাবে, তারাই প্রকৃত মোমেন বা বিশ্বাসী। কিন্তু মানুষের অশান্তির মধ্যে ফেলে রেখে চার দেয়ালের মধ্যে এবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকলে স্রষ্টার আমাদের উপর সন্তুষ্ট হবেন না পরকালেও মুক্তি মিলবে না।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃষ্ঠা-৮৩
আমাদেরকে বুঝতে হবে যে নামাজ-রোজা উপবাস, উপাসনা, পূজা-অর্চনা ধর্মের মূল কাজ নয়। মানুষের শান্তিই সকল ধর্মের লক্ষ্য, সকল ধর্মের আত্মা।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃষ্ঠা-১০৪

মানবতাবাদী নাস্তিকদের নিয়ে:

মানবতার কল্যাণে যারা নিজেদের জীবনকে তুচ্ছ করে বিপ্লবের অগ্নিময় পথকে সঙ্গী করে জীবন কাটিয়ে গেছেন, আমরা হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে তাদেরকে শ্রদ্ধা জানাই। যদিও তারা অনেকেই হয়তো নাস্তিক ছিলেন। সেটা কোন মূখ্য বিষয় নয়।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ কবিতা ইসলাম পৃষ্ঠা-১১
যারা প্যাকটিক্যাল নাস্তিক তাদের অভিমত হলো আল্লাহ থাকা বা না থাকাতে মানুষের কিছু নেই। আল্লাহ ছাড়াও মানুষ চলতে সক্ষম, সবচেয়ে বড় ধর্ম মানব ধর্ম। যার সঙ্গে ঈশ্বরের কোন সম্পর্ক না থাকলেও চলবে। এরাই ধর্মের সবই বিধিব্যবস্থাকে তুলে দিয়ে নিজেদের মনগড়া বিধান দিয়ে মানব সমাজ পরিচালনা করতে চান। আজকের যে বিশ্ব ব্যবস্থার  মধ্যে আমরা বসবাস করছি সেটা মূলত এই প্রকার নাস্তিকতা থেকেই উৎসারিত ধর্মনিরপেক্ষতা।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ কবিতা ইসলাম পৃষ্ঠা-১৭৭

শিক্ষার মূল টার্গেট মানবতাবোধ:

শিক্ষার উদ্দেশ্যই হবে মানবতার কল্যাণ। আত্মিক চারিত্রিক ও জাগতিক জ্ঞানের সমন্বয়ে এমন শিক্ষা ব্যবস্থা হবে যেখানে শিক্ষক হবেন মানবতাবাদী মহান আদর্শের প্রতীক। তিনি শিক্ষাদানকে মানবজাতির প্রতি নিজের কর্তব্য ও দায়বদ্ধতা বলে এবং সকল জ্ঞানকে স্রষ্টার পক্ষ  থেকে আমানত বলে মনে করবেন।
সূত্র: প্রস্তাবনা পৃষ্ঠা-৭।

মানবকল্যানে আত্মনিয়োগ না করলে ইবাদত নিরর্থক:

আল্লাহর সর্বোত্তম সৃষ্টি মানুষকে অশান্তির আগুনে জ্বলতে দেখেও যারা কাপুরুষের মতো ঘরে লুকায় আর এবাদত মনে করে রাত জেগে তাহাজ্জুদ পড়ে, রোজা রাখে, হজ্ব করে, নানা উপাসনায় মশগুল থাকে তাদেরকে আল্লাহ জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।
সূত্র: ধর্মবিশ্বাস পৃ:৩ গণমাধ্যমের করণীয়-৯০
যে জ্ঞান সমাজের বা জাতির কল্যাণে লাগে না সেই জ্ঞান অর্থহীন। আর অসৎ ব্যক্তির জ্ঞান বিষমাত্র। যা মানুষের শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি করে।
সূত্র: গণমাধ্যমের করণীয় পৃ:১৮
সমাজ তথা মানবজাতির শান্তির লক্ষ্যে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে প্রচেষ্টা না করলে কারো কোন আমলই কবুল হবে না, তারা জান্নাতে যেতে পারবে না।
সূত্র: গণমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৪৪
যদি আমার জীবন-সম্পদ মানুষের কল্যাণে ব্যয় না করি, আমি কাফের হয়ে যাব, মো’মেন হতে পারব না।
সূত্র: গণমাধ্যমের করণীয় পৃষ্ঠা-৫৪
যখন মানবতা ভূলুণ্ঠিত, আর্ত মানুষের ক্রন্দনে আকাশ-বাতাস ভরাক্রান্ত, নিষ্পাপ শিশুর রক্তে সিক্ত হয়ে আছে পৃথিবীর মাটি, ধর্ষিতার লজ্জায় দুনিয়া অন্ধকার তখন যারা মসজিদে বসে হালকায়ে জিকিরের রব তুলছেন, যারা নিভৃত গৃহকোণে এতেকাফ করছেন, যারা হজ্বে গিয়ে সাফা-মারওয়া প্রদক্ষিণ করছেন, যারা গভীর রাতে উঠে তাহাজ্জুদ গুজারি হচ্ছেন, কঠিন অধ্যবসায় করে মহা আলেম হচ্ছেন, মনে রাখবেন এ সব পশুশ্রম।আল্লাহর ওসবে দরকার নেই। মানুষের কল্যাণের জন্যই ধর্ম।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃষ্ঠা-৭৪
স্বার্থপরের নামাজ নেই, স্বার্থপরের সমাজ নাই, স্বার্থপরের জান্নাত নেই। একইভাবে যে আলমের জ্ঞান বা যে ধনীর ধন মানুষের কল্যাণে লাগেনা সে আলেম ও ধনীকেও আল্লাহর প্রয়োজন নেই।
সূত্র: আদর্শিক লড়াই পৃষ্ঠা-৯
কেউ যদি নামাজ রোজা হজ্ব পূজা-অর্চনা উপাসনা ইত্যাদি নিয়ে দিনরাত ব্যপৃত থাকে, কিন্তু তার ভিতরে মানবতার গুণাবলী না থাকে তাহলে সে প্রকৃত ধার্মিক নয়, আল্লাহর প্রকৃত উপাসক নয়।
 সূত্র: ধর্ম বিশ্বাস পৃষ্ঠা-১৪

সকলে মানবধর্ম ত্যাগ করেছে:

মানুষ তার প্রধান ধর্ম মানবতা ও মনুষ্যত্বকে ত্যাগ করেছে সম্পূর্ণভাবে।
সূত্র: ধর্ম বিশ্বাস পৃষ্ঠা-১২

জান্নাতে যাবার জন্য শুধু তাওহীদই শর্ত:

এই একটি শর্ত (তওহীদ) পালন করলে কোনো গুনাহই তাকে জান্নাত থেকে ফেরাতে পারবে না।‘’
সূত্র: আকিদা পৃ:৭
যদি প্রশ্ন করা হয় জাহান্নামের কোন প্রকারের আজাবের স্পর্শ ব্যতিরেকে একজন মানুষ খুব সহজেই জান্নাতে যাবে কি করে? এর উত্তর হবে একমাত্র তাওহীদ গ্রহণের মাধ্যমে।
সূত্র: প্রিয় দেশবাসী পৃ:৬৪

এবাদত করুক আর গুনাহ করুক তাওহীদে থাকলেই সে জান্নাতী:

  “শত নির্যাতন নিপীড়ন বিদ্রূপ অপমান উপেক্ষা করে, খেয়ে না খেয়ে, গাছের লতা-পাতা খেয়ে, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে। এই সময় যেসব সাহাবী ইন্তেকাল করেন তারা ইসলাম বলতে কি পেয়েছিলেন? তার নামায-রোযা হজ্ব-যাকাত ঈদ কোরবানি কিছুই পেয়েছিলেন কি? তারা পেয়েছেন শুধুমাত্র তাওহীদ এবং বলার অপেক্ষা রাখেনা তাওহীদই তাদের সফলকাম হয়ে জান্নাতে প্রবেশের জন্য যথেষ্ট ছিল।”
সূত্র: তওহীদ জান্নাতের চাবি-১০।
  “আল্লাহ ঘোষণা দিয়ে দিলেন- আমার তাওহীদকে, আমার সার্বভৌমত্বকে যে বা যারা স্বীকার কোরে নেবে, তা থেকে বিচ্যুত হবে না তারা কত এবাদত কোরেছে, তারা কত গোনাহ কোরেছে, কিছুই আমি দেখবো না, তাদের জান্নাতে প্রবেশ করাবো, তারা ব্যভিচার ও চুরি করলেও।”
সূত্র: দাজ্জাল পৃষ্ঠা-১৫

জান্নাতে যাবার জন্য দুটি শর্ত:

জান্নাতে যাওয়ার জন্য দুটি শর্ত এক. আল্লাহর তাওহীদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং দুই. রসুলের পৃথিবীতে আগমনের উদ্দেশ্য অর্থাৎ সমস্ত পৃথিবীময় ন্যায়, শান্তি ও সুবিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাত্মক সংগ্রাম করে যাওয়া। ব্যস এই দুইটি শর্ত যারা পূরণ করতে পারবেন তারাই মুমিন, তারাই সেই জান্নাতি ফেরকা তাতে সন্দেহ নেই।
সূত্র: প্রিয় দেশবাসী পৃ:১১২

তওহীদে থাকলেই ব্যক্তিগত সকল গুনাহ মাফ:

   ‘মানুষ তার ব্যক্তিগত জীবনে ভুল-ভ্রান্তি ও গুনাহ করবে এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু যদি তারা তওহীদের স্বীকৃতি দিয়ে হেদায়েতে অটল থাকে তাহলে তাদের ভয় নেই, ব্যক্তিগত কোন গুনাহই তাদেরকে জান্নাত থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না।’
সূত্র: তওহীদ জান্নাতের চাবি-১১

 তওহীদ থাকলেই পৃথিবী ভর্তি গুনাহও মাফ:

    ‘সেরাতুল মুস্তাকীমে অর্থাৎ তওহিদের যে ব্যক্তি অটল থাকবে, বিচ্যুত হবে না, পৃথিবী ভর্তি গোনাহও তাকে জান্নাত থেকে ফেরাতে পারবে না।’
সূত্র: তওহীদ জান্নাতের চাবি পৃ:১৩ এসলামের প্রকৃত রুপরেখা পৃ: ৪৪ তাকওয়া ও হেদায়াহপৃ: ৪

তওহীদ থাকলে কবিরা গুনাহও মাফ:

‘তওহীদে যিনি অবিচলরতার মহাপাপও (গুনাহে কবীরা) হিসাবে ধরা হবে না।
সূত্র: আকিদা পৃ:৭
 “এমনকি চুরি ও ব্যভিচারের মত কবিরা গুনাহকারীও জান্নাতে যাবে যদি সে সাচ্চা, সত্য সত্যই বিশ্বাস করে যে এলাহ,বিধানদাতা, আল্লাহর ছাড়া আর কেউ নেই।”
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃষ্ঠা-৭১

তওহীদ থাকলে যিনা-ব্যভিচার,চুরি-ডাকাতী,হত্যার গুনাহও মাফ:

  ‘‘প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কেন তওহীদের গুরুত্ব প্রচার করছি? এই যে কোর’আনের আয়াত ও হাদীসগুলো উল্লেখ করা হলো, যেগুলোতে দেখা যাচ্ছে কেবল তওহীদের স্বীকৃতি দেওয়ার কারণে ছোট ছোট অপরাধ তো বটেই, এমনকি চুরি, ব্যভিচার, হত্যা সমস্ত অপরাধকেই ক্ষমার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।’’
তওহীদ জান্নাতের চাবি-১৫
 ‘‘এই একটি শর্ত (তওহীদ) পালন করলে কোনো গুনাহই তাকে জান্নাত থেকে ফেরাতে পারবে না;এমনকি মহানবীর উল্লেখিত ব্যভিচার ও চুরির মত কবিরা গোনাহও না।’’
সূত্র: আকীদা-৭
  “মৃত্যুদণ্ডের পরে ইসলামের সবচেয়ে কঠিন দন্ড হচ্ছে চুরি আর ব্যভিচারের যারা এই দুটো জঘন্য অপরাধও করবে তাদেরকেও আল্লাহ জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন না, যদি সে একমাত্র আল্লাহকেই তার হুকুমদাতা হিসাবে বিশ্বাস ও মান্য করে।”
সূত্র: প্রিয় দেশবাসী পৃষ্ঠা-৬৫

উম্মতের অপরাধে ঈসাও আ: দায়ী

এমন হোতে পারে যে, আসমানে উঠিয়ে নেবার পর আল্লাহ ঈসাকে (আঃ) ভবিষ্যতে তার উম্মহর কাজের ফলে যে দাজ্জালের জন্ম হবে তা দেখিয়ে দিলেন, যা দেখে ঈসা (আঃ) আল্লাহকে বোললেন- ইয়া আল্লাহ! আমার উম্মতের কাজের ফলের জন্য আমিও অন্তত আংশিকভাবে দায়ী।কাজেই আমার উম্মতের সৃষ্ট দানবকে ধ্বংস করার দায়িত্ব আমাকে দাও।অথবা এমনও হোতে পারে যে, আল্লাহই ঈসাকে বোললেন- ঈসা! দ্যাখো, তোমার উম্মতের ভুলের,বিপথগামীতার ফলে কেমন মহাশক্তিধর দানব সৃষ্টি হোয়েছে যে আমার সর্বভৌমত্বকে অস্বীকার কোরে নিজেকে রব,প্রভু বোলে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা কোরেছে এবং আমার শেষ নবীর উম্মতসহ মানবজাতি তাকে রব বোলে মেনে নিয়েছে ।যেহেতু তোমার উম্মত থেকেই এই কাফের দানবের জন্ম, কাজেই তোমাকেই আমি দায়িত্ব দিচ্ছি একে ধ্বংস করার জন্য।দাজ্জালকে হত্যা বা ধ্বংস করার জন্য আল্লাহর প্রচলিত নিয়ম ভেঙে আসামান থেকে হাজার হাজার বছরের অতীতের একজন নির্দিষ্ট নবীকে পৃথিবীতে পাঠাবার অন্য কোন কারণ আমি দেখি না।যদি কেউ অন্য কারণ বের কোরতে পারেন তবে তা প্রকাশ কোরলে আমার ভুল সংশোধন কোরবো।সূত্র: দাজ্জাল? ইহুদি-খ্রিষ্টান সভ্যতা পৃ: ৫৫

ঈসা আ: নতুন কোন ধর্ম আনেননি।

ঈসা আ: এসেছিলেন মুসা আ: এর আনীত দীনকে সত্যায়ন করে শুধুমাত্র দীনের হারিয়ে যাওয়া আত্মিক ভাগটাকো যথাস্থানে ফিরিয়ে দিয়ে দীনের ভারসাম্য পূনঃপস্থাপনের জন্য। তিনি কখনোই খ্রিস্ট ধর্ম নামে নতুন কোন ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করতে চাননি।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃ:১৫
খ্রিস্টধর্মে ইহলৌকিক কোন আইন কানুন নেই। সুতরাং অর্থনীতিও নেই। ঈসা আ: এসেছিলেন শুধুমাত্র ইহুদীদের আধ্যাত্মিক সংশোধনের জন্য, ইহুদীদের জাতীয় অর্থাৎ রাজনৈতিক আর্থ সামাজিক আইন দন্ড বিধি ইত্যাদি মোটামুটি অবিকৃত ছিলো।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃ:২২
ঈসা আ: খাটি ইহুদী বংশে জন্মেছিলেন।নিজে ইহুদী ছিলেন। তার প্রত্যেকটি শীষ্য ইহুদী ছিলেন । ইহুদিদের বাইরে তাঁর শিক্ষার প্রচার করা তাঁরই নিষেধ ছিল। অর্থাৎ মুসার আ: দীনকে তাঁর ধর্মের আলেম, যাজকরা  বিকৃত, ভারসাম্যহীন করে ফেলায় সেটাকে আবার ভারসাম্যো ফিরিয়ে আনাই ছিল তার কাজ। নতুন কোন ধর্ম সৃষ্টি করা নয়।
সূত্র: আকিদা পৃষ্ঠা-১৪

খৃষ্টধর্মের আবিস্কারক হলেন পল

পল নামক জনৈক ব্যক্তি যিনি ঈসা আ: এর সাথে জীবনে কখনও সাক্ষাত লাভ করেননি, তার থেকে কোনও শিক্ষাও গ্রহণ করেননি। তার হাতেই মূলত গড়ে উঠেছিল খ্রিস্টধর্ম। যা মুসা আ: এর ধর্মও নয়, ঈসা আ: এর আত্মিক ভাগও নয়। পলের হাতে পড়ে সম্পূর্ণ নতুন এক ধর্মের সৃষ্টি হয়ে গেল যাকে খ্রিস্ট ধর্ম না বলে পলীয় ধর্ম বললে ভুল হবে না।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃ:১৭

নবিজি স: এর দায়ীত্ব পুরো মানবজাতি:

শেষ নবীর উপর দায়িত্ব হলো সমস্ত মানব জাতিকে একটি জীবনব্যবস্থার অধীনে এনে এক জাতিতে পরিণত করা।
সূত্র: শোষণের হাতিয়ার পৃষ্ঠা-১০।
তাঁর আল্লাহ প্রদত্ত উপাধিটি কি লক্ষ্য করুন- রাহমাতাল্লিল আলামিন, সমস্ত বিশ্বজাহানের জন্য রহমত স্বরূপ। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে বিশ্বের সমস্ত মানুষকে সুখ শান্তিময়,শোষণ-অবিচারহীন একটি জীবন উপহার দেওয়াযই তাঁর আগমনের উদ্দেশ্য।
সূত্র: প্রিয় দেশবাসী পৃষ্ঠা-৫৪
পূর্ববর্তীদের (নবীদের) দায়িত্ব ছিল তাদের যার যার সমাজ, গোত্র, জাতির মধ্যে সীমিত, আর এই শেষ নবীর দায়িত্ব হলো সমস্ত পৃথিবীর।
সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ পৃষ্ঠা-১০।
আল্লাহ তার রাসুলকে প্রেরণ করেছেন মানবজাতির মধ্য থেকে সমস্ত রকম ভেদাভেদ দূর করে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য।
সূত্র: ধর্ম ব্যবসার ফাঁদে পৃষ্ঠা-১২৮
পৃথিবীতে মানবজাতির মধ্যে আল্লাহর রাসূলকে প্রেরণের উদ্দেশ্যে একটি নয়, দুইটি। একটি রসুলের মাধ্যমে হেদায়াহ, পথ-প্রদর্শনসহ দীন পাঠানো, দ্বিতীয়টি সেই হেদায়াহ ও দীনকে সমগ্র মানব জীবনে প্রতিষ্ঠা করা।
সূত্র: এসলামের প্রকৃত রূপরেখা পৃষ্ঠা-৪৬
তিনি আল্লাহ থেকে আদেশপ্রাপ্ত হয়ে নিজের দায়িত্ব ঘোষণা করলেন, আমি আদিষ্ট হয়েছি ততক্ষণ পর্যন্ত স্বশস্ত্র সংগ্রাম (কেতাল) চালিয়ে যেতে, যে পর্যন্ত না প্রত্যেকটি মানুষ আল্লাহকে তাদের একমাত্র এলাহ হিসাবে এবং আমাকে আল্লাহর রসূল হিসাবে মেনে না নেয় (আব্দুল্লাহ এবনে ওমর রা: থেকে বোখারী)
সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃষ্ঠা-৯৯
রসূলাল্লাহ আগমনের আসল উদ্দেশ্য সারা পৃথিবীতে সর্বাত্বক সংগ্রামের মাধ্যমে আল্লাহর তাওহীদভিত্তিক সত্যদীন প্রতিষ্ঠা করা।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃষ্ঠা-৫৩ ধর্মব্যবসার ফাঁদে-১২১

নবিজি স: জযিরাতুল আরবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছেন:

রাসূলুল্লাহ তার জীবদ্দশায় ঐ জাতিকে সঙ্গে নিয়ে জেহাদ ( সর্বাত্মক প্রচেষ্টা, সংগ্রাম) চালিয়ে গেলেন এবং সমগ্র আরব উপদ্বীপ আল্লাহর দেওয়া জীবন ব্যবস্থার অধীনে এল।
সূত্র: প্রিয় দেশবাসী পৃষ্ঠা-৭৫
মক্কা যে রসূলকে একদিন বের করে দিয়েছিল সে মক্কা এই ক্ষনে (মক্কা বিজয়ের দিন) তার পায়ের তলে। চতুর্দিকে মুসলিম সেনা কাফেরদের ঘেরাও করে আছে। আল্লাহর রাসূলের কৃপার উপরে আজ মক্কাবাসীর জীবন। তিনি আজ যাদেরকে জীবন ভিক্ষা দেবেন তারা বাঁচবে, যাদেরকে ঘরে থাকতে দেবেন তারা ঘরে থাকবে, যাদেরকে বাহিরে থাকতে দেবেন তারা বাহিরে থাকবে, রসূলুল্লাহ যাদেরকে আজ লোহিত সাগরে নিক্ষেপ করবেন তারা লোহিত সাগরে নিক্ষিপ্ত হবে। আজকের দিনে মক্কা নগরীতে কারো সাথ্য নেই রসুলাল্লাহর কথা অমান্য করে। মক্কায় আজ আল্লাহর সার্বভৌমত্বের নিরঙ্কুশ বিজয়।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃষ্ঠা-১০৯
এই বিশাল দায়িত্ব পৃথিবীময় এই শেষ জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা এক জীবনে অসম্ভব। বিশ্বনবি স: তার নবীজীবনের তেইশ বছরে সমস্ত আরব উপদ্বীপে এই শেষ জীবনবিধান প্রতিষ্ঠা করলেন। ইসলামের শেষ সংস্করণ মানব জীবনের একটি অংশে প্রতিষ্ঠিত হলো। কিন্তু তাঁর দায়ীত্ব সমস্ত পৃথিবী, সমস্ত মানব জাতি।
সূত্র: বিকৃত সুফিবাদ-৯
আল্লাহর রাসূল তাঁর জীবদ্দশায় সমস্ত আরব উপদ্বীপে এরূপ শান্তি ন্যায় ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা করলেন, নির্যাতিত-নিপীড়িত বেলাল যায়েদ, আম্মার,খাব্বাব (রা:) যাদের সমাজে কোন মর্যাদা ছিল না, তাদেরকে তিনি উচ্চ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করলেন। মানুষের মর্যাদার মাপকাঠি পরিবর্তন হয়ে গেল। পূর্বে মানুষের অহংকার ও মর্যাদার আধার ছিল তাঁর শিক্ষা রুপ,পেশা, সম্পত্তি ও বংশ। আইয়ামে জাহিলিয়াতের সেই মাপকাঠি রসূল ভেঙে চুরমার করে দিলেন।
সূত্র: সম্মানিত আলেমদের প্রতি পৃষ্ঠা-৩
বাস্তবে আল্লাহ রাসুল এমন শান্তি এমন নিরাপত্তা ন্যায়,ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে গেলেন। তৎকালীন পৃথিবীর সবচাইতে বিশৃঙ্খল,ঐক্যহীন, আইয়্যামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার অতল গহ্বরে নিমজ্জিত সেই আরব জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করলেন।শত্রুকে ভাই বানিয়ে দিলেন।
সূত্র: সূত্রাপুরে এমামের ভাষণ-৭

নবিজির উপর অর্পিত দায়ীত্ব পূরণ করা এক জিবনে সম্ভব নয়।

এই বিশাল দায়িত্ব সমস্ত পৃথিবীময় এই শেষ জীবন বিধান প্রতিষ্ঠিা করা এক জীবনে অসম্ভব। বিশ্বনবী তার নবী জীবনের তেইশ বছরে সমস্ত আরব উপদ্বীপে এই শেষ জীবন বিধান প্রতিষ্ঠিা করলেন- ইসলামের শেষ সংস্করণ মানব জীবনের একটি অংশে প্রতিষ্ঠিা হলো। কিন্তু তার উপর আল্লাহর দেয়া দায়িত্ব পূর্ণ না, তার দায়িত্ব সমস্ত পৃথিবী সম্পুর্ণ মানব জাতি।এর আগে কোন নবীর উপর সম্পুর্ণ মানব্জাতির দায়িত্ব অর্পিত হয়নি। যতদিন সম্পূর্ণ মানব জাতির উপর এই শেষ জীবন বিধান জাতীয়ভাবে প্রতিষ্ঠা না হবে ততদিন মানুষ জাতি আজকের মতোই অশান্তি, যুদ্ধবিগ্রহ, অবিচারের মধ্যে ডুবে থাকবে- শান্তি,ইসলাম আসবে না এবং বিশ্বনবীর উপর আল্লাহর দেয়া দায়িত্বও পূর্ণ হবে না।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃষ্ঠা-১১৫
এই বিশাল দায়িত্ব যে এক জীবনে পালন করার প্রশ্নই আসে না তা তিনি এ দায়িত্ব অর্পণ করেছেন তিনিও জানেন, আর যার উপর অর্পণ করেছেন তিনিও জানেন।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃষ্ঠা-১৩৩

নবিজি স: তাঁর দায়ীত্ব পূর্ণ করতে পারেন নি:

 তারপর যখন আল্লাহ রাসুল (দঃ) এই দুনিয়া থেকে চোলে গেলেন তখন ওই দায়িত্ব স্বভাবতঃই এসে পোড়লো তাঁর গঠন করা জাতিটির ওপর অর্থাৎ উম্মতে মোহাম্মদীর ওপর, কারণ রসূলের ওপর আল্লাহর দেয়া দায়িত্ব তখনও পূর্ণ হয়নি। শুধু আরব দেশটাকে আল্লাহর আইনের শাসনের মধ্যে আনা হোয়েছে। বাকি পৃথিবী মানুষের তৈরি আইনের অধীনে চলছে।
সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃষ্ঠা-১০৪-১০৫

নবিজি তাঁর অসমাপ্ত দায়ীত্ব পুর্ণ করার দায়ীত্ব দিলেন সাহাবাদের:

আল্লাহর রাসূল আংশিকভাবে তার দায়িত্বপূর্ণ করে চলে গেলেন এবং তার বাকি কাজ পূর্ণ করার ভার দিয়ে গেলেন তাঁর সৃষ্ট জাতির উপর, তার উম্মাহর উপর।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃষ্ঠা-১১৫
(মোহাম্মদ স:) তাঁর সৃষ্ট জাতিকে গভীরভাবে উপলব্ধি কোরিয়া গেলেন যে তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার দায়িত্ব তাঁর (দ:) পরে তাদের ওপর সম্পূর্ণভাবে অর্পিত হবে।
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃষ্ঠা-১৪৮
তিনি উম্মতে মোহাম্মদীকে আদেশ করেছেন সশস্ত্র সংগ্রাম করে এই দীন সমস্ত পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিা করে সমস্ত অশান্তি অন্যায় রক্তপাত নিশ্চিহ্ন করে পৃথিবীতে শান্তির রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে। (সূরা আনফাল ৩৯)
সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃষ্ঠা-১৩৮
এই শেষজনের দায়িত্ব হলো এত বিরাট যে এক জিবনে তা পূর্ণ করে যাওয়া অসম্ভব। অথচ যতদিন ওই দায়িত্বপূর্ণ করা না হবে ততদিন তার উপর আল্লাহর দেয়া দায়িত্ব অপূর্ণ, অসমাপ্ত থেকে যাবে। তাই তিনি এমন একটি জাতি সৃষ্টি করলেন পৃথিবী থেকে তাঁর চলে যাওয়ার পরও সে জাতি তার উপর আল্লাহর দেয়া দায়িত্ব পূর্ণ করার জন্য তাঁরই মত সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। এই জাতি হলো তাঁর উম্মাহ, উম্মতে মুহাম্মাদী -মোহাম্মাদের জাতি।
সূত্র: আকিদা পৃষ্ঠা-১২ এ জাতির পায়ে লুটিয়ে পড়বে বিশ্ব পৃ:৭৫

নবিজির অসমাপ্ত কাজ করার জন্য সাহাবারা মেহনত করেছেন:

তাঁদের প্রাণপ্রিয় নেতার অসমাপ্ত কাজ পূর্ণ করতে দেশ ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে পড়েছিলেন।
সূত্র: বিকৃত সুফিবাদ-১০

সাহাবারা দায়িত্ব পূরণ করত নেমে পড়েন:

  “ঐ উম্মাহ বিশ্বনবীর (দ:) ওফাতের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের পার্থিব সবকিছু কোরবান করে তাঁদের নেতার উপর আল্লাহর দেয়া দায়িত্ব পূর্ণ কোরতে আবু বকরের রা: হুকুমে তাঁদের দেশ থেকে বের হোয়ে পড়েছিলেন।”
সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃষ্ঠা-২৬

সমস্ত দুনিয়ায় ইসলাম প্রতিষ্ঠা না হলে এ দ্বীন অর্থহীন:

আমি আমার রাসুলকে সঠিক পথ প্রদর্শন হেদায়া এবং সত্য দিয়ে প্রেরণ করলাম এই জন্য যে তিনি যেন একে এই হেদায়েত জীবনব্যবস্থাকে পৃথিবীর অন্যান্য সমস্ত জীবন ব্যবস্থার উপর বিজয়ী করেন (কোরআন সূরা আল ফাতাহ-২৮ সূরা আত তাওবাহ-৩৩ সূরা আস সফ-৯) অর্থাৎ পৃথিবীতে মানবজাতির মধ্যে আল্লাহর রাসূলকে প্রেরণের উদ্দেশ্য হচ্ছে রাসুলের মাধ্যমে হেদায়াহ বা প্রদর্শনসহ দ্বীন বা জীবনব্যবস্থা পাঠানো এবং সেই হেদায়াহ ও দীনকে সমগ্র মানব জীবনে প্রতিষ্ঠা করা। কারণ সাধারণ জ্ঞানেই বোঝা যায় যে দীন, জীবনব্যবস্থা যদি মানুষের জীবনে কার্যকরই না হয় তবে রসুলের মাধ্যমে পৃথিবীকে পাঠানো অর্থহীন।
সূত্র: এ জাতির পায়ে লুটিয়ে পড়বে বিশ্ব-১৮

নবিজি স: দ্বীন বিজয়ী করবেনই:

(মক্কার কাফের কুরাইশরা যখন নবীজিকে নবীজীকে বিভিন্ন লোভ দেখালো, তখন নবীজী বললেন) হয় আল্লাহ আমাকে বিজয়ী করবেন নয়তো মোহাম্মদ এ পথে ধ্বংস হয়ে যাবে।
সূত্র: প্রিয় দেশবাসী পৃ:৬১
(বি:দ্র: নবি স: কি তাহলে এ কথা রাখতে ব্যার্থ হয়েছিলেন? নাউযুবিল্লাহ।
বিশ্বনবীর উপর আল্লাহর দেয়া দায়িত্বকে যারা মাঝপথে স্তব্ধ করে দিয়েছিলেন, তারা আল্লাহর দেওয়া বিশ্বনবীর উপাধি, ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’ কেও পূর্ণ হতে দেন নি; অর্থাৎ তিনি এখনও ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’ হন নি।’
সূত্র: আকিদা পৃ:১৯
পৃথিবী থেকে অন্যায়, অবিচার, যুদ্ধ, রক্তপাত বন্ধ হয়ে পূর্ণ শান্তিতে মানবজাতি বাস করতে পারতো, মালায়েকদের আশংকা মিথ্যা হতো, ইবলিসের মাথা নত হয়ে যেতো, বিশ্বনবীকে আল্লাহর দেয়া রহমাতাল্লিল আলামিন উপাধির অর্থ পূর্ণ হতো।
সূত্র: বিকৃত সুফিবাদ-৪৫ দাজ্জাল-৭৫
আল্লাহ তাঁর কোরানে তার শেষ রসুলকে রাহমাতুল্লিল আলামীন বলেছেনঃ অর্থাৎ শেষ নবী মোহাম্মদ সমস্ত মানবজাতির জন্য আল্লাহর রহমত, যারা তাঁকে এবং তার মাধ্যমে প্রেরিত জীবন ব্যবস্থা মেনে নিয়ে সেটাকে তাদের জীবনে কার্যকর করবে শুধু তাদের জন্যই তিনি আল্লাহর রহমত। আল্লাহ বলেছেন তিনি তাঁর রসূলকে সমস্ত মানবজাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন কাজেই এক সময় সমস্ত মানবজাতির তাঁকে আল্লাহর রসূল হিসেবে মেনে নিয়ে তার মাধ্যমে পাওয়া দীনুল হক (সঠিক জীবন-ব্যবস্থা) তাদের জীবনে কার্যকর প্রতিষ্ঠা করবে। তা না হলে আল্লাহর রহমতুল্লিল আলামিন উপাধি অর্থহীন হয়ে যায়, তা অসম্ভব।
সূত্র: দাজ্জাল পৃ:৭৫
যতদিন না সমগ্র মানব জাতি নিজেদের তৈরি জীবনব্যবস্থা সমূহ পরিত্যাগ করে মোহাম্মদের মাধ্যমে প্রেরিত আল্লাহর দেয়া জীবনব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রয়োগ করবে ততদিন তারা সেই অমান্তি,অন্যায় (ফাসাদ) ও যুদ্ধ,রক্তপাতের (সাফাকুদ্দিমা) মধ্যে ডুবে থাকবে,আজকের মত এবং ততদিন বিশ্বনবীর ঐ উপাধী অর্থবহ হবে না,অর্থপূর্ণ হবে না এবং আজও হয়নি।তাঁর উম্মাহ ব্যর্থ হয়েছে তাঁর উপাধিকে পরিপূর্ণ অর্থবহ করতে।’
সূত্র: আকীদা-২০

রাজাকার

৭১ সালে হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা বায়াজীদ খান পন্নী ও তার বাবা ছিলেন অনেব বড় রাজাকার। এ বিষয়টি বুঝার জন্য প্রথমে দুটি বিষয় আমাদের জানতে হবে।
১. পন্নীর বাবার নাম কি? ২. পন্নীর ডাক নাম কি?
পন্নীর বাবার নাম:
টাঙ্গাইলের করটিয়ার জমিদার পরিবারই হলো পন্নীদের পরিবার। তার বাবার নাম ছিলো, ‘মেহেদী আলী খান খসরু পন্নী।’
সূত্র: শ্রেণিহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃ:১৮৪
পন্নীর ডাক নাম:
বায়াজীদ খান পন্নীর ডাক নাম ছিলো, ‘সেলিম খান পন্নী।’
সূত্র: শ্রেণিহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃ:১৮৬
এখন চলুন আমরা দেখি এই মেহেদী আলী খান পন্নী এবং সেলিম (বায়জীদ) খান পন্নী ৭১ সালে কি ভূমিকা রেখেছিল। তার বিস্তারিত বিবরণী বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী তার লিখিত ‘স্বাধীনতা ‘৭১’ বইটিতে লিখেছেন। বঙ্গবীর লেখেন,
‘টাঙ্গাইল হানাদার শিবিরে তৎপরতা শেষ নেই। ছুঁড়ে-দেওয়া উচ্ছিষ্টের হাড়-গোড় ভাগাভাগি কামড়া-কামড়ির প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে হানাদার -সমর্থক কিছু প্রভুভক্ত রাজনৈতিক হ্যাংলা কুকুর। খান সেনাদের চাইতে তাদের উৎসাহ যেন বেশি। টাঙ্গাইল হানাদার প্রধান পাণ্ডা কাগমারি কলেজের কুখ্যাত অধ্যাপক আব্দুল খালেককে সাধারণ সম্পাদক, হেকিম হাবিবুর রহমানকে শান্তি কমিটির সভাপতি করে (৫১ বিশিষ্ট) সদস্য করা হয়েছে।
যার ১০ নাম্বারে ‘করটিয়ার জমিদার মেহেদী খান পন্নী খসরু (বায়াজীদ খান পন্নীর বাবা) এবং ১১ নাম্বারেই রয়েছেন ‘জমিদার-পূত্র সেলিম খান পন্নী অর্থাৎ বায়াজীদ খান পন্নী।
সূত্র: স্বাধীনতা ‘৭১ পৃ:৬৪৬-৬৪৭
তিনি আরো লেখেন,
আরো অনেককে নিয়ে টাঙ্গাইল জেলা শান্তি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির কর্মকর্তারাই ছিল শান্তির নামে অশান্তির মূল। রাজাকার বানানো, ঘর-বাড়ি জ্বালানো, লুটতরাজ, নারী অপহরণ ও ধর্ষণে_ হেন জঘন্য অপকর্ম নেই যা শান্তিকমিটির সদস্যরা করেনি। আব্দুল খালেক এদের সবাইকে ছাড়িয়ে যায়। এ ব্যাপারে করটিয়ার জমিদার মেহেদী খান পন্নীর (খসরু) স্থান দ্বিতীয়। রাজাকার-দল ভারী করতে দেয় পাল্লা পাল্লি-কে কার চাইতে বেশি রাজাকার বানাতে পারে।
সূত্র: স্বাধীনতা ‘৭১ পৃ:৬৪৮
পন্নীদের অপমানজনক বিচার:
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী পন্নীদের বিচারের ঘটনা বিস্তারিতভাবে তার এ বইটিতে তুলে ধরেছেন এভাবে,
পন্নীদের বিচার: আকাল আকাল।
২০ নভেম্বর। হানাদারদের প্রথম সারির দালাল করটিয়ার জমিদার খসরু খান পন্নী, তার দুই ছেলে-সেলিম (বায়াজীদ) খান ও বাবলু খান পন্নীকে কোমারে দড়ি বেঁধে এলাচী পুর আনা হয়েছিল। তাদের বিচার। ইতিমধ্যে পন্নীদের নিয়ে পরস্পরবিরোধী ছোটখাটো দু’একটা ঘটনা ঘটে গেছে। কোন-কোন মুক্তিযোদ্ধা পন্নীদের বিন্দুমাত্র মর্যাদা দিতে চাইনি। আবার দু’চারজন ছিল যারা হাজার হলেও তো জমিদার। গরিবের রক্তশোষক জমিদাররাও তাদের অহংকার ঠাট-বাট বজায় রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করছে।
অনেকটা শরৎচন্দ্রের নতুনদা’র হারানো পাম্প সু খোঁজার মতো। কোমরে দড়ি বাঁধার সময় তারা মুক্তিযোদ্ধাদের খুব অনুনয়-বিনয় করেছিল,কোমরে দড়ি বাঁধলে নাকি মানসম্মান থাকবে না। এলাচীপুরে যখন একটি বাড়িতে রাখা হয়, তখনও সাধারণ মানুষের রক্তের পয়সায় কেনা দুগ্ধ-ধবল-ফেননিভ মোলায়েম মখমলের বিছানায় অভ্যস্ত জমিদাররা সাধারণ শক্ত বিছানায় শুতে পারে না। গরিব প্রজাদের পিঠে চাবুক মেরে যারা বেড়ে উঠেছে, তাদের শক্ত কাঠের বেঞ্চিতে বসলে ইজ্জত যায়। দরিদ্র জনগণের মুখের গ্রাস কেড়ে পোলাও-কোরমায় অভ্যস্ত, গ্রামের সাধারণ খাবারে তাদের পেট জ্বালা করে। প্রথম-প্রথম এমনি নানা অনুযোগ করার পর যখন তারা বুঝল, তাদের কোনো বিশেষ মর্যাদা দেয়া হবে না, তখন শক্ত বিছানা, গ্রামের খাবার, বেঞ্চে বসা-কোন কিছুতেই আর অসুবিধা হয়নি। এলাচীপুর ও লাউহাটিতে রাখার সময়ে লাউহাটির চেয়ারমান ও স্বেচ্ছাসেবক কমান্ডার কামাল খাঁ পন্নীদের সাথে অপ্রয়োজনে বার কয়েক দেখা করেছে। কর্নেল ফজলুর রহমানের কাছে কামাল খাঁ একটি লোভনীয় প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রস্তাবটি হলো দুই-তিনলক্ষ টাকা অর্থদণ্ড করে তাদেরকে ছেড়ে দিলে তারা মুক্তিবাহিনীর কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবে। এই সমস্ত কোন ঘটনাযই আমার অজানা ছিল না। তাই অবিলম্বে পন্নীদের ব্যাপারটা সেরে ফেলতে চেয়েছিলাম। এই ধরনের জঘন্য প্রকৃতির লোকদের সংস্পর্শে মুক্তিযোদ্ধারা যত কম থাকে ততই মঙ্গল।
২ ডিসেম্বর দুপুরে কেদারপুর বাজারের পাশে খালের ধারে দুটি বিচার অনুষ্ঠিত হলো। প্রথমটি বিচার নয়, শুনানী। ধৈর্য ধরে রবিউলের সমস্ত কথা শুনে বললাম,
‘যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ব্যর্থ হয়ে পালিয়ে আসলে একজন কমান্ডারকে যতটা দায়ী করা উচিত, এইক্ষেত্রে রবিউলকে তার চাইতেও বেশি দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে। কারণ রবিউল শুধু পালিয়ে আসেনি, তার ভীরুতার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে, এমনকি দুজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছে। তাই আমি মনে করি, ক্যাপ্টেন রবিউলের ব্যাপারে আরো খুঁটিয়ে দেখে বিচার করা উচিত। এজন্য তাকে সদর দপ্তরে অভ্যন্তরীণ রেখে একটি ট্রাইব্যুনালের হাতে বিচারের ভার ছেড়ে দেওয়া উচিত।
কমান্ডার রবিউলকে সরিয়ে নিলে রাজাকার হোতা, হানাদার দালালদের কোমরে দড়ি বেঁধে হাজির করা হল। করোটিয়ার জঘন্য বদমেজাজী জমিদার খসরু খান পন্নী ও তার দুই ছেলে সেলিম (বায়াজীদ) খান,বাবুল খান পন্নীর বাঁধন খুলে দেয়া হল। প্রথমে খসরু খান পন্নীর ছোট ছেলে বাবুল খান পন্নী কে জিজ্ঞেস করা হলো,
-তোমার কিছু বলার আছে?
-আমাকে কি কারনে আনা হয়েছে জানিনা। বাবা এবং ভাই বর্তমান সরকারের সাথে যুক্ত থাকলেও আমি নই। আমার আর কিছু বলার নেই?
এসময় খসরু খান পন্নী বসার জন্য চেয়ার চাইলেও তাকে জানিয়ে দেয়া হলো, কোন অভিযুক্তকে বিচারের সময় চেয়ার দেয়া হয়না এবং কোন অভিযুক্তকে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত না-হওয়া পর্যন্ত মুক্তিবাহিনী ‘আপনি’ বলে সম্বোধন করে না। গাদি- গাদি টাকা আছে বলে তোমাদের জন্য এই রীতির কোনো হেরফের হবে না।
সেলিম (বায়াজীদ) খান পন্নী বিন্দুমাত্র আত্মপক্ষ সমর্থন না করে বলল,
–আমরা রাজাকার গঠন করেছি। আমরা এখন বুঝতে পারছি অন্যায় হয়েছে। আপনারা আমাদের অর্থদণ্ড করে অন্তত একবার সুযোগ দিন। আমরা আল্লাহর নামে কসম খেয়ে বলছি, এরপর সর্বস্ব দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করব।
পর্যায়ক্রমে খসরু খান পন্নী কে তার কিছু বলার আছে কিনা জিজ্ঞাসা করলাম। খসরু খান পন্নী ও সবকিছু অকপটে স্বীকার করে বলল,
–আমাদের ভুল স্বীকার করছি। (একেবারে গলে গিয়ে) বাবা, আপনারা আমাদের অর্থদন্ড করে এবারের মত মাফ করুন।
–তোমাদের অর্থদণ্ড করা হলে তা কত হতে পারে বলে মনে করো?
আমার কথা শুনে খসরু খান পন্নী যেন কিছুটা ভরসা পেল। সে বেশ বিগলিত গলায় বলল,
–আমাদের আগের অবস্থা নেই। বাড়িতে কোন টাকা-পয়সা নেই। অর্থদণ্ড করা হলে বাড়ির বউদের গহনা ও বগুড়ার যে জমি আছে তা বিক্রি করে শোধ করতে হবে। সাহেব, আপনিই ভেবে চিন্তে বলে দিন।
পন্নীকে ব্যঙ্গ করে বললাম,
–না, সাহেব অর্থদণ্ডের পরিমাণ নিরূপণ করবে না। তোমাকেই তিনি পরিমাণটা বলতে বলছেন। খসরু খান পন্নী কয়েকবার হাত কচলে বললো,
–দুই লাখ হলে…আমরা কোনক্রমে শোধ করতে পারবো। তিন লাখ দিতে কষ্ট হবে। আপনি দয়া করে এর মধ্যে একটা ঠিক করে দিন।
–আমি খুব ভাল করে জানি, তোমাদের বিন্দুমাত্র লজ্জা-শরম নেই। তুমি যদি আমাকে তোমার জমিদারের প্রজা ভেবে থাক, তাহলে ভুল করছ। আমি তোমাদের মত লোকের মোসাহেব নই। তুমি কামাল খাঁকে দিয়ে কর্নেল ফজলুকে দুই লাখ টাকা পাইয়ে দেবার লোভ দেখিয়েছ। এমনিতেই রাজাকার বানানোর জন্য তোমার হাড়-মাংস কুত্তা দিয়ে খাওয়ান উচিত। তার উপর আবার মুক্তিবাহিনীকে অর্থের লোভ দেখাচ্ছ? নিশ্চয়ই অর্থদণ্ড হবে, তবে তোমার ইচ্ছা মতো না।
এ কথা শুনে খসরু খান পন্নী কেঁদে ফেলে হাতজোড় করে বলল,বাবা আমার অন্যায় হয়ে গেছে, আমাকে ক্ষমা করেন। এর চেয়ে বেশি জরিমানা আমরা দিতে পারব না।
–শুধু অর্থদণ্ড নয়, বেত্রাঘাত হবে। আমরা খুব ভাল করেই জানি, অর্থশালীদের শুধু অর্থ দণ্ড তাদের গায়ে-পায়ে বাজে না। বড় ছেলেসহ তোমাকে মুক্তিবাহিনী গুলি করে মারত। তবে আর-একবার অপরাধ করার জন্য বেত্রাঘাত ও অর্থদণ্ড করে ভবিষ্যতের টোপ হিসেবে রেখে দিচ্ছে। আরেকবার অপরাধ করলে মুক্তিবাহিনী তোমাদের পরপারে পাঠিয়ে দেবে।
খসরু খানের বাক শক্তি রহিত, একেবারে থ মেরে গেল। চোখ ফ্যাকাসে। তাকে দেখে মনে হবে একটা মৃতদেহ দড়িতে বেঁধে রাখা হয়েছে।
‘আসামিদের মধ্যে দু’জন –খসরু ও সেলিম (বায়াজীদ) খান পন্নী হানাদারদের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। এরা দু’জন টাঙ্গাইলের চার ভাগের এক ভাগ রাজাকার বানিয়েছে। দু’জনকে সংশোধনের সুযোগ দিয়ে এবারের মতো বেত্রাঘাত ও অর্থদণ্ড করা হলো। বাবুল খান পন্নী হানাদারদের সাথে সক্রীয় না থাকায় তাকে মুক্তি দেওয়া হলো।
খসরু খান ও সেলিম (বায়াজীদ)খান পন্নীর একশ’-এক টাকা করে দুইজনের দুই’শ দুই টাকা জরিমানা ও প্রত্যেককে পাঁচটি করে বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেওয়া হলো। খসরু খান পন্নীর বয়স যেহেতু ষাটের উর্ধ্বে সেহেতু তাকে মৃদু বেত্রাঘাত করা হবে। বেত্রাঘাত শেষে এরা পায়ে হেঁটে পাকা সড়ক পর্যন্ত যাবে। কোন যানবাহন ব্যবহার করতে পারবে না।
বিচার শেষে কামাল খাঁ নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য সে নানাভাবে বলার চেষ্টা করছিল, –স্যার, আমি অমন ভাবে বলি নাই। আমাকে পন্নী সাহেব বলেছিলেন, তাই কর্ণেল সাহেবকে বলেছিলাম, এদের অর্থদণ্ড করে ছেড়ে দেওয়া যায় কিনা।
–বুঝতে পারছি, আপনি ধনী মানুষ। জমিদাররা আপনার মত ধনী। আর একসময় তো আপনারা ওদের প্রজা ছিলেন। তাই মনিবের নুনের গুন ভুলতে পারেননি। এতে আর আপনার দোষ কি?
বিচার শেষে পন্নীদের বিদায় করে দেওয়া হলো। এখানেও কামাল খাঁ তার শ্রেণী স্বার্থে কাজ করে। কেদারপুর থেকে পাকা রাস্তা বারো মাইল। এতটা রাস্তা হেঁটে যেতে সত্যিই খসরু খান পন্নীর খুব কষ্ট হচ্ছিল। পন্নীরা যখন কেদারপুর থেকে চার-পাঁচ মাইল পাড়ি দিয়েছে, অন্য পথে কামাল খাঁ তখন ঘোড়ার গাড়িতে তাদের তুলে দিতে যাচ্ছিল। তার ধারণা ছিল, অতদূর মুক্তিযোদ্ধারা হয়তো আর লক্ষ্য করবে না। কিন্তু দুটি গাড়ি যখন বানাইলের কাছে পৌঁছে, তখন একদল মুক্তিযোদ্ধা গাড়ির গতিরোধ করে। অপরিচিত কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা গাড়ির গতিরোধ করায় কামাল খাঁ নিজের পরিচয় দিয়ে বলল,
–দয়া করে গাড়ি ছেড়ে দিন। এর আমার আত্মীয়। আমার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।
কামাল খাওয়ার অনুরোধ মুক্তিযোদ্ধারা শোনেনি। গাড়ি থেকে পন্নীদের নামিয়ে নেয়। তাদের এক কথা, ‘আপনাদের আবার কেদারপুরে যেতে হবে।’ পন্নীরা ঘোড়ার গাড়িতে যেতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধারা তাতেও আপত্তি তোলে। বাধ্য হয়ে পন্নীদের আবার তাদের হেঁটে কেদারপুর ফিরতে হয়।
পন্নীদের দেখে হাসতে হাসতে বললাম, ‘চোর বাটপারদের এমনই হয়।
তবে নির্দোষ বাবুল খান পন্নী কে মুক্তিযোদ্ধারা ফিরিয়ে এনে ঠিক করেনি। বাবুল খান পন্নী ইচ্ছা করলে এখানে থেকে যে কোনভাবে যেতে পারেন। কিন্তু বাকি দু’জনকে অবশ্যই পায়ে হেঁটে পাকা সড়ক পর্যন্ত যেতে হবে। আর-একবার ছলের আশ্রয় নিলে গুলি করা হবে।
শওকত আলী ব্যারিস্টারের চাচাতো ভাই লাউহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল খাঁকে কঠোরভাবে সতর্ক করে দেওয়া হলো, ‘স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে যথেষ্ট অবদান থাকলেও আপনার অতীত কার্যকলাপ খুব প্রশংসনীয় নয়। আবার এই ধরনের অসৎ পন্থা অবলম্বন করলে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ না দিয়েই গুলি করা হবে।
কামাল খাঁ ভয়ে কাঁপতে লাগলো। তাকে যে এবারই গুলি করা হলো না, সেটাই তার পরম সৌভাগ্য। কামাল খাঁ এরপর আর তেমন ছলা কলা করেনি। পন্নীরাও পায়ে হেঁটে ঢাকা-টাঙ্গাইল পাকা সড়ক পর্যন্ত যেতে আর কোন চাতুরি করেনি।
সূত্র: স্বাধীনতা ‘৭১ পৃ:৭০৬-৭১০

হেযবুত তওহীদে থাকলে নিশ্চিত জান্নাত

হেযবুত তওহীদে যারা সত্যিকার ভাবে এসেছ তাদের জন্য জান্নাত তো নিশ্চিত।এইখানেও যেন কারো মনে কোন সন্দেহ না থাকে যে জান্নাত নিশ্চিত।’
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-৬৩

হেযবুত তওহীদের কর্মীদের ২ শহীদের মর্যাদা

এমনিতে তো হেযবুত তওহীদে আসলেই দুই শহীদের মর্যাদা, যে নাকি শেষ পর্যন্ত আছে।’
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-৬৪ মহাসত্যের আহবান-১১
দাজ্জাল কে চিহ্নিত করা এবং তার মোকাবেলা করার জন্য হেযবুত তাওহীদের সদস্যরা দুই শহীদের মর্যাদা পাচ্ছেন এবং নিম্ন পর্যায় থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রে তাদের অনুসারীগণ চরমভাবে দাজ্জালের অনুসারীদের দ্বারা প্রতিনিয়ত নিগৃহীত,নিপীড়িত হোচ্ছেন?
সূত্র: দাজ্জাল পৃ:৯৬
দাজ্জাল প্রতিরোধ করার কারণে হেযবুত তওহীদের সকলকে মহান আল্লাহ জীবন্ত অবস্থায় শহীদ হিসেবে কবুল করে নিয়েছেন।
সূত্র:মহা সত্যের আহ্বান (ছোট)১২

হেযবুত তওহীদের কর্মীদের লাশ পচে না

    ‘কার্য্যত দেখা যাচ্ছে, দাজ্জালকে প্রতিরোধ করার কারণে হেযবুত তওহীদের মোজাহেদ মোজাহেদারা দুই শহীদের মরতবা লাভ কোরছেন। আপাতঃদৃষ্টিতে মারা গেলেও তারা প্রকৃতপক্ষে জীবন্ত এবং অমর। সে কারণেই এন্তেকালের পর তাদের দেহ শক্ত হোচ্ছে না- নরম থাকছে, মৃতের ন্যায় শীতলও হোচ্ছে না।’
সূত্র: মহাসত্যের আহবান-১১/১২

হেযবুত ততওহীদের সদস্যদের উপাধী ‘রাদিয়াল্লাহু আনহু’

এই অসাধারণ অথচ সংক্ষিপ্ত ভাষণের মধ্য দিয়ে এই প্রথম হেযবুত তওহীদের মোজাহেদ মোজাহেদারা মৃত্যু পর্যন্ত তওহীদে দৃঢ় থাকলে তারা যে ‘রাদিয়াল্লাহু আনহু’ হবেন এই শুভ সংবাদ দেওয়া হলো।’
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-৮৩

মো’জেজার সংগা

    ‘পবিত্র কোর’আনে আল্লাহ বোলছেন, ‘আমি প্রত্যেক নবী ও রসুলকে চিহ্ন দিয়েছি। তখন তিনি সেই চিহ্ন দেখাবেন এবং বোলবেন যে এই চিহ্ন দেখাতে তোমরারা কেউ পার না। এটা আমার চিহ্ন অর্থাৎ প্রমাণ যে আমি আল্লাহর রসুল।এই চিহ্নই নবী রসুলদের মো’জেজা।’
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-৬১
নবী-রাসূলগণের সত্যিই আল্লাহ তরফ থেকে মনোনীত ও নবুওয়াত  প্রাপ্ত ব্যক্তি তার সত্যায়নের জন্য যে অসাধারণ ও অলৌকিক ঘটনা তাঁরা আল্লাহর হুকুমে ঘটিয়ে দেখাতেন সেগুলোই হচ্ছে মোজেজা। একেকজন নবীর একেক রকম মোজেজা ছিল।
সূত্র: আল্লাহর মোজেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা পৃষ্ঠা-৭
     ‘একটা জিনিস তোমরা মনে রাখো, এই মো’জেজা আল্লাহ কেন করেন, কখন করেন? আল্লাহ জানেন তিনি যখন দুনিয়াতে রসূল পাঠাবেন। তখন মানুষ স্বাভাবিকভাবেই বোলবে, ‘তুমি তো আমাদের মতই খাওদাও, ঘুরে বেড়াও, তুমি যে আল্লাহর রসুল তার প্রমাণ কি? এটা মানুষের অধিকার, কারণ একজন এসে বোলল আমি আল্লাহর আর হোয়ে গেল?
দুইভাবে এর প্রমাণ হোতে পারে, তাঁর চরিত্র, তাঁর সত্যনিষ্ঠা ইত্যাদি দেখে মানুষ যুক্তি দিয়ে চিন্তা কোরে বুঝতে পারবে উনি আল্লাহর রসুল অর্থাৎ চিন্তাভাবনা কোরে,  যে চিন্তাশক্তি আল্লাহ মানুষ ছাড়া অন্য কাউকে দেন নি। আর যুক্তিতর্ক দিয়ে বুঝে নেয়ার শক্তি যাদের নাই তাদের জন্য চাক্ষুষ প্রমাণ প্রয়োজন হয়। এজন্য আল্লাহ বোলেছেন- আমি আমার সকল নবী রসুলকে মো’জেজা দিয়ে পাঠিয়েছি (সুরা এমরান ১৮৩-১৮৪)। তাদের সন্দেহ নিরসন করার জন্য, সত্যায়ন করার জন্য।
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-৭৯
   ‘এমামুযযান বোলেছেন, অলৌকিক ঘটনা দুই রকম। একটাকে বলা হয় কেরামত,অন্যটি মো’জেজা।আধ্যাত্মিক সাধকরা বিশেষ প্রক্রিয়ার (তরীকা) মাধ্যমে বহুদিন কঠের সাধনা কোরে আত্মার ঘষামাজা কোরে অসাধারণ শক্তি অর্জন কোরে পানির উপর দিয়ে হেঁটে যেতে পারেন,ফুঁ দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিতে পারেন ইত্যাদী অনেক রকম অলৈকিক কাজ করেন বা করান তার নাম হোল কেরামত। আর আল্লাহ যে অলৌকিক কাজ করেন বা করান তার নাম হোল মো’জেজা। দেখা যায় ইতিপূর্বে তিনি যে মো’জেজাগুলি সংঘটন কোরেছেন সেগুলি কোরেছেন তাঁর নবী রাসুলদের মাধ্যমে।’
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-১৫।

পন্নীর উপর আল্লাহর মোজেজা সংঘটন:

গত ২ ফেব্রুয়ারী, ২০০৮ তারিখে হেযবুত তওহীদ ও তাঁর এমামকে সত্যায়ন করার জন্য আল্লাহ নিজে ১০ মিনিট ৯ সেকেন্ডের মধ্যে অন্তত আটটি মো’জেজা সংঘটিত কোরলেন।
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-৯

অন্য নবীদের চেয়েও বেশি মো’জেজা পন্নীর মাধ্যমে হয়েছে:

     ‘আর একটা তফাৎ হোচ্ছে, নবীদের সময় একটা একটা কোরে মো’জেজা হোয়েছে। একদিন ঈসা (আ:) মৃতকে জীবিত কোরলেন,আরেকদিন অন্ধকে ভাল কোরলেন,আরেকদিন কুষ্ঠ রোগীকে ভাল কোরলেন অর্থাৎ একটা একটা কোরে, মুসা (আ:) এরও তাই। মাসাকে (আ:) বোললেন ‘সমুদ্রে বাড়ি দাও’, সমুদ্র বিভক্ত হোয়ে গেল।সব ঘটনা একটা একটা কোরে। এই একটা থেকে আরেকটা বহু দূর। আর হেযবুত তওহীদ কে আল্লাহ 10 মিনিটের মধ্যে ৭-৮ কোরে দিলেন। এই তফাৎ টা কেন? এটা আরো Convincing (বিশ্বাসযোগ্য) করার জন্য। দ্বিতীয় নম্বর এটা তাঁকে নিজে কোরতে হোয়েছে। ঐ সব মো’জেজা আল্লাহর নবীদের মাধ্যমে কোরেছেন, ঈসা (আ:) এর মাধ্যমে কোরেছেন। মুসা (আ:) এর মাধ্যমে কোরেছেন, সবার মাধ্যমে কোরেছেন, এখন মাধ্যম নাই। কারণ নবীও নাই-
রসুলও নাই, তাই এখন Here He had to do Himself, তাঁকে নিজে কোরতে হোল। নিজে কোরতে হোল  বোলেই এক সাথে ৭-৮ টা, যেন কারও মনে সন্দেহ বিন্দুমাত্র না থাকে। একটা থাকলে সন্দেহ থাকতো।’
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-৬৫
     ‘এর চেয়ে বড় রহমত আর কি হোতে পারে? যে মো’জেজা তিনি নবীদের সময়ে ঘটাতেন একটা একটা কোরে, এখন তিনি নিজে এক সাথে ৮টা মো’জেজা ১০ মিনিটের মধ্যে ঘোটিয়ে দিলেন।’
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-৬৭

পন্নীর মো’জেজা কোরআনের মত অকাট্য:

     ‘সমস্ত কোর’অানকে আল্লাহ যেভাবে উনিশ সংখ্যার জালে আষ্ঠেপৃষ্ঠে বেঁধেছেন ঠিক একই ভাবে সেদিন এমামের সংক্ষিপ্ত ভাষণটিকে আল্লাহ বাঁধলেন তিন সংখ্যার জাল দিয়ে। উদ্দেশ্যও এক অর্থাৎ সত্যায়ন। এর দ্বারা আ আল্লাহ এটাই প্রকাশ কোরেছেন যে, ‘ঐ ভাষণে যে কথাগুলো বলা হোয়েছে যে মানুষটি বোলছেন তাঁর স্বরচিত মনগড়া কথা নয়,এগুলো আমারই (আল্লাহর) কথা এবং তিনি আমারই মনোনীত ব্যক্তি।’
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-২৪/৭৫/৯১
     ‘আল্লাহ সংখ্যার মো’জেজা দ্বারা পবিত্র  কোর’আনকে যেমন সত্যায়ন কোরেছেন একইভাবে এমামের সেদিনের ভাষণটিকেও তিনি সংখ্যার মো’জেজা দিয়ে সত্যায়ন কোরেছেন, এই দৃষ্টিকোন থেকে আল কোর’আন ও এমামের ভাষণটি একই পর্য্যায়ভুক্ত হোয়ে যায়।’
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-৩৩

পন্নীর মো’জেজা মুহাম্মাদ স: এর মোজেজার মত:

     ‘আমাদের রসুলের উপর যে আয়াতগুলো আসলো অর্থাৎ মো’জেজা  বোলি যেগুলোকে, এগুলো চিন্তাভিত্তিক। আগেরগুলো অতখানি চিন্তা-ভিত্তিক ছিল না,সেগুলো এমন ছিল যা মানুষ চোখে দেখে ভয় পেয়ে বলে ‘আরে,আরে, এটা কি!’ এই ধরণের। এই যে ২ তারিখে যেটা হোলো সেটাও এমন।এটা নিয়ে ভাবো।’
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-৬৫

মো’জেজার ভাষণের সব কথা স্বয়ং আল্লাহর:

    ‘এর দ্বারা আ আল্লাহ এটাই প্রকাশ কোরেছেন যে, ‘ঐ ভাষণে যে কথাগুলো বলা হোয়েছে যে মানুষটি বোলছেন তাঁর স্বরচিত মনগড়া কথা নয়,এগুলো আমারই (আল্লাহর) কথা এবং তিনি আমারই মনোনীত ব্যক্তি।’
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-২৪

আল্লাহ নিজের কথা পন্নীর মুখ দিয়ে বলিয়েছেন:

    ‘এই ভাষণের কোন কিছুই এমামুযযামান চিন্তা ভাবনা কোরে বলেন নি,এটি প্রকৃতপক্ষে আল্লাহরই ভাষণ যা আল্লাহ এমামুযযামানের মুখ দিয়ে বোলিয়েছেন।’
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-২৫/২৪

মোজেজার ভাষণ কি ছিল

২০০৮ সালে মহামহিম আল্লাহ এক মোজেজার (অলৌকিক ঘটনা) মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন যে তিনি এই দীনের যে আত্মা, আকিদা,ধারণা ও রূপ মানব জাতির সামনে উপস্থাপন করছেন সেটাই একমাত্র হক, সত্য। পথের হেযবুত তওহীদ হক হিজবুত তাওহীদের এমাম হক এবং এই হেযবুত তওহীদ দিয়েই আল্লাহ অন্য সমস্ত জীবনব্যবস্থা লুপ্ত করে তার দীনুল হক সত্য জীবনব্যবস্থা এসলাম প্রতিষ্ঠা করবেন।
সূত্র: এ জাতির পায়ে লুটিয়ে পড়বে বিশ্ব পৃষ্ঠা-৩৩

পন্নীর মো’জেজা বিশ্বাস না করা মুনাফেকী:

     ‘হেযবুত তওহীদে যারা আছো তারা এটা সম্বন্ধে কোন সন্দেহ রাখবে না।সন্দেহই মোনাফেকী। ১০০% এর ভিতর যার মনে ৫% সন্দেহ আছে সে ৫% মোনাফেক,যার ১০% সন্দেহ আছে সে ১০% মোনাফেক।সন্দেহই মোনাফেকী।’
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-৬৩

পন্নীর মোজেজা বিশ্বাস না করলে সে বেঈমান:

    ‘ এটা ঐ রকম যেরকম ইহুদীদের চোখের সামনে ঈসা (আ:) বোললেন, তিন দিনের মরা উঠে দাড়াও,উঠে দাড়াল,তারপরও তারা বিশ্বাস কোরল না।এই হেযবুত তওহীদের পুঞ্জিভূত এক জায়গায় ৭/৮ টা মো’জেজা, যারা বিশ্বাস কোরবে না তাদেরও ঐ একই পরিনতি।
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-৬২

পন্নীর মো’জেজা বিশ্বাস না করলে সে জাহান্নামী:

     ‘যে ইহুদীরা এ ঘটনা দেখল,তারপরও মুসা (আ:) এবং আল্লাহ সম্পর্কে অবিশ্বাস কোরবে,সন্দেহ কোরবে তাদের কি অবস্থা হবে? অবশ্যই জাহান্নাম।২ তারিখের ঘটনাও তেমনি একটি ঘটনা,প্রত্যেকটা।
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-৫৭
    ‘হেযবুত তওহীদের এ মো’জেজাও অনেকে বিশ্বাস  কোরবে না,এমন কি আমার মনো হয় যারা ঘটনাস্থলে ছিল তাদের মধ্যেও অনেকে বিশ্বাস কোরবে না। তাদের মুক্তি নাই।
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-৬২
   ‘যারা পরে ঐ ঘটনাটি যে এক অলৌকিক ব্যাপার, আল্লাহর মো’জেজা তা বুঝতে পারবে, তাদের মধ্য থেকে যারা হেযবুত তওহীদ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে তাদের শাস্তি হবে ভয়াবহ।’
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-৯১

মোজেজা কেন ঘটল

এই মহাবিশ্ব জগতের স্রষ্টা, পালনকারী শুধু যে ওই কর্মসূচি নতুন করে আমাদের দান করলেন তাই নয়, এ যে তারই কাছ থেকে খাস বিশেষ দান, তা মানুষের মধ্যে প্রকাশ করার জন্যে জনসম্মুক্ষে অলৌকিকভাবে দান করলেন। হেযবুত তওহীদের  সদস্যরা ছাড়াও অনেক বহিরাগত লোকজনও তা চোখের সামনে দেখতে পেয়েছেন।
সূত্রঃ ইসলামের প্রকৃত রূপরেখা- ৫১
‘আমাদের এমাম নবী রসুল নন যে আল্লাহ তাঁর মাধ্যমে মো’জেজা ঘটাবেন, তাই এখন কোন বিষয়কে সত্যায়ন করার প্রয়োজন হোলে তাঁর নিজেকেই মো’জেজা প্রদর্শন করা ছাড়া আর কোন পথ নেই।’
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-৯

সাহাবাদের সম্পর্কে:

সাহাবায়ে কেরাম হলেন উম্মতে মুহাম্মাদী
যতদিন ওই দায়িত্বপূর্ণ করা না হবে ততদিন তার উপর আল্লাহর দেয়া দায়িত্ব অপূর্ণ, অসমাপ্ত থেকে যাবে। তাই তিনি এমন একটি জাতি সৃষ্টি করলেন পৃথিবী থেকে তাঁর চলে যাওয়ার পরও সে জাতি তার উপর আল্লাহর দেয়া দায়িত্ব পূর্ণ করার জন্য তাঁরই মত সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। এই জাতি হলো তাঁর উম্মাহ, উম্মতে মুহাম্মাদী -মোহাম্মাদের জাতি।
সূত্র: আকিদা পৃষ্ঠা-১২ এ জাতির পায়ে লুটিয়ে পড়বে বিশ্ব পৃ:৭৫
সাহাবাদের সমালোচনা
উসমান রা: এর পর থেকে জাতির মধ্যে শুরু হোল দুঃখজনক বিভাজন যে ইতিহাস সকলেরই জানা। কিন্তু এটা ঘটা উচিত হয়নি। রসুলুল্লাহর আদর্শ ও শিক্ষা মোতাবেক উচিত ছিল, তাঁর নিজের হাতে গড়া একটি জাতি উম্মতে মোহাম্মাদী ঐক্যবদ্ধ হোয়ে  সংগ্রামের (জেহাদ) মাধ্যমে সমস্ত পৃথিবীকে আল্লাহর সত্যদীনের অধীনে নিয়ে আসা, তাহোলে রসূলের উপর আল্লাহ দেওয়া দায়িত্ব পুর্ণ হোত। উম্মতে মোহাম্মাদী সৃষ্টির উদ্দেশ্য সার্থক হোত।
সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃষ্ঠা-১০০
রাসুল চলে যাওয়ার পরে জাতির খলিফাগণ এ উম্মাহর হাল ধরলেন তখন তারাই হলেন জাতির এমাম। এই খেলাফতের ধারাবাহিকতার সূত্র কখনো ছিন্ন হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তাই হলো। ৩০ বছরের মধ্যে জাতির আকীদায় বিকৃতি প্রবেশ করায় ইসলামের প্রকৃত খেলাফত লুপ্ত হয়ে গেল। জন্ম হল রাজতন্ত্রের। এ জাতির নেতারা সাম্রাজ্য বিস্তার ও পাশবিক ভোগবিলাসে লিপ্ত হয়ে জাহিলিয়াতে রাজা-বাদশাদের মতো জীবন যাপন করতে লাগল। সেই থেকে গত ১৩০০ বছরে জাতি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বহীন।
সূত্র: এ জাতির পায়ে লুটিয়ে পড়বে বিশ্ব পৃ:৩৮
(অর্ধেক পৃথিবীতে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা হওয়ার) পর ঘটল এক মহা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ঐ জাতি হঠাৎ তার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ভুলে গেল। ভুলে গেল তার জন্ম হয়েছে কেন, ভুলে গেল তাকে গঠন কেন করা হয়েছিল, ভুলে গেল আল্লাহ রাসুল স্বয়ং প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে পৃথিবীতে সবচেয়ে দুর্ধর্ষ যোদ্ধা জাতিতে কেন পরিণত করেছিলেন। জাতি ভুলে গেল যে কাজের জন্য তাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে, গঠন করা হয়েছে, প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে সেই কাজ ছেড়ে দেওয়া আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা। কিন্তু জাতির লোকদের আকিদা অর্থাৎ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্বন্ধে ধারণা বিকৃত হয়ে যাওয়ায় জাতি তাই করল, আল্লাহ দীন সমস্ত পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠার জেহাদ অর্থাৎ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সংগ্রাম ত্যাগ করল এবং ত্যাগ করে অন্যান্য রাজা-বাদশারা যেমন রাজত্ব করে তেমনি শান শওকতের সঙ্গে তাদের মতই রাজত্ব করতে শুরু করল।এই সর্বনাশা কাজের অর্থ কি, পরিণতী কী তারা উপলব্ধি করতে পারলেন না।
সূত্র: ইসলামের প্রকৃত রূপরেখা পৃষ্ঠা-৭-৮
কাজেই এই জাতির পথভ্রষ্ট লোকেরা যখন নীতি হিসেবে জেহাদ ত্যাগ করলেন, তখন তারা বুঝলেন না যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের দৃষ্টিতে আর তারা মোমেন রইলেন না।
সূত্র: ইসলামের প্রকৃত রূপরেখা পৃষ্ঠা-৮
অর্ধেক পৃথিবীতে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করার পরপরই ঐ জাতি করলো সর্বনাশা কাজ। হঠাৎ তারা ভুলে গেল তাদের উপর আল্লাহ ও তাঁর রসূলের (দ:) অর্পিত দায়িত্ব। তারা সারা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আল্লাহর সত্য দ্বীন প্রতিষ্ঠার জেহাদ ত্যাগ করল যে কাজ করার জন্য এই জাতিটিকে সৃষ্টি করা হয়েছিল।
সূত্র: এ জাতির পায়ে লুটিয়ে পড়বে বিশ্ব পৃ:৭৯
আল্লাহর রাসুল বিদায় নেওয়ার কিছু দিন না যেতেই আরবরা পূর্বের সে জাহিলিয়াতের মূল্যবোধ, কৃষ্টি, সংস্কৃতি ফিরিয়ে নিয়ে এলো। তারা আবার দাস প্রথা চালু করল। যে দাসপ্রথার বিরুদ্ধে আল্লাহ রাসুল আমৃত্যু লড়াই করে গেছেন।
সূত্র: ধর্মব্যবসার ফাঁদে পৃ:১২০
তখন যদি তারা না থামতেন তবে সমস্ত পৃথিবীতে দ্বীন প্রতিষ্ঠা হবে মানবজাতির জীবন থেকে সমস্ত অন্যায় অবিচার অশান্তি রক্তপাত বন্ধ হয়ে শান্তি ও নিরাপত্তায় ভরপুর হয়ে যেতো। তাদের ওই থেমে যাওয়ার ফলে মানবজাতির মধ্যে যত অশান্তি, অন্যায়, অবিচার, যুদ্ধ, রক্তপাত হয়েছে, হচ্ছে ও হবে তার জন্য দায়ী তারা যারা নবীর ঐ প্রকৃত সুন্নাহ পরিত্যাগ করেছিলেন।
সূত্র: আকিদা পৃ:১৯
শেষ নবীর সমগ্র মানব জাতির জন্য প্রেরিত হয়েছেন অর্থাৎ তার নবুয়াত সমস্ত পৃথিবী পরিব্যপ্ত। তার উম্মাহর ব্যর্থতার জন্য তাঁর নবুওয়াত সমস্ত মানবজাতিকে এর অন্তর্ভুক্ত করতে পারেনি। যদিও সেটাই ছিলো উম্মতে মোহাম্মদীর উপর অর্পিত সর্বপ্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ দায়িত্ব।
সূত্র: শোষণের হাতিয়ার পৃ:৫৮
ওহুদের সাহাবী
ওহুদের যুদ্ধে রসূলাল্লাহর আনুগত্য লংঘন করার কারণে মুসলিম বাহিনীর উপর সাংঘাতিক বিপর্যয় নেমে আসে।
সূত্র: বিকৃত সুফিবাদ পৃ:২০
সাহাবায়ে কেরাম সবাই দুর্ধর্ষ যোদ্ধা ছিলেন
    ‘এ জাতির (সাহাবায়ে কেরাম) মধ্যে কোনো পুরোহিত শ্রেণী ছিল না, সবাই ছিলেন যোদ্ধা।যিনি যতবড় মো’মেন তিনি ছিলেন ততবড় যোদ্ধা।
সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:২৬
এসলামের প্রকৃত রুপরেখা-৭/৩৮/৬১
এই জ্ঞানের দুয়ার আলীকেই রা: আমরা দেখি সিংহের বিক্রমে কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কোরতে। তার অনন্য সাহসিকতায ও বীরত্বের জন্য রাসুলুল্লাহ তাকে আরেকটি উপাধি দিয়েছিলেন সেটা হল আসাদুল্লাহ বা আল্লাগর সিংহ। সুতরাং যিনি দীনের যত বড় আলেম হবেন, তিনি তত বড় যোদ্ধা হবেন।
সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:৪০
    ‘এ জাতির (সাহাবায়ে কেরাম) মধ্যে কোনো পুরোহিত শ্রেণী ছিল না, সবাই ছিলেন যোদ্ধা।যিনি যতবড় মো’মেন তিনি ছিলেন ততবড় যোদ্ধা।
সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:২৬
এসলামের প্রকৃত রুপরেখা-৭/৩৮/৬১
সাহাবাদেরকে সামরিক বাহিনী বলা বেশি সঙ্গত
    ‘২৩ বছরের কঠোর সাধনায় যে সংগঠন গড়ে তুললেন সেটার ইতিহাসস দেখলে সেটাকে একটি জাতি বলার চেয়ে একটি সামরিক বাহিনী বলাই বেশী সঙ্গত।’
সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-১৩
আল্লাহর নির্দেশে তাঁর রসূল যে উম্মাহ, যে জাতি গঠন করলেন সেটাকে একটি জাতি না বলে বরং একটি সামরিক বাহিনী বলাই যথার্থ।
সূত্র: ইসলামের প্রকৃত রূপরেখা পৃষ্ঠা-৬১
মেরাজের ঘটনায় আবু বকর রা. ছাড়া সকল সাহাবার সন্দেহ হয়েছিল
     ‘মেরাজের এই ঘটনা মো’মেনদের জন্য ছিল আল্লাহর পরীক্ষা-স্বরূপ।অনেক সাহাবী এই ঘটনা শুনে ঈমান হারিয়ে ফেলেছেন,অনেকে সন্দেহে পতিত হোয়েছেন।’
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-৩৫/৩৬
      ‘আমার ব্যক্তিগত অভিমত, সেদিন এক আবু বকর ছাড়া আর কেউ ছিল না যার মনে মেরাজের কথা শুনে সন্দেহ আসে নি’
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-৭৮

মেরাজ নিয়ে মন্তব্য

     ‘এখানে একটি কথা বলা দরকার- যে বিজ্ঞান জানে না তার পক্ষে বোঝা অসম্ভব। আমাদের আলেম-ওলামা শ্রেণীর পক্ষে মেরাজ বোঝা সম্ভব নয়। মেরাজের সাথে Dimantion জড়িত। আমার একটি আর্টিকেলে আমি ডাইমেনশনের অর্থ করেছি বিস্তৃতি। যেমন Space (শূন্যতা) একটি ডাইমেনশন, এগুলো যারা জানবে না, বুঝবে না তাদের পক্ষে মেরাজ বোঝা অসম্ভব।’
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-৭৭
(বি:দ্র: তাহলে সাহাবারাও বোঝেননি।)
     ‘এমামুযযামানের নিজস্ব অভিমত হোচ্ছে, সেদিন আবু বকর (রা:) ছাড়া সম্ভবত আর কেউ ছিল না যারনে মে’রাজের কথা শুনে সন্দেহের ছায়াপাতও হয়নি।’
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-৩৬

শুধু সওয়াবের আশায় সাহাবারা আমল করেননি

রাসুলুল্লাহর নিকট থেকে সরাসরি ইসলাম শিক্ষার ফলে তাদের আকীদা অর্থাৎ লক্ষ্য ছিল সঠিক, এক ও অভিন্ন। তারা ইসলামের কোন কাজই উদ্দেশ্য না বুঝে কেবল সওয়াবের আশায় করতেন না, সবকিছুর উদ্দেশ্য তাদের কাছে দিনের আলোর মতো স্পষ্ট ছিল।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃষ্ঠা-৫৮
সাহাবাদের চরিত্র যোদ্ধার চরিত্র ও বিস্ফোরনমুখী
আল্লাহ রসুলের ইসলাম যে জাতি গঠন করেছিল সে জাতির চরিত্রে সর্ব প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল যোদ্ধার চরিত্র। তার প্রমাণ জাতির নেতা আল্লাহ রাসূল সহ সমস্ত জাতির মধ্যে এমন একটা লোক খুজে পাওয়া যেত না যার শরীরে অস্ত্রের আঘাত নেই।
সূত্র: এ জাতির পায়ে লুটিয়ে পড়বে বিশ্ব পৃ:৬৬
বিশ্বনবী স: যে জাতি সৃষ্টি করলেন সেটার মূল চরিত্র হলো শুধু বহির্মুখী নয়, একেবারে বিস্ফোরন মুখী।
সূত্র: বিকৃত সুফিবাদ পৃ:৩৩
মাত্র দশ বছরের মধ্যে আটাত্তরটি যুদ্ধ সংঘটিত করে, একটি দুর্ধর্ষ যোদ্ধা জাতি গঠন করে তিনি তার প্রেরক প্রভুর কাছে চলে গেলেন।
সূত্র: ইসলামের প্রকৃত রূপরেখা পৃষ্ঠা-৩৮
আবু যর রা: এর দর্শন সমাজতন্ত্রের কিছুটা মিল
আবু যর রা: এর ব্যক্তিগত মতামতের সঙ্গে সমাজতন্ত্রের দর্শনের কিছুটা মিল ছিল।
সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:৫৯
নবিজির সাথে সাহাবাদের আচরণ
রমজানে একবার নবীজি (তারাবিহের) নামাজ পড়লেন কিন্তু পরদিন আর আসলেন না। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে আসহাবগণ উচ্চস্বরে রসুলুল্লাহকে ডাকতে থাকেন এবং তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ঘরের দরজায় ছোট ছোট পাথর ছুড়ে মারতে থাকেন। তাদের আচেণে রাগান্বিত হয়ে রসুলুল্লাহ বেরিয়ে এসে বলেন তোমরা এখনও আমাকে জোর করছ? আমার আশংকা তোমাদের জন্য আল্লাহ না ফরদ করে দেন।
সূত্র: সওমের উদ্দেশ্য পৃ:১৬
মুয়াবিয়া রা: নিয়ে সমালোচনা
রসুলাল্লাহর একজন নৈকট্যপ্রাপ্ত সাহাবি হুজর বিন আদী রা:। আলী রা: এর খেলাফতের সময় মাবিয়া রা: এর নেতৃত্বে যখন জাতির মধ্যে চরম বিভক্তি ও গৃহযুদ্ধ শুরু হয়, তখনও হুজর বিন আদী আলির রাঃ থেকে তাঁর আনুগত্যের শপথ প্রত্যাহার করে নেন নি। এই কারণে মাবিয়া রা: হুজুরকে মৃত্যুদণ্ড দেন।তার কবর হয় সিরিয়ার দামেস্কে। এই দুঃখজনক নাটকের শেষ অংক অনুষ্ঠিত হয় গত ২ মে ২০১৩ তারিখে। ওহাবীরা তার কবর ভাঙার পর সেখানে হুজুর বিন আদী রা: এর অক্ষত দেহ মোবারক উদ্ধার করা হয়, যা তার শাহাদাত বরণের প্রমাণ বহন করে।
সূত্র: শোষণের হাতিয়ার পৃ:৮৮

মাক্কী জিবনে সাহাবারা কোন আমল পাননি

মক্কী জীবনে যেসব সাহাবী ইন্তেকাল করেন তারা ইসলাম বলতে কি পেয়েছিলেন? তারা নামায-রোযা হজ্ব-যাকাত ঈদ কোরবানি কিছুই পেয়েছিলেন কি? তারা পেয়েছেন শুধুমাত্র তাওহিদ এবং বলার অপেক্ষা রাখেনা তাওহীদই তাদের সফলকাম হয়ে জান্নাতে প্রবেশের জন্য যথেষ্ট ছিল।
সূত্র: তওহীদ জান্নাতের চাবি পৃ:১০
খালিদ বিন ওয়ালিদ রা: নিয়ে সমালোচনা
মক্কা বিজয়ের দিন খালেদ বিন ওয়ালিদ ভুল করে কিছু লোককে হত্যা করে ফেলেন। খবর জানতে পেরে নবীজি আল্লাহর দরবারে নিজেকে এই ঘটনার সাথে অসম্পৃক্ত বলে ঘোষণা করেন এবং খালেদ বিন ওয়ালিদের জন্য আল্লাহর কাছে পানাহ চান। তারপর নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করেন এবং তাদের কাছে ক্ষমা চান।
সূত্র: ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে পৃষ্ঠা-৩৪
জনৈক সাহাবীর আত্মহত্যা
একজন সাহাবী যুদ্ধে মারাত্মকভাবে আঘাত প্রাপ্ত হলে তিনি সহ্য করতে না পেরে মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করার জন্য তার হাতের ধমনী কেটে দেন। যদি একে সম্পূর্ণরূপে আত্মহত্যা বলা যায় না, তবুও রসুলুল্লাহ প্রকাশ্যে ঘোষণা দিলেন ঐ সাহাবী জাহান্নামী। যেন আত্যহত্যার কথা তার উম্মাহ চিন্তাও না করে।
সূত্র: শোষণের হাতিয়ার পৃ:৩৩

খলিফাদের ভাতা

এটা ইতিহাস যে ইসলামের প্রাথমিক যুগে শিক্ষকগণ বিনা পারিশ্রমিকে শিক্ষাদান করতেন। পরবর্তীতে ইসলাম কিছুটা বিকৃত হয়ে গেলে শিক্ষকগণকে তাদের সাংসারিক খরচ বাবদ বায়তুল মাল থেকে ভাতা দেওয়া হতো।
সূত্র: শিক্ষাব্যবস্থা পৃ:৫-৬

জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে হবে

জ্যামিতিক হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি মানব জাতিকে ধ্বংসের কিনারায় এনে পৌঁছে দিয়েছে।”
সূত্র: গণমাধ্যমের করণীয় পৃ:৩৭
  “জনসংখ্যার আধিক্য, অসম বন্টন আর সম্পদের স্বল্পতা মানুষের আত্মাকে বিনষ্ট করে দেয়। যারা কোনদিন চুরি করেনি তারা হয়ো ওঠে চোর, যারা কোনোদিন খুন-খারাবির কথা কল্পনাও করেনি তারাও সন্তান-সন্ততিদের জন্য এই কাজটি করে।”
সূত্র: গণমাধ্যমের করণীয় পৃ:৩৭
  “জনসংখ্যার আধিক্য সমানুপাতিক ভাবে মানুষের ভয়ঙ্কর স্বাস্থ্য সংকট সৃষ্টি করে। আত্মার ধ্বংস, সম্পদের ধ্বংস,স্বাস্থের ধ্বংস, জলবায়ুর ধ্বংস সবমিলিয়ে মানবজাতির অস্তিত্ব এখন সংকটে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের আগে নাকি ধরণী পরম ব্রাম্মার নিকট আবেদন করেছিল যে, মানুষ আর মানুষের পাপের বোঝা এত বেড়ে গেছে যে আমি আর সইতে পারছি না। তখন কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ সংঘটিত হয় যাতে ১৮ অক্ষৌহিণী সেনা নিহত হয়। বিগত শতাব্দীতে দুটো বিশ্বযুদ্ধে ১১ কোটি মানুষ হত্যা করে পশ্চিমা সভ্যতা পৃথিবীর ভার কমিয়েছে  তারপরে আরো অর্ধকোটি মানুষকে তারা নানা যুদ্ধে হত্যা করেছে। এখনো পৃথিবী চিৎকার করে প্রভুর কাছে ভার কমানোর জন্য ক্রন্দন করছে।”
সূত্র: গণমাধ্যমের করণীয় পৃ:৩৮

সহশিক্ষা ইসলামসম্মত

নারীরা মহানবীর সামনাসামনি বসে আলোচনা শুনতেন, শিক্ষা গ্রহণ করতেন, মহানবীকে প্রশ্ন করে জরুরি বিষয় জেনে নিতেন। অনেক জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরামর্শ দিতেন। এ সময়ে মহানবী ও মেয়েদের মাঝে কোনো কাপড় টাঙ্গানো ছিল এই ব্যাপারে কেউ কোন দলিল দেখাতে পারবে না”
সূত্র: আসুন সিস্টেমটাকে পাল্টাই পৃষ্ঠা-১৩
তারা আরো স্পষ্ট করে লিখেছেন,
 “তার সামনে বসে নারী-পুরুষ উভয়ই শিক্ষা অর্জন করতেন কাজেই প্রকৃত ইসলামের নারী পুরুষ উভয়েই একই সঙ্গে শিক্ষা অর্জন করবে।”
সূত্র: শিক্ষাব্যবস্থা পৃষ্ঠা-৬
মানব জাতির মহান শিক্ষক নবী করিম (দ:) এর সামনে বসে নারী-পুরুষ উভয় শিক্ষা অর্জন করতেন, কাজেই প্রকৃত ইসলামেও নারী-পুরুষ উভয়ই শিক্ষকের সামনে বসে শিক্ষা অর্জন করবেন (Co-education System)।
সূত্র: চলমান সংকট নিরসনে হেযবুত তওহীদের প্রস্তাবনা পৃষ্ঠা-৮

মুসলিমরা কালিমা বিচ্যুত

মুসলিম বলে পরিচিত জাতিটি কালেমা থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান ছোট পৃ:২

বর্তমানে কেউ উম্মতে মুহাম্মাদী নয়

তাঁরা তাঁর ওফাতের পর ৬০/৭০ বছর পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন এবং ঐ ৬০/৭০ বছর পর বিশ্বনবীর সাক্ষাৎ সঙ্গীরা (রা.) শেষ হয়ে যাবার পরই পৃথিবীতে এই দীন প্রতিষ্ঠার সশস্ত্র সংগ্রাম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।এই সংগ্রাম যেই মূহুর্তে বন্ধ হলো জাতি হিসাবে ত্যাগ করা হলো সেই মূহুর্ত থেকে জাতি হিসাবে প্রকৃত উম্মতে মোহাম্মাদী শেষ হয়ে গেল।’
সূত্র: আকীদা-১৬

     ‘আমরা যতই নামাজ পড়ি,রোজা রাখি,যতই হাজার রকম এবাদত করি,যতই মুত্তাকী হই,আমরা মো’মেন নই,মুসলিম নই,উম্মতে মোহাম্মদী তো প্রশ্নই ওঠে না।’
সূত্র: এসলামের প্রকৃত রুপরেখা পৃ:১১/১৩/৪৫

‘দুর্ভাগ্যবশত বিশ্বনবীর ওফাতের ৬০/৭০ বছর পর ইবলিস এই উম্মাহর আকিদায় বিকৃতি ঢুকিয়ে দিতে সমর্থ হল। যার ফলে এই জাতি আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ ও ঐ ৫ দফা কর্মসূচী দু’টোই ত্যাগ করে ইসলাম ও উম্মতে মোহাম্মদীর দু’টো থেকেই বহিষ্কৃত হয়ে গেল।’
সূত্র: এসলামের প্রকৃত রুপরেখা-৪৮

সকল মুসলিমদের আকীদা বিকৃত হয়ে গেছে

আকিদার বিচ্যুতির কারণে, দীন নিয়ে বাড়াবাড়ি ও তার ফলে অনৈক্য করতে করতে এই জাতি সত্যের মহাসড়ক থেকে বহু আগেই বিকৃত হয়ে মিথ্যার অন্ধকার অলিগলিতে ঢুকে পড়েছে।
সূত্র: তাওহীদ জান্নাতের চাবি পৃ:২৮

বর্তমান পৃথিবীতে কেউ মুসলিম বা মুমিন নয়

এই বিকৃত বিপরীতমুখী এসলামটিকেই ধর্মব্যবসায়ী আলেম,মোল্লা,পীর,মাশায়েখ শ্রেণী বিক্রি কোরে খাচ্ছে। এটা আল্লাহর এসলাম নয় তাই এর অনুসারীরাও মোসলেম নয়।’
সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:৭৫

     ‘আমি যদি এটা প্রমাণ কোরতে সক্ষম হোই যে, বর্তমানে প্রচলিত এসলাম আল্লাহর নাযেলকৃত ‘এসলাম’ নয়, তাহলে যারা অনুসারী তারাও প্রকৃত মোসলেম নয়,প্রকৃত মো’মেনও নয়।’
সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:৭২/৮৪
এসলামের প্রকৃত রুপরেখা-৯

এই মোসলেম দাবিদার জনগোষ্ঠীর জাগতিক হীনতা, অপমান, লাঞ্ছনার একমাত্র কারণ, তারা আল্লাহর দৃষ্টিতে মোমেন নয়। তার আল্লামা হতে পারেন, মুফতি হতে পারেন, মহাশিক্ষিত, মহা বুযুর্গানে দীন হতে পারেন, কিন্তু তারা মোমেন নয়। তারা বহু আগেই তাদের দীন হিসাবে ইসলামকে ত্যাগ করে পাশ্চাত্য নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করে নিয়েছে এবং তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
সূত্র: ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে পৃ:৫৩

বর্তমানের সমস্ত মুসলমান কাফের-মুশরিক

     ‘তওহীদ থেকে বিচ্যূত হোয়ে পুরো মানবজাতি কার্য্যত কাফের এবং মোশরেকে পরিণত হোয়েছে।’
সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা পৃ:২৩
এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:৬৫/৮১/৮৬/১০৪

      ‘এই মোসলেম দাবিদার জনসংখ্যাটি তাদের জাতীয় জীবনে কেউ গণতন্ত্র,কেউ সমাজতন্ত্র,কেউ রাজতন্ত্র,কেউ একনায়কতন্ত্র ইত্যাদি তন্ত্র-মন্ত্র,ism,cracy ইত্যাদি মেনে চোলছে অর্থাৎ আল্লাহর সার্বভৌমত্ব বাদ দিয়ে ঐ সমস্ত তন্ত্রমন্ত্রের সার্বভৌমত্ব মানছে,এভাবে তারাও কার্যতঃ (Defacto) মোশরেক ও কাফেরে পরিনত হোয়েছে।’
সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:৭৯/১৩৮

     ‘১৫০ কোটির এই জনসংখ্যাটি যারা নিজেদেরকে কেবল মো’মেন, মোসলেমই নয় একেবারে উম্মতে মোহাম্মাদী বোলে দাবি কোরে থাকে তারা যে কার্যত কাফের ও মোশরেক তা আমার কথা নয়, এ কথা স্বয়ং আল্লাহর।’
সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:৮৩

‘মোমেন মোসলেম দাবিদার ১৫০ কোটি এ জনসংখ্যা যে প্রকৃত পক্ষে মো’মেন,আল্লাহ রসুলের দৃঢ় বিশ্বাস ও বহু আমল সত্ত্বেও তারা আল্লাহর দৃষ্টিতে মোশরেক এবং কাফের।’
এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:১০৮

আমি যে পৃথিবীর দেড়শো কোটি মানুষকে কার্যতঃ মোশরেক ও কাফের বলছি আমার এ কথার গুরুত্ব ও দায়ীত্ব সম্পর্কে আমি সম্পূর্ণ সচেতন।
সূত্র: এ জাতির পায়ে লুটিয়ে পড়বে বিশ্ব পৃ:১১

এই জনসংখ্যাটি যদি সত্যিই মোমেন মোসলেম ইত্যাদি হয়ে থাকে, তাহলে কোরআনের অনেক আয়াত মিথ্যা হয়ে যায়। যা সম্পূর্ণ অসম্ভব। আল্লাহ ওয়াদা করেছেন, তোমরা যদি মোমেন হও তবে পৃথিবীর কর্তিত্ব তোমাদের হাতে দেবো, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের দিয়েছিলাম। তার ওয়াদা যে সত্য তার প্রমাণ নিরক্ষর, চরম দরিদ্র, সংখ্যায় মাত্র পাঁচ লাখের উম্মতে মোহাম্মদীর হাতে পৃথিবীর কর্তিত্ব তুলে দিয়েছিল। প্রশ্ন হলো- আমরা নিজেদের মোমেন বলে দাবী করি,তাহোলে  আল্লাহর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পৃথিবীর কর্তৃপক্ষ আমাদের হাতে নেই কেন? সেই সর্বশক্তিমান কি তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে অসমর্থ?
সূত্র: এ জাতির পায়ে লুটিয়ে পড়বে বিশ্ব পৃ:১১

সেই সর্বভৌমত্ত তওহীদ যেমন পৃথিবীর কোন জাতির মধ্যে নেই, তেমনি এই তথাকথিত মুসলিম জাতির মধ্যেও নেই। অন্য সব ধর্ম ও জাতি যেমন এবং যতখানি বহুত্ববাদের, শিরক, কুফর ও নাস্তিক্য ডুবে আছে। এই জাতিও ততখানি ডুবে আছে। অন্য ধর্মের মানুষগুলোর মত এই ধর্মের মানুষগুলোও বুঝছেনা, কেমন করে তারা আর মুসলিম নেই।
সূত্র: এ জাতির পায়ে লুটিয়ে পড়বে বিশ্ব পৃ:২৮

এই কোরআনের কিছু মানা আর কিছু না মানাই হল শেরেক… সুতরাং এই জাতি আল্লাহর কোরআনের কিছু অংশ মানা আর কিছু অংশ না মানার কারণে কার্যত মোশরেক হয়ে আছে।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান পৃ:৭

জেনে রাখুন আল্লাহর হুকুম না মানার কারনে এরা সবাই ইসলাম থেকে বহিস্কার হয়ে গেছে এবং পুরো মানবজাতিকে কাফের মোশরেক হয়ে গেছে।
সূত্র: শোষণের হাতিয়ার পৃ:৪৯

তাদের (মুসলিমদের) মোকাম্মেল ঈমান থাকা সত্ত্বেও কাফের-মোশরেক হয়ে আছে।
সূত্র: শোষণের হাতিয়ার পৃ:৮৬

বর্তমানের মুসলিম জাতি গলিত লাশ যা শুধু দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে

‘অর্ধেক দুনিয়া জুড়ে ১৫০ কোটিরও বেশি উম্মতে মুহাম্মাদীর দাবিদার এ জাতি বিরাট এক গলিত লাশের ন্যায় পড়ে আছে, কোন কাজেই আসছে না, শুধু গন্ধ ছড়াচ্ছে।’
সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-৫৯/৬০

দুনিয়াময় মুসলিম নামক ১৫০ কোটি জনসংখ্যা যাদেরকে আল্লাহ কোরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি বলেছেন, যাদেরকে আল্লাহ মনোনীত করেছেন দুনিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য, আজ তারা নিজেরাই অন্যায় অবিচার যুদ্ধ হানাহানি রক্তপাত দারিদ্র্য অশিক্ষা অশান্তিতে নিমজ্জিত হয়েছে সর্বদিক থেকে সর্বনিকৃষ্ট জাতিতে পরিণত হয়েছে। অথচ তাদের আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস আছে, কুরআনের প্রতি বিশ্বাস আছে, নামাজ পড়ে,হজ্ব করে, দাড়ি, টুপী, পাগড়ী সবই আছে। শুধুমাত্র ইসলাম সম্পর্কে প্রকৃত আকীদা অর্থাৎ উদ্দেশ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের প্রক্রিয়া প্রশিক্ষণ সম্বন্ধে অন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে এই মহান জাতি আটলান্টিক তীর থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত প্রায় অর্ধ পৃথিবীতে মৃত লাশের মত পড়ে আছে।
সূত্র: এ জাতির পায়ে লুটিয়ে পড়বে বিশ্ব পৃ:২৫/৭৪

আলেমদের মেনে আল্লাহর বিধান লঙ্ঘন করছে

বর্তমানে সমগ্র মুসলিম বিশ্ব ধর্মব্যবসায়ীদের আনুগত্য করে আল্লাহর হুকুমকে লঙ্ঘন করে চলেছে।
সূত্র: ধর্ম ব্যবসার ফাঁদে পৃষ্ঠা-২৭

আল্লাহর দৃষ্টিতে তারা (মুসলিম দাবিদার জনগোষ্ঠী) কাফেরে পরিণত হয়েছে এই সত্যটি আলেম সাহেবেরা মানুষকে বুঝতে দেন না পার্থিব স্বার্থে গোপন রাখেন।
সূত্র: ধর্ম ব্যবসার ফাঁদে পৃষ্ঠা-৩৮

মুসলিমদের অন্তরে মোহর

তাদের (মুসলিমদের) হৃদয়ে মোহর, চোখে পর্দা, কানে তালা।
সূত্র: ধর্ম ব্যবসার ফাঁদে পৃষ্ঠা-১১০

বর্তমানের সমস্ত মুসলমান আবু জেহেল,আবু লাহাব,ওতবা,শায়বার মত:

      ‘রসুলুল্লাহর সমসাময়িক সময়ের যাদেরকে আমরা কাফের মোশরেক বোলে জানি, অর্থাৎ আবু জেহেল, আবু লাহাব,ওতবা,শায়েবা তাদের ধর্মীয় অবস্থা বর্তমান মোসলেম দাবীদারদের থেকে মোটেই আলাদা নয়।’
সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:৭৭
এসলামের প্রকৃত রুপরেখা-৫৮

কোরায়েশ পুরোহিতগন মূর্তিপূজারী হওয়া সত্বেও তাদের এই ঈমান ছিল যে, এই বিশ্বজগতের স্রষ্টা আল্লাহ একজনই এবং তাদের ঈমান বর্তমানে যারা নিজেদেরকে মোমেন মোসলেম বলে দাবি করে তাদের চেয়ে কোন অংশে দুর্বল ছিল না।
সূত্র: এ জাতির পায়ে লুটিয়ে পড়বে বিশ্ব পৃ:১০

বর্তমানে মোমেন মুসলিম হবার দাবিদার কোন দেশের একক ওপরে লিপ্ত তা নিঃসন্দেহে চৌদ্দশ বছর আগের আরব দেশের উপর কুকুরের চেয়েও নিকৃষ্টতর।
সূত্র: এ জাতির পায়ে লুটিয়ে পড়বে বিশ্ব পৃ:১১

বর্তমানের মুসলিম জাতি আল্লাহ কর্তৃক লানতপ্রাপ্ত

   ‘লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে এই যে, আল্লাহ উম্মতে মুহাম্মাদীকে তাঁর নির্বাচিত, নেয়ামতপ্রাপ্ত জাতি থেকে একটি অভিশপ্ত (মালাউন) জাতিতে পরিণত করলেন, তা কিন্তু এই জাতি বুঝতে পারল না।
সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-৬০

   ‘আর কত রক্ত ঝরলে এই জাতি বুঝবে যে তারা মোমেনের সংজ্ঞা থেকে বহিষ্কৃত হোয়ে গেছে, আজ তারা আল্লাহর লানতের পাত্র।’
সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:৮৩

বর্তমানের মুসলিম জাতি ইয়াহুদীদের চেয়েও অভিশপ্ত

    ‘এই জাতি এখন আল্লাহর লা’নতের ও গযবের বস্তু,এর অবস্থা এখন অতীতের অভিশপ্ত ইহুদী জাতির চেয়েও নিকৃষ্ট।’
সূত্র: এসলামের প্রকৃত রুপরেখা পৃ:১৩
এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:৮৩
ইসলামের প্রকৃত সালাহ-৬০

    ‘আল্লাহ লানত দেবার পর ইহুদীদের ভাগ্যে যা ঘটেছিল আজ মুসলিম নামের এই জাতিটির ওপর ঠিক তাই ঘটছে।’
সূত্র: এসলামের প্রকৃত রুপরেখা পৃ:১২/১৩

মুসলিমরা মালাউন

আল্লাহ দৃষ্টিতে তারা (মুসলিমরা) কাফের মুশরিক এবং অভিশপ্ত মালাউন।
সূত্র: শ্রেনীহীন সমাজ পৃ:১৪৮

বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের উপর নির্যাতন এটা তাদের ঈমানী পরীক্ষা নয়, এটা অভিশাপ ও গজব।
সূত্র: ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে পৃ:৫১

এটা পরীক্ষা নয়, শাস্তি। মুমিনদের আল্লাহ শাস্তি দেন না, আজাব দেন না, গজব দেন না। মুমিনদের প্রতি তিনি সদয়, করুণাময়, ক্ষমাশীল।
সূত্র: ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে পৃ:৫৩

মুসলিমরা আবর্জনা

বর্তমানের এই ১৬০ কোটি মুসলিম নামধারী এই জনগোষ্ঠীকে রসূলুল্লাহ বলেছেন ভেসে যাওয়া আবর্জনা।
সূত্র: ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে পৃ:৫৪

বর্তমানের মুসলিম জাতির এবাদত নিরর্থক

    ‘সারা শরীরে আল্লাহর অভিশাপের ছাপ নিয়ে যে নামাজ,রোজা,এবং আরও হাজার রকমের এবাদত করা হচ্ছে তা আল্লাহর দরবারে কবুল হচ্ছে মনে করে আমরা আহাম্মকের স্বর্গে বাস করছি।
সূত্র: এসলামের প্রকৃত রুপরেখা-১৩

    ‘অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের মতই তাদের সমস্ত আমল আজ নিস্ফল,নিরর্থক।
সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-৬০

‘পরিহাসের বিষয় হচ্ছে- আল্লাহর ভাষায় কার্যত কাফের, জালেম, ফাসেক হবার পরেও ব্যক্তিজীবনে আমরা খুব আমল করে যাচ্ছি, নামাজ পড়তে পড়তে কপালে কড়া ফেলে দিচ্ছি, আর ভাবছি- খুব বোধহয় সওয়াবের কাজ করে ফেলছি, মহান আল্লাহ কতই না খুশি হচ্ছেন। এই ঈমানহীন আমল যে আল্লাহ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে আমাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন সেটা বোঝার সাধারণ জ্ঞানটাও আমাদের লোপ পেয়েছে।’
সূত্র: তওহীদ জান্নাতের চাবি-২২

বর্তমানের সকল মুসলমানের ইবাদত অন্যান্য ধর্মের মত

আজকের আমাদের যত আমল সব তাওহীদহীন আমল, আমাদের তাকওয়া হেদায়াহহীন তাকওয়া, যার সাথে অন্যান্য ধর্মের মানুষের উপাসনা অরাধনার বিশেষ পার্থক্য নেই।
সূত্র: তাওহীদ জান্নাতের চাবি পৃ:২৪

বর্তমানের সকল মুসলমান জাহান্নামী

     ‘এই দুনিয়াতে তিনি যেমন মাফ করছেন না,অন্যান্য জাতিগুলো দিয়ে নিষ্পেষিত করে কঠিন শাস্তি দিচ্ছেন,ঐ দুনিয়াতে এই জাতিকে এর চেয়ে কঠিন শাস্তি দেবেন।’
সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-৪২

জীবনের সর্বাঙ্গনে আল্লাহর হুকুমকে প্রত্যাখ্যান করে মানুষের হুকুম মেনে নিয়ে মানব জাতি আজ বক্রপথে চলছে, তাদের নিশ্চিত গন্তব্য জাহান্নাম।
সূত্র: বিকৃত সুফিবাদ পৃ:৩৬

দাজ্জালের দাবি সমস্ত মানবজাতি মেনে নিয়েছে, এমনকি মোসলেম হবার দাবীদার জাতীটিও মেনে নিয়ে দাজ্জালের পায়ে সেজদাবনত হয়ে দাজ্জালের জাহান্নামে পড়ে আছে।
সূত্র: মহাসত্যের আহ্বান ছোট পৃ:৬/১০

স্রষ্টা প্রদত্ত সেই সিস্টেমকে অবজ্ঞা ও উপেক্ষা করে মানবজাতি একদিকে যেমন চরম অন্যায় অশান্তির আগুনে পুড়ছে  অপর দিকে আল্লাহর দৃষ্টিতে কাফের-মুশরিক হওয়ার ফলে পরকালের অনন্ত কাল জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হবে।
সূত্র: প্রস্তাবনা পৃ:২/৮

নামাজ নিয়ে মন্তব্য:

জেহাদ ছাড়া নামাজের কোন দাম নেই

   ‘কাজেই জেহাদ,প্রচেষ্টা,সংগ্রাম যদি বাদ দেয়া হয় তবে সালাহ অর্থহীন,অপ্রয়োজনীয়; যেমন যেকোন সামরিক বাহিনী যদি যুদ্ধ করা ছেড়ে দেয় তবে প্যারেড,কুচকাওয়াজ করা যেমন অর্থহীন, যেমন ছাদ তৈরি করা না হলে থাম,খুঁটি অর্থহীন।’
সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-৩০/৬৬

নামাজ ও নামাজের উদ্দেশ্য বিকৃত হয়ে গেছে

     ‘ ইবলিসের প্ররোচনায় সঠিক,প্রকৃত ইসলামের আকীদা বিকৃত ও বিপরীতমুখী হয়ে যাওয়ার ফলে ইসলামের প্রকৃত সালাহ ও তার উদ্দেশ্যও বিপরিত হয়ে গেছে।’
সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-৫৪

     ‘সালাহ চরিত্র গঠণের মুখ্যত দুর্ধর্ষ,অপরাজেয় যোদ্ধার চরিত্র গঠণের প্রশিক্ষণের প্রক্রিয়া; এই আকীদা বদলে একে অন্যান্য ধর্মের মতো এবাদতের,উপাসনার শুধু আত্মিক উন্নতির প্রক্রিয়া বলে মনে করার ফলে আজ সেই যোদ্ধার চরিত্র গঠণ তো হয়ই না এমন কি সালাতের বাহ্যিক চেহারা পর্যন্ত বদলে গেছে।’
সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-৩২/৪২/৪৩

নামাজ কোন ইবাদত নয়

    ‘আকিদার বিকৃতির কারণে সালাহ-কে শুধু একটি এবাদত,একটি আত্মশুদ্ধির প্রক্রিয়া হিসাবে নেয়া যে কতখানি আহম্মকী তার কয়েকটি কারণ পেশ করছি।’
সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-২২/২১/৫৬/৬২

নামাজ প্রশিক্ষণ-ট্রেণিং

     ‘ঐ জেহাদ ও কেতাল করে জয়ী হওয়ার মত চরিত্র গঠণের জন্য, প্রশিক্ষণেরর জন্য ফরদ করে দিলেন সালাহ্।’
সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-৫৫

     ‘ঐক্যবদ্ধ,সুশৃঙ্খল ও সুশিক্ষিত জাতি ও বাহিনী ছাড়া কোন সংগ্রাম,সশস্ত্র সংগ্রাম সম্ভব নয় তাই ঐক্য ও শৃঙ্খলা শিক্ষার প্রক্রিয়া হলো সালাত (নাময)।কিন্তু (সালাত)নামায উদ্দেশ্য নয়, উদ্দেশ্য অর্জনের প্রক্রিয়া মাত্র।’
সূত্র: আকিদা পৃ:৮
ইসলামের প্রকৃত সালাহ-৪৩/৪৬/৫৪
এসলামের প্রকৃত রুপরেখা-৫৪

     ‘সালাতের মুখ্য ও মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সুশৃঙ্খল,নেতার আদেশ পালনে আগুনে ঝাঁপ দিতে তৈরি দুর্ধর্ষ,অপারেজেয় যোদ্ধার চরিত্র সৃষ্টি।’
সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-২৯

    ‘সালাতের দৃশ্য পৃথিবীতে আর একটি মাত্র দৃশ্যের সঙ্গে মিলে, আর কিছুর সাথেই মিলে না,আর সেটা হচ্ছে পৃথিবীর যেকোন বাহিনীর কুচকাওয়াজের সঙ্গে।’
সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-২১

    ‘ঐক্য-শৃঙ্খ্যলা-এতায়াত (আদেশ পালন) ও হেজরত, এই সামরিক গুনগুলো অর্জনই সালাতের প্রাথমিক উদ্দেশ্য।’
ইসলামের প্রকৃত সালাহ-৪১

     ‘যে কারণে একটি সামরিক বাহিনীর প্যারেড, কুচকাওয়াজ করার সময় তাদের পোষাক পরিচ্ছদ অর্থাৎ ইউনিফর্ম একই রকম, ইস্ত্রি করা পরিস্কার হওয়া বাধ্যতামূলক, ঠিক সেই কারণেই মসজিদে সালাতের সময় জাক-জমকপূর্ণ পোষাক পরার জন্য আল্লাহর এই হুকুম।’
সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-৩৮

বর্তমানের নামাজ মরা নামাজ

    ‘ঐ সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণের সালাহ আজ নুজ্ব,বাকা লাইনের; বাঁকা পিঠের মুসল্লি ও এমামদের মরা সালাহ।’
সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-৩২

   ‘এখন বর্তমান সমস্ত মুসলিম দুনিয়াতে এই প্রাণহীন নামায পড়া হয়, সালাহ কায়েম করা হয় না।’
সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-৫৬

     ‘আল্লাহর এবং রসুলের কথার কষ্ঠিপাথরে বিচার করলে আজ সমস্ত পৃথিবীর সালাহ্ হতভাগ্য,অভিশপ্তদের সালাতের মত।’
সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-৫৬

নামাজ জান্নাতের চাবি নয়
সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-৫৭

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.