Home > ডকুমেন্টারি > হেযবুত ডকুমেন্টারি-২

হেযবুত ডকুমেন্টারি-২

নামাজের সিস্টেম।
১. নামাজ দ্রুত গতিতে পড়তে হবে।
‘যেহেতু মূলত সালাহ সামরিক প্রশিক্ষণ সেহেতু এর চলন (Muvenent) দ্রুত হতে বাধ্য।’
সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-২৫

২. তাকবিরে উলার সময় হাতের বুড়া আঙ্গুল কানের লতিতে স্পর্ষ করতে হবে।
‘সোজা হয়ে দাড়ানোর পর দুই হাত উঠিয়ে দুই বুড়া আঙ্গুল দুই কানের লতিতে স্পর্শ করাতে হবে এবং দুই হাতের তালু কোনাকোনি ভাবে কেবলার দিকে রাখতে হবে।’
সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-৪৯

৩. নামাজে দাড়ানো অবস্থায় বাম হাত মুষ্টিবদ্ধ রাখতে হবে।
‘বাম হাতও দৃঢ়ভাবে মুষ্ঠিবদ্ধ থাকবে।’
সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-৫০

৪. নারী পুরুষের নামাজের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই।
‘ইবলিসের প্ররোচনায় সঠিক,প্রকৃত ইসলামের আকীদা বিকৃত ও বিপরীতমুখী হয়ে যাওয়ার ফলে ইসলামের প্রকৃত সালাহ ও তার উদ্দেশ্যও বিপরিত হয়ে গেছে। এর অন্যতম হলো- পুরুষ ও নারীর সালাহকে ভিন্ন করে দেয়া হয়েছে। মেয়েদের সালাতের প্রক্রিয়া থেকে কিছুটা অন্যরকম করে দেয়া হয়েছে; যেমন বুকের উপর হাত বাধা,সাজদার সময় মেঝের সাথে মিশে থাকা ইত্যাদী।কিন্তু প্রকৃত ইসলামের সালাতে পুরুষ -নারীর প্রক্রিয়ার কোন তফাৎ নেই,উভয়ের একই রকম।’
সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-৫৪

হজ্ব নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি:

হজ্ব কোন ইবাদত নয়, মুসলিমদের বাৎসরিক সম্মেলন।

    ‘মনে রাখতে হবে সেই হজ্ব কিন্তু বিকৃত আকীদার আধ্যাত্মিক সফর বা তীর্থযাত্রা ছিল না, সেটা ছিল উম্মাহর বাৎসরিক মহাসম্মেলন।

সূত্র: আসুন সিস্টেমটাকেই পাল্টাই-১৪

রোজা নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি:

আসল রোজা নষ্ট হয়ে গেছে অনেক আগেই।

     ‘কিন্তু রোজা নষ্ট হয়ে গেছে বহু আগে।’

সূত্র: সওমের উদ্দেশ্য-১০

চরিত্র ঠিক না হলে রোজা রেখে লাভ নেই

    ‘সওম তাদেরই হবে যারা মানবতার মুক্তির জন্য সংগ্রামের উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ হবে। তাদের জাতির সামগ্রিক লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রতিটি সদস্যের ব্যক্তিগত চরিত্রের প্রশিক্ষণ হল সওম। যারা ঐ নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ঐক্যবন্ধ নয় তাদের সওম অর্থহীন।’

সূত্র: সওমের উদ্দেশ্য-১১

   ‘সওমের দ্বারা যে আল্লাহর হুকুম মান্য করা শিখবে না, তার সওম রাখা না রাখা সমান কথা। বর্তমানে সমগ্র মুসলিম বিশ্বে আজ এটাই হচ্ছে।’

সূত্র: সওমের উদ্দেশ্য-১৬

রোজা না রাখলে শাস্তি নেই

   ‘আল্লাহ মানুষকে কষ্ট দিতে চান না, পরিশুদ্ধ করতে চান। তাই তিনি ইসলামের ভিতরে যে কোন বাড়াবাড়ি কে হারাম করেছেন। সওম না রাখার জন্য তিনি কাউকে জাহান্নামে দিবেন বা শাস্তি দিবেন এমন কথা কোর’আনে কোথাও নেই।’

সূত্র: সওমের উদ্দেশ্য-১২

যোদ্ধা না হলে সে মুসলমান নয়

এই দীনের মধ্যে প্রবেশ করতেই একজন মানুষকে যোদ্ধা হতে হবে,যোদ্ধা না হয়ে কেউ এই দীনে প্রবেশই করতে পারবে না।অর্থাৎ যে যোদ্ধা নয় এই দীনুল ইসলামের একজন প্রথমিক সদস্য হওয়ারও যোগ্যতা তার নেই।’

সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-১৮/৪৭ এসলামের প্রকৃত রুপরেখা-১০/৪০

আল্লাহর রসুলের ইসলাম যে জাতি গঠন করেছিল সে জাতির চরিত্রের সর্ব প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল যোদ্ধার চরিত্র, তার প্রমাণ জাতির নেতা আল্লাহর রসুল (দ.) সহ সমস্ত জাতির মধ্যে এমন একটা লোকও বোধ হয় খুঁজে পাওয়া যেত না যার শরীরে অস্ত্রের আঘাত নেই। বর্তমানের ইসলাম যে জাতি গঠন করে তার চরিত্রের সর্ব প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কাপুরুষতা।ছোট-বড় সমস্ত রকম সংঘর্ষ, বিপদ আপদ থেকে পলায়ন। যে যত বেশি ধার্মিক সে ততো বেশি কাপুরুষ; এদের গায়ে সুচের খোঁচারও দাগ নেই।

সূত্র: এসলামের প্রকৃত রুপরেখা-১৭

যিনি যতবড় আলেম তিনি ততবড় যোদ্ধা

যিনি যত বড় আলেম হবেন তিনি ততবড় যোদ্ধা হবেন।’

সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:৪০

যিনি যতবড় মুমিন তিনি ততবড় যোদ্ধা

‘এ জাতির (সাহাবায়ে কেরাম) মধ্যে কোনো পুরোহিত শ্রেণী ছিল না, সবাই ছিলেন যোদ্ধা।যিনি যতবড় মো’মেন তিনি ছিলেন ততবড় যোদ্ধা।

সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:২৬

এসলামের প্রকৃত রুপরেখা-৭/৩৮/৬১

জিহাদ আত্মরক্ষামূলক নয় বরং আক্রমানত্মক

ইসলামের জিহাদ আত্মরক্ষামূলক নয় বরং প্রচন্ডভাবে আক্রমানত্মক।

সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-৪৫/৪৬

উম্মতে মোহাম্মাদী যত যুদ্ধ করেছিলো সব রাষ্ট্রদখল করে দীন প্রতিষ্ঠার জন্য

সূত্র: আসুন সিস্টেমটাকেই পাল্টাই-১৭

অস্ত্রের সাথে সম্পর্ক না থাকলে সে জান্নাতে যেতে পারবে না

যে মো’মেনের (ঈমানদারের) তলোয়ারের অর্থাৎ অস্ত্রের সঙ্গে সম্পর্ক নেই তিনি কোনো দরজা দিয়েই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন না। এ ব্যাপারে লিখতে গেলে শেষ নেই।’

এসলামের প্রকৃত রুপরেখা-৪০

আল্লাহর রসুলের ইসলাম নির্জনবাসি কামেল সুফী সাধক ওয়ায়েস করনী (রা.) কে নির্জনবাস থেকে বের করে এনে তলোয়ার হাতে যুদ্ধক্ষেত্রে শহীদ করেছিল। আর বর্তমানের এই ইসলাম যোদ্ধার হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নিয়ে তার হাতে তসবিহ ধরিয়ে দিয়ে মসজিদে আর খানকায় বসিয়ে দেয়।’

এসলামের প্রকৃত রুপরেখা-১৬

জিহাদ না করলে সে কাফের

জেহাদ না করলে সে কাফের,মোশরেক ও যতই ইবাদত করুক সে জাহান্নামী।

সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-১৬

যারা সেই কাজ অর্থাৎ জেহাদ চালিয়ে যাবে না তারা যত বড় মুসল্লি হোন যতবড় মুত্তাকি, আলেম, দরবেশ, পীর-মাশায়েখ হোন না কেন উম্মতে মোহাম্মদী নন। হাশরের দিন তাঁর উম্মত হিসাবে রসুলের সাফাতের উপর তাদের কোনো দাবি থাকবে না।’

এসলামের প্রকৃত রুপরেখা-৩৯

জেহাদ ত্যাগ করার কারণে এই জনসংখ্যা বহু আগেই মোমেনের সংজ্ঞা থেকে বহিষ্কার হোয়ে গেছে।’

এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:১০৮/১০৫ সূত্র: আকীদা-১৮

মুজাহিদদের মর্যাদা নবিদের চেয়েও বেশী

তওহীদের ওপর ইসলামে ঈমানের পরই শ্রেষ্ঠ আমল ঐ তওহীদ প্রতিষ্ঠার জেহাদ বলেই তার পুরস্কার আল্লাহ রেখেছেন ইসলামের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ও সম্মান যে পুরস্কার ও সম্মান কয়েকটি বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর নবীদেরও ছাড়িয়ে গেছে।’

এসলামের প্রকৃত রুপরেখা-৩৯/৪১/৪৯

ইসলাম প্রতিষ্ঠার একমাত্র নিতি হলো যুদ্ধ

দীনুল হককে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করাে নীতি হচ্ছে সামরিক, অর্থাৎ জেহাদ,কেতাল।আল্লাহ নীতি হিসাবে যুদ্ধকে নির্ধারণ করেছেন বলেই তাঁর নির্দেশে তাঁর রসুল মাত্র সাড়ে নয় বছরের মধ্যে কম করে হলেও ৭৮ টি যুদ্ধ করেছেন।’

সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-১২/১৬/৬২

ইসলাম নিয়ে মন্তব্য

প্রচলিত ইসলাম আসল ইসলাম নয়।

বর্তমানে আমরা যে ধর্মটিকে এসলাম হিসাবে দেখছি,যেটাকে ধর্মপ্রাণ মানুষষ অতি যত্নসহকারে পালন করার চেষ্টা কোরছেন,যে এসলামটাকে সর্বত্র স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় ও পীরের খানকায় শেখানো হোচ্ছে সেটা প্রকৃত এসলাম নয়।’

সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:৯/৬৭

আসল ইসলাম হারিয়েছে গেছে ১৩০০ বছর আগে

‘প্রকৃত এসলাম তেরশ’ বছর আগেই হারিয়ে গেছে’

সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:৬১

আল্লাহর দেওয়া প্রকৃত ইসলাম মহানবী যেভাবে পৃথিবীতে রেখে গিয়েছিলেন, সেটা গত ১৩০০ বছরের কাল পরিক্রমায় বিকৃত হতে হতে বর্তমানে একেবারে বিপরীতমুখী হয়ে গেছে।”

সূত্র: আসুন সিস্টেমটাকেই পাল্টাই পৃ:৫  সওমের উদ্দেশ্য পৃ:১৩। সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-২৩ তাকওয়া ও হেদায়াহ-১ এসলামের প্রকৃত রুপরেখা-১৮

প্রকৃত এসলাম হারিয়ে গেছে রসুলুল্লাহর ৬০/৭০ বছর পরেই।’

সূত্র: আসুন সিস্টেমটাকেই পাল্টাই পৃ:১১

পৃথিবীতে এসলাম ধর্ম ছাড়া অন্যান্য যে ধর্মগুলি রয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশই কোন না কোন নবীর (আ:) অনুসারী। তারা তাদের নবীর দেখানো পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে। মোসলেম নামধারী এ জাতিও তাদের নবীর দেখানো, রেখে যাওয়া পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে। যতখানি পথভ্রষ্টতা বিবৃতি আসলে পূর্বে আল্লাহ নতুন নবী পাঠিয়েছেন, এই জাতিতে ততখানি বিকৃত বহু পূর্বেই এসে গেছে। এরপরও নতুন নবী আসেননি, কারণ নবুয়াত শেষ হয়ে গেছে এবং শেষ রসূলের (দ:) প্রতিষ্ঠিত পথে প্রকৃত এসলামে আবার ফিরে যাওয়ার জন্য অবিকৃত কোর’আন ও রাসুলের হাদিস আছে যা অন্যান্য ধর্মে নেই।

সূত্র: শোষণের হাতিয়ার পৃ:৮৫

প্রচলিত ইসলাম ভুল ইসলাম

যে এসলাম চোলছে পৃথিবীতে এটা ভুল।’

সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা পৃ:৫৪

ছাত্র জমানায় মুসলিমদের জীবনী ইতিহাস পড়ে বুঝলাম মুসলিমরা তো বিজয়ী জাতি কিন্তু তাদের অবস্থা এমন কেন? বিষয়টা আমাকে খুব নাড়া দিয়েছিল। এরপরে একটু একটু করে চিন্তা করতে করতে ছাত্র জীবন কেটে গেল। তারপর কিছুদিন গেলে আমার কাছে আস্তে আস্তে পরিষ্কার হতে আরম্ভ করলো, যে ইসলাম চোলছে পৃথিবীতে এটা ভুল। এটা সেই ইসলাম নয়। তাহলে সেই এসলাম কোনটা? এই সঙ্গে সঙ্গে আমি কোনটা ইসলাম সেটাও বুঝতে আরম্ভ করলাম। তখন আমি জানিনা রব্বুল আলামিন আমাকে জ্ঞানগুলো দিচ্ছেন। আমি ভাবতাম আমি পড়ে বুঝলাম, আমি চিন্তা করে বুঝলাম, কিন্তু চিন্তা না করেও বুঝলাম। কারণ অনেক সময় এমন হয়েছে আমি ঐ জিনিস চিন্তা করছিনা হঠাৎ একটা জিনিস আমার পরিষ্কার হয়ে গেল। এভাবে চলতে চলতে সত্তরের দশকে এসে আমার কাছে দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে গেল যে বর্তমান যে এসলাম চলছে এটা শুধু যে আল্লাহর এসলাম নয় তাই নয়, বরং তার বিপরীত একটা কিছু। আর এটা যেটা আমার সামনে একটা রূপ আকৃতি দাঁড়ালো এটা সত্য ইসলাম। এভাবে ভাবতে ভাবতে ১৯৭০ পার হবার পর আমি দেখলাম যে যেটা আমি দেখছি সেটা ভুল হোক বা সঠিক হোক এটা আমি মানুষকে জানাবো। ভাবলাম একটা বই লেখব। এরমধ্যেই হেযবুত তওহীদ আন্দোলন গঠন হয়ে গেল। এভাবে ১৩ বছর চললো। ১৩ বছর আমার সামনে ছিল যে এটাই সত্য ইসলাম। যেটা বর্তমান চালু আছে সেটা সত্য নয়। কিন্তু আমার এ প্রচেষ্টায় এটা প্রতিষ্ঠিত হবে কিনা তা আমি জানিনা। এরপর ১৩ বছর পর এই মো’জেজার ঘটনা ঘটল। মো’জেজার তিন মাস পর বুঝলাম আল্লাহ সেদিন খবর দিয়েছেন যে আল্লাহর নিকটবর্তী এবং হিযবুত তাওহীদ দিয়ে সমস্ত পৃথিবীতে তার দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হবে।

সূত্র: আল্লাহর মোজেজা পৃ:৫৪-৫৬

প্রচলিত ইসলাম নবি স. এর বিপরীত ইসলাম

যাত্রাদলের বন্দুকের সঙ্গে আসল বন্দুকের যতটা পার্থক্য, প্রকৃত এসলামের সঙ্গে বর্তমান এসলামের ততটাই পার্থক্য। এ দু’টির চলার পথ সম্পূর্ণ বিপরীত।’

সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:৯/৬৬ সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-৯

আল্লাহর রসুলের ইসলাম যে জাতি গঠন করেছিল সে জাতির চরিত্রের সর্ব প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল যোদ্ধার চরিত্র, তার প্রমাণ জাতির নেতা আল্লাহর রসুল (দ.) সহ সমস্ত জাতির মধ্যে এমন একটা লোকও বোধ হয় খুঁজে পাওয়া যেত না যার শরীরে অস্ত্রের আঘাত নেই। বর্তমানের ইসলাম যে জাতি গঠন করে তার চরিত্রের সর্ব প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কাপুরুষতা।ছোট-বড় সমস্ত রকম সংঘর্ষ, বিপদ আপদ থেকে পলায়ন। যে যত বেশি ধার্মিক সে ততো বেশি কাপুরুষ; এদের গায়ে সুচের খোঁচারও দাগ নেই।

সূত্র: এসলামের প্রকৃত রুপরেখা-১৭

প্রচলিত ইসলাম মৃত ইসলাম

এজন্য তাদের এই ইসলাম একটি মৃত, আল্লাহর রসুলের ইসলামের বিপরিতমুখী ধর্ম।’

সূত্র: সওমের উদ্দেশ্য পৃ:১৩

মরক্কো থেকে ফিলিপাইন পর্যন্ত ইসলামের এই বিশাল বিস্তৃত দেহটি আজ মরা ও দুর্গন্ধময়।

ইসলামের প্রকৃত সালাহ-৬০

এই ধর্মের পণ্ডিতের, আলেমদের কাছে দীনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে নামাজ,রোজা, দাড়ি, তারাবি টুপি,টাখনু,মিলাদ,মেসওয়াক, ইত্যাদি আর জেহাদ একেবারেই নিষ্প্রয়োজন। এজন্য তাদের এই ইসলাম একটি মৃত, আল্লাহ রসুলের ইসলামের বিপরীত ধর্ম।

সূত্র: সওমের উদ্দেশ্য-১৩

প্রচলিত ইসলাম মরা,পচা ইসলাম

ইসলামের এ দেহটি তো বহুদিনের মরা,পঁচা, গলে যাওয়া একটি শবদেহ।’

সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-৬১

প্রকৃত এসলাম বিকৃত হোতে হোতে এখন আর বিকৃতত কঙ্কালটি ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই।’

সূত্র: আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-৯

কালেমার ভুল অর্থ ইসলামের রক্ত সঞ্চালন বন্ধ করে দিয়েছে,যার স্বাভাবিক ফল হয়েছে ইসলামের দেহটির মৃত্যু,ক্ষয় ও পচন।

সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-৬১

প্রচলিত ইসলাম বিধর্মীদের মতই একটি ধর্ম

এই সামরিক দীন পৃথিবীর অন্যান্য অসামরিক দীনের পর্যায়ে পর্যবসিত হলো অর্থাৎ খ্রিষ্টান,বৌদ্ধ,হিন্দু,ইহুদি,জৈন ইত্যাদি বহু দীনের(ধর্মের) মত আরেকটি ধর্মে পরিণত হলো যেটার উদ্দেশ্য এবাদত,পূজা,উপাসনা করে আত্মার চর্চা করা।’

সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ পৃ:২০

প্রচলিত ইসলাম খৃষ্টানদের বানানো ধর্ম

‘আমরা আহবান করছি- বর্তমানের চালু এই ইসলামটা আসলে আল্লাহ রসুলের ইসলামই নয়, খ্রিস্টান ইসলাম, এই খ্রিস্টান ইসলাম পরিত্যাগ করে প্রত্যাখ্যান করে আবার আল্লাহ রসুলের প্রকৃত ইসলামে প্রবেশ করতে।’

সূত্র: এসলামের প্রকৃত রুপরেখা-২২

আজ আমাদের রাজনৈতিক আর্থ-সামাজিক জীবন পরিচালিত হোচ্ছে পাশ্চাত্যের খ্রিষ্টানদের তৈরি করা নানা রকম তন্ত্র-মন্ত্র দিয়ে আর ব্যক্তিগত  ধর্মীয় জীবন পরিচালিত হোচ্ছে খ্রিষ্টান পণ্ডিতদের তৈরি করা বিকৃত ও বিপরীতমুখী এসলাম দিয়ে, আল্লাহ রসুলের এসলাম দিয়ে নয়।’

সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:১৩/৭০/১১৩/১১৬

এই বিকৃত এবং অনেকাংশে মনগড়া এসলামগুলি শিক্ষা কোরেছেন ব্রিটিশ খ্রিস্টানদের প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাগুলি থেকে।

সূত্র: আসুন সিস্টেমটাকেই পাল্টাই-১৮

এসলামের প্রকৃত রুপরেখা-২১

প্রচলিত ইসলামকে অাসল ইসলাম মনে করা ধোকা।

সুতরাং বর্তমানে যেটাকে এলাম হিসাবে সর্বত্র মানা হোচ্ছে এবং শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া হোচ্ছে সেটাকে এসলামী হিসাবে বিশ্বাস করা আর তিক্ত মাকাল ফল সুমিষ্ট আম বোলে বিশ্বাস করার মতই নির্বুদ্ধিতা।

সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:৭৫

প্রচলিত ইসলাম অগ্নীপূজকদের রঙ-এ রঙিন

আরবের ইসলাম পারস্যের ভেতর দিয়ে ভারতে, এই উপমহাদেশে আসার পথে পার্শি ধর্ম,কৃষ্টি ও ভাষার রং-এ রং বদলিয়ে রঙিন হয়ে এল।’

সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ-৭

প্রচলিত ইসলাম একটি নারকীয় সিস্টেম।

আসুন, আমরা সবাই মিলে এই নারকীয় সিস্টেমটাকে পাল্টাই। হেযবুত তওহীদ এর প্রতিষ্ঠাতা এমাম এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী আল্লাহ-রসুলের হারিয়ে যাওয়া যে প্রকৃত, সত্য জীবনব্যবস্থা মানবজাতির সামনে তুলে ধোরেছেন তা গ্রহণ কোরি।’

সূত্র: আসুন সিস্টেমটাকেই পাল্টাই-২০

প্রচলিত ইসলাম সমাজে শান্তি দেবে না বরং প্রতারিত করবে।

এখানেই ঘটল বিপত্তি। তানা জানল না তাদের সামনে যে ইসলামটি আছে সেটা আর প্রকৃত রুপে নেই, সেটা বহু আগেই বিকৃত ও বিপরীতমুখী হয়ে গেছে,সেটা দিয়ে আর শান্তি আসবে না।

সূত্র: চলমান সংকট নিরসনে আদর্শিক লড়াই পৃ:৬

মানুষ এখন জীবন রক্ষার আশায় ধর্মের দিকেই যেতে চাইবে,কেননা তাদের বস্তুত শান্তি দরকার।কিন্তু মরিচিকা যেমন তৃষিতকে তৃপ্ত করতে পারে না,আরো ক্লিষ্ট করে তেমনি ১৩০০ বছর ধরে বহুভাবে বিকৃত হওয়া ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মগুলোও মানুষকে কেবল সুখস্বপ্নে বিভোর করে প্রতারিত করে এবং করবে।

সূত্র: চলমান সংকট নিরসনে আদর্শিক লড়াই পৃ:৫

সুতরাং তাদের কাছে যে এসলাম আছে সেটা দিয়ে অমন শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠা করার চিন্তাও হাস্যকর।

আসুন সিস্টেমটাকেই পাল্টাই-১৮

সমস্ত তন্ত্র মন্ত্র এবং মতবাদের ব্যর্থতা ও অশান্তি থেকে পরিত্রান চৌদ্দশ বছরের বিকৃত ইসলাম দিতে পারবেনা।

সূত্র: ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে পৃষ্ঠা-১৫

প্রচলিত ইসলাম জাহান্নামে নিয়ে যাবে

তাদের বৃহত্তর ভাগ বিশ্বাস করেন যে জন্মসূত্রে মুসলিম হওয়ার বদৌলতে লক্ষ কোটি বছর যদি জাহান্নামের আগুনে জ্বলতেও হয়, তবুও এক সময় তারা জান্নাতে যাবেনই। সুতরাং চিন্তিত হওয়ার মতো তেমন কিছু ঘটেনি। এই দুনিয়ায় মার খাচ্ছি, ঐ দুনিয়ায় জান্নাতের ফল খেয়ে সব ব্যাথা, বেদনা লাঞ্ছনা অপমান ভুলে যাব। তারা জান্নাতে তাদের স্তরে উন্নীত করার জন্য সাধ্যমত আমল করেন যেমন, নামাজ রোজা করেন, ওয়াজের সময় ওয়াজ শোনেন, হজ্বে এস্তেমায় জান। দাড়ি রেখে নিজেকে উম্মতে মোহাম্মদ বলে আত্মপ্রসাদ লাভ করেন। তাদের এই সত্য বুঝার মত সেই চিন্তা শক্তি নেই যে, যে ধর্মচর্চা তাদেরকে দুনিয়ার লাঞ্ছনা অপমান থেকে রক্ষা করতে পারছে না, সেই ধর্ম পালন করে পরকালীন মুক্তির আশা পোষণ করা সুদূর পরাহত।

সূত্র: ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে পৃ:৫১

সমস্ত মোমেন ভাই ভাই

আল্লাহ বলেছেন সমস্ত মোমেন ভাই ভাই।

সূত্র: সূত্রাপুরে এমামের ভাষন পৃষ্ঠা-২৩

ইসলাম প্রাকৃতিক ধর্ম

ইসলাম অত্যন্ত প্রাকৃতিক। প্রকৃতি যেমন নিয়ত পরিবর্তনশীল, তেমনি মানুষের জীবনে সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন আসে। ইসলাম সেই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও সমানভাবে যৌক্তিক ও প্রয়োগযোগ্য থাকে। শর্ত হচ্ছে একে কোনোভাবে নির্দিষ্ট সময় ওস্থানের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখা যাবে না।

সূত্র: ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে পৃ:২৩

ইসলামের প্রাচীন ধারণা পাল্টাতে হবে

যে ইসলাম আজ নানা প্রকার রূপ নিয়ে আমাদের ১৬০ কোটি মুসলমানের দ্বারা চর্চিত হচ্ছে তা কোনোভাবেই বর্তমান জ্ঞান-বিজ্ঞান ও চিন্তা-চেতনার যুগের উপযোগী নয়।”

সূত্র: ধর্ম ব্যবসার ফাঁদে পৃষ্ঠা-১১৫

“ইসলামের প্রচলিত ধ্যান-ধারণা গুলো কোর’আনের মূলনীতি বজায় রেখে বর্তমান যুগের আলোকে সংস্কার করতে হবে।”

সূত্র: ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে পৃষ্ঠা-২৭

মুসলিমদেরকে এখন প্রাচীন ধারণা ও মাসলা মাসায়েলের কেতাব থেকে বেরিয়ে বাস্তবমুখী চিন্তা করতে হবে, ইসলামকে বর্তমান যুগে গ্রহণযোগ্য, প্রয়োগযোগ্য জীবনব্যবস্থা হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে। ইসলাম নিঃসন্দেহে সেই অনন্য গুণাবলীর অধিকারী। তা না হলে ইসলামেরই অবমাননা হবে।

সূত্র: ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে পৃ:২৭

নারীদেরকে বোরখার নামে বাক্সবন্দী

বর্তমানে ইসলামে ধার্মিক মেয়েদের তাদের বাক্সবন্দি অবস্থা থেকে বের করে চৌরাস্তার মোড়ে ছেড়ে দিয়ে আসলে তারা ওখান থেকে আর বাড়ি ফিরতে পারেন না, ওখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকেন।

সূত্র: ইসলামের প্রকৃত রূপরেখা পৃষ্ঠা-১৮

নারীকে একশ্রেণীর ধর্মব্যবসায়ী ধর্মের দোহাই দিয়ে, পর্দার অজুহাতে, তাদের সম্মান ও সম্ভ্রম রক্ষার অজুহাতে মিথ্যে ফতোয়ার বেড়াজালে বন্দি করে আপদমস্তক কাপড়ে আবৃত কিম্ভূত কিমাকার অবলা প্রাণীতে পরিণত করে রেখেছে। তারা মনে করে নারীর পৃথিবী সম্পর্কে জানার দরকার নেই, শিক্ষালাভের প্রয়োজন নেই। নারী নেতৃত্বকে হারাম ফতোয়া দিয়ে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা নারীকে দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষ বানিয়ে রাখতে চায়।

সূত্র: গণমাধ্যমের করণীয় পৃ: ৬৩

নারী নেতৃত্ব ও নারী ক্ষমতায়ন

নারীদের ঘরে থাকতে হবে, নারী নেতৃত্ব হারাম, ছেলেদের দাড়ি রাখতে হবে, আরবে লেবাস পড়তে হবে, নাচ গান ছবি আঁকা ভাস্কর্য তৈরি সব হারাম। কোরআন এগুলোর একটাকেও প্রত্যক্ষভাবে হারাম করেনি। কিন্তু ফতোয়া দিয়ে সবই নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সূত্র: ধর্মব্যবসার ফাঁদে পৃ:১১০

নারীদেরকে আল্লাহর রাসুল মানুষের মর্যাদা দিলেন। তাদেরকে প্রতিটি সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ এমনকি নেতৃত্বে অধিকার দিলেন তাদেরকে দুর্ধর্ষ যোদ্ধায় পরিণত করলেন।

সূত্র: ধর্মব্যবসার ফাঁদে পৃ:১১৬

১৪০০ বছর আগে যে যুগে মেয়ে শিশুকে জীবন্ত কবর দেওয়া হতো সেই সময়ে ইসলাম এমন পরিবর্তন এনেছিল যে আম্মা আয়েশা রা: উটের যুদ্ধে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব পর্যন্ত দিয়েছিলেন। মদিনার বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন শেফা রা:। এভাবে নারীর ক্ষমতায়ন ও অংশগ্রহণ ছিল সমাজের সর্বত্র।

সূত্র: গণমাধ্যমের করণীয় পৃ: ৬৩ প্রস্তাবনা পৃ:৬

প্রকৃত ইসলামে নারীর আল্লাহ-রসূলের সাথে থেকে যুদ্ধ করেছে, যুদ্ধাহতদের সেবা করেছে, যুদ্ধের রসদ সরবরাহের কাজ করেছে, পুরুষদেরকে যুদ্ধের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। তারা ব্যবসা-বাণিজ্য করেছে, হাসপাতাল পরিচালনা করেছে এবং স্বয়ং যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে।

সূত্র: গণমাধ্যমের করণীয় পৃ: ৬২

যেখানে যুদ্ধক্ষেত্রের মত বিপদসংকুল এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে পুরুষ সাহাবীদের পাশাপাশি নারী সাহাবীর অংশ নিয়েছেন সেখানে অর্থনৈতিক সামাজিক রাষ্ট্রীয় অন্যান্য কাজে যে নারীদের অগ্রণী ভূমিকা ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তারা কখনও পুরুষের চেয়ে কোন অংশেই পিছিয়ে ছিলেন না। আবার পরবর্তীতে ইসলামের স্বর্ণযুগে জ্ঞান-বিজ্ঞানের নারীদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা দেখতে পাই। সুতরাং আল্লাহর সত্যদীন প্রতিষ্ঠিত হলে নারীদের সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে জাতীয় সামাজিক প্রয়োজনে নিশ্চিন্তে নির্ভিঘ্নে যেকোনো ভূমিকা রাখতে পারবে।

সূত্র: আসুন সিস্টেমটাকেই পাল্টাই পৃ:১৪

পরামর্শে,বৈঠকে, মসজিদে নারী,

আল্লাহর রসূল নারীদের পর্দা দোহাই দিয়ে ঘরের কোনায় বসিয়ে রেখেছিলেন এমন কোনো ইতিহাস কেউ দেখাতে পারবেন না। তারা আল্লাহ-রসূলের সাথে একসাথে সালাহ কায়েম করতেন, রসূলের সামনে বসে কথা শুনতেন, জাতীয় বিষয়ে পরামর্শ দিতেন। এমনকি ব্যক্তিগত সামান্য বিষয়েও রাসুলুল্লাহর সাথে আলাপ করতেন।

সূত্র: গণমাধ্যমের করণীয় পৃ: ৬২

ঈদগাহে নারী

মহিলাদের কে ঈদের সালাতে যেতে আদেশ করা।

সূত্র: গণমাধ্যমের করণীয় পৃ: ৬২

নারীদের ঘর থেকে বের করা

হেযবুত তওহীদের নারীরা এই দুই ধরনের অন্ধকার থেকে বের হয়ে এসেছে। তারা শালীনতা সহকারে পুরুষের পাশাপাশি সব কাজে অংশগ্রহণ করে। শহরে ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তারা তওহীদের বালাগ দিয়েছেন। তারা পত্রিকা বিক্রি করছে, সেমিনার করছে, আলোচনা সভায ও বক্তৃতায় অংশগ্রহণ করছে, সাংবাদিকতা করছে, অফিসে কাজ করছে, চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে, শিক্ষকতা করছে, গার্মেন্টে চাকুরি করছে, অনেকে ঘরে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করে তা বিক্রি করছে। যে কোনো কাজেই তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থাকে। সত্য প্রচার এর কারণে তারাও অনেক জেল জুলুমের শিকার হয়েছে, ধর্মব্যবসায়ীদের অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেছে, নিজের ঘরবাড়ি ও সংসার থেকে বহিস্কৃত হয়েছে, অনেকে স্বামী-সন্তান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন যেটা অনেক নারী সাহাবীদের বেলায় হয়েছিল।

সূত্র: গণমাধ্যমের করণীয় পৃ: ৬৬

নিজেদের পার্থিব সম্পদ বিসর্জন দিয়ে মানবজাতিকে চলমান অন্যায়, অশান্তি থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য হিজবুত তাওহীদের নারীরা পুরুষের সাথে সমানতালে কাজ করে যাচ্ছে।

সূত্র: গণমাধ্যমের করণীয় পৃ: ৬৬

জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক অংশকে অনগ্রসর রেখে জাতীয় উন্নয়ন ও মুক্তি সম্ভব নয়। এজন্য হেজবুত তাওহীদ আন্দোলনের প্রায় সকল কাজে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা হয়। আমীরের দায়ীত্ব থেকে শুরু করে দাপ্তরিক কাজ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কাজে, হিসাব রক্ষণ বিভাগের কাজে, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে, সভা, সমাবেশ, সেমিনার,র্যালী, মানববন্ধন এমনকি মাঠে-ময়দানে পত্রিকা বই বিক্রির কাজেও নারীরা অংশগ্রহণ করেন ।

সূত্রঃ গঠনতন্ত্র পৃ:২৩

যে যোদ্ধাদেরকে তারা(মহিলা সাহাবারা) চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন তারা কিন্তু অধিকাংশই ছিলেন আলেমদের ভাষায় বেগানা পুরুষ।

সূত্র: আসুন সিস্টেমটাকেই পাল্টাই পৃ:১৩

ইসলাম কিন্তু বৈধ কোনো কাজের ক্ষেত্রে নারীর ওপর কোনো বিধি-নিষেধ আরোপ করে নি। উপার্জনের যে কাজ পুরুষের জন্য বৈধ সেই কাজ নারীর জন্যও বৈধ।

সূত্র: গণমাধ্যমের করণীয় পৃ: ৬৫

মসজিদে নববীর পাশে যুদ্ধাহতদের চিকিৎসা প্রদানের জন্য একটি হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছিল, যার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন একজন নারী। রুফাইদা রা:।

সূত্র: ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে পৃ:৪৭

প্রকৃত ইসলামে নারীকে যে সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছিল সেটা এখন ইতিহাস হয়ে গেছে। বর্তমানের বিকৃত ইসলামে তার লেশমাত্রও নেই। তাই এখন নারী অধিকার নিয়ে যারা কাজ করছেন তারা ইসলামের ঘোরবিরোধী। হবে না-ই বা কেন? শত বছর ধরে নারীকে ঐসব বিকৃত ফতোয়ার বলি হয়ে নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। ইসলামের নামে নারীকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে, শোষণ করা হয়েছে, অবদমিত করা হয়েছে। কোরআন নারী ও পুরুষকে একে অপরের সহযোগী বলে ঘোষণা দিয়েছে। সেটা অবশ্যই জীবনের সর্ব অঙ্গনে। কিন্তু ধর্মের বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে নারীকে সামাজিক জীবনের সকল কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত করা হয়েছে।

সূত্র: ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে পৃ:২৫

তারা (আলেমরা) লিখেছেন, মেয়েরা ঘরে থাকবে বাইরে গেলেও নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে যাবে। যদিও আল্লাহ সমস্ত বিশ্বে বিচরণ করার নির্দেশ দেন সেখানে নিরাপত্তার অজুহাত তুলে মেয়েদেরকে মসজিদে যেতে দিতে নারাজ, তাহলে তারা বিশ্বের অপর প্রান্তে নারীদেরকে যেতে দেবেন কোন মাসালা মোতাবেক? এখানেই তো প্রচলিত ইসলামের শরা-শরীয়ত শেষ। আমার প্রশ্ন যে সমাজে ২/৩ বছরের শিশুকন্যা ধর্ষিতা হয়, সেখানে পর্দা নিয়ে ওয়াজ করা গুরুত্বপূর্ণ নাকি সমাজ পাল্টানোর জন্য আলেমদের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়া গুরুত্বপূর্ণ?

সূত্র: ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে পৃ:২৫

আজকের ধর্মের নামে যে সন্ত্রাস চলছে, ব্যবসা চলছে, রাজনীতি চলছে, ধর্মের বিধি-নিষেধের বেড়ি পরিয়ে নারীদেরকে ঘরের মধ্যে বন্দি করে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের পোশাক লেবাস ও আচার-আচরণে মধ্যে ধর্ম আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সঙ্গীত, সাহিত্য, কলা, সংস্কৃতি, বৈজ্ঞানিক গবেষণা ইত্যাদিকে ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কহীন করে ফেলা হয়েছে, কেবল তাই নয় এগুলিকে ধর্মের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে। এগুলো সব কিছুই করা হচ্ছে বিকৃত এসলামের ধারণা মোতাবেক। আরো সুস্পষ্টভাবে বলতে গেলে এইসব ধারণার অধিকাংশই মধ্যযুগীয় খ্রিস্টীয় মতবাদ যা সুপরিকল্পিতভাবে ইসলামের গায়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: এ জাতির পায়ে লুটিয়ে পড়বে বিশ্ব পৃ:৫৪

পোষাক

একটা জাতির মধ্যে বহু রুচি অভিরুচর লোক থাকবে। এখনই যদি আমরা একটি নির্দিষ্ট লেবাসে শর্তারোপ করি তাহলে আর ঐক্যবদ্ধ করা সম্ভব হবে না।

সূত্র: সম্মানিত আলেমদের প্রতি পৃ:১৪

ইসলাম যেহেতু সমগ্র পৃথিবীর জন্য এসেছে তাই এর কোন নির্দিষ্ট পোশাক থাকা সম্ভব হয়

আসুন সিস্টেমটাকেই পাল্টাই-১৭

গণতন্ত্রের যেমন নির্দিষ্ট লেবাস নেই, তেমনি দুনিয়াজোড়া সেই ইসলামের কোন নির্দিষ্ট পোশাক থাকতে পারে না।

সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃ:৪৮

দুর্ভাগ্যজনক বাস্তবতা হলো, আজ সেই প্রচণ্ড গতিশীল আকাশের মত উদার সমুদ্রের মতো বিশাল সহজ-সরল ইসলাম ধর্ম ব্যবসায়ী মোল্লাদের খপ্পরে পড়ে সেটা আজ মসজিদ-মাদ্রাসা খানকার চার দেয়ালে বন্দি এবং দাড়ি-টুপি জোব্বা ইত্যাদিতে আবদ্ধ হয়ে স্থবির,অন্তর্মুখী, বিকৃত ও মরা। আর এই বিকৃত ইসলামকেই বিক্রি করে খাচ্ছে।

সূত্র: শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃ:১৪৬

     ‘আসলে এই শেষ দীনে কোন নির্দিষ্ট পোষাক হোতে পারে না,কারণ এটা এসেছে সমস্ত পৃথিবীর মানুষের জন্য।’

সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:১৩৪ সবার উর্ধ্বে মানবতা পৃ:১৬

আর আজ যে ইসলাম চলছে তা, যে মুসলিম উৎপাদন করে তাদের আকীদা হলো এই যে, আল্লাহর প্রেরিত নবী রাসূলদের নেতা, তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি যার কোন তুলনা নেই, সে রসূলকে পাঠানো হয়েছিল মানুষকে টাকনুর উপর পাজামা পড়ার মতো, মাথায় টুপি দেবার মত, দাড়ি রাখানোর মত, দাঁত মাজার মত,কুলুখ নেয়ার মত,ডান পাশে শোয়ার মত তুচ্ছ ব্যাপার শেখাতে। মানুষের ইতিহাসে বোধহয় কোন জাতি তার নেতার এমন অপমানকর অবমূল্যায়ন করেনি।

সূত্র: ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে পৃ:৬১

সাহাবায়ে কেরামসহ নবি স. এর পোষাক কাফেরদের মতই ছিলো।

     ‘তাঁর সময়ে তাঁর এবং সাহাবাদের পোষাক-পরিচ্ছদ ও তখনকার আরবের মোশরেক ও কাফেরদের পরিচ্ছদ একই ছিলো।’

সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:১৩৪

টুপির আকার আকৃতি ও রং নিয়ে, জোব্বার আকার আকৃতি নিয়ে, পাগড়ী রং, দাড়ির পরিমাণ ইত্যাদি নিয়ে আলেম ওলামাদের মধ্যে মতভেদ কম নেই। ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মতবিরোধে গিয়ে মূল উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে যাওয়া এক প্রকার মূর্খতা বলেই আমরা মনে করি।

সূত্র: প্রিয় দেশবাসী পৃ:৯৯

আরবিরা আগে থেকে যে পোশাক পরত, রসূল তাদেরকে ভিন্ন কোনো পোশাক পরিধানে নির্দেশ দেননি। আবার কেউ ইসলাম গ্রহণ করলে তাকেও আরবীয় পোশাক পরতে বাধ্য করেন নি। কেননা ইসলামে পুরুষের পোশাকের নীতিমালা হচ্ছে সতর ঢাকা। সেটা হচ্ছে নাভি থেকে হাঁটু অবধি। আপনি যেকোন পোশাক দিয়ে যদি এটুকু আবৃত রাখেন ইসলাম তাতে কোনো বাধা-নিষেধ দেয় না।

সূত্র: ধর্মব্যবসার ফাঁদে পৃ:১০৯,

শার্ট-প্যান্ট, টি-শার্ট, জিন্স ইত্যাদি পরে ভাল মুসলিম হওয়া যাবে না কথাটি ঠিক নয়।

সূত্র: ধর্মব্যবসার ফাঁদে পৃ:১০৯,

পুরুষের পোশাক মহিলার সাথে আর মহিলার পোশাক পুরুষের সাথে সামঞ্জস্যশীল হতে পারবে না।

সূত্র: ধর্মব্যবসার ফাঁদে পৃ:১০৯,

বিশেষ ধরনের পোশাক, যেমন- টাকনু পর্যন্ত লম্বা জামা, পায়জামা বা লুঙ্গীর উপর পরিহিত আরবীয় জোব্বা জাতীয় জামাকে সুন্নতি লেবাস বলে চালিয়ে দেয় একটি বড় বেদাত।

সূত্র: ধর্মব্যবসার ফাঁদে পৃ:১১০

সালাতের জন্য টুপি পরিধান করা বা পাগড়ী বাধা প্রয়োজনীয় নয়।

সূত্র: ইসলামের প্রকৃত সালাহ পৃষ্ঠা-২৪

দাঁড়ি

দাড়ি টুপির সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই।

সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে-১৩১ প্রিয় দেশবাসী পৃ:৯৮

দাড়ির সীমানা:

     ‘তাঁর (দ:) নির্তেশিত দাড়ি নিচের ঠোঁটের নিচ থেকে অর্থাৎ যেখান থেকে দাড়ি গজায় সেখান থেকে একমুষ্ঠি মাত্র,এর বেশী হোলেই তা ছেটে ফেলার নিয়ম।’

সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:১৩২

বিশ্বনবী তার নিজের জাতিকে নির্দেশ দিলেন আমার এই দ্বীনের সন্ন্যাস বৈরাগ্য নেই।তোমরা ওইসব সংসার থেকে সন্ন্যাসীদের বিপরীত করবে অর্থাৎ দাড়ি ও।মোচ রাখবে এবং ইহুদীদের বিপরীত করবে অর্থাৎ দাড়ি ও মোচ ছেটে ছোট করে রাখবে।  জাতিকে সুন্দর দেখানোর শেখানোর জন্য মহানবী নিজে পরিস্কার সুন্দর কাপড় পোরতেন, দাঁড়ি মোচ সুন্দর করে ছেটে রাখতেন। তিনি সফরে গেলেও তার সঙ্গে কাচি, চিরুনি ও আয়না থাকতো।

সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:১৩৭

 ‘দাড়ি রাখা, বাহ্যিক পোষাক-পরিচ্ছদ ইত্যাদি এই দীনের বুনিয়াদী কোনো ব্যাপার নয়,অর্থাৎ ফরদ নয়,সুন্নত।’তাও রসুলের একেবারে ব্যক্তিগত সুন্নত।

সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:১৩৩ প্রিয় দেশবাসী পৃ:৯৯

আবার যদি কেউ দাড়ি না রাখতে চান আমরা সে ক্ষেত্রে তার সঙ্গে জোরাজুরিও করি না। কারণ তিনি দাড়ি না রেখেই আল্লাহর তাওহীদ প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করছেন।

সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:১৩৮

বিশ্বনবী (দ:) তার অনুসারীদের একটা নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের দাড়ি রাখতে বলেছেন।

সূত্র: প্রিয় দেশবাসী পৃ:৯৯

দাড়ি তো কাফেরদেরও ছিল

অনেকের ধারণামতে যে দাড়ি ছাড়া ইসলামই হয় না, সেই দাড়ি তো আল্লাহর রাসূলের বিরোধিতাকারী, ঘৃণিত কাফের বোলে আমাদের নিকট পরিচিত আবু জেহেল, আবু লাহাব, ওতবা,শায়েবার মুখেও ছিল। তারাও জোব্বা পোরত, ঠিক রসুল যে জোব্বা পোরতেন ঠিক একই ধরনের জোব্বা। প্রকৃতপক্ষে দাড়ি, টুপি, পাগড়ী, জোব্বার সাথে এসলামের কোন সম্পর্ক নাই। প্রকৃতির আবহাওয়া, ভৌগোলিক অবস্থার সাথে এগুলো সম্পর্ক রয়েছে। টুপি তো ইহুদীরা,শিখরা বা অন্যান্য ধর্মের ধর্মগুরুরাও পরেন, তাদেরও দাঁড়ি আছে, তারাও জোব্বা পড়েন, তাদের অনেকেই পাগড়ী পরেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাড়ি-টুপি, জোব্বা সবই ছিল। শুধু ধর্মীয় সাধু-সন্ন্যাসী নয়, আল্লাহর অস্তিত্বে সম্পূর্ণ অবিশ্বাসী হিসাবে পরিচিত অনেকেরই দাড়ি ছিল যেমন কার্ল মার্কস, চার্লস ডারউইন,আব্রাহাম লিঙ্কন প্রমুখ।

সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:১৩১

দাড়ি শুধু পুরুষের সৌন্দর্য

    ‘আদিকাল থেকে দাড়ি মানুষের পৌরুষ ও সৌন্দর্যের প্রতিক হোয়ে আছে। সিংহের যেমন কেশর,ময়ূরের যেমন লেজ,হাতির যেমন দাত,হরিণের যেমন সিং, তেমনি দাড়ি মানুষের প্রাকৃতিক পৌরুষ সৌন্দর্য। এই সৌন্দর্য নষ্ট না করার উদ্দেশ্যেই দাড়ি রাখার নির্দেশ।’

সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:১৩৬

    ‘এই উম্মাহর লোকজনের চেহারাতেও অবশ্যই সংসার বৈরাগীর ছাপ থাকবে না এবং ছাপ না রাখার জন্য দাড়িকে একটি নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যে কেটে ছেটে রেখে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন কাপড় পরে এই পৃথিবীরই সংসারী লোকজনের মতো দেখাবার নির্দেশ।’

সূত্র: এসলাম শুধু নাম থাকবে পৃ:১৩৭

হেযবুত তওহীদে কেউ যদি দাড়ি রাখতে চায় আমরা এটুকুই বলি যদি দাড়ি রাখেন তবে রসূল যেভাবে দাড়ি রাখতে বলেছেন সেভাবে রাখুন যেন সুন্দর পরিপাটি স্মার্ট দেখায়। রাসূলুল্লাহর যেকোনো সুন্নাহই কল্যাণকর। তাই ব্যক্তিগত জীবনেও রসূলুল্লাহর যা কিছু অনুসরণ করা হবে তাকে মানুষ কল্যান পাবে।

সূত্র: প্রিয় দেশবাসী পৃ:৯৯

দাড়ি টুপী পাগড়ী ধারণ না করলে ইসলামে কথা বলা যাবে না এমন কোন কথা পবিত্র কুরআন বা হাদীসে উল্লেখ করা আছে কি? স্বাভাবিকভাবেই এমন কোন শর্ত আল্লাহ বা রসূল স: দেননি।

সূত্র: প্রিয় দেশবাসী পৃ:৯৭

আল্লাহ ও রসূলের উপর দৃঢ় বিশ্বাস ঈমান থাকা সত্ত্বেও আকিদার বিকৃতির ফলে কার্যতঃ শেরক ও কুফরের মধ্যে নিমজ্জিত জাতিকে মনে করিয়ে দিতে হবে দাঁড়ি, মোচ, পাজামা নফল এবাদতের কথা বাদ দিন।

সূত্র: প্রিয় দেশবাসী পৃ:১১৩

রাসুলের স: আগমনের পূর্বেও আরবের মানুষগুলো দাড়ি রাখত, টুপি-পাগড়ি জোব্বা পরত, এটা প্রাচীন যুগ থেকে আরবের সংস্কৃতি। মূলত দাঁড়ি ছিল আরব দেশের নেতা নির্ধারণের মাপকাঠি এবং পৌত্তলিকদের প্রথা। যা রাসুলেরও নয়, কোরআন সম্মতও নয়। মক্কায় ধর্মীয় নেতা নির্বাচনের সূত্র হিসেবে মাপকাঠি বা স্কেল দিয়ে দাড়ির পরিমাপ করা হতো। বর্তমানেও মসজিদের ইমাম নিয়োগের ক্ষেত্রে বা  ইসলামী দলের নেতা হিসেবে দাড়িহীন কাউকে চিন্তাও করা যায় না। কথিত আছে পরবর্তীকালে যখন উমাইয়া রাজতন্ত্র চালু হয়, তখন দাড়িকে ইসলামের চিহ্ন বলে এবং রসুলের সুন্নাহ বলে চালু করা হয়। এ কাজে ইয়াজিদের দরবারে পালিত ভাড়াটে আলেমদের বেশ অবদান রয়েছে। ইয়াজিদের বেশ লম্বা দাড়ি ছিল, দাড়ি ছিল তার পিতা মুয়াবিয়ার রা: পিতা আবু সুফিয়ানেরও লম্বা দাড়ি ছিল এবং দাড়ি ছিল তাদেরই পূর্বপুরুষদের অভিজাত বা ঐতিহ্য।সুতরাং সে ঐতিহ্য যেন একেবারেই সমাজ থেকে মুছে না যায়, সেটারই আজীবন মেয়াদে কঠোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল জাল হাদিসের দাড়ির গগণস্পর্শি গুরুত্ব প্রদানের মাধ্যম।

সূত্র: ধর্মব্যবসার ফাঁদে পৃ:১৩১

ইসলামের বিশেষজ্ঞরা কোরআন হাদিস নিয়ে গবেষণা করে বের করেছেন যে সালাতের বাইরে শর্তমূলক ৭ ফরদ ভিতরে ৭ ফরদ (রোকন)।২১ টি ওয়াজিব ২১ টি সুন্নাত, ৭ টি মুস্তাহাব এর মতে দাড়ি-টুপি, জোব্বা, পাগড়ী ইত্যাদি কোন একটি বিষয়ে কোন উল্লেখ্য নেই।

সূত্র: ধর্মব্যবসার ফাঁদে পৃ:১৩৫

যে জাতি এখনো দাড়ি এক মুষ্টি হবে না বড় হবে টাখনু কতটুকু দেখা যাবে নবী নূরের তৈরী না মাটির তৈরী তা নিয়ে বিতর্ক করে ঝগড়া করে তাদের কাছে মানবজাতি কি আশা করবে।

সূত্র: ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে পৃ:২৬

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.