Home > ওয়াজ > হক্ব-বাতিলের পার্থক্য

হক্ব-বাতিলের পার্থক্য

সবাই আল্লাহকে ভালোবাসতে চায়।

সমাজের ভেতরে প্রচলিত বহুল আলোচিত একটি প্রশ্ন যে, হুজুররা হুজুররা এক নেই, আমরা সাধারণ মানুষ যাবো কই?

জবাব. ১

ধানের বীজের অনেক রকম ধরন আছে, কোন বীজ রোপন করলে ফসল ভালো হবে, এটাতো ভালো বোঝেন, কোন ব্যবসায় লাভ বেশি, কোন ব্যবসায় লস, এটাতো ভালো বোঝেন, বরং যদি কেউ নাও বুঝে, কবে ভালভাবে বোঝার জন্য মাইল-মাইল পাড়ি দিয়ে যোগ্য মানুষদের খুঁজে পরামর্শ নেন। সেটাতো করবেন, কারণ সেটা দুনিয়া। তবে আখেরাতের ফসল কিভাবে ভালো হবে সেজন্য কয়দিন দ্বীনদার, তাকওয়াবান, মুত্তাকী এবং যোগ্য আলেম খুঁজেছেন?

না। বরং কার সূর ভালো, কার জনপ্রিয়তা কেমন জাষ্ট সেটাই দেখেন। কিন্তু মনে রাখবেন নাম দিয়ে সব চেনা যায় না।

মতিঝিলে মতি নেই, নেই রে কোন ঝিল,
চাঁদপুরে তো চাঁদ নাই, আছে শুধু বিল।
কর্ণফুলীর ফুল নেই, রাজশাহীতে রাজা,
বুড়িগঙ্গার বুড়ি নেই, সোনারগাঁয়ে সোনা।
নবাবগঞ্জে নবাব নেই, ঢাকা শহর ফাঁকা।
নাম দিয়ে ভাই যায় না চেনা আসল ঠিকানা,

৫০০ টাকা জরিমানা:

দেওয়ালে লেখা আছে এখানে প্রস্রাব করিবেন না, করিলে করিলে ৫০০ টাকা জরিমানা। মূর্খ একজনে পড়ছে এখানে প্রস্রাব করিবেন, না করিলে ৫০০ টাকা জরিমানা। সে হিসেবে সে পেশাব করার পরে ৫০০ টাকা জরিমানা দিতে হলো।

হাতুড়ি ডাক্তার:

কোন এক ডাক্তার মেডিকেলে পড়া ছাড়াই ডাক্তার হয়ে বসে আছে, যাকে আমরা হাতুড়ি ডাক্তার বলি। তিনি একজন রোগীকে ঔষধ দিলেন এবং ঔষধের গায়ে লেখা আছে, “খাবার আগে ভালোভাবে ঝাকিয়ে নিন, হাতুড়ি ডাক্তার পরামর্শ রোগীকে ইচ্ছামত ঝাকাতে হবে। বাড়ি নিয়ে বৃদ্ধ রোগীকে এমন ঝাকান ঝাকিয়েছে যে, বুড়োর জোড়ামোড়া ছুটিয়ে ফেলেছে।

ঠিক তেমনি নিম ডাক্তার খতরে জান, নিম মোল্লা খতরে ঈমান।

জবাব: ২

তাহলে যাবো কাদের কাছে?

সবাই বলুনতো, কোরআন কার? কোরআন কয়টা? আল্লাহ কয়জন? ইসলাম কয়টা? আকাশ কয়টা? জামিন কয়টা? পৃথিবী কয়টা? সব যদি একটা হয়, আমরা দলে দলে বিভক্ত কেন? বুঝা গেল মাঝখানে কোন গ্যাব রয়েছে।

আচ্ছা বলুন তো, যারা কওমি তারা কাকে পেতে চায়? যারা লা-মাযহাবী তারা কাকে পেতে চায়? যারা পীরের মুরিদ তারা কাকে পেতে চায়? সবাই জান্নাতে যেতে চায় কিনা? তাই যদি হয়, তাহলে আল্লাহ এবং জান্নাত পাওয়া সবার যদি আশা হয়, তাহলে চলুন কোরআন থেকে জবাবটা জেনে নিই আল্লাহ এবং জান্নাত আছে কোথায়?

আমি কওমির সন্তান, আলিয়ার ভায়েরা আমার কথা নাও মানতে পারেন, আমি শরীয়তপন্থী পীরের মুরিদ, মারেফত পন্থীরা আমার কথা নাও নিতে পারেন, আমি মাযহাবি, লা-মাযহাবীরা আমার কথা নাও নিতে পারেন, আমি দেওবন্দী মওদুদীপন্থী জামাআতে ইসলামের ভাইয়েরা আমার কথা নাও শুনতে পারেন।

এজন্য আমি এমন একটি জায়গা থেকে প্রমাণ দেবো, যেটা সবাই মানে। বলুন তো, কোরআন কি শুধু মাযহাবীদের? লা-মাযহাবীদের? দেওবন্দীদের? কোরআন কার? সবার। হাদিস কার? সবার। চলুন কুরআন-হাদিস থেকেই দেখে নেয়া যাক জান্নাত ও আল্লাহ পাওয়া যায় কোথায়?

এক.
আয়াতে কারীমা।

أنزلت في قوم قالوا على عهد النبي ﷺ إنا نحب ربنا فأمر الله جل وعز نبيه محمدًا ﷺ أن يقول لهم إن كنتم صادقين فيما تقولون فاتبعوني فإن ذلك علامة صِدْقكم فيما قلتم من ذلك
সূত্র: তাফসীরে তাবারী খ. ৬ পৃ. ৩২২

অর্থাৎ আল্লাহু বুঝাতে চাচ্ছেন আমি লা-মাযহাবীদের কাছেও থাকি না, মাযহাবীদের কাছেও থাকিনা, আটরশিতেও থাকিনা, চন্দ্রাপাড়াও থাকিনা, চরমোনাইও থাকিনা,

قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

অর্থ: বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।
সুরাঃ আলে ইমরান আয়াত: ৩১

অর্থাৎ আমি থাকি সেখানে, সুন্নাত আছে। সুন্নাত নাই যেখানে, জান্নাত নাই সেখানে।

দুই.
উদাহরণ: ১

ঘরওয়ালা

سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ يَقُولُ جَاءَتْ مَلاَئِكَةٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ نَائِمٌ فَقَالَ بَعْضُهُمْ إِنَّهُ نَائِمٌ وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِنَّ الْعَيْنَ نَائِمَةٌ وَالْقَلْبَ يَقْظَانُ فَقَالُوا إِنَّ لِصَاحِبِكُمْ هَذَا مَثَلاً فَاضْرِبُوا لَهُ مَثَلاً فَقَالَ بَعْضُهُمْ إِنَّهُ نَائِمٌ وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِنَّ الْعَيْنَ نَائِمَةٌ وَالْقَلْبَ يَقْظَانُ فَقَالُوا مَثَلُهُ كَمَثَلِ رَجُلٍ بَنَى دَارًا وَجَعَلَ فِيهَا مَأْدُبَةً وَبَعَثَ دَاعِيًا فَمَنْ أَجَابَ الدَّاعِيَ دَخَلَ الدَّارَ وَأَكَلَ مِنْ الْمَأْدُبَةِ وَمَنْ لَمْ يُجِبْ الدَّاعِيَ لَمْ يَدْخُلْ الدَّارَ وَلَمْ يَأْكُلْ مِنْ الْمَأْدُبَةِ فَقَالُوا أَوِّلُوهَا لَهُ يَفْقَهْهَا فَقَالَ بَعْضُهُمْ إِنَّهُ نَائِمٌ وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِنَّ الْعَيْنَ نَائِمَةٌ وَالْقَلْبَ يَقْظَانُ فَقَالُوا فَالدَّارُ الْجَنَّةُ وَالدَّاعِي مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم فَمَنْ أَطَاعَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم فَقَدْ أَطَاعَ اللهَ وَمَنْ عَصَى مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم فَقَدْ عَصَى اللهَ وَمُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم فَرْقٌ بَيْنَ النَّاسِ تَابَعَهُ قُتَيْبَةُ عَنْ لَيْثٍ عَنْ خَالِدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ عَنْ جَابِرٍ خَرَجَ عَلَيْنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم

অর্থ: হযরত জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদল ফেরেশ্তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসলেন। তিনি তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। একজন ফেরেশ্তা বললেন, তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] ঘুমিয়ে আছেন। অন্য একজন বললেন, চক্ষু ঘুমিয়ে বটে, কিন্তু অন্তর জেগে আছে। তখন তারা বললেন, তোমাদের এ সাথীর একটি উদাহরণ আছে। সুতরাং তাঁর উদাহরণ তোমরা বর্ণনা কর। তখন তাদের কেউ বলল- তিনি তো ঘুমন্ত, আর কেউ বলল, চক্ষু ঘুমন্ত তবে অন্তর জাগ্রত। তখন তারা বলল, তাঁর উদাহরণ হল সেই লোকের মত, যে একটি বাড়ী তৈরি করল। তারপর সেখানে খানার আয়োজন করল এবং একজন আহবানকারীকে (লোকদের ডাকতে) পাঠাল। যারা আহবানকারীর ডাকে সাড়া দিল, তারা ঘরে প্রবেশ করে খানা খাওয়ার সুযোগ পেল। আর যারা আহবানকারীর ডাকে সাড়া দিল না, তারা ঘরেও প্রবেশ করতে পারল না এবং খানাও খেতে পারল না।

তখন তারা বললেন, উদাহরণটির ব্যাখ্যা করুন, যাতে তিনি বুঝতে পারেন। তখন কেউ বলল, তিনি তো ঘুমন্ত, আর কেউ বলল, চক্ষু ঘুমন্ত, তবে অন্তর জাগ্রত। তখন তারা বললেন, ঘরটি হল জান্নাত, আহবানকারী হলেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। যারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসরণ করল, তারা আল্লাহর আনুগত্য করল। আর যারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অবাধ্যতা করল, তারা আসলে আল্লাহরই অবাধ্যতা করল। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন মানুষের মাঝে পার্থক্যের মাপকাঠি। কুতাইবাহ জাবির (রাঃ) থেকে এরকম হাদীস বর্ণনা করেছেন, তবে তিনি ‘‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে বের হয়ে আসলেন’’ এ কথাটি বলেছেন।
সূত্র: সহিহ বুখারী, হাদিস: ৭২৮১

তিন.
উদহারণ:২

রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধা।

বাংলাদেশের মানুষ হয়ে যারা পাকিস্থানের দালালী করেছে, তাদেরকে বলা হয় গাদ্দারী, রাজাকার।
তেমনি মুসলিম নাম দিয়ে বিধর্মীদের মত ফ্যাশন যারা করে, তাদেরকে বলা হয় আন্তর্জাতিক গাদ্দার। রাজাকাররা রাজাকারি করে, পাকিস্তানের দালালি করার কারণে যেমন আজ তাদেরকে জেলখানায় ঢোকানো হচ্ছে, ঠিক তেমনি আল্লাহর বান্দা হয়ে, নবীজির সা. উম্মত হয়েও নবীজির সা. অনুসরণ না করে, বিধর্মীদের অনুসরণ করলে জাহান্নাম তাদের জন্য নিশ্চিত।

আর যারা দেশের পক্ষে অস্ত্র ধরেছে, সংগ্রাম করেছে, তাদের নাম মুক্তিযোদ্ধা। তাদের জন্য সম্মানের ভাতা, রাষ্ট্রীয় সম্মাননা, বুকে মুক্তিযোদ্ধা ব্যাজ লাগানো থাকে। তাদের ছোটখাটো অপরাধ মাফ হয়। তাদের জন্য মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিদায় করা হয়।
তেমনি সুন্নাতের পথে যারা অবিচল থাকবে, মুক্তিযোদ্ধাদের যেমন রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাতা দেওয়া হয়, তেমনি যারা মানবে সুন্নাত, তাঁদের মহান রব দেবেন জান্নাত।

মুক্তিযোদ্ধাদের বুকে যেমন মুক্তিযুদ্ধ ব্যাজ থাকে, তেমনি হযরত ইবনে আব্বাস রা. বলেন,

وَقَوْلُهُ تَعَالَى: ﴿يَوْمَ تَبْيَضُّ وُجُوهٌ وَتَسْوَدُّ وُجُوهٌ﴾ يَعْنِي: يَوْمَ الْقِيَامَةِ، حِينَ تَبْيَضُّ وُجُوهُ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ، وَتَسْوَدُّ وُجُوهُ أَهْلِ البِدْعَة وَالْفُرْقَةِ، قَالَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا
সূত্র: তাফসীরে ইবনে কাসীর খ. ১ পৃ. ৪০০

শুধু চেহারা নয়, নবীজি সা. বলেন,

فَإِنَّهُمْ يَأْتُونَ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنَ الْوُضُوءِ

অর্থ: তারা (আমার উম্মত) সেদিন এমন অবস্থা আসবে যে, ওযুর ফলে তাদের মুখমণ্ডল, হাত-পা জ্যোতির্ময় হবে।
সূত্র: সহিহ মুসলিম হাদিস: ২৪৯

সুন্নাত পালনকারীদের জন্য কিয়ামতের দিন মুক্তিযোদ্ধা ব্যাজের মত সুন্নাতের অঙ্গে নূর চমকাতে থাকবে।

চার.
নবীজি সা. বলেন,

كُلُّ أُمَّتي يَدْخُلُونَ الجَنَّةَ إِلّا مَن أَبى، قالوا: يا رَسُولَ اللَّهِ، وَمَن يَأْبى؟ قالَ: مَن أَطاعَنِي دَخَلَ الجَنَّةَ، وَمَن عَصانِي فقَدْ أَبى
সূত্র: সহিহ বুখারী হাদিস: ৭২৮০

পাঁচ.
সাহাবাদের রা. মানা।

নবীজি সা. বলেন,

إن بني إسرائيل تفرّقتْ على اثنتينِ وسبعينَ ملةً، وتفترقُ أمتي على ثلاثٍ وسبعينَ ملّةً، كلُّهم في النارِ إلا ملةٌ واحدةٌ قالوا: من هيَ يا رسولَ اللهِ؟ قال: ما أنا عليهِ وأصحابي
সূত্র: শরহুস সুন্নাহ খ. ১ পৃ. ১৮৫

উক্ত আলোচনা থেকে বুঝলাম, আল্লাহর মহব্বত ও জান্নাত পাওয়ার মাধ্যম হলো দুটি। ১. নবীজির সা. সুন্নাহ, দুই. সাহাবাদের রা. মানা।

তাহলে চলুন হক-বাতিলের পার্থক্য বুঝি।

আমার গবেষণা মতে তিন প্রকার বক্তা আছে বাংলাদেশে।
১. লা-মাযহাবী
২. তথাকথিত সুন্নী
৩. দেওবন্দী

চলুন লা-মাযহাবীদের সুন্নাহ বিরোধী একটি আমল হাতে নাতে ধরিয়ে দেয়া যাক।

রমাজানে তারাবীহের নামাজ সুন্নাত না ওয়াজীব?

আয়েশা রা. বলেন,

قالَتْ: ما كانَ يَزِيدُ في رَمَضانَ ولا في غيرِهِ على إحْدى عَشْرَةَ رَكْعَةً، يُصَلِّي أرْبَعَ رَكَعاتٍ، فلا تَسْأَلْ عن حُسْنِهِنَّ وطُولِهِنَّ، ثُمَّ يُصَلِّي أرْبَعًا، فلا تَسْأَلْ عن حُسْنِهِنَّ وطُولِهِنَّ، ثُمَّ يُصَلِّي ثَلاثًا، فَقُلتُ: يا رَسولَ اللَّهِ تَنامُ قَبْلَ أنْ تُوتِرَ؟ قالَ: تَنامُ عَيْنِي ولا يَنامُ قَلْبِي
বুখারী হাদিস’ ৩৫৬৯

১. শুধু রমজানে নয়? সব মাসে।
২. অন্য মাসে তাহাজ্জুদ এটা পেলেন কই?

আয়েশা রা. থেকে আরেকটি হাদিস।

أنَّ النَّبيَّ ﷺ صلّى في المسجِدِ فصَلّى بصلاتِه ناسٌ، ثمَّ صلّى من القابلةِ، فكَثُرَ النّاسُ، ثمَّ اجتَمَعوا من الليلةِ الثّالثةِ، فلم يخرُجْ إليهم رسولُ اللهِ ﷺ، فلمّا أصبح قال: قد رأيتُ الذي صنعْتُم فلم يمنَعْني من الخروجِ إليكم إلّا أنِّي خَشِيتُ أن تُفرَضَ عليكم، وذلك في رَمَضانَ
আবু দাউদ হাদিস: ১৩৭৩

৩. অন্য মাসে রমজানের মত জামাতসহ পড়েন না কেন?
৪. চার চার করে, তারাবিহ দুই দুই করে।
৫. ওমর রা. কে আয়েশা নিষেধ করেননি কেন?
৬. সকল সাহাবা বিদআতী?
৭. নবীর সা. রমজানের আমল বেশি জানতেন সাহাবারা।

মুসাফাহা।

আমি একবার শায়খ মুরাদ বিন আমজাদের কাছে ফোন করেছিলাম।

عن ابْن مَسْعُودٍ يَقُولُ عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَفِّي بَيْنَ كَفَّيْهِ التَّشَهُّدَ

অর্থ: ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার হাত তাঁর উভয় হস্তের মধ্যে রেখে আমাকে এমনভাবে তাশাহহুদ শিখিয়েছেন।
সৃুত্র: সহিহ বুখারী, হাদিস: ৬২৬৫

সুন্নী জিকির।

…মুরশিদ মুরশিদ যে করছে জপন।
…বটবৃক্ষের নিচে গেলাম।
…তুমি খোদা তুমি নবী।

বেড়ার উদহরণ:

জনৈক মুরুব্বী কৃষক তার আলুক্ষেতে চতুর্দিক থেকে বেড়া দিচ্ছিলেন। জনৈক যুবক গিয়ে বললেন, চাচা আপনি এই জমিতে বেড়া দিচ্ছেন কেন? তিনি বললেন, মাত্র আলু থেকে ছোট চারা বের হয়েছে, এলাকায় কিছু গরু ছাগল আছে, তারা যদি এখানে আসে, তাহলে আমার আলু গাছের পাতাগুলো খেয়ে ফেলবে। তখন যুবক বললেন, চাচা, পাতা যদি খায়, তাহলে আপনার অসুবিধা কি? আপনার দরকার তো আলু। আপনি পাতা কি করবেন? তখন তিনি বললেন, আরে গরু ছাগল না এসে যদি তুমি আসো তাহলে তো আরও সমস্যা। যখন গরু-ছাগল আসবে, তখন প্রথম পাতা খাবে, পরে লতা খাবে, তারপরে মূল বা গোড়ায় ধরে টান দিয়ে ভেতর থেকে আলু বের করে সেটাও খাবে। অতএব আমার আলু বাঁচাতে হলে, আগে পাতা বাঁচাতে হবে।
ঠিক তেমনিভাবে শয়তান প্রথম সুন্নাত খায়, এরপরে ওয়াজিব খায়, এর পরে ফরয খায়, এরপর ঈমান ধরে টান দেয়। অতএব ঈমান বাঁচাতে হলে, আগে সুন্নাত বাঁচাতে হবে।

…কওমীতে যান।
…চরমোনাই-উজানী-ঢালকানগর।
…তাবলীগকে যান।

উদহারণ:

সরকারী দলের লোককে সুপারিশ

এক ব্যক্তি দেশের প্রতি অতিষ্ঠ হয়ে ভাবলেন যে, আমি আর বেঁচে থাকবো না, মারেই যাবো। এটা ভেবে তিনি একটি রশি কিনলেন। রশি যখন ফ্যানের সাথে টানিয়ে যখন গলায় লাগিয়ে ঝুলে পড়লেন, তখন রশিটা ছিঁড়ে গেলো। পরে রশির উপর গবেষণ চালিয়ে দেখা গেলো রশিতে ভেজাল ছিলো। এর পরে তিনি ভাবলেন যে, এটা দিয়ে হবে না, তাহলে কি করা যায়? ভেবে বের করলো বিষ খাবো। পরে এক বোতল বিষ কিনে খেয়ে ফেললো, কিন্তু বিষেও তেমন কাজ হলো না, শুধু মুখ থেকে ফেনা ছুটলো, কিন্তু মারা গেলো না। ডাক্তাররা বিচক্ষণতার সাথে দেখে শুনে বললেন যে, এ বিষের মধ্যেও ভেজাল ছিলো। এর পরে তিনি ভাবলেন এভাবে হবে না, তখন তিন রেলস্টেশনে গিয়ে ট্রেনের রাস্তায় গলা রেখে শুয়ে পড়ল, কিন্তু ষ্টেশন মাষ্টার হঠাৎ মাইকে এলান দিলো যে, ট্রেনের রাস্তা লাইনচ্যুত হয়ে গেছে। ট্রেন পাঁচ দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তখন তিনি ওখান থেকে চলে এসে হাইওয়ে রোডে আসলেন এবং ভাবলেন, হাইওয়ে রোডে শুয়ে থাকবো, বাসে আমাকে চাপা দিয়ে যাবে, তোতো আমার ইচ্ছা পুরণ হয়ে যাবে। কিন্তু সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত শুয়ে থাকলেন, কিন্তু বাস আসে না। একজন এসে বলল, ভাই, কি প্রোবলেম? তিনি বললেন, বাসের অপেক্ষায় আছি। লোকটি বলল বাস তো আসবে না। কেন? লোকটি বললো, বিরোধী দল ১০ দিনের হরতাল ডেকেছে। তখন তিনি ভাবলেন, এভাবে আর হবেনা। তখন ভাবলেন, কোটকাচারি তো আর বন্ধ থাকে না, আর বিচারকও আমার দুলাভাই লাগে না, বড় ধরলেন ক্রাইম করলে ফাঁসি নিশ্চিত। তখন তিনি একজনকে করে আত্মসমার্পন করলেন। যখন তাকে আদালতে দাঁড় করানো হলো, তখন বিচারকের কানে গিয়ে নেতা একজন ফিসফিস করে কি যেন বলল, তখন বিচারক প্রশ্ন করলেন, তুমি কোন দল করো? বলল সরকারী দল। বিচারক রায় দিলেন, ফাঁসি হবে না বেকসুর খালাস।

সরকারী দলের লোক হলে যেমন দাগি দাগি আসামী পার পায়, ঠিক তেমনি হাদিস শরীফে এসেছে,

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ شَفَاعَتِي لِأَهْلِ الْكَبَائِرِ مِنْ أُمَّتِي

অর্থ: আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমার উম্মাতের কাবীরাহ গুনাহগারদের জন্য আমার শাফা‘আত।
সূত্র: সুনান আবু দাউদ হাদিস: ৪৭৩৯

নুহ আ. ও তাঁর উম্মাত

فَأَنْجَيْنَاهُ وَالَّذِينَ مَعَهُ فِي الْفُلْكِ وَأَغْرَقْنَا الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا إِنَّهُمْ كَانُوا قَوْمًا عَمِينَ

مومن جو فدا نقش كف پائے نبی ہو
ہو زیر قدم آج بھی عالم کا خزینہ
گر سنت نبوی کی کرے پیروی امت
طوفاں سے نکل جائے گا پھر اسکا سفینہ

নবীজির ইন্তেকালের খবর শুনে জনৈক কৃষক:

রাসুলুল্লাহ সাঃ যখন ইন্তেকাল করলেন, একজন গ্রাম্য সাহাবীর কাছে একজন এসে বললেন যে, রাসূলুল্লাহ সা. ইন্তেকাল করেছেন। তিনি বলেন, ক নবী ইন্তেকাল করেছেন তিনি সব হালচাষ ছেড়ে দিয়ে দুই হাত উঠিয়ে আল্লাহকে বললেন হে আল্লাহ আমার এই চোখ ছিল তোমার রাসুলকে দেখার জন্য আমারিকান ছিল তোমার কথা শোনার জন্য যেহেতু তিনি নেই আমারও চোখ কান দিয়ে কি করব তুমি আমাকে এটা নিয়ে যাও একবার চোখ কান বন্ধ হয়ে যায় যেহেতু তিনি ছিলেন।
সূত্র: খুতবাতুল ইসলাম খন্ড খ. 5 পৃ. 32

সুতরাং যে জিবন সুন্নাতের পথে পরিচালিত হয় না, সে জিবনের কোনো মূল্য নেই।

মুসা আ. ও যাদুকর

وَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ قَالُواْ آمَنَّا بِرِبِّ الْعَالَمِينَ رَبِّ مُوسَى وَهَارُونَ

অর্থ: এবং যাদুকররা সেজদায় পড়ে গেল। বলল, আমরা ঈমান আনছি মহা বিশ্বে পরওয়ারদেগারের প্রতি। যিনি মূসা ও হারুনের পরওয়ারদেগার।
সুরাঃ আরাফ আয়াত: ১২০-১২২

ফিরআউনের সাথে পার হওয়া জনৈক ব্যক্তি

 

সবাই আল্লাহকে ভালোবাসতে চায়।

আমরা যাবো কই?

…ধানের বীজ।
…জনপ্রিয়তা

মতিঝিলে মতি নেই, নেই রে কোন ঝিল,
চাঁদপুরে তো চাঁদ নাই, আছে শুধু বিল।
কর্ণফুলীর ফুল নেই, রাজশাহীতে রাজা,
বুড়িগঙ্গার বুড়ি নেই, সোনারগাঁয়ে সোনা।

পীর হাবিবুর পীর নয়, লেখায় মিথ্যা ভরা,
মাকাল ফলের কালার ভালো ভেতরটা তিতা,
শরীয়তপুরে দ্বীন-ইসলাম কায়েম নাই সেথা,
ভণ্ডপীরের ভন্ডামীতে ধর্মে পড়ল ঠাডা।
নবাবগঞ্জে নবাব নেই, ঢাকা শহর ফাঁকা।
নাম দিয়ে ভাই যায় না চেনা আসল ঠিকানা

নামটা দিয়েছে প্রিন্স, তবে ভিক্ষা করে বসে,
পরে গাড়ী সামনে গিয়ে, সেলফী মারে কসে।
নামটা গেদুর সুন্দর আলী মনটা বড় কালা,
মঞ্চে নেতার চাপাবাজি ভোটের পরে চোরা।
জনসেবক সেজে আসে হাজি সাহেব নাম,
ভোটের পরে আকাম-কুকাম, পাজির মত কাম।

…৫০০ টাকা জরিমানা:
হাতুড়ি ডাক্তার:
…নিম ডাক্তার খতরে জান

তাহলে যাবো কাদের কাছে?

আল্লাহ ক’জন?
সবাই কি পেতে চায়?
আমার কথা সবাই নেবে না।
কুরআন-হাদিস কার?

কিছু লোক বললেন,

إنا نحب ربنا فأمر الله جل وعز نبيه محمدًا ﷺ أن يقول لهم إن كنتم صادقين فيما تقولون فاتبعوني فإن ذلك علامة صِدْقكم فيما قلتم من ذلك

আমি সবখানে থাকি না

قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

আমি থাকি সেখানে, সুন্নাত আছে যেখানে,
সুন্নাত নাই যেখানে, জান্নাত নাই সেখানে।

ঘরওয়ালা

مَثَلُهُ كَمَثَلِ رَجُلٍ بَنَى دَارًا وَجَعَلَ فِيهَا مَأْدُبَةً وَبَعَثَ دَاعِيًا فَمَنْ أَجَابَ الدَّاعِيَ دَخَلَ الدَّارَ وَأَكَلَ مِنْ الْمَأْدُبَةِ
وَمَنْ لَمْ يُجِبْ الدَّاعِيَ لَمْ يَدْخُلْ الدَّارَ وَلَمْ يَأْكُلْ مِنْ الْمَأْدُبَةِ

রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধা।

জেল….জাহান্নাম
ভাতা….জান্নাত
ব্যাজ….

يَوْمَ الْقِيَامَةِ، حِينَ تَبْيَضُّ وُجُوهُ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ

অযুর সকল অঙ্গ
فَإِنَّهُمْ يَأْتُونَ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنَ الْوُضُوءِ

সুন্নাত মানা

كُلُّ أُمَّتي يَدْخُلُونَ الجَنَّةَ إِلّا مَن أَبى، قالوا: يا رَسُولَ اللَّهِ، وَمَن يَأْبى؟ قالَ: مَن أَطاعَنِي دَخَلَ الجَنَّةَ، وَمَن عَصانِي فقَدْ أَبى

সাহাবাদের রা. মানা

إن بني إسرائيل تفرّقتْ على اثنتينِ وسبعينَ ملةً، وتفترقُ أمتي على ثلاثٍ وسبعينَ ملّةً، كلُّهم في النارِ إلا ملةٌ واحدةٌ قالوا: من هيَ يا رسولَ اللهِ؟ قال: ما أنا عليهِ وأصحابي

হক-বাতিলের পার্থক্য

তিন প্রকার বক্তা

১. লা-মাযহাবী
২. তথাকথিত সুন্নী
৩. দেওবন্দী

লা-মাযহাবী

তারাবীহ

قالَتْ ما كانَ يَزِيدُ في رَمَضانَ ولا في غيرِهِ على إحْدى عَشْرَةَ رَكْعَةً، يُصَلِّي أرْبَعَ رَكَعاتٍ

১. নবীজির রাতের নামাজ ৪ প্রকার।
২. শুধু রমজানে নয়? সব মাসে।
২. অন্য মাসে তাহাজ্জুদ এটা পেলেন কই?

আয়েশা রা. থেকে আরেকটি হাদিস।

أنَّ النَّبيَّ ﷺ صلّى في المسجِدِ فصَلّى بصلاتِه ناسٌ، ثمَّ صلّى من القابلةِ، فكَثُرَ النّاسُ، ثمَّ اجتَمَعوا من الليلةِ الثّالثةِ، فلم يخرُجْ إليهم رسولُ اللهِ ﷺ، فلمّا أصبح قال: قد رأيتُ الذي صنعْتُم فلم يمنَعْني من الخروجِ إليكم إلّا أنِّي خَشِيتُ أن تُفرَضَ عليكم، وذلك في رَمَضانَ

৩. অন্য মাসে রমজানের মত জামাতসহ পড়েন না কেন?
৪. চার চার করে, তারাবিহ দুই দুই করে।
৫. ওমর রা. কে আয়েশা নিষেধ করেননি কেন?
. সকল সাহাবা বিদআতী?
৭. নবীর সা. রমজানের আমল বেশি জানতেন সাহাবারা।

মুসাফাহা

মুরাদ বিন আমজাদ

عن ابْن مَسْعُودٍ يَقُولُ عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَفِّي بَيْنَ كَفَّيْهِ التَّشَهُّدَ

সুন্নী জিকির।

…মুরশিদ মুরশিদ যে করছে জপন।
বটবৃক্ষের নিচে গেলাম।
…তুমি খোদা তুমি নবী।

আচ্ছা মানুষ বলো দেখি রাত্রি কেন কাল,?
সূর্য বলো কোথা হতে পাইল এত আলো?
ফুলগুলো নানান রংয়ের কেমন করে হয়?
পাতাগুলো সবুজ বটে ফুলের মত নয়?

দুধ কেন এত সাদা মরিচ কেন ঝাল?
আম গুলো পাকলে বলো কেমনে হয় তা লাল?
আবার পশু পাখি কয় না কথা মানুষ কেন কয়?
বলো বলো ওহে মানুষ এসব কেমন করে হয়?

ভাবি সবি এসব মহান প্রভুর দান।
নত শিরে সিজদা করো ওহে মুসলমান।
আরে ডিমগুলো একই রকম পার্থক্য নয় বটে,
তবে সাদা কালো বাচ্চাগুলো কেমন করে ফোটে?

আমরা সবাই বাস করি এই পৃথিবীরই অঙ্গে,
হাতের লেখা মুখ চেহারা মেলে না কারো সঙ্গে।
আর মেলে না কলমের সই বুড়ি আঙ্গুলের টিপ,
প্রমান হলো মহান আল্লাহ একজন আছেন ঠিক।

বেড়ার উদহরণ

…কওমীতে যান।
…চরমোনাই-উজানী-ঢালকানগর।
…তাবলীগকে যান।

সব কিছুতে ভেজাল

شَفَاعَتِي لِأَهْلِ الْكَبَائِرِ مِنْ أُمَّتِي

নুহ আ. ও তাঁর উম্মাত

فَأَنْجَيْنَاهُ وَالَّذِينَ مَعَهُ فِي الْفُلْكِ وَأَغْرَقْنَا الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا إِنَّهُمْ كَانُوا قَوْمًا عَمِينَ

مومن جو فدا نقش كف پائے نبی ہو
ہو زیر قدم آج بھی عالم کا خزینہ
گر سنت نبوی کی کرے پیروی امت
طوفاں سے نکل جائے گا پھر اسکا سفینہ

ফিরআউনের দলে

নবীজির ইন্তেকালের খবর শুনে জনৈক কৃষক

Check Also

সুরা ফাতিহার তাফসীর

الحمد لله رب العالمين সর্বদা নিয়ামত দেন: সর্বদার প্রশংসা: উক্ত আয়াত جملة اسمية কেন? কারণ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.