Home > রোযা > সাহরী/ইফতারী কোন সময় করা উত্তম

সাহরী/ইফতারী কোন সময় করা উত্তম

সাহরী/ইফতারী কোন সময় করবে?

সুবহে সাদিক তথা ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার কাছাকাছি সময় সাহরী খাওয়া আর ইফতারীর সময় হওয়ার সাথেই দ্রুত ইফতার করা মুস্তাহাব। হযরত আবদুল্লাহ ইবেন আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

ِإنا معاشر الأنبياء أمرنا أن نعجل فطرنا وأن نؤخر سحورنا

অর্থ: সকল নবীকে (সময় হয়ে গেলে দেরি না করে) তাড়াতাড়ি ইফতার করতে আদেশ করা হয়েছে এবং সাহরী বিলম্বে খেতে বলা হয়েছে।
সূত্র: আলমুজামুল আওসাত খ: ২ পৃ: ২৪৭ মাজমাউয যাওয়াইদ খ: ৩ পৃ: ১৫৮ (হাদিস-সহিহ)

عن أبي هريرة رضي الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يزالُ الدينُ ظاهرًا ما عَجَّلَ الناسُ الفِطْرَ لأنَّ اليهودَ والنصارى يُؤَخِّرونَ

অর্থ: দ্বীন (ইসলাম) ততদিন বিজয় থাকবে,যতদিন মানুষেরা ইফতার দ্রুত করবে। কারণ ইহুদী-খৃষ্টানরা ইফতারীতে দেরি করে।
সূত্র: আবু দাউদ হাদিস-২৩৫৩ ইবনে মাজা-১৬৯৮ আহমাদ-৯৮১০

عن عمرو بن ميمون قال كان أصحابُ محمد صلى الله عليه وسلم أعْجلَ الناسِ إفطارا وأبْطَأهم سُحورا

অর্থ: আমর ইবনে মায়মুন র: বলেন, ‘সাহাবায়ে কেরাম দ্রুত ইফতার করতেন আর বিলম্বে সাহরী খেতেন।
সূত্র: মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক হাদীস- ৭৫৯১
বাইহাকী-৮৩৮৫ মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা হাদীস- ৯০২৫ আল মাজমু (নববী) খ:৬ পৃ:৩৬২ (হাদিস: সহিহ)

হাদীস শরীফে আছে,

لا يزال الناس بخير ما عجلوا الفطر.

অর্থ: যতদিন  মানুষ দেরি না করে সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে।

সূত্র: সহীহ বুখারী হাদিস-১৯৫৭

তবে সাহরীতে এত দেরি করা মাকরূহ যে, সুবহে সাদিক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয়।

 

লেখক:

মুফতী রিজওয়ান রফিকী

পরিচালক- মাদরাসা মারকাযুন নূর বোর্ড বাজার,গাজীপুর।

Check Also

ইমাম সাহেবের হুজরায় যেতে পারবে কি না?

إن خرج من غير عذر ساعة فسد اعتكافه অর্থাৎ কোনো প্রয়োজন ছাড়া যদি ইতিকাফকারী ব্যক্তি …

One comment

  1. আসসালামু আলাইকুম।
    আমার একজন পরিচিত মানুষ আছেন।যিনি ইফতার করে মাগরিব এর পর,যখন পরিবেশটা অন্ধকার হয়ে যায়।তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি সূরা বাকারার ১৮৭ নং আয়াতের কথা বলে।

    অথচ আমরা তো প্রায় সূর্য অস্ত যাওয়ার মূহুর্তে ইফতার করে থাকি।

    তার যুক্তি কোরআনে আছে “রাত পর্যন্ত সওমকে পূর্ন কর।” আর কোরআনের স্পষ্ট আয়াতকে আমরা কিভাবে এড়িয়ে যাই?এটা ত কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক তাই না?

    প্রিয় শায়েখ দয়া করে এই ব্যাপারে একটা আর্টিকেল লেখন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.