Home > হেযবুত তওহীদ > সকল ধর্মগ্রন্থ কী আল্লাহর কিতাব!

সকল ধর্মগ্রন্থ কী আল্লাহর কিতাব!

আসমানী কিতাবের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা ইসলাম ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কালিমায়ে শাহাদাতে এ বিষয়টিকে ইসলামী গুরুত্বপূর্ণ আকীদাসমূহের মাঝে তৃতীয় স্থানে রাখা হয়েছে। যে সব ধর্মগ্রন্থ আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত, সেগুলোকে সত্য বলে বিশ্বাস করা ঈমানের অপরিহার্য বিধান। তবে সেসব ধর্মগ্রন্থ বর্তমানে অবিকৃত অবস্থায় বিদ্যমান না থাকায় বর্তমানে সেগুলোকে আল্লাহ-র কিতাব মনে করা ও তার উপর আমল করা বৈধ নয়।

হেযবুত তওহীদ কী বলে?
বর্তমানে হেযবুত তওহীদ সকল ধর্মকে এক করে আন্তঃধর্মীয় মতবাদ প্রতিষ্টা করতে সম্রাট আকবরের দ্বীনে এলাহীর রুপ দান করে মূলত ইমলামকে সমাজ থেকে ধ্বংস করতে চায়। আর এজন্য তারা পবিত্র কুরআনের মত সকল ধর্মগ্রন্থ যেমন বেদ, গীতা, ত্রিপিটক, রামায়ন, বাইবেলসহ সকল ধর্মগ্রন্থকে আল্লাহর কিতাব বলে দাবি করেছে। নিন্মে তাদের কয়েকটা দাবি তুলে ধরা হলো-
আমাদের স্রষ্টা এক,নবী-অবতারগণও এসেছেন একই স্রষ্টার পক্ষ থেকে, তাদের আনীত গ্রন্থাবলীকেও আল্লাহর কেতাব বলে জানতে হবে। -মহাসত্যের আহ্বান : পৃ. ১০৫

যে ধর্মগ্রন্থগুলোর চর্চা হিন্দু ধর্মে হয়ে থাকে সেগুলোর কিছু কিছু আল্লাহরই পাঠানো কেতাব। -শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম : পৃ. ৬৫

হিন্দুদের পুরাণে, বেদে, সংহিতায়, রামায়নে ও মহাভারতে যে ইতিহাস আমরা পাই সেখানেও রয়েছে প্রচুর বিকৃতি । সেই সব বিকৃতির মধ্যেই মিশে আছে কিছু মহাসত্য যা দেখার মত দৃষ্টিশক্তি এই বিকৃত ইসলামের আলেমদের নেই। থাকলে তারা দেখতে পেতেন যে, ঐ সব ধর্মগ্রন্থে যে সব অবতারদের কথা বলা হয়েছে তাদের অনেকেই আল্লাহর প্রেরিত নবী, এবং যে ধর্মগ্রন্থগুলোর চর্চা হিন্দু ধর্মে হয়ে থাকে সেগুলোর কিছু কিছু আল্লাহরই পাঠানো কেতাব। -শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম : পৃ. ৬৫

অনেক ঐতিহাসিক, পণ্ডিত ও গবেষকের মতে মহর্ষী মনু, রাজা রামচন্দ্র, শ্রীকৃষ্ণ, ধর্মরাজ যুধিষ্ঠির, মহাবীর জৈন, মহামতি বুদ্ধ এঁরা সবাই ছিলেন ভারতবর্ষে আগত আল্লাহর নবী। অনেক গবেষক মনে করেন বৈবস্বতঃ মনুই হচ্ছেন বৈদিক ধর্মের মূল প্রবর্তক, যাঁকে কোর’আনে ও বাইবেলে বলা হয়েছে নূহ (আ:), ভবিষ্যপুরাণে বলা হয়েছে রাজা ন্যূহ। তাঁর উপরই নাজিল হয় বেদের মূল অংশ। তাঁর সময়ে এক মহাপ্লাবন হয় যাতে কেবল তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা একটি বড় নৌকায় আরোহন করে জীবন রক্ষা করেন। তাঁদের সঙ্গে প্রতিটি প্রাণীর এক জোড়া করে রক্ষা পায়। এই ঘটনাগুলি কোর’আনে যেমন আছে (সুরা মো’মেনুন-২৭, সুরা হুদ-৪০, সুরা আরাফ-৬৪, সুরা ছাফফাত-৭৭), বাইবেলেও (Genesis chapters 6–9) আছে আবার মহাভারতে (বনপর্ব, ১৮৭ অধ্যায়: প্রলয় সম্ভাবনায় মনুকর্তৃক সংসারবীজরক্ষা), মৎস্যপুরাণেও আছে। যা প্রমাণ করে যে, এই সব গ্রন্থই একই স্থান থেকে আগত। -সকল ধর্মের মর্ম কথা সবার উর্ধ্বে মানবতা : পৃ. ৫

মুহাম্মাদ সাঃ-এর ওপরেও বিভিন্ন বেদ  যাদের ওপর অবতীর্ণ হোয়েছিলো, মুসা (আঃ) ও মোহাম্মদ (দঃ)। -এ ইসলাম ইসলামই নয়, পৃ. ১৩৯-১৪০

শেষ প্রেরিত গ্রন্থ আল কোর’আনকে আল্লাহ পাঠিয়েছেন ছন্দ বদ্ধ করে। কেবল কোর’আন নয়, যবুর, গিতা,বেদ, ত্রিপিটক ইত্যাদি ধর্মগ্রন্থও আল্লাহ পাঠিয়েছেন কাব্যময় কোরে। ভগবতগীতার অর্থই হল ঈশ্বরের গান। -গনমাধ্যমের করণীয়, পৃ. ৫৯

পূর্ববর্তী নবী-রসুল-অবতার এবং তাঁদের আনীত কেতাবের প্রতিও অবিশ্বাস রেখে জান্নাতের আশা করে লাভ নেই। -দেশেরপত্র সাপ্তাহিক সংকলন- ২৪ পৃ. ২৫

অর্থাৎ তারা বলতে চায়, পৃথিবীতে যত ধর্মগ্রন্থ আছে, সব আল্লাহ-র নাযিলকৃত। এ সব ধর্মগ্রন্থের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। নইলে জান্নাতে যাওয়া যাবে না।

ইসলাম কী বলে?
তাওরাত, যবুর, ইঞ্জিলের ব্যাপারে আকিদা কী?
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সর্বসম্মত আকিদা হলো, আসমান থেকে অবতীর্ণ পূর্ববর্তী সকল কিতাবের বিধান কুরআনের মাধ্যমে রহিত হয়ে গেছে। হানাফি মাযহাবের ভাষ্যকার ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী রহি. তাঁর জগদ্বিখ্যাত কিতাব, মিশকাত শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থে লেখেন,
ونعتقد بوجود كتبه المنزلة على رسله تفصيلا فيما علم يقينا كالقرآن ، والتوراة ، والزبور ، والإنجيل ، وإجمالا فيما عداه ، وأنها منسوخة بالقرآن ، وأنه لا يجوز عليه نسخ ، ولا تحريف إلى قيام الساعة
আমরা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ সমস্ত কিতাবের উপর বিশ্বাস স্থাপন করি। কুরআন, তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জিলসহ যে ধর্মগ্রন্থ আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিতভাবে জানা গেছে, সুনির্ধারিতভাবে সে সবগুলোকে আমরা বিশ্বাস করি। এ ছাড়া নিশ্চিত জানা নেই কিন্তু আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ সাধারণভাবে এসব ধর্মগ্রন্থের অস্তিত্বকে আমরা বিশ্বাস করি। আমাদের আকীদা হলো, এ সমুদয় গ্রন্থ কোরআনের মাধ্যমে রহিত হয়ে গেছে। কিন্তু পবিত্র কুরআন কেয়ামত পর্যন্ত এটি রহিত বা বিকৃত মনে করা জায়েয নয়। -মিরকাতুল মাফাতিহ : খ. ১ পৃ. ১৪১

সুতরাং তাওরাত, যবুর, ইঞ্জিল ও কুরআনসহ নবিদের প্রতি নাযিলকৃত সকল কিতাব ওহি। সবই আল্লাহ তাআলার কালাম। তবে ধর্মীয় ইতিহাসের নিরপেক্ষ বিচার-বিশ্লেষণে একথা সুস্পষ্ট যে, কুরআনে কারীম ছাড়া অন্য সকল আসমানি কিতাব চরমভাবে বিকৃতির শিকার হয়েছে। কোনোটিই তার মূল অবস্থায় বাকি থাকেনি, বরং বর্তমানে প্রচলিত তাওরাত, যবুর বা ইঞ্জিল সবই মানুষের লেখা। এ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখতে গেলে কিতাবটি দীর্ঘ হবে। এ জন্য সংক্ষেপে এতটুকু জেনে রাখুন যে আসমানি কিতাব তাওরাত বর্তমানে প্রচলিত বাইবেলের পুরনো নিয়মের প্রথম পাঁচ পুস্তক (আদিপুস্তক, যাত্রাপুস্তক, গণনাপুস্তক, লেবীয় পুস্তক ও দ্বিতীয় বিবরণ অথবা অন্য শব্দে পয়দায়েশ, হিজরত, লেবীয়, শুমারী ও দ্বিতীয় বিবরণ) নয়; বরং তাওরাত হচ্ছে সেই কিতাব, যা ওহির মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা হযরত মূসা আলাইহিস সালামকে দান করেছেন।

যবুর কিতাবও বাইবেলের পুরনো নিয়মের ‘সামসঙ্গীত’ বা ‘গীতসংহিতা’ নয়; বরং আল্লাহ তাআলা হযরত দাউদ আলাইহিস সালামের উপর যে কিতাব নাযিল করেছেন, তা হচ্ছে যবুর শরীফ। তেমনি আসমানি কিতাব ইঞ্জিল বর্তমানে প্রচলিত বাইবেলের নতুন নিয়ম কিংবা নতুন নিয়মের প্রথম চারটি কিতাব (মথি সুসমাচার, মার্ক সুসমাচার, লূক সুসমাচার ও যোহন সুসমাচার) নয়; বরং ইঞ্জিল সেই কিতাব, যা আল্লাহ তাআলা হযরত ঈসা ইবনে মারইয়াম আ. কে ওহির মাধ্যমে দান করেছেন এবং ঈসা আলাইহিস সালাম তা বনী ইসরাঈলের মাঝে প্রচার করেছেন। মূলকথা, বাইবেলের পুরনো নিয়ম ও নতুন নিয়ম (প্রচলিত ইঞ্জিল শরীফ)-এর কোনো গ্রন্থই ওহির মাধ্যমে নাযিলকৃত গ্রন্থ নয়। এগুলো পরবর্তীদের রচনাকৃত। কিন্তু এ রচনাগুলোর মূলকপিও খ্রিস্টানদের কাছে সংরক্ষিত নেই। এগুলোর রচয়িতা কে বা কারা, তাও নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না।  তবে তাওরাত, যবুর বা ইঞ্জিল শরীফের পূর্ণরুপ বাইবেল নামে যে বইটা সমাজে প্রচলিত রয়েছে, সে বাইবেলটা খ্রিস্টধর্ম মতে ১৬০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ৪০জন লেখক লিপিবদ্ধ করেছিলেন। -উইকিপিডিয়া

তাছাড়া বাইবেলের সংকলকগণও এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে হওয়ার দাবি করেনি, বরং যারা এই বাইবেলের লেখক, তারা নিজেরাই বলেছেন যে, এগুলো তাদের হাতের লেখা। বাইবেলের লেখক সেন্ট পৌল লিখেছেন,
আমি পৌলও নিজের হাতে এই শুভেচ্ছা বাণী লিখছি। – কলসীয় ৪/১৮

বাইবেলের লেখক লুক লিখেছেন,
মাননীয় থিওফিল আমাদের মধ্যে যে সব ঘটনা ঘটেছে তা যারা প্রথম থেকে নিজের চোখে দেখেছেন ও আল্লাহর সুসংবাদ তাবলীগ করেছেন, তারা আমাদের কাছে সবকিছু জানিয়েছেন । আর তাদের কথা মতই অনেকে সেইসব বিষয়গুলো পরপর লিখেছেন। সেই সব বিষয় সম্বন্ধে প্রথম থেকে খোঁজখবর নিয়ে আপনার জন্য তা একটা একটা লেখা আমিও ভাল মনে করলাম। -লুক ১/১-৩

বাইবেলের লেখক ইউহোন্না/যোহন লিখেছে,
ঈসা আরও অনেক কিছু করেছিলেন । যদি এ গুলো এক এক করে লেখা হত তবে এত কিতাব হত যে, আমার মনে হয় সেগুলো এই দুনিয়াতে ধরতো না। -বাইবেল নতুন নিয়ত ইউহোন্না/যোহন ২১/২৫

তার এ উক্তি প্রমাণ করে ঈসা আ. সম্পর্কে সে অনেক বিষয়ে অবগত ছিল। যা থেকে তার বুঝ অনুযায়ী কিছু বিষয় সে বাইবেলে লিপিবদ্ধ করেছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখতে পারেন- বাইবেল, নতুন নিয়ম, ইউহোন্না/যোজন ২১:২৫, লূতা ১:১-৩ প্রেরিত ১:১-২ কলসীয় ৪:১৮ ২ তীমথিয় ২:৮ কলসীয় ১:২৩-২৬ রোমীয় ১:১-৩, ১ করিন্থীয় ১৫:১-১১ গালাতীয় ১:১-২০, থিষলনীকীয় ৫:১ মথা ২৮:২-৭ লূক ২৪:৩৬-৪৪ যোজন ২১:৪-১২

বাস্তবতা কী বলে?
বাইবেল মানবরচিত হওয়ার আরেকটি বলিষ্ঠ প্রমাণ হলো, কথিত তাওরাত ও ইঞ্জিলে মুসা আ. ও ঈসা আ. এর মৃত্যু ও মৃত্যুপরবর্তী অনেক ঘটনা বিদ্যমান রয়েছে। এসব আল্লাহ-র পক্ষ থেক অবতীর্ণ হলে নবীদের মৃত্যু পরবর্তী কিচ্ছা কাহিনী তাদের উপর অবতীর্ণ কিতাবে কীভাবে স্থান পেতে পারে। এসব বাস্তবতা প্রমাণ করে, বর্তমান বিশ্বে বিদ্যমান বাইবেলের বিভিন্ন সংস্করণগুলি সম্পূর্ণ মানব রচিত। আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ নয়৷ এ কিতাবগুলো সম্পর্কে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ، كَيْفَ تَسْأَلُونَ أَهْلَ الْكِتَابِ، وَكِتَابُكُمُ الَّذِي أُنْزِلَ عَلَى نَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم أَحْدَثُ الأَخْبَارِ بِاللَّهِ، تَقْرَءُونَهُ لَمْ يُشَبْ، وَقَدْ حَدَّثَكُمُ اللَّهُ أَنَّ أَهْلَ الْكِتَابِ بَدَّلُوا مَا كَتَبَ اللَّهُ وَغَيَّرُوا بِأَيْدِيهِمُ الْكِتَابَ فَقَالُوا هُوَ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ، لِيَشْتَرُوا بِهِ ثَمَنًا قَلِيلاً
হে মুসলিম সমাজ! কী করে তোমরা আহলে কিতাবদের নিকট জিজ্ঞেস করো? অথচ আল্লাহ তাঁর নবির উপর যে কিতাব অবতীর্ণ করেছেন, তা আল্লাহ-র সম্পর্কিত নবতর তথ্য সম্বলিত, যা তোমরা তিলাওয়াত করছো এবং যার মধ্যে মিথ্যার কোন সংমিশ্রণ নেই। তদুপরি আল্লাহ তোমাদের জানিয়ে দিয়েছেন যে, আহলে কিতাবরা আল্লাহ যা লিখে দিয়েছিলেন, তা পরিবর্তন করে ফেলেছে এবং নিজ হাতে সেই কিতাবের বিকৃতি সাধন করে তা দিয়ে তুচ্ছ মূল্যের উদ্দেশে প্রচার করেছে যে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকেই অবতীর্ণ। -সহিহ বুখারী : হাদিস নং : ২৬৮৫

সুতরাং প্রমাণ হলো, মহাভারত, গীতা, বেদ, পুরান, ত্রিপিটক, বাইবেল তথা বর্তমানের তাওরাত, যবুর, ইঞ্জিল এ সব মানবরচিত ধর্মগ্রন্থ। এগুলোকে আল্লাহর কিতাব বলা মারাত্মক অন্যায়।

এসব ধর্মগ্রন্থকে যারা আল্লাহর কিতাব বলে তারা মিথ্যাবাদী:
মানবরচিত এসব ধর্মগ্রন্থগুলোকে যারা আল্লাহর কিতাব বলে দাবি করে মহান রব তাদের ব্যাপারে বলেন,
وَإِنَّ مِنْهُمْ لَفَرِيقًا يَلْوُونَ أَلْسِنَتَهُم بِالْكِتَابِ لِتَحْسَبُوهُ مِنَ الْكِتَابِ وَمَا هُوَ مِنَ الْكِتَابِ وَيَقُولُونَ هُوَ مِنْ عِندِ اللّهِ وَمَا هُوَ مِنْ عِندِ اللّهِ وَيَقُولُونَ عَلَى اللّهِ الْكَذِبَ وَهُمْ يَعْلَمُونَ
তাদেরই মধ্যে একদল লোক এমন আছে, যারা কিতাব (তাওরাত) পড়ার সময় নিজেদের জিহ্বাকে পেঁচায়, যাতে তোমরা (তাদের পেঁচিয়ে তৈরি করা) সে কথাকে কিতাবের অংশ মনে করো, অথচ তা কিতাবের অংশ নয় এবং তারা বলে, এটা আল্লাহর নিকট থেকে অবতীর্ণ, অথচ তা আল্লাহর নিকট থেকে অবতীর্ণ নয় এবং (এভাবে) তারা জেনে শুনে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে। -সুরা আলে ইমরান : ৭৮

فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ يَكْتُبُونَ ٱلْكِتَٰبَ بِأَيْدِيهِمْ ثُمَّ يَقُولُونَ هَٰذَا مِنْ عِندِ ٱللَّهِ لِيَشْتَرُوا۟ بِهِۦ ثَمَنًا قَلِيلًاۖ فَوَيْلٌ لَّهُم مِّمَّا كَتَبَتْ أَيْدِيهِمْ وَوَيْلٌ لَّهُم مِّمَّا يَكْسِبُونَ
সুতরাং ধ্বংস সেই সকল লোকের জন্য, যারা নিজ হাতে কিতাব লেখে, তারপর (মানুষকে) বলে এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে, যাতে তার মাধ্যমে কিঞ্চিত আয়-রোজগার করতে পারে। সুতরাং তাদের হাত যা রচনা করেছে সে কারণেও তাদের জন্য ধ্বংস এবং তারা যা উপার্জন করেছে, সে কারণেও তাদের জন্য ধ্বংস। -সুরা বাকারা : ৭৯

প্রিয় পাঠক, আশা করি উপরিউক্ত আলোচনা দ্বারা বুঝতে সক্ষম হয়েছেন যে, পৃথিবিতে কুরআন শরীফ ছাড়া অন্যান্য ধর্মগ্রন্থগুলো সবই মানবরচিত। এগুলোকে আল্লাহ-র কিতাব বলে দাবি করা নিতান্তই কুফরী মতবাদ।

মুশরিকদের ধর্মগ্রন্থ কী আল্লাহ-র প্রেরিত:
আমরা জানি, বেদ, গীতা, ত্রিপিটক, রামায়ন ইত্যাদী ধর্মগ্রন্থগুলো আল্লাহ-র কিতাব নয়। কারণ এ ব্যাপারে কুরআন-সুন্নাহ’য় কোনো প্রমাণ নেই, এমনকি এই ধর্মগ্রন্থগুলোর অনুসারীরাও এগুলোকে আল্লাহর কিতাব বলে দাবি করেনি। মহাভারত, গীতা, বেদ, পুরান এগুলো আল্লাহর কিতাব নয়, বরং কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস হলেন মহাভারত, গীতা, বেদ এবং পুরাণের লেখক। -উইকিপিডিয়া

ত্রিপিটক বৌদ্ধ ধর্মীয় পালি গ্রন্থের নাম। বুদ্বের দর্শন এবং উপদেশের সংকলন। -উইকিপিডিয়া

সুতরাং প্রমাণ হলো এগুলো আল্লাহ-র কিতাব নয়। বরং মানবরচিত।

Check Also

পন্নীর চেয়ে মুহাম্মাদ সা. এর এরিয়া কম।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে মহান আল্লাহ প্রেরণ করেছেন সমস্ত বিশ্বসমূহের জন্য রহমত করে। আর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.