তারাবীহের নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। নফল বলে এর গুরুত্ব হালকা করার কোনো সুযোগ নেই।হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আওফ রা. থেকে বর্ণিত নবীজি সা. বলেন, إنَّ اللهَ تعالى افترضَ صومَ رمضانَ، وسننت لكمْ قيامَهُ، فمنْ صامَه وقامَه إيمانًا واحتسابًا ويقينًا كانَ كفارةٌ لِما مَضى অর্থ: নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর রমজানের রোযাকে ফরজ করেছেন, আর এর রাতে তারাবীহ পড়াকে আমি সুন্নত করেছি। সুতরাং …
Read More »রোযা
তারাবীহ শব্দ দিয়ে ২০ রাকাতের প্রমাণ:
প্রিয় পাঠক, একটু মনোযোগ দিলেই বিষয়টি ক্লিয়ার হবে যে, تَرَاوِيْحُ (তারাবীহ) শব্দটিই বলে দিচ্ছে যে, তারাবীহ অন্তত ১২ রাকাতের বেশি হতে হবে। তারাবীহ শব্দটির মধ্যেই ৮ রাকাত হবার কোনো সম্ভাবনাও নেই । চলুন বিষয়টি দেখা যাক। তারাবীহ শব্দের অর্থ কি? হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহ. বলেন, التراويح جمع ترويحة وهي المرة الواحدة من الراحة كتسليمة من السلام، وسميت الصلاة في …
Read More »ইমামদের মতে তারাবীহের রাকাত সংখ্যা
হানাফী মাযহাব: হানাফী মাযহাবে তারাবীহের নামাজ ২০ রাকাত। ইমাম শামসুদ্দীন সারাখসী হানাফী রহ. বলেন, فإنها عشرون ركعة سوى الوتر عندنا অর্থাৎ বিতর ব্যাতিত তারাবীহের নামাজ ২০ রাকাত। এটাই আমাদের মত। সূত্র: আল মাবসুত খ. ২ পৃ. ১৪৪ মালেকী মাযহাব: তারাবীর রাকআত সংখ্যা নিয়ে তারাবীহের রাকাত সংখ্যা নিয়ে তাদের মাঝে কিছুটা মতপার্থক্য আছে, কিন্তু ২০ রাকআত থেকে কম হবে এনিয়ে নয়, …
Read More »শাওয়ালের ৬টি রোযা রাখার সওয়াব।
ঈদুর ফিতরের পরদিন থেকে শাওয়াল মাসের ভেতরেই ৬ টি রোযা রাখলে সারা বছর রোযা রাখার সওয়াব পাওয়া যায়। এ রোযা ধারাবাহিকভাবেও রাখা যায়, কিংবা ভেঙ্গে ভেঙ্গেও রাখা যায়। হাদিস শরীফে এসেছে, عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتًّا مِنْ شَوَّالٍ، كَانَ كَصِيَامِ الدَّهْرِ …
Read More »অক্সিজেন মাস্ক ব্যবহারে রোযা নষ্ট হবে?
অক্সিজেন মাস্কে যদি কোন ঔষধ বা অন্য কিছু ব্যবহ্নত না করা হয় এবং শুধু বাতাস ভিতরে প্রবেশ করে, তাহলে এর দ্বারা রোযা ভঙ্গ হবে না। কারণ হযরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, وإنما الفطر مما دخل وليس مما خرج অর্থ: (কোনো কিছু শরীরে) প্রবেশ করলে রোযা ভেঙ্গে যায়, বের হলে নয় (তবে বীর্যপাতের প্রসঙ্গটি ভিন্ন)। সূত্র: মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক হাদীস …
Read More »গোসল ফরজ অবস্থায় সাহরী করা যাবে কি?
বীর্যপাত, সহবাস অথবা নারীদের হায়েয-নেফাস বা ঋতুবন্ধ হলে গোসল ফরজ হয়ে যায়। এ ফরজ গোসল না করেই যদি কেউ সাহরী খেতে চায়, তাহলে খেতে পারবে। কোন অসবিধা নেই। কারণ নবিজি স: দু’জন সহধর্মিণী আম্মাজান আয়েশা রা: ও উম্মে সালামা রা: থেকে বর্ণিত, أنَّ رَسولَ اللَّهِ ﷺ كانَ يُدْرِكُهُ الفَجْرُ وهو جُنُبٌ مِن أهْلِهِ ثُمَّ يَغْتَسِلُ ويَصُومُ অর্থ: নবিজি স: স্ত্রী …
Read More »শরীর থেকে রক্ত বের হলে রোযা নষ্ট হবে?
রোযা অবস্থায় শরীর থেকে বক্ত বের হল, রোযা নষ্ট হবে না। চাই ইচ্ছা করে বের করুক বা অনিচ্ছায়, অল্প হোক বা বেশি। কারণ রাসুল স: রোযা অবস্থায় হিজামা করিয়ে রক্ত বের করেছেন। হাদিসে এসেছে, عن ابن عباس رضي الله عنهما أن النبي صلى الله عليه وسلم احتجم وهو محرم واحتجم وهو صائم অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, …
Read More »নেবুলাইজারে রোযা নষ্ট হবে?
মূলত নেবুলাইজারের মাধ্যমে শ্বাষকষ্ট দূর করার জন্য ঔষধ তরল বা বাষ্প আকারে ভিতরে প্রবেশ করানো হয়ে থাকে। ফলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। (তবে যদি শুধু বাতাস ভিতরে প্রবেশ করায় তাহলে রোযা নষ্ট হবে না।) কারণ হাদিসে এসেছে, عنِ ابنِ عبّاسٍ رَضِي اللَّهُ عنهُما قال إنما الفِطرُ مما دخلَ وليسَ مما خرجَ অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, …
Read More »রোযাদার গোসলে সাবান ব্যবহার করতে পারবে।
রোযা রেখে গোসলের সময সাবান শ্যাম্পু ব্যবহার করতে কোন অসুবিধা নেই। কারণ সাবান বা শ্যাম্পু শরীরের উপরে পরিস্কার করে, ভেতরে প্রবেশ করে না।ফলে রোযার কোন ক্ষতি হবে না। কারণ হাদিসে এসেছে, عنِ ابنِ عبّاسٍ رَضِي اللَّهُ عنهُما قال إنما الفِطرُ مما دخلَ وليسَ مما خرجَ অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রোযা নষ্ট হয় শরীরে কিছু প্রবেশ …
Read More »কানে ঔষধ বা তেল দিলে রোযা হবে না?
কানে ঔষধ বা তেল দিলে সাধারণত তা গলার ভেতরে চলে যায়, ফলে রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং পরে কাযা করে নিতে হবে। কারণ হাদিসে এসেছে, عنِ ابنِ عبّاسٍ رَضِي اللَّهُ عنهُما قال إنما الفِطرُ مما دخلَ وليسَ مما خرجَ অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রোযা নষ্ট হয় শরীরে কিছু প্রবেশ করলে, শরীর থেকে কিছু বের হলে নয়। …
Read More »