মানুষকে আল্লাহ সবচে সম্মান দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু সকল কিছুর ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর কাছে। এটা মুসলিমদের ও মুমিনদের আকীদা। কিন্তু হেযবুত তওহীদ নামক কুফরী দলের আকীদা হলো, আল্লাহর যতো ক্ষমতা রয়েছে, সকল ক্ষমতা মানুষকে দিয়েই তিনি সৃষ্টি করেছেন।
হেযবুত তওহীদ কী বলে?
নিন্মে হেযবুত তওহীদের কয়েকটি বক্তব্য তুলে ধরা হলো,
আদম সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহ তার সব মালায়েকদের ডেকে তাঁর সিদ্ধান্ত জানালেন যে, তিনি এমন কিছু সৃষ্টি করতে চান যার ভিতরে আল্লাহ সব গুণ থাকবে, সে হবে আল্লাহর প্রতিনিধি। -প্রিয় দেশবাসী : পৃ. ৫৮
আল্লাহ তাঁর নিজের আত্মা, যেটাকে তিনি বলছেন আমার আত্মা, সেটা থেকে আদমের মধ্যে ফুঁকে দেওয়া অর্থ আল্লাহর কাদেরিয়াত অর্থাৎ যা ইচ্ছা তা করার স্বাধীন ইচ্ছাশক্তিসহ আল্লাহর সমস্ত সিফত, গুণ, চরিত্র আদমের মধ্যে চলে আসা। আল্লাহর রূহ আদমের অর্থাৎ মানুষের ভেতরে চলে আসার সঙ্গে সঙ্গে সে অন্যান্য সমস্ত সৃষ্ট জিনিসের চেয়ে বহু ঊর্ধে উঠে গেলো, কারণ তার মধ্যে তখন স্বয়ং আল্লাহর সমস্ত সিফতসহ স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি এসে গেলো যা আর কোনো সৃষ্টির মধ্যে নেই। -দাজ্জাল : পৃ. ১০
নিজের আত্মা থেকে ফুঁকে দেওয়ার অর্থ আল্লাহর যত গুণ (সিফত) আছে সবগুলিই আদমের মধ্যে চলে এলো। আল্লাহর গুণগুলির (সিফত) মধ্যে একটি হলো কাদেরিয়াহ, নিজের ইচ্ছামত কাজ করার শক্তি, যেটা সৃষ্টির আর কারো নেই; যে জন্য মানুষকে বলা হয় আশরাফুল মাখলুকাত অর্থাৎ সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে সম্মানিত। -দাজ্জাল : পৃ. ৮৫
তাই আল্লাহ আদম অর্থাৎ মানুষ সৃষ্টি করলেন । আদমের মধ্যে আল্লাহ তাঁর নিজের আত্মা (রূহ্) থেকে ফুঁকে দিলেন (সুরা হেজর ২৯) অর্থাৎ আদমের মধ্যে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি, যা আল্লাহ ছাড়া আর কারও নেই, তা এবং আল্লাহর অন্যান্য সকল সিফত্ বা গুণ প্রবেশ করিয়ে দিলেন । কাজেই এই নতুন অসাধারণ সৃষ্টির নাম দিলেন আল্লাহর খলিফা অর্থাৎ প্রতিনিধি (সুরা বাকারা ৩০)। -আকীদা : পৃ. ৫
অর্থাৎ হেযবুত তওহীদ বুঝাতে চায়, আল্লাহ তাঁর স্বীয় রুহ তথা পরম আত্মা মানুষের মধ্যে ফুঁ দিয়ে ঢুকিয়ে দিয়েছে। ফলে আল্লাহ যতো গুনেগুনান্বিত, সবগুলি গুন বান্দার মধ্যেও আছে, এমনকি আল্লাহর সকল স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি বান্দারও আছে। নাউযুবিল্লাহ।
ইসলাম কী বলে?
‘তাওহিদুল আসমা ওয়াস সিফাত’ হলো, ঈমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। অর্থাৎ এ ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস পোষণ করা যে, আল্লাহ তাআলা তাঁর সকল সিফাতে কামাল তথা পূর্ণাঙ্গ গুণাবলিতে গুণান্বিত এবং সকল অপূর্ণাঙ্গ গুণাবলি থেকে পবিত্র এবং তিনি এ ক্ষেত্রে অদ্বিতীয় এবং অতুলনীয়।
এ প্রকার তাওহিদে বিশ্বাস পোষণের পদ্ধতি হলো, আল্লাহ তাআলা তাঁর নিজের জন্য যেসব নাম ও গুণাবলি তালিকাভুক্ত করেছেন অথবা যেসব নাম ও গুণের কথা উল্লেখ করেছেন- যা কুরআন-সুন্নাহ’য় উল্লিখিত হয়েছে- শব্দে অথবা অর্থে- সে-সবে কোনোরূপ বিকৃতিসাধন, অস্বীকৃতি ও বাতিলকরণ, তার হাকীকত কী তা নির্ণয়করণ ও তার ধরন-ধারণ নির্দিষ্টকরণ, এবং সৃষ্টিজীবের কোনো গুণের সঙ্গে সাদৃশ্যকরণ ব্যতীত তা মেনে নেয়া ও বিশ্বাস করা। সুতরাং আল্লাহ তাআলা সকল ক্ষমতায় ও গুনাবলীতে এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর ক্ষমতার অংশীদারিত্ব স্থাপন করা পরিস্কার শিরক। মহান আল্লাহ বলেন,
لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْء
কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। -সুরা, শুরা : ১১
অর্থাৎ জ্ঞান, প্রজ্ঞা, ক্ষমতা, প্রতিপত্তি, দেখা, শোনা, সৃষ্টি ইত্যাদী সকল বিষয়ে আল্লাহর সাথে কারও কোনো তুলনা নেই। যারা আল্লাহর সমকক্ষ মানুষকে বানাতে চায় তারা কি মুশিরক নয়? আল্লাহ তাআলা আরও স্পষ্ট করে বলেছেন,
قُلْ مَن رَّبُّ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ قُلِ اللّهُ قُلْ أَفَاتَّخَذْتُم مِّن دُونِهِ أَوْلِيَاء لاَ يَمْلِكُونَ لِأَنفُسِهِمْ نَفْعًا وَلاَ ضَرًّا قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الأَعْمَى وَالْبَصِيرُ أَمْ هَلْ تَسْتَوِي الظُّلُمَاتُ وَالنُّورُ أَمْ جَعَلُواْ لِلّهِ شُرَكَاء خَلَقُواْ كَخَلْقِهِ فَتَشَابَهَ الْخَلْقُ عَلَيْهِمْ قُلِ اللّهُ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ وَهُوَ الْوَاحِدُ الْقَهَّارُ
(হে নবি, কাফেরদেরকে) বলো, কে তিনি, যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবির প্রতিপালন করেন? বলো, আল্লাহ! বলো, তবুও তোমরা তাঁকে ছেড়ে এমন সব অভিভাবক গ্রহণ করলে, যাদের খোদ নিজেদেরও কোন উপকার সাধনের ক্ষমতা নেই এবং অপকার সাধনেরও না? বলো, অন্ধ ও চক্ষুষ্মান কী সমান হতে পারে? অথবা অন্ধকার ও আলো কী একই রকম হতে পারে? না-কি তারা আল্লাহর এমন সব শরিক সাব্যস্ত করেছে, যারা আল্লাহ যেমন সৃষ্টি করেন সে রকম কিছু সৃষ্টি করেছে, ফলে তাদের কাছে উভয়ের সৃষ্টিকার্য একই রকম মনে হচ্ছে? (কেউ যদি এ বিভ্রান্তির শিকার হয়ে থাকে, তবে তাকে) বলে দাও, কেবল আল্লাহই সবকিছুর স্রষ্টা এবং তিনি একাই এমন যে, তাঁর ক্ষমতা সবকিছুতে ব্যাপ্ত। -সুরা রা’দ : ১৬
সুতরাং আল্লাহর কোনো গুনাবলীতে অশংশিদারিত্ব স্থাপন করার কোনো সুযোগ নেই। এজন্য আল্লাহ তাআলা বলেন,
قُلْ أَئِنَّكُمْ لَتَكْفُرُونَ بِالَّذِي خَلَقَ الْأَرْضَ فِي يَوْمَيْنِ وَتَجْعَلُونَ لَهُ أَندَادًا ذَلِكَ رَبُّ الْعَالَمِينَ
বলে দাও, সত্যিই কি তোমরা সেই সত্তার সাথে কুফরি পন্থা অবলম্বন করছো, যিনি পৃথিবি সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তার সাথে অন্যকে শরিক করছো? তিনি তো জগতসমূহের প্রতিপালক। -সুরা ফুসসিলাত : ৯
قُلْ إِنَّمَا هُوَ إِلَـهٌ وَاحِدٌ وَإِنَّنِي بَرِيءٌ مِّمَّا تُشْرِكُونَ
বলে দাও, তিনি তো একই মাবুদ। তোমরা যে সকল জিনিসকে তাঁর শরীক সাব্যস্ত করো, আমি তাদের থেকে বিমুখ। -সুরা আনআম : ১৯
প্রিয় পাঠক, উপররিউক্ত আয়াতগুলো থেকে এ কথা সুস্পষ্ট যে, আল্লাহ তাঁর সামষ্টিক সিফাত ও গুনাবলীতে এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর সমকক্ষ স্থীর করা পরিস্কার শিরক। সুতরাং এরপরও যদি কেউ এ কথা বলে যে, ‘আল্লাহর কাদেরিয়াত অর্থাৎ যা ইচ্ছা তা করার স্বাধীন ইচ্ছাশক্তিসহ আল্লাহর সমস্ত সিফত, গুন, চরিত্র আদমের মধ্যে রয়েছে’ এটা কী সুস্পষ্টভাবে শিরকি বক্তব্য নয়?
উপরন্তু যদি মানুষের মধ্যে আল্লাহর সকল ক্ষমতা থাকে, তাহলে মানুষ অসুস্থতা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে না কেন? না ঘুমিয়ে থাকতে পারে না কেন? মৃত্যু থেকে বাঁচতে পারে না কেন? অথচ আল্লাহ হলেন তিনি-
اللّهُ لاَ إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ
আল্লাহ তিনি, যিনি ছাড়া কোনও মাবুদ নেই, যিনি চিরঞ্জীব, (সমগ্র সৃষ্টির) নিয়ন্ত্রক, যাঁর কখনও তন্দ্রা পায় না এবং নিদ্রাও নয়, আকাশমণ্ডলে যা-কিছু আছে (তাও) এবং পৃথিবীতে যা-কিছু আছে (তাও) সব তাঁরই। -সুরা বাকারা : ২৫৫
সুতরাং প্রমাণ হলো, মানুষের জন্য আল্লাহ-র সকল ইচ্ছাশক্তির মালিক হওয়া কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। এটা যেমন আক্বীদা বিবর্জিত, তেমনি বাস্তবতা বহির্ভুত একটি ডাহা মিথ্যাচার ও চরম শিরকি আক্বীদা।
এটা খ্রিস্টান ও মুশরিকদের আকিদা:
হেযবুত তওহীদের দাবি হলো, আল্লাহ-র পরম আত্মা এবং তিনি যত গুনেগুনান্বিত সব গুন বান্দার মধ্যেও আছে, এমনকি আল্লাহর সকল স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি বান্দারও আছে। অথচ এ আক্বীদা কোনো মুসলিমের আকিদা নয়, বরং এটা খ্রিস্টান ও মুশরিকদের আকিদা। যেটাকে ‘আকিদায়ে হুলুল’ বলে। অথচ আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের স্বীকৃত আকিদা হলো, আল্লাহপাকের যাত ও সিফাত ‘কাদীম’ তথা অবিনশ্বর। তাঁর কোনো শুরু-শেষ নেই। তিনি তেমন, তিনি যেমন। তাঁর কোনো তুলনা নেই। তিনি স্রষ্টা বাকি সবই তাঁর সৃষ্টি। তিনি যেহেতু অবিনশ্বর, সেহেতু তাঁর জাত বা গুনাবলী কারও মধ্যে প্রবেশ করে না। কারণ সকল সৃষ্টি ধ্বংশশীল। সুতরাং যদি আল্লাহপাকের কোনো সিফাত বা গুনাবলী কোনো সৃষ্টির মধ্যে প্রবেশ করে, তাহলে ঐ সৃষ্টি ধ্বংশের সাথে সাথেই আল্লাহপাকের সিফাতও ধ্বংশ হওয়া আবশ্যক হয়ে পড়ে। যা কল্পনা করাও অসম্ভব। অথচ হেযবুত তওহীদ আল্লাহপাকের সিফাত তথা শুধু গুনাবলী নয়, বরং ‘সরাসরি আল্লাহর রুহ বান্দার মধ্যে আছে’ বলে আল্লাহপাকের জাতের ব্যাপারে এমন আকীদা পোষন করেছে। অথচ এমন আকীদা পোষণ করা সরাসরি শিরক। এ ব্যাপারে ইমাম হামোবী রহি. লিখেছেন,
ومن قال إن شيئاً من صفات الله حال في العبد، أو قال بالتبعيض على الله فقد كفر
যে ব্যক্তি বলবে আল্লাহ তাআলার সিফাত সমূহের মধ্যে থেকে কোনো সিফাত বান্দার মাঝে প্রবেশ করেছে, কিংবা আল্লাহর যাত বা সিফাতের কোনো অংশ বান্দার মাঝে প্রবেশ করার প্রবক্ত হবে সে কাফের। -আল ফাতাওয়া আল হামোবীয়াহ : খ. ১ পৃ. ১১১
ইমাম ত্বহাবী রহি. আল্লাহ তাআলার উপর মানবীয় গুণ আরোপের ভয়াবহতা সম্পর্কে সতর্ক করে বলেছেন-
ومن وَصَفَ الله بمعنى من معاني البشر فقد كفر، فمن أبصر هذا اعتبر، وعن مثل قول الكفار انزجر، وعلم أنه بصفاته ليس كالبشر.
যারা আল্লাহ তাআলাকে মানবীয় কোনো বৈশিষ্ট্যে বিশেষিত করে তারা মূলত কুফরে লিপ্ত হয়। সুতরাং যারা এবিষয়টি অনুধাবন করতে সক্ষম হয় তারা সঠিক শিক্ষা লাভ করে, তারা কাফেরদের মতো কথা বলা থেকে বিরত থাকে এবং তারা বুঝতে পারে যে, আল্লাহ তাআলা তাঁর গুণাবলির ক্ষেত্রে মানুষের মতো নন। -আল আকিদাতুত তহাবিয়্যাহ : পৃ. ৫৭-৫৮
মনে রাখতে হবে, আল্লাহ-র সমস্ত সিফাত মানুষের মধ্যে থাকা এই আকিদা একেবারেই শিরক ও কুফরি। কারণ কোনো বান্দার মধ্যে আল্লাহর সব গুনাবলী বিদ্যমান বলে আল্লাহর সকল গুনাবলীর সাথে শরিক স্থাপন করা হয়েছে। অথচ আল্লাহ তাআলার সমকক্ষ বা অংশীদার হয় না। আল্লাহ তাআলা পরিস্কার ঘোষনা দিয়েছেন
وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
এবং তার সমকক্ষ নয় কেউ। -সুরা ইখলাস : ৪
سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى عَمَّا يُشْرِكُونَ
তিনি পবিত্র এবং তারা যে শিরক করে তা থেকে তিনি বহু ঊর্ধ্বে। -সুরা যুমার : ৬৭
যারা রবের সাথে অন্য কিছুর অংশীদার সাব্যস্ত করে তাদের ক্ষমা নেই। মহান আল্লাহ বলেন-
إِنَّ اللّهَ لاَ يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَن يَشَاء وَمَن يُشْرِكْ بِاللّهِ فَقَدِ افْتَرَى إِثْمًا عَظِيمًا
নিশ্চয়ই আল্লাহ এ বিষয়কে ক্ষমা করেন না যে, তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করা হবে। এর চেয়ে নিচের যে-কোন বিষয়ে যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করে, সে এক গুরুতর পাপে লিপ্ত হলো। -সুরা নিসা : ৪৮
শিরক মিশ্রিত কোনো নেক আমলই আল্লাহ তাআলা কুবল করেন না, বরং শিরক সম্পাদনকারী সম্পূর্ণরূপে ইসলাম থেকে খারিজ-বহিস্কৃত। আল্লাহপাক আরও বলেন,
وَلَوْ أَشْرَكُواْ لَحَبِطَ عَنْهُم مَّا كَانُواْ يَعْمَلُونَ
তারা যদি শিরক করতো, তবে তাদের সমস্ত (সৎ) কর্ম নিষ্ফল হয়ে যেতো। -সুরা আনআ’ম : ৮৮
وَلَقَدْ أُوحِيَ إِلَيْكَ وَإِلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكَ لَئِنْ أَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
নিশ্চয়ই তোমাকে এবং তোমার পূর্বের নবিগণকে ওহির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিলো, তুমি যদি শিরক কর, তবে নির্ঘাত তোমার সমস্ত কর্ম নিষ্ফল হয়ে যাবে এবং তুমি অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। -সুরা যুমার : ৬৫
উপরন্তু শিরককারী জাহান্নামে যাবে। মহান রব বলেন,
إِنَّهُ مَن يُشْرِكْ بِاللّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللّهُ عَلَيهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ
নিশ্চয়ই, যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে (কাউকে) শরিক করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন। তার ঠিকানা জাহান্নাম। আর জালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই। -সুরা মায়িদা : ৭২
উপরোক্ত আয়াতগুলো থেকে বুঝা গেলো-
১. আল্লাহ তাআলার সমকক্ষ বা অংশীদার হয় না।
২. মুশরিকদের ক্ষমা নেই।
৩. মুশরিকদের সকল আমল বরবাদ।
৪. মুশরিকরা চিরস্থায়ী জাহান্নামী।
সুতরাং ‘আল্লাহর সকল গুনাবলী বান্দার মধ্যে রয়েছে’ বলে যে আকিদা হেযবুত তওহীদ পোষণ করে ত সম্পূর্ণরুপে শিরকি আকিদা, যা ক্ষমাযোগ্য নয়।