১. ডান পা দিয়ে প্রবেশ করা।
হাদিস শরীফে এসেছে,
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ يُحِبُّ التَّيَمُّنَ مَا اسْتَطَاعَ فِي شَأْنِهِ كُلِّهِ فِي طُهُورِهِ وَتَرَجُّلِهِ وَتَنَعُّلِهِ
অর্থ: হযরত আয়িশাহ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন; নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের সমস্ত কাজে যথাসম্ভব ডানদিক হতে আরম্ভ করা পছন্দ করতেন। তাহারাত অর্জন, মাথা আঁচড়ানো এবং জুতা পরার সময়ও।
সূত্র: সহিহ বুখারী হাদিস: ৪২৬
অন্যত্র বর্ণিত আছে,
عن انس رضي الله عنه انه كان يقول من السنة اذا دخلت المسجد ان تبدأ برجلك اليمني واذا خرجت ان تبدأ برجلك اليسري
অর্থ: হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলতেন, “যখন তুমি মসজিদে প্রবেশ করবে তখন ডান পা দিয়ে প্রবেশ করবে এবং যখন বের হবে তখন বাম পা দিয়ে বের হবে” এটা সুন্নাত এর অন্তর্ভুক্ত।
সূত্র: আল মুসতাদরাক আলাস সহিহাইন হাদিস: ৮২২ ফাতহুল বারী খ: ১ পৃ: ৬২৩ ই’লাউস সুনান হাদিস: ১৫৭৯
ইবনে ওমর রা. এর আমল।
وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَبْدَأُ بِرِجْلِهِ الْيُمْنَى فَإِذَا خَرَجَ بَدَأَ بِرِجْلِهِ الْيُسْرَى
অর্থ: হযরত ইবনু ‘উমার রা. প্রবেশের সময় প্রথম ডান পা দিয়ে শুরু করতেন এবং বের হবার সময় প্রথম বাঁ পা দিয়ে শুরু করতেন।
সূত্র: ফাতহুল বারী খ: ১ পৃ: ৬২৩
২. বিসমিল্লাহ বলা।
عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ الْمَسْجِدَ يَقُولُ بِسْمِ اللَّهِ
অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্যা ফাতিমা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে প্রবেশকালে বলতেন,
بِسْمِ اللَّهِ
অর্থাৎ আল্লাহ্র নামে (প্রবেশ করলাম)।
সূত্র: সুনান ইবনে মাজাহ হাদিস: ৭৭১
৩. নবীজি সা. এর উপর দরুদ ও সালাম পাঠ করা।
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَسَنِ، عَنْ أُمِّهِ، فَاطِمَةَ بِنْتِ الْحُسَيْنِ عَنْ جَدَّتِهَا، فَاطِمَةَ الْكُبْرَى قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ الْمَسْجِدَ صَلَّى عَلَى مُحَمَّدٍ وَسَلَّمَ
অর্থ: হযরত ফাতিমা আল-কুবরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মসজিদে ঢুকতেন তখন মুহাম্মাদের (স্বয়ং নিজের) প্রতি দুরুদ ও সালাম পাঠ করতেন।
সূত্র: জামে তিরমিযি হাদিস: ৩১৪
৪. দু’আ পড়া।
عَنْ أَبِي أُسَيْدٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ الْمَسْجِدَ فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ وَإِذَا خَرَجَ فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ
আবূ উসায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করবে তখন বলবে,
اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
উচ্চারণ: “আল্ল-হুম্মাফ তাহলী আবওয়া-বা রহমতিক” ।
অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তুমি তোমার অনুগ্রহের দরজা আমার জন্য খুলে দাও।)। যখন বের হয়ে যাব, তখন বলবে- “আল্ল-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন ফা্যলিক” (অর্থাৎ- আমি আপনার কাছে আপনার অনুগ্রহপ্রার্থ)।
সূত্র: সহিহ মুসলিম হাদিস: ৭১৩
তিনটি দু’আ এক সাথে করে এভাবে পড়া যায়,
بِسْمِ اللَّهِ الصلوة والسلام علي رسول الله اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহ আস সলাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহ আল্ল-হুম্মাফ তাহলী আবওয়া-বা রহমতিক”।
৫. ই’তিকাফের নিয়তে প্রবেশ করা।
হাদিস শরীফে এসেছে,
عن ابن عباس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من اعتكف يوما ابتغاء وجه الله جعل الله بينه وبين النار ثلاث خنادق أبعد مما بين الخافقين
অর্থ’ হজরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত রাসুলে পাক সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এতেকাফ করবে, আল্লাহতায়ালা তার এবং জাহান্নামের আগুনের মধ্যে তিনটি পরিখার দূরত্ব সৃষ্টি করবেন, প্রত্যেক পরিখার প্রশস্ততা দুই দিগন্তের চেয়েও বেশি। সূত্র: শুয়াবুল ঈমান (বায়হাকী) হাদিস: ৩৯৬৫
হাদিসে আরও আসছে,
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي الْمُعْتَكِفِ هُوَ يَعْكِفُ الذُّنُوبَ وَيُجْرَى لَهُ مِنْ الْحَسَنَاتِ كَعَامِلِ الْحَسَنَاتِ كُلِّهَا
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত নবীজি সা. বলেন, ইতিকাফকারী সমস্ত গোনাহ থেকে নিরাপদ থাকে। নেক আমলকালীর ন্যায় সমস্ত নেক আমলের সওয়াব লাভ করে।
সূত্র: বায়হাকী হাদিস: ৩৯৬৪ আল মুগনী খ: ৪ পৃ: ৪৫৫
عن عائشة أن النبي صلى الله عليه وسلم قال مَنِ اعتَكَفَ إِيمَاناً وَاحتِساباً غُفِرَ لَهُ مَا تقدم من ذنبه
অর্থাৎ হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত নবীজি সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের প্রত্যাশায় ই’তিকাফ করবে তার পেছনের জিবনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।
সূ্ত্র: ফায়যুল কাদীর হাদিস: ৮৪৮০