৭১ সালে হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা বায়াজীদ খান পন্নী ও তার বাবা ছিলেন অনেব বড় রাজাকার। এ বিষয়টি বুঝার জন্য প্রথমে দুটি বিষয় আমাদের জানতে হবে।
১. পন্নীর বাবার নাম কি? ২. পন্নীর ডাক নাম কি?
পন্নীর বাবার নাম:
টাঙ্গাইলের করটিয়ার জমিদার পরিবারই হলো পন্নীদের পরিবার। তার বাবার নাম ছিলো, ‘মেহেদী আলী খান খসরু পন্নী।’
সূত্র: শ্রেণিহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃ:১৮৪
পন্নীর ডাক নাম:
বায়াজীদ খান পন্নীর ডাক নাম ছিলো, ‘সেলিম খান পন্নী।’
সূত্র: শ্রেণিহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম পৃ:১৮৬
এখন চলুন আমরা দেখি এই মেহেদী আলী খান পন্নী এবং সেলিম (বায়জীদ) খান পন্নী ৭১ সালে কি ভূমিকা রেখেছিল। তার বিস্তারিত বিবরণী বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী তার লিখিত ‘স্বাধীনতা ‘৭১’ বইটিতে লিখেছেন। বঙ্গবীর লেখেন,
‘টাঙ্গাইল হানাদার শিবিরে তৎপরতা শেষ নেই। ছুঁড়ে-দেওয়া উচ্ছিষ্টের হাড়-গোড় ভাগাভাগি কামড়া-কামড়ির প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে হানাদার -সমর্থক কিছু প্রভুভক্ত রাজনৈতিক হ্যাংলা কুকুর। খান সেনাদের চাইতে তাদের উৎসাহ যেন বেশি। টাঙ্গাইল হানাদার প্রধান পাণ্ডা কাগমারি কলেজের কুখ্যাত অধ্যাপক আব্দুল খালেককে সাধারণ সম্পাদক, হেকিম হাবিবুর রহমানকে শান্তি কমিটির সভাপতি করে (৫১ বিশিষ্ট) সদস্য করা হয়েছে।
যার ১০ নাম্বারে ‘করটিয়ার জমিদার মেহেদী খান পন্নী খসরু (বায়াজীদ খান পন্নীর বাবা) এবং ১১ নাম্বারেই রয়েছেন ‘জমিদার-পূত্র সেলিম খান পন্নী অর্থাৎ বায়াজীদ খান পন্নী।
সূত্র: স্বাধীনতা ‘৭১ পৃ:৬৪৬-৬৪৭
তিনি আরো লেখেন,
আরো অনেককে নিয়ে টাঙ্গাইল জেলা শান্তি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির কর্মকর্তারাই ছিল শান্তির নামে অশান্তির মূল। রাজাকার বানানো, ঘর-বাড়ি জ্বালানো, লুটতরাজ, নারী অপহরণ ও ধর্ষণে_ হেন জঘন্য অপকর্ম নেই যা শান্তিকমিটির সদস্যরা করেনি। আব্দুল খালেক এদের সবাইকে ছাড়িয়ে যায়। এ ব্যাপারে করটিয়ার জমিদার মেহেদী খান পন্নীর (খসরু) স্থান দ্বিতীয়। রাজাকার-দল ভারী করতে দেয় পাল্লা পাল্লি-কে কার চাইতে বেশি রাজাকার বানাতে পারে।
সূত্র: স্বাধীনতা ‘৭১ পৃ:৬৪৮
পন্নীদের অপমানজনক বিচার:
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী পন্নীদের বিচারের ঘটনা বিস্তারিতভাবে তার এ বইটিতে তুলে ধরেছেন এভাবে,
পন্নীদের বিচার: আকাল আকাল।
২০ নভেম্বর। হানাদারদের প্রথম সারির দালাল করটিয়ার জমিদার খসরু খান পন্নী, তার দুই ছেলে-সেলিম (বায়াজীদ) খান ও বাবলু খান পন্নীকে কোমারে দড়ি বেঁধে এলাচী পুর আনা হয়েছিল। তাদের বিচার। ইতিমধ্যে পন্নীদের নিয়ে পরস্পরবিরোধী ছোটখাটো দু’একটা ঘটনা ঘটে গেছে। কোন-কোন মুক্তিযোদ্ধা পন্নীদের বিন্দুমাত্র মর্যাদা দিতে চাইনি। আবার দু’চারজন ছিল যারা হাজার হলেও তো জমিদার। গরিবের রক্তশোষক জমিদাররাও তাদের অহংকার ঠাট-বাট বজায় রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করছে।
অনেকটা শরৎচন্দ্রের নতুনদা’র হারানো পাম্প সু খোঁজার মতো। কোমরে দড়ি বাঁধার সময় তারা মুক্তিযোদ্ধাদের খুব অনুনয়-বিনয় করেছিল,কোমরে দড়ি বাঁধলে নাকি মানসম্মান থাকবে না। এলাচীপুরে যখন একটি বাড়িতে রাখা হয়, তখনও সাধারণ মানুষের রক্তের পয়সায় কেনা দুগ্ধ-ধবল-ফেননিভ মোলায়েম মখমলের বিছানায় অভ্যস্ত জমিদাররা সাধারণ শক্ত বিছানায় শুতে পারে না। গরিব প্রজাদের পিঠে চাবুক মেরে যারা বেড়ে উঠেছে, তাদের শক্ত কাঠের বেঞ্চিতে বসলে ইজ্জত যায়। দরিদ্র জনগণের মুখের গ্রাস কেড়ে পোলাও-কোরমায় অভ্যস্ত, গ্রামের সাধারণ খাবারে তাদের পেট জ্বালা করে। প্রথম-প্রথম এমনি নানা অনুযোগ করার পর যখন তারা বুঝল, তাদের কোনো বিশেষ মর্যাদা দেয়া হবে না, তখন শক্ত বিছানা, গ্রামের খাবার, বেঞ্চে বসা-কোন কিছুতেই আর অসুবিধা হয়নি। এলাচীপুর ও লাউহাটিতে রাখার সময়ে লাউহাটির চেয়ারমান ও স্বেচ্ছাসেবক কমান্ডার কামাল খাঁ পন্নীদের সাথে অপ্রয়োজনে বার কয়েক দেখা করেছে। কর্নেল ফজলুর রহমানের কাছে কামাল খাঁ একটি লোভনীয় প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রস্তাবটি হলো দুই-তিনলক্ষ টাকা অর্থদণ্ড করে তাদেরকে ছেড়ে দিলে তারা মুক্তিবাহিনীর কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবে। এই সমস্ত কোন ঘটনাযই আমার অজানা ছিল না। তাই অবিলম্বে পন্নীদের ব্যাপারটা সেরে ফেলতে চেয়েছিলাম। এই ধরনের জঘন্য প্রকৃতির লোকদের সংস্পর্শে মুক্তিযোদ্ধারা যত কম থাকে ততই মঙ্গল।
২ ডিসেম্বর দুপুরে কেদারপুর বাজারের পাশে খালের ধারে দুটি বিচার অনুষ্ঠিত হলো। প্রথমটি বিচার নয়, শুনানী। ধৈর্য ধরে রবিউলের সমস্ত কথা শুনে বললাম,
‘যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ব্যর্থ হয়ে পালিয়ে আসলে একজন কমান্ডারকে যতটা দায়ী করা উচিত, এইক্ষেত্রে রবিউলকে তার চাইতেও বেশি দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে। কারণ রবিউল শুধু পালিয়ে আসেনি, তার ভীরুতার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে, এমনকি দুজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছে। তাই আমি মনে করি, ক্যাপ্টেন রবিউলের ব্যাপারে আরো খুঁটিয়ে দেখে বিচার করা উচিত। এজন্য তাকে সদর দপ্তরে অভ্যন্তরীণ রেখে একটি ট্রাইব্যুনালের হাতে বিচারের ভার ছেড়ে দেওয়া উচিত।
কমান্ডার রবিউলকে সরিয়ে নিলে রাজাকার হোতা, হানাদার দালালদের কোমরে দড়ি বেঁধে হাজির করা হল। করোটিয়ার জঘন্য বদমেজাজী জমিদার খসরু খান পন্নী ও তার দুই ছেলে সেলিম (বায়াজীদ) খান,বাবুল খান পন্নীর বাঁধন খুলে দেয়া হল। প্রথমে খসরু খান পন্নীর ছোট ছেলে বাবুল খান পন্নী কে জিজ্ঞেস করা হলো,
-তোমার কিছু বলার আছে?
-আমাকে কি কারনে আনা হয়েছে জানিনা। বাবা এবং ভাই বর্তমান সরকারের সাথে যুক্ত থাকলেও আমি নই। আমার আর কিছু বলার নেই?
এসময় খসরু খান পন্নী বসার জন্য চেয়ার চাইলেও তাকে জানিয়ে দেয়া হলো, কোন অভিযুক্তকে বিচারের সময় চেয়ার দেয়া হয়না এবং কোন অভিযুক্তকে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত না-হওয়া পর্যন্ত মুক্তিবাহিনী ‘আপনি’ বলে সম্বোধন করে না। গাদি- গাদি টাকা আছে বলে তোমাদের জন্য এই রীতির কোনো হেরফের হবে না।
সেলিম (বায়াজীদ) খান পন্নী বিন্দুমাত্র আত্মপক্ষ সমর্থন না করে বলল,
–আমরা রাজাকার গঠন করেছি। আমরা এখন বুঝতে পারছি অন্যায় হয়েছে। আপনারা আমাদের অর্থদণ্ড করে অন্তত একবার সুযোগ দিন। আমরা আল্লাহর নামে কসম খেয়ে বলছি, এরপর সর্বস্ব দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করব।
পর্যায়ক্রমে খসরু খান পন্নী কে তার কিছু বলার আছে কিনা জিজ্ঞাসা করলাম। খসরু খান পন্নী ও সবকিছু অকপটে স্বীকার করে বলল,
–আমাদের ভুল স্বীকার করছি। (একেবারে গলে গিয়ে) বাবা, আপনারা আমাদের অর্থদন্ড করে এবারের মত মাফ করুন।
–তোমাদের অর্থদণ্ড করা হলে তা কত হতে পারে বলে মনে করো?
আমার কথা শুনে খসরু খান পন্নী যেন কিছুটা ভরসা পেল। সে বেশ বিগলিত গলায় বলল,
–আমাদের আগের অবস্থা নেই। বাড়িতে কোন টাকা-পয়সা নেই। অর্থদণ্ড করা হলে বাড়ির বউদের গহনা ও বগুড়ার যে জমি আছে তা বিক্রি করে শোধ করতে হবে। সাহেব, আপনিই ভেবে চিন্তে বলে দিন।
পন্নীকে ব্যঙ্গ করে বললাম,
–না, সাহেব অর্থদণ্ডের পরিমাণ নিরূপণ করবে না। তোমাকেই তিনি পরিমাণটা বলতে বলছেন। খসরু খান পন্নী কয়েকবার হাত কচলে বললো,
–দুই লাখ হলে…আমরা কোনক্রমে শোধ করতে পারবো। তিন লাখ দিতে কষ্ট হবে। আপনি দয়া করে এর মধ্যে একটা ঠিক করে দিন।
–আমি খুব ভাল করে জানি, তোমাদের বিন্দুমাত্র লজ্জা-শরম নেই। তুমি যদি আমাকে তোমার জমিদারের প্রজা ভেবে থাক, তাহলে ভুল করছ। আমি তোমাদের মত লোকের মোসাহেব নই। তুমি কামাল খাঁকে দিয়ে কর্নেল ফজলুকে দুই লাখ টাকা পাইয়ে দেবার লোভ দেখিয়েছ। এমনিতেই রাজাকার বানানোর জন্য তোমার হাড়-মাংস কুত্তা দিয়ে খাওয়ান উচিত। তার উপর আবার মুক্তিবাহিনীকে অর্থের লোভ দেখাচ্ছ? নিশ্চয়ই অর্থদণ্ড হবে, তবে তোমার ইচ্ছা মতো না।
এ কথা শুনে খসরু খান পন্নী কেঁদে ফেলে হাতজোড় করে বলল,বাবা আমার অন্যায় হয়ে গেছে, আমাকে ক্ষমা করেন। এর চেয়ে বেশি জরিমানা আমরা দিতে পারব না।
–শুধু অর্থদণ্ড নয়, বেত্রাঘাত হবে। আমরা খুব ভাল করেই জানি, অর্থশালীদের শুধু অর্থ দণ্ড তাদের গায়ে-পায়ে বাজে না। বড় ছেলেসহ তোমাকে মুক্তিবাহিনী গুলি করে মারত। তবে আর-একবার অপরাধ করার জন্য বেত্রাঘাত ও অর্থদণ্ড করে ভবিষ্যতের টোপ হিসেবে রেখে দিচ্ছে। আরেকবার অপরাধ করলে মুক্তিবাহিনী তোমাদের পরপারে পাঠিয়ে দেবে।
খসরু খানের বাক শক্তি রহিত, একেবারে থ মেরে গেল। চোখ ফ্যাকাসে। তাকে দেখে মনে হবে একটা মৃতদেহ দড়িতে বেঁধে রাখা হয়েছে।
‘আসামিদের মধ্যে দু’জন –খসরু ও সেলিম (বায়াজীদ) খান পন্নী হানাদারদের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। এরা দু’জন টাঙ্গাইলের চার ভাগের এক ভাগ রাজাকার বানিয়েছে। দু’জনকে সংশোধনের সুযোগ দিয়ে এবারের মতো বেত্রাঘাত ও অর্থদণ্ড করা হলো। বাবুল খান পন্নী হানাদারদের সাথে সক্রীয় না থাকায় তাকে মুক্তি দেওয়া হলো।
খসরু খান ও সেলিম (বায়াজীদ)খান পন্নীর একশ’-এক টাকা করে দুইজনের দুই’শ দুই টাকা জরিমানা ও প্রত্যেককে পাঁচটি করে বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেওয়া হলো। খসরু খান পন্নীর বয়স যেহেতু ষাটের উর্ধ্বে সেহেতু তাকে মৃদু বেত্রাঘাত করা হবে। বেত্রাঘাত শেষে এরা পায়ে হেঁটে পাকা সড়ক পর্যন্ত যাবে। কোন যানবাহন ব্যবহার করতে পারবে না।
বিচার শেষে কামাল খাঁ নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য সে নানাভাবে বলার চেষ্টা করছিল, –স্যার, আমি অমন ভাবে বলি নাই। আমাকে পন্নী সাহেব বলেছিলেন, তাই কর্ণেল সাহেবকে বলেছিলাম, এদের অর্থদণ্ড করে ছেড়ে দেওয়া যায় কিনা।
–বুঝতে পারছি, আপনি ধনী মানুষ। জমিদাররা আপনার মত ধনী। আর একসময় তো আপনারা ওদের প্রজা ছিলেন। তাই মনিবের নুনের গুন ভুলতে পারেননি। এতে আর আপনার দোষ কি?
বিচার শেষে পন্নীদের বিদায় করে দেওয়া হলো। এখানেও কামাল খাঁ তার শ্রেণী স্বার্থে কাজ করে। কেদারপুর থেকে পাকা রাস্তা বারো মাইল। এতটা রাস্তা হেঁটে যেতে সত্যিই খসরু খান পন্নীর খুব কষ্ট হচ্ছিল। পন্নীরা যখন কেদারপুর থেকে চার-পাঁচ মাইল পাড়ি দিয়েছে, অন্য পথে কামাল খাঁ তখন ঘোড়ার গাড়িতে তাদের তুলে দিতে যাচ্ছিল। তার ধারণা ছিল, অতদূর মুক্তিযোদ্ধারা হয়তো আর লক্ষ্য করবে না। কিন্তু দুটি গাড়ি যখন বানাইলের কাছে পৌঁছে, তখন একদল মুক্তিযোদ্ধা গাড়ির গতিরোধ করে। অপরিচিত কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা গাড়ির গতিরোধ করায় কামাল খাঁ নিজের পরিচয় দিয়ে বলল,
–দয়া করে গাড়ি ছেড়ে দিন। এর আমার আত্মীয়। আমার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।
কামাল খাওয়ার অনুরোধ মুক্তিযোদ্ধারা শোনেনি। গাড়ি থেকে পন্নীদের নামিয়ে নেয়। তাদের এক কথা, ‘আপনাদের আবার কেদারপুরে যেতে হবে।’ পন্নীরা ঘোড়ার গাড়িতে যেতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধারা তাতেও আপত্তি তোলে। বাধ্য হয়ে পন্নীদের আবার তাদের হেঁটে কেদারপুর ফিরতে হয়।
পন্নীদের দেখে হাসতে হাসতে বললাম, ‘চোর বাটপারদের এমনই হয়।
তবে নির্দোষ বাবুল খান পন্নী কে মুক্তিযোদ্ধারা ফিরিয়ে এনে ঠিক করেনি। বাবুল খান পন্নী ইচ্ছা করলে এখানে থেকে যে কোনভাবে যেতে পারেন। কিন্তু বাকি দু’জনকে অবশ্যই পায়ে হেঁটে পাকা সড়ক পর্যন্ত যেতে হবে। আর-একবার ছলের আশ্রয় নিলে গুলি করা হবে।
শওকত আলী ব্যারিস্টারের চাচাতো ভাই লাউহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল খাঁকে কঠোরভাবে সতর্ক করে দেওয়া হলো, ‘স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে যথেষ্ট অবদান থাকলেও আপনার অতীত কার্যকলাপ খুব প্রশংসনীয় নয়। আবার এই ধরনের অসৎ পন্থা অবলম্বন করলে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ না দিয়েই গুলি করা হবে।
কামাল খাঁ ভয়ে কাঁপতে লাগলো। তাকে যে এবারই গুলি করা হলো না, সেটাই তার পরম সৌভাগ্য। কামাল খাঁ এরপর আর তেমন ছলা কলা করেনি। পন্নীরাও পায়ে হেঁটে ঢাকা-টাঙ্গাইল পাকা সড়ক পর্যন্ত যেতে আর কোন চাতুরি করেনি।
সূত্র: স্বাধীনতা ‘৭১ পৃ:৭০৬-৭১০
প্রিয় পাঠক! এই হলঁ বায়াজীদ খান পন্নী ও তার পরিবারের অবস্থা।বলুন এমন জঘন্য লোক কি করে এমামুযযামান হয়?
লেখক:
মুফতী রিজওয়ান রফিকী
পরিচালক- মাদরাসা মারকাযুন নূর বোর্ড বাজার,গাজীপুর।