কারো যদি কুরবানি দেয়ার সামর্থ্য থাকে তাহলে তার জন্য কুরবানী করা ওয়াজীব। কুরবানীদাতা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কুরবানীর পশু নিজে যবাহ করা উত্তম। চাই তার স্ত্রী গর্ববতী হোক বা স্বাভাবিক। শুধু কুরবানীর সময় নয়, প্রয়োজনবোধে যে কোন সময় গোস্ত খাওয়ার জন্য হালাল প্রাণী জবেহ করতে কোনো অসুবিধা নেই। বাড়িতে অন্ত:স্বত্বা নারী থাকার সাথে কুরবানি করা বা বাড়িতে পশু জবেহ করার কোন সম্পর্ক নাই।
“বাড়িতে গর্ভবতী নারী থাকলে কুরবানি করা যাবে না বা এমতাবস্থায় স্বামী যবাহ করতে পারবে না, করলে গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি হতে পারে” এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও কুসংস্কার পূর্ণ কথা। কুরআন ও হাদিসে এ মর্মে কোন বক্তব্য আসেনি, বরং এসব বিশ্বাস করে সুস্পষ্ট শিরক। হাদিস শরীফে এসেছে,
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الطِّيَرَةُ مِنَ الشِّرْكِ
অর্থ: হহযরত আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ রা. হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুলক্ষণে বিশ্বাস করা শিরকের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
সূত্র: জামে তিরমিযি হাদিস: ১৬১৪ আবু দাউদ: ৩৯১০ ইবনে মাজাহ: ৩৫৩৮ আহমাদ: ৪১৯৪ সহিহ ইবনে হিব্বান: ৬১২২ আত তারগীব খ: ৪ পৃ: ১০৫ (হাদিসটি সহিহ)
সুতরাং বাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা নারী থাকলে কুরবানি দেয়া যাবে এবং উক্ত কুরবানি বা হালাল প্রাণীর গোস্ত অন্তঃসত্ত্বা নারী সহ যে কেউ অনায়াসে ভক্ষণ করতে পারবে।