ইসলাম ধর্ম রুচীশীল মানুষের ধর্ম। নোংড়া ও কুরুচিপূর্ণ কাজ ইসলামে গর্হিত কাজ বলে বিবেচিত করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় পায়ূপথে সহবাসকে ইসলামে পরিস্কার হারাম ঘোষণা করা হয়েছে।
শিয়ারা কী বলে?
শীয়াবাদ এই নোংড়া ও গর্হিত কাজটাকে বৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছে। শিয়া আলেম হুর আমেলী তার লিখিত ‘ওসায়েলুশ শিয়া’ নামক বইয়ে এইটি শিরোনাম তৈরি করে নাম দিয়েছেন,
باب عدم تحريم وطئ الزوجة والسرية في الدبر
স্ত্রী বা দাসির পায়ুপথে সহবাস হারাম না হওয়ার পরিচ্ছেদ। -ওসায়িলুশ শিয়াহ : খ. ২০ পৃ. ১৪৫
এই শিরোনাম প্রমাণে এর অধিনে কয়েকটা বর্ণনা তিনি এনেছেন। নিন্মে কয়েকটা বর্ণনা পেশ করছি।
ক. সাফওয়ান বলেন, আমি রিযা আ. কে প্রশ্ন করলাম,
إن رجلا من مواليك أمرني ان أسألك عن مسألة فهابك واستحيا منك أن يسألك عنها قال: ما هي؟ قال: قلت: الرجل يأتي امرأة في دبرها قال: نعم ذلك له
আপনার জনৈক অনুসারী আমাকে আদেশ করেছেন আপনার থেকে একটি মাসআলা জানতে। কারণ সে আপনাকে যথেষ্ট ভয় পায় এবং আপনার থেকে প্রশ্ন করতে লজ্জাবোধ করছে। তিনি বললেন, কি সে বিষয়? তিনি বলেন, আমি বললাম, কোনো পুরুষ তার স্ত্রীর পশ্চাৎপদে সহবাস বিষয়ে। (এটা করা কী বৈধ?) তিনি জবাবে বললেন, হ্যাঁ। এটা তার জন্য জায়েয। -ওসায়িলুশ শিয়াহ : খ. ২০ পৃ. ১৪৫; বর্ণনা নং : ২৫২৫৯
খ. ইবনে আবু ইয়াফুর বলেন,
سألت أبا عبد الله عليه السلام عن الرجل يأتي المرأة في دبرها؟ قال: لا بأس إذا رضيت
আমি আবু আব্দুল্লাহ আ. কে কোনো ব্যক্তির পায়ুপথে সহবাস করার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, এতে মহিলা রাজি থাকলে অসুবিধা নেই। -ওসায়িলুশ শিয়াহ : খ. ২০ পৃ. ১৪৬; বর্ণনা নং : ২৫২৬০
গ. ইবনে আবু ইয়াফুর বলেন,
سألته عن اتيان النساء في أعجازهن فقال: ليس به بأس وما أحب ان تفعله
আমি আবু আব্দুল্লাহ আ. কে কোনো ব্যক্তির পায়ুপথে সহবাস করার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, এতে কোনো অসুবিধা নেই আর তুমি এটা করলে কতোই না ভালো হতো। -ওসায়িলুশ শিয়াহ : খ. ২০ পৃ. ১৪৭; বর্ণনা নং : ২৫২৬৪
অর্থাৎ শিয়াদের বিশ্বাস হলো, পায়ুপথে সহবাস করা বৈধ। নাউযুবিল্লাহ।
ইসলাম কী বলে?
ইসলামে স্ত্রীর পায়ুপথে সহবাস কবিরা গুনাহ। কেননা, এটা হারাম হওয়ার ব্যাপারে সুস্পষ্ট দলিল আছে। এমনকি এর নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত হাদিসগুলো মুতাওয়াতির অর্থাৎ বর্ণনা-পরম্পরার প্রতিটি স্তরেই রয়েছে বৃহৎ জনসংখ্যা। পায়পথে সহবাস হারাম সংক্রান্ত কয়েকটি হাদিস নিন্মে পেশ করছি।
ক. হারাম কাজ:
আবু কা’কা’ আজ জারমী রহি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
جاء رجل إلى عبد الله بن مسعود فقال يا أبا عبد الرحمن آتي امرأتي حيث شئت قال نعم قال ومن أين شئت قال نعم قال وكيف شئت قال نعم فقال له رجل يا أبا عبد الرحمن إن هذا يريد السوء قال لا محاش النساء عليكم حرام
এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.-এর নিকট এসে বললো, হে আবু আব্দুর রহমান, আমি কী আমার স্ত্রীর সাথে যেখান দিয়ে ইচ্ছা মিলিত হতে পারবো? তিনি বললেন: হ্যাঁ। লোকটি তাঁকে জিজ্ঞেস করলো, আমি যে দিক দিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা করি, (সেদিক দিয়েও)? তিনি বললেন, হ্যাঁ। লোকটি আবার বললো, আমি যেভাবে ইচ্ছা করি, (সেভাবেও)? তিনি বললেন: হ্যাঁ। তখন তাকে এক লোক বললো, হে আবু আব্দুর রহমান, এ লোক মন্দ কাজ করার ইচ্ছা করছে। তিনি বললেন, না, বরং মহিলাদের পশ্চাদ্দার তোমাদের জন্য হারাম। -আল কামেল ফিয যুয়াফা : খ. ৪ পৃ. ৩৬৩
খ. নিষিদ্ধ কাজ: হযরত খুযাইমা ইবনে সাবিত রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ نَهَى أَنْ يَأْتِيَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ في دبرها
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহিলাদের পায়ুপথে সহবাস করতে নিষেধ করেছেন। -মুসনাদে আহমাদ : হাদিস নং : ২১৮৫০
খুযাইমা ইবন সাবিত রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
إِنَّ اللَّهَ لَا يَسْتَحْيِي مِنْ الْحَقِّ لَا تَأْتُوا النِّسَاءَ فِي أَدْبَارِهِنَّ
হে মানবমণ্ডলী! আল্লাহ তা’আলা সত্য কথা (প্রকাশের) ব্যাপারে লজ্জা করেন না। তোমরা স্ত্রীলোকদের পশ্চাদ্দারে সঙ্গম করো না। -সুনানে ইবনে মাজাহ : হাদিস নং: ১৯২৪
গ. দ্বীন থেকে বহিস্কার: হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا فَقَدْ بَرِئَ مِمَّا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ ﷺ
সে তার স্ত্রীর পশ্চাদদ্বারে সঙ্গম করে; সে যেন আল্লাহ তাআলা কর্তৃক মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর নাযিলকৃত দীন হতে মুক্ত হয়ে গেল। -সুনানে আবু দাউদ : হাদিস নং : ৩৯০৪
ঘ. কুফরী কাজ: হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
مَنْ أَتَى حَائِضًا، أَوِ امْرَأَةً فِي دُبُرِهَا، أَوْ كَاهِنًا، فَصَدَّقَهُ بِمَا يَقُولُ، فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ
যে ব্যক্তি হায়েজ অবস্থায় বা স্ত্রীর পিছনের রাস্তা দিয়ে সহবাস করে বা গণকের কথাকে সত্য মনে করে, উক্ত ব্যক্তি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর নাজিলকৃত বিষয়ের সাথে কুফরী করল। -সুনানে ইবনে মাজাহ : হাদীস নং :৬৩৯
ঙ. অভিশপ্ত কাজ: হযরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
لَا يَنْظُرُ اللَّهُ إِلَى رَجُلٍ أَتَى امْرَأَةً فِي الدُّبُرِ
যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে স্ত্রীর পায়ুপথে যৌন মিলন করে আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন না। -জামে তিরমিযি : হাদিস নং : ১১৬৫
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
مَلْعُونٌ مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَ
যে ব্যক্তি স্ত্রীর সাথে নিতম্বে সহবাস করে সে লা’নত প্রাপ্ত। -সুনানে আবু দাউদ : হাদিস নং : ২১৬২
উপরিউক্ত হাদিস ও আছার থেকে প্রমাণিত হলো যে, পায়ুপথে সহবাস ইসলামে পরিস্কার হারাম ও নিষিদ্ধ।
পবিত্র কুরআনে কী পায়ুপথে সহবাস হালাল?
পবিত্র কুরআনে পায়ুপথে সহবাসকে হালাল ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে শিয়াদের দাবি পরিস্কার মিথ্যাচার, বরং স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের দেহ থেকে সব উপায়ে সুখ নেয়ার অনুমতি কুরআনে আছে। তবে সেটা হতে হবে যোনিপথ দিয়েই, পায়ুপথে নয়। তবে একটি আয়াতের বাহ্যিক অর্থ দেখলে পায়ুপথে সহবাসকে বৈধ বলে মনে হতে পারে। আয়াতটি হহলো,
نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّىٰ شِئْتُمْ
তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য ক্ষেতস্বরূপ; অতএব তোমরা যেভাবেই ইচ্ছা তোমাদের ক্ষেতে গমণ কর। -সুরা বাকারা : ২২৩
উক্ত আয়াতে মহিলাদের সাথে সহবাসকে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে বৈধ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে আয়াতটির তাফসীরের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে পায়ুপথের বৈধতা আয়াতেই নেই। উক্ত আয়াতটি কী ক্ষেত্রে নাযিল হয়েছিলো সেটা আগে দেখুন। হযরত জাবির রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
كَانَتِ الْيَهُودُ تَقُولُ إِذَا أَتَى الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ مِنْ دُبُرِهَا فِي قُبُلِهَا كَانَ الْوَلَدُ أَحْوَلَ فَنَزَلَتْ ( نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ)
ইয়াহুদীরা বলতো, কোন লোক স্ত্রীর পেছন দিক থেকে তার যোনী দ্বারে সঙ্গম করলে এতে সন্তান ট্যারা চক্ষু বিশিষ্ট হবে। এ প্রসঙ্গে আয়াতটি নাযিল হয় অর্থাৎ ‘স্ত্রীগণ তোমাদের শস্যক্ষেত্র। অতএব, তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা গমন করতে পারো’ (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ২২৩)। -সহিহ মুসলিম : হাদিস নং : ১৪৩৫
হযরত মুজাহিদ রহ. আয়াতের তফসিরে আরো বলেন,
قَائِمَةً وَقَاعِدَةً وَمُقْبِلَةً وَمُدْبِرَةً فِي الْفَرْجِ
দাঁড়ানো ও বসা অবস্থায়, সামনের দিক থেকে এবং পিছনের পাশ থেকে (সঙ্গম করতে পারো, তবে তা হতে হবে) স্ত্রীর যোনিপথে। – দুররে মানছুর খ. ১ পৃ. ২৬৫ তাফসীর তাবারী : খ. ২ পৃ. ৩৮৭-৩৮৮ মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবা : খ. ৪ পৃ. ২৩২
সুতরাং বুঝা গেলো, আয়াতটিতে পায়ুপথে সংগম করার বিষয়ে কোনো আলোচনাই নেই। তাছাড়া ক্ষেত বলে যোনিপথই বুঝানো হয়েছে, কারণ ক্ষেত তো সেটাকেই বলে যেখানে চাষ করলে ফসল ফলে। আর সেটা যোনিপথ ছাড়া অন্য কোনো পথ হতে পারে না। কারণ যোনিপথে ছাড়া সহবাস করলে বাচ্চা হয় না। সুতরাং এ আয়াত দিয়ে পায়ুপথে সহবাস
একটি অভিযোগ:
শিয়াদের দাবি হলো, পবিত্র কুরআনে লুত আ. এর ঘটনা প্রমাণ করে পায়ুপথে সহবাস হালাল। দেখুন তাদের দাবিটা কী? তারা লিখেছে, জনৈক ব্যক্তি বলেন,
سألت أبا الحسن الرضا عليه السلام عن اتيان الرجل المرأة من خلفها فقال: أحلتها آية من كتاب الله قول لوط هؤلاء بناتي هن أطهر لكم وقد علم أنهم لا يريدون الفرج
আমি আবুল হাসান রিযা আ. কে মহিলাদের পায়পথে সহবাস বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, আল্লাহ কিতাব (কুরআনের) আয়াতই এটা হালাল করেছে। লুত আ. তার কওমকে বলেছিলেন, এরা আমারই মেয়ে যাঁরা তোমাদের জন্য পবিত্র। অথচ তিনি জানতেন যে, তার সম্প্রদায় যোনিপথে সহবাস করবে না। (বরং পায়ুপথে সহবাস করবে)। -ওসায়িলুশ শিয়াহ : খ. ২০ পৃ. ১৪৬; বর্ণনা নং : ২৫২৬১
অর্থাৎ তাদের দাবি হলো, লুত আ. এর কাছে আগত ব্যক্তিদের যে ঘটনা বর্ণিত হয়েছে, তাতে বুঝা যায় ‘পায়ুপথে সহবাস জায়েয’।
জবাব:
এ বিষয়ে জানার আগে চলুন আগে আয়াতটি দেখে নেওয়া যাক। মহান রব বলেন,
وَجَآءَہٗ قَوۡمُہٗ یُہۡرَعُوۡنَ اِلَیۡہِ ؕ وَمِنۡ قَبۡلُ کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ السَّیِّاٰتِ ؕ قَالَ یٰقَوۡمِ ہٰۤؤُلَآءِ بَنَاتِیۡ ہُنَّ اَطۡہَرُ لَکُمۡ فَاتَّقُوا اللّٰہَ وَلَا تُخۡزُوۡنِ فِیۡ ضَیۡفِیۡ ؕ اَلَـیۡسَ مِنۡکُمۡ رَجُلٌ رَّشِیۡدٌ
তার (লুত আ.) সম্প্রদায়ের লোক তার দিকে ছুটে আসল। তারা পূর্ব থেকেই কুকর্মে লিপ্ত ছিল। লূত বলল, হে আমার সম্প্রদায়! এই আমার কন্যাগণ উপস্থিত রয়েছে। এরা তোমাদের পক্ষে ঢের পবিত্র! সুতরাং আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার মেহমানদের ব্যাপারে তোমরা আমাকে হেয় করো না। তোমাদের মধ্যে কি একজনও ভালো লোক নেই? -সুরা হুদ : ৭৮
প্রিয় পাঠক, উক্ত আয়াতে লুত আ. এর কাছে তাঁর সম্প্রদায়ের পুরুষরা এসে সমকামিতা আগ্রহ পেশ করেছিলো। আর পুরুষের সমকামিতা তো সেটাই যা পায়ুপথে হয়ে থাকে। ফলে লুত আ. তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিলেন যে ‘তোমরা যে যৌনচাহিদা পূরণের জন্য সমকামিতার আগ্রহ পেশ করলে, অথচ এরচেয়ে তোমাদের স্ত্রীরা তোমাদের জন্য যৌনচাহিদা পূরণে সবচে পবিত্র ও পরিতৃপ্তির ব্যাপার। তিনি দুর্বৃত্তদেরকে নম্রতার সাথে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে, তোমাদের স্ত্রীরা, যারা আমার রূহানী কন্যাও বটে, তারা তো তোমাদের ঘরেই রয়েছে। তোমরা তাদের দ্বারা নিজেদের যৌন চাহিদা মেটাতে পারো। আর সেটাই স্বভাবসম্মত পবিত্র পন্থা। اطهر অর্থ বেশি পবিত্র, অর্থাৎ অন্যের তুলনায় বেশি, কিন্তু এ স্থলে তুলনা বোঝানো উদ্দেশ্য নয়, কেননা সমকামের মধ্যে কোন পবিত্রতা নেই যে, তা অপেক্ষা বিবাহ বেশি পবিত্র হবে; বরং এর দ্বারা পবিত্রতার দৃঢ়তা ও পূর্ণতা বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ বিবাহের মাধ্যমে কামেচ্ছা পূরণ সর্বোতভাবে পবিত্র, তাতে অপবিত্রতার লেশমাত্র নেই।
মনে রাখা চাই, সমকামিতার চাহিদা পূরণই হয় পায়ুপথে সহবাসের মাধ্যমে। যদি সে পায়ুপথে সহবাস বৈধই হতো, তাহলে তিনি সমকামিতাকেও বৈধ বলে ঘোষণা দিয়ে দিতেন। কারণ সমকামিতার মাধ্যমে তো তারা পায়ুপথেই সহবাস করতো। যেহেতু তিনি সমকামিতাকে বৈধতাও দেননি, এটাই প্রমাণ পায়ুপথে সহবাসই বৈধ নয়। সুতরাং বুঝা গেলো, লুত আ. اطهر শব্দটি বলে পবিত্র পন্থাই বলে দিয়েছেন, আর সে পন্থাটাই হলো স্ত্রীদের যোনিপথে সহবাস করা। পায়ুপথে সহবাসের বিষয়টাই তো পবিত্র নয়।
পায়ুপথে সহবাসের ক্ষতিসমূহ:
এছাড়া আরো অনেক খারাবী এতে রয়েছে। যেমন-
১. স্ত্রীর সাথে সহবাসের একটি মৌলিক উদ্দেশ্য হল, সন্তান হওয়া। পিছনের রাস্তা দিয়ে হলে উক্ত মাকসাদ হাসিল হয় না। তাই তা পরিত্যাজ্য।
২. স্ত্রীর হক হলো, তার সাথে সহবাস করা। আর সহবাসের প্রকৃত স্থান ছেড়ে অন্য রাস্তা ব্যবহার করায় স্ত্রীর হক নষ্ট হয়।
৩. এটা নোংড়ামি তথা পায়খানার রাস্তা। এটাকে একাজের জন্য তৈরি করা হয়নি। তাই একাজের জন্য তা ব্যবহার করলে আল্লাহর নির্ধারিত বিধি লঙ্ঘিত হয়।
৪. এর দ্বারা পুরুষের পুরুষাঙ্গের ক্ষতি হয়। এ কারণেই বিজ্ঞ ডাক্তারগণ তা করতে নিষেধ করে থাকেন।
৫. নোংড়া স্থান হবার কারণে এর দ্বারা শরীরে নোংরা লেগে যাবার সম্ভাবনা থাকে। যা রুচিশীল মানুষের জন্য বড়ই ঘৃণার।
৬. এর দ্বারা মহিলাদের কষ্ট হয়।
৭. নির্লজ্জতার নিদর্শন।
৮. পশুত্বের নিদর্শন।
৯. ইহুদীদের কাজে নিজেকেও জড়িয়ে নেওয়া। কারণ এ কাজটি ইহুদীদের কর্ম। সুতরাং উপরোক্ত কারণগুলোর কারণেও এ ঘৃণিত কাজ পরিত্যাজ্য। আল্লাহপাক আমাদেরকে শিয়া মতবাদ থেকে হিফাযত করেন। আমীন!