Home > হেযবুত তওহীদ > নবি-রাসুলগণ কী ব্যর্থ ছিলেন।

নবি-রাসুলগণ কী ব্যর্থ ছিলেন।

সমস্ত নবি-রাসুলগণ নিস্পাপ। এটাই সমস্ত সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন, তাবে তাবেয়ীন, আয়েম্মায়ে কেরামসহ সকল মুসলিম উম্মাহর বিশ্বাস। যুক্তিও তাই বলে। কারণ যে নবিরা উম্মতের আদর্শ হবেন, তারা কোনো দোষে দোষী হলে আদর্শের মূর্তপ্রতিক হতে পারেন না। আর সেজন্য ইসলামে সকল নবিদের প্রতি শুধু ঈমান আনাকে ফরজ করা হয়নি, বরং তাঁদের সকলের প্রতি সম্মান ও মর্যাদা দেওয়া, তাঁদের মর্যাদার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ সম্মান প্রদর্শন করাও ফরজ করা হয়েছে। যেহেতু তাঁরা হচ্ছেন- শ্রেষ্ঠ মানব, আল্লাহ পাকের নির্বাচিত বিশেষ বান্দা। তাঁরা হচ্ছেন- হেদায়েতের আলোকবর্তিকা; যা অন্ধকার পৃথিবীকে আলোকিত করেছে, হৃদয়গুলোর পাশবিকতা দূর করে কোমলতা এনেছে। তাঁদেরকে ছাড়া শান্তি ও সফলতার কোনো পথ নেই। আর এ  কারণেই সকল মুসলিম এ ব্যাপারে ইজমা তথা ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে, নবিদেরকে গালি দেওয়া, হেয় প্রতিপন্ন করা হারাম। যে ব্যক্তি কর্তৃক এমন কিছু সংঘটিত হবে সে মুরতাদ হয়ে যাবে; যেমনিভাবে কেউ আমাদের নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে গালি দিলে মুরতাদ হয়ে যায়। তাঁদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের দিকনির্দেশা দিয়ে মহান রব বলেন,
قُلْ آمَنَّا بِاللّهِ وَمَا أُنزِلَ عَلَيْنَا وَمَا أُنزِلَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَقَ وَيَعْقُوبَ وَالأَسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَى وَالنَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ
বলে দাও, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহ-র প্রতি, আমাদের উপর যে কিতাব নাযিল করা হয়েছে তাঁর প্রতি, ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব ও (তাঁদের) বংশধরের প্রতি যা (যে হিদায়াত) নাযিল করা হয়েছে তার প্রতি এবং মুসা, ঈসা ও অন্যান্য নবিগণকে তাঁদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে যা দেওয়া হয়েছে তার প্রতি। আমরা তাঁদের (উল্লিখিত নবিদের) মধ্যে কোনও পার্থক্য করি না এবং আমরা তাঁরই (এক আল্লাহরই) সম্মুখে নতশির। -সুরা আলে ইমরান : ৮৪

সুতরাং কোনো নবিকে অপমান করা বা কারো কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি বের করা বা কারো ব্যর্থ বলা চরম অন্যায় ও মুরতাদ হওয়ার নামান্তর। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, হেযবুত তওহীদ নবিদের ব্যাপারে যেসব মন্তব্য করেছেন, তা দেখলে গা শিউরে ওঠে। মনে রাখতে হবে, সকল নবিগণ আল্লাহর দেওয়া দায়িত্ব স্বীয় স্থানে পূর্ণভাবে পালন করেছেন। কেউ তাঁদের দায়িত্বে কোনো ত্রুটি রাখেননি। কোনো নবিই ব্যর্থ হননি। এটাই মুসলিমদের আক্বীদা। নবিদের শানে কোনো ধরণের প্রশ্ন তোলা ঈমান নষ্ট হওয়ার একটি কারণ। উপরন্তু যে যত বড় নেককার উম্মত হোক না কেন, কোনো নবির সমমূল্য হতে পারেন না। সম্ভবও নয়। কারণ নবিরা খোদ আল্লাহ কর্তৃক নির্বাচিত।

হেযবুত তওহীদ কী বলে?
তাদের দাবি হলো, প্রায় সব নবিরা তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যার্থ হয়েছেন। এর কারণ হিশাবে তারা বলেছে,
পৃথিবীতে প্রচলিত সমস্ত রকম দীন অর্থাৎ জীবনব্যবস্থাকে পরাজিত করে বা শেষ করে দিয়ে একমাত্র আল্লাহর দেয়া জীবন ব্যবস্থা বা দীন ইসলাম প্রতিষ্ঠায়ই আল্লাহর লক্ষ্য এবং বিশ্ব নবীকে পাঠাবার উদ্দেশ্যই তাই। -শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম : পৃ. ১২১

পূর্ববর্তী নবীদের যে কারণে আল্লাহ পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন তাঁর এই শেষ নবীকেও সেই একই উদ্দেশ্যে পাঠালেন- অর্থাৎ পৃথিবীতে মানুষের জীবনে শান্তি, ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে। তাঁকে (সা.) নির্দেশ দিলেন- পৃথিবীতে যত রকম জীবনব্যবস্থা আছে সমস্তগুলোকে নিষ্ক্রিয়, বাতিল করে এই শেষ জীবনব্যবস্থা মানুষের জীবনে প্রতিষ্ঠা করতে (সুরা তওবা ৩৩, সুরা ফাতাহ ২৮, সুরা সফ ৯)। -বিকৃত সুফিবাদ : পৃ. ৯

অর্থাৎ তাদের দাবি হলো, সকল নবিদের দায়িত্ব ছিলো বিশ্বময় যত ধর্ম আছে সব বিলুপ্ত করে আল্লাহ-র ধর্ম প্রতিষ্ঠা করা। যেহেতু সব নবিরা তা পারেননি, সে জন্য সকল নবিরা ব্যার্থ। নাউযুবিল্লাহ। দেখুন তারা কী লিখেছে,
একদম মহাসত্য পেয়েও যেখানে নবী রাসূলদের মধ্যে অনেকে ব্যর্থ হোয়েছেন, পারেন নি, সেখানে আমি কে। আমি তো কেউ না, কিছুই না। কি হবে, কি হবে না – এই সংশয় আমার ২০০৮ সনের ফেব্রুয়ারীরর ২ তারিখ পর্যন্ত, পূর্ণভাবে ছিলো। যদিও সেটা আমাকে দমাতে পারেনি, এজন্য যে আমি চেষ্টা কোরে যাবো, নবী রাসূলরা পারেন নি, আর আমি কে?
আমি চেষ্টা কোরে যাবো, মো’জেজার দিনটায় আল্লাহ আমার সব সংশয় অবসান কোরেছেন, জানিয়ে দিলেন নিজে যে- হবে, উনি কোরবেন, আমি না। তোমরাও না, আমিও না, কোরবেন আল্লাহ নিজে, He Himself, সবকিছুই আল্লাহর নিজের করা Actually, সব কিছুই। -আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা : পৃ. ৬৮

বি:দ্র: তাদের বইয়ে লেখা ‘মো’জেজার দিনটায় আল্লাহ আমার সব সংশয় অবসান কোরেছেন,জানিয়ে দিলেন নিজে যে, ‘করো, হবে’। এখানে হেযবুত তওহীদ তাদের বইতে বক্তব্যটা লেখার সময় ‘করো’ শব্দটা কেটে দিয়েছে। কিন্তু ‘করো’ এ শব্দটা তার ভিডিওতে রয়েছে। -ভিডিও লিংক: https://youtu.be/Z2gSXhmYWsg

যাহোক, উক্ত বক্তব্য দিয়ে পন্নী সাহেব দুটি কথা বলতে চেয়েছে,
১. সকল নবিরা তাঁদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ ছিলেন।
২. নবিরা যা পারেননি, পন্নীকে দিয়ে আল্লাহ সেটা করাবেন বলে আল্লাহ তাআলা তাকে ওয়াদা দিয়েছেন।

ইসলাম কী বলে?
এক. চলুন প্রথমে নবিদের দায়িত্ব কী সে সম্পর্কে পবিত্র কুরআন থেকেই জেনে নেওয়া যাক। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
وَمَا أَرْسَلْنَا مِن قَبْلِكَ مِن رَّسُولٍ إِلَّا نُوحِي إِلَيْهِ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدُونِ
আমি তোমার পূর্বে এমন কোনো রাসুল পাঠাইনি, যার প্রতি আমি এই ওহি নাযিল করিনি যে, ‘আমি ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই। সুতরাং আমারই ইবাদত করো’। -সুরা আম্বিয়া : ২৫

এই তাওহীদের ডাক দেওয়াটাই ছিলো নবিদের দায়িত্ব। এ কথাটাও মহান রব বলে দিয়েছেন,
فَهَلْ عَلَى الرُّسُلِ إِلاَّ الْبَلاغُ الْمُبِينُ
কিন্তু স্পষ্টভাবে বার্তা পৌঁছানো ছাড়া রাসুলগণের আর কোনো দায়িত্ব নেই। -সুরা নাহল : ৩৫

এছাড়া খোদ পন্নীই লিখেছে,
আল্লাহ যে তাঁর এক লাখ চব্বিশ হাজার, মতান্তরে দুই লাখ চব্বিশ হাজার নবী রসুল (আ.) পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তার উদ্দেশ্য কী? একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে এমন একটা জীবন-বিধান, দীন দেয়া যেটা অনুসরণ করে। মানুষের জীবন পরিচালিত করলে মানুষ অন্যায়, অবিচার, অশান্তি, ও রক্তপাতহীন, প্রগতিশীল একটা জীবনে বাস করতে পারে। এর প্রধান শর্ত হলো আল্লাহকে একমাত্র জীবন-বিধাতা বলে স্বীকার করে নেওয়া, একমাত্র প্রভু স্বীকার করা, (তওহীদ)। কারণ তা না করলে তার দেয়া জীবন বিধানকে একমাত্র জীবন-বিধান বলে স্বীকার করার প্রশ্ন আসে না। দ্বিতীয়ত, যার মাধ্যমে আল্লাহ ঐ বিধান পাঠালেন তাকে প্রেরিত রসুল বলে স্বীকার করা। -শ্রেণীহীন সমাজ সাম্যবাদ প্রকৃত ইসলাম : পৃ. ১৩৩

সুতরাং বুঝা গেলো, আল্লাহ কর্তৃক নবিদের উপর দায়িত্ব ছিলো, শুধুমাত্র দ্বীনের বাণী, তাওহীদের বাণী পৌঁছে দেওয়া। আর এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক নবিদেরকে চুড়ান্ত পর্যায়ের বিপদে পড়তে হয়েছে। কাউকে করাত দিয়ে দ্বিখন্ডিত করা হয়েছে, কাউকে আগুনে ফেলা হয়েছে, কাউকে দেশান্তরিত করা হয়েছে, কাউকে ফাঁসি দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছে। আর আমাদের রাসুল সা. এর নির্যাতন তো লিখে বুঝানো সম্ভব নয়। সুতরাং বুঝা গেলো, আম্বিয়ায়ে কেরাম তাঁদের দায়িত্ব পালনে কোনো ত্রুটি রাখেননি, এবং সবাই স্বীয় দায়িত্ব পালনে পরিপূর্ণভাবে নিরলস প্রচেষ্টা করে গেছেন, কোনো ত্রুটি করেননি। তাছাড়া পন্নী নিজেও অন্যত্র লিখেছে,
প্রত্যেক নবী তার উপরে দেয়া দায়িত্ব পূর্ণ করেছেন তার অনুসারীদের, তার উম্মার সাহায্যে। -বিকৃত সুফিবাদ : পৃ. ১০

যেহেতু জনাব পন্নী নিজেই যখন স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে যে নবিগণ আ. তাঁদের দায়িত্ব পূর্ণ করেছেন, সেখানে সফলতা কতটুকু সেটা তো রবের ব্যাপার। জনাব পন্নী লিখেছে,
প্রত্যেককে মনে রাখতে হবে যে, সংগ্রামই তার দায়িত্ব, সাফল্য নয়, কারণ সাফল্য ও ব্যর্থতা মানুষের হাতে নয়, সেটা আল্লাহর হাতে। -এসলামের প্রকৃত রূপরেখা : পৃ. ৬৪

সুতরাং এরপরও জনাব পন্নী কর্তৃক নবিদের ব্যার্থ বলা নবি-রাসুলগণের আ. রিসালাতের উপর মারাত্মক অপবাদ এবং তাঁদের অপমান ছাড়া আর কিছুই নয়। অথচ যে ব্যক্তি কোনো নবিকে হেয় প্রতিপন্ন করবে, সে সর্বসম্মতিক্রমে কাফের। এ প্রসঙ্গে কাযী ইয়ায রহি. বলেন;
من استخف بنبينا محمد صلى الله عليه وسلم أو بأحد من الأنبياء عليهم الصلاة والسلام أو أزرى عليهم أو آذاهم أو قتل نبيا أو حاربه فهو كافر بإجماع
যে ব্যক্তি তাঁকে (অর্থাৎ নবি সাঃ-কে) অপমান করবে কিংবা অন্য কোনো নবিকে অপমান করবে কিংবা মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করবে, কিংবা তাদেরকে কষ্ট দিবে কিংবা কোনো নবিকে হত্যা করবে কিংবা কোনো নবির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, সে ব্যক্তি সর্বসম্মতিক্রমে কাফের। -মানহুল জালীল, খ. ৯ পৃ. ৯৬

দুই. নবিরা যা পারেননি, পন্নীকে দিয়ে আল্লাহ সেটা করাবেন?
পন্নী সাহেবের আরেকটা দাবি ছিলো, নবিরা যা পারেননি, পন্নীকে দিয়ে আল্লাহ সেটা করাবেন বলে আল্লাহ তাকে বলেছেন। অর্থাৎ তার মাধ্যমে পুরো বিশ্বে দ্বীনের বিজয় ঘটাবেন। এটা একটা ডাহা মিথ্যাচার। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেওয়া হয় যে, আল্লাহপাক পন্নীকে দিয়ে বিশ্বব্যাপী তাঁর দ্বীনকে বিজয়ী করার ওয়াদা দিয়েছেন। তাহলে তো সেটা হওয়ারই কথা ছিলো। কারণ আল্লাহ পাক তো ওয়াদার খেলাফ করেন না। মহান রব বলেন,
وَعْدَ اللَّهِ لَا يُخْلِفُ اللَّهُ وَعْدَهُ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ
এটা আল্লাহর কৃত ওয়াদা। আল্লাহ নিজ ওয়াদার বিপরীত করেন না। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না। -সুরা রুম : ৬

আল্লাহপাক যদি তাঁকে এমন ওয়াদা দিয়েই থাকেন, তাহলে সেটা তো হওয়ারই কথা ছিলো। কারণ আল্লাহ পাক তো ওয়াদার খেলাফ করেননা। অথচ পন্নী সাহেব ২০১২ সালে মারা গেছে। কিন্তু তার মাধ্যমে পুরো বিশ্বে সে দ্বীন পৌঁছায়নি, বরং বাংলাদেশেও মুষ্টিময় লোক ছাড়া কেউ তার মতবাদ গ্রহণ করেনি। । তাহলে এটা কি সত্য নয় যে, পন্নী আল্লাহ-র নামে মিথ্যাচার করে মারা গেছেন? সুতরাং যে লোকটি আল্লাহর নামে এমন জঘন্য মিথ্যাচার করতে পারে, এমন মহামিথ্যুক কীভাবে ‘যামানার এমাম’ হয়? এবং এমন মিথ্যুকের মতবাদ কীভাবে সুস্থ মানুষ গ্রহণ করে, আমাদের বোধগম্য নয়। এমন মিথ্যুকদের ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرَى عَلَى اللّهِ كَذِبًا أَوْ كَذَّبَ بِآيَاتِهِ إِنَّهُ لاَ يُفْلِحُ الظَّالِمُونَ
যে ব্যক্তি আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা রটনা করে অথবা তার আয়াতসমূহ প্রত্যাখ্যান করে, তার চেয়ে বড় জালিম আর কে হতে পারে? নিশ্চিত (জেন), জালিমগণ সফলতা লাভ করতে পারে না। -সুরা আনআম : ২১

নবি-রাসুলগণের দায়িত্ব কী ছিলো, সে সম্পর্কে হেযবুত তওহীদ আরও লিখেছে,
নবী-রসুলদের দায়িত্ব ছিল মানুষের সামনে ন্যায়-অন্যায় সত্য-মিথ্যা আলাদা করে দেওয়া। -ধর্মব্যবসার ফাঁদে : পৃ. ৩৯

আলহামদুলিল্লাহ। নবিরা আমাদের সত্য-মিথ্যা চেনার রূপরেখা দেখিয়ে গেছেন। আর সে কারণেই আমরা হেযবুত তওহীদকে কুফরী মতবাদ হিশেবে চিনতে পারছি।

Check Also

পন্নীর চেয়ে মুহাম্মাদ সা. এর এরিয়া কম।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে মহান আল্লাহ প্রেরণ করেছেন সমস্ত বিশ্বসমূহের জন্য রহমত করে। আর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.