পন্নী সাহেবের দাবি হলো,
নবী রাসূলরা পারেন নি, আর আমি কে? আমি চেষ্টা কোরে যাবো, মো’জেজার দিনটায় আল্লাহ আমার সব সংশয় অবসান কোরেছেন, জানিয়ে দিলেন নিজে যে- হবে, উনি কোরবেন, আমি না। তোমরাও না, আমিও না, কোরবেন আল্লাহ নিজে, He Himself, সবকিছুই আল্লাহর নিজের করা Actually, সব কিছুই। -আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা : পৃ. ৬৮
অর্থাৎ নবিরা যা পারেননি, পন্নীকে দিয়ে আল্লাহ সেটা করাবেন বলে আল্লাহ তাকে বলেছেন। অর্থাৎ তার মাধ্যমে পুরো বিশ্বে দ্বীনের বিজয় ঘটাবেন। এটা একটা ডাহা মিথ্যাচার। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেওয়া হয় যে, আল্লাহপাক পন্নীকে দিয়ে বিশ্বব্যাপী তাঁর দ্বীনকে বিজয়ী করার ওয়াদা দিয়েছেন। তাহলে তো সেটা হওয়ারই কথা ছিলো। কারণ আল্লাহ পাক তো ওয়াদার খেলাফ করেন না। মহান রব বলেন,
وَعْدَ اللَّهِ لَا يُخْلِفُ اللَّهُ وَعْدَهُ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ
আল্লাহর প্রতিশ্রুতি হয়ে গেছে। আল্লাহ তার প্রতিশ্রুতি খেলাফ করবেন না। কিন্তু অধিকাংশ লোক জানে না। -সুরা রুম : ৬
আল্লাহপাক যদি তাঁকে এমন ওয়াদা দিয়েই থাকেন, তাহলে সেটা তো হওয়ারই কথা ছিলো। কারণ আল্লাহ পাক তো ওয়াদার খেলাফ করেননা। অথচ পন্নী সাহেব ২০১২ সালে মারা গেছে। কিন্তু তার মাধ্যমে পুরো বিশ্বে সে দ্বীন পৌঁছায়নি, বরং বাংলাদেশেও মুষ্টিময় লোক ছাড়া কেউ তার মতবাদ গ্রহণ করেনি। । তাহলে এটা কি সত্য নয় যে, পন্নী আল্লাহ-র নামে মিথ্যাচার করে মারা গেছেন? সুতরাং যে লোকটি আল্লাহর নামে এমন জঘন্য মিথ্যাচার করতে পারে, এমন মহামিথ্যুক কীভাবে ‘যামানার এমাম’ হয়? এবং এমন মিথ্যুকের মতবাদ কীভাবে সুস্থ মানুষ গ্রহণ করে, আমাদের বোধগম্য নয়। এমন মিথ্যুকদের ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرَى عَلَى اللّهِ كَذِبًا أَوْ كَذَّبَ بِآيَاتِهِ إِنَّهُ لاَ يُفْلِحُ الظَّالِمُونَ
আর যে, আল্লাহর প্রতি অপবাদ আরোপ করে অথবা তাঁর নিদর্শনাবলীকে মিথ্যা বলে, তার চাইতে বড় জালেম কে? নিশ্চয় জালেমরা সফলকাম হবে না। -সুরা আন’আম : ২১
নবি-রাসুলগণের দায়িত্ব কী ছিলো, সে সম্পর্কে হেযবুত তওহীদ আরও লিখেছে,
নবী-রসুলদের দায়িত্ব ছিল মানুষের সামনে ন্যায়-অন্যায় সত্য-মিথ্যা আলাদা করে দেওয়া। -ধর্মব্যবসার ফাঁদে : পৃ. ৩৯
আলহামদুলিল্লাহ। নবিরা আমাদের সত্য-মিথ্যা চেনার রূপরেখা দেখিয়ে গেছেন। আর সে কারণেই আমরা হেযবুত তওহীদকে কুফরী মতবাদ হিশেবে চিনতে পারছি।