সাধারণভাবে কুরবানীর সময় হচ্ছে ঈদের নামাজ আদায় করার পর।
প্রমাণ:
হাদিস শরীফে এসেছে,
عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ فَقَالَ إِنَّ أَوَّلَ مَا نَبْدَأُ بِه مِنْ يَوْمِنَا هٰذَا أَنْ نُصَلِّيَ ثُمَّ نَرْجِعَ فَنَنْحَرَ فَمَنْ فَعَلَ هٰذَا فَقَدْ أَصَابَ سُنَّتَنَا وَمَنْ نَحَرَ فَإِنَّمَا هُوَ لَحْمٌ يُقَدِّمُه لِأَهْلِه لَيْسَ مِنَ النُّسُكِ فِي شَيْءٍ
অর্থ: হযরত বারা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে খুৎবা দেয়ার সময় বলতে শুনেছিঃ আমাদের আজকের এ দিনে সর্বপ্রথম আমরা যে কাজটি করব তা হল সালাত আদায়। অতঃপর আমরা ফিরে গিয়ে কুরবানী করব। যে ব্যক্তি এভাবে করবে সে আমাদের সুন্নাতকে অনুসরণ করবে। আর যে ব্যক্তি পূর্বেই যবহ্ করল, তা তার পরিবার পরিজনের জন্য অগ্রিম গোশত প্রেরণ, তা কিছুতেই কুরবানী নয়।
সূত্র: সহীহ বুখারী হাদিস: ৫৫৬০
এই হাদীস থেকে পরিষ্কার যে, ঈদের নামাজের আগে কুরবানী করলে তা কুরবানী হিসাবে গণ্য হবে না। তবে যেসব অঞ্চলে জুমা ও ঈদ ফরজ নয়, সেসব অঞ্চলে এই শর্ত প্রযোজ্য নয়। সেখানে কুরবানীর সময় শুরু হওয়াই মূল বিবেচ্য বিষয় আর তা ফজর উদয় থেকেই শুরু হয়ে যায়। সেসব অঞ্চলে সূর্যোদয়ের পরই কুরবানী করা উত্তম।
সূত্র: ফাতাওয়া কাযী খান, ফাতাওয়া শামী।