Home > কুরবানীর মাসআলা (page 2)

কুরবানীর মাসআলা

শরীকদের ভেতর গোশত ভাগ করার নিয়ম।

  শরীকে কুরবানী করলে ওজন করে গোশত বণ্টন করতে হবে। অনুমান করে ভাগ করা জায়েয নয়। কারণ অনুমান করে ভাগ করলে কমবেশি হওয়ার সন্দেহ থেকেই যায়। আর সন্দেহযুক্ত বিষয় থেকে দুরে থাকতে বলেছেন নবীজি সা.। ক. নবীজি সা. বলেছেন, دَعْ مَا يَرِيبُكَ إِلَى مَا لاَ يَرِيبُكَ যে বিষয়ে তোমার সন্দেহ হয়, তা ছেড়ে দিয়ে যাতে সন্দেহের সম্ভাবনা নেই তা গ্রহণ …

Read More »

কুরবানীর গোশত বন্টন করা কি জরুরী?

  কুরবানীর গোস্ত তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজের জন্য রাখা, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন বা প্রতিবেশীর জন্য রাখা এবং এক ভাগ গরীবকে দেয়া বাধ্যতামূলক নয়, বরং মুস্তাহাব। ফাতাওয়ায়ে শামীতে এসেছে, وَالْأَفْضَلُ أَنْ يَتَصَدَّقَ بِالثُّلُثِ وَيَتَّخِذَ الثُّلُثَ ضِيَافَةً لِأَقْرِبَائِهِ وَأَصْدِقَائِهِ وَيَدَّخِرَ الثُّلُثَ؛ وَيُسْتَحَبُّ أَنْ يَأْكُلَ مِنْهَا، وَلَوْ حَبَسَ الْكُلَّ لِنَفْسِهِ جَازَ لِأَنَّ الْقُرْبَةَ فِي الْإِرَاقَةِ وَالتَّصَدُّقِ بِاللَّحْمِ تَطَوُّعٌ অর্থাৎ উত্তম হলো, এক …

Read More »

ঈদুল আযহার নামায

  পুরুষের জন্য ঈদুল আযহার নামাজ: ঈদুল আযহার নামায প্রত্যেক সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন পুরুষের উপর ওয়াজিব। নিন্মে কয়েকটি দলীল দেওয়া হলো, এক. পবিত্র কুরআনুল কারীমের ভেতরে আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা আদেশ দিয়ে বলে- فصل لربك وانحر অর্থাৎ আপনি আপনার রবের জন্য সালাত আদায় করুন এবং কোরবানী করুন। সুরা কাউসার-২ আয়াতের তাফসীর: প্রসিদ্ধ মুফাসসির আল্লামা কুরতুবী রহ. এবং আল্লামা সানাউল্লাহ পানিপথী রহ. এই …

Read More »

যিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিনের বিশেষ আমল

  জিলহজ্ব মাসের আমল অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল। হাদিস শরীফে এসেছে, عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏مَا مِنْ أَيَّامٍ الْعَمَلُ الصَّالِحُ فِيهِنَّ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ مِنْ هَذِهِ الأَيَّامِ الْعَشْرِ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَلاَ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏وَلاَ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ إِلاَّ رَجُلٌ خَرَجَ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ …

Read More »

জিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিনের ফযিলত

মহান আল্লাহ তা’আলা পুরো বছরকে ১২ মাসে বিভক্ত করেছেন এবং ১২ মাসের ভেতর চারটি মাসকে অধিক সম্মানিত করেছেন। আল্লাহ তা’আলা বলেন, إِنَّ عِدَّةَ الشُّهُورِ عِندَ اللّهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِي كِتَابِ اللّهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَات وَالأَرْضَ مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ অর্থ: নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গননায় মাস বারটি, আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। তন্মধ্যে চারটি সম্মানিত। সুরাঃ তাওবা আয়াত: ৩৬ …

Read More »

কুরবানী শব্দের আভিধানিক অর্থ: কুরবানী (قربانى) শব্দটি উর্দূ বা ফার্সিতে ব্যবহার হয়ে থাকে। যা আরবী قرب বা قربان শব্দ হতে রূপান্তরিত। যার আভিধানিক অর্থ হলো, নিকটবর্তী হওয়া, কাছে আসা বা ঘনিষ্ঠ হওয়া। সূত্র: আল-মু’জামুল ওয়াফী পৃ: ৭৮৬ পারিভাষিক অর্থ: ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় কুরবানী হলো, “একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট ব্যক্তির, নির্দিষ্ট জানোয়ার জবেহ করা।” …

Read More »

কুরবানীর সময় কখন থেকে শুরু হয়?

  সাধারণভাবে কুরবানীর সময় হচ্ছে ঈদের নামাজ আদায় করার পর। প্রমাণ: হাদিস শরীফে এসেছে, عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ فَقَالَ إِنَّ أَوَّلَ مَا نَبْدَأُ بِه مِنْ يَوْمِنَا هٰذَا أَنْ نُصَلِّيَ ثُمَّ نَرْجِعَ فَنَنْحَرَ فَمَنْ فَعَلَ هٰذَا فَقَدْ أَصَابَ سُنَّتَنَا وَمَنْ نَحَرَ فَإِنَّمَا هُوَ لَحْمٌ يُقَدِّمُه لِأَهْلِه لَيْسَ مِنَ النُّسُكِ فِي شَيْءٍ অর্থ: হযরত বারা রা. …

Read More »

কুরবানী কোন দিন করা উত্তম?

IMG 20210713 151850

  কুরবানী মোট তিনদিন করা যায়। জিলহজ্ব মাসের ১০/১১/১২ তারিখ। কিন্তু প্রথম দিন করা উত্তম। কারণ হাদিসে এসেছে, عن عبد الله بن عباس رضي الله عنه النحر يومان بعد يوم النحر و أفضلها يوم النحر অর্থ: কুরবানী ঈদের পরেও দুই দিন করা যাবে। তবে উত্তম হচ্ছে ঈদের দিন। সূত্র: আহকামুল কুরআন (তহাবী) হাদিস: ১৫৭০

Read More »

কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্তাবলী:

  যে পুরুষ অথবা নারীর মধ্যে কুরবানীর দিনগুলোতে নিচের শর্তগুলো বিদ্যমান থাকবে, শুধু তাদের উপরই কুরবানী ওয়াজিব হবে। ক. মুসলমান হওয়া। হানাফীদের মতবাদ। لأنها قربة والكافر ليس من أهل القرب অর্থাৎ কুরবানী হলো, নৈকট্য অর্জনের নাম। কিন্তু কাফেররা নৈকট্য অর্জনের জন্য উপযুক্ত নয়। সূত্র: বাদায়েউস সানায়ে খ: ৬ পৃ: ২৮১ لو كان كافرا في اول الوقت ثم اسلم في آخره …

Read More »

পশুর যে সাতটি অংশ খাওয়া নিষিদ্ধ।

  ১। রক্ত, ২। মাদীপশুর লজ্জাস্থান, ৩। অণ্ডকোষ, ৪। লালাগ্রন্থি, ৫। পুরুষাঙ্গ, ৬। মূত্রথলি এবং ৭। পিত্তথলি। প্রমাণ عن مجاهد قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يكره من الشاة سبعا الدم والحياء والأنثيين والغد و الذكر والمثانة والمرارة অর্থ: হযরত মুজাহিদ রহ. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বকরীর সাতটি অংশ খাওয়া অপছন্দ করতেন- রক্ত, লজ্জাস্থান, অণ্ডকোষ, লালাগ্রন্থি, পুরুষাঙ্গ, …

Read More »