ছোট বেলার ঘর কত হাস্যকর!
কাগজের ঘর
যাদুর টাকা
وَمَا ٱلۡحَیَوٰةُ ٱلدُّنۡیَاۤ إِلَّا مَتَاعُ ٱلۡغُرُورِ
লোভে পাপ পাপে মৃত্যু
মোবাইল,ল্যাপটপ ইত্যাদীর গ্যারান্টি আছে জিবনের নাই
চোখের পলকে তুমি হতে পারো লাশ, চিরতরে বন্ধ হবে তোমারই নিশ্বাস।
হবে এলান তোমারি নাম মসজিদের মাইকে বাড়িওয়ালা নাইরে বাড়ি নাইরে দুনিয়াতে
তোমার ভয়ে থাকতো মানুষ ছিল বাহাদুরি,
ভাবোনি হাওয়ায় উড়া তুমি যে রঙিন ঘুড়ি,
সুতোয় টান দিলে মালিক পারবে না থাকিতে
كُلُّ نَفۡسࣲ ذَاۤئقَةُ ٱلۡمَوۡتِۗ
ইবনে আব্বাস রা. বলেন,
أنَّهُ تَعالى خَلَقَ المَوْتَ في صُورَةِ كَبْشٍ أمْلَحَ لا يَمُرُّ بِشَيْءٍ إلّا ماتَ
تَبَارَكَ ٱلَّذِی بِیَدِهِ ٱلۡمُلۡكُ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَیۡءࣲ قَدِیرٌ ٱلَّذِی خَلَقَ ٱلۡمَوۡتَ وَٱلۡحَیَوٰةَ لِیَبۡلُوَكُمۡ أَیُّكُمۡ أَحۡسَنُ عَمَلࣰاۚ وَهُوَ ٱلۡعَزِیزُ ٱلۡغَفُورُ
১ মাসের হরতাল
قُلۡ مَتَاعُ ٱلدُّنۡیَا قَلِیلࣱ وَٱلۡاخِرَةُ خَیۡرࣱ لِّمَنِ ٱتَّقَىٰ وَلَا تُظۡلَمُونَ فَتِیلًا
والآخرة خير لك من الاولي
মাহমুদ গজনবী রহ.
দুনিয়াদার তো প্রেমিকা, বউ, বন্ধু, রাজত্ব পাবে, আখেরাত ওয়ালারা খোদদ আল্লাহকে পাবে।
إِنَّ ٱلَّذِینَ قَالُوا۟ رَبُّنَا ٱللَّهُ ثُمَّ ٱسۡتَقَـٰمُوا۟ تَتَنَزَّلُ عَلَیۡهِمُ ٱلۡمَلَـٰۤىِٕكَةُ أَلَّا تَخَافُوا۟ وَلَا تَحۡزَنُوا۟ وَأَبۡشِرُوا۟ بِٱلۡجَنَّةِ ٱلَّتِی كُنتُمۡ تُوعَدُونَ﴾ [فصلت ٣٠]
যিন্নিরা রা.
একদিন আবু জাহল তাঁকে বলল,
إن اللات والعزى فعلا بك ما ترين
فقالت له كلا والله لا تملك اللات والعزى نفعا ولا ضرا هذا أمر من السماء وربي قادر على أن يرد علي بصري
فأصبحت تلك الليلة وقد رد الله تعالى عليها بصرها
إِنَّ ٱلَّذِینَ قَالُوا۟ رَبُّنَا ٱللَّهُ ثُمَّ ٱسۡتَقَامُوا۟ فَلَا خَوۡفٌ عَلَیۡهِمۡ وَلَا هُمۡ یَحۡزَنُونَ أُو۟لئكَ أَصۡحَابُ ٱلۡجَنَّةِ خَالِدِینَ فِیهَا جَزَاۤءَۢ بِمَا كَانُوا۟ یَعۡمَلُونَ
কালেমার বদৌলতে
إِنَّ اللَّهَ سَيُخَلِّصُ رَجُلاً مِنْ أُمَّتِي عَلَى رُءُوسِ الْخَلاَئِقِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
فَيَنْشُرُ عَلَيْهِ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ سِجِلاًّ كُلُّ سِجِلٍّ مِثْلُ مَدِّ الْبَصَرِ
ثُمَّ يَقُولُ أَتُنْكِرُ مِنْ هَذَا شَيْئًا أَظَلَمَكَ كَتَبَتِي الْحَافِظُونَ
فَيَقُولُ لاَ يَا رَبِّ
فَيَقُولُ أَفَلَكَ عُذْرٌ
فَيَقُولُ لاَ يَا رَبِّ
فَيَقُولُ بَلَى إِنَّ لَكَ عِنْدَنَا حَسَنَةً فَإِنَّهُ لاَ ظُلْمَ عَلَيْكَ الْيَوْمَ
فَتَخْرُجُ بِطَاقَةٌ فِيهَا أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
فَيَقُولُ احْضُرْ وَزْنَكَ
فَيَقُولُ يَا رَبِّ مَا هَذِهِ الْبِطَاقَةُ مَعَ هَذِهِ السِّجِلاَّتِ
فَقَالَ إِنَّكَ لاَ تُظْلَمُ
قَالَ فَتُوضَعُ السِّجِلاَّتُ فِي كِفَّةٍ وَالْبِطَاقَةُ فِي كِفَّةٍ فَطَاشَتِ السِّجِلاَّتُ وَثَقُلَتِ الْبِطَاقَةُ فَلاَ يَثْقُلُ مَعَ اسْمِ اللَّهِ شَيْءٌ
তোমার সব কিছুর সময় হয়, রবের সময় দেওয়ার টাইম হয় না।
ইবরাহীম বিন আদহাম রহ.
মানুষ চার ভাগে বিভক্ত।
১. জন্মের সময় কাফেরের ঘরে, মৃত্যুর সময়ও কাফের হয়ে।
২. জন্মের সময় মুসলমানের ঘরে, মৃত্যুর সময়ও মুসলমান হয়ে।
৩. জন্মের সময় অমুসলিমের ঘরে, কিন্তু মৃত্যুর সময় মুসলমান হয়ে।
৪. জন্মের সময় মুসলমানের ঘরে, কিন্তু মৃত্যুর সময় বেঈমান হয়ে মারা যায়।
আমলনামা
فَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيرًا
فَأَمَّا مَنۡ أُوتِیَ كِتَـٰبَهُۥ بِیَمِینِهِۦ فَیَقُولُ هَاۤؤُمُ ٱقۡرَءُوا۟ كِتَـٰبِیَهۡ إِنِّی ظَنَنتُ أَنِّی مُلَاقٍ حِسَابِیَهۡ فَهُوَ فِی عِیشَةࣲ رَّاضِیَةࣲ
وَأَمَّا مَنۡ أُوتِیَ كِتَـٰبَهُۥ بِشِمَالِهِۦ فَیَقُولُ یَـٰلَیۡتَنِی لَمۡ أُوتَ كِتَابِیَهۡ وَلَمۡ أَدۡرِ مَا حِسَابِیَهۡ یَلَیۡتَهَا كَانَتِ ٱلۡقَاضِیَةَ مَاۤ أَغۡنَىٰ عَنِّی مَالِیَهۡۜ
وَأَمَّا مَنۡ أُوتِیَ كِتَابَهُۥ وَرَاۤءَ ظَهۡرِهِ فَسَوۡفَ یَدۡعُوا۟ ثُبُورࣰا وَیَصۡلَىٰ سَعِیرًا
أَيْ: بِشِمَالِهِ مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِهِ، تُثْنى يَدُهُ إِلَى وَرَائِهِ وَيُعْطَى كِتَابَهُ بِهَا كَذَلِكَ
নেককার বদকার
وَٱمۡتَازُوا۟ ٱلۡیَوۡمَ أَیُّهَا ٱلۡمُجۡرِمُونَ
ফায়সালা হওয়ার পর মানুষ ২ প্রকার হবে।
وَمَا نُؤَخِّرُهُۥۤ إِلَّا لِأَجَلࣲ مَّعۡدُودࣲ یَوۡمَ یَأۡتِ لَا تَكَلَّمُ نَفۡسٌ إِلَّا بِإِذۡنِهِ فَمِنۡهُمۡ شَقِیࣱّ وَسَعِیدࣱ فَأَمَّا ٱلَّذِینَ شَقُوا۟ فَفِی ٱلنَّارِ لَهُمۡ فِیهَا زَفِیرࣱ وَشَهِیقٌ
তওবা সম্পর্কে ইবরাহীম বিন আদহামের অমূল্য ৫টি নসিহত
জনৈক ব্যক্তি এসে বললেন, হে আবু ইসহাক,
إني مسرف على نفسي فاعرض علي ما يكون لها زاجرا ومستنقذا لقلبي
قال إن قبلت خمس خصال وقدرت عليها لم تضرك معصية، ولم توبقك ثنا لذة. قال: هات يا أبا إسحاق!
قال أما الأولى فإذا أردت أن تعصي الله عز وجل فلا تأكل رزقه
قال فمن أين آكل وكل ما في الأرض من رزقه
قال له يا هذا أفيحسن أن تأكل رزقه وتعصيه قال لا
هات الثانية
قال وإذا أردت أن تعصيه فلا تسكن شيئا من بلاده
قال الرجل هذه أعظم من الأولى يا هذا إذا كان المشرق والمغرب وما بينهما له فأين أسكن
قال يا هذا أفيحسن أن تأكل رزقه وتسكن بلاده وتعصيه
قال لا
هات الثالثة
قال إذا أردت أن تعصيه وأنت تحت رزقه وفي بلاده فانظر موضعا لا يراك فيه مبارزا له فاعصه فيه
قال يا إبراهيم كيف هذا وهو مطلع على ما في السرائر
قال يا هذا أفيحسن أن تأكل رزقه وتسكن بلاده وتعصيه وهو يراك ويرى ما تجاهره به
قال لا
هات الرابعة
قال إذا جاءك ملك الموت ليقبض روحك فقل له أخرني حتى أتوب توبة نصوحا وأعمل لله عملا صالحا
قال لا يقبل مني
قال يا هذا فأنت إذا لم تقدر أن تدفع عنك الموت لتتوب وتعلم أنه إذا جاء لم يكن له تأخير فكيف ترجو وجه الخلاص
قال هات الخامسة
قال إذا جاءتك الزبانية يوم القيامة ليأخذونك إلى النار فلا تذهب معهم
قال لا يدعونني ولا يقبلون مني قال فكيف ترجو النجاة إذا
قال له يا إبراهيم حسبي حسبي أنا أستغفر الله وأتوب إليه
ولزمه في العبادة حتى فرق الموت بينهما
সূত্র: কিতাবুত তাওয়াবীন (ইবনে সুদামা রহ.) পৃ: ২৮৫-২৮৬ ঘটনা নং-১১৯
রওযায়ে আতহারে ইবরাহীম বিন আদহাম রহ.
رخسار سے برقع کا ذرا پردہ اٹھا دو
للہ مجھے حسن خداداد دکھادو
اے بحر کرم صدقہ حسین بن علی کا
پیاسا ہوں مجھے شربت دیدار پلا دو
میں دور ہوں مجبور ہوں آے سید عالم
دیدار دکھاتے نہیں آواز سنادو
دنیا کی بھی اور دین کی بھی اپنے کرم سے
بگڑی ہوئی باتوں کو مری آج بنا دو
کاتب سے مرے نامہ اعمال منگا کر
جتنے عمل زشت ہیں ان سب کو مٹا دو
جو لوگ کہ کہلاتے ہیں سگ تیری گلی کے
ان لوگوں کے دفتر میں مرا نام لکھا دو
হাউজে কাউসারের পরিচয়!
হাউজে কাউসারের কোথায় অবস্থিত?
নবীজি সা. বলেন,
وَمِنْبَرِي عَلَى حَوْضِي
অর্থাৎ আর আমার মিম্বার আমার (কাওসার নামক) হাওযের উপরে অবস্থিত।
সূত্র: সহিহ মুসলিম হাদিস: ১৩৯১
অর্থাৎ কিয়ামতের দিন নবীজি সা. কে যে মিম্বারে আসীন করা হবে, তার নিচেই হাউযে কাউসার অবস্থিত।
হাউযে কাউসারের পরিচয়।
জান্নাতের নহর থেকে হাউযে পানি আসবে।
أعْطاني الكَوثَرَ فهو نَهَرٌ مِن الجَنَّةِ يَسيلُ في حَوْضي
অর্থাৎ আল্লাহ তা’য়ালা আমাকে কাউসার দান করেছেন। কাউসার হলো, এমন একটি নদী যেখানে জান্নাত থেকে পানি প্রবাহিত হবে।
সূত্র: মুসনাদে আহমাদ হাদিস: ২৩৩৩৬
নালা দুটো হবে স্বর্ণ আর রুপার
يَغُتُّ فِيهِ مِيزَابَانِ يَمُدَّانِهِ مِنَ الْجَنَّةِ أَحَدُهُمَا مِنْ ذَهَبٍ وَالآخَرُ مِنْ وَرِقٍ
অর্থাৎ জান্নাত থেকে প্রবাহিত দু’টো নালা দিয়ে সে হাওযের মাঝে পানি আসতে থাকবে। তার একটি (নালা) সোনার এবং অপরটি রূপার।
সূত্র: সহিহ মুসলিম হাদিস: ২৩০১
দু’পাশ মুক্তার
حافَتاهُ قِبابُ اللُّؤْلُؤِ مُجَوَّفًا
অর্থাৎ যার দু তীর ছিল মুক্তার খালি গম্বুজে পরিপূর্ণ,
সূত্র: সহিহ বুখারী হাদিস: ৪৯৬৪
লম্বা কত?
حَوْضِي مَسِيرَةُ شَهْرٍ
অর্থ: আমার হাউযের প্রশস্ততা (বাহন প্রাণীর) এক মাসের পথের সমান।
সূত্র: সহিহ বুখারী হাদিস: ৬৫৭৯
দৈর্ঘ্য কত?
عَرْضُهُ مِثْلُ طُولِهِ
অর্থাৎ সে হাওযের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ সমান হবে।
মুসলিম: ২৩০০
দুই কিনারা
حَافَّتَاهُ مِنْ ذَهَبٍ
অর্থাৎ যার প্রত্যেক তীর সোনার।
সূত্র: জামে তিরমিযি হাদিস: ৩৩৬১
মাটি
وَمَجْرَاهُ عَلَى الدُّرِّ وَالْيَاقُوتِ
অর্থাৎ এবং যার পানি মুক্তা ও ইয়াকুতের উপর দিয়ে প্রবাহমান।
সূত্র: জামে তিরমিযি হাদিস: ৩৩৬১
تُرْبَتُهُ أَطْيَبُ مِنَ الْمِسْكِ
অর্থাৎ এর যমীন কস্তুরীর তুলনায় অধিক সুগন্ধসম্পন্ন,
সূত্র: জামে তিরমিযি হাদিস: ৩৩৬১
পাত্র:
পাত্রগুলো হবে জান্নাতের
آنِيَةُ الْجَنَّةِ
অর্থাৎ সে সব পাত্র জান্নাতেরই পাত্র।
মুসলিম: ২৩০০
পাত্র হবে স্বর্ণণ ও রুপার
تُرَى فِيهِ أَبَارِيقُ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ
অর্থাৎ হাওযে কাউসারে কাছে স্বর্ণ ও রূপার পানপাত্র দেখতে পাবে।
সূত্র: সহীহ মুসলিম হাদিস: ২৩০৩
পাত্রের সংখ্যা:
وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لآنِيَتُهُ أَكْثَرُ مِنْ عَدَدِ نُجُومِ السَّمَاءِ وَكَوَاكِبِهَا أَلاَ فِي اللَّيْلَةِ الْمُظْلِمَةِ الْمُصْحِيَةِ
অর্থ: যার কবজায় আমার জীবন তার শপথ! সে হাওযের পাত্র মেঘবিহীন আঁধার রাতের আকাশের নক্ষত্র ও তারকারাজির চাইতেও বেশী।
সূত্র: মুসলিম:২৩০০
পানির শুভ্রতা:
مَاؤُهُ أَبْيَضُ مِنْ اللَّبَنِ
অর্থ: তার পানি দুধের চেয়ে সাদা,
সূত্র: সহিহ বুখারী হাদিস: ৬৫৭৯
وَأَبْيَضُ مِنَ الثَّلْجِ
এবং বরফের তুলনায় অধিক সাদা।
সূত্র: জামে তিরমিযি হাদিস: ৩৩৬১
পানির ঘ্রাণ:
وَرِيحُهُ أَطْيَبُ مِنْ الْمِسْكِ
অর্থ: তার ঘ্রাণ মিশক-এর চেয়ে বেশি সুগন্ধযুক্ত
সূত্র: সহিহ বুখারী হাদিস: ৬৫৭৯
পানির স্বাদ
وَمَاؤُهُ أَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ
এর পানি মধুর তুলনায় অধিক মিষ্ট
সূত্র: জামে তিরমিযি হাদিস: ৩৩৬১
পানি কারা পান করবে?
নবীজি সা. বলেন, আল্লাহ ওয়াদা করেছেন,
هو حَوْضٌ تَرِدُ عليه أُمَّتي يَومَ القِيامَةِ
অর্থাৎ সেটা এমন হাউয যেখানে আমার উম্মতগণ কিয়ামতের দিন উপস্থিত হবে।
আবু দাউদ: ৪০০
পান করতে আসার সময় উম্মতের অবস্থা।
فَإِنَّهُمْ يَأْتُونَ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنَ الْوُضُوءِ وَأَنَا فَرَطُهُمْ عَلَى الْحَوْضِ
অর্থাৎ তারা (আমার উম্মত) সেদিন এমন অবস্থা আসবে যে, ওযুর ফলে তাদের মুখমণ্ডল, হাত-পা জ্যোতির্ময় হবে। আর হাওযের পাড়ে আমি হব তাদের অগ্রনায়ক।
মুসলিম: ২৪৯
যারা পান করবে তারা আরও সতেজ
قَالَ عُمَرُ إِنَّ هَذِهِ لَنَاعِمَةٌ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَكَلَتُهَا أَنْعَمُ مِنْهَا
অর্থাৎ উমর রা. বলেন, তাহলে তো এগুলো সতেজ হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যারা এগুলো আহার করবে, তারা আরো সুন্দর ও সুখী হবে।
সূত্র: জামে তিরিমিযি হাদিস: ২৫৪২
তৃষ্ণা নিবারণ:
مَنْ شَرِبَ مِنْهَا فَلاَ يَظْمَأُ أَبَدًا
অর্থ: তাত্থেকে যে পান করবে সে আর কক্ষনো পিপাসার্ত হবে না।
সূত্র: সহিহ বুখারী হাদিস: ৬৫৭৯
কাফেরদের অবস্থা:
নবীজি সা. বলেন,
إن أهل النار إذا دخلوا النار بكوا الدموع زمانا ثم بكوا القيح زمان فيقول لهم الخزنة يا معشر الأشقياء تركتم البكاء في الدار المرحوم فيها أهلها وتبكون في الدار التي لا يرحم أهلها هل تجدون اليوم من تستغيثون به قال فيرفعون أصواتهم
অর্থাৎ জাহান্নামীরা যখন জাহান্নামে প্রবেশ করবে, সেখানে দীর্ঘকাল অশ্রুসিক্ত হয়ে কাঁদবে, এরপর দীর্ঘকাল কাঁদবে (অশ্রুর পরিবর্তে) রক্তপুঁজ বের হবে। অতপর জাহান্নামের প্রহরী ফিরিস্তা বলবেন, হে দুর্ভাগারা, এমন দুনিয়ায় কাঁদোনি যেখানে অনেকে তোমাদেরকে সাহায্য করতে পারতো, অথচ এমন জায়গায় কাঁদছো যেখানে তোমাদের কেউ সাহায্য করবে না। তোমরা কি আজ এমন কাউকে পাবে যারা তোমাদেরকে সাহায্য করবে? অতপর তারা আরও উচ্চস্বরে কাঁদবে।
সূত্র: আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ খ: ২০ পৃ: ১৭৯ ইবনে কাসীর খ: ৭ পৃ: ২৫৬ মাযহারী খ: ৩ পৃ: ৩৬
জাহান্নামীরা জান্নাতী আপন মানুষগুলোকে ডাকবে,
وَنَادَى أَصْحَابُ النَّارِ أَصْحَابَ الْجَنَّةِ أَنْ أَفِيضُواْ عَلَيْنَا مِنَ الْمَاء أَوْ مِمَّا رَزَقَكُمُ اللّهُ
অর্থ: দোযখীরা জান্নাতীদেরকে ডেকে বলবেঃ আমাদের উপর সামান্য পানি নিক্ষেপ কর অথবা আল্লাহ তোমাদেরকে যে রুযী দিয়েছেন, তা থেকেই কিছু দাও।
সুরা আরাফ আয়াত: ৫০
হযরত ইবনে আব্বাস রা. বলেন, জাহান্নামীরা আল্লাহর কাছে বলতে থাকবে,
يَا رَبِّ إِنَّ لَنَا قَرَابَاتٍ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَأْذَنْ لَنَا حَتَّى نَرَاهُمْ وَنُكَلِّمَهُمْ فَيَنْظُرُوا إِلَى قَرَابَتِهِمْ فِي الْجَنَّةِ وَمَا هُمْ فِيهِ مِنَ النَّعِيمِ فَيَعْرِفُونَهُمْ
হে রব, জান্নাতে আমাদের অনেক আপন মানুষ রয়েছে, তাদের সাথে কথা বলা ও সাক্ষাতের অনুমতি দেন। এরপর তারা তাদের নিকটাত্মীয় জান্নাতীদের দিকে এবং তাদের প্রাপ্ত নিয়ামতের দিকে তাকাবে এবং তাদেরকে চিনতে পারবে।
সূত্র: তাফসীরে বগবী খ: ৩ পৃ: ২৩৫
فَيُنَادِي أَصْحَابُ النَّارِ أَصْحَابَ الْجَنَّةِ بِأَسْمَائِهِمْ وَأَخْبَرُوهُمْ بِقَرَابَاتِهِمْ
অর্থাৎ জাহান্নামীরা জান্নাতীদের নাম ধরে ডাকতে থাকবে এবং তাদের আত্মীয়তার বিষয়ে অবগত করবে।
সূত্র: তাফসীরে বগবী খ: ৩ পৃ: ২৩৫
এবং তারা ডেকে বলতে থাকবে,
يا أهل الجنة يا معشر الآباء والأمهات والأولاد خرجنا من القبور عِطاشًا وكنا طول الموقف عطاشا ونحن اليوم في النار عطاش
অর্থাৎ হে জান্নাতীরা, হে বাবা,মা,সন্তানেরা, আমরা কবর থেকে পিপাসিত অবস্থায় বের হয়েছিলাম, এবং দীর্ঘ কাল পিপাসিত অবস্থায় অবস্থান করেছি,আজও জাহান্নামে পিপাসিত হয়ে আছি,
ইবনে আব্বাস রা. বলেন,
ينادى الرجل أخاه فيقول يا أخي أغثني فانى قد أحرقت فيقول ان الله حرمهما على الكفرين
অর্থাৎ জাহান্নামী লোকটি তার ভাইকে ডেকে বলবে, হে ভাই, আমি আগুনে দগ্ধ হয়ে গেছি।
فأفيضوا علينا من الماء أو مما رزقكم الله قال فيدعون أربعين سنة لا يجيبهم أحد
অর্থাৎ আমাদেরকে পানি দেন, অথবা আল্লাহর দেয়া খাদ্য দেন। এভাবে ৪০ বছর পর্যন্ত ডাকবে, কিন্তু তারা কেউ জবাব দেবে না।
সূত্র: আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ খ: ২০ পৃ: ১৭৯ ইবনে কাসীর খ: ৭ পৃ: ২৫৬ মাযহারী খ: ৩ পৃ: ৩৫৮
কারণ চিনবে না
وَ مَنۡ خَفَّتۡ مَوَازِیۡنُهٗ فَاُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ خَسِرُوۡۤا اَنۡفُسَهُمۡ فِیۡ جَهَنَّمَ خٰلِدُوۡنَ تَلۡفَحُ وُجُوۡهَهُمُ النَّارُ وَ هُمۡ فِیۡهَا کٰلِحُوۡنَ
অর্থাৎ এবং যাদের পাল্লা হাল্কা হবে তারাই নিজেদের ক্ষতিসাধন করেছে, তারা দোযখেই চিরকাল বসবাস করবে, আগুন তাদের মুখমন্ডল দগ্ধ করবে এবং তারা তাতে বীভৎস আকার ধারন করবে।
সুরা মুমিনুন আয়াত: ১০৩-৪
নবীজি সা. বলেন,
تَشْوِيهِ النَّارُ فَتَقَلَّصُ شَفَتُهُ الْعُلْيَا حَتَّى تَبْلُغَ وَسَطَ رَأْسِهِ وَتَسْتَرْخِي شَفَتُهُ السُّفْلَى حَتَّى تَضْرِبَ سُرَّتَهُ
অর্থাৎ তাদের মুখমণ্ডল অগ্নিদগ্ধ হবে, উপরের ঠোট কুঞ্চিত হয়ে মাথার মাঝখানে এসে যাবে এবং নীচের ঠোট নাভীর সাথে আছাড় খাবে।
সূত্র: জামে তিরমিযি হাদিস: ২৫৮৭
وَلَمْ يَعْرِفْهُمْ أَهْلُ الْجَنَّةِ لِسَوَادِ وُجُوهِهِمْ
অর্থাৎ জান্নাতীরা জাহান্নামীদেরকে চিনতেই পারবে না, তাদের চেহারা কালো হয়ে যাওয়ার কারণে।
সূত্র: তাফসীরে বগবী খ: ৩ পৃ: ২৩৫
قَالُواْ إِنَّ اللّهَ حَرَّمَهُمَا عَلَى الْكَافِرِينَ
অর্থাৎ তারা বলবেঃ আল্লাহ এই উভয় বস্তু কাফেরদের জন্যে নিষিদ্ধ করেছেন।
সুরা: আরাফ আয়াত:৫০
وَإِن يَسْتَغِيثُوا يُغَاثُوا بِمَاء كَالْمُهْلِ
অর্থাৎ যদি তারা পানীয় প্রার্থনা করে, তবে পুঁজের ন্যায় পানীয় দেয়া হবে
সুরা কাহাফ আয়াত: ২৯
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ,
يُقَرَّبُ إِلَى فِيهِ فَيَكْرَهُهُ
অর্থাৎ পুঁজ যখন তার মুখের নিকটে নিয়ে আসা হবে সে তা অপছন্দ করবে।
সূত্র: জামে তিরিমযি হাদিস: ২৫৮৩
আল্লাহ তা’য়ালা বলেন,
فَإِذَا أُدْنِيَ مِنْهُ
অর্থাৎ তারপর যখন আরো নিকটে নিয়ে আসা হবে।
সূত্র: জামে তিরিমযি হাদিস: ২৫৮৩
يَشْوِي الْوُجُوهَ بِئْسَ الشَّرَابُ وَسَاءتْ مُرْتَفَقًا
অর্থাৎ যা তাদের মুখমন্ডল দগ্ধ করবে। কত নিকৃষ্ট পানীয় এবং খুবই মন্দ আশ্রয়।
সুরা কাহাফ আয়াত: ২৯
وَوَقَعَتْ فَرْوَةُ رَأْسِهِ
অর্থাৎ এবং মাথার চামড়া গলে পড়ে যাবে।
সূত্র: জামে তিরিমযি হাদিস: ২৫৮৩
এরপর যখন বাধ্য হয়ে খেতে যাবে-
وَيُسْقَى مِن مَّاء صَدِيدٍ يَتَجَرَّعُهُ وَلاَ يَكَادُ يُسِيغُهُ وَيَأْتِيهِ الْمَوْتُ مِن كُلِّ مَكَانٍ وَمَا هُوَ بِمَيِّتٍ وَمِن وَرَآئِهِ عَذَابٌ غَلِيظٌ
অর্থাৎ তাতে পূঁজ মিশানো পানি পান করানো হবে।
ঢোক গিলে তা পান করবে। এবং গলার ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না। প্রতি দিক থেকে তার কাছে মৃত্যু আগমন করবে এবং সে মরবে না। তার পশ্চাতেও রয়েছে কঠোর আযাব।
সুরা ইবরাহীম আয়াত: ১৬-১৭
যখন খাওয়ানো হবে-
وَسُقُوا مَاء حَمِيمًا
অর্থ: যাদেরকে পান করতে দেয়া হবে ফুটন্ত পানি।
সুরা মুহাম্মাদ আয়াত: ১৫
فَإِذَا شَرِبَهُ قَطَّعَ أَمْعَاءَهُ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْ دُبُرِهِ
অর্থাৎ তারপর সে যখন তা পান করবে তখন তা তার নাড়িভুড়ি গলিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দিবে এবং তা মলদ্বার দিয়ে বেরিয়ে যাবে।
সূত্র: জামে তিরিমযি হাদিস: ২৫৮৩
আরেকটি হাদিসে এসেছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ الْحَمِيمَ لَيُصَبُّ عَلَى رُءُوسِهِمْ فَيَنْفُذُ الْحَمِيمُ حَتَّى يَخْلُصَ إِلَى جَوْفِهِ فَيَسْلِتَ مَا فِي جَوْفِهِ حَتَّى يَمْرُقَ مِنْ قَدَمَيْهِ وَهُوَ الصَّهْرُ ثُمَّ يُعَادُ كَمَا كَانَ
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রা. সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, তাদের (জাহান্নামীদের) মাথার তীব্র গরম পানি ঢেলে দেওয়া হবে। ভীষণ গরম পানি তার সর্বত্র প্রবিষ্ট হবে। এমনকি তার পেটের ভিতরেও গিয়ে পৌঁছবে। এরপর তার পেটের নাড়ি-ভূঁড়ি যা কিছু আছে সব গলিয়ে পায়ের দিক থেকে বের করে দিবে। তারপর তা আবার আগের মত হয়ে যাবে।
সূত্র: জামে তিরিমযি হাদিস: ২৫৮৩
ثم يجيبهم مالك إنكم ماكثون قال فييأسون من كل خير
অতপর মালেক ফিরিস্তা ডেকে বলবেন, তোমরা এখানেই থাকবে (আজীবন)। নবীজি সা. বলেন, অতপর তারা সমস্ত মঙ্গল থেকে নৈরাশ হয়ে যাবে।
সূত্র: আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ খ: ২০ পৃ: ১৭৯ ইবনে কাসীর খ: ৭ পৃ: ২৫৬ মাযহারী খ: ৩ পৃ: ৩৫৮
সালাবা আনসারী রা. এর তওবা:
অর্থাৎ জনৈক আনসারী যুবক যার নাম সা’লাবা ইবনে আব্দুর রহমান। মুসলমান হয়েছিলেন এবং তিনি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খেদমত করতেন। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে কোন একটা প্রয়োজনে কোথাও পাঠালেন। তিনি একজন আনসার এর ঘরের পাশদিয়ে অতিক্রম করতেছিলেন। হঠাৎ সেই ঘরের আনসারী মহিলাকে গোসল করতে দেখতে পেলেন।
فكرر إليها النظر
তখন তিনি বারবার সেই মহিলার দিকে তাকাতে লাগলেন।
وخاف أن ينزل الوحي على رسول الله صلى الله عليه وسلم
এমতাবস্থায় আশংকা করলেন যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর ওহী নাজিল হতে পারে। আর সে কারণেই তিনি
فخرج هاربا على وجهه فأتى جبالا بين مكة والمدنية فولجها ففقده رسول الله صلى الله عليه وسلم أربعين يوما وهي الأيام التي قالوا ودعه ربه وقلى
তার সম্মুখে চলতে লাগলেন, চলতে চলতে মক্কা এবং মদিনায় মাঝে একটি পাহাড়ের কাছে আসলেন এবং সেখানেই করলেন। অতঃপর নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ৪০ দিন পর্যন্ত খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এবং সেটা ঐ সময় ছিল যখন মক্কার কাফেররা “মোহাম্মদকে তার প্রভু ভুলে গিয়েছে এবং ছেড়ে দিয়েছে।” বলতো। (অর্থাৎ আইয়ামে ফাতরাতে ওহী” বলা হতো। তথা ওহী বন্ধের সময়)।
অতঃপর জিবরাইল আমীন আলাইহিস সালাম আসলেন এবং নবীকে বললেন,
يا محمد إن ربك يقرئك السلام ويقول إن الهارب من أمتك بين هذه الجبال يتعوذ بي من ناري
অর্থাৎ হে মুহাম্মাদ, আল্লাহ তা’য়ালা আপনাকে সালাম জানিয়েছেন এবং আল্লাহ বললেন আপনার উম্মতের মাঝে পালায়ন কারী ব্যক্তি এই পাহাড়ের মাঝে অবস্থানরত সে আমার কাছে আমার আগুন থেকে পানাহ চায়।
অতপর রসুল সাঃ বললেন, হে ওমর, হে সালমান, তোমরা দুইজন যাও এবং সা’লাবাকে নিয়ে আসো।অতপর তারা দুজন মদিনার পার্শে (খুঁজতে)বের হলেন। অতপর মদিনার একজন রাখালের সাথে তাদের সাক্ষাৎ হলো যার নাম, “দাফাফাহ”। অতপর ওমর রা. বললেন, হে দাফাফাহ, তুমি কি এই পাহাড়ে মাঝে অবস্থানরত কোন যুবকের খবর বলতে পারবে!?
অতঃপর দাফাফাহ ওমর রা. কে বললেনন,
لعلك تريد الهارب من جهنم
অর্থাৎ সম্ভবত তুমি ঐযুবকের কথা বলতেছো যে জাহান্নাম থেকে পালায়নকারী!
ওমর রা. তাকে জিজ্ঞাসা করলেন,
وما علمك أنه هارب من جهنم قال لأنه
আপনি কি ভাবে জানেন সে জাহান্নাম থেকে পালায়নকারী?
তিনি বললেনন, কেননা সে
إذا كان في جوف الليل خرج علينا من هذه الجبال واضعا يده على أم رأسه وهو يقول ليتك قبضت روحي في الأرواح وجسدي في الأجساد ولم تجردني لفصل القضاء
প্রতিদিন রাত গভীর হলে পাহাড় থেকে বের হয়ে আসে এবং তাঁর মাথার উপর হাত রেখে একথা বলতে থাকে, “হায় আফসোস! হে আল্লাহ যদি আপনি আমার রুহ কবজ করে রুহের সাথে মিলিয়ে দিতেন আর শরিরকে যদি শরিরের মাঝে মিশে যেত, তাহলে তো আপনি আর আমাকে বিচারের জন্য টেনে হিঁচড়ে হাজির করতেন না।”
অতঃপর ওমর রাঃ প্রত্যুষে তার কাছে হাজির হলেন এবং তার সাথে আলিঙ্গন করলেন এবং বলতে লাগলেন,
الأمان الأمان الخلاص من النار
অর্থাৎ নিরাপত্তা, নিরাপত্তা, জাহান্নাম থেকে মুক্তি!
ওমর রা. তাঁকে বললেন, আমি ওমর ইবনে খাত্তাব।
অতপর তিনি বললেন.. হে ওমর! রাসুলুল্লাহ সা. দ কি (আমার বিষয়) জেনে গেছেন?
ওমর রাঃ বললেন, আমি সেটা জানি না,
إلا أنه ذكرك بالأمس فبكى رسول الله صلى الله عليه وسلم فأرسلني أنا وسلمان في طلبك
তবে গতকাল তিনি তোমাকে নিয়ে আলোচনা করছিলেন এবং কেঁদে ফেলেছিলেন। অতঃপর আমাকে আর সালমানকে তোমার তালাশে পাঠিয়েছেন।
অতপর তিনি ওমর রা. কে বললেন, (হে উমর) আমাকে নবীজির সা. সামনে এমন সময় হাজির করবেন, যখন তিনি নামাজরত থাকবেন অথবা বেলাল রা. ইকামাত দিবেন। ওমর রাঃ বললেন হ্যাঁ আমি সেটাই করবো।
অতঃপর তাঁরা তাকে নিয়ে মদিনার দিকে চললেন এবং রাসুলুল্লাহ সা. কে ফজরের নামাজরত অবস্থায় পেলেন।
হযরত ওমর রাঃ এবং সালমান ফারসি রাঃ দ্রুত কাতারে শামিল হয়ে গেলেন, তবে সা’লাবা রাঃ
فما سمع قراءة رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى خر مغشيا عليه
রাসুল সাঃএর কিরাত শুনতে না শুনতেই বেহুশ হয়ে পড়ে গেলেন। নবী সা. নামাজের সালাম শেষে বললেন, হে ওমর, হে সালমান, সা’লাবা ইবনে আব্দুর রহমান কি করছে (দেখো তো)।
তাঁরা জবাব দিলেন হে আল্লাহর রাসুল, এই সেই সা’লাবা। অতঃপর রাসুল সা. সা’লাবা রা. কে বললেন, হে সা’লাবা,
يا ثعلبةُ ما غيَّبَك عنِّي
আমার থেকে কিসে তোমাকে দূরে সরিয়েছিল?
তিনি বললেন,
ذنبي يا رسولَ اللهِ
একমাত্র আমার গুনাহ হে আল্লাহর রাসুল,
নবীজি সা. বললেন, আমি কি তোমাকে এমন বস্তু শিখিয়ে দেবো, যা সকল গোনাহ এবং ত্রুটিকে মিটিয়ে দেবে?
তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, হ্যাঁ। অবশ্যই।
রাসুল সাঃ বললেন.. তুমি বলো..
اللهم آتِنَا فِى الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِى الْءَاخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
অর্থঃ হে পরওয়ারদেগার! আমাদিগকে দুনয়াতেও কল্যাণ দান কর এবং আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাদিগকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা কর।
সুরাঃ বাকারা আয়াত: ২০১
তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল,
قال ذنبي أعظم يا رسول الله
আমার গোনাহ তো আরও অনেক বড়! নবিজি সা. বললেন,
بل كلام الله أعظم
বরং আল্লাহর কালাম সব চেয়ে বড়। অতঃপর তাঁকে বাড়ি নিয়ে যেতে নির্দেশ করলেন।(তিনি বাড়িতে যাওয়ার পর) ৮দিন যাবত অসুস্থ হলেন।
অতঃপর হযরত সালমান রা. নবীজি সা. এর কাছে আসলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, আপনি সা’লাবা সম্পর্কে কিছু জেনেছেন? তিনি তো অসুস্থ হয়ে গেছে। ফলে রাসুল সা. তাঁকে বললেন, সা’লাবার কাছে আমাকে নিয়ে চলো।
অতঃপর নবীজি সা. তাঁর নিকট গেলেন এবং
أخذ رسول الله صلى الله عليه وسلم رأسه فوضعه في حجره
তাঁর মাথা ধরে নিজের কোলের ভিতর রাখলেন।কিন্তু সা’লাবা রা. তাঁর মাথাকে নবীজি সা. এর কোল থেকে সরিয়ে নিলেন!
নবীজি সা. তাঁকে বললেন,
لم أزلت رأسك عن حجري
তুমি তোমার মাথা আমার কোল থেকে সরিয়ে নিলে কেন?
তিনি জবাব দিলেন,
إنه من الذنوب ملآن
আমি গোনাহে ভর্তি(জর্জরিত)। রাসুল সা. তাঁকে বললেন, তুমি কি অনুভব করছো ?
তিনি বললেন, আমি অনুভব করছি,
أجد مثل دبيب النمل بين جلدي وعظمي
আমার চাঁমড়া এবং হাড্ডির মাঝে কেমন যেন পিঁপড়া বিড়বিড় করছে। রাসুল সাঃ বললেন,
قال فما تشتهى
তুমি কি চাও?(তোমার আকাংখা কি)? তিনি বললেনন,
قال مغفرة ربى
আমি আমার প্রভুর পক্ষ থেকে মাগফিরাত তথা ক্ষমা চাই।
বর্ণনাকারী বলেন,
فقال إن ربك يقرأ عليك السلام يقول لو أن عبدي هذا لقيني بقراب الأرض خطيئة لقيته بقرابها مغفرة
অতপর রাসুল সাঃএর উপর জিব্রাইল আ. অবতারণ করলেন এবং বললেন, অর্থাৎ আল্লাহ তা’য়ালা আপনাকে সালাম জানিয়েছেন এবং বলেছেন, যদি আমার এই বান্দা দুনিয়া পরিমান গোনাহ নিয়ে আমার সাক্ষাতে আসে, আমি সেই সমপরিমাণ ক্ষমা নিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করবো।
অতঃপর নবীজি সা. জিব্রাইলকে আ. বললেন, আমি কি এটা তাঁকে জানিয়ে দেবো? জিব্রাঈল আ. বললেন, অবশ্যই। তারপর নবীজি সা. তাঁকে বিষয়টি জানিয়ে দিলেন। শুনেই হঠাৎ
فصاح صيحة فمات
তিনি একটা চিৎকার দিয়ে ইন্তেকাল করলেন।
অতপর নবীজি সা. তার গোসল আর কাফনের জন্য নির্দেশ দিলেন।
فجعل رسول الله صلى الله عليه وسلم يمشي على أطراف أنامله
নবীজি সা. তাঁর আংগুলের উপরে ভর দিয়ে হাঁটতে লাগলেন, যার কারণে সাহাবায়ে কেরাম রা. জিজ্ঞাসা করলেন
فقالوا
يا رسول الله رأيناك تمشى على أطراف أناملك
হে আল্লাহর রাসুল, আমরা তো আপনাকে আঙ্গুলের মাথায় ভর দিয়েই হাটতে দেখছি। (কারণে কি)?
قال والذي بعثني بالحق ما قدرت أن أضع رجلي على الأرض من كثرة أجنحة لتشييعه من الملائكة
নবীজি সা. বললেন, ঐ আল্লাহর কসম, যিনি আমাকে সত্য দ্বীন দিয়ে পাঠিয়েছেন!
ফেরেস্তারা এতপরিমাণ ছড়িয়ে আছে যে, তাদের ডানার আধিক্যতার কারণে আমি আমার পা (পরিপূর্ণ ভাবে) ফেলতে সক্ষম হচ্ছি না।
সূত্র: মারিফাতুস সাহাবা (ইস্পাহানি রহ.) খ. ১ পৃ. ৪৯৮ হিলইয়াতুল আউলিয়া খ. ৯ পৃ. ৩২৯-৩৩১ কিতাবুত তাওয়াবীন (ইবনে কুদামা রহ.) পৃ. ১০৬-১০৭ তানযীহুশ শরীয়াহ খ: ২ পৃ: ২৮৩ আসাদুল গায়াহ (ইবনুল আসীর) খ. ১ পৃ. ২৪২
তুমি যদি মাফ না করো
কেউ কাফন কিনতে যাবে
কার কাফন তৈরি
বাবার সামনে সন্তানের লাশ
বাবার কাধে সন্তানের লাশ
ভয় পেয়েছিলাম
তুই মরিলে কান্দিবে কয়জন, ওরে মন, তুই মরিলে কান্দিবে কয়জন?
যখন আন্ধার ঘরে শোয়াইবে, মাটির দেহ মাটি খাবে, একদিন তোরে ভুলবে আপনজন।
ভাই বন্ধু আপন যারা, কিছুদিন কান্দিবে তারা,
এই দুনিয়ার কোলাহলে, সবাই একদিন যাবে ভুলে।
ছিন্ন হবে মায়ারই বাঁধন।
নিশান বিড়ি কোম্পানীর মালিক
ঘুঘু মুন্সির লাশ
বাসের ড্রাইভার
کیسے کیسے تاجدارِ الخ
ছোট বেলার ঘর কত হাস্যকর!
কাগজের ঘর
যাদুর টাকা
وَمَا ٱلۡحَیَوٰةُ ٱلدُّنۡیَاۤ إِلَّا مَتَاعُ ٱلۡغُرُورِ
লোভে পাপ পাপে মৃত্যু
মোবাইল,ল্যাপটপ ইত্যাদীর গ্যারান্টি আছে জিবনের নাই
كُلُّ نَفۡسࣲ ذَاۤئقَةُ ٱلۡمَوۡتِۗ
ইবনে আব্বাস রা. বলেন,
أنَّهُ تَعالى خَلَقَ المَوْتَ في صُورَةِ كَبْشٍ أمْلَحَ لا يَمُرُّ بِشَيْءٍ إلّا ماتَ
চোখের পলকে তুমি হতে পারো লাশ, চিরতরে বন্ধ হবে তোমারই নিশ্বাস। হবে এলান তোমারি নাম মসজিদের মাইকে বাড়িওয়ালা নাইরে বাড়ি নাইরে দুনিয়াতে
তোমার ভয়ে থাকতো মানুষ ছিল বাহাদুরি,
ভাবোনি হাওয়ায় উড়া তুমি যে রঙিন ঘুড়ি,
সুতোয় টান দিলে মালিক পারবে না থাকিতে
تَبَارَكَ ٱلَّذِی بِیَدِهِ ٱلۡمُلۡكُ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَیۡءࣲ قَدِیرٌ ٱلَّذِی خَلَقَ ٱلۡمَوۡتَ وَٱلۡحَیَوٰةَ لِیَبۡلُوَكُمۡ أَیُّكُمۡ أَحۡسَنُ عَمَلࣰاۚ وَهُوَ ٱلۡعَزِیزُ ٱلۡغَفُورُ
মৃত্যু কেন আগে?
قُلۡ مَتَاعُ ٱلدُّنۡیَا قَلِیلࣱ وَٱلۡاخِرَةُ خَیۡرࣱ لِّمَنِ ٱتَّقَىٰ وَلَا تُظۡلَمُونَ فَتِیلًا
والآخرة خير لك من الاولي
মাহমুদ গজনবী রহ.
দুনিয়াদার তো প্রেমিকা, বউ, বন্ধু, রাজত্ব পাবে, আখেরাত ওয়ালারা খোদদ আল্লাহকে পাবে।
إِنَّ ٱلَّذِینَ قَالُوا۟ رَبُّنَا ٱللَّهُ ثُمَّ ٱسۡتَقَـٰمُوا۟ تَتَنَزَّلُ عَلَیۡهِمُ ٱلۡمَلَـٰۤىِٕكَةُ أَلَّا تَخَافُوا۟ وَلَا تَحۡزَنُوا۟ وَأَبۡشِرُوا۟ بِٱلۡجَنَّةِ ٱلَّتِی كُنتُمۡ تُوعَدُونَ﴾ [فصلت ٣٠]
যিন্নিরা রা.
একদিন আবু জাহল তাঁকে বলল,
إن اللات والعزى فعلا بك ما ترين
فقالت له كلا والله لا تملك اللات والعزى نفعا ولا ضرا هذا أمر من السماء وربي قادر على أن يرد علي بصري
فأصبحت تلك الليلة وقد رد الله تعالى عليها بصرها
মৃত্যুর সময়
إِنَّ ٱلَّذِینَ قَالُوا۟ رَبُّنَا ٱللَّهُ ثُمَّ ٱسۡتَقَامُوا۟ فَلَا خَوۡفٌ عَلَیۡهِمۡ وَلَا هُمۡ یَحۡزَنُونَ أُو۟لئكَ أَصۡحَابُ ٱلۡجَنَّةِ خَالِدِینَ فِیهَا جَزَاۤءَۢ بِمَا كَانُوا۟ یَعۡمَلُونَ
عن عبدِ اللهِ بنِ عمرٍو إذا تَوفَّى اللَّهُ العبدَ المؤمنَ أرسلَ إليهِ ملكَينِ بخرقةٍ منَ الجنَّةِ وريحانٍ من ريحانِ الجنَّةِ فقالَ أيَّتُها النَّفسُ المطمئنَّةُ اخرجي إلى رَوحٍ ورَيحانٍ وربٍّ غيرِ غضبانَ اخرجي فنعمَ ما قدَّمتِ فتخرجُ كأطيبِ رائحةِ مسكٍ وجدَها أحدُكم بأنفِهِ وعلى أرجاءِ السَّماءِ ملائكةٌ يقولونَ
ফিরিস্তারা বলতে থাকবে,
سبحانَ اللَّهِ لقد جاءَ منَ الأرضِ اليومَ روحٌ طيِّبةٌ
فلا يمرُّ ببابٍ إلَّا فُتِحَ لهُ ولا ملكٍ إلَّا صلَّى عليهِ ويشفعُ حتَّى يُؤتَى بهِ إلى اللَّهِ عزَّ وجلَّ فتسجدُ الملائكةُ قبلَهُ ثمَّ يقولونَ ربَّنا هذا عبدُكَ فلانٌ توفَّيناهُ وأنتَ أعلمُ بهِ
فيقولُ مروهُ بالسُّجودِ فيسجدُ النَّسَمَةُ ثمَّ يُدعَى ميكائيلُ فيقالُ اجعل هذهِ النَّسَمَةَ معَ أنفُسِ المؤمنينَ حتَّى أسألَكَ عنها يومَ القيامةِ فيؤمَرُ بجسدِهِ فيوسِّعُ لهُ طولُهُ سبعونَ وعرضُهُ سبعونَ وينبتُ فيهِ الرَّيحانَ ويبسطُ لهُ الحريرَ فيهِ وإن كانَ معهُ شيءٌ منَ القرآنِ نوَّرَهُ وإلَّا جعلَ لهُ نورًا مثلَ نورِ الشَّمسِ ثمَّ يُفتَحُ لهُ بابٌ إلى الجنَّةِ فينظرُ إلى مقعدِهِ في الجنَّةِ بكرةً وعشيًّا
وإذا تَوفَّى اللَّهُ العبدَ الكافرَ أرسلَ إليهِ ملكَينِ وأرسلَ إليهِ بقطعةٍ بجادٍ أنتنُ من كلِّ نتنٍ وأخشنُ من كلِّ خشنٍ فقالَ أيَّتُها النَّفسُ الخبيثةُ اخرجي إلى جهنَّمَ وعذابٍ أليمٍ وربٍّ عليكِ ساخطٍ اخرجي فساءَ ما قدَّمتِ فتخرجُ كأنتنِ جيفةٍ وجدَها أحدُكم بأنفِهِ قطُّ وعلى أرجاءِ السَّماءِ ملائكةٌ يقولونَ سبحانَ اللَّهِ لقد جاءَ منَ الأرضِ جيفةٌ ونسمةٌ خبيثةٌ لا يُفتَحُ لهُ بابُ السَّماءِ فيؤمَرُ بجسدِهِ فيُضَيَّقُ عليهِ في القبرِ ويُملأُ حيَّاتٌ مثلُ أعناقِ البختِ تأكلُ لحمَهُ فلا يدعنَّ من عظامِهِ شيئًا ثمَّ يرسلُ عليهِ ملائكةٌ صمٌّ عميٌ معهم فطاطيسُ من حديدٍ لا يبصروهُ فيرحمونَهُ ولا يسمعونَ صوتَهُ فيرحمونهُ فيضربونهُ ويخبطونهُ ويفتحُ لهُ بابٌ من نارٍ فينظرُ إلى مقعدهِ منَ النَّارِ بكرةً وعشيَّةً يسألُ اللَّهَ أن يديمَ ذلكَ عليهِ فلا يصلُ إلى ما وراءهُ منَ النَّار
কালেমার বদৌলতে
إِنَّ لَكَ عِنْدَنَا حَسَنَةً فَإِنَّهُ لاَ ظُلْمَ عَلَيْكَ الْيَوْمَ
فَتَخْرُجُ بِطَاقَةٌ فِيهَا أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
فَيَقُولُ احْضُرْ وَزْنَكَ
فَيَقُولُ يَا رَبِّ مَا هَذِهِ الْبِطَاقَةُ مَعَ هَذِهِ السِّجِلاَّتِ
فَقَالَ إِنَّكَ لاَ تُظْلَمُ
قَالَ فَتُوضَعُ السِّجِلاَّتُ فِي كِفَّةٍ وَالْبِطَاقَةُ فِي كِفَّةٍ فَطَاشَتِ السِّجِلاَّتُ وَثَقُلَتِ الْبِطَاقَةُ فَلاَ يَثْقُلُ مَعَ اسْمِ اللَّهِ شَيْءٌ
তোমার সব কিছুর সময় হয়, রবের সময় দেওয়ার টাইম হয় না।
ইবরাহীম বিন আদহাম রহ.
মানুষ চার ভাগে বিভক্ত।
১. জন্মের সময় কাফেরের ঘরে, মৃত্যুর সময়ও কাফের হয়ে।
২. জন্মের সময় মুসলমানের ঘরে, মৃত্যুর সময়ও মুসলমান হয়ে।
৩. জন্মের সময় অমুসলিমের ঘরে, কিন্তু মৃত্যুর সময় মুসলমান হয়ে।
৪. জন্মের সময় মুসলমানের ঘরে, কিন্তু মৃত্যুর সময় বেঈমান হয়ে মারা যায়।
আমলনামা
فَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيرًا
فَأَمَّا مَنۡ أُوتِیَ كِتَـٰبَهُۥ بِیَمِینِهِۦ فَیَقُولُ هَاۤؤُمُ ٱقۡرَءُوا۟ كِتَـٰبِیَهۡ إِنِّی ظَنَنتُ أَنِّی مُلَاقٍ حِسَابِیَهۡ فَهُوَ فِی عِیشَةࣲ رَّاضِیَةࣲ
وَأَمَّا مَنۡ أُوتِیَ كِتَـٰبَهُۥ بِشِمَالِهِۦ فَیَقُولُ یَـٰلَیۡتَنِی لَمۡ أُوتَ كِتَابِیَهۡ وَلَمۡ أَدۡرِ مَا حِسَابِیَهۡ یَلَیۡتَهَا كَانَتِ ٱلۡقَاضِیَةَ مَاۤ أَغۡنَىٰ عَنِّی مَالِیَهۡۜ
وَأَمَّا مَنۡ أُوتِیَ كِتَابَهُۥ وَرَاۤءَ ظَهۡرِهِ فَسَوۡفَ یَدۡعُوا۟ ثُبُورࣰا وَیَصۡلَىٰ سَعِیرًا
أَيْ: بِشِمَالِهِ مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِهِ، تُثْنى يَدُهُ إِلَى وَرَائِهِ وَيُعْطَى كِتَابَهُ بِهَا كَذَلِكَ
নেককার বদকার
وَٱمۡتَازُوا۟ ٱلۡیَوۡمَ أَیُّهَا ٱلۡمُجۡرِمُونَ
ফায়সালা হওয়ার পর মানুষ ২ প্রকার হবে।
وَمَا نُؤَخِّرُهُۥۤ إِلَّا لِأَجَلࣲ مَّعۡدُودࣲ یَوۡمَ یَأۡتِ لَا تَكَلَّمُ نَفۡسٌ إِلَّا بِإِذۡنِهِ فَمِنۡهُمۡ شَقِیࣱّ وَسَعِیدࣱ فَأَمَّا ٱلَّذِینَ شَقُوا۟ فَفِی ٱلنَّارِ لَهُمۡ فِیهَا زَفِیرࣱ وَشَهِیقٌ
ইবরাহীম বিন আদহামের ৫টি নসিহত
জনৈক ব্যক্তি এসে বললেন, হে আবু ইসহাক,
إني مسرف على نفسي فاعرض علي ما يكون لها زاجرا ومستنقذا لقلبي
قال إن قبلت خمس خصال وقدرت عليها لم تضرك معصية، ولم توبقك ثنا لذة. قال: هات يا أبا إسحاق!
قال أما الأولى فإذا أردت أن تعصي الله عز وجل فلا تأكل رزقه
قال فمن أين آكل وكل ما في الأرض من رزقه
قال له يا هذا أفيحسن أن تأكل رزقه وتعصيه قال لا
هات الثانية
قال وإذا أردت أن تعصيه فلا تسكن شيئا من بلاده
قال الرجل هذه أعظم من الأولى يا هذا إذا كان المشرق والمغرب وما بينهما له فأين أسكن
قال يا هذا أفيحسن أن تأكل رزقه وتسكن بلاده وتعصيه
قال لا
هات الثالثة
قال إذا أردت أن تعصيه وأنت تحت رزقه وفي بلاده فانظر موضعا لا يراك فيه مبارزا له فاعصه فيه
قال يا إبراهيم كيف هذا وهو مطلع على ما في السرائر
قال يا هذا أفيحسن أن تأكل رزقه وتسكن بلاده وتعصيه وهو يراك ويرى ما تجاهره به
قال لا
هات الرابعة
قال إذا جاءك ملك الموت ليقبض روحك فقل له أخرني حتى أتوب توبة نصوحا وأعمل لله عملا صالحا
قال لا يقبل مني
قال يا هذا فأنت إذا لم تقدر أن تدفع عنك الموت لتتوب وتعلم أنه إذا جاء لم يكن له تأخير فكيف ترجو وجه الخلاص
قال هات الخامسة
قال إذا جاءتك الزبانية يوم القيامة ليأخذونك إلى النار فلا تذهب معهم
قال لا يدعونني ولا يقبلون مني قال فكيف ترجو النجاة إذا
قال له يا إبراهيم حسبي حسبي أنا أستغفر الله وأتوب إليه
ولزمه في العبادة حتى فرق الموت بينهما
রওযায়ে আতহারে ইবরাহীম বিন আদহাম রহ.
رخسار سے برقع کا ذرا پردہ اٹھا دو
للہ مجھے حسن خداداد دکھادو
اے بحر کرم صدقہ حسین بن علی کا
پیاسا ہوں مجھے شربت دیدار پلا دو
میں دور ہوں مجبور ہوں آے سید عالم
دیدار دکھاتے نہیں آواز سنادو
دنیا کی بھی اور دین کی بھی اپنے کرم سے
بگڑی ہوئی باتوں کو مری آج بنا دو
کاتب سے مرے نامہ اعمال منگا کر
جتنے عمل زشت ہیں ان سب کو مٹا دو
جو لوگ کہ کہلاتے ہیں سگ تیری گلی کے
ان لوگوں کے دفتر میں مرا نام لکھا دو
কাফেরদের অবস্থা:
অপরাধীরা কাদবে
إن أهل النار إذا دخلوا النار بكوا الدموع زمانا ثم بكوا القيح زمان فيقول لهم الخزنة يا معشر الأشقياء تركتم البكاء في الدار المرحوم فيها أهلها وتبكون في الدار التي لا يرحم أهلها هل تجدون اليوم من تستغيثون به قال فيرفعون أصواتهم
আপন মানুষগুলোকে ডাকবে,
وَنَادَى أَصْحَابُ النَّارِ أَصْحَابَ الْجَنَّةِ أَنْ أَفِيضُواْ عَلَيْنَا مِنَ الْمَاء أَوْ مِمَّا رَزَقَكُمُ الل
আল্লাহর কাছে বলতে থাকবে,
হযরত ইবনে আব্বাস রা. বলেন,
يَا رَبِّ إِنَّ لَنَا قَرَابَاتٍ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَأْذَنْ لَنَا حَتَّى نَرَاهُمْ وَنُكَلِّمَهُمْ فَيَنْظُرُوا إِلَى قَرَابَتِهِمْ فِي الْجَنَّةِ وَمَا هُمْ فِيهِ مِنَ النَّعِيمِ فَيَعْرِفُونَهُمْ
নাম ধরে ডাকবে
فَيُنَادِي أَصْحَابُ النَّارِ أَصْحَابَ الْجَنَّةِ بِأَسْمَائِهِمْ وَأَخْبَرُوهُمْ بِقَرَابَاتِهِمْ
يا أهل الجنة يا معشر الآباء والأمهات والأولاد خرجنا من القبور عِطاشًا وكنا طول الموقف عطاشا ونحن اليوم في النار عطاش
ইবনে আব্বাস রা. বলেন,
ينادى الرجل أخاه فيقول يا أخي أغثني فانى قد أحرقت فيقول ان الله حرمهما على الكفرين
فأفيضوا علينا من الماء أو مما رزقكم الله قال فيدعون أربعين سنة لا يجيبهم أحد
কারণ চিনবে না
وَ مَنۡ خَفَّتۡ مَوَازِیۡنُهٗ فَاُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ خَسِرُوۡۤا اَنۡفُسَهُمۡ فِیۡ جَهَنَّمَ خٰلِدُوۡنَ تَلۡفَحُ وُجُوۡهَهُمُ النَّارُ وَ هُمۡ فِیۡهَا کٰلِحُوۡنَ
নবীজি সা. বলেন,
تَشْوِيهِ النَّارُ فَتَقَلَّصُ شَفَتُهُ الْعُلْيَا حَتَّى تَبْلُغَ وَسَطَ رَأْسِهِ وَتَسْتَرْخِي شَفَتُهُ السُّفْلَى حَتَّى تَضْرِبَ سُرَّتَهُ
وَلَمْ يَعْرِفْهُمْ أَهْلُ الْجَنَّةِ لِسَوَادِ وُجُوهِهِمْ
قَالُواْ إِنَّ اللّهَ حَرَّمَهُمَا عَلَى الْكَافِرِينَ
পুঁজের ন্যায় পানী
وَإِن يَسْتَغِيثُوا يُغَاثُوا بِمَاء كَالْمُهْلِ
يُقَرَّبُ إِلَى فِيهِ فَيَكْرَهُهُ
فَإِذَا أُدْنِيَ مِنْهُ
يَشْوِي الْوُجُوهَ بِئْسَ الشَّرَابُ وَسَاءتْ مُرْتَفَقًا
মাথার চামড়া গলে পড়বে
وَوَقَعَتْ فَرْوَةُ رَأْسِهِ
পূঁজ মিশানো পানি বাধ্য হয়ে খাবে
وَيُسْقَى مِن مَّاء صَدِيدٍ يَتَجَرَّعُهُ وَلاَ يَكَادُ يُسِيغُهُ وَيَأْتِيهِ الْمَوْتُ مِن كُلِّ مَكَانٍ وَمَا هُوَ بِمَيِّتٍ وَمِن وَرَآئِهِ عَذَابٌ غَلِيظٌ
ফুটন্ত পানি।
وَسُقُوا مَاء حَمِيمًا
নাড়িভুড়ি ছিন্নভিন্ন
فَإِذَا شَرِبَهُ قَطَّعَ أَمْعَاءَهُ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْ دُبُرِهِ
মাথায় গরম পানি ঢেলে দেয়া হবে।
إِنَّ شَجَرَةَ الزَّقُّومِ طعام الاثيم كَالْمُهْلِ يَغْلِي فِي الْبُطُونِ كَغَلْيِ الْحَمِيمِ خُذُوهُ فَاعْتِلُوهُ إِلَى سَوَاء الْجَحِيمِ ثُمَّ صُبُّوا فَوْقَ رَأْسِهِ مِنْ عَذَابِ الْحَمِيمِ ذُقْ إِنَّكَ أَنتَ الْعَزِيزُ الْكَرِيمُ
হাদিসে এসেছে,
إِنَّ الْحَمِيمَ لَيُصَبُّ عَلَى رُءُوسِهِمْ فَيَنْفُذُ الْحَمِيمُ حَتَّى يَخْلُصَ إِلَى جَوْفِهِ فَيَسْلِتَ مَا فِي جَوْفِهِ حَتَّى يَمْرُقَ مِنْ قَدَمَيْهِ وَهُوَ الصَّهْرُ ثُمَّ يُعَادُ كَمَا كَانَ
মালেক ফিরিস্তা বলবেন,
ثم يجيبهم مالك إنكم ماكثون قال فييأسون من كل خير