মনে রাখতে হবে, রোযাদার ইফতার সময় কোন দোয়া করলে, সে দোয়া মহান রব ফিরিয়ে দেন না। এজন্য ইফতারির সময় খুব বেশি দোয়া,ইস্তেগফার করা উচিৎ।
১. ইফতারি সামনে রেখে দোয়া:
হাদিস শরীফে এসেছে,
كان ابنُ عمرو إذا أفطرَ يقولُ اللهمَّ إني أسألكَ برحمتكَ التي وَسِعَتْ كلَّ شيٍء أن تغفرَ لي ذنوبي
অর্থ: ইবনে আমর রা: যখন ইফতার করতেন, তখন বলতেন,
اللهمَّ إني أسألكَ برحمتكَ التي وَسِعَتْ كلَّ شيٍء أن تغفرَ لي ذنوبي
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিরহমাতিকাল্লাতি ওয়াসিআত কুল্লা শাই আন তাগফিরা লি যুনুবি।’
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে তোমার সেই রহমতের উসীলায় প্রার্থনা করছি যা সকল বস্ত্ততে পরিবেষ্টিত, তুমি আমাকে মাফ করে দাও।
সূত্র: ইবনে মাজা হাদিস-৩৪৫ তুহফাতুল মুহতাজ খ:২ পৃ:৯৭
২. আর ইফতার গ্রহণের সময়ের দোয়া,
হাদিস শরীফে এসেছে,
أنّ النبيَّ ﷺ كان إذا أفطر قال اللهم لك صمت وعلى رزقك أفطرت
অর্থ: নবিজি স: যখন ইফতার করতেন,তখন পড়তেন,
اللهم لك صمت وعلى رزقك أفطرت
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়ালা রিযকিকা আফতরতু।’
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার জন্যই রোযা রেখেছিলাম এবং তোমার রিযিক দ্বারাই ইফতার করলাম।
সূত্র: আবু দাউদ হাদীস-২৩৫৮
৩. ইফতারের পরের দোয়া:
হাদিস শরীফে এসেছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা: থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
كان رسول اللهِ ﷺ إذا أفطر قال ذهب الظَّمَأُ وابْتَلَّتِ العُرُوقُ وثَبَتَ الأَجْرُ إنْ شاءَ اللَّهُ
অর্থাৎ নবিজি স: যখন ইফতার (করা শেষ) করতেন তখন বলতেন,
ذهب الظَّمَأُ وابْتَلَّتِ العُرُوقُ وثَبَتَ الأَجْرُ إنْ شاءَ اللَّهُ
উচ্চারণ: যাহাবায যমাউ ওয়াব তাল্লাতিল উরুকু ওয়া ছাবাতাল আজরু ইনশাআল্লাহ।
অর্থ: পিপাসা দূর হল, শিরা-উপশিরা সতেজ হল আর আল্লাহ তাআলা চান তো রোযার সওয়াব লিপিবদ্ধ হল।
সূত্র: সুনানে আবু দাউদ হাদিস-২৩৫৭ দারাকুতনী খ:২ পৃ:৪০১,
মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস : ১৫৭৬
লেখক:
মুফতী রিজওয়ান রফিকী
পরিচালক- মাদরাসা মারকাযুন নূর বোর্ড বাজার,গাজীপুর।
আপনাদের উদ্দেশ্য আল্লাহ কবুল করুন।