মির্জা কাদিয়ানী সাহেব নিজের ক্ষেত্রে দাবি করেছেন যে, মহান আল্লাহ তাকে বলেছেন,
انت بمنزلة ولدي
অর্থাৎ তুমি (মির্জা কাদিয়ানী) আমার সন্তানের অবস্থানে আসীন।
সূত্র: হাকিকতুল ওহী পৃ: ৮৭ রুহানী খাযায়েন খ: ২২ পৃ: ৮৯
ইসলামের দাবি:
মহান আল্লাহ বলেন,
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
অর্থ: তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি।
সুরা ইখলাস আয়াত: ৩
উক্ত আয়াতে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হলো যে, আল্লাহর কোনো সন্তান নেই। এরপরও যেহেতু মির্জা কাদিয়ানী নিজেকে আল্লাহর পূত্রের স্থানে নিজেকে আসীন বলে দাবি করেছেন, সেহেতু-
১. এখানে দু পক্ষের এক পক্ষ মিথ্যুক হবে নিশ্চিত। তাহলে মিথ্যুক কে?
و من اصدق من الله قيلا
সুতরাং আল্লাহ তা’য়ালা যেহেতু মিথ্যা বলেন না, তাহলে বাকি থাকে এক পক্ষ সে হলো মির্জা, সেই মিথ্যুক।
২. মির্জা কাদিয়ানীর কথায় বুঝা গেল, তার বাবা আল্লাহ (নাউযুবিল্লাহ)। আর আল্লাহ বললেন, আমার কোনো সন্তান নেই, সুতরাং যদি কেউ কাউকে বাবা দাবি করে, আর সে যদি অস্বীকার করে বুঝা যাবে, সে হালালজাদা নয় পাক্কা হারামজাদা।
কেন নিজেকে সন্তান দাবি করলো?
খৃষ্টানরা ঈসা আ. কে আল্লাহর পূত্র বলে দাবি করতো। যা পবিত্র কুরআনে এসেছে,
وَقَالَتِ الْيَهُودُ عُزَيْرٌ ابْنُ اللّهِ وَقَالَتْ النَّصَارَى الْمَسِيحُ ابْنُ اللّهِ
অর্থ: ইহুদীরা বলে ওযাইর আল্লাহর পুত্র এবং নাসারারা বলে ‘মসীহ আল্লাহর পুত্র’।
সুরা তাওবা আয়াত: ৩০
বুঝা গেল, যারা আল্লাহর পূত্র আছে বলে দাবি করতো তারা ইয়াহুদী না হয় খৃষ্টান। সুতরাং একই দাবি যেহেতু মির্জা কাদিয়ানী করে বসলো, সুতরাং মির্জাও বেঈমান, তাকে যারা বেঈমান মনে করবে না, তারাও বেঈমান। প্রমান খোদ আল্লাহ তা’য়ালাই দিচ্ছেন,
ذَلِكَ قَوْلُهُم بِأَفْوَاهِهِمْ يُضَاهِؤُونَ قَوْلَ الَّذِينَ كَفَرُواْ مِن قَبْلُ قَاتَلَهُمُ اللّهُ أَنَّى يُؤْفَكُونَ
অর্থ: এ হচ্ছে তাদের মুখের কথা। এরা পূর্ববর্তী কাফেরদের মত কথা বলে। আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন, এরা কোন উল্টা পথে চলে যাচ্ছে।
সুরা তাওবা আয়াত: ৩০